নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মনের আনন্দে লিখতে থাকি; আনন্দ শেষ, তো লেখাও শেষ! সবাইকে শুভেচ্ছা

এই সব দিন রাত্রি

মনের আনন্দে লিখতে থাকি, আনন্দ শেষ তো লেখাও শেষ! কেও না পড়লেও কোন অসুবিধে নেই! সবাইকে শুভেচ্ছা!

এই সব দিন রাত্রি › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেয়াল

২৫ শে জুন, ২০১৫ সকাল ১১:৪৪

আফ্রিকায় আমি যেখানে ছিলাম সেখানে খাবার পানির বেশ সংকট ছিল। সেখানে সবচেয়ে পরিস্কার স্বাস্থ্যসম্মত পানির রঙও ছিল হলুদ। আমি স্বচ্ছ পানি খেতে অভ্যস্ত। আমি জানি ঐ হলুদ পানিটা খাবার উপযোগী; আফ্রিকানরা ওটাই খাচ্ছে। তবুও আমি মেনে নিতে পারছিলাম না। এক্ষেত্রে আমার পারিপার্শ্বিক লদ্ধ জ্ঞ্যান আমাকে সাহায্য করেনি। আমি সত্য জানতাম, তবু মানতে পারিনি। জীবনের বেশিরভাগ সত্যের মোকাবেলা করা ঐ "আফ্রিকান হলুদ পানির" মতই। সব তথ্য প্রমাণ চোখের সামনে থাকবে, সব ইতিহাস সেই সত্যকে সাক্ষ্য দেবে কিন্তু গলা দিয়ে নামতে চাইবে না। সত্য অস্বীকারের এই সহজাত প্রক্রিয়া আমাদের মনে করিয়ে দেয় আমরা আসলে শৃঙ্খলিত মানুষ। আমরা নিজেদের তৈরি কারাগারে বন্দী। অল্প কিছু মানুষ থাকেন যারা এই শেকল ভেঙ্গে বের হতে পারেন। সেই মানুষ গুলোই স্বাধীনতার স্বাদ পান। আর একবার এই স্বাদ গ্রহণকারী শেকলের জীবনে ফেরেনা। এই শেকল টার নাম হচ্ছে ইগো, বাংলায় অহংবোধ আত্মভিমান আত্মমর্যাদা। আফ্রিকান হলুদ পানির সাথে ইগোর উদাহরণটা একটু অসংলগ্ন লাগছে? লাগতেই পারে, কারন ইগো ব্যপারটাই এমন। সহজে গলা দিয়ে নামতে চায় না। আর নিজে ছাড়া অন্য কারো পক্ষে বের করাও অসম্ভব হয়ে পরে এই সমস্যাটা। একটা পরীক্ষা করে নিজে নিজেই বের করা যায়, আপনার মধ্যে এই অনুভূতিটি অনু পরিমাণ হলেও আছে কিনা। ধরুন আপনার খুব কুৎসিত সমালোচনা করল একজন; একদম ভিত্তিহীন; আপনার কল্পনাতেও আসতে পারে না এমন কিছু। আপনার মনে যদি প্রথম অনুভূতি আসে "ও কিভাবে বলতে পারল এই কথাগুলো আমার বিরুদ্ধে?"; তাহলে বলতে হবে অনু-পরমানু লেভেলে হলেও আপনার মাঝে ইগো বিরাজমান। ইগো বিবর্জিত স্বাধীন মানুষ সবচেয়ে কুৎসিত সমালোচকের মুখ থেকে বের হওয়া কথা থেকে নিজের জন্যে কল্যাণ খুঁজে পান। আর সেই সমালোচক যদি কিছু সত্যি বলে থাকেন, তবে সেটাকে তিনি সাথে সাথে স্বীকার করে নেন। খুব কঠিন মনে হচ্ছে? হবারই কথা। স্বাধীনতা অর্জন তো সহজ নয় কখনই। আল্লাহ্‌ আল-কোরআন, সুরা ইয়াসিনে এই শৃঙ্খলিত মানুষদের কথাই বলেছেন রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কে। তাদের সামনে দেয়াল, তারা সত্য দেখে, উপলব্ধি করেনা; তাদের পেছনে দেয়াল, তারা ইতিহাস জানে, স্বীকার করেনা; তাদের গর্দানে চিবুক পর্যন্ত বেড়ী, তারা নিজেদের ভেতরে দেখেনা, ঐশী বানীও তাদের অন্তর পর্যন্ত পৌছায় না। মুক্তমনা মানুষ সেই যে প্রশ্ন করে কিন্তু সত্য সামনে এলে তাকে অস্বীকার করেনা। যে সত্য উপলব্ধি করেছে, সে তা নিজেই জেনে যায়। সে অন্যকে সত্য জানতে সাহায্য করতে চায়, তাকে বদলাতে চায় না। শেকল ভাঙ্গার সিদ্ধান্ত মানুষের একান্ত নিজের। স্রষ্টাও সেই সিদ্ধান্তকে সম্মান করেন, তাকে শেকল মুক্ত করে দেন।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ১:২৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো লিখেছেন।

২| ২৫ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ২:৫০

এই সব দিন রাত্রি বলেছেন: ধন্যবাদ মহবুব ভাই :)

৩| ২৫ শে জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৮

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: মুল বক্তব্য ধরতে পারিনাই স্যার। আপনি কি বুঝাইতে চাইছেন ইগোর জন্য মানুষ সত্য দেখতে পায়না তাই ধর্মে বলা অনেক কথাই মানতে চায়না? আমার ওইরকম মনে হয়না, ব্যাপারটা ইগোর চেয়েও নিজের শেখা আর মেনে নেয়া ধ্যানধারনাগুলার জন্য মায়ার কারনে বেশি হয়। আপনি ধর্মান্তরিত করতে পারবেন কিন্তু মাজহাব চেঞ্জ করা প্রায় অসম্ভব। আপনি সুন্নী কারন আপনি সুন্নি পরিবারে জন্মাইছেন, কোন অবস্থাতেই আপনাকে শিয়া বানানো কিংবা শিয়া থেকে সুন্নি বানানো প্রায় অসম্ভব। কোটিতেও একটা উদাহরন আছে নাকি কে জানে। মানুষ জামাকাপড় আসবাবের প্রতিও মায়া জন্মাইয়া ফেলে। এইসকম বিশ্বাস গুলার প্রতিও মায়া জন্মায়, ওইগুলাই অভ্যাসে পরিনত হয়। এই ব্যাপারটাকে ইগো বলা যায় নাকি জানিনা। কিন্তু আসল কারন এইটাই।

৪| ২৫ শে জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩১

এই সব দিন রাত্রি বলেছেন: সুরা ইয়াসিন পড়ছিলাম; তখন এই ব্যপারটা সামনে আসল। কোরায়েশ রা তাদের চোখের সামনে ঐশী বানী নাজিল হতে দেখছিল। নিরক্ষর কিন্তু সত্যবাদী এক জনের মুখ থেকে উচ্চারিত হচ্ছিল "ইয়া সিন" যার এবিষয়ে কোন শিক্ষাই ছিল না। তারা কোরআনের বানীর সত্য উপলব্ধি করতে পারছিল; কিন্তু তারপরেও মেনে নিতে পারছিল না। এজন্যে তারা রাসুল (সাঃ) কে ঘুষ দিতেও উদ্দত হয়েছিল। আল্লাহ্‌ তখন বললেন, এদের গর্দানে বেড়ী আর দেয়াল গুলোর কথা। সত্য জানার পর অস্বীকার করার জন্যে যে আবেগ টা কাজ করে সেটাই ইগো, সেটা ভালবাসা, মায়া, লোভ, দুঃখ যেকোন কিছু থেকে তৈরি হতে পারে। আমাদের দেশে যেমন একদল পাকিস্তানের গনহত্যাকে অস্বীকার করে, একদল পাহাড়ে বাঙালি সৈনিকদের অত্যাচার কে অস্বীকার করে আর আরেকদল বাকশালের সন্ত্রাস কে অস্বীকার করে। সত্য জানার পর তা মেনে নেয়াটাই ইগো বিসর্জন বলে মনে হয় তাই আমার কাছে।

৫| ২৫ শে জুন, ২০১৫ রাত ১১:২৩

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: ইসলাম ক্রীতদাস নিয়া কি বলে আসলে? কয়দিন আগে সুরা নিসা পইড়া অনেকবার ক্রীতদাস শব্দটা পাইলাম। আরো অনেক জায়গায় আছে। এমনকি শরীয়া বিধান ক্রীতদাসদের বেলায় ভিন্ন। এই ব্যাপারগুলা নিয়া কিছু লিইখেন।

৬| ২৫ শে জুন, ২০১৫ রাত ১১:৩১

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: আবার আরো অনেক ব্যাপারমন থাইকা মানতে পারিনা। ফাক ফকর খুঁজি। যেমন ধরেন একটা হিন্দু মেয়ে, হয়তো ১০-১২ বছর বয়স। রেপড হইয়া মারা গেলো একাত্তরে। ওর বিলিভ করতো দেব দেবীতে, কিন্তু জীবন শুরুর আগেই, বোঝা শুরুর আগেই মারা গেলো। তার বিচার কি ওই অল্প বয়সের বিশ্বাসের ভিত্তিতেই হবে? সে কি কোনভাবেই মুক্তি পাবেনা? আবার আল্লাহ বিশ্বাস করতেছে, কিন্তু পাপও করতেছে অন্য এক ইহুদীর চেয়ে বেশি, আরেক ইহুদী সারাজীবন ভালো পথেই জীবন কাটাইলো, ইসলামে বিশ্বাস বাদ দিয়া মোটামুটী পারফেক্ট ভালোমানুষের লাইফ, তার বিচার কি ধর্মের ভিত্তিতেই হবে? কোনভাবেই কি মাফ পাবেনা? আল্লাহ তো এইটাও বলছেন, আমি সব অপরাধ ক্ষমা করব, কেবল আমার সাথে শরীক করবার অপরাধ বাদে। ধরি ইহুদীরা ইসলাম মানলোনা, কিন্তু এক আল্লাহতে তো বিশ্বাস করে। ওরা কি শরীক না করার কারনে কোন না কোন সময়ে মাফ পাবেনা?

আল্লাহর নাম তো পরম করুনাময়, দয়াময়। উনি যে যে কাউকে, যে কোন বিশ্বাসের কাউকে মাফ করবেননা এইটা আমরা কেন বলি? মানে এইটাতো ইসলামে বিশ্বাসী অনেকেই বলে যে মুসলমান ছাড়া কেউ বেহেস্তে যাবেনা।

৭| ২৬ শে জুন, ২০১৫ সকাল ১০:০৯

এই সব দিন রাত্রি বলেছেন: শতদ্রু ইতিহাস বলে (ইসলামের ইতিহাস না, পৃথিবীর) মেয়েদের ক্রীতদাস হিসেবে নেয়া হয়েছে সবসময় দু'টি কারনে। যুদ্ধবন্দী হিসেবে অথবা পতিতাবৃত্তির জন্যে। ইসলাম পতিতাবৃত্তির জন্যে মেয়েদের ক্রীতদাস হিসেবে রাখাকে সমর্থন করে নাই কখনই। তাহলে বাকী থাকল কি; যুদ্ধবন্দী। যুদ্ধবন্দী মেয়েদের অভিভাবক নেই, আল্লাহ্‌ বিশ্বাসীদের বানালেন তাদের অভিভাবক। "নিকাহ" শব্দটার অর্থ হচ্ছে অভিভাবকত্তের হস্তান্তর। কিন্তু যুদ্ধবন্দী মেয়েদের অভিভাবকত্তের হস্তান্তর সবসময় সম্ভব ছিল না; যাদের সম্ভব ছিল, তাদের বিয়ে হয়ে গিয়েছিল। এখনও যেমন হয়,বিবাহযোগ্য নারীর অভিভাবক (বাবা, মা, দাদা, দাদী, চাচা, মামা ইত্যাদি) অভিভাবকত্ত দিয়ে দেন বিয়ে দেবার মাধ্যমে। তাই সুরা নিসা তে যখন পড়ছিস তখন মুসলমানদের কাছে যুদ্ধবন্দী হিসেবে মেয়েরা আসছে যাদের তারা বিয়ে করতে পারছেনা, কিন্তু তাদের ঘরেই তারা থাকছে। যুদ্ধবন্দী এই মেয়েদের অধিকার কি হবে তাই বলা হল সুরা নিসা তে (এদের যৌন অধিকারও আল্লাহ্‌ এড়িয়ে যাননি)। কিন্তু সমস্যার সমাধান হয়নি তখনও। তাই সুরা নুর আয়াত ৩২-৩৩ আল্লাহ্‌ এই যুদ্ধবন্দী মেয়েদের 'নিকাহ" এর অনুমতি দিলেন। বেশিরভাগ যুদ্ধবন্দী মেয়েদের বিয়ে হয়ে যায় তখন, বিয়ে হয়নি শুধু বৃদ্ধা আর নাবালিকাদের। ইসলাম "দায়িত্ব" শব্দটার উপরে খুব গুরুত্ব দিয়ে থাকে। ক্রিতদাসেরা সুরা নুর নাযিল হবার আগ পর্যন্ত স্ত্রীর মর্যাদাই পেয়েছেন। আর ইসলামে বিয়ে শাব্দটা বিশাল অর্থ বহন করে যাতে একজন মেয়েই ঠিক করেন তিনি বিয়ে করবেন কি না। সমস্যা হয়েছে রাসুল (সাঃ) এর সাহাবীরা সুরা নুর এর সমাধানে খুশি ছিলেন; কিন্তু এর পরে যত সময় গিয়েছে, মুসলমানরা বিয়ে করার দায়িত্ব এড়িয়ে যাবার জন্যে ক্রিতদাসদের আসলে "যৌন দাসী" হিসেবেই ব্যবহার করেছে। তার্কিতে অটোম্যান সম্রাটদের প্রাসাদে গিয়ে দেখেছি ছোট ছোট খুপরি ঘরে আটকে রাখা হত ক্রিতদাসীদের। আল্লাহ্‌ ভাল জানেন। আমি নিজেও এই বিষয়টা নিয়ে অস্বস্তি অনুভব করতাম। তাই একটু ইতিহাস ঘাটাঘাটি করেছি আরকি। ইসলাম সবসময় প্র্যাক্টিকাল সমাধান দেয়। মুসলিম সেই যে তার মনের কু-প্রবিত্তিগূলো দমিয়ে রাখতে পারে। আরও বেহেস্তের ব্যপারে বলতে পারি বিচারদিবসের মালিক আল্লাহ্‌, আমার কোন অধিকার নাই ঐদিনের ব্যপারে মন্তব্য করার। শুধু বিশ্বাস করি আল্লাহ্‌ যা বলেছেন তাই, কোন আত্মা সেদিন আল্লাহ্‌র বিচার শেষে বলবে না আমার প্রতি অবিচার করা হয়েছে; শুধু বলবে আমাকে আরেকবার সুযোগ দিন, আমি সব শুধরে নেব এবার! এবং এই গ্রুপটা তারাই যারা তাদের "ইগো" আকড়ে ছিল; সত্য জানার পরেও যারা সেটাকে অস্বীকার করেছিল। আল্লাহ্‌ ভাল জানেন। ভাল থাকিস অনেক

৮| ২৬ শে জুন, ২০১৫ সকাল ১১:৪৪

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: হুমম... চিন্তা ভাবনা করার মত লেখা...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.