নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দর্শন হল হিসাব বিজ্ঞানের ডেবিট এবং ক্রেডিট । সবসময় যতখানি ডেবিট, ঠিক ততখানিই ক্রেডিট হয় । পরকালের হিসেব যা-ই হোক, এই ইহকালে আমরা ঠিক যেভাবে শূন্য হাতে পৃথিবীতে এসেছি, সেভাবে শূন্য হাতেই পৃথিবী ছেড়ে যাব । এটাই পৃথিবীর আবর্তনিক নিয়ম । অনেকে আমরা এটা বুঝতে ব্যর্থ হই ।আপনি কারো ক্ষতি করবেন তো আজ অথবা কাল আপনার ক্ষতি হবেই হবে । ভালো করলেও তার ফল আপনি জীবদ্দশাতেই পাবেন ।অনেকে দেখবেন রাস্তাঘাটে অযথা হোঁচট খায়, অসুখে ভোগে- এসব এমনি এমনি নয়, হয় এর অতীত, নয়তো ভবিষ্যৎ প্রসারী কোন কারণ আছে । যদি আপনি কারো ক্ষতি না করেন, তবে আমি নিশ্চয়তা দিচ্ছি, আপনার কোন ক্ষতি হবে না । কেউ চেষ্টা করলেও আপনার ক্ষতি করতে পারবে না ।শুদ্ধ থাকুন, শুদ্ধতার শুভ্রতাকে উপভোগ করুন । জীবন সুন্দর হবে ।আমি সবার মতের প্রতিই শ্রদ্ধাশীল।আশা করি আপনিও তাই।সৌজন্যবোধ ও মানবতার জয় হোক !
মেয়েটির চুল ছিল না
কানে কোন দুল ছিল না
নাকে নাকফুল ছিল না
তবু সে মেয়ে ছিল
শুধু সে মেয়েই ছিল
তার একটা শরীর ছিল
তুলতুলে সে নরম ছিল
শরীর ভরা শরম ছিল
মেজাজও তাই গরম ছিল
লোকগুলো সব পুরুষ ছিল
চোখগুলো সব নগ্ন ছিল
জিভের আগায় লালা ছিল
কামাসক্ত জ্বালা ছিল
তবুও সেটা প্রেম ছিল না
তবুও তারে কাম বলে না
স্পর্শগুলো হিংস্র ছিল
সবাই ওরা জন্তু ছিল
শরীরটাকে খুবলে দিল
কী চায় তারা কেউ জানে না
মেয়েটির খুব নাম ছড়ালো
ওদের কোন নাম হলো না
মেয়েটি শেষে মরেই গেল
ওরা সবাই দিব্যি রলো
ওদের তো কিচ্ছু হলো না
শরীরের বড়ো মূল্য ছিল
মেয়েটির কোন দাম ছিল না
জীবনেরও কোন দাম ছিল না
কেবলই ছিল যৌনাঙ্গ
সতী অসতীর ক্লেদাক্ত রঙ্গ
মাসিক হবার থৈ ছিল না !
আমরা সবাই রস ঝরিয়ে
বিস্বাদভরে নেতিয়ে যাই,
ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে যাই,
ফের নতুন রসে নতুন করে
জেগে উঠি, রস ঝরাই
তাও গন্ধমের পরিণাম মেলে না
কী স্বাদ এতে কেউ বুঝি না !
একটু পরেই আবার ক্ষুধা,
রুচির বদনাম হল না
বিবেকের কোন চোখ হল না
হৃদয়ের কোন কান হল না
আমরা মানুষ মানুষই,
আমরা তাও পশু হলাম না
কিংবা আমরা পশুই সব,
জামা পাজামায় মানুষ হলাম না
শেয়াল শকুন কুকুরের মতো
আমাদের শুধু ইন্দ্রিয় আছে
আমরা কেবল শুঁকে বেড়াই
দেখে বেড়াই, চেখে বেড়াই
কোথাও একটা মন হল না
কবিতার কোন মান হল না
কবিরা কেবল পুস্তকে
লিঙ্গ ছাড়া ভেদ হল না !
পশুরা মেলে মৌসুমে মৌসুমে
ওরা মৌসুমেই মানুষ হয়
আমরা মানুষ প্রতিটি রাতে
সকাল বিকেল রাস্তাঘাটে
ফুঁসে ওঠা রাজদণ্ডে, স্তনে
আর অণ্ডকোষের মানদণ্ডে
ঠোঁট বাঁকিয়ে বীৎভস রতি শীৎকারে
আমরা মানুষ ওরা পশু !
পশুদের এই গুণ ছিল না !
২| ০৮ ই মে, ২০১৪ রাত ৯:২৫
প্রুফরিডার বলেছেন: প্রতিবাদী ভীষন শব্দমালায় অনেক সহজেই একে দিলেন সমাজের পুরুষরুপী কামুক পশুগুলোর ধাতাল দৃস্টিপাপ!
কবিতায় সমাজচিত্র ফুটিয়ে তোলার ঢংটা দারুন ভাল লেগেছে।
৩| ১৪ ই মে, ২০১৪ রাত ১২:১০
জীয়ন আমাঞ্জা বলেছেন: Thanks for the encouraging comment :-)
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৪:১১
জীয়ন আমাঞ্জা বলেছেন: কবিতাটারও কোন জাত হল না ।
কেউ কেউ একটি কবিতার পেছনে দশ বছরও ব্যয় করেছেন, সেসব নিয়ন্ত্রিত আবেগের সুচিন্তিত বহিঃপ্রকাশ । নিঃসন্দেহে সেসব কবিতা লক্ষগুণ বেশি ভালো হয় ।
আমি সেই গুণীদের দলে নই । কবিতা আমার দায়সারা কুকর্ম বিশেষ । উচ্ছ্বাসকে তাৎক্ষণিক শব্দবন্দী করি বড়জোর । এগুলোকে কবিতাও বলা চলে না হয়ত । এক বসাতে যা ইচ্ছে হলো লিখে ফেললাম । অসংখ্য বিচ্যুতি নিজেই দেখতে পাচ্ছি । এখন এমনই থাক । আগামিতে সংযোজন বিয়োজন ও পরিমার্জন হবে ।