নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যদি এক লাইনে বলতে বলা হয় বিপ্লবের এই সরকার থেকে মানুষের আশা কি ছিল তাহলে কি বলবেন?
উত্তরটা সহজ, কয়েক বছর পিছনেই দেওয়া আছে।
আমি বারবারই বলি সমসাময়িক বাংলাদেশে ১৮ এর সড়ক আন্দোলন খুবই সিগনিফিকেন্ট। এই আন্দোলন সম্পূর্ণ অর্গানিক ছিল, কোনো বিদেশী শক্তির উপস্থিতি ছিলোনা। বেকুব বিএনপি ছিলো না, ভেড়ার খোলস পড়া শিবির ছিলোনা। ছিল শুধু হেলমেট পড়া আওয়ামী সন্ত্রাসীদের তান্ডব।
অনেক অর্জনের মধ্যে একটা ছিলো, চাইলে দেশ কেমন হইতে পারে- নতুন প্রজন্ম রাস্তায় সেইটা দেখতে পেরেছে খুব সাকসেসফুল ভাবে। পৃথিবীর অন্যতম বিশৃঙ্খল সড়ককে কয়েকদিনের জন্য ঠিক করে দিয়ে দেখায়ে দিয়েছিলো, চাইলেই পারা যায়।
এই সরকারের মেন্ডেটটাও খুবই সিম্পল ছিল, দেখায়ে দেওয়া যে, চাইলেই পারা যায়। এবং সেটা সহজেই করা যেত বিপ্লবের স্পিরিটটাকে জাগায়ে রেখে।
এই জাগায়ে রাখাটাও খুব সহজেই করা যাইতো যদি এই সরকার বিপ্লবের মতনই শক্তিশালী আর সাহসী হইতো। সবার মন রক্ষার সরকার হইতে গিয়ে তারা এতটাই ব্যার্থ হইসে যে দুই মাস না যাইতে হাসিনার নাম স্লোগান দেওয়ার সাহস করতে পারেওর স্বয়ং আদালত প্রাঙ্গনে, হাসিনা নিজে ফোনে ফোনে দেশের মানুষকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেওয়ার সাহস করতে পারে, অনলাইনে আওয়ামী বট আইডি সয়লাব হয়ে প্রোপাগান্ডা চালাইতে পারে।
যেহেতু সাময়িক সময়ের সরকার, তাই সাময়িক সময়ের জন্য দেখায়ে দেওয়া দরকার ছিল যে চাইলেই সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া যায়, বিশৃঙ্খল রাস্তাকেও নিয়মের মধ্যে নিয়ে আসা যায়, জিনিসপত্রের দাম কমানো যায়, কৃষককে নেয্য মূল্য দেওয়া যায়, দেশ পরিষ্কার রাখা যায়- এমন সব জিনিসে রেডিকেল পরিবর্তন আনা যেগুলো মানুষের জীবনে ডিরেক্ট ইম্পেক্ট ফেলে।
কিন্তু এগুলোকে সেকেন্ডারিতে রেখে এই সরকার বারবার ভারী ভারী জিনিসকে সামনে নিয়ে আসছে। সংবিধান, আইন ব্যবস্থা, রাজনীতি- এগুলো নিয়ে মানুষের মাথা ব্যাথা আছে? খাইতে না পেরে কিছুদিন পর যদি স্লোগান দেয়- ভাত দে, নাইলে সংবিধান চিবিয়ে খাবো- তাইলে কারো কিছু বলার থাকবে?
ড: ইউনূসের বায়ো দেখলে যতটুকু বুঝা যায় এবং ইন্টারভিউ গুলোতেও তিনি বারবার যেই কথাটা বলছেন, তিনি বিগার পিকচারটা দেখতে চান। সাসটেইনেবল একটা সমাধান দিয়ে যাইতে চান। কিন্তু তাকে এটাও মাথায় রাখতে হবে সরকার হইলে সবদিক সামাল দিতে হবে। সাসটেইনেবল বিগার পিকচার'ও দেখতে হবে, টেকটিকাল জিনিস যেগুলো মানুষের জীবনে ডিরেক্ট প্রভাব ফেলে ওগুলা নিয়েও দ্রুত কাজ করতে হবে।
শুধু একটা জিনিসেই সফল হচ্ছে এরা, হাসিনার একের পর এক কঠিন ষঢ়যন্ত্র গুলো সামাল দিচ্ছে।
আর এখন পর্যন্ত আমার কাছে ১/১১ সরকারি সবচেয়ে সফল সরকার যারা দেখতে পেরেছিলো দুর্নীতি মুক্ত একটা দেশ কেমন হতে পারে।
২| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৬
রাজীব বলেছেন: ১/১১ এর সরকার সবচেয়ে সফল, কারন অনিয়ম অনেকটাই দুর করেতে পেরেছিলো। আবাার সবচেয়ে ব্যার্থ, কারন স্বৈরাচেরের পথ সৃষ্টি করে দিয়ে গিয়েছিলো। আমার মনে হয় সেজন্যই এই সরকার ১/১১ এর মতো সাময়িক সফলতার চেয়ে দীর্ঘস্তায়ী সফলতার চেস্টা করছে। অবশ্য সবটুকুই আমাার নিজস্ব ধারনা।
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ১:৪৯
কামাল১৮ বলেছেন: স্বৈরাচারের পতন।