নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কি যে লিখি ছাই মাথা ও মুণ্ডু আমিই কি বুঝি তার কিছু?/হাত উঁচু আর হ\'ল না ত ভাই, তাই লিখি ক\'রে ঘাড় নীচু!

স্নিগ্দ্ধ মুগ্দ্ধতা

এখন থেকে লিখব না আর সত্যিকারের কিছু/ বলব না আর, চলব শুধু ছায়ার পিছুপিছু।// সবাই যখন নামছে নীচে, আমার তখন কী দায়? / অন্ধকারের সঙ্গী হলাম—আলোক তোমায় বিদায়।// এখন আমি থমকে রব, জীবন হবে থ-ময়,/ মাথা নেড়ে আজ্ঞে বলেই কাটিয়ে দেব সময়।// মিথ্যেটাকে সত্যি জেনেই করব কারাবরণ—/ এখন থেকে জানবে, হে দেশ, কবির হলো মরণ।//

স্নিগ্দ্ধ মুগ্দ্ধতা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধূসর ফিলিস্তিন

১৮ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৮:৩৯



আমি মরুর আকাশচুম্বী ইমারাতের ভিড়ে
খুঁজে ফিরি এক নুয়েপড়া কুটির—
যেখানে খেজুর পাতার বিছানা পাতা।
খোদার ভয়ে যেখানে চোখের ধারা আর তরবারির ধার একাকার হয়ে গিয়েছিল।


যে চোখে ইনসাফের জিদ ছিল, কিন্তু নিঁদ ছিল না।
যে ইনসাফের তরবারিতে সাফ হয়েছিল কুফফারের গোবর্জনা।
আর, নিদ্রাহীন যে চোখের বিনিদ্র সফরে সুফলা হয়ে উঠেছিল ফোরাতের কূল।
আর দজলার আজলা-আজলা জলে জ্বলে উঠেছিল ঈমানের আগুন।


সে আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল অর্ধেক পৃথিবীতে।
অন্তরে আর বাহিরে ,
কায়সারে-কিসরায়-দাহিরে।


যে-বিশ্বাসের ভূমিকম্পে প্রকম্পিত হয়ে উঠেছিল গোমরাহির ভিত,
আমরা তো সেই বিশ্বাসের নিঃশ্বাসবাহী।
সেই প্রচণ্ড, প্রমত্ত প্রলয়-শিখার উত্তরাধিকারী।


কিন্তু, আফসোস।
বংশপরম্পরায় অবশেষে আমরা কিশোর থেকে যুবক হয়েছি;
আমরা যুবক হয়ে উঠেছি, কিন্তু আমরা পুরুষ হতে পারিনি—


আমরা তো সেই কাপুরুষ যারা রাতের আঁধারে বিসর্জন দিয়েছি দ্বীনকে
আর, মানবী লাইলীর প্রেমে ভাসিয়ে দিয়েছি কিয়ামুল লাইল—
শেষরাতে রবের আহ্বানে থেকেছি নীরব।
ভোরের আজানেও থেকেছি বেভোর।
আমাদেরই কাপুরুষতায় আজ পরিণত হয়েছে জেরুজালেম জালেমের ঘাঁটিতে;
অবিশ্বাসের বিষ-বাষ্প ছড়িয়ে পড়েছে আকাশে-আকাশে, মাটিতে-মাটিতে।

পাথরছোঁড়া অবুঝ শিশুর রঙ্গনের মতো রক্তে ভিজেছে আকসার প্রাঙ্গন।
শত শহীদের শাদা কাফনে মোড়ানো রক্তে তাজা হয়েছে গাজার জমিন।


আল্লাহর ভয় যখন আমরা ছেড়ে বসেছি, তখন আমাদের অন্তরে গেড়ে বসেছে জালিমের ভয়।
আর, সিজদায় মাথা নত করা যখন বন্ধ করেছি, তখনই মাথা চাড়া দিয়েছে জালিমেরা।


হে, ওমরের বংশধর, হে সালাহউদ্দীন আইয়্যুবীর সন্তানেরা, হে ঘুমিয়ে থাকা সিংহ—

ইতর তুমি, নিথর তুমি, কোথায় তোমার দ্বীন?
তোমার বুকের রক্তে আবার জাগুক ফিলিস্তিন।
জায়নামাজে যায় না দেখা তোমার চোখের জল
নতুন করে আবার জাগো—না ঘুমানোর দল ।
আকসাতে আজ একসাথে হও, ডাকছে মুকাদ্দাস
বইছে, জেনো, সব মুমিনের ভীনদেহে এক শ্বাস।

অমর ওমর শহিদ হতে আসুক ফিরে ফের—
ভিত কেঁপে যাক, হৃদ কেঁপে যাক জায়ন-জালিমদের ।

—ধূসর ফিলিস্তিন
আহমদ মুসা;
১৭ অক্টোবর, ২০২৩।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১১:২৯

কামভাখত কামরূখ বলেছেন: ব্যবলনীয়দের আক্রমণে ইসরাইল ধুলাই মিটেছিল প্রথমবার সেটা খ্রিষ্টপূর্ব ৬৩ এর কথা
এরপর রোমানদের হাতে ১ মিলিয়ন ইহুদী'র সলীল সমাধি হল খ্রিষ্টপূর্ব ৬৬তে
খ্রিস্টপূর্ব ১৩১ সালে সম্রাট হাদ্রিয়ান ইহুদী ধর্ম নিষিদ্ধ করেন। জেরুজালেমের নাম পরিবর্তন করে রাখেন ইলিয়া কাপিতোলিনা। আরবি'তে যেটা ফিলিস্তিন।
চতুর্থ শতকে সম্রাট কন্সটান্টিনোপল জাতীয় ধর্ম হিসেবে খ্রিস্ট ধর্ম ঘোষণা করার পর মরণাঘাত পায় ইহুদী ধর্ম। মোটামুটি বড় নিষেধাজ্ঞা নেমে আসে ইহুদীদের উপর।
১০৯৯ সালে প্রথম ক্রুসেডে খ্রিস্টানরা জেরুজালেম দখন করে নেয়। পিটিয়ে এদেরকে জেরুজালেম ছাড়া করে।
১১৮৭ সালে সুলতান সালাহুদ্দিন (সালাদিন) আইয়ুবি আবার দখন করে নেন জেরুজালেম। এ সময় পর্যন্তও ইহুদীরা ওখানেই থাকত।সেই সময়ে অঞ্চলটি খ্রিস্টান ও ইসলামের মধ্যে বিরোধের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়। ইহুদীরা ধীরে ধীরে ইউরোপে জায়গা করে নিতে থাকে তারা।
ইয়োরোপীয়রা যখন তাদের যন্ত্রণায় বিরক্ত এবং হিটলার ৩ মিলিয়ন পিটিয়ে আবার সেই জেরুজালেমেই ঠাই হয় সাথে ইয়োরোপীয়রা তাদের বর্জ্য পরিষ্কার করে।

দুনিয়াতে কিছু প্রানি আছে মুগুর ছাড়া সোজা থাকেনা এরাও সেই জাতি যারা ৫০০০ বছর প্রুবে পৃথিবীতে আসার পরেও জনসংখ্যায় ৭০০ ভাগের এক ভাগও না।

১৯ শে অক্টোবর, ২০২৩ ভোর ৬:২২

স্নিগ্দ্ধ মুগ্দ্ধতা বলেছেন: মুগুর ছাড়া সোজা না হলেও ওরা বাড়তে বাড়তে অনেক উঁচুতে পৌঁছে গেছে। এখন দরকার একটা প্রলয়ঙ্করী ঝড়। কিন্তু ঝড় যারা আনবে তারা নানাভাগে ভাগ হয়ে মৃদুমন্দ বায়ু হিসেবে চারদিকে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

২| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: সৌদি ও ইরান এক হয়ে গেলে আমেরিকার উপর কোন প্রভাবই পড়বে না।বিপদে পড়বে ইসরায়েল।তখন ইসরায়েলিরা এরদোয়ানের সঙ্গে মিলে এদের বিরুদ্ধে কাজ করবে।

১৯ শে অক্টোবর, ২০২৩ ভোর ৬:২৪

স্নিগ্দ্ধ মুগ্দ্ধতা বলেছেন: এরদোয়ান আর ইসরাইল মিলবে এটা কোন যুক্তিতে বলছেন, বূঝলাম না। আমি ভূরাজনীতি কম বুঝি। তবে কে মাজলুম আর কে জালিম এটুকু বুঝতে পারি।

৩| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৮

কাঁউটাল বলেছেন: বনি ইসরাইল হইল পৃথিবীর দুইটা বিশেষ জাতির একটা, আরেকটা হইল আরব, যাদেরকে বনি ইসমাইল বলা যায়। ইব্রাহিম (আঃ) এর দুই বংশ ধারা। এরা অনেক বিশেষ মর্যাদার একটা জাতি ছিল। হাজার হাজার পয়গম্বর এদের মধ্যে আসছেন। কিন্তু বেশি উল্টাপাল্টা করার কারণে এরা অভিশপ্ত হয়ে গেছে। এজন্যই সব যায়গায় মাইর খায়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.