নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্ন নতুন কিছু শেখার এবং দেখার, ভ্রমণ করতে পছন্দ করি।

নূর সজিব

আমি নূর। বিভিন্ন দেশের ভাষা ও সস্কৃতিকে জানার অদম্য স্পৃহা এবং ভ্রমনপ্রেমী। লেখার প্রতি আগ্রহ আছে কিন্তু তেমন লিখতে জানি না শেখার স্পৃহা থেকেই সামুতে আগমণ।

নূর সজিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

চাকরির বয়সসীমা ৩৫ দাবি অযৌক্তিক

০১ লা অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১২:১৬


চাকরির বয়সসীমা ৩৫ দাবি অযৌক্তিক;
যেকোনো ফল পেঁকে গেলে খেতে মজা, বেশি পাকলে নষ্ট হয়ে যায়।

দাবি মেনে নিলে ২৫ বছর বয়সের তরুণদের বেকারত্ব বাড়বে, ৩৫ বছর বয়সীরা চাকরি পাবে। নতুন চাকরি প্রাপ্তির সীমা ৩০ করা হোক। সরকার ১০০% চাকুরী প্রাপ্তির নিশ্চয়তা দিক নয়তো একজন ২৫ অন্যজন ৩০ এক পদের বিপরীতে ইন্টারভিউ দিবে প্রতিষ্ঠান কিন্তু কম টাকায় ৩৫ বছর বয়সী কে প্রাধান্য দিবে কারণ বয়সের একটা অজুহাত আছে, আছে মৌন্য প্রাধান্য "সে বড় তোমার থেকে কাজটা ভালো পারবে টাকাও তোমার থেকে কম নিবে" তাই নয় কি?

একজন ৩৫ বয়সে সরকারি চাকরির আশায় ১০ বছর কাটিয়েছে ঘুরেফিরে ধরে নিলাম বই পড়েই। উনারা প্রাইভেট চাকরি করবে না, তাদের কথায় অন্য চাকুরি ভালো না লাগা বর্তমান। তাদের শুধুমাত্র সরকারি চাকরি চাই-ই-চাই! ভাই ঘুষ খাওয়া ছাড়া সরকারি চাকরির বিশেষ সুবিধা নাই। সম্মানজনক ভাবে কয়জন সরকারি চাকরি করে তা হাতে গণনা করা যায়। সরকারি চাকরির ঝোঁক বেশি কারণ, সরকারি স্কুলের সিংহভাগ শিক্ষক-শিক্ষিকাগণ বসে বসে ঝিমিয়ে দিন কাটায়, হালকা ক্লাস করে মাস শেষে বেতন তুলে। আর্মি, নৌ, বিমানবাহিনী ডিসিপ্লিন মানলেও অন্য বাহিনীর বেশিভাগ লোক দায়সাড়া কাজ করে দিনের-রাতের হিসাব দেন। সরকারি অফিসে কল টাইম ১০ টায় ১১ টায় প্রবেশ করলেও তেমন সমস্যা নাই, ইচ্ছে মত ছুটি ও ট্যুর দেওয়া যায়। কাজে মন না দিলেও চলে, ৫ মিনিটের কাজ সরকারি অফিস-ব্যাংকে ৩-৫ ঘন্টা লাগে। (চাকরিজীবিদের আরাম আর আরাম)

হোক সেটা প্রাইভেট কিংবা সরকারি চাকরি,

"হালাল আয়ে টাকা কম তবে বরকতময় জীবন যাপন করা যায়"

"প্রাইভেট চাকরির অনিশ্চয়তা থাকলেও, ৫ জন সরকারি চাকরিজীবির বেতন একটা নিদিষ্ট সময় পর একাই পাওয়া যায়" ১০০k*৫=৫০০k/= (একজন)


এদেশে বিয়ে করা কঠিন হয়ে পড়েছে, ৩৫ দাবি মেনে নিলে ৩৫ চাকরি ৪০ এ বিয়ে। এর আগে কেউ বিয়ে করতে চাইবে না বা বিয়ে দিবে না। গড় আয়ু ৭২ বছর এখন কেউ পারবেন ১২০ বছরে উন্নিত করতে? আল্লাহ ছাড়া কারো সাধ্য নাই। রিজিক আল্লাহর দান। আল্লাহর নামে কাজে লেগে যান।

৩৫ বয়সের কাছাকাছি লোকদের বলবো প্রাইভেটে চাকরি করেন বা ছোট চাকরি করেন পাশাপাশি লেখাপড়া করেন সরকারি চাকরি হলে হলো না হলে নাই। প্রাইভেট থেকে অভিজ্ঞতার সমন্বয়ে একদিন C-Suite চলে যাবেন কর্মের প্রতি নিষ্ঠাবান হলে। তবে, কেনো ভাই-বোনেরা ৩৫ - ৩৫ স্লোগান দিতে হবে?

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১:০২

আমি সাজিদ বলেছেন: উন্নত বিশ্বের মতো সরকারি চাকরিতে কোন বয়স সীমা থাকা উচিত নয়। সরকারি চাকরি চিরস্থায়ী হওয়াও উচিত নয়৷ একটা দেশের স্বৈরাচারী সরকার পতন হল, সরকারী চাকরি করার আন্দোলন থেকে ( আন্দোলন করার অনেক ইস্যু ছিল যদিও শেষে তা স্বৈরাচার পতনের আন্দোলনে ঠেকেছে)
আমার প্রশ্ন, মানুষের এত আগ্রহ কেন সরকারি চাকরির? বিগত দেড় যুগের ক্যাডার অফিসারদের পাওয়ার প্রাক্টিসের কারনে? করাপশনের কারনে? ধরাকে সরাজ্ঞান করার কারনে? কেন আগ্রহ?

একটা নির্বাচিত, গঠনমূলক সরকার হলে, দেশে করাপশন না থাকলে এইসব আন্দোলন শুরুতেই ভ্যালিডিটি হারাতো। জুলুমবাদ সরকার বলেই আর বৈষম্যময় ক্যাডার সার্ভিস বলেই এইসব চাকরির আন্দোলন ঠিকে গেছে।

সরকারি চাকরি আর আমলাদের ক্ষমতার লোভ আমরা জুলুমবাজ সরকার পতনের পরেও দেখতে পাই। সচিবালয়ে অস্থিরতা তৈরি করে পদায়ন, একদিনেই প্রমোশন এইসব ঘটনা ঘটেছেই আগস্টের পাঁচ তারিখের পরে।

০১ লা অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫১

নূর সজিব বলেছেন: গঠনমূলক সরকার এদেশে সম্ভব নয়। যখন যে সরকার প্রধান-ই আসুক নিদিষ্ট একটা গুষ্টি, জনস্রোত তার দিকে ভর করে অসাধু কাজ করে।
করাপশন সর্বত্র সর্বজনের রক্তে মিশে গেছে, গণ শিক্ষা ও জবাবদিহিতামূলক সরকার গঠন করতে পারলে করাপশন কমবে। সরকারি চাকরি মানে ক্ষমতা, প্রভূত্ব, টাকা এটা সবাই প্রেকটিস করতে চায়। বদলাবে কে?
এখনো সচিবালয়ে ঘুষ দিয়ে ডিসি আমলা নিয়োগ হয়, এখনো নেপোটিজম চর্চা হয়, সবার আলোচনায় কেন্দ্রে আসিফ নজরুল।

সরকারি চাকরির আন্দোলনের ব্যানারে সরকার পতন ছিলো মূখ্য উদ্দেশ্য - ইউনূসের মাস্টারমাইন্ডগণ

সরকারী চাকুরী এটা ইস্যু মাত্র। তাহলে বুঝেন একটা "সরকারী চাকরি" এটা তারা গবেষণা করে বের করেছে যা দ্বারা এদেশের সম্পূর্ণ নাগরিকরের আলোচনা ও আবেগের কেন্দ্রে থাকা যাবে। ভাবুন তো কতোটা সরকারী চাকরির মোহ থাকলে মানুষ একত্র হতে পারে?

২| ০১ লা অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১:২১

রিফাত হোসেন বলেছেন: আপনার পোস্টের যুক্তিগুলো উপযুক্ত মনে হয় নি। ঠিক তেমনি তাদের ৩৫ সংখ্যাকেও অর্থহীন মনে হয়েছে৷

বয়সের বিচারে না হয়ে যোগ্যতার বিচারে ক্ষমতা, চাকরি সব হওয়া উচিত। আপনার/আমার যদি যোগ্যতাই না থাকে তাহলে বয়স দিয়ে কোটা বেধে দেওয়া উচিত নয়। শারীরিক অক্ষমতা থাকলে তাদের সাথে স্বাভাবিক কারো তুলনা চলবে না। ঠিক সেভাবেই সব স্বাভাবিক মানুষের মধ্যে বয়স দিয়ে বৈষম্য তৈরী ঠিক নয়। কেউ যদি ৪৫ এ কর্মঠ থাকে ২৫ বছরের যুবার তুলনায়, তাহলে কেন নয়?
কেন সে বঞ্চিত হবে? কেন সে সুযোগ পাবে না প্রতিযোগিতা করার?

০১ লা অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৮:২৭

নূর সজিব বলেছেন: আপনার মন্তব্যের বিবেচনায় কমপিটিশন তবে সেই বয়সের সাথেই হচ্ছে। আপনার প্রশ্ন কেউ যদি ৪৫ এ কর্মঠ থাকে ২৫ বছরের যুবকের তুলনায়, তাহলে কেন নয়?
কারণ সরকারী চাকুরী কেনো সেই একমাত্র ইন্ডিকেটর হবে যোগ্যতা বিচারের? আরো অনেক ক্ষেত্র আছে, ব্যবসা করুক, উদ্যোক্তা হোক, প্রাইভেট চাকরি করুক।
অন্য পেশায় কেনো যাবে না তারা? কম্পিটিশন ২৫ বছরের ছেলে মেয়ে ২৫ কিংবা ২৮ বছরের ছেলে-মেযের সাথে করতে পারে ৩৫ বছর বয়সীর সাথে কেনো করবে? ৩০ বছর বয়সে যারা নিজেদের জাহির করতে পারে নি তারা কিভাবে ৩৫ এ পারবে!

"তারা বঞ্চিত হচ্ছে না সেচ্ছায় নিজেদের বঞ্চিত করছে, বেকারত্বের মালা গলায় নিয়ে ঘুরছে"

৩| ০১ লা অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১:৪২

পবন সরকার বলেছেন: ৩৫ বছর বয়সে চাকরি হলে এটা কি শুধু যাদের বয়স বর্তমানে ৩৫ হয়েছে তারাই পাবে না যারা ২০ বছরের তরুণ আছে ভবিষ্যতে তারাও ৩৫ বছর পর্যন্ত চাকুরি পাবে।

একটা সরকারী চাকরির অভাবে অনেক মেধাবী ছেলে মেয়ের ভালো ঘরে বিয়ে হয় না।

প্রাইভেট চাকরি কোনদিন করেছেন? যদি প্রাইভেট চাকরি কোনদিন না করে থাকেন তাহলে আপনি প্রাইভেট চাকরির জ্বালা কি জীবনেও বুঝবেন না। প্রাইভেট চাকরি করা অতো সহজ নয়, প্রত্যেকদিন বালিশের তলে চাকরি নিয়ে ঘুমাতে হয় সকালে উঠে দেখা যায় চাকরি নাই। প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানেও চাপাবাজের অভাব নাই তাদের জ্বালায় অযোগ্য লোক প্রমোশন পায় আর যোগ্য লোক চাকরি হারায়।

০১ লা অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৮:১৫

নূর সজিব বলেছেন: আপনি মনে হয় Rat Race এ আছেন নয়তো পৃথিবীতে নতুন, প্রবাদে আছে আঙ্গুর ফল টক! কেনো টক সে লাফ দিয়েও গাছ থেকে পারতে পারি নি।
জ্বী, আমি পুরোদস্তুর একজন প্রাইভেট চাকরিজীবী। হ্যাপা, কষ্ট, আরাম, কর্পোরেট পলিটিক্স সর্বত্র বিরাজমান। সরকারী চাকরি অজুহাত মাত্র। আপনার সরকারি চাকরি হলে বসে বসে বেতন পাবেন মনে হয় এজন্যই এত বেসরকারি চাকরী ঘৃণা করেন। আর করাপশন সরকারী চাকরিতে সবচেয়ে বেশি হয়। করাপশন আর করাপ্টেড লোক সরকারী চাকরির প্রধান ভিত্তি।

৪| ০১ লা অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১:৪৫

নতুন বলেছেন: সরকারী চাকুরীর মজা দূনিতিতে। সবাই টাকা আয় করতে চায়।

যদি সরকারী চাকুরীর নিয়ম না পাল্টানো যায় তবে দেশে পরিবর্তন সম্ভবনা।

দূনিতি করলে চাকুরী চলে যাবে, HR বিভাগটেকে ঢেলে সাজাতে হবে, চাকুরীদের দুনিতির বিচার হতে হবে।

বেসরকরারীদেরও পেনশনের একটা ব্যবস্থা করতে হবে, যাতে চাকুরী বা ব্যবসা যাই করুক শেষ বয়সে সাভাবিক জীবন জাপনের একটা নিরাপত্তা থাকে।

০১ লা অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৮:২৩

নূর সজিব বলেছেন: সঠিক কইছেন ভাই! ভবিষ্যতের নিরাপত্তা দরকার।
যত দুনীতি করুক, ঘুষখোর হোক চাকরি যাবে না এজন্য সরকারী চাকরি মজা।
অডিট, ছাঁটাইয়ের ভয় থাকলে সরকারী ঘুঘুও সোজা হইয়া যাইবো।

৫| ০১ লা অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৫:০৫

ধুলো মেঘ বলেছেন: একটা তরুণ সাধারণত ২৪ বছর বয়েসেই গ্র্যাজুয়েশন কমপ্লিট করে। ২৫ বছর বয়েস থেকে চেষ্টা করে গেলে ৩০ বছর বয়েস পর্যন্ত সে কম করে হলেও ৩ টি পাবলিক সার্ভিস পরীক্ষায় আবেদন করতে পারে। তিনটি পরীক্ষাতেও যে যোগ্যতা অর্জন করবেনা - সে কোন আশায় আবারো পরীক্ষা দিতে হলে যাবে? তার কি জীবনে আর কিছুই করার নেই?

০১ লা অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৫

নূর সজিব বলেছেন: এরা Rat Racing এ busy তাদের ধ্যান জ্ঞান একটাই সরকারি চাকরি। নিজের পন্ডিত জাহিরের নেশায় বেকারত্বের বীজ বুনছে। কথায় আছে যার হয় না ৯-এ, তার হবে না ৯০-এ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.