নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এখন থেকে লিখব না আর সত্যিকারের কিছু/ বলব না আর, চলব শুধু ছায়ার পিছুপিছু।// সবাই যখন নামছে নীচে, আমার তখন কী দায়? / অন্ধকারের সঙ্গী হলাম—আলোক তোমায় বিদায়।// এখন আমি থমকে রব, জীবন হবে থ-ময়,/ মাথা নেড়ে আজ্ঞে বলেই কাটিয়ে দেব সময়।// মিথ্যেটাকে সত্যি জেনেই করব কারাবরণ—/ এখন থেকে জানবে, হে দেশ, কবির হলো মরণ।//
রবীন্দ্রনাথ রাত্রে রাস্তা ধরে হাঁটছিলেন। মস্ত বড় একটা চাঁদ উঠেছে আকাশে। চারদিকে ফুটফুট করছে জোছনা। মনের আনন্দে তিনি গুনগুনিয়ে গান ধরলেন— এমন চাঁদের আলো /মরি যদি সেও ভালো /সে আলো স্বরগ সমান
হঠাৎ করে যেন আকাশ ফুঁড়েই তার সামনে এসে হাজির হলো তিন -মানুষ-সমান -উঁচু কিম্ভুতকিমাকার এক লোক। তার চেহারা দেখেই তো রবীন্দ্রনাথের আত্মারাম খাঁচাছাড়া হয়ে যাবার জোগাড়।মস্ত বড় নাকের ফুটো দিয়ে ঘড়ঘড় করে নিশ্বাস ফেলে সে বলল— আমি আজরাঈল!
রবীন্দ্রনাথ কাঁপতে কাঁপতে বললেন— কী হেতু এসেছ তুমি, কহ বিস্তারিয়া।
যম দাঁত খিঁচিয়ে বলল— ওই যে তুমি গাচ্ছিলে— মরি যদি সেও ভালো...। তাই এলাম।
রবীন্দ্রনাথের হাঁটুতে-হাঁটুতে ঠকঠক করে বাড়ি খেতে লাগল। তিনি কাঁপাকাঁপা গলায় বললেন— মরিতে চাহি না আমি সুন্দর ভূবনে /মানবের মাঝে আমি বাঁচিবারে চাই।
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:১৭
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ha ha