নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দর্শন হল হিসাব বিজ্ঞানের ডেবিট এবং ক্রেডিট । সবসময় যতখানি ডেবিট, ঠিক ততখানিই ক্রেডিট হয় । পরকালের হিসেব যা-ই হোক, এই ইহকালে আমরা ঠিক যেভাবে শূন্য হাতে পৃথিবীতে এসেছি, সেভাবে শূন্য হাতেই পৃথিবী ছেড়ে যাব । এটাই পৃথিবীর আবর্তনিক নিয়ম । অনেকে আমরা এটা বুঝতে ব্যর্থ হই ।আপনি কারো ক্ষতি করবেন তো আজ অথবা কাল আপনার ক্ষতি হবেই হবে । ভালো করলেও তার ফল আপনি জীবদ্দশাতেই পাবেন ।অনেকে দেখবেন রাস্তাঘাটে অযথা হোঁচট খায়, অসুখে ভোগে- এসব এমনি এমনি নয়, হয় এর অতীত, নয়তো ভবিষ্যৎ প্রসারী কোন কারণ আছে । যদি আপনি কারো ক্ষতি না করেন, তবে আমি নিশ্চয়তা দিচ্ছি, আপনার কোন ক্ষতি হবে না । কেউ চেষ্টা করলেও আপনার ক্ষতি করতে পারবে না ।শুদ্ধ থাকুন, শুদ্ধতার শুভ্রতাকে উপভোগ করুন । জীবন সুন্দর হবে ।আমি সবার মতের প্রতিই শ্রদ্ধাশীল।আশা করি আপনিও তাই।সৌজন্যবোধ ও মানবতার জয় হোক !
ঘোর লাগা রাত্তিরে
চাঁদের আলো পড়েছে ঢাকা চিলের পাখায়
জানালার ভীত পর্দা করেছে সে কাজ ।
আমার চোখের সামনে
তিরতির করে কাঁপুনি দিয়ে
নেতিয়ে পড়ে লজ্জিত পিদিম সলতে,
সাজসজ্জাহৃত তছনছ বিছানায়
অসহ্য বাসনা নিয়ে জ্বলতে থাকে,
নিংড়ে নামা মায়ায়,
আমার দু'চোখ নিশ্চুপ আঁধারের
বিন্দু বিন্দু জলে
মন ভরে তোমায় দেখব বলে !
আমি শরীর হাতড়ে ফিরি সাবুক্তাগীন,
টের পাই ঘুমে অচেতন
ঠাণ্ডা সাপের মতোন শুয়ে আছো তুমি ।
আমি অতঃপর বেড়ালের সচেতন হাতেপায়ে
জোঁকের মতো চুম্বনের অদৃশ্য সেলাই গেঁথে
বেয়ে বেয়ে উঠি তোমার শরীরে ।
হায় নিষ্পাপ কবি আমার,
সাগরের ঢেউ চেনালে তুমি
কান্নার ঢেউ কি চেন না ?
বোঝ না পার্থক্য জলে আর কাজলে ?
তুমি ঘুমিও না সাবুক্তাগীন,
আজ রাতটুকু জেগে থাকো, প্লীজ !
কত তপস্যায় যে দহনের এই রাতটি আসে
সে আমার ইষ্টদেবতা জানে !
কী হয় এই একটি রাত জেগে থাক যদি ?
কাল নাহয় ছুটিই নিয়ে নিলে !
ওঠো, জ্বালাও তোমার রূপালী পিদিম
আলো ঢেলে দাও আঁধারের গর্ভে
হা করে আছে সমগ্র রাত্তির
উপেক্ষা করে বামপন্থী বাদুরের
আল্ দেয়া খসখসে পরিণতি, মিষ্টি আলোয় গা ভেজাবে বলে ।
আমি এই আলোর জন্যে
মোম হয়ে গলে গলে
নিঃশেষে ফুরিয়ে যেতে চাই
শেষ নিঃশ্বাস অবধি
তোমার সলতের চরণে ।
গিলে খেতে রাজী কালো ছত্রাক
হোক সে তিক্ত তৈলাক্ত বিস্বাদ যতই ।
মৃত্যু হলেও হোক ।
আরক্ত স্তনবৃন্তে একটি প্রেমচুম্বন
এই তো জীবনে সান্ত্বনা শুধু ।
রূপকথা ঘুমিয়ে থাকে ও ঘরে
জানে না এই কিংবদন্তীর কথা ।
থাক সে ঘুমি থাক,
সিথানে সোনার কাঠি আর পৈথানে রূপোর কাঠি লয়ে ।
ওঠো সাবুক্তাগীন ওঠো
দেখ অন্ধকারে আমি একা বসে
চোখের সমস্ত আলো এক করে তোমায় দেখছি শুধু
সে আলো গলে যায় চোখের নোনা জলে ।
আমার আঁচলের শামিয়ানা
তোমার ঘামে চুপসে গিয়ে বলে
এই রাত কেন এত ছোট ছোট হয়ে আসে ?
কেন সে দেখে না চেয়ে,
কেন সে চোখ বুজে রয়,
যদি সে শরীর পুজারি নয়,
যদি সে ভালোই আমারে বাসে ?
২| ২৮ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৫:০৫
আহসানের ব্লগ বলেছেন: ভাল লিখেছেন !
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৩:০৯
জীয়ন আমাঞ্জা বলেছেন: প্রথমেই বলে রাখি, অপদস্থ কবিতাবলি নামক আমার যে সিরিজ একে আমি কখনই শিল্পসম্মত কিছু বলে জ্ঞান করি না । দুয়েকটি ভালো মূর্তি নির্মাণ করতে গিয়ে বিকৃত ভগ্ন মূর্তিও ক্ষেত্রবিশেষে নির্মিত হয়ে পড়ে । এটিও সে পর্যায়ের একটি কবিতা । এর কোন শিল্পমূল্য আছে বলে আমি মনে করি না ।
হ্যাঁ, এখানে অলংকার সন্নিবেশনের স্থুল প্রচেষ্টা করা হয়েছে । এত বেশি অলংকার চাপানোর পর মনে হচ্ছে এরচেয়ে প্রথমে যে এক ছিলতে কালির আঁচড়ে সরল সামান্য কবিতাটি লিখেছিলাম সেটিই বেহতর ছিল ।