নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এখন থেকে লিখব না আর সত্যিকারের কিছু/ বলব না আর, চলব শুধু ছায়ার পিছুপিছু।// সবাই যখন নামছে নীচে, আমার তখন কী দায়? / অন্ধকারের সঙ্গী হলাম—আলোক তোমায় বিদায়।// এখন আমি থমকে রব, জীবন হবে থ-ময়,/ মাথা নেড়ে আজ্ঞে বলেই কাটিয়ে দেব সময়।// মিথ্যেটাকে সত্যি জেনেই করব কারাবরণ—/ এখন থেকে জানবে, হে দেশ, কবির হলো মরণ।//
আকাশ ভেঙে কুশল নিয়ে নামল মুষলধারা
কোন সে গীতের ইঙ্গিতে সব বনল পাগলপারা!
আপিসগুলো হাপিস হলো,
ঘরের ভিতর সব লুকলো,
দোরের আগল বন্ধ হলো, মনের আগল ছাড়া!
বিলের জলে,ঝিলের জলে জলের বাজন বাজে
খলসে-পুঁটি ঝলসে ওঠে নানান বিষয়-কাজে!
কৈগুলো সব কই পালালো!
চ্যাং-মাগুরের সই পালালো!—
কেমনে তারা থাকবে এখন একলা জলের মাঝে!
রাস্তাঘাটে ব্যস্ত মানুষ যায় না যে আর দেখা—
পিছল পথে আছাড় খেয়ে ভাঙবে কি ঠ্যাং একা?
ভিড়ের চোটে রাস্তা-ব্যাটার
দাঁত-কপাটি লাগত মাথার!
কাটছে এখন একলাটি তার;
বৃষ্টি-মাথায় কে যাবে আর—কার পড়েছে ঠ্যাকা?
বৃষ্টিমুখর ঝাপসা বিলে শাপলা তোলে মাথা
ভাবের চোটে আপনি ফোটে ডাঁটার তলে পাতা!
পদ্ম পাতায় পদ্য লিখে
বৃষ্টি ছোটে দিগ্বিদিকে—
ব্যাঙরা ওসব পড়তে থাকে গুটিয়ে জামার হাতা!
সবুজ ঘাসের জাজিম পেলো অবুঝ রঙের পাখা,
জল-সপসপ মিষ্টি সুরে যায় না যে আর থাকা!
কদম ফুলের বেদম সুরে
মাতম ওঠে মন-মুকুরে
কোন পুকুরে শিউরে ওঠে শোল-মাগুরের কাকা!
আজলা জলে ভিজল বুঝি কাজলা-ব্যাঙের ছাতা
গাল ফুলিয়ে তাই বুঝি সে যাচ্ছে বকে যা-তা!
নাচছে জুটি—চিংড়ি-পুঁটি
জল-বিছুটি,মটরশুঁটি;
গোবরগুলোর নিচ্ছে খবর গুবরে পোকার মাতা!
পক্ষীগুলো লক্ষ্মী হলো,যায় না কুজন শোনা,
কাতলা-পোনা জলের গালে আলগোছে দেয় ঠোনা!
মৌমাছিরা বৌচি খেলে,
ভ্রমরগুলো নাচছে ব্যালে,
চ্যাং-মাগুরের কোমর-দোলায় বোয়ালরা আনমনা!
নদীর বুকে রিমঝিমিয়ে দধির সাগর ঝরে!
দুই কূলে ঢেউ আছড়ে পড়ে অধীর অঘোর স্বরে।
অপার স্রোতে এপার-ওপার
এক হয়ে এক ভীষণ ব্যাপার
নেই খেয়াপার, এধার-ওধার ধূসর—জলের ভরে।
কোন উদাসীর মন উদাসী বাদলা-বাঁশির সুরে
কার করাঘাত হানছে আঘাত হৃদয়-অচিনপুরে!
বইছে বাতাস,বুক-ফাটা শ্বাস—
বিষ-সুবাসের দিচ্ছে আভাস
আকাশ যেন করছে প্রকাশ সে-জন যোজন-দূরে!
ধরার বুকে নিবিড় করে নাই বা হলো দেখা
এপার-ওপার যায় কি মিলে?একলা—ভীষণ একা।
বৃষ্টি ঝরুক,ঝরুক না ছাই!
ঝাপটা লাগে মনের খাঁচায়!
সময় গেলেই জুড়ায় কি হায় দগ্ধ বুকের ছ্যাঁকা?
—এই বর্ষায়
স্নিগ্ধ মুগ্ধতা
১৪ অক্টোবর,২০১৭।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৩
স্নিগ্দ্ধ মুগ্দ্ধতা বলেছেন: শুধু প্রশংসা নয়_সমালোচনাও কাম্য।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
২| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:১১
অংপুরিয়ান বালক বলেছেন: বাহ । সুন্দর লিখেছেন তো ।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৮
স্নিগ্দ্ধ মুগ্দ্ধতা বলেছেন: অংপুরি গো অংপুরি,
তোমরা কি ভাই রংপুরী?
৩| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫০
ধ্রুবক আলো বলেছেন: ভালো লাগলো।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৫
স্নিগ্দ্ধ মুগ্দ্ধতা বলেছেন: শুধু ভালো-লাগা নয়, মন্দ-লাগাও প্রকাশ করুন।ধন্যবাদ।
৪| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩২
আখেনাটেন বলেছেন: বর্ষায় গ্রামীণ আবহকে নিপুণ হাতে তুলে ধরেছেন।
ভালোলাগা পোষ্টে
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৪
স্নিগ্দ্ধ মুগ্দ্ধতা বলেছেন: মিশরবাসীকে যশোর-বাসীর পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা।
৫| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৭
কথাকথিকেথিকথন বলেছেন:
বৃষ্টি, স্নিগ্ধতা, প্রকৃতির কবিতা বেশ লাগলো ।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:২৪
স্নিগ্দ্ধ মুগ্দ্ধতা বলেছেন: আবেশ নিয়ে লেখা।বেশ লাগতেই হবে।
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:১১
মাইনুল ইসলাম আলিফ বলেছেন: বৃষ্টি ঝরুক,ঝরুক না ছাই!
ঝাপটা লাগে মনের খাঁচা
সুন্দর লিখেছেন।