নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এখন থেকে লিখব না আর সত্যিকারের কিছু/ বলব না আর, চলব শুধু ছায়ার পিছুপিছু।// সবাই যখন নামছে নীচে, আমার তখন কী দায়? / অন্ধকারের সঙ্গী হলাম—আলোক তোমায় বিদায়।// এখন আমি থমকে রব, জীবন হবে থ-ময়,/ মাথা নেড়ে আজ্ঞে বলেই কাটিয়ে দেব সময়।// মিথ্যেটাকে সত্যি জেনেই করব কারাবরণ—/ এখন থেকে জানবে, হে দেশ, কবির হলো মরণ।//
আমি কবিতা শিখতে জানি,কবিতা লিখতে জানি
কিন্তু আজগুবি কিছুকে কবিতায় আনতে পারি নে,
কবিতায় টানতে পারি নে।্
হয়তো এই কারণেই আমার কবিতাগুলো কবিতা হয়ে ওঠে নি।
তুমি মেঘ-রঙা এক শাড়ি পরে আবেশী চোখে আমায় বলেছিলে— আমার জন্য এনে দিতে পারো একশটা নীল পদ্ম?
আমি কোনও ছদ্ম স্তুতি নয়,কোনও পদ্য-প্রস্তুতি নয় —
চাঁছা-ছোলা গদ্যে বলেছিলাম—অসম্ভব, আমি সাঁতার জানি নে!
শুধু সাঁতার নয়,সেতারও আমার জানা নেই।
সেতার আমার জানা ছিল না—তবে সেতারের সঙ্গে আমার জানাশোনা ছিল।
সত্যি বলতে, তোমার কণ্ঠের চেয়ে মিষ্টি কোনও সেতার এখনও শোনা হয়ে ওঠেনি আমার!
এমনকি এই মিউজিক-বহুল বেতারের যুগেও!
তুমি সেদিন চেয়েছিলে— আমি যেন তোমায় পরিয়ে দিই খোপায় তারার ফুল!
সেই নজরুলীয় কারবার!
আমি বারবার হেসেছিলাম— তারা হলো নক্ষত্র!কোটি ডিগ্রির ভ্রুকুটি যার তাপমাত্রায়।
তারার ফুল ভুল করে পরতে চায় কেবল fool যারা তারাই,
তোমার মতোন কোনও ফুলপরি কেন চাইবে ওটা!
আমি তারার ফুল দেখি নি।আমি তারার ফুলকি দেখেছি—
তোমার চোখের তারায়।
শীতের এক বিষণ্ণ বিকেলে প্রসন্ন একঝাঁক উড়ন্ত পাখিদের তুমি দেখেছিলে!
গলার হারের মতো সার বেঁধে উড়ে যায় ওরা।
তুমি চেয়েছিলে ওই হার পরতে,ওই হার ধরতে।
আমি হারের কাছে হার মেনেছিলাম।
তোমার উন্মুক্ত গলার চেয়ে মুক্ত আকাশেই কি বেশি মানায় না ওদের?
তাছাড়া, তোমার ওই সুতন্বী গলার জন্য কি উপযুক্ত ওরা?
বরং উচ্ছল ওই গলায় জড়িয়ে থাক আমার দুটি হাত।
বলো, কবির হাতের চেয়ে সুধাবর্ষী আর কী আছে পৃথিবীতে?
—বস্তুবাদী প্রেম
স্নিগ্ধ মুগ্ধতা
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:৩৪
বিজন রয় বলেছেন: শীতের এক বিষণ্ণ বিকেলে প্রসন্ন একঝাঁক উড়ন্ত পাখিদের তুমি দেখেছিলে!
গলার হারের মতো সার বেঁধে উড়ে যায় ওরা
কাব্যিক ও সুন্দর।
কবিতাটি কি আর একবার লিখবেন?