নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লেখালেখি

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্মৃতিচারণঃ বাঙ্গালের বাঙ্গালী দর্শন

২৭ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১০:০১



বার্সেলোনার ইনিয়েস্তার পায়ে বল। সামনে রিয়াল মাদ্রিদের ডি মারিয়া। ইনিয়েস্তা এমন ভাব করলো যে, সে ডি মারিয়ার ডান দিক দিয়ে বল কাটিয়ে এগোবে। স্বাভাবিকভাবে ডি মারিয়া নিজের ডান দিক দিয়ে দ্রুত এগিয়ে বল কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করলো। শেষ মুহূর্তে তাকে ডজ দিয়ে ইনিয়েস্তা তার বাম দিক দিয়ে বল নিয়ে বেরতে গিয়ে দেখলো, ডি মারিয়া তীরবেগে সেকেন্ডের ভগ্নাংশের মধ্যে বাম দিকে চলে এসেছে। ইনিয়েস্তা তো ইনিয়েস্তাই। সেও আলোকবর্ষ গতিতে আবার ডজ দিয়ে ডি মারিয়ার ডান দিক দিয়ে বল নিয়ে বেরিয়ে গেল।

প্রিয় পাঠক, আপনাদের মনে হতে পারে যে, আমি বার্সেলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদের মধ্যেকার ফুটবল খেলার ধারা বিবরনী দিচ্ছি। আসলে তা’ নয়। আমরা ফুটবল দর্শকরাও যে মাঝে মধ্যে এভাবে ডজ দিয়ে একে অন্যকে কাটানোর চেষ্টা করি, সেটা বোঝানোর জন্য এই ধান ভানতে শিবের গীত। যেমন ধরুন, আপনি জনবহুল ফুটপাথ ধরে হাঁটছেন। আপনার বিপরীত দিক থেকে লোকজন আসছে। ডান দিকে সামান্য ফাঁকা থাকায় আপনি ঐ দিক দিয়ে বেরিয়ে যাবার চেষ্টা করলেন। ডানের লোকটি একই দিক দিয়ে অতিক্রম করবে বলে আগে থেকেই ভেবে রেখেছিল। ফলে এক্সিট পয়েন্ট একই হওয়ায় দুজনেই মুখোমুখি। আপনি বাম দিক দিয়ে বেরনোর চেষ্টা করলেন। আপনাকে এড়ানোর জন্য লোকটিও তাই করলো। আবার আপনারা মুখোমুখি। ধুর! লোকটা বেকুব নাকি? আপনি বিরক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে পড়লেন। লোকটি সেই সুযোগে আপনাকে পাশ কাটিয়ে বেরিয়ে গেল। অথবা লোকটি বিরক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে পড়লো। আপনি পাশ কাটিয়ে বেরিয়ে গেলেন। এমন করতে গিয়ে কখনো কখনো মৃদু ধাক্কাধাক্কি, কনুইয়ের গুঁতো খাওয়া এসব হয়ে যায়।

২০০৭ সালে চিকিৎসার জন্য আমি ভারত গেছি। সাথে আমার মিসেস আছেন। আমাদের দেখভালের জন্য অরুন নামের এক যুবককে সাথে নেওয়া হয়েছে। সে আমাদের প্রতিবেশি বরুন সরকারের ছেলে। অরুন হলো হাফ ইন্ডিয়ান, হাফ বাংলাদেশী। বৈধ অবৈধভাবে বছরের ছয় মাস সে ভারতেই থাকে। এর চিকিৎসা, ওর বেড়ানো, তার ব্যবসা- অন্ধের যষ্টি অরুন। ছেলেটি পরোপকারী টাইপের। বাবার খেয়ে বুনো মোষ তাড়িয়ে বেড়ায়।

কলকাতা নিউমার্কেটের কাছাকাছি একটা হোটেলে উঠেছি আমরা। এখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক গুলো হোটেল। বাংলাদেশ থেকে যারা কলকাতায় যায়, তাদের অধিকাংশই এই হোটেলগুলোতে থাকে। আমরা অবশ্য চেন্নাই যাবো। সেখানে এ্যাপোলো হাসপাতালে আমার চিকিৎসা হবে। কলকাতা থেকে চেন্নাইগামী ‘করমন্ডল’ ট্রেনের টিকিট কনফার্ম না হওয়া পর্যন্ত দু’একদিন আমাদের কলকাতায় থাকা।
হোটেলে ওঠার পর অরুনকে টিকিট কনফার্মেশনের জন্য পাঠিয়ে দিয়ে আমরা বুড়োবুড়ি বিকেল বেলা কিছু টুক টাক কেনাকাটার জন্য নিউমার্কেটের সামনের রাস্তার ফুটপাথ ধরে হাঁটছি। এর আগেও কয়েকবার কলকাতা যাওয়ার কারণে ওখানকার কিছু কিছু ব্যাপারে আমার অভিজ্ঞতা ছিল। ফুটপাথে যে জিনিষ দামাদামি করে পনের টাকায় কেনা যায়, সেটা পাশের ডিপার্টমেন্ট স্টোরে পঁয়ত্রিশ টাকা। এক দাম। দরাদরির সুযোগ নেই। অথচ একই জিনিষ। তবে দেখতে একই রকম নকল জিনিষও বিক্রি হয়। দেখে শুনে কিনতে হয়।

ফুটপাথে নানা বয়সের নারী পুরুষ ঊর্ধ্বশ্বাসে ছুটছে। কারো সাথে কারো কথা বলার সময় নেই। ধীরে হাঁটলে বা থেমে গেলে ধাক্কাধাক্কি অনিবার্য। আমার মিসেস ধীরে হাঁটায় অভ্যস্ত। ফলে তিনি অবিরাম কনুইয়ের গুঁতো, পা মাড়ানো ও ধাক্কা খাওয়ার শিকার হচ্ছেন। তাঁর হাত ধরে হাঁটতে হচ্ছে বলে আমারও একই অবস্থা। ঘন ঘন ‘সরি’, ‘এক্সকিউজ মি’ শুনতে শুনতে আমার মিসেস বিরক্ত। তিনি জলদি হোটেলে ফেরার জন্য আমাকে তাগিদ দিচ্ছেন। আমি চেহারায় তাঁর মতো বিরক্তি ভাব ফুটিয়ে তুলে মনে মনে হাসছি। ভারত দেখার শখ ছিল, নাও এখন দেখো! স্টার প্লাসের ভারত আর এই ভারত এক নয়।

হাই হিল, জিনস্ ও টপস্ পরা একটি কম বয়সী মেয়ের সাথে আমি ধাক্কা খাওয়ার পর আমার মিসেস বিরক্ত হয়ে বললেন, ‘আচ্ছা, এখানকার মেয়েরা এত নির্লজ্জ কেন বলো তো?’
আমি বললাম, ‘কী রকম?’
‘এরা ওড়না পরেনা কেন? কী বিশ্রী দেখাচ্ছে, ছিঃ!’
আমি বললাম, ‘আমাদের ঢাকার মেয়েরাও তো আজকাল ঝামেলা মনে করে ওটা ফেলে দিচ্ছে।’
‘তোমার যত্ত সব আজগুবি কথা! মনে হচ্ছে আমি আর ঢাকা যাইনি! আমাদের মেয়েরা এত বেহায়া নয়।’
আচ্ছা হলো। দেশি মেয়েদের প্রতি আমার মিসেসের মমতা বেশি। তাদের পক্ষ তিনি নিতেই পারেন। কিন্তু কলকাতার ফুটপাথে নানারকম পসরা সাজিয়ে পুরুষদের পাশাপাশি অনেক তরুণী মেয়েও বেচাকেনা করছে দেখে এক সময় তাদের প্রতিও তাঁর মমতা উথলে উঠলো। বললেন, ‘আহা, সংসারে অভাব না থাকলে কী এই বাচ্চা বাচ্চা মেয়েরা লজ্জার মাথা খেয়ে ফুটপাথে বসে ব্যবসা করে? এদের কাছ থেকে কিছু কেনো না গো!’

আমার একজোড়া মোজার দরকার ছিল। মিসেসের অনুরোধ শুনে একটি মেয়ের কাছ থেকে মোজা কিনলাম। কিন্তু দাম দেবার আগেই মেয়েটি একটি উলেন মাফলার বের করে অতি দ্রুত আমার গলায় জড়িয়ে দিয়ে বললো, ‘পিওর পশমিনা উল, স্যার। এই শীতে আপনি কমফর্ট ফিল করবেন। কোয়ালিটি প্রোডাক্ট, স্যার।’
মেয়েটির কাণ্ড দেখে আমার মিসেস বিব্রত। তিনি আমার গলা থেকে মাফলার খুলে নিয়ে মেয়েটিকে ফেরত দিয়ে বললেন, ‘না, না, লাগবে না।’
‘হোয়াই নট ম্যাম?’ মেয়েটি আবার যত্ন করে মাফলারটি আমার গলায় জড়িয়ে দিয়ে অত্যান্ত মিষ্টি গলায় বললো, ‘স্যারকে কত বিউটিফুল লাগছে! জাস্ট লাইক দ্যা হিরো মিঠুন চক্রবর্তী (পাঠকরা হাসবেন না প্লিজ!)। একখানা নিয়ে যান, ম্যাম। এ জিনিষ এই দামে কোথাও পাবেন না।’
‘তুমি বাঙ্গালী?’
মেয়েটি মিষ্টি হেসে বললো, ‘অফ কোর্স, ম্যাম!’
‘তাহলে ইংরেজিতে কথা বলছ কেন?’
মেয়েটি সপ্রতিভ কণ্ঠে বললো, ‘দ্যাটস্ আওয়ার কাস্টমস্,ম্যাম। দেশি বিদেশি অনেক বায়ার আসে তো! ইংরেজিতে কথা বলতেই হয়। তবে আপনাদের সাথে বাংলায় বলা যায়। আপনারা তো বাংলাদেশ থেকে এসেছেন।’
আমার মিসেস হতভম্ব। আমি তাঁর কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিস ফিস করে বললাম, ‘ওরা ঠিকই বুঝতে পারে। আমাদের কথা শুনেই বুঝে ফেলে।’

যাই হোক, মাফলারও কেনা হলো। আমার অভিজ্ঞতা বলে, মাফলার না কিনলে ঝামেলা হতো। ক্রেতার গলায় মাফলার পরিয়ে দেওয়া মানেই এদের কাছে সেটা ব্যবহার হয়ে যাওয়া। ব্যবহার হওয়া জিনিষ এরা কখনো ফেরত নেবে না। ফেরত নেবার কথা বললে এই মিষ্টি মেয়েটিই অগ্নিমূর্তি ধারণ করবে। আমার মিসেসকে আর এসব গায়েবী এলেম জানাবার দরকার নেই। তিনি মেয়েটির হাসি মুখের কথাবার্তায় গলে গিয়ে তার হাঁড়ির খবর নেওয়া শুরু করেছেন। ফিরে আসার সময় তিনি বললেন, ‘জানো, মেয়েটি বি এ পাশ। চাকরি বাকরি না পেয়ে কী করছে দেখো। আহা রে!’

দুটো টুথ ব্রাশ, টুথ পেস্ট আর সেফটি পিন কেনা হলো। নিউমার্কেটের কাছাকাছি একটা সিনেমা হল আছে। সেই হলে নতুন ছবি ‘ওম শান্তি ওম’ দেখানো হচ্ছে। হলে প্রচণ্ড ভিড়। টিকিট কাউন্টারে ‘হাউস ফুল’ বোর্ড লাগানো। অথচ হলের সামনের ফুটপাথে কিছু নারী পুরুষ হাতে টিকিট নিয়ে ওম শান্তি, ওম শান্তি বলে চিৎকার করছে। লোকজন তাদের কাছে বেশি দামে টিকিট কিনে হলে ঢুকে পড়ছে। দাড়ি টুপিওয়ালা এক মওলানা সাহেব টিকিট কিনে তার বোরখা পরা বউকে নিয়ে হলে ঢুকে গেলেন। আমারও একটু একটু ইচ্ছা হতে লাগলো। আমার ইচ্ছা পূরণের জন্য স্কিন টাইট জিনস্ পরা বিশ বাইশ বছরের এক তরুণী কখন যে আমার গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে টিকিট কেনার জন্য ঘ্যান ঘ্যান করা শুরু করেছে, টের পাইনি। এই মেয়েটিও বাঙ্গালী। কিন্তু হিন্দিতে কথা বলছে।
‘লিজিয়ে স্যার, লিজিয়ে। শো শুরু হোনে কা যেয়াদা ওয়াক্ত নেহি হ্যায়।’
আমি বললাম, ‘শো ক’টা থেকে?’
‘সাড়ে পাঁচটা স্যার।’ মেয়েটি নিজের রিষ্ট ওয়াচ দেখে বললো, ‘আর পাঁচ মিনিট আছে স্যার। দোব দু’খানা?’ ভিড়ের মধ্যে মেয়েটি আমার গায়ের ওপর প্রায় হেলে পড়ে টিকিট গছাবার চেষ্টা করছে দেখে আমার মিসেস রেগে আগুন। তিনি আমার হাত ধরে হিড় হিড় করে টেনে ভিড়ের বাইরে নিয়ে এসে বললেন, ‘সিনেমা দেখতে হবে না। এক্ষুনি হোটেলে চলো। বুড়ো বয়সে ভীমরতি!’
‘শাহরুখ খান ছিল।’
‘রাখো তোমার শাহরুখ খান!’
‘নতুন নায়িকা দীপিকা.....’

মিসেসের চেহারা দেখে ঘাবড়ে গেলাম। অগত্যা কী আর করা! ফুটপাথে মানুষ জনের ধাক্কাধাক্কি আর গুঁতোগুঁতির মধ্যে কষ্ট করে হেঁটে আমরা হোটেলে ফিরে এলাম। আমার মিসেস হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন। ঢক ঢক করে এক গ্লাস পানি খেয়ে মুখ মুছে তিনি বললেন, ‘বাব্বাহ্! এ শহরে এত লোক! আমাদের ঢাকা আর কলকাতার মধ্যে তফাৎ কী?’
আমি মুচকি হেসে বললাম, ‘তফাৎ তো একটা আছেই।’
মিসেস ভুরু কুঁচকে বললেন, ‘কী তফাৎ? মেয়েদের পোশাক আশাক?’
আমি বললাম, ‘আরে না। অমন পোশাক তো আমাদের মেয়েরাও আজকাল পরছে। তফাৎ হলো, এখানে ফুটপাথে হাঁটলে বুড়ো বুড়িরাও কম বয়সী সুন্দর সুন্দর ছেলেমেয়েদের কনুইয়ের গুঁতো খাওয়ার সুযোগ পায়। জানো, আজ বহুদিন পর আমার বিয়ের আগের দিনগুলোর কথা মনে পড়ে যাচ্ছিল। তোমার মনে পড়েনি?’
মিসেস কী বলেছিলেন, তা’ আর বলা যাবে না। অতএব, আজকের মতো এ পর্যন্তই থাক।
************************************************************************************************************************
রিপোস্ট।
ছবিঃ নেট।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১০:৫৩

শাহ আজিজ বলেছেন: রাখো তোমার দীপিকা -------------- ছিল্যা লবন লাগাইয়া দিমু :P

২৭ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:৫৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: অনেকটা এরকম মুডই ছিল আমার বুড়ির। হাঃ হাঃ হাঃ।


ধন্যবাদ শাহ আজিজ ভাই।

২| ২৭ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:১২

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: তৃতীয় বিশ্বের সবগুলি দেশের চিত্র প্রায় একই রকম।জনসংখ্যার ভারে ন্যুজ,কাজের সুযোগ কম ও কর্ম পরিবেশ খারাপ।

কলকাতার ফুটপাতে হাটলে অল্প বয়সী ছেলেমেয়েদের কনুইয়ের গুতা খাওয়ার সৌভাগ্য বুড়োদের হয় ঠিক আছে তাই বলে ঢাকা কে হেলা ফেলা করা ঠিক নয় ।ঢাকার ফুটপাতে কনুইয়ের গুতোর পাশাপাশি পকেট ফাকার সম্ভাবনা শতভাগ । কাজেই ঢাকা কলিকাতা থেকে এগিয়ে।

আশরাফুল ভাই ,এই বড়ো বয়সেও দীপিকার ভীমরতি।কলকাতায় দেখে অর্ধাঙ্গীনি খালি বলেছে দেশে থাকলে সাথে আরও কিছু :P পাওয়ার সম্ভাবনা ছিল।

২৭ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:০২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আশরাফুল ভাই ,এই বড়ো বয়সেও দীপিকার ভীমরতি।


আরে ভাই, মানুষ বুড়ো হলেও কেনার সময় বুড়ো শাক নয়, কচি শাকই খুঁজে। বুঝেন না কেন? হাঃ হাঃ হাঃ।


ধন্যবাদ ভাই মোহাম্মদ কামরুজ্জামান।

৩| ২৭ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার অরুন যেন সুবোধ ঘোষের শুনবরনারি উপন্যাসের চরিত্র।
অরুনের জন্য শুভ কামনা।

কলকাতা আমি গিয়েছি। আপনার পোষ্ট পড়ে কলকাতার ঘটনা লিখতে ইচ্ছা করছে।

২৭ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: লিখুন। খুব ভালো হবে। আজিজ ভাইয়ের একটা পোস্ট পড়ে আমার এই লেখাটির কথা মনে হলো। সাথে সাথে রিপোস্ট দিয়ে দিলাম।

ধন্যবাদ ভাই রাজীব নুর।

৪| ২৭ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:৪২

শুভ_ঢাকা বলেছেন: হেনা ভাই, যথারীতি আগে পড়া হয়নি। আপনার লেখা পড়ে এক গাল হাসলাম। যে বাক্যটি পড়ে সবচেয়ে বেশী হাসি পেয়েছি তা হল "আমাদের ঢাকার মেয়েরাও তো আজকাল ঝামেলা মনে করে ওটা ফেলে দিচ্ছে।" হাহাহাহা......

আমার এক মাতৃস্থানীয়া আত্মীয় কোলকাতা ঘুরে এসে বলেছিল "মাইয়াগুলির লাজ লজ্জা কিচ্ছু নাই।" হাহাহাহা.....

২৭ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: জেনারেশন গ্যাপের জন্য এরকম হয়। যে যতই বুলি আউড়াক, পাশ্চাত্যের এই বেশ ভুষার আকর্ষণ থেকে কেউ আমাদের মেয়েদেরকে আটকে রাখতে পারবে না। কালচারে এগিয়ে থাকার কারণে ভারতে এটা আগে ঘটেছে, আর আমাদের এখানে ধীরে ধীরে ঘটছে।

ধন্যবাদ ভাই শুভ_ ঢাকা।

৫| ২৭ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:০২

নেওয়াজ আলি বলেছেন: শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা । আপনার মিসেস একদম বাংলাদেশের খাটি নারী।

২৭ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ঠিক বলেছেন। সে তিন বেলা ভাত খায়।


ধন্যবাদ ভাই নেওয়াজ আলি।

৬| ২৭ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:১৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


কলিকাতার রাজনীতির লোকেরা আমাদের মতো, চাকুরী সৃষ্টি করতে জানে না

২৭ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আমারও তাই মনে হয়েছে।


ধন্যবাদ ভাই চাঁদগাজী।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.