নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মনের আনন্দে লিখতে থাকি; আনন্দ শেষ, তো লেখাও শেষ! সবাইকে শুভেচ্ছা

এই সব দিন রাত্রি

মনের আনন্দে লিখতে থাকি, আনন্দ শেষ তো লেখাও শেষ! কেও না পড়লেও কোন অসুবিধে নেই! সবাইকে শুভেচ্ছা!

এই সব দিন রাত্রি › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার নির্বাসন! পর্ব ছয়-I want to break FREE

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:০০

প্রথম পর্বদ্বিতীয় পর্বতৃতীয় পর্ব চতুর্থ পর্ব

পঞ্চম পর্ব



আত্মসমর্পণ



নির্বাসনের শুরু থেকেই দেশের জন্যে মন এত টানত যে অফিস থেকে ফিরে আর বের হতে ইচ্ছে করত না।আমার থাকার ঘরটায় সূর্যের আলো ঢোকার উপায় নেই! ভারী পর্দায় ঢাকা, সারক্ষন শীতাতপ নিয়ন্ত্রনের যন্ত্রটি চলতে থাকে। আমাদের এই বাসার মালিক বাংলাদেশি। ছোট্ট একটি জায়গায় বেশ কয়েকটি ঘর তুলে ভাড়া দিয়েছেন। বাসিন্দারা সবাই ইউ এন এর বাংলাদেশি লোক জন। সাথে নিচের রেস্টুরেন্টে বাংলাদেশ থেকে নিয়ে আসা কিছু কর্মচারী থাকে। আয় উপার্জন বেশ লোভনীয়। সব খরচ বাদ দিয়ে মাসে তার হাতে যায় ৮০০০ ডলার। লাইবেরিয়ায় বিদ্যুৎ বেশ দুর্লভ! সেকারণে আমাদের চলতে হয় জেনারেটরের ভরসায়। বাসার মালিক নিয়ম করে সকাল ৮টা থেকে ১২টা এবং বিকাল ৪টা থেকে ৬টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ বন্ধ রাখেন। । এই সময় দুটিতে আমার ঘরে অক্সিজেনের অভাব দেখা দেয়! সকালের টা বুঝি ছুটির দিনে আর বিকেলেরটা প্রতিদিন। বাধ্য হয়েই ঘর হতে দুপা ফেলে আত্মসমর্পণ করলাম, বুক ভরে শ্বাস নিলাম! বিশাল গর্জনে পায়ের কাছে লুটোপুটি খাচ্ছে আটলান্টিকের নীল!

সমুদ্রে আমার নেশা আছে, ঘোরলাগা নেশা। আটলান্টিক অনেক জীবন্ত, হিংস্র দানবের মত ফুঁসছে যেন। এ দানবের বুকে নামতে ভয় হয়, পিষে ফেলার মত পেশী আছে এর, পতেঙ্গায় দেখা দেশী সাগর নয় এটা। দীর্ঘ হলুদ বীচ। তবে কাছে টানেনা। অনেকের জীবন নিয়েছে এই সাগর, ইউ এন এর সবার প্রতি নিষেধাজ্ঞ্যা জারী আছে, "don't swim, don't die"। জানতে পারলাম এক তীব্র লুকোনো স্রোত আছে এর, যেটাতে ধরা খেলে পাকা সাঁতারুরও রেহাই নেই।



নিয়ম করে দর্শন দিতে শুরু করলাম দানব আটলান্টিককে। ছোট একটা ফ্লাক্সে চা ভরে বালিতে বসে পড়তাম, চা আর দেশ থেকে আনা ফিট বিস্কিটের ফিস্টে যোগ দিত মাঝে মাঝে স্থানীয় কিছু বাচ্চা। বিশাল লাল সূর্যটাকে আটলান্টিকে ডুবিয়ে বাসায় ফিরতাম। প্রতিটা গোধূলি আলাদা, একটু হলেও! সৃষ্টিকর্তা বোধ হয় একঘেয়েমি পছন্দ করেন না।

একদিন অবশ্য সন্ধ্যার পরেও কিছুক্ষণ বসে ছিলাম, মুগ্ধবোধ কাটছিল না। তবে আসে পাশে সন্দেহজনক কিছু মানুষের আনাগোনা হটাত বেড়ে যাবার পড়ে টনক নড়ল। যুদ্ধ পরবর্তী দেশের ক্ষতচিহ্ন বুকে বয়ে বেড়ান অসহায় নারীদের ভিড় ঠেলে ফিরে আসি নিজের ছোট্ট বন্দিশালায়। খিল খিল হাসির রোল ওঠে মাঝে মাঝে, বিদ্রূপের হাসি বোধ করি! ঘরে ঢুকে আমার দুঃখবিলাসী জীবনের জন্যে করুণা হয়, তবে তা মুহূর্তের বেশি নয়! আমি তো এদের অংশ নই, অথবা আমিতো..।.।.।.।.।। থাক, না বলি!



চলবে.।.।.।

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৪৪

তারছেড়া লিমন বলেছেন: সাথে আছি ................চলতে থাক...........................

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:১৯

এই সব দিন রাত্রি বলেছেন: চলছে, ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্যে

২| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:৫৪

আমিই মিসিরআলি বলেছেন: আমিও ছিলাম,তবে পোস্ট অনেকদিন পর পেলাম
ছবিগুলো অসাধারণ ++++++++

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:০৪

এই সব দিন রাত্রি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, সাথে থাকুন

৩| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৪৩

রীতিমত লিয়া বলেছেন: আপনার নির্বাসনের সাথে আছে। লেখা খুব সুন্দর এগুচ্ছে। আপনি ভাল লিখেতেও পারেন বটে। অনেক অনেক শুভকামনা।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:০৫

এই সব দিন রাত্রি বলেছেন: ধন্যবাদ লিয়া, লিখছি আরও, সাথে থাকুন

৪| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:১৬

মধুমিতা বলেছেন: সবগুলো পর্ব একসাথে পড়ে ফেললাম। দারুণ লিখেন আপনি। বিভিন্ন দেশ সম্পর্কে জানার আগ্রহ সবসময়ই, আপনার লেখাটা সে ক্ষুধা মেটাচ্ছে। চালিয়ে যান, নিয়মিত লিখেন, হঠাৎ করে শেষ করে দিবেন না।

পোস্টে অনেক অনেক ++++++++++++

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:০৯

এই সব দিন রাত্রি বলেছেন: ধন্যবাদ মধুমিতা, আপনার আরব ডাইরি পড়লাম, ভালো লাগলো।।

৫| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:০৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: লেখা ছবি মিলে খুব ভালো লাগলো।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:১০

এই সব দিন রাত্রি বলেছেন: ধন্যবাদ হাসান মাহবুব ভাই, সাথে থাকুন, লিখছি আরও

৬| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৫৪

তোমার গল্পের মৃত রাজকন্যা বলেছেন: ছবিগুলো অসাধারণ!!!! ছুঁয়ে দেখতে ইচ্ছে করছিলো যখন দেখছিলাম ...

নির্বাসন পর্ব তবে চলতে থাকুক, ভালো থাকবেন ভাই ... শুভেচ্ছা

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:০২

এই সব দিন রাত্রি বলেছেন: যা কিছু স্রষ্টা আমাদের বিমোহিত করার জন্যে বানিয়েছেন, সবই সুন্দর! কিন্তু বেশিরভাগই ধরা ছোঁয়ার বাইরে। ক্যামেরায় যা বন্দি হয়, তা হল দুধের স্বাদ ঘোলের মত! নির্বাসন পর্ব চলছে, কতদিন চলবে জানিনা।

৭| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:০৫

বেলাল আহমদ খান বলেছেন: onek din por. ami to mone korci khawar porboi bujhi ses

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:০৩

এই সব দিন রাত্রি বলেছেন: এখন বুঝলেন তো! খাবার পরেই আসল লেখার শুরু, সাথে থাকুন!

৮| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:৫০

মোজাহিদুর রহমান ব বলেছেন: আপনার লেখার হাত অনেক ভালো
আমি আপনার সব পস্ট পড়েছি

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.