নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ময়মনসিংহ জেলা স্কুল থেকে ১৯৭৭ সালে এস.এস.সি এবং আনন্দ মোহন কলেজ থেকে ১৯৭৯ সালে এইচ.এস.সি পাশ করেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৪ সালে এলএল.বি (সম্মান) এবং ১৯৮৫ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএল.এম পাশ করি।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ

১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর:

০৩ রা জুলাই, ২০২৪ ভোর ৫:২৬


১. সফরের কোন কার্যকরী প্রভাব নাই:
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরকে অনেকেই একটি গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক পদক্ষেপ হিসেবে দেখলেও বাস্তবে এটি দীর্ঘমেয়াদী কোন ফলাফল বয়ে আনতে সক্ষম হবে না। এ ধরনের সফরগুলো মূলত আনুষ্ঠানিকতা এবং সৌজন্যতায় মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। এই ধরণের সফর কোন কার্যকরী পরিবর্তন আনতে ব্যর্থ হয়।

২. তিস্তা চুক্তির অগ্রগতি:
যৌথ ঘোষণায় তিস্তা নদীর সুরক্ষা ও ব্যবস্থাপনার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে ঠিকই, কিন্তু ভারতের সাথে তিস্তা নদীর পানি বণ্টন নিয়ে দীর্ঘদিনের সমস্যার সমাধান হয়নি। অতীতের অভিজ্ঞতা বলে যে, এ ধরনের ঘোষণা কখনই বাস্তবায়িত হয় না এবং কেবলমাত্র রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়।

৩. ভারতের নির্ভরযোগ্যতা:
ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারতের নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। ভারতের সাথে করা পূর্ববর্তী অনেক চুক্তি এবং প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হয়নি। তাই এই সফরের যৌথ ঘোষণা বাস্তবায়িত হবে কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যায়।

৪. চীনের সাথে সম্পর্ক:
প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর এবং চীনের প্রস্তাব বিবেচনা করা একটি বিপজ্জনক কূটনৈতিক পদক্ষেপ হতে পারে। ভারত এবং চীনের মধ্যে ভূ-রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাংলাদেশের জন্য দীর্ঘমেয়াদী কূটনৈতিক জটিলতা তৈরি করতে পারে, যা বাংলাদেশের স্বার্থের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

৫. বাস্তববাদী পররাষ্ট্রনীতি:
অনেকেই এই সফরটিকে বাংলাদেশের বাস্তববাদী পররাষ্ট্রনীতির উদাহরণ হিসেবে দেখলেও, বাস্তববাদী নীতি মানে শুধুমাত্র বন্ধুপ্রতিম দেশের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখা নয়। বরং বাস্তববাদী পররাষ্ট্রনীতি হচ্ছে সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া এবং দেশের স্বার্থ রক্ষা করা। এই সফরের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের স্বার্থ কতটা রক্ষা হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।

৬. সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক বিভেদ:
ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের ক্ষেত্রে সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক বিভেদ বিদ্যমান, যা এই ধরনের কূটনৈতিক প্রচেষ্টাকে দীর্ঘমেয়াদী সফলতা আনতে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি এবং বাংলাদেশে ভারতের প্রভাব নিয়ে জনগণের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হতে পারে।

উপসংহার:
সার্বিকভাবে, প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরকে গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হলেও, এর বাস্তবায়ন এবং দীর্ঘমেয়াদী ফলাফল নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ এবং অস্পষ্টতা রয়েছে। ভারতের সাথে তিস্তা নদীর পানি বণ্টনের চুক্তি এবং চীনের সাথে সম্পর্ক নিয়ে জটিলতা বাংলাদেশকে আরও কূটনৈতিক সমস্যায় ফেলতে পারে।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা জুলাই, ২০২৪ ভোর ৬:৪৯

কামাল১৮ বলেছেন: আপনার এই পোষ্টটির মাথা মুন্ড কিছুই বুঝলাম না।ভারতের সাথে যাওয়াও ঠিক না আবার চীনের সাথে যাওয়াও ঠিক না।শেখ হাসিনা এই দুই শক্তিকে ম্যানেজ করে চলে।

২| ০৩ রা জুলাই, ২০২৪ সকাল ১০:২৬

অগ্নিবেশ বলেছেন: ভারত নিপাত যাক। রাজাকারেরা এক হও।

৩| ০৩ রা জুলাই, ২০২৪ সকাল ১১:২৭

অহন৭১ বলেছেন: ফাঁকিস্তান জিন্দাবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.