নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ময়মনসিংহ জেলা স্কুল থেকে ১৯৭৭ সালে এস.এস.সি এবং আনন্দ মোহন কলেজ থেকে ১৯৭৯ সালে এইচ.এস.সি পাশ করেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৪ সালে এলএল.বি (সম্মান) এবং ১৯৮৫ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএল.এম পাশ করি।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ

১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ › বিস্তারিত পোস্টঃ

খেলা উপভোগ করুন:

২১ শে জুন, ২০২৪ রাত ৯:৫২


খেলাকে খেলা হিসেবে উপভোগ করা উচিত। যখন বিজয়ী হবেন তখন নম্রতার সাথে বিজয় উদযাপন করুন এবং যখন পরাজিত হবেন তখন পরাজয়কে স্বাচ্ছন্দ্যে মেনে নিন। খেলায় জিতে গেলে সব কিছু ভালো, আর হেরে গেলে সব কিছু খারাপ, এই মানসিকতা ক্ষতিকর। সব সময় বিজয়ী দলকে অভিনন্দন জানান এবং পরাজিত দলকে উৎসাহিত করুন।

খেলাধুলার গুরুত্ব জয় পরাজয়ের থেকে অনেক বেশি। নিজের স্বার্থেই খেলাটি উপভোগ করুন, এতে খেলাটির প্রতি আপনার ভালবাসা বাড়বে। খেলাটির প্রতি ভালবাসা বাড়লে খেলাটির সূক্ষ্ম সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন। সুন্দর বোলিং বা বেটিং বা ফিল্ডিং উপভোগ করুন, সেটা যে দলই করুক না কেন। এতে সুস্থ প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব বৃদ্ধি পাবে। যখন বিজয়ী হবেন তখন নম্রতার সাথে বিজয় উদযাপন করুন, কিন্তু পরাজিত দলকে ব্যঙ্গবিদ্রূপ করবেন না। মনে রাখতে হবে সাফল্যের সাথে অনেকের সমর্থন এবং প্রচেষ্টা জড়িত থাকে, শুধুমাত্র ব্যক্তিগত প্রতিভা নয়। পরাজিত দলকে উৎসাহিত করলে তাদের কঠোর পরিশ্রমের প্রতি সম্মান দেখানো হয়।

সহজে পরাজয় মেনে নেওয়াও সমান গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি মানসিক শক্তি বাড়ায় এবং ভুল থেকে শেখার ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। তাছাড়া খেলায় পরাজয় সহজে মেনে নিলে এটি সব কিছুতে জেতার যে অস্বাস্থ্যকর নেশা তার চাপ এবং হতাশা কমিয়ে মানসিক সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। এই সুষম দৃষ্টিভঙ্গি ব্যক্তিগত মানসিক বিকাশ এবং ক্রমাগত উন্নতিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

একজনকে জিততেই হবে আর অপরজনকে হারতেই হবে এই অনমনীয় মানসিকতা মনের উপর নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করে। এই মনোভাবের কারণে মনের উপর অযথা চাপ, জ্বালাপোড়া সৃষ্টি হতে পারে এবং প্রতারণার মতো অনৈতিক আচরণের দিকে নিয়ে যেতে পারে। এই মানসিকতা খেলাধুলার অন্তর্নিহিত মূল্যবোধকেও দুর্বল করে দেয়, যেমন দলগত কাজ, অধ্যবসায় এবং ন্যায্য খেলা।

বিজয়ী দলকে অভিনন্দন জানানো এবং পরাজিত দলকে উৎসাহিত করা ইতিবাচক আচরণ এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধাকে শক্তিশালী করে। এই ধরণের মনোভাব এবং আচরণ একটি সহানুভূতিশীল সমাজ গড়ে তোলে। এই ধরণের সমাজে মানুষ অন্যদের প্রতি সততা এবং সম্মান বজায় রেখে শ্রেষ্ঠত্বের জন্য চেষ্টা করতে অনুপ্রাণিত হয়। এরফলে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং ইতিবাচক খেলাধুলার পরিবেশ সৃষ্টি হয়। এই ধরণের পরিবেশ যেকোনো খেলার দীর্ঘমেয়াদী বিকাশ এবং উপভোগের জন্য অপরিহার্য।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে জুন, ২০২৪ রাত ১০:৩৯

নূর আলম হিরণ বলেছেন: মানুষ যখন কোনো কিছু দেখবে, শুনবে সেটা নিয়ে তার এনালাইসিস প্রকাশ করবেই। এটা মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি। খেলাধুলায় ব্যর্থতা ও সফলতায় অনেক বিষয় জড়িত তাই সেগুলোকে নিয়ে আলোচনা সমালোচনা হবেই।

২২ শে জুন, ২০২৪ রাত ১:১৮

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:



আপনার কথার সাথে সম্পূর্ণ একমত। তবে সমালোচনা করা এবং ট্রল করা এক জিনিস নয়। সমালোচনা হল একটি গঠনমূলক প্রক্রিয়া যেখানে কোনও বিষয় বা ব্যক্তির কার্যকলাপ, কাজ, বা আচরণের বিশ্লেষণ ও মূল্যায়ন করা হয়। এর উদ্দেশ্য হল উন্নতির জন্য সুপারিশ করা এবং গঠনমূলক প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করা। অন্যদিকে, ট্রলিং হল ইচ্ছাকৃতভাবে উসকানিমূলক এবং বিরক্তিকর মন্তব্য করে অন্যদের বিরক্ত করা বা উত্তেজিত করা।

পরাজয়কে সহজভাবে মেনে নেওয়া এবং তা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা একজন ব্যক্তির বা প্রতিষ্ঠানের পরিপক্কতা ও কৌশলগত মনোভাবের পরিচায়ক। পরাজয়ের মুখোমুখি হয়ে হিসাত্মক হয়ে ওঠা এবং অপরের দোষ খুঁজে বের করার চেষ্টায় লিপ্ত হওয়া আসলে নিজেদের অগ্রগতির পথে বাধা সৃষ্টি করে।

সমালোচনা এবং পরাজয়ের পরে এর গঠনমূলক ব্যবহার উভয়ের জন্যই উপকারী। এটা ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনে উন্নতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই, সমালোচনাকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করা এবং ট্রলিং ও হিসাত্মক আচরণ এড়িয়ে চলা সবসময় শ্রেয়।

২| ২১ শে জুন, ২০২৪ রাত ১১:৪০

কামাল১৮ বলেছেন: বৃটিশ এবং তার কয়েকটা উপনিবেশ এই খেলাটা খেলতো বলে আমরা বিশ্বকাপে কেলার সুযোগ পেয়েছি।উন্নত বিশ্ব এই খেলা শুরু করলে বিশ্বকাপে খেলা আমাদের জন্য স্বপ্ন হয়ে যাবে।আমি কানাডায় কাউকে ক্রিকেট খেলতে দেখি নাই।তারপরেও তারা বিশ্ব কাঁপে খেলছে।ব্যপক ভাবে চর্চা করলে তারা কোথায় চলে যাবে।

২২ শে জুন, ২০২৪ রাত ১:২৫

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


ক্রিকেট মূলত বৃটিশ উপনিবেশের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল। এ কারণে, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো দেশগুলো ক্রিকেটে প্রাধান্য বিস্তার করেছে। এই দেশের বাইরেও, অন্যান্য উপনিবেশিত অঞ্চলগুলিতে ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা লক্ষ্য করা যায়। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়।

বাংলাদেশ ক্রিকেটে উল্লেখযোগ্য উন্নতি করেছে এবং বর্তমানে একটি প্রতিযোগিতামূলক দল হিসেবে পরিচিত। ১৯৯৯ সালে প্রথম বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ এবং ২০০০ সালে টেস্ট মর্যাদা অর্জন বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য একটি মাইলফলক ছিল। বাংলাদেশের উন্নতি এবং সাফল্য দেখে বোঝা যায় যে, গঠনমূলক পরিকল্পনা এবং প্রচেষ্টার মাধ্যমে সফল হওয়া সম্ভব।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডায় ক্রিকেট এখনও জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছায়নি। এই দেশগুলোতে বাস্কেটবল, বেসবল, আমেরিকান ফুটবল এবং হকি বেশি জনপ্রিয়। তবুও, যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডার ক্রিকেট উন্নত করার জন্য বিভিন্ন প্রচেষ্টা চলছে। উদাহরণস্বরূপ, Major League Cricket (MLC) যুক্তরাষ্ট্রে ক্রিকেট প্রচলন করতে সাহায্য করছে এবং ICC এর সহযোগিতায় বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে।

যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডা ব্যাপকভাবে ক্রিকেট চর্চা শুরু করে এবং পর্যাপ্ত রিসোর্স ও উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে মনোনিবেশ করে, তবে তারা খুব দ্রুতই আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিযোগিতা করার জন্য প্রস্তুত হতে পারে। বড় অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত সম্পদ থাকায়, এই দেশগুলো ক্রিকেটের পরিকাঠামো এবং প্রশিক্ষণের জন্য প্রচুর বিনিয়োগ করতে সক্ষম।

যদি ক্রিকেটে উন্নত বিশ্ব ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করতে শুরু করে, তবে বাংলাদেশসহ অন্যান্য দলগুলোর জন্য প্রতিযোগিতা কঠিন হয়ে উঠতে পারে। তবে, এটি ক্রিকেটের গ্লোবালাইজেশন এবং প্রতিযোগিতার মান উন্নত করবে। বাংলাদেশের জন্য এটি একটি চ্যালেঞ্জ হলেও, সঠিক পরিকল্পনা, উন্নত প্রশিক্ষণ এবং কৌশলগত উন্নয়নের মাধ্যমে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা সম্ভব।

ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বললে, এটি স্পষ্ট যে খেলাটির জনপ্রিয়তা বাড়ছে এবং নতুন নতুন দেশ এই খেলায় অংশগ্রহণ করছে। এটি ক্রিকেটকে আরও বৈশ্বিক এবং প্রতিযোগিতামূলক করে তুলবে। বাংলাদেশসহ অন্যান্য দলগুলোর জন্য এটি একটি চ্যালেঞ্জ হলেও, প্রতিযোগিতার মাধ্যমে তারা নিজেদের আরও উন্নত করার সুযোগ পাবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.