নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মনের আনন্দে লিখতে থাকি, আনন্দ শেষ তো লেখাও শেষ! কেও না পড়লেও কোন অসুবিধে নেই! সবাইকে শুভেচ্ছা!
আমার মনে আছে ছোট বেলায় স্কুলে যখন লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে জাতীয় সঙ্গীত গাইতাম, তখন তার প্রেমে পড়িনি। তবে সবাই মিলে চিৎকার করে “ওমা ফাগুনে তোর......” বলার সাথে সাথে আমার হাসি পেয়ে যেত। প্রথম বার বুকে এই গান আঘাত করলো খেলার মাঠে। গ্যালারি ভর্তি দর্শকের সাথে গলা মিলিয়ে যখন হেঁড়ে গলায় গাইছিলাম, মনে হচ্ছিল এর চাইতে মধুর কিছু কি হতে পারে আর! দুই চোখ ভরে উঠেছিল নোনা ভালবাসায়। এত মমতা ভরা, এত আদ্র! ঠিক মায়ের আদরের মত। উষ্ণ চুম্বন একে দেয় কপালে, আদরে এলোমেলো করে দেয় চুলগুলো! এরপর একদিন কোন এক নির্বাসনের সন্ধ্যা বেলায়, দ্বিতীয় বারের মত সে মমতার আদ্রতা টের পেলাম! কি যেন অদ্ভুত একটা ব্যান্ডের অচেনা এক মেয়ে আদ্র করে দিল আমার চোখ। একবার নয়, যতবার শুনলাম, ঠিক ততবার! মনে হল মা তার ছেলেকে বুকে টেনে আদর করছে! আজকে হটাত শুনি এই গান গেয়ে নাকি তারা দেশদ্রোহী খেতাব পেতে যাচ্ছে। সত্যি ওরা দেশদ্রোহী! দেশের মানুষকে কাঁদানো তো দেশদ্রোহিতারই সামিল। ভালো করে শাস্তি দেয়া উচিৎ এদের, আর কেউ কখনও যেন আমাদের কাঁদাতে না পারে। আমরা মমতায় আদ্র হতে চাই না, আমরা বিশুদ্ধ দেশপ্রেম চাই; নিরেট, আবেগহীন!
২| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:০৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: কিছু উগ্র প্রতিক্রিয়াশীল মানুষের আচরণ বিরক্তিকর। তবে ক্ষ এর গান আমার ভালো লাগেনাই খুব একটা। গানের ক্রোনোলোজি চেঞ্জ করাটা আলগা মাতব্বরি মনে হইসে। আর গানটাকে নিয়ে মাতামাতিও অহেতুক। সাধারণ মানের একটা ফিউশন। তবে তারা দেশদ্রোহী হতে যাবে কেন, আজব তো!
৩| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৫
এই সব দিন রাত্রি বলেছেন: আমি গান বিশেষজ্ঞ নই; হয়ত সঙ্গিত বোদ্ধার বিচারে তারা একটি সঙ্গিতের অপমৃত্যুর অপরাধে দায়ী! তাতে কি দেশদ্রোহী তকমা লাগাতে হবে? ব্যপারটাকে অনেক সস্তা বানিয়ে ফেলা হয়েছে। হয়ত দেশ থেকে অনেক দূরে থাকি বলেই গানটা প্রয়জনের চেয়ে বেশি স্পর্শ করেছে আমাকে, হয়ত আমি বিচারকের আসনে বসতে চাইনি, শুধু চোখ বুজে গলা মিলিয়েছি!
৪| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:০৪
ধুম্রজ্বাল বলেছেন: আমরা অতিসহজে অন্যের দেশপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন তুলি। এটা ঠিক না।
সবাই দেশকে ভালোবাসে। নিজের মত করে।
০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৫
এই সব দিন রাত্রি বলেছেন: আপনার সাথে ১০০ ভাগ সহমত স্যার
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৪০
ঠোঁট কাটা বন্ধু বলেছেন: দেশদ্রোহী বলবো না, তবে জাতীয় সঙ্গীতের সুর, লয়, তাল পরিবর্তন করাটা আমার পছন্দ হয় নি। মেয়েটি গান শুরু করেছে, "কি শোভা, কি ছায়া গো" বলে, যেটি আসলে শুরুর কলি নয়। যাই হোক, এটি একান্তই আমার নিজস্ব ধারণা। আপনার সাথে নাও মিলতে পারে।
তবে নজরুলের "দুর্গমগিরি কান্তার মরু" গানটাকে এক হারামজাদা চরম বিকৃত করেছিল। কোন এক আবাল মার্কা ব্যান্ডের ালস্য াল গায়ক। গানটা শুনে মনে হয়েছিল ঐ হারামজাদাকে কেউ বেধড়ক পেটাচ্ছে আর সে পরিত্রাহি চিৎকার করছে বাঁচার জন্য।