নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দর্শন হল হিসাব বিজ্ঞানের ডেবিট এবং ক্রেডিট । সবসময় যতখানি ডেবিট, ঠিক ততখানিই ক্রেডিট হয় । পরকালের হিসেব যা-ই হোক, এই ইহকালে আমরা ঠিক যেভাবে শূন্য হাতে পৃথিবীতে এসেছি, সেভাবে শূন্য হাতেই পৃথিবী ছেড়ে যাব । এটাই পৃথিবীর আবর্তনিক নিয়ম । অনেকে আমরা এটা বুঝতে ব্যর্থ হই ।আপনি কারো ক্ষতি করবেন তো আজ অথবা কাল আপনার ক্ষতি হবেই হবে । ভালো করলেও তার ফল আপনি জীবদ্দশাতেই পাবেন ।অনেকে দেখবেন রাস্তাঘাটে অযথা হোঁচট খায়, অসুখে ভোগে- এসব এমনি এমনি নয়, হয় এর অতীত, নয়তো ভবিষ্যৎ প্রসারী কোন কারণ আছে । যদি আপনি কারো ক্ষতি না করেন, তবে আমি নিশ্চয়তা দিচ্ছি, আপনার কোন ক্ষতি হবে না । কেউ চেষ্টা করলেও আপনার ক্ষতি করতে পারবে না ।শুদ্ধ থাকুন, শুদ্ধতার শুভ্রতাকে উপভোগ করুন । জীবন সুন্দর হবে ।আমি সবার মতের প্রতিই শ্রদ্ধাশীল।আশা করি আপনিও তাই।সৌজন্যবোধ ও মানবতার জয় হোক !
ছাত্রজীবনে গৃহশিক্ষকতা একটি উল্লেখযোগ্য অধ্যায় । কলিংবেল টিপে টিপে পয়সা কামাই করে লেখাপড়া চালানোর এই উপায়টির সাথে কমবেশি সব ছাত্রই পরিচিত । ভাবলাম এদের নিয়ে লিখি ।
ছাত্রগুলো তীব্র মানসিক চাপ সহ্য করে ছাত্র পড়ায় । সবারই চেষ্টা থাকে তার ছাত্রছাত্রী পরীক্ষায় ভালো করুক । এরা প্রাণপণ চেষ্টা করে স্ট্যুডন্টকে শেখাতে । পরীক্ষা পর্যন্ত এভাবে চলে । কিন্তু পরীক্ষা শেষে রেজাল্ট একটু ঊনিশ বিশ হলেই টিউশনি হাতছাড়া । গৃহশিক্ষকদের কাছে এটি একটি ভয়াবহ দুঃস্বপ্ন ।
একজন শিক্ষক হাঁটতে শেখায় মাত্র । কিন্তু হাঁটার দায়িত্ব তো শিক্ষার্থীর নিজের । ক্লাস ফোরের একটি স্ট্যুডন্ট যদি পরীক্ষার খাতায় ভাগের জায়গায় যোগ করে দিয়ে আসে, তবে সে দায় ঐ গৃহশিক্ষকের কতটুকু ??
আমরা অবিভাবকরা এই বিষয়টি কখনও বুঝতে চাই না । তবে শিক্ষার্থী যদি ক্লাশ ফোর ফাইভের না হয়ে আরো বড় হয়, আর সে শিক্ষার্থী যদি মেয়ে হয়, তবে গার্ডিয়ানদের উত্কণ্ঠা হয় আরো বেশী । গৃহশিক্ষকদের পরিশ্রম, ক্লান্ত কণ্ঠের এক কাপ চায়ের জন্য গোপন অপেক্ষা কিংবা ক্ষুধার্ত শিক্ষকের একটু নাস্তার প্রত্যাশাও আমরা হয়ত বুঝেও এড়িয়ে যেতে চাই । আসলে এটি বিবেকের বিষয় । এবং বিবেক কাউকে তৈরি করে দেওয়া যায় না ।
যাইহোক, আমি আজ বলব কেবল গৃহশিক্ষকদের নিয়ে । আপনি যখন রাস্তায় হেঁটে যান, তখন আপনার পুরনো কোন ছাত্র যখন আপনাকে দেখা মাত্রই ভক্তিভরে একটি সালাম দেয়, কুশল জিজ্ঞেস করে, তখন কতটা গর্বে যে বুকটা ফুলে ওঠে এ আপনারা বোঝেন নিশ্চয়ই ।
কিন্তু এমন গৃহশিক্ষকও আছে যারা কলঙ্ক ছাড়া আর কিছু অর্জন করতে পারে না । অনেক ঘটনাই এমন শুনেছি । ছাত্রীর প্রতি দুর্বলতা এবং প্রেমের ঘটনাও আছে ভুড়ি ভুড়ি । আমি এরকম ঘটনায় খুবই মর্মাহত হই । একদিন বাদল স্যারকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, শিক্ষক ছাত্রীর প্রেম সম্পর্কে আপনার মন্তব্য কী ?
তিনি বলেছিলেন, এদের বয়সটাই তো এমন । একটি ছেলে সাধারণত এরকম পার্থক্যের বয়সী মেয়েকেই তো বিয়ে করবে ।
আমি জানি, উনিও ছাত্রী বিয়ে করেছিলেন । হয়ত তাঁর যুক্তিটা উড়িয়ে দেওয়ার মত নয় । এ নিয়ে গল্প নাটকেরও কমতি নেই । কিন্তু ব্যাপারটা আমি কখনই মেনে নিতে পারি না । একটি ছাত্রীর পিতা মাতা কত কষ্টের উপার্জন থেকে হয়ত দু সপ্তাহের বাজার খরচ বাঁচিয়ে সেই টাকায় একজন শিক্ষক রাখেন । বিশ্বাসভরে একজন গৃহশিক্ষকের কাছে মেয়েকে পড়তে দেন । আর সে শিক্ষক কোন বিবেকে এমন বিশ্বাসঘাতকতা করে আমার বুঝে আসে না !
আমি যেটুকু বুঝি, যে আমার কাছে শিখতে এসেছে, সে তো নাবুঝ বাচ্চা বৈ অন্য নয় । আমার সন্তানেরই মত তো সে । ও বোঝে না বলেই তো আমার কাছে এসেছে । আমি কি দায়িত্ব ভুলে ওর দিকে অন্য নজর দেব ? কেমন শিক্ষক আমি ? ও ভুল করলে আমার উচিত্ ওকে শুধরে দেওয়া, ওর সাথে ভুলের পথে যাত্রা করা নয় ।
এমনটাই যদি ঘটতে থাকে তবে তো মানুষের বিশ্বাসই উঠে যাবে শিক্ষকদের ওপর থেকে । আপনাদের গৃহশিক্ষকদের কাছে এটুকু সচেতনতা আমি প্রত্যাশা করি ।
এবারে অন্য একটি ঘটনা বলি, এক ছাত্রী শিক্ষকের প্রতি প্রায়ই অন্য রকম ইঙ্গিত করায় সে শিক্ষক টিউশনিটি ছেড়ে দেয় । পরে হিংসার জ্বালায় ঐ ছাত্রী অপবাদ দেয় যে টিচারের চরিত্র ভালো না !
মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ দুই পিঠই আছে ।
ধন্যবাদান্তে—
#Zeon Amanza
১৪ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:৪৭
জীয়ন আমাঞ্জা বলেছেন: সেটাই !
২| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:৩১
এহসান সাবির বলেছেন: শুভ হোক নববর্ষ ১৪২১।
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:৩২
তাসজিদ বলেছেন: এ ধরণের সম্পর্ক কে আমি মেনে নিতে পারি না। ছাত্রীর সাথে কি করে প্রেম ভালবাসা সম্ভব?