নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মনের আনন্দে লিখতে থাকি, আনন্দ শেষ তো লেখাও শেষ! কেও না পড়লেও কোন অসুবিধে নেই! সবাইকে শুভেচ্ছা!
“রফিক সাহেবের কেও আছেন?”
আমি ঘাড় ঘুড়িয়ে এদিক ওদিক তাকালাম। আরও প্রায় বিশ জোড়া চোখ আমার মতই এদিক ওদিক খুঁজছে।
“কেও আছেন রফিক সাহেবের?”
যিনি খুঁজছেন, তার কণ্ঠে বিরক্তি; আর প্রায় বিশ জোড়া, আমাকে সহ একুশের চোখে উৎকণ্ঠা। রফিক সাহেবের কেও নেই কেন? কি হয়েছে রফিক সাহেবের; খারাপ কিছু নয়ত? অবশ্য রফিক সাহেবকে আমি চিনিনা। সত্যি বলতে আমাদের ২১ জোড়া উৎকণ্ঠিত চোখের কেওই আমরা রফিক সাহেবের পরিচিত নই। রফিক সাহবে হয়ত সৌম্য চেহারার একজন বৃদ্ধ; অথবা সংসারের ভারে ক্লিষ্ট এক মধ্য বয়েসী। অথবা হয়ত আমার মতই; কাঁচা পাকা চুল, ৫ ফুট ৭; দুই কন্যার জনক। হয়ত কন্যা দুজনকে নিয়ে জ্যামে বসে আছেন রফিক সাহেবের স্ত্রী। দুশ্চিন্তা আর বিরক্তির মিশ্রণ তার ভ্রুকুঞ্চনে।
উৎকণ্ঠা আছেকি? হয়ত আছে সেটাও; ঠিক আমাদেরই মত।
এমনও তো হতে পারে কেও নেই রফিক সাহেবের অপেক্ষায়। যে আসছিল সেও পথের মাঝে হারিয়ে গেছে। অফিস শেষে বাস ঝুলে আসবে হয়ত কেও। অথবা মনে রাখতে ভুলে গিয়েছে শৈশবে হাতের কড়ে আঙ্গুল ধরে ঘুরে বেড়ান ছেলেটি।
“কেও নাই ক্যান রফিক সাহেবের?”
এবার স্পষ্ট ক্রোধ তার কণ্ঠ্য স্বরে।
আমি উঠে যাবো কি? রফিক সাহেবের মাথার কাছে গিয়ে যদি দাঁড়াই, খুব কি ক্ষতি হবে? রফিক সাহেব আমার কেও নন; আবার হতেও তো পারেন অনেক পরিচিত কেও। হয়ত একসাথে বাংলাদেশ আয়ারল্যান্ডের ম্যাচ জিতিয়ে ফিরেছিলাম আমরা। হয়ত কেঁদেছিলাম বাংলাদেশের ৫৮ রানের লজ্জার দিনে। হয়ত একি দোকানে দাঁড়িয়ে মায়ের জন্য কিনেছি শাড়ী।
ওঠা হয়না। আমি বসে থাকি। আরো বিশ জোড়া চোখ বসে থাকে। সবাই অপেক্ষায় থাকে। যদি ডাক আসে; রফিক সাহবের মত যদি ডেকে বসে আমার বাবা, ওর মা, তার বোন অথবা ছোট্ট সোনা রিমিতার নামটা! রফিক সাহেবের কেও নেই; আমাদের একুশ জোড়া চোখের কেও একজন আছে। ঐ দরজাটার ওপারে। উৎকণ্ঠার প্রহর গুনে শুধু অপেক্ষা; ডাক আসার; অথবা না আসার!
রফিক সাহেবের কেও আসেনি.........
(স্থানঃ সিসিইউ এর করিডোরে; জীবনের মঞ্চে)
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৪২
এই সব দিন রাত্রি বলেছেন: কেমন আছেন মাহবুব ভাই? অনেকদিন পর
২| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৩১
ইমিনা বলেছেন: স্বীকার করতেই হবে যে আপনার বর্ণনায় শব্দরা শুধু অর্থের গতিময়তাই প্রকাশ করে নি, সেই সাথে গভীর বোধও সৃষ্টি করেছে। তবে গল্পটি পড়ে সত্যিই মন খারাপ হয়ে গেলো
শুভকামনা সব সময়।।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪১
এই সব দিন রাত্রি বলেছেন: জীবন থেকে নেয়া
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:০৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: গভীর অনুভূতিময় লেখা। মন খারাপ হলো।