নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এখন থেকে লিখব না আর সত্যিকারের কিছু/ বলব না আর, চলব শুধু ছায়ার পিছুপিছু।// সবাই যখন নামছে নীচে, আমার তখন কী দায়? / অন্ধকারের সঙ্গী হলাম—আলোক তোমায় বিদায়।// এখন আমি থমকে রব, জীবন হবে থ-ময়,/ মাথা নেড়ে আজ্ঞে বলেই কাটিয়ে দেব সময়।// মিথ্যেটাকে সত্যি জেনেই করব কারাবরণ—/ এখন থেকে জানবে, হে দেশ, কবির হলো মরণ।//
চার-পাঁচশ বছর আগের কথা। সেই সময় চারদিকে ছিল পরিদের আনাগোনা। মানে, তারা যেমন এটা-ওটা আনত, তেমনি আবার মানুষজনকে গুণতও। এখন যেমন আমাদেরকে তারা গোণায়
ধরে না, পরিদের পরিস্থিতি তখন ও-রকম ছিল না মোটেই।
তো, সেই সময় এক কাঠুরে গেল বনের মধ্যে কাঠ কাটতে। পাশেই ছিল একটা মাঝারি গোছের পুকুর। আর সেই পুকুরে কী ছিল বুঝতেই পারছ। না, জলের কথা বলছিনে। জলপরির কথাই বলছি। সেই পুকুরে নিয়ম-মাফিক এক জলপরিও ছিল।
তো, কাঠ কাটতে কাটতে যা হওয়ার তাই হলো। কাঠুরিয়ার হাত ফসকে কুড়োলটা গিয়ে পড়ল পুকুরের পানিতে। কাঠুরিয়া হতভম্ব হয়ে পুকুর-পাড়ে বসে রইল। যথারীতি জলপরিও জল থেকে উঠে এল। এসেই কিন্তু সে মেজাজ গরম করে বলল—কুড়োলটা ইট্টু আস্তে ফেলা যায় না? বাব্বা, মাথাটা আরেকটু হলেই একেবারে ফেটে গেছিল আর কী!
কাঠুরে বলল—তুমি খালি তোমার মাথার কথাই চিন্তা করবে, না কি আমার কুড়োলটারও একটা হিল্লে করবে?
জলপরি কিন্তু সেদিকে ভ্রুক্ষেপই করল না। মোটা কাচের হাই পাওয়ারের চশমাটা একটু নেড়েচেড়ে নিয়ে নিজের মনেই বলল—বাব্বা! জলে থেকে-থেকে তো সর্দি লেগে গেল দেখছি। হ্যা গো কাঠুরে, তোমার কাছে সর্দি-জ্বরের ওষুধ-টষুধ আছে নাকি?
কাঠুরে বলল—না বাপু। আমি কি ব্যাঙ নাকি যে সর্দি হবে, আর তার জন্য ওষুধ পকেটে করে নিয়ে ঘুরে বেড়াব! এখন ভালোয় ভালোয় আমার কুড়োলটা দাও।
জলপরি কাঠুরিয়ার গতিক সুবিধের না দেখে আর কথা বাড়াল না। কুড়োলটা কাঠুরের দিকে বাড়িয়ে ধরে বলল—এই নাও।
কাঠুরে অবাক হয়ে বলল—এ কী! তুমি আমার কুড়োলটাই আগে দিচ্ছ যে?
জলপরি বলল—মানে?
কাঠুরে বলল—মানে আবার কী? সোনার কুড়োলটাই না আগে দিয়ে জিজ্ঞেস করবে, সেই কুড়োল আমার কিনা। বরাবর তাই-ই তো হয়ে আসছে।
পরি জিভ কেটে বলল—ওই যা! ভুলে গেছিলাম! তারপর শূন্যে হাত নেড়ে একটা সোনালি রঙের কুড়োল এনে বলল—এই কুড়োল কি তোমার?
কাঠুরে কুড়োলটা হাতে নিয়ে ভালো করে নেড়েচেড়ে দেখে বলল—উঁহু। আমার না।
পরি তখন হাওয়া থেকে আরেকটা রুপোলি রঙের কুড়োল এনে বলল—এইটা তোমার?
কাঠুরে মাথা নেড়ে বলল—জানোই তো। আমার কুড়োল লোহার।
জলপরি তখন আগের লোহার কুড়োলটা কাঠুরের দিকে এগিয়ে দিয়ে বলল—যাও বাপু। তোমার কুড়োল নিয়ে তুমি কেটে পড়ো।
কাঠুরে এবার রেগে গিয়ে বলল—শুধু আমার কুড়োলটাই দিচ্ছ যে, তবে আর ওইসব সোনা-রুপোর কুড়োল দেখানোর দরকার কী ছিল?
পরি বলল—ওটা হলো নিয়মরক্ষা। আর তাছাড়া আমার স্টকে শুধু ওদুটো কুড়োলই বাকি আছে। ওদুটো আজকে দেওয়া যাবে না।
কাঠুরে তবু সেখান থেকে নড়ে না, বসে বসে ফুঁসতে লাগল। জলপরি বলল—আচ্ছা ঠিক আছে। তোমাকে আমি একটা বর দিচ্ছি। কী বর চাও বলো।
কাঠুরে ফোঁস ফোঁস করতে করতে বলল—বর নিয়ে আমি কী করব? বউ হলেও এক কথা ছিল। ব্যাটাছেলেকে বর দেবে মানে?
জলপরি ক্ষেপে গিয়ে বলল—ধুর ব্যাটা! এই বর ওই বর না। এ হলো ইচ্ছে পূরণ। তোর কী লাগবে বল। যা চাবি পাবি।
কাঠুরেও ভয়ানক ক্ষেপে গিয়ে বলল—চাবি পাবি আবার কী? চাবি নিয়ে আমি কী করব?
জলপরি বলল—আচ্ছা জ্বালা তো! এই, তুই ভাগ।
কাঠুরে বলল—তুই তোকারি করবে না মোটেই। ভালো হবে না কিন্তু!
পরি এবার একটু নরম হয়ে বলল—আহা! রাগ কোরো না, বাপু! তোমার কি কিছুই চাওয়ার নেই?
কাঠুরে বলল—চাওয়ার তো আছেই। আগের কুড়োল দুটো আমাকে দাও!
জলপরি ধাঁই করে সোনালি আর রুপোলি রঙের কুড়োলদুটো কাঠুরের দিকে ছুঁড়ে দিয়ে বলল—যা ভাগ! খালি এক কথা!
আরেকটু হলেই কুড়োলদুটোর ঘায়ে কাঠুরের মাথাটা যেত! সে কোনও মতে টাল সামলে কুড়োল তিনটে নিয়ে দে ছুট! তারপর গাছের গোড়ায় গিয়ে হি হি করে হাসতে লাগলো! জলপরিকে যা একখান ঠকানো সে ঠকিয়েছে—হি হি!
আসলে, সে কোনও কুড়োলই ফেলেনি পানিতে। শক্তপোক্ত ভারি একখানা ডাল সে ফেলেছিল পানিতে! জলপরির বয়স হয়েছে—বাতের ব্যাথায় নড়তে-চড়তে পারে না! তাই, কুড়োল না খুঁজেই সে যে ডালটাকে কুড়োল ভেবে নেবে, সেটা কাঠুরে আগেই জানত!
আপাতত, কাঠ-কাটা বাকি রেখে কুড়োলগুলো নিয়ে সে হাসতে হাসতে বাড়ির দিকে চলল।
জলপরি সেদিকে তাকিয়ে তার চশমাটা নাকের পরে ঠিকঠাক বসাতে-বসাতে বলল—ব্যাটা! আমার সাথে বাটপারি! দিয়েছি পিতলের কুড়োল গছিয়ে! সোনা আর পিতলের পার্থক্যও বোঝে না। বুদ্ধু কোথাকার!
—কাঠুরে ও জলপরি(আধুনিক ভার্সন)।
আহমদ মুসা।
১৭ নভেম্বর, ২০১৮।
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৩৩
স্নিগ্দ্ধ মুগ্দ্ধতা বলেছেন: আগে "বেশি মজার" হতো। আপাতত "বেশ মজার"ই সই।
২| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:১৪
আখেনাটেন বলেছেন: খুব যে মজা পেলুম তা নয়।
অনেক দিন পর আপনাকে দেখে ঢুঁ দিলুম। দিনকাল ভালো তো ডাক্তার সাবের।
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৩০
স্নিগ্দ্ধ মুগ্দ্ধতা বলেছেন: অনেক দিনের অব্যবহারে ধার ভোঁতা হওয়ারই কথা।দিনকাল যাচ্ছে ভালোই।রুগিটুগি নিয়ে আছি।
৩| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:১৭
রাজীব নুর বলেছেন: মোটামোটি।
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৩২
স্নিগ্দ্ধ মুগ্দ্ধতা বলেছেন: পুরনো ধার ফিরে পেতে কয়েকদিন একটু ঘষামাজা করা লাগবে।কী অবস্থা আপনার? ভালো আছেন?
৪| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৫৮
শায়মা বলেছেন: আমি কিন্তু অনেককককককককককক মজা পেয়েছি!!!!!!!
যেমন কাঠুরে তার চেয়েও বেশি মজার জলপরীটা আর জলপরী তো আমার সব সময়ই প্রিয়!!!!!
উপরে দুই ভাইয়ার কথায় কান দিও না তারাও জলপরীর সাথে সাথে বুড়া হয়ে গেছে!! তাই এমন বলছে।
আর আমি দিন দিন কমে কমে একদম ১২/১৩ হয়েছি তাই অনেক মজা পেয়েছি ভাইয়া!!
আর আসলেও পেয়েছি তাই প্রিয়তে!!!!!
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:১০
স্নিগ্দ্ধ মুগ্দ্ধতা বলেছেন: আহা! বুবুর মুখে ফুল-চন্দন পড়ুক! তবে দোয়া করি, বেশি উপর থেকে না পড়ুক। চন্দন কাঠ বেশ ভারি কি না! বেশি উপর থেকে পড়লে একেবারে দফারফা...
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:১৩
স্নিগ্দ্ধ মুগ্দ্ধতা বলেছেন: আরেকটা কথা, "পরী"কে কিন্তু একাডেমির নিয়মে "পরি" লিখতে হবে।
৫| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:২২
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
বাহ্ বেশ মজা পেলাম
নতুনত্ব আছে বলতেই হবে।
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৩৯
স্নিগ্দ্ধ মুগ্দ্ধতা বলেছেন: চার-পাঁচশ বছরের পুরনো গল্পে নতুনত্ব খুঁজলে হবে?
৬| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:২৩
শায়মা বলেছেন: ধ্যাৎ কি বলো তুমি তো শুধু চন্দন বাটা ফেলবে...... কাঁঠ নাকি! তুমি কি কাঠুরে!!!
যাইহোক শুনো চন্দন বাটা আর ফুল ফেলো!
তাইলে চন্দন নিয়ে রুপচর্চা হয়ে যাবে আর ফুল দিয়ে মন চর্চা!
আর শোনো একটা গোপন কথা.....
এই জীবনে আমার এক ও অদ্বিতীয় জীবন মরণ প্রথম ভালোবাসার নাম ছিলো চন্দন!
তবে সেই বেটা আবার ঘাড়ে এসে পড়ুক তা আমি এখন ভুলেও চাইনা !!!!!
মরুক বেটা জাহান্নাম গিয়ে .... আমি জলপরি বা পরী কোনোটাই না পেত্নী, রাক্ষুসী হয়ে গিয়ে সেখানে তার ঘাড় মটকাবো!
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৪৩
স্নিগ্দ্ধ মুগ্দ্ধতা বলেছেন: চন্দন-বাঁটা থেকে শেষমেষ চন্দন-ব্যাটায় এসে ঠেকল! কে এই চন্দন, জাতি তারে দেখতে চায়।
৭| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৫০
শায়মা বলেছেন: হা হা হা আপুনি!!!!!!!!!
তুমি দেখছি আমার থেকেও বেশি বেশি!!!!!!!!!
আমি হাসতে হাসতে শেষ!!!
চন্দন বেটা = চন্দন ব্যাটা!!!!!!!!!
হা হা হা হা হা হা হা
তার কথা জানতে চাও !!! হা হা হা হা সে কথা লেখা আছে এখানেই কানে কানে .... অন্য কোথাও..গানে গানে ... অন্য কোনো খানে !!!!
হা হা হা হা আপুনি যেদিন সেই বইটা প্রকাশ করবো তোমাকে পাঠিয়ে দেবো! এ্যাড্রেস দিয়ে দিও !
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:২২
স্নিগ্দ্ধ মুগ্দ্ধতা বলেছেন: ওয়াও! লেখকের কাছ থেকে তার লেখা বই পাওয়া অবশ্যই সৌভাগ্যের ব্যাপার!
৮| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৫২
শায়মা বলেছেন: ওপস স্যরি!!! আপুনি লিখে ফেলেছি!!!!!!! তুমি তো মুসাভাইয়া!!!!!!!!!!
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:২৪
স্নিগ্দ্ধ মুগ্দ্ধতা বলেছেন: আগে পরীক্ষার খাতায় "লিঙ্গ পরিবর্তন" করতাম। এখন ব্লগের পাতায় নিজের "লিঙ্গ পরিবর্তন" হতে দেখে কেমন যে লাগছে, ভাষায় আসলে প্রকাশ করতে পারছি না!
৯| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩১
শায়মা বলেছেন: ঐ ভাইয়া।
নিকটা যে আপুদের মত সে খেয়াল নাই না!!!!!!!!
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪১
স্নিগ্দ্ধ মুগ্দ্ধতা বলেছেন: "অনিক" নামটা ছেলেদের। সেই হিসেবে সব "নিক"ই মেয়েদের হওয়া উচিত!
১০| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:০০
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: বেশ মজা পেলাম, বাটপারের উপর বাটপারি
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:১৭
স্নিগ্দ্ধ মুগ্দ্ধতা বলেছেন: ভাই, আপনি রেল লাইন ধরে হেঁটে-হেঁটে যে সিলেটে আসছিলেন,সেটার কী খবর? পরীক্ষা-টরিক্ষা নিয়ে ব্যস্ত থাকায় অনেকদিন ব্লগে ঢোকা হয়নি।
১১| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৩৭
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: মজার তো !!!
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:০৭
স্নিগ্দ্ধ মুগ্দ্ধতা বলেছেন: অ্যাঁ?
১২| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:৫১
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: শ্রীমঙ্গলে আটকে আছি, আশা করছি এই ডিসেম্বরে আবার সামনে আগাতে পারবো।
১৩| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৫২
মনিরা সুলতানা বলেছেন: অনেকদিন পর ব্লগে দেখলাম আপনাকে;
লেখা মজার হয়েছে।
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:০৫
স্নিগ্দ্ধ মুগ্দ্ধতা বলেছেন: আহা! সেই দিনগুলো! আবার দেখা(?) হলো। কথা হবে আবার। ভালো থাকবেন।
১৪| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৫৮
নতুন নকিব বলেছেন:
কত দিন পরে! কেমন ছিলেন এত দিন?
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:০৭
স্নিগ্দ্ধ মুগ্দ্ধতা বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ ভাই। ভালো ছিলাম। ফাইনাল প্রফ ছিল তো।এখন পুরোদস্তুর ডাক্তার!
১৫| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:০২
শায়মা বলেছেন: তোমার নাম অনিক বুঝি ভাইয়ামনি!
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:০৬
স্নিগ্দ্ধ মুগ্দ্ধতা বলেছেন: অনিক লুম্বা! পড়েছেন? জাফর ইকবালের।
১৬| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:০৭
শায়মা বলেছেন: না পড়িনি। বুক রিভিউ দাও! সেটাই পড়ি!
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:০৮
স্নিগ্দ্ধ মুগ্দ্ধতা বলেছেন: হা হা!
১৭| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: হা হা! দারুণ মজা পাইলাম।
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৩
স্নিগ্দ্ধ মুগ্দ্ধতা বলেছেন: মজা লন?
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৬
নজসু বলেছেন:
বেশ মজার।