নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একটি পথ, আপনি চাইলে হেঁটে দেখতে পারেন....

জীয়ন আমাঞ্জা

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দর্শন হল হিসাব বিজ্ঞানের ডেবিট এবং ক্রেডিট । সবসময় যতখানি ডেবিট, ঠিক ততখানিই ক্রেডিট হয় । পরকালের হিসেব যা-ই হোক, এই ইহকালে আমরা ঠিক যেভাবে শূন্য হাতে পৃথিবীতে এসেছি, সেভাবে শূন্য হাতেই পৃথিবী ছেড়ে যাব । এটাই পৃথিবীর আবর্তনিক নিয়ম । অনেকে আমরা এটা বুঝতে ব্যর্থ হই ।আপনি কারো ক্ষতি করবেন তো আজ অথবা কাল আপনার ক্ষতি হবেই হবে । ভালো করলেও তার ফল আপনি জীবদ্দশাতেই পাবেন ।অনেকে দেখবেন রাস্তাঘাটে অযথা হোঁচট খায়, অসুখে ভোগে- এসব এমনি এমনি নয়, হয় এর অতীত, নয়তো ভবিষ্যৎ প্রসারী কোন কারণ আছে । যদি আপনি কারো ক্ষতি না করেন, তবে আমি নিশ্চয়তা দিচ্ছি, আপনার কোন ক্ষতি হবে না । কেউ চেষ্টা করলেও আপনার ক্ষতি করতে পারবে না ।শুদ্ধ থাকুন, শুদ্ধতার শুভ্রতাকে উপভোগ করুন । জীবন সুন্দর হবে ।আমি সবার মতের প্রতিই শ্রদ্ধাশীল।আশা করি আপনিও তাই।সৌজন্যবোধ ও মানবতার জয় হোক !

জীয়ন আমাঞ্জা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্ম এবং আমি

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪২



Zeon Amanza কোন ধর্মের অনুসারী সেটা আমি চেষ্টা করেছি সব সময় উহ্য রাখতে। ধর্মের প্রতি আমার মনোভাব কেমন তা আমি আগেও ব্যাখ্যা করেছি। সে ব্যাখ্যার মোদ্দা কথা ছিল এই যে, প্রত্যেকেরই নিজ নিজ ধর্ম পালনের অধিকার রয়েছে। এবং এই অধিকারে হস্তক্ষেপ করা বা কারও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা একটি অপরাধ বিশেষ।



আমি সকল ধর্মের প্রতিই শ্রদ্ধাশীল। যে কোন ধর্মের প্রতি নিন্দাসূচক আক্রমণ দেখলে সেটার প্রতিবাদ করি। এদেশে, কিংবা বাংলা ভাষায় সনাতন ধর্ম আর ইসলাম ধর্ম নিয়ে বেশ বিদ্বেষমূলক প্রচারণা দেখা যাচ্ছে অহরহ। সনাতন ধর্মের কিছু স্পর্শকাতর উপাখ্যান নিয়েই কেবল বাজে কথা লেখালেখি হচ্ছে কিছু বিকৃত বিদ্বেষীর দ্বারা। সে অতিরঞ্জন কেবল ওটুকুতেই সীমাবদ্ধ।



তবে সবচেয়ে বেশী কোন্দল আর অপব্যাখ্যামূলক কুৎসার শিকার হচ্ছে সম্প্রতি ইসলাম ধর্ম।



আমি এসব বিভ্রান্তিমূলক (সনাতন ইসলাম উভয়েরই) আলোচনা দেখলেই যুক্তি বিশ্লেষণের আলোকে চেষ্টা করি প্রতিবাদ ও প্রতিহত করতে। এ কারণে আমি হয়রানি ও আক্রমণেরও শিকার হয়েছি বারবার।



ইসলাম ধর্ম সার্বজনীন। হিন্দু ধর্মকে সার্বজনীন বলা হলেও আদতে তা নয়। ব্রাহ্মণ পুরোহিতগণ ধর্মগ্রন্থগুলোকে সুকৌশলে কুক্ষিগত করে রেখেছিলেন। ফলে ধর্মে আসলে কী বিধান— তা ছিল সাধারণের কাছে সর্বদাই অজ্ঞাত এবং প্রহেলিকাময়। এই সুবাদে ব্রাহ্মণগণ ইচ্ছেমতো কেবল নিজেদের স্বার্থেই বিকৃত এবং মনগড়া বিধান দিয়ে সাধারণের ওপর ছড়ি ঘুরিয়ে এসেছে এতকাল।



এরূপ প্রবঞ্চনার কারণে হিন্দুগণ ঈশ্বরের প্রকৃত বাণী ও নির্দেশসমমূহ জানা ও উপলব্ধি করা হতে বঞ্চিত হয়ে শেষটায় হয়ে পড়েছেন ধর্মবিমুখ।



ইসলাম ধর্মে এই প্রতিবন্ধকতা রাখা হয়নি। প্রত্যেক মুসলিমকেই তার ধর্মগ্রন্থ উপলব্ধিসহকারে পাঠ করতে দৃঢ় নির্দেশ দেয়া হয়েছে যাতে আল্লাহর বাণী তাঁর বান্দার কাছে সহজে পৌঁছয়।

কিন্তু এখানেও হয়েছে কাল। মুসলিমগণ বড়জোর কোরআন তেলাওয়াত করতে শিখেই ক্ষান্ত হয়েছেন। সেখানে যে আসলে কী লেখা আছে— তা আর তাঁরা বোঝার চেষ্টা বা প্রয়োজন মনে করেননি। তাই ঘটেছে একই পরিণতি। ধর্ম চলে গেছে মোল্লাদের পকেটে। মুসলিমগণ অন্ধের মতো মোল্লাদের অনুকরণ করে চলেছেন। হুজুর যা বলেন সেটাই রাইট— এই মূর্খ চেতনার ফলে কতিপয় হুজুরও স্বার্থ আদায়ের কৌশলস্বরূপ সেই মধ্যযুগ হতে ফতোয়া আর নসীহতের ফাঁদ পেতে বিভ্রান্ত করে এসেছে মুসলিমদেরকে।



ব্রাহ্মণে ব্রাহ্মণে কলহ। হুজুরে হুজুরে বিদ্বেষ। আর অনুসারীরা বিভক্ত বিভ্রান্ত।



ফেইসবুকে এখন ইসলামিস্টের অভাব নেই, কথায় কথায় আয়াত পেশ করেন তাঁরা। একেকজন তাঁরা নিঃসন্দেহে বিরাট বিরাট বিশেষজ্ঞ। কিন্তু আফসোস, এঁরাও তথাকথিত মোল্লাদের মতো একজন আরেকজনের পেছনে লেগে আছেন। এঁরা নাস্তিকদের প্রতিহত করবেন কী, নিজেরাই নিজেদের মধ্য ভুল ধরাধরি আর কাদা ছোড়াছুড়িতে ব্যস্ত!

এর ফলে বিদ্বেষী নাস্তিকগুলো সহজেই দুর্বলতা আন্দাজ করে ফেলে এবং কায়দা বুঝে আক্রমণ করতে পারে।



যাইহোক, বলছিলাম নিজের সম্পর্কে। ইসলাম ধর্মের বিভিন্ন অপব্যাখ্যার প্রতিবাদ আমি করেছি আমার ক্ষুদ্র যুক্তিজ্ঞান দিয়ে। আর এটা করতে গিয়েই আমি বিপর্যস্ত হয়েছি চরমভাবে। প্রতিবাদ করায় নাস্তিকরাও আক্রমণ করেছে, ইসলামিস্টরাও আক্রমণ করেছে আমাকে। শাঁখের করাত আর কাকে বলে!



আমি Zeon Amanza কোন মোল্লা নই, কোন ইসলামিস্টও নই। আমি যুক্তিবাদী, আমি কল্যাণবাদী, আমি সত্যের সন্ধানী।



ইসলামিস্টরা আমার ওপর বিরক্ত, কারণ আমার লেখালেখিতে সেক্যুলারিজম এবং নাস্তিক্যের মনোভাব সুস্পষ্ট। আমি অন্যদের মত রেফারেন্স না দিয়ে কেবল নিজের চিন্তাধারা আউড়ে যাই বলেই আমাকে হেয় করার চেষ্টা করা হয়। আবেগী পাবলিক যুক্তি চায় না, আয়াত চায়, রেফারেন্স চায়, আর তা পেলেই তারা চোখ বুঝে মারহাবা মারহাবা করতে থাকে।

আমি জানি, কোরআনের আয়াত আর দুয়েকটি হাদীস দিয়ে আমি যদি সহুগ আহমেদ (Sohug Ahmed) টাইপ কিছু সস্তাতি সস্তা কথাও লিখি, তাতেই হাজার হাজার লাইক পড়বে, কমেন্ট হবে— মা'শা আল্লাহ, সুবহান আল্লাহ, আল্লাহু আকবার ইত্যাদি।



অথচ আমার লেখায় এসব একদম অনুপস্থিত। আমি লিখি নির্লিপ্ত নিরাসক্ত এবং নিরপেক্ষ ভাষায়। এটাই সবার বিরক্তির কারণ। সবাই ভাবে আমি তথাকথিত ইসলামিস্টদের মতো কথায় কথা আয়াত হাদীস দিয়ে আল্লাহ বিল্লাহ দিয়ে কেন লিখি না?



আমার য়্যাবাউট মি তে একটি কথা স্পষ্ট করে লেখা আছে, আমি শেখাতে এসেছি অশিক্ষিত মূর্খদের, পথভ্রষ্ট আলেমদের নয়।

আমি প্রতিবাদের সময় সেই ভাষাই ব্যবহার করি যে ভাষায় একজন নাস্তিক কথা বলে, যে ভঙ্গিতে একজন নাস্তিক ধর্মবিদ্বেষী চিন্তাভাবনা করে। একারণেই আমার বক্তব্য কখনও একজন নাস্তিকের ভাষার মতো ঠেকে, কখনও ঠেকে একজন বিদ্বেষীর মতো। এটা আমার বক্তব্যকে ওই ব্যক্তিদের হৃদয়ঙ্গম করাবার একটা কৌশল মাত্র। আমি যদি তাদের ভুলগুলোকে সরাসরি আক্রমণ করে লিখি, তবে তারা কখনও আমার লেখাকে বোঝার মানসিকতা নিয়ে পাঠ করবে না, বরং অবজ্ঞা আর খুঁত ধরার চেষ্টা নিয়ে পাঠ করবে।



এটি যুক্তি গেলানোর অত্যন্ত সহজ একটি কৌশল। আমাদের অতিবুদ্ধিমান ইসলামপ্রেমীগণ এটা বোঝার মতো বিবেক আসলে রাখেন না। যদি রাখতেনই তবে অনেক আগেই নাস্তিকদের কনভিন্স করে সঠিক পথে আনতে পারতেন।



আমি সফল যে, আমার লিস্টে ছয়জন নাস্তিক আছেন যাঁরা এখন অনেকাংশেই ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, তাঁরা নিজেরা ধর্ম না মানলেও এখন আর ধর্ম নিয়ে কটুক্তি করেন না। আমি তাঁদের প্রতিহিংসাকে নিবৃত করতে সক্ষম হয়েছি।



আমি এভাবেই লিখি, এভাবেই লিখব। আমার এখানে ইসলামিস্ট ঘ্রাণ একারণেই আপনারা পাবেন না। খুঁজেও লাভ নেই।



আরেকটা অত্যন্তু গুরুত্বপূর্ণ কথা আমি বলতে চাই। আপনারা যখন তখন যেখানে সেখানে আয়াত পেশ করবেন না দয়া করে। একটি আয়াত শুধু আয়াতই নয়, এই আয়াতের শানে নুযুল, অন্তর্নিহিত তাৎপর্য এবং বিস্তর ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ আছে— আর সেগুলোও সমান গুরুত্বপূর্ণ। সেগুলো ছাড়া কেই বা কতটুকু বুঝবে?

একেকটি আয়াত অনেক গবেষণার বিষয়। যদি প্রমাণস্বরূপ কোন আয়াত পেশ কখনও পেশ করতেই হয়, তবে কেবল অনুবাদ লিখেই ক্ষান্ত হবেন না, অবশ্যই সে আয়াতটিকে ব্যাখ্যা সহকারে বুঝিয়ে দেবেন। নইলে এভাবেই আয়াতগুলোর অপব্যাখ্যা অপব্যবহার হতে থাকবে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৮:৫১

তানভীরএফওয়ান বলেছেন: আয়াতগুলোর অপব্যাখ্যা অপব্যবহার হতে থাকবে....right

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:০৯

জীয়ন আমাঞ্জা বলেছেন: ধন্যবাদ ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.