নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মনের আনন্দে লিখতে থাকি, আনন্দ শেষ তো লেখাও শেষ! কেও না পড়লেও কোন অসুবিধে নেই! সবাইকে শুভেচ্ছা!
এমন একটা সময় ছিল, কোন কারন ছাড়াই উল্টা পাল্টা লিখতে থাকতাম। কোন কিছু ভেবে নয়, লেখার আনন্দে লেখা। অবশ্য আমার হস্তলিখন এতটাই নিম্নমানের ছিল যে ভবিষ্যতের জন্যে সংরক্ষণ করা বৃথা হত। আমি নিজেই কষ্টে পরতাম পাঠোদ্ধারে।ছোট বেলায় লেখার খাতা গুলো ভরে ফেলতাম ছবি এঁকে। খুব একটা নগন্য সেগুলো ছিলনা বোধ করি। আব্বুর বিরক্তি ভরা বিষেদগার সে সাক্ষ্যই দেয়; “ তালগাছ আকার সময় তো সোজাই আকো, ‘ক’ লেখার সময় বাইকা যায় ক্যান??” মাঝে মাঝে আমার নিজের কাছেই অবাক লাগত, তাইত, ‘ক’ লেখার সময় ডাণ্ডিটা সোজা নামতেই চায়না।আমার হিজিবিজি লেখা গুলোকে তাই আবর্জনার স্তুপ ছাড়া আর কিছু মনে করার কারন ছিলনা। সেগুলোকে প্রায়ই পাওয়া যেত আম্মুর চুলো ধরানোর কাগজ হিসেবে। অথবা সের দরে বিক্রি হয়ে চলে যেত ঠোঙ্গা ওয়ালার কাছে।এই নিয়ে আমার খুব একটা আক্ষেপ হয়নি কখনও। আমার ওই জটিল হস্তরেখা আগুনে পুরে শুদ্ধ হত, অথবা ছড়িয়ে পড়তও ঠোঙ্গার আকারে জনসমুদ্রে। হয়ত কোনও এক মুগ্ধ পাঠক সেই ঠোঙ্গা সাহিত্যের সন্ধান পেয়েও থাকতে পারে। অধ্যবসায়ে কি না হয়, আমার এই অতি অখাদ্যের একজন পাঠক জুটেই গেল। আমিও প্রতিনিয়ত প্রসব করে চললাম আমার “রোমান হরফে” বাংলা লেখা।আমার গুণমুগ্ধ পাঠক প্রতিনিয়ত সেই দুর্বোধ্য লেখার পাঠোদ্ধার করে আমকে প্রতিউত্তর দিতে লাগল।তার হাতের লেখা পড়বার আগে কিছুক্ষন তাকিয়ে দেখতে হয়; কিছুক্ষন দীর্ঘশ্বাস ফেলতে হয়। লেখাকে যদি ছবির সাথে তুলনা করা যেত, তাহলে হয়ত আমার এই পাঠকটির লেখা ফ্রেমে বাঁধিয়ে টাঙ্গানো থাকত ঘরের দেয়ালে।নিজের কাছেই লজ্জা লাগত, ওর লেখা দেখে আমার লেখার অক্ষরগুলোকে ঝালিয়ে নেবার প্রয়াসে কত নির্ঘুম রাত কেটেছে। খুব একটা ফল হয়নি, সে গুন আমার অধরাই রয়ে গেল। আমার কাছে মনে হল ব্যপারটা আসলে জিন গত কিছু। জেনেটিক মডিফিকেশনের এই স্বর্ণ যুগে হাতের লেখাকে অসুন্দর করবার জন্যে দায়ী জিনটাকে কেও একজন সনাক্ত করতে পারবেন বলে মনে হয়।হয়ত সেটাকে ঠিক করার উপায়ও বের করে ফেলতে পারেন কোন এক পাগল বিজ্ঞানী। কিন্তু আমার পরবর্তী প্রজন্মও কি এই একি অভিশাপ বয়ে বেড়াবে!বংশপরম্পরায় আমার এই ‘অসুন্দর হস্ত লিখনী’ জিন যদি টিকে যায় যুদ্ধে। অবশ্য টিকে না থাকার কিঞ্চিত আশা এখনও রয়েছে। সেই গুণমুগ্ধ পাঠকটি বর্তমানে আমার সহধর্মিণী। ন্যাচারাল সিলেকশনে আমার জিনটির পরাজয় ঘটেছে কিনা জানা যাবে খুব শিঘ্রই। আমার বড় মেয়ে প্রবেশ করছে যুদ্ধের ময়দানে; খাতা কলম আর পেনসিল হাতে। এখন সময় অপেক্ষার; সুন্দরের জয় হবে, না অসুন্দরের??
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৪৫
এই সব দিন রাত্রি বলেছেন: ধন্যবাদ আপু! আপনাকেও অনেক শুভকামনা রইল!
২| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৫৬
সাইফুল ইসলাম নিপু বলেছেন: জটিল চিন্তা করছেন
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৫১
এই সব দিন রাত্রি বলেছেন: চিন্তা জটিল নয় ভাই, দুঃশ্চিন্তা বলতে পারেন! মেয়েটা যদি মায়ের হাতের লেখাটা পেত, খুবই খুশি হতাম। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ পড়বার জন্যে। ভালো থাকবেন।
৩| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:২৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: আমার হাতের লেখাও খুবই খারাপ ছিল। আসলে একটা জিনিস দেখসি, ছেলেদের হাতের লেখাই খারাপ হয় বেশি। মেয়েদেরটা গোটা গোটা হয়, অন্তত বোধগম্য থাকে। আপনার মেয়ের জন্যে অনেক শুভকামনা রইলো।
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৪০
এই সব দিন রাত্রি বলেছেন: ধন্যবাদ মাহবুব ভাই, আপনার কথা যেন সত্যি হয়! অনেক ভালো থাকবেন
৪| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:৫৮
তোমার গল্পের মৃত রাজকন্যা বলেছেন:
সুন্দরের জয় হোক
সুন্দরের জয় হোক
সুন্দরের জয় হোক ...
আমার স্কুলের ক্লাসের ফার্স্ট গার্ল এর হাতের লেখা ভয়াবহ খারাপ ছিল ... তবুও সে ছিল সেরা । আমার হাতের লেখা ছিল বরাবরই সেরা , কিন্তু আমি কখনো ফার্স্ট গার্ল হতে পারিনি!!!
বুঝলেন!!
শুভেচ্ছা বাবুটার জন্যে !!
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৫:৫২
এই সব দিন রাত্রি বলেছেন: সুন্দরের জয় হোক! আপনার শুভেচ্ছা পৌঁছে দিলাম আমার কন্যার কাছে! অনেক ধন্যবাদ আপু; ভালো থাকবেন!
৫| ২০ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১:২৩
তোমার গল্পের মৃত রাজকন্যা বলেছেন:
নির্বাসন পর্ব (পোস্ট) কি শেষ, আর লিখবেন না ???!!
আর সত্তিকারের নির্বাসন এর খবর কি ? আর কতদিন ??
ভাবি বাবুরা কেমন আছে ?
২৬ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৬
এই সব দিন রাত্রি বলেছেন: নির্বাসনের অর্ধেক ফুরিয়েছে কেবল; অস্থির লাগে। লিখতে ইচ্ছে করে না। ওরা সবাই ভালই আছে; আপনার খবর বলুন। আপনার ব্লগ বাড়ি একদম শুন্য দেখলাম। একেবারে গায়েব, নাকি ফিরবেন কোনও এক সময়?
৬| ২৭ শে মে, ২০১৩ দুপুর ২:২৪
তোমার গল্পের মৃত রাজকন্যা বলেছেন:
আমার খবর হল ,আমি ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ!
হুউম ... শুন্য ... লিখতে পারি না ... ইচ্ছে ও করে না ...
আর তাই ,আর কখনো চেষ্টা ও করতে চাই না ...
গায়েব ...
তবে আপনাদের লেখা পরতে সামুতে ঘুরে বেড়াবো প্রেতাত্মার মতো ... হা হা হা ...
অস্থিরতা কমুক...দোয়া থাকলো । স্কাই পে সারাদিন অন রাখুন সুযোগ পেলেই ... পুরানো বুদ্ধি আর কি (আমিও এটাই করতাম, মানে নির্দেশ আসতো নির্বাসিতের কাছ থেকে ) ...
ভালো থাকুন
৭| ১৬ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১১:০৫
তোমার গল্পের মৃত রাজকন্যা বলেছেন:
বাবা দিবসের শুভেচ্ছা !
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:০৫
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমার বড় মেয়ে প্রবেশ করছে যুদ্ধের ময়দানে; খাতা কলম আর পেনসিল হাতে। এখন সময় অপেক্ষার; সুন্দরের জয় হবে, না অসুন্দরের??
সুন্দরের জয় হোক
আপনার কন্যার জন্য রইল অনেক অনেক শুভকামনা