নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মনের আনন্দে লিখতে থাকি, আনন্দ শেষ তো লেখাও শেষ! কেও না পড়লেও কোন অসুবিধে নেই! সবাইকে শুভেচ্ছা!
এক
সকাল থেকেই শরীরটা ঠিক ভালো বোধ করছিলাম না। দুএকটা ফাইল উল্টে দেখতেই খুব দুর্বল বোধ করলাম। শরীরটা কিঞ্চিৎ গরম। এই এক যন্ত্রণা; প্রতি বছর বসন্তের শুরুতে আমার জ্বর হবেই। ঋতু বদলে শীতের বিদায় আমার জন্যে তাই একটু আতঙ্কের। রাতে গরম পড়ে বলে পূর্ণ উদ্দ্যমে ফ্যান ছেড়ে ঘুমোতে যাই। শেষ রাতে ঠাণ্ডায় কাঁপুনি আসলেও বিছানা থেকে নেমে ফ্যানের সুইচ অফ করা হয় না। সকালে খুশ খুশে কাশি আর বেলা বাড়ার সাথে সাথে জ্বরের আনাগোনা। আজ একটু তাড়াতাড়ি অফিস থেকে বের হলাম। বেশ শীত শীত করছে; যদিও মোটামুটি গরমই বলা যায় আবহাওয়া। অফিস থেকে বাসায় ফেরার অংশটুকু আমার জন্যে সারাদিনে একমাত্র বিনোদন। দোতালা বাসের উপরতলার একদম সামনের সিটটা দখলে পেলে তো কথাই নেই। ঢাকা শহরের যান্ত্রিক কাব্য দেখতে দেখতে ফিরি। বাসের লাইনে দাঁড়ানো মায়াবতী; দাদুর হাত ধরে স্কুল থেকে ফেরা দুষ্টু বালিকা; গোলাপ হাতে বস্তির কোনও এক রুগ্ন কিশোরী। আজ কোনও দিকে মন ফিরছিলও না। সারাবছর অবশ্য আমার তেমন একটা অসুখ হয়না। আমার ৫ ফুট ৮ ইঞ্চির দেহটার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খুব একটা খারাপ নয়। বছরের অন্যান্য সময় হাজার অনিয়মেও মানিয়ে যায় শরীর মহাশয়। এ যেমন বর্ষার বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে অফিস থেকে ফেরা; প্রচণ্ড শীতের রাতে জাহিদের সাথে বাইকে করে চা খাবার জন্যে আশুলিয়া গমন। অথবা প্রচণ্ড গরমে নাজমুলদের বাসার পুকুরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঝাপা ঝাপি। একসময় প্রবল ক্রিকেট জ্বরে আক্রান্ত ছিলাম। গনগনে সূর্য মাথায় নিয়ে কতদিন মাঠে কাটিয়েছি; কিছুই হয়নি। বাসায় যতদিন ছিলাম এই জ্বরের সময়টা বেশ উপভোগ করতাম। আম্মু মাথার কাছে বসে থাকত। আস্তে আস্তে চুলে বিলি করে দিত। আব্বু অফিস থেকে ফেরার সময় বিভিন্ন রকমের ফল নিয়ে ফিরত। আম্মু আমার পছন্দের মিষ্টি বানাত। পড়তে বসার জন্যে কেও গুঁতোগুঁতি করত না। ছোট বোনটাও কয়েকদিনের জন্যে ব্রেক নিত আমাকে খোঁচা খুঁচি করা থেকে। মোটামুটি স্বর্গীয় সুখ বলা যায়। কেন যে বড় হলাম; বাসা ছেড়েছি সেই কবে! আজকের এই জ্বরের উদ্বোধনীতে আরও বেশি করে মনে পড়তে লাগল কথাটা। বাসের জানালাটা খোলা; বাতাসটা আজ আর আরামদায়ক লাগছে না। একটু টানা টানি করে লাগাতে চেষ্টা করলাম, লাগেনা। সামনের সিটটা ছেড়ে পেছনে এসে বসলাম। দোতালা বাসটায় আজ খুব একটা ভিড় নেই। আমি ছাড়া আরও দশ জন আছে। সাধারণত এত কম যাত্রী হয় না। বেশ ঠাসাঠাসি থাকে। অফিস ফেরত ক্লান্ত মুখ গুলো দেখতে ভালো লাগেনা। সবাইকে মনে হয় একটা যন্ত্রের মত; ভাবলেশহীন মুখ! আজ একটু আগে বের হয়েছি বলেই হয়ত সেই চেনা ক্লান্ত মুখগুলো ছিল না। ঠিক সামনের সিটাতেই এক বুড়ো আর স্কুল ড্রেস পড়া একটা ফুটফুটে বাচ্চা মেয়ে বসে আছে। বাচ্চাটার বয়স হবে বছর পাঁচেক। মুখরা, এক মুহূর্ত বিরতি না নিয়ে বকবক করেই যাচ্ছে। সবকিছুতেই তার কৌতুহল। বৃদ্ধ প্রশ্নবাণে জর্জরিত। দাদা এইটা কি? দাদা আর কতক্ষন লাগবে বাসায় যেতে, দাদা বেলুন কিনে দিলা না কেন! দাদা চকলেট কখন কিনব আমরা? বৃদ্ধ তার সব প্রশ্নের জবাব দিচ্ছেন খুব সুন্দর করে। মনে হচ্ছে তিনি কোনও বাচ্চার সাথে না, একজন বড় মানুষের সাথে কথা বলছেন। বৃদ্ধের বয়স ৬০ এর মত হবে। মাথার চুল সবগুলো সাদা। ধবধবে সাদা একটা পাঞ্জাবী পড়া। বাচ্চাটা হটাত তার মনোযোগ আমার দিকে কেন্দ্রীভূত করল। ভ্রু কুঁচকে আমাকে পর্যবেক্ষণ চলছিল। আমি একটু হেসে দিতেই সেও হেসে ফেলল। মাথা নামিয়ে বসে পড়ল আবার সিটে। মিনিট পনেরও এই খেলা চলতে লাগল। বুড়ো হেসে আমার দিকে তাকালেন। কুশল বিনিময় হল। ভদ্রলোক সরকারী চাকুরে ছিলেন। এখন অবসরে আছেন, দাদা হিসেবে নাতনিকে স্কুলে আনা নেওয়া করার নতুন এই চাকুরীটা বেশ উপভোগ করছেন তিনি। বাচ্চা মেয়েটার নাম তিতলি। তিতলি আমার সাথে বেশ ভাব জমিয়ে ফেলল। তার বাসায় কে কে আছে; ওর স্কুলে কে কে ওর বন্ধু; সে কি কি খেতে পছন্দ করে সব মোটামুটি আমার জানা হয়ে গেল অল্পখনেই। বৃদ্ধের অনুরোধে তার পাশে গিয়ে বসলাম। টুকটাক আলাপ শেষে দেশের আলাপ শুরু হল।
-কি হচ্ছে বলুনতো দেশে?
-আমি খুব একটা খবর রাখিনা, শুধু হরতালের শিডিউল জানার জন্যে পেপার খুলি।
-ভাল বলেছেন; আসলে দেশের জন্যে কেও ভাবে না। সবাই আমরা নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত।
আমি একটু হেসে বললাম, আমিও তো দেশের একটা অংশ, তাইনা! আমি ভালো থাকলে দেশও ভালো থাকবে!
-তবুও আমাদের সবারই রাজনীতি নিয়ে ভাবা উচিৎ!
আমার রাজনৈতিক আলাপ বিশেষ ভালো লাগে না। তাই বৃদ্ধের সব কোথায় মাথা নেড়ে গেলাম। ভদ্রলোক নিজের মনে বকবক করতে লাগলেন। তিতলি তার প্রশ্নবাণ এখন আমার দিকে ছুড়তে শুরু করেছে। জ্বরটা আরও বেড়েছে। নাপা একটা খেয়ে ফেললে ভালো হত মনে হয়। বৃদ্ধকে বলতেও পারছিনা যে আমার এই সব শুনতে ভালো লাগছেনা। চোখটা একটু বন্ধ করতে পারলে মনে হয় আরাম হত। বাসায় ফিরে কম্বল মুড়ি দিব। আজ আমার রান্না করবার দিন। জাহিদ একদিন রাঁধে, আমি আরেকদিন। বৃদ্ধের কথা শুনতে শুনতে একটু তন্দ্রার মত চলে এসেছিল। হটাত একটু হৈচৈ এর শব্দ শুনে ঘুম চটে গেল। কি হয়েছে দেখবার জন্যে জানালা দিয়ে মাথা বের করলাম। যা দেখলাম, তাতে আমার বুকের রক্ত পানি হয়ে গেল। মুখে গামছা পেঁচান কয়েকটি যুবক, প্রত্যেকের হাতে একটি করে “কোক”এর বোতল। ভেতরে কি আছে, তা এখন ঢাকার সবাই জানে, বেশ ভালো করেই জানে। এরা এই বাসে আগুন দেবে। আগামিকাল তো হরতাল ছিল না! কি জানি, কে যে কখন হরতাল ডাকছে! হয়তও আজ সকালে কারও দাঁতন করতে করতে মনে হয়েছে কালকে হরতাল হলে মন্দ হয়না! আমি বৃদ্ধের দিকে তাকিয়ে বললাম, এখুনি নামতে হবে। এক্ষুনি!! আমি তিতলিকে কোলে নিয়ে দৌড় দিলাম সিঁড়ির দিকে। সাড়া বাসে আগুন ছড়িয়ে পড়ছে। নরককুণ্ড চারপাশে। একটা মাত্র দরজা, সবাই সেটার কাছে এসে ধাক্কাধাক্কি শুরু করেছে। দাউদাউ করে জ্বলছে বাস। দু’তিন জনকে মাড়িয়ে গেলাম মনে হয়। দেখার সময় নেই। বাস থেকে বেরিয়ে দৌড়ে গেলাম ফুটপাথের দিকে। তিতলি আমার বুকে থর থর করে কাঁপছে। পেছন ফিরে তাকিয়ে দেখি আগুনের লেলিহান শিখা পুরো বাসটা গিলে ফেলছে! কয়েকজন দোকানদার বালতি দিয়ে আগুন নেভাবার ব্যর্থ চেষ্টা করছে; আগুনে পোড়া কয়েকটি দেহ বাসের আসে পাশে ছড়িয়ে আছে। সমস্ত পৃথিবীটা মনে হয় দুলে উঠল আমার চোখের সামনে; তিতলিকে শক্ত করে আঁকড়ে রইলাম। কে একজন দৌড়ে আসছে আমার দিকে, আমার পিঠে আগুন জ্বলছে। মাথার ভেতরটা ফাঁকা। চোখের সামনে থেকে হটাত সব আলো নিভে যেতে লাগল। ছোট একটা প্রান আমার বুকের হৃদস্পন্দনে আশ্রয় খুঁজছে; আমাকে জেগে থাকতে হবে! আমাকে বেঁচে থাকতে হবে। মাংস পোড়ার বিকট গন্ধে ভারী হয়ে উঠছে বাতাস!
দুই
আমার মাথার চুলে অনেকক্ষণ ধরে কে যেন বিলি কেটে দিচ্ছে। আম্মু নিশ্চয়ই; আম্মু ছাড়া এভাবে কেও বিলি কাটতে পারে না। হসপিটালে বোধহয় আমি। চোখটা মেলতে ইচ্ছে করছে না। আশে পাশে অনেক মানুষজনের আনাগোনা টের পাচ্ছি। কে যেন ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে। মনে হয় আমার ছোট বোনটা। আব্বু কি এসেছে? নিশ্চয়ই অনেক ফলমূল নিয়ে বসে আছে। চোখ বন্ধ থাকলে অন্য স্নায়ু গুলো বেশ তীক্ষ্ণ হয়ে যায়। আমি নিজের হৃদস্পন্দন টের পাচ্ছি। মনে হচ্ছে অনেক আস্তে চলছে। কোথায় যেন একটা ফ্যান ঘুরছে; আমার হৃদয়ের রিদমে শব্দটা হচ্ছে। ঘট ঘট ঘট ঘট! পাটালী পায়েশের গন্ধ পাচ্ছি। আম্মু বানিয়ে এনেছে মনে হয়। পেটের ভেতর কেমন মোচড় দিয়ে উঠল। বেঁচে আছিতো? আমার শেষ স্মৃতিটা বলছে আমি জ্বলন্ত বাসের বাইরে ছিলাম; আমার বুকের সাথে লেপটে থাকা একটা ছোট প্রান ছিল। তিতলি থর থর করে কাপছিল; ওর দাদু কি বের হতে পেরেছিলেন বাস থেকে? যদি না বের হয়ে থাকেন, তাহলে শুভ্র পাঞ্জাবীর সেই বৃদ্ধের কয়লা হওয়া দেহটা তিতলিকে কোনভাবেই দেখান যাবে না। ছোট্ট প্রাণগুলো যেন থাকে দুধে ভাতে। আমরা নিজেরা নিজেরা লড়াই করব, ছিড়ে খুড়ে খাব একজন আরেকজনের মাংস! এগুলো ওরা যেন না দেখে! চোখে হাত দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে আমাদের সন্তানদের দৃষ্টি। এগুলো ওরা দেখবে কেন?, ওরা দেখবে আকশে উড়ে যাওয়া একটা ঘুড়ি। ফুলের উপরে বসে থাকা একটা প্রজাপতি। সাদা বেলুন, সবুজ বেলুন, নীল বেলুন হাতে বাবার ঘরে ফেরা। বাবার কাঁধে চড়ে বৈশাখী মেলা দেখা। মা’র বুকে শুয়ে তিন রাজকন্যার গল্প শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে পড়বে তারা। আচ্ছা তিতলি কি এখানে আছে এখন? বাচ্চাটা আমার বুকে আশ্রয় খুঁজছিল, আমার বুকেই তো ছিল! আমিতো ছাড়িনি; কেও কি ছাড়িয়ে দিয়েছে? আসে পাশে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করা সেই কণ্ঠস্বরটা শুনছিনা যে! চোখ টা মেলতে ইচ্ছে করছে না। কিন্তু তিতলি কে যে দেখতেই হবে, হয়ত আমার পাশে বসে আমার চোখ খোলার অপেক্ষা করছে বাচ্চাটা। ইচ্ছের বিরুদ্ধে চোখটা খুললাম। আসে পাশে একটু উত্তেজনা টের পেলাম।
-এই!! জ্ঞ্যান ফিরেছে!!! আব্বুর গলা। আম্মুর হাসি মুখ চোখে পড়ল; ছোট বোনটা ভেউ ভেউ করে কেঁদে ফেলল! কিন্তু তিতলি কোথায়? আসে পাশে নেই যে। কোথাও নেই তিতলি। চোখটা আবার বন্ধ করে ফেললাম!
তিন
ঐ ঘটনার পর একবছর পেরিয়েছে। আমি অতি অলৌকিক ভাবে বেঁচে গিয়েছি বলে ডাক্তারদের ধারণা। থার্ড ডিগ্রি বার্ন ছিল। আমার মহাশয় শরীর অতি দ্রুত সেরে উঠল। ক্ষত গুলো রয়ে গেল আমার পিঠে আর মনে। তিতলিকে খুঁজে বের করতে চেষ্টা করেছি অনেক, পাইনি। আমাকে যারা উদ্ধার করেছিল, তারা বলেছে একটা ছোট বাচ্চা ছিল ঐখানে। কিন্তু বাচ্চাটা কোথায় গেছে কেও জানে না। তিতলি যেই স্কুলের ইউনিফর্ম পড়া ছিল সেখানে গিয়ে খুঁজে বের করবার চেষ্টা করেছিলাম ওদের বাসার ঠিকানা। মনে হয় তিতলি নামটা ডাকনাম ছিল, ঐ নামে কোনও বাচ্চার খোঁজ পেলাম না। অফিস থেকে এখন বাসে করে আর ফিরি না। জাহিদ ওর বাইকে করে আমাকে নিয়ে যায়, অফিস শেষে আবার নিয়ে আসে। প্রতিদিন মানুষের ভিড়ে আমি সাদা পাঞ্জাবী পড়া এক বৃদ্ধ আর তার হাত ধরে থাকা তিতলিকে খুজি। এবছরও নিয়ম করে বসন্তের প্রথম দিনে আমার জ্বর এল। ঠিক যেভাবে নিয়ম করে কিছু বৃদ্ধ কয়লা হয়, কিছু তিতলি হারিয়ে যায়। আমরা গ্যলারিতে বসে করতালি বাজাই, ব্যালট বাক্সে জমা পড়ে আমাদের পোড়া মাংস!
বি: দ্রঃ সকল চরিত্র কাল্পনিক।
২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৪
এই সব দিন রাত্রি বলেছেন: ধন্যবাদ হাসান মাহবুব ভাই। দাহকাল চলছে, ভয়ে আছি আমার প্রিয়জনদের জন্যে। ভাল থাকবেন।
২| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৪
বোকামন বলেছেন:
আমরা নিজেরা নিজেরা লড়াই করব, ছিড়ে খুড়ে খাব একজন আরেকজনের মাংস!
চলছে জীবন এমনি ... সবকিছু সহ্যতে আসছে ...
এত আবেগ ছিল লেখায় তবু বাস্তবতা হারায়নি !
কৃতজ্ঞতা
ভালো থাকবেন
২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৫
এই সব দিন রাত্রি বলেছেন: সব কিছু সহ্যতে আসছে.।.।। সত্যি তাই, অনেক ভাল থাকবেন ভাই। পাঠে কৃতজ্ঞতা।
৩| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:২৭
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আমরা ধীরে ধীরে মানুষ থেকে বর্জ্য পদার্থে পরিণত হচ্ছি। অন্যায়ের বিরুদ্ধে মানুষ একটা সময় প্রতিবাদ করে- এটাই মানুষের ধর্ম। সেই ধর্মটা কই? অহেতুক ঝগড়া-কথা কাটাকাটি-বিদ্বেষ চলছে চারিদিকে। চারপাশে জ্ঞানী মানুষের সংখ্যা এখন বেশি, খুব বেশি হয়ে গেছে।
আপনার লেখা ভাল, খুব আবেগি। লিখুন।
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:২৩
এই সব দিন রাত্রি বলেছেন: এই দুঃস্বপ্নের শেষ কোথায়?? কেমন যেন দম বন্ধ লাগে আজকাল!
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ভাই। ভালো থাকবেন।
৪| ১৮ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:২৬
জ্যোস্নার ফুল বলেছেন: ভেতরের কথা গুলো গোছানো অবস্থায় পড়লাম। আবেগাপ্লুত হলাম। এই পর্যন্তই। দাহকাল চলতেই থাকবে।
২৬ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০০
এই সব দিন রাত্রি বলেছেন: ঠিক, দাহকাল চলতেই থাকবে; আমার হাজার প্রার্থনায় কিংবা লেখায় কোনও কিছু পরিবর্তনের ক্ষমতা নেই। তাই আর লিখছি না। আবেগ টুকু নিজের সাথেই থাক।
৫| ২০ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১:১৯
তোমার গল্পের মৃত রাজকন্যা বলেছেন:
ঠিক যেভাবে নিয়ম করে কিছু বৃদ্ধ কয়লা হয়, কিছু তিতলি হারিয়ে যায়। আমরা গ্যলারিতে বসে করতালি বাজাই, ব্যালট বাক্সে জমা পড়ে আমাদের পোড়া মাংস! .........
বরাবরের মতোই ++++++++++ !
২৬ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৩
এই সব দিন রাত্রি বলেছেন: কেমন আছেন আপনি? কিসের অভিমানে লেখা ছাড়লেন জানি না; দেশের সব মানুষের প্রতি একটা অকারন অভিমান হচ্ছে আমার। লিখতে ইচ্ছে করে না আর! ভালো থাকবেন।
৬| ২৭ শে মে, ২০১৩ দুপুর ২:৩৩
তোমার গল্পের মৃত রাজকন্যা বলেছেন:
আমরা বাঙালি বলেই আবেগটা বেশি ... অকারন অভিমান শুধু আমাদের এই হয় ... অন্য দেশগুলোকে দেখুন ... কারোরই কারো জন্যে সময় নেই! ... আর অভিমান করে সব ত্যাগ করাতো দুরের ব্যাপার!!
লিখুন ... অভিমান - রাগ - অবহেলা - ঘৃণা অবলীলায় উগলানো যায় লেখনি দিয়ে ... এটা ছাড়বেন না অনুরোধ থাকলো ...
সময় নিন ...
কিন্তু লিখুন আবার ...
ভালো থাকুন
০৯ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:০৫
এই সব দিন রাত্রি বলেছেন: লিখছি আবার। এখন সমস্যা হচ্ছে, পোস্ট করতে ইচ্ছা করতেছে না!!
৭| ১১ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১:৫৯
তোমার গল্পের মৃত রাজকন্যা বলেছেন:
সেটাও কাটিয়ে উঠবেন আশা করি ... পোস্ট দেখলাম ... এখন পড়বো
ভালো থাকুন সব সময় ...
শুভেচ্ছা ।। ...
১৩ ই জুন, ২০১৩ রাত ১২:৪১
এই সব দিন রাত্রি বলেছেন: হা হা হা হা.।.। অখাদ্য পোস্ট দিছি একটা! পুরাই বিচ্ছিরি! হি হি হি হি
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:২৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: আজকে বাসে করে আসার সময় একজন যাত্রীর জিজ্ঞাসা, "রাস্তায় গাড়ি এত কম কেন আজকে?"। কন্ডাক্টর নির্বিকারভাবে জবাব দিলো, "কাইলকা তো হরতাল, এখন তো দুপুর থিকাই গাড়ি পোড়ায়। তাই আগে বাইর করছি। তাড়াতাড়ি অফিস থিকা বাইর হৈয়েন, নাইলে গাড়ি পাইবেন না"।
গাড়ি পোড়ানো, মানুষের পুড়ে যাওয়া কতইনা স্বাভাবিক এখন! দাহকাল চলছে। লেখাটা খুবই ভালো হয়েছে। ফিনিশিংয়ের কথাগুলো ধাক্কা দেয় রীতিমত।