নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ডাক্তার ও পুলিশের মধ্যে কিছু চমকপ্রদ মিল আছে। এই দুই পেশার মানুষ সাধারণতঃ তাদের ক্লায়েন্টের সামনে হাসে না। মুখ গম্ভীর করে রাখে। এরা তাদের ক্লায়েন্টদের সাথে রহস্য করতে ভালোবাসে। যেমন ধরুন, আপনি কোন মামলার আসামী হয়েছেন। পুলিশ আপনাকে গ্রেপ্তার করতে এসেছে। আপনি জিজ্ঞেস করলেন, ‘কী ব্যাপার ভাই,আপনারা
আমার বাড়িতে কেন?’ পুলিশ মুখ গম্ভীর করে বলবে, ‘থানায় গেলেই জানতে পারবেন।’ বলার সময় পুলিশের চোখে মুখে একটা রহস্য রহস্য ভাব থাকবে, যা দেখে আপনি ভীত বা বিভ্রান্ত হবেন। বাস্তবে আপনি কখনো আসামী না হয়ে থাকলে আমার কথার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য স্বেচ্ছায় আসামী হয়ে পুলিশকে বাসায় আমন্ত্রন করার দরকার নেই। বাংলাদেশের সিনেমা বা নাটক দেখলেই চলবে।
ঠিক একইভাবে পেশাব, পায়খানা ও রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট ডাক্তারের সামনে হাজির করার পর ডাক্তার সাহেব যখন আপনার প্রেসক্রিপশন লিখছেন তখন আপনি যদি জিজ্ঞেস করেন যে, ‘আমার কী হয়েছে ডাক্তার সাহেব?’, তাহলে তিনি গম্ভীর মুখে বলবেন, ‘আপনার এত কিছু জানার দরকার নাই। ওষুধ দিলাম, ঠিকমতো খাবেন। ঠিক আছে?’
অবশ্য পুলিশ ও ডাক্তারদের মধ্যে সবাই এমন গম্ভীর ও রহস্যপ্রিয় নন, কিছু ব্যতিক্রম আছে। যেমন, আমার এক আত্মীয় পুলিশ ইন্সপেক্টর তার অধীনস্থ এস,আই ও কনস্টেবলদের প্রায়ই নানারকম ধাঁধা বলে উত্তর জানতে চান এবং তারা উত্তর দিতে না পারলে নিজে উত্তর বলে দিয়ে হা হা করে হেসে লুটোপুটি খান। আবার আমাদের শহরে একজন মেডিসিনের ডাক্তারকে দেখেছি রোগীদেরকে জোক বলতে। জোক শুনে রোগযন্ত্রণায় কাতর রোগীদের মুখে হাসি না ফুটলেও ডাক্তার সাহেব নিজে হো হো করে হেসে সেটা পুষিয়ে দেন। তো এগুলো হলো ব্যতিক্রম।
এই দুই পেশার মানুষের মধ্যে আরও যেসব মিল পাওয়া যায়, সেগুলো এরকমঃ
* পুলিশের হাতের লেখা কোর্টের পেশকার ও উকিল মুহুরী ছাড়া অন্যেরা বুঝতে পারেনা। ডাক্তারের হাতের লেখা ওষুধের দোকানদার ছাড়া কেউ বোঝে না (কিছু ব্যতিক্রম বাদে)।
* এই দুই পেশার লোকের কাছে ফ্রি সার্ভিস বলে কিছু নেই (কিছু ব্যতিক্রম বাদে)।
* এই দুই পেশার লোকেরই বদ্ধমূল ধারণা যে, তাদের সামনে যে লোকটি বসে বা দাঁড়িয়ে আছে তার অবশ্যই কোন না কোন সমস্যা আছে (এ ক্ষেত্রে কোন ব্যতিক্রম নেই)।
* এই দুই পেশার লোকই তাদের ক্লায়েন্টদের সাথে রসিকতা করা পছন্দ করে না (এ ক্ষেত্রেও কোন ব্যতিক্রম নেই)।
কিছুদিন আগে একটা কাজে আমি থানায় গিয়েছিলাম। থানায় ঢোকার মুখে দেখলাম, দু’জন মহিলা পুলিশ সেখানে দাঁড়িয়ে নিজেদের মধ্যে হাসাহাসি করছে। আমাকে দেখেই তারা হাসি থামিয়ে মুখ গম্ভীর করে ফেললো এবং এমনভাবে আমার দিকে তাকালো যেন আমি এইমাত্র স্ত্রীকে খুন করে থানায় আত্মসমর্পণ করতে এসেছি। আমি রিটায়ার করা বুড়ো মানুষ। এই বয়সে পুলিশ দেখলে ভয় ডর বেড়ে যায়। তাই হাসি হাসি মুখ করে বললাম, ‘মায়েরা ভালো আছেন?’
মায়েরা আমার গতিরোধ করে গম্ভীর কণ্ঠে বললো, ‘কে আপনি? এখানে কী চাই?’
আমি থতমত খেয়ে বললাম, ‘কিছু চাই না। ওসি সাহেবের সাথে দেখা করতে এসেছি।’
এক মা ধমক দিয়ে বললো, ‘ওসি সাহেবের কাছে কী দরকার?’
আমি বললাম, ‘উনি আমার স্ত্রীর ভাই। একটু পারিবারিক কথা আছে।’
আর এক মা আমার পা থেকে মাথা পর্যন্ত উকুন বাছার মতো পরখ করে দেখে বললো, ‘পাগল নাকি?’
আলসেমীর কারণে প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে দাড়ি গোঁফ না ছাঁটায় আমাকে পাগলের মতো দেখাচ্ছিল কী না কে জানে! চেহারায় হয়তো খানিকটা ওরকম ভাব ছিল। না হলে মহিলা পুলিশের কাছে সুস্থ মানুষকে পাগল মনে হবে কেন?
এ তো গেল পুলিশের কথা। এবার একটু ডাক্তারের কথা শুনুন। চার বছর আগে আমার একটা মাইল্ড স্ট্রোক হয়েছিল। তারপর থেকেই শরীরের নাট বল্টুগুলো মাঝে মাঝে ঢিলে হয়ে যায়। ফলে প্রায়ই আমাকে ডাক্তারের কাছে ছুটতে হয়। কিন্তু বার বার গিয়েও তাদের সাথে আমার সখ্যতা হয় না।
গত কিছুদিন থেকে বাঁ চোখে একটু ঝাপসা দেখছিলাম। চোখ দেখাবো দেখাবো করে একটু দেরিই হয়ে গেল। চোখের ডাক্তার ইয়ং ম্যান। সম্ভবতঃ চল্লিশ পার হননি। চেহারায় রাগী রাগী ভাব। বললেন, ‘কী হয়েছে?’
আমি বললাম, ‘কী জানি, হয়তো ছানি।’ আমার অজান্তেই উত্তরটা সত্যজিৎ রায়ের ‘হীরক রাজার দেশে’ সিনেমার সংলাপের মতো হয়ে গেল। ডাক্তার সাহেব স্থির দৃষ্টিতে কিছুক্ষণ আমার দিকে তাকিয়ে রইলেন। তারপর গম্ভীর মুখে নানারকম পরীক্ষা নিরীক্ষা করে এবং ব্লাড প্রেশার মেপে বললেন, ‘রেটিনোপ্যাথী।’
আমি বললাম, ‘রেটিনোপ্যাথী? আমি তো এ্যালোপ্যাথী হোমিওপ্যাথীর নাম শুনেছি। রেটিনোপ্যাথীর নাম তো কখনো শুনিনি!’
ডাক্তার সাহেব গম্ভীর মুখে বললেন, ‘আপনি কী আমার সাথে রসিকতা করছেন?’
আমি জিবে কামড় দিয়ে বললাম, ‘ছিঃ ছিঃ, রসিকতা করবো কেন?’
‘শুনুন।’ ডাক্তার সাহেব ভয়ানক গম্ভীর হয়ে বললেন, ‘রেটিনোপ্যাথী কোন চিকিৎসা পদ্ধতি নয়। এটা আপনার রোগের নাম। হাই ব্লাড প্রেশারের কারণে আপনার বাঁ চোখে রক্তক্ষরণ হয়ে ঝাপসা দেখছেন।’
‘আমার প্রেশার কত?’
‘দুশো কুড়ি বাই একশো। এত হাই প্রেশার নিয়ে রোগীরা সাধারণতঃ রেগে থাকে। আর আপনি আমার সাথে রসিকতা করছেন? আজব লোক তো আপনি!’
আমি মাথা চুলকে বললাম, ‘এক্সকিউজ মি! বুঝতে পারিনি।’
আমার ওপর রাগ করেই কী না কে জানে, ডাক্তার সাহেব কোন চিকিৎসাই দিলেন না। পরীক্ষা নিরীক্ষার ফলাফল লিখে প্যাডের একটা পাতা ছিঁড়ে তিনি আমার হাতে ধরিয়ে দিয়ে বললেন, ‘তাড়াতাড়ি একজন মেডিসিন বা কার্ডিয়াক ফিজিশিয়ানকে দেখিয়ে আগে ব্লাড প্রেশার কন্ট্রোলে আনুন। তারপর রেটিনোপ্যাথী চিকিৎসার জন্য ঢাকার ফার্মগেটে ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতালে যাবেন। রাজশাহীতে এ রোগের চিকিৎসা নাই।’
দেখুন, কী হ্যাপা হলো! তাই বলছিলাম কী, ভুলেও কখনো পুলিশ ও ডাক্তারের সাথে রসিকতা করবেন না।
*****************************************************************************************************************
রি-পোস্ট।
ছবিঃ নেট।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:১৯
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।
২| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২৫
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
কথা সত্য দাদা
পুলিশ বলে কথা।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৫৯
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঁ, মাছের রানী ইলিশ আর মানুষের রাজা পুলিশ।
ধন্যবাদ নূর মোহাম্মদ ভাই।
৩| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২৯
রাজীব নুর বলেছেন: পুলিশ আর ডাক্তার ছাড়া আমাদের উপায় নাই। বিপদে আপদে তারাই ভরসা।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:০০
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: পুলিশ আর ডাক্তার ছাড়া আমাদের উপায় নাই। বিপদে আপদে তারাই ভরসা।
খাঁটি কথা। ধন্যবাদ ভাই রাজীব নুর।
৪| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৩১
শাহ আজিজ বলেছেন: এলোপ্যাথি , হোমিওপ্যাথি , রেটিনাপ্যাথি , টেলিপ্যাথি --- শালা কই যাই , যাই মাইয়োপ্যাথি নিয়ে আসি ------------
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:১৮
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: নিয়ে আসেন। সাথে কোহিনূর ভাইরে। তার নাকি মাইয়োপ্যাথি হইছিল।
ধন্যবাদ আজিজ ভাই।
৫| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৫৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দেখেন দিকি কি কান্ড!
বলি মা বললেন পরেও ভাবস গেল না!
আর উনার বড় আব্বা আপনার শালা শুনে চেহারাটা কি হয়েছিল ভাববার মতো
আর ডাক্তার মাশাইকো কানারে হাইকোর্ট দেখানো হালেই ছেড়ে দিল দেখছি!
ভাবখানা আমার সাথে ইয়ার্কি মারো! এখানে চিকিৎসাই নাই!!! যাও এবার ঢাকা ঘুরে আসো
বলিহারি!
আহা! তারা কবে? মানুষ হবে?
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:২৭
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ঘটনাটা সত্য। আমার শ্যালক ওই থানার ওসি ছিল। তার পোস্টিং হওয়ার মাস তিনেক পর একটা জরুরী কাজে আমাকে তার কাছে যেতে হয়েছিল। জরুরী না হলে থানা ক্যাম্পাসের ভেতরে তার কোয়ার্টারেই যেতাম।
যাই হোক, পরে পুলিশ মায়েরা চা খাওয়ার জন্য আমাকে খুব পীড়াপীড়ি করছিল। হাঃ হাঃ হাঃ।
ধন্যবাদ ভাই বিদ্রোহী ভৃগু।
৬| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৪৪
নেওয়াজ আলি বলেছেন: রসিকতা দুরে থাক বন্ধুতা করাও ভুল । ডাইরেক ফায়ার ....
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:২৮
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এই যে একটা কাজের কথা বলেছেন।
ধন্যবাদ ভাই নেওয়াজ আলি।
৭| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:২৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
ডাক্তারী ও পুলিশগিরি বাংগালীদের পেশা হওয়া উচিত নয়; বাংগালীরা এগুলোর চেয়ে বড় চাকুরীর জন্য উপযুক্ত।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৩২
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: কথা মন্দ বলেননি। এই দুই পেশার মানুষের কাছ থেকে আমরা যথোপযুক্ত সার্ভিস পাচ্ছি না।
ধন্যবাদ ভাই চাঁদগাজী।
৮| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৫৮
ঢাবিয়ান বলেছেন: হাই ডাইবেটিক হলে রেটিনোপ্যথী হয় বলে শুনেছি। হাই ব্লাড প্রেসার হলেতো শুনিনি। অবস্য ডাক্তাররাই ভাল বলতে পারবে
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০২
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ডাক্তারই তো বলেছে ভাই। চোখের রেটিনা সংশ্লিষ্ট রক্তক্ষরণ হতে পারে। আমি যেহেতু নিজে ডাক্তার নই, তাই নিশ্চিত করে বলতে পারি না।
ধন্যবাদ ভাই ঢাবিয়ান।
৯| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:০৪
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: কাউকে যদি জিজ্ঞাসা করা হয়, আপনি কেমন আছেন?
সে উত্তরে বলবে , আলহামদুলিল্লাহ।
আমি ভালো আছি কিংবা আমি আল্লাহর রহমতে ভালো আছি এই কথাটা কেউ বলে
নাা।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৪
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হুম!
ধন্যবাদ ভাই মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন।
১০| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৩৪
তাহমিদ রহমান বলেছেন: আমাদের দেশের চিকিৎসা উচ্চ-শিক্ষাব্যবস্থা বেশ অমানবিক। এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘসময় পার করতে যেয়ে অনেক চিকিৎসকের মুখের হাসি-ই হারিয়ে যায়। আবার, চিকিতসকদের উপযুক্ত কাউন্সিলিং এর অভাবে এবং জনবহুল দেশে রুগীর চাপের কারণে চিকিৎসক-রোগী সম্পর্ক একেবারেই ভালোনা। ফলে চিকিৎসাব্যবস্থা নিয়ে দুইপক্ষের কেউই সন্তুষ্ট না।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৭
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আপনি ঠিক বলেছেন।
ধন্যবাদ ভাই তাহমিদ রহমান।
১১| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৮
আখেনাটেন বলেছেন:
অথচ ইনারাই আবার বাড়ি ফিরলে......বিরাট রসিক......ইয়ের যাঁতাকলে পড়ে.....
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:২০
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: জি, ঠিক তাই।
ধন্যবাদ ভাই আখেনাটেন।
১২| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:১৬
ঢুকিচেপা বলেছেন: অভিজ্ঞতাসহ ঘটনার বর্ণনা বেশ লাগলো।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:২০
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ঢুকিচেপা।
১৩| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:০০
মা.হাসান বলেছেন: বহু বছর আগের কথা। শাহবাগের কাছে পুলিশ একবার কবি নির্মলেন্দু গুণকে পাকড়াও করল কিছুটা নেশাসক্ত অবস্থায় (পুলিশ নেশাসক্ত ছিলনা কবি নেশাসক্ত ছিল আমি জানিনা , আমি এই বর্ণনাই শুনেছি) ।কনস্টেবলের দল কবীকে অফিসারের কাছে নিয়ে যাওয়ার পর অফিসার ঝাড়ি মেরে বললো- ব্যাটারা তোরা এনাকে চিনিস না? কত বড় কবি!
এরপর অফিসার কনস্টেবল দেরকে ওনাকে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে কবিকে বিনীত অনুরোধ করেন স্যার আমাদেরকে যদি দুই লাইন কবিতা শুনিয়ে যান। এরপর নাকি কবি উনাদেরকে শুনিয়ে দেন- মাছের রাজা ইলিশ, জাতির সেরা পুলিশ ।
কোবির সাথে সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেইসময়ের ছাত্র আমার আপন খালুর আটক হয়েছিলেন, ওনার মুখ থেকেই শোনা ঘটনা।
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:৫৪
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঁ, হাঁ, এই ঘটনার কথা আমিও শুনেছি। কবি নির্মলেন্দু গুণ রসিক মানুষ। ২০১২ সালে একুশের বইমেলায় তার সাথে একবার আমার দেখা হয়েছিল। চারদিকে গুণগ্রাহীদের ভিড়ের মধ্যেও তিনি আমার সাথে কিছুক্ষণ কথা বলেছিলেন। তিনি আমাকে বললেন, বই বেরিয়েছে নাকি? আমি বললাম, হাঁ স্যার।
কবিঃ তা' কত কামালেন?
আমিঃ ঠিক বুঝলাম না স্যার। বইমেলা তো সবে শুরু হলো।
কবিঃ বই বিক্রির টাকার কথা নয়। আমি বলছি অটোগ্রাফ বিক্রির কথা।
আমিঃ অটোগ্রাফ দিয়ে টাকা পাওয়া যায় নাকি?
কবিঃ আলবৎ পাওয়া যায়। তবে সব বাঁকিতে। আমি আজ বাঁকিতে দেড়শ অটোগ্রাফ বিক্রি করলাম। বাঁকির নাম ফাঁকি।
বলে তিনি হো হো করে হেসে ফেললেন। তার গুনগ্রাহীরাও হেসে খুন।
ধন্যবাদ ভাই মা, হাসান।
১৪| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:০৫
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: পুলিশ আর ডাক্তার ছাড়া আমাদের উপায় নাই। বিপদে আপদে তারাই ভরসা।
খাঁটি কথা। ধন্যবাদ ভাই রাজীব নুর।
সমস্যা হলো খাটি পুলীশ আর ডাক্তার খুব কম।
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:০৮
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ঠিকই বলেছেন।
ধন্যবাদ ভাই রাজীব নুর।
১৫| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:১৯
সোহানী বলেছেন: ভুলেও এই দুই পাবলিকের ত্রিসীমানায় হাটা উচিত নয় যতক্ষন না বাধ্য হতে হয়। তারাপরও ওরা আমাদের জীবন রক্ষাকারী, ওদেরকে ছাড়া আমাদের জীবন চলে না।
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:১২
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: তারাপরও ওরা আমাদের জীবন রক্ষাকারী, ওদেরকে ছাড়া আমাদের জীবন চলে না।
এই জন্যেই তো বাধ্য হয়ে আমাদেরকে তাদের কাছে যেতে হয়।
ধন্যবাদ বোন সোহানী।
১৬| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:০৭
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: ঠিকই বলেছেন। ধন্যবাদ ভাই রাজীব নুর।
আপনাকে অনুরোধ করবো দেশের দূর্নীতি আর শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে কিছু লিখুন।
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৩০
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ভাই রাজীব নুর, একজন মানুষকে দিয়ে সব কাজ হয় না। বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন কাজের উপযুক্ত। লেখালেখির কাজটাও সেরকম। একেক লেখক একেক রকম লেখায় পারদর্শী। সব্যসাচী লেখকের সংখ্যা খুবই কম। আমি নিজে ছোট গল্প, রম্যরচনা, স্যাটায়ার, স্মৃতিচারণামূলক লেখালেখি ইত্যাদি করতে পারি। কিন্তু প্রবন্ধ, নিবন্ধ, কবিতা এইসব লিখতে পারি না। চেষ্টা করে দেখেছি। মান ভালো হয় না।
আপনি দুর্নীতি ও শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে লিখতে বলেছেন। এ জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। কিন্তু এই বিষয় দুটি প্রবন্ধ ও নিবন্ধের বিষয়, যে ধরণের লেখালেখিতে আমি একেবারেই দুর্বল। ব্লগে অনেকেই আছেন, যারা ভালো প্রবন্ধ ও নিবন্ধ লিখতে পারেন। তাই আপনার অনুরোধ রক্ষা করতে পারছি না বলে দুঃখিত। ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৫৭
রবিন.হুড বলেছেন: সুন্দরভাবে সত্য কথা ফুটিয়ে তুলেছেন।