নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মনের আনন্দে লিখতে থাকি, আনন্দ শেষ তো লেখাও শেষ! কেও না পড়লেও কোন অসুবিধে নেই! সবাইকে শুভেচ্ছা!
৭০-৮০ দশকে আফগানিস্তানে মুজাহিদরা যখন রাশিয়ার সাথে লড়ছিল, তখন বন্ধুর মত তাদের অস্ত্র আর অর্থ দিয়ে সাহায্য করেছে আমেরিকানরা। রাশিয়ানরা তখন আমেরিকানদের শত্রু ছিল, তবে এখন বন্ধুও নয় আবার প্রকাশ্য শত্রুও নয়; স্নায়ু যুদ্ধের শুরু হয়েছে তাদের মধ্যে। মুজাহিদরা এরপর আল-কায়েদা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে; আমেরিকানদের বানিয়ে দেয়া গুহায় লুকিয়ে থাকে এবং ৯/১১ তে আমেরিকায় হামলার দায় স্বীকার করে নেয়। যদিও আল-কায়েদা নেতা বিন লাদেন আফগানিস্তানে থাকতেন এবং পাকিস্তানে লুকিয়ে থাকতেন, তবু ৯/১১ এর প্রতি উত্তরে আমেরিকা আফগানিস্তান-পাকিস্তান থেকে ১০০০ মাইল দূরে ইরাকে বোমা ফেলে সাদ্দাম হোসেনকে মারার জন্যে। সাদ্দাম হোসেন আর বিন লাদেনের মধ্যে মিল ছিল শুধু মুখের ভাষার এবং তারা দুজনেই একসময় আমেরিকানদের বন্ধু ছিল। বিন লাদেন আমেরিকানদের শত্রু হয়ে পড়েন যখন আমেরিকানদের বন্ধু রাষ্ট্র সৌদি আরবের নাগরিক হয়েও বিন লাদেন প্রথমবার ইরাক হামলার সময়ে ইরাকিদের সাহায্য করতে চেয়েছিলেন। আমেরিকানরা বন্ধু সাদ্দাম হোসেনকে অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করেছিল যখন সাদ্দাম শিয়া অধ্যুষিত ইরানের উপর হামলা চালিয়েছিল। এদিকে হামাস এবং হিজবুল্লাহও আমেরিকানদের বন্ধু ছিল কারণ তারা আমেরিকানদের শত্রু সাদ্দামের বিরুদ্ধে লড়েছিল ইরানের হয়ে; যারা তখন আমেরিকানদের বন্ধু ছিল যখন শাহকে ক্ষমতায় বসায় আমেরিকানরা; কিন্তু এখন শত্রু। সাদ্দাম হোসেন আমেরিকানদের শত্রু হয়ে পড়ে যখন সে কুয়েত দখল করে আমেরিকান বন্ধু রাষ্ট্র সৌদিআরব দখলের পাঁয়তারা করতে থাকে; যারা সুন্নি রাষ্ট্র। সিরিয়ার আসাদের বিরুদ্ধে যারা যুদ্ধ করছিল তারাও সুন্নি ছিল তাই বিদ্রোহীদের আমেরিকানরা অস্ত্র আর গোলাবারুদ সরবরাহ করে। অবশ্য আসাদও আমেরিকানদের বন্ধু ছিল এবং একসময় এই বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্যে আমেরিকানদের সাহায্য পায়! এই বিদ্রোহীরা ধীরে ধীরে এই এস এ রূপান্তরিত হয়, যাদের আমেরিকানরা একসময় সমর্থন করত তবে এখন শত্রু মনে করে; এবং বিমান হামলা চালায়। হামাস আর হিজবুল্লাহ দেরও আমেরিকানরা এখন শত্রু মনে করে কারণ তারা আমেরিকানদের বন্ধু রাষ্ট্র ইসরায়েল এর শত্রু।
(এক আমেরিকান সাংবাদিকের ফেবু স্ট্যাটাস পড়ে লিখতে ইচ্ছে হল)
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:৩২
এই সব দিন রাত্রি বলেছেন: আমি শখের বশে লিখি; নিজের জন্যে। ছাপাবার ইচ্ছে হলে আপনার সাথে যোগাযোগ করব ইনশাল্লাহ। ভাল থাকবেন
২| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:৩৪
কলাবাগান১ বলেছেন: @হারুনর রশিদ কায়সার
আপনার এই রকমের পোস্ট সব জায়গায় দেখছি?? এটা কি ধরনের সাংবাদিকতা??? এই যদি হয় চিফ রিপোর্টারের দৌড়, তাহলে আপনার 'পত্রিকার' যে কি অবস্হা তা বলাবাহল্য
০৬ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:৫২
এই সব দিন রাত্রি বলেছেন: কি দরকার ভাই কাওকে অপমান করার
৩| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:৪০
ফেক রুধির বলেছেন: ভাই অনেক ভালো একটা বিশ্লেষণ।
০৬ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৩
এই সব দিন রাত্রি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। অনেক ভাল থাকবেন
৪| ০৫ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৫:৪০
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: আমেরিকা যার বন্ধু, তার শত্রুর দরকার নাই। ভালো মিলাইছেন, ওরা সেই প্রথম বিশ্বযুদ্ধ থাইকাই ব্যাকডোর দিয়া প্রবেশ কইরা অন্যদের বাঁশ খাওয়া অবস্থার সুযোগ নিয়া নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করতে পারছে। ওদের আসল শক্তি ভৌগলিক অবস্থান। এইজন্য ওদের ধরাও প্রায় অসম্ভব। আর মিশ্র জাতিসত্তার দেশ হিসেবে টিকে থাকার জন্য ওদের যেই কৌশল নিজেদের মধ্যেই, সেইটাও ওদের দক্ষ কইরা তুলছে কিভাবে দুনিয়ার উপরে কৌশলে ছড়ি ঘুরাইতে হবে।।
০৬ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৪
এই সব দিন রাত্রি বলেছেন: ওরা এই বিদ্যা শিখেছে নিজেদের আদি শেকড়; ব্রিটিশ থেকে
৫| ০৫ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:৩৫
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: এই দেশটির শত্রু হবার চেয়ে বন্ধু হলেই ভয় বেশি।
০৬ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৪
এই সব দিন রাত্রি বলেছেন: যথার্থ বলেছেন প্রোফেসর
৬| ০৫ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:৫৫
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: এই দেশটির শত্রু হবার চেয়ে বন্ধু হলেই ভয় বেশি। সহমত।
০৬ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৬
এই সব দিন রাত্রি বলেছেন: আরও আছে, ১৯৭১ এ তাহারা পশ্চিম পাকিস্তানের বন্ধু ছিল, আমাদের শত্রু ছিল। এখন আমাদের বন্ধু, পাকিস্তানের শত্রু। অতএব, সাধু সাবধান
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:১৯
হারুনর রশিদ কায়সার বলেছেন:
শ্রদ্ধেয়
এই পোষ্টটি অনেক ভালো লেগেছে । অনেক ধন্যবাদ । আশা করি এই রকম পোস্ট আপনার কাছ থেকে আরো পাবো । জনপ্রিয় নিউজ সাইট http://www.onn24.com এ আমি চিফ রিপোর্টার হিসেবে দায়িত্বরত । আমাকে আপনার লিখাগুলো পাঠাবেন । আমি তা প্রকাশনার ব্যাবস্থা করবো । আমার ইমেইলঃ- [email protected]