নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এখন থেকে লিখব না আর সত্যিকারের কিছু/ বলব না আর, চলব শুধু ছায়ার পিছুপিছু।// সবাই যখন নামছে নীচে, আমার তখন কী দায়? / অন্ধকারের সঙ্গী হলাম—আলোক তোমায় বিদায়।// এখন আমি থমকে রব, জীবন হবে থ-ময়,/ মাথা নেড়ে আজ্ঞে বলেই কাটিয়ে দেব সময়।// মিথ্যেটাকে সত্যি জেনেই করব কারাবরণ—/ এখন থেকে জানবে, হে দেশ, কবির হলো মরণ।//
১.
মুসলিম তুই জেরবার তোর তরবারে আজ জং ধরা,
তোর কলজে-বিহীন ঝলসানো বুকে রক্ত তো নেই—রং করা!
যেই হুঙ্কারে তোর কাঁপত ভূধর শত্রু হতো মূর্ছিত,
সেই শত্রু-সেনার হুমকিতে তোর চমকিত মন আজ ভীত!
গর্দানে তোর লৌহ-বেড়ি হায়রে আমার মর্দ-বীর।
ব্যথায় কাতর চিড় খাওয়া তোর হদ্দ হওয়া অর্ধ-শির।
বেহেস্ত্ ভুলে বশ হলি তুই মর্ত-রূপী নর্তকীর!
এখন কেবল আবোল-তাবোল
বিষধারী সাপ হানছে ছোবল;
আকাশ-ছোঁয়া ধূসর ধোঁয়া,
আধ খাওয়া লাশ নিথর শোয়া,
ডাকছে শিয়াল হুক্কা হোয়া—
এমনি করেই আর কতো আহ!
শুনবি শত আর্ত-মিড়?
আর্ত-বুকে লটকানো আজ তোর নিদারুণ ব্যর্থ-তীর!
২.
ভীম জালিমের ধামকি শুনে আর কতকাল শঙ্কাতে?
খুন পেরিয়ে আয় বেরিয়ে নতুন আলোয় চমকাতে।
রক্ত-দোলায় আনরে প্রলয়,
ঝড়ের বেগে আয়রে মলয়,
বাইরে তুফান আয়রে তাধিন,
হানরে আঘাত আজ পরাধীন,
আর কত দিন রইবি অধীন,
চুপ করে কত কোপ খেয়ে আর ভাববি—বিজয়-সংঘাত এ?
জোশ-দিল ওরে মুসলিম, তোর হয় রে কি জয় সংখ্যাতে?
৩.
তাগড়া জোয়ান বিগড়ালে আর চুপ থাকে বল কোন শালা!
পুড়িয়ে দেব গুড়িয়ে দেব ভোগ-বিলাসের পানশালা।
ঘরের কোণে মস্করা নয়—যুদ্ধ-জয়ের আস্কারা—
আয়রে উঠে বাইরে ছুটে বেহেস্ত্ যেতে চাস কারা!
চতুর্দিকের মন্ত্রণা—
অন্তহীন এ যন্ত্রণা।
নয় অহেতুক স্বান্তনা—
এপথ মোটেই শান্ত না।
বৃদ্ধরা সব করবে বারণ—দেখাস তবু জিদ তোরা।
তীর-ঘাতে তোর নির্ঘাত আজ বিদ্ধ হবে বৃদ্ধরা।
খাদ্য ছাড়া ভাইগুলো তোর বাধ্য হয়েই ভিখ মাগে,
এরপরও তোর বধ্য বুকে একটুও কি চোট লাগে?
আয়রে তবে মাভৈ রবে
রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ হবে,
রুদ্ধ ধরা শুদ্ধ হবে,
ক্ষুব্ধরা উদ্বুদ্ধ হবে,
বুলবুলিরা মুগ্ধ হবে,
ফুটবে গোলাপ ফুলবাগে।
কোণায়-কোণায় তীর ছোঁড়া নয়, হান রে আঘাত মূলভাগে।
৪.
বোনগুলো তোর বন্য-কুকুর-শ্যেন-শকুনের খপ্পরে—
হায় ভীরু, তুই বেহেশত চাস হাদিস-কোরআন জপ করে?
বৃথাই তবে জীবন দিলি বদর-ওহুদ-খন্দকে,
এরচেয়ে তোর তরবারি দে পঙ্গু-কালা-অন্ধকে।
চুপ করে তুই থাক বসে,যা ফতোয়াবাজির আঁক কষে;
আক্রোশে তোর বোনকে গিলুক জালিমরূপী রাক্ষসে।
কাঁদুক শিশু,কাঁদুক বোন
মৃত্যু করুক আলিঙ্গন;
হয়তো তোদের জালিম-মন
কাঁদবে তবেই আফসোসে!
বোন হারাবি,মন হারাবি আর কতকাল পাপ-দোষে?
৫.
হায় বিনাশী,সর্বনাশী, শোনাস নাশিদ-গীত কারে?
হায় রে তোদের ঘুম ভাঙে কি ওই ক্ষুধিতের চিৎকারে?
দুর্দিনে যে পায়নি খেতে,
ভিখ চেয়েছে হাতটি পেতে;
তারপরও যে পায়নি রুটি,
তিনদিনে যে খায়নি দুটি
কী ছিল দোষ,কী তার ত্রুটি—
হয়নি কি তোর দরুদ-সালাম এর পরও হায় মিথ্যা রে?
পাঁজর ফুঁড়ে দে জোর নাড়া হত্যাপুরীর ভিতটারে।
—বিষ-স্মরণ
স্নিগ্দ্ধ মুগ্দ্ধতা
৮অক্টোবর,২০১৭
০২ রা নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:০৭
স্নিগ্দ্ধ মুগ্দ্ধতা বলেছেন: পাবলিকের মতিগতি আজও বুঝলাম না, ভাই। আমি সবচে বেশি শ্রম দিয়েছি এই কবিতার পিছনে। এবং আমার মতে এইটে আমার
এ পর্যন্ত লেখা সবচে সেরা কবিতা! অথচ, অন্য কবিতাগুলোর পাঠক-সংখ্যা অনেক বেশি! আমি আসলে বুঝি নে আমার রুচিতে সমস্যা, না কি ‘পাবলিকের’ রুচিতে?
আপনি অন্তত কবিতাটা পড়েছেন জেনে ভালো লাগল।
২| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:১৩
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: 'খুক, খুক' কাশি আসছে!!!
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:২১
স্নিগ্দ্ধ মুগ্দ্ধতা বলেছেন: কাশির সাথে রক্ত পড়ছে না তো?
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৫৬
সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: সুন্দর হয়েছে।