নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।
ভুল অনুবাদ থেকেই সব ভুল বুঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে।
Father শব্দের একটা অর্থ পিতা এটা ঠিক আছে। কিন্তু Father শব্দের আরো অনেক অর্থ আছে। যেমন--পূর্বপুরুষ, প্রতিষ্ঠাতা বা প্রথম নেতা, ঈশ্বর, পোপ, কোনো ধারণা বা পরিকল্পনা ইত্যাদির উদ্ভাবক, মঠাধ্যক্ষ ইত্যাদি।
Founding Fathers:
১৯১৬ সালে আমেরিকার ২৯তম প্রেসিডেন্ট ওয়ারেন জি হার্ডিং তার নির্বাচনী প্রচারণার সময় Founding Fathers কথাটি সর্বপ্রথম ব্যবহার করেন। একটি বক্তৃতায় হার্ডিং আমেরিকান স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতাদেরকে এই নামে অভিহিত করেছিলেন। তিনি এই শব্দটি দ্বারা আমেরিকা নামক রাষ্ট্রটি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে যারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন তাদের সবাইকে স্মরণ করেছিলেন।
জর্জ ওয়াশিংটন, থমাস জেফারসন, জন অ্যাডামস, বেঞ্জামিন ফ্র্যাঙ্কলিন, আলেকজান্ডার হ্যামিল্টন, জন জে এবং জেমস ম্যাডিসন এই সাতজনকে Founding Fathers বলা হয়।
এইখান থেকে আরো একটি শিক্ষা পাওয়া যাবে যে একটি রাষ্ট্র গঠনে একক কোন ব্যক্তি নয় বরং একাধিক ব্যক্তির অবদান থাকে এবং সেটা স্বীকার করতে হয়।
"Founding Fathers" এর সঠিক বাংলা হবে "প্রতিষ্ঠাতাগণ"। কোন একজন নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে বুঝতে বলা হবে, "অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা" যেমন আমেরিকার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা জর্জ ওয়াশিংটন।
বাংলাদেশের Founding Fathers বা প্রতিষ্ঠাতাগণ:
আবুল কাশেম ফজলুল হক, আবদুল হামিদ খান ভাসানী, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, শেখ মুজিবুর রহমান, তাজউদ্দীন আহমদ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রমুখ বাংলাদেশের Founding Fathers বা প্রতিষ্ঠাতাগণ।
Father of the Nation:
এই শব্দগুচ্ছটা ভুল ধারণা থেকে প্রথমে ইন্ডিয়াতে ব্যবহৃত হয়েছে।
আমেরিকার স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রধান সেনাপতি ছিলেন জেনারেল জর্জ ওয়াশিংটন। তার নেতৃত্বে সাত বছর ধরে স্বাধীনতা যুদ্ধ (১৭৭৫-১৭৮৩) পরিচালিত হয় এবং ইংরেজ বাহিনী তার কাছেই আত্মসমর্পণ করে। ঐ সময়ে জেনারেল জর্জ ওয়াশিংটনকে "Father of His Country" বলা হত। এখানেও কিন্তু father মানে পিতা না প্রতিষ্ঠাতা অর্থে। অর্থাৎ তিনি তার দেশের প্রতিষ্ঠাতা কারণ তার সেনাপতিত্বে যুদ্ধ হয়েছে এবং তাঁর কাছেই ব্রিটিশরা আত্মসমর্পণ করেছে।
এখানে লক্ষ্য করার বিষয় যে জর্জ ওয়াশিংটনকে বলা হতো "Father of His Country" কিন্তু বলা হচ্ছে না "Father of the Nation" কারণ nation বা জাতি কোন এক বা একাধিক মানুষ মিলেও প্রতিষ্ঠা করতে পারে না। হাজার হাজার বছর বিবর্তনের মাধ্যমে একটি জাতি গঠিত হয়। কিন্তু একাধিক মানুষ মিলে একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে পারে।
প্রথমে ইন্ডিয়া এই ভুলটি করে। তারা মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীকে "Father of His Country" এর পরিবর্তে "Father of the Nation" উপাধি দিয়েছে।
১৯ শে অক্টোবর, ২০২৪ রাত ২:৫৩
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
যেহেতু এই সবে কিছু যায় আসে না, তাই এইসব নিয়ে কোন প্রতিক্রিয়া না জানানোই ভাল।
তিনি যেমন আছেন এবং থাকবেন; অন্যরাও আছেন এবং থাকবেন।
২| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ৯:০৭
আহরণ বলেছেন: সেই হিসাবে ধানাইপানাই কথামালা রচনা করে রাজাকার গো-আজমকেও Founding Father বানিয়ে দেয়া যায়। কাঙালের বাংলাদেশে সব সম্ভব। ধন্যবাদ ভাইয়া
১৯ শে অক্টোবর, ২০২৪ রাত ২:৫৭
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
সব পক্ষ থেকে চেষ্টা তো কম হয় নাই।
টিকে নাই, টিকানো যায় না।
যতোটুকু থাকার ততটুকু থাকবে।
বাকিটুকু মুহূর্তেই মিলিয়ে যাবে, যায়, গেছে।
৩| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১০:৫১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সুন্দর ইতিহাস জানা গেল।
তবে, জাতির প্রতিষ্ঠাতা বা জাতির নির্মাতা, যে-নামেই ডাকুন, এবং যাকেই জাতির নির্মাতা নির্বাচন করা হোক না কেন, সবার নামেই বিতর্ক উঠবে। এত বিতর্কের মধ্যেও শেখ মুজিবর রহমানের নামই সর্বাপেক্ষা বেশি সাপোর্ট পাবে বলে আমার ধারণা। বঙ্গবন্ধু তো তার নিজের আসনে ঠিকই ছিলেন, সবকিছু তালগোল পাকাইয়া ফালাইছেন শেখ হাসিনা।
ছুটিছাটা বাতিল করতে যেয়ে বঙ্গবন্ধুর নামে অহেতুক কিছু কটূক্তি করা হয়েছে, যা অনভিপ্রেত। ছুটি বাতিলের কাজে হাত দেয়াই অন্তর্বর্তী সরকারের ঠিক হয় নাই। তাদের আসল কাজ একটা সুষ্ঠু নির্বাচন দেয়া। ওটা ভালোমতো করে রাজনৈতিক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হলো গুরুত্বপূর্ণ। রাজনৈতিক সরকারই বিবেচনা করবে ছুটি বাতিলের দরকার আছে কিনা। একসাথে এত কাজে হাত দিলে তা ঠিকমতো সম্পন্ন করতে পারবে বলে মনে হয় না।
১৯ শে অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৩:১৪
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
রাজনীতির সব বিষয়েই বিতর্ক হবে।
রাজনীতিতে বিতর্ক খারাপ কিছু না।
অন্যের মতের প্রতি একমত না হলেও সহনশীল হতে হবে।
আমেরিকাতে ফাউন্ডিং ফাদার্স নিয়ে বিতর্ক আছে।
রাজনৈতিক নেতা বা পাবলিক ফিগার নিয়ে বিতর্ক স্বাভাবিক একটা ব্যাপার।
কারণ একজন রাজনৈতিক নেতা কিছু নীতি বা কর্মসূচি নিয়ে চলেন।
এই সব নীতির ব্যাপারে কখনোই সবাই একমত হবে না।
যারা একমত হবে না তারা সমালোচনা করবে। এটা স্বাভাবিক।
তবে সম্মান জোর করে আদায় করা যায় না।
অথবা জোর করে কাউকে সম্মান করতে বাধ্য করা যায় না।
জোর করলে ভয়ে অনেকেই প্রকাশ্যে সম্মান করলেও আড়ালে বা সুযোগ পেলে জঘন্যতম অপমান করবে।
যেটা হয়েছে।
ছুটি বাতিল সম্পর্কে দুই ধরণের মতামত আছে।
এটাও স্বাভাবিক।
এক মত বাতিল চায়।
আরেক মত বাতিল চায় না।
বাতিল করলে একমত খুশি, আরেক মত অখুশি।
বাতিল না করলে একমত খুশি, আরেক মত অখুশি।
৪| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩
আজব লিংকন বলেছেন: সে সময় শিক্ষিত মানুষ ছিল না দেখে এসব সমস্যা হয়েছে। নাকি এখন সবাই মূর্খ বলে এসব সমস্যা হচ্ছে?
১৯ শে অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৩:২১
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
এটা কোন সমস্যা না।
এটা রাজনীতি।
পৃথিবীতে এমন কোন রাজনীতি নাই যা নিয়ে কোন বিতর্ক নাই।
প্রশ্নটা শিক্ষিত অশিক্ষিত না, প্রশ্নটা মতাদর্শের।
যার কাছে ভাল লাগে সে বলে ঠিক আছে।
আর যার কাছে ভাল লাগে না সে বলে ঠিক নাই।
কে ঠিক আর কে বেঠিক তারও কোন ঠিক নাই।
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ৮:০৩
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
এই সবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কিছু যায় আসে না।
তিনি আছেন। তিনি থাকবেন।