নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি বিশুদ্ধ কোন মানব নই, তুমি তোমার মত করে শুদ্ধ করে নিও আমায়।

ডার্ক ম্যান

...

ডার্ক ম্যান › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুসলিম রেনেসাঁর কবি খ্যাত ফররুখ আহমদ

১৯ শে অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৯



আজ কবি ফররুখ আহমদের মৃত্যুবার্ষিকী । ১৯৭৪ সালের ১৯শে অক্টোবর ঢাকায় তিনি মারা যান । তাঁর জন্ম ১৯১৮ সালের ১০ ই জুন ।

কলকাতায় ১৯৪৩ সালে আই.জি.প্রিজন অফিসে তাঁর কর্মজীবন শুরু হয় ।১৯৪৪ সালে সিভিল সাপ্লাইতে এবং ১৯৪৬ সালে জলপাইগুড়িতে একটি ফার্মে চাকরি করেন। মাসিক মোহাম্মদীর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

দেশ বিভাগের পর ঢাকা বেতারে যোগ দেন ১৯৪৮ সালে । প্রথমে অনিয়মিত হিসেবে এবং পরে নিয়মিত স্টাফ আর্টিস্ট হিসেবে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন। (ক)

কাব্যগ্রন্থ

সাত সাগরের মাঝি (ডিসেম্বর, ১৯৪৪)[১১]
নতুন কবিতা (১৯৫০
সিরাজাম মুনীরা (সেপ্টেম্বর, ১৯৫২)
নৌফেল ও হাতেম (জুন, ১৯৬১)-কাব্যনাট্য
মুহূর্তের কবিতা (সেপ্টেম্বর, ১৯৬৩)
ধোলাই কাব্য (জানুয়ারি, ১৯৬৩)
হাতেম তায়ী (মে, ১৯৬৬)-কাহিনীকাব্য
নতুন লেখা (১৯৬৯)
কাফেলা (অগাস্ট, ১৯৮০)
হাবিদা মরুর কাহিনী (সেপ্টেম্বর, ১৯৮১)
সিন্দাবাদ (অক্টোবর, ১৯৮৩)
দিলরুবা (ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৪) (ক)

শিশুতোষ গ্রন্থ

পাখির বাসা (১৯৬৫)
হরফের ছড়া (১৯৭০)
চাঁদের আসর (১৯৭০)
ছড়ার আসর (১৯৭০)
ফুলের জলসা (ডিসেম্বর, ১৯৮৫) (ক)

পুরস্কার
বাংলা একাডেমি পুরস্কার(১৯৬০)
প্রেসিডেন্ট পদক প্রাইড অব পারফরমেন্স(১৯৬৫)
আদমজী সাহিত্য পুরস্কার ও ইউনেস্কো পুরস্কার(১৯৬৬)
মরণোত্তর একুশে পদক(১৯৭৭) ও স্বাধীনতা পদক(১৯৮০) (ক)

কবি ফররুখ আহমদের মৃত্যুকে এক ধরনের আত্মহত্যা মনে করতেন আহমদ ছফা। কবি যখন অসুস্থ হয়ে বিনা চিকিৎসায় দিন কাটাচ্ছিলেন তখন আহমদ ছফা পত্রিকায় কলাম লিখেছেন।

ফররুখ আহমদ ছিলেন অত্যন্ত শক্তিশালী কবি, এতে কেউ দ্বিমত পোষণ করেন না। কিন্তু তাঁর চেতনা সময় এবং সমাজের সঙ্গে বিকশিত হতে পারেনি। সেইটি হল মুশকিল। শুধু ফররুখ নন, অনেক বড় বড় কবি শিল্পী এই অহমটাকে একটা আদর্শ মনে করেছেন। যেমন এজরা পাউন্ডের মত কবি, ন্যূট হামসুনের মত লেখক, হিটলারের সমর্থক হয়ে গেলেন। ফররুখ অত্যন্ত সং এবং আত্মসম্মানবোধ সম্পন্ন মানুষ ছিলেন। তিনি পাকিস্তানকে সমর্থন করে গেছেন। কিন্তু নিজে ফায়দা নেননি। তাঁর বিশ্বাসটা নিজেরই বিশ্বাস ছিল, শাসকগোষ্ঠীর ইসলামের সঙ্গে কোন সম্পর্ক ছিল না। জীবনে তিনি কোনদিন পাকিস্তান যাননি। আইয়ুব খান যখন তাঁর জন্য খেতাব পাঠালেন, গ্রহণ করতে অস্বীকার করলেন। পরে সেই খেতাব মুনীর চৌধুরীকে দেয়া হয়। এই রকম একজন মানুষও তো অনাদর-অবহেলায় মারা গেলেন, মনে করলে খুব কষ্ট পাই। আমি যখন শুনলাম, ফররুখের একটা মেয়ে বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছে, এই তথাকথিত মুসলমান যাঁরা ফররুখকে নিয়ে নাচানাচি করছে তখন তাদের সকলের ঘরে ঘরে গেছি। কেউ কিছু করল না দেখে কাগজে একটি নিবন্ধ লিখে আমাকেই প্রতিবাদ করতে হয়। আমার এই লেখার কারণেই তৎকালীন মুজিব সরকারকে ফররুখকে চাকরির বকেয়া মাইনে এবং চাকরি ফেরত দিতে হয়। একগুঁয়ে মানুষদের যা হয়ে থাকে ফররুখের ক্ষেত্রেও তাই-ই হয়েছিল। একগুঁয়ে লোকেরা তাদের গোঁ টাকেই বিশ্বাস বলে প্রমাণ করতে চায়। ইসলামী আদর্শের কারণে ফররুখ আহমদের এভাবে করুণ মৃত্যু হল, এটাও বলা যাবে না। ইসলামী বিশ্বাস মানুষকে আত্মহত্যার প্রেরণা দেয় না।


তাঁর মৃত্যু এক ধরনের আত্মহত্যা বটেই। একটা জনগোষ্ঠী জাতীয়তাবাদের দাবিতে জেগে উঠেছে, তিনি সেটাকে সমর্থন করতে পারলেন না। আবার পাকিস্তানি ঘাতকদের সঙ্গেও একমত পোষণ করতে পারলেন না। তার ফলে একধরনের বিচ্ছিন্নতাবোধ, যার প্রকৃতি অত্যন্ত নির্মম।

আহমদ ছফা একটা নাতিদীর্ঘ লেখা লিখেছিলেন । ফররুখ ব্যক্তিগতভাবে আহমদ ছফাকে বিশেষ পছন্দ করতেন না। তবে লেখাটি পড়ে তিনি খুব খুশি হয়েছিলেন এবং ছফাকে দোয়া করে গেছেন।



আমি বলেছিলাম, অনেক অপরাধী মুক্তিযোদ্ধার পরিচয় দিয়ে সুযোগ- সুবিধে নিচ্ছে। অনেক রাজাকার আলবদর পার পেয়ে যাচ্ছে। ফররুখ আহমদকে একা কেন শাস্তি ভোগ করতে হবে? এই মেধাশালী কবির যদি অবিচারের কারণে মৃত্যু হয়, পরবর্তী বংশধরেরা আমাদের দায়ী করবে। আনন্দের কথা হল, মুজিবসরকার লেখাটির যথার্থতা অনুধাবন করতে পেরেছিলেন এবং মীজানুর রহমান চৌধুরী সাহেব ফররুখ আহমদের বাড়িতে গিয়ে মাইনের টাকা শোধ করেছিলেন। তখন তিনি ইনফরমেশন মিনিস্টার।
(খ)


. ঝরোকা কবিতা

সকল রুদ্ধ ঝরোকা খুলে দাও

খুলে দাও সকল রুদ্ধ দরোজা।

আসুক সাত আকাশের মুক্ত আলো

আর উচ্ছল আনন্দের মত

বাগে এরেমের এক ঝাঁক মৌমাছি .. ..

যেন এই সব পাথরের ফুলের মাঝখান থেকে

আমি চিনে নিতে পারি

রক্তমনির চেয়েও লাল সুনভিত

একটি তাজা রক্ত গোলাপ;

আমার ব্যথিত আত্মা আর্তনাদ করে উঠলো

দাউদের পুত্র সোলায়মানের মতো

কেননা দ্বিধা-দ্বন্দ্বের আকাশ আছে পৃথিবীতে

চিরন্তন শুধু সত্যের অন্বেষা।

তথ্যসুত্রঃ ছবি - উইকিপিডিয়া
ক- উইকিপিডিয়া
খ- আহমদ ছফার সাক্ষাৎকারসমূহ

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৯

সোনাগাজী বলেছেন:



উনার জন্ম ১৯৩৮ সাল।
তিনি ১৯৪৩ সাল আইজি প্রিজনে কাজ শুরু করলেন? ৬ বছর বয়সে?

উনার জন্ম ১৯৩৮ সালে নয়। লিখার পর পড়ে দেখবেন।

১৯ শে অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৮:৫৮

ডার্ক ম্যান বলেছেন: ঠিক করে দিয়েছি। ১৯১৮ সাল হবে

২| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩৫

জুল ভার্ন বলেছেন: আপনি এমন একজনকে নিয়ে লিখেছেন তার সম্পর্কে মন্তব্য করাও অন্তত আমার জন্য বিপজ্জনক! তারপরও মন্তব্য করছি- আপনি আমার কিছু পোস্টে মন্তব্য করেন- সেই দাবীতে।
বাঙালি 'মুসলিম রেনেসাঁর কবি' হিসেবে পরিচিত ফররুখ আহমদ তার কবিতায় বাংলার অধঃপতিত মুসলিম সমাজের পুনর্জাগরণের অণুপ্রেরণা যুগিয়েছেন। এই কবি ইসলামী ভাবধারার বাহক হলেও তাঁর কবিতা প্রকরণকৌশল, শব্দচয়ন এবং বাক্প্রতিমার অনন্য বৈশিষ্টে সমুজ্জ্বল। আধুনিকতার সকল লক্ষণ তার কবিতায় পরিব্যাপ্ত। রোমান্টিকতা থেকে আধুনিকতায় উত্তরণের ধারাবাহিকতায় ফররুখ আহমদের সৃষ্টিশীলতা মৌলিক বলে সর্বজন স্বীকৃতি পেয়েছে।

অথচ কবি ফররুখ আহমদের জীবনে নেমে এসেছিলো এক অনামিশা। তার একমাত্র অপরাধ তিনি একদা পাকিস্তানের সপক্ষে কবিতা লিখেছেন। তাঁর কবিতার জীবনাদর্শ দুষ্টলোকের ভাষায় "ইসলামি জীবনাদর্শ"। তখন কি পাকিস্তানের সপক্ষে কবিতা লেখা অপরাধ ছিল? অথচ পাকিস্তান এবং ইসলাম নিয়ে লেখেননি এমন কোন কবি-সাহিত্যিক বাংলাদেশে নেই বললেই চলে। অন্য অনেককে বাদ দিয়েও কবি সুফিয়া কামালের পাকিস্তান এবং জিন্নাহর ওপর নানা সমযে লেখা কবিতাগুলো জড়ো করে প্রকাশ করলে মহাকাব্য হবে। অথচ ভাগ্যের কি পরিহাস স্বাধীন বাংলাদেশে যখন কবি সুফিয়া কামাল, ডক্টর নীলিমা ইব্রাহীম, কবির চৌধুরী গং বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক প্রতিনিধি হয়ে মস্কো-ভারত-জার্মানি ইত্যাদি দেশ সফর করে বেড়াচ্ছেন, তখন ফররুখ আহমদ পত্রিকা আর বেতারের চাকরি হারিয়ে রুদ্ধদ্বার কক্ষে ক্ষুধা অপমান আর লাঞ্ছনায় মৃত্যুর দিন গুনছেন।

ফররুখ আহমদের বিরুদ্ধে আরেকটি অভিযোগ আরবি-ফারসি শব্দ ব্যবহার করে বাংলাভাষার সতীত্ব হানি করেছেন। কিন্তু কবি ফররুখ আহমদ নিজে বলেছেন, তিনি শব্দ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন, কবিতার ক্ষেত্রে তা নিশ্চয়ই দোষনীয় নয়। বিশেষত বাংলাদশে এমন একটা সময় ছিল, কবি-সাহিত্যিকেরা উর্দু, ফারসি ঘেঁষা দেখাতে পারলে বর্তে যেতেন। তাদের অনেকেই এখন বাংলাদেশ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন রয়েছেন। তাছাড়া ইংরেজি, জার্মান, সংস্কৃত ইত্যাদি ভাষা নিয়ে যাঁরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে কবিতা, গল্প লিখতে চেষ্টা করেছেন, তাঁদেরকে সে সকল রচনার জন্য পুরস্কৃত করতেও আমাদের বাধছে না। অন্য কবি-সাহিত্যিক সকলে বাইরে রয়েছেন। কিন্তু শাস্তি ভোগ করছেন একা ফররুখ আহমদ! ফররুখ আহমদের বিরুদ্ধে যে দু’টি উল্লেখযোগ্য নালিশ রয়েছে, সেগুলো হল- তিনি রবীন্দ্রনাথের বিরুদ্ধে চল্লিশজন স্বাক্ষরকারীর একজন। তিনি স্বশ্রদ্ধভাবে পাকিস্তানকে সমর্থন করেছেন।

কিন্তু স্বাক্ষরদানকারী চল্লিশজনের অনেকেই তো এখনো বাংলাদেশ সরকারের বড় বড় পদগুলো অলংকৃত করে রয়েছেন। কিন্তু ফররুখ আহমদকে একা কেন শাস্তি ভোগ করতে হবে? পাকিস্তানের সমর্থক ছিলেন না কে? আজকের বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী (শেখ মুজিব) স্বয়ং তো এক সময়ে পাকিস্তান আন্দোলনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন। সাতই মার্চের পূর্ব পর্যন্ত তিনি পাশাপাশি জয়-বাংলা এবং জয়-পাকিস্তান শব্দ দু’টো উচ্চারণ করেছিলেন, তাহলে ফররুখ আহমদের অপরাধটা কোথায়?

১৯ শে অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৯:০৩

ডার্ক ম্যান বলেছেন: আহমদ ছফা লিখেছেন,
আমি যখন শুনলাম, ফররুখের একটা মেয়ে বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছে, এই তথাকথিত মুসলমান যাঁরা ফররুখকে নিয়ে নাচানাচি করছে তখন তাদের সকলের ঘরে ঘরে গেছি। কেউ কিছু করল না দেখে কাগজে একটি নিবন্ধ লিখে আমাকেই প্রতিবাদ করতে হয়। আমার এই লেখার কারণেই তৎকালীন মুজিব সরকারকে ফররুখকে চাকরির বকেয়া মাইনে এবং চাকরি ফেরত দিতে হয়। একগুঁয়ে মানুষদের যা হয়ে থাকে ফররুখের ক্ষেত্রেও তাই-ই হয়েছিল। একগুঁয়ে লোকেরা তাদের গোঁ টাকেই বিশ্বাস বলে প্রমাণ করতে চায়। ইসলামী আদর্শের কারণে ফররুখ আহমদের এভাবে করুণ মৃত্যু হল, এটাও বলা যাবে না। ইসলামী বিশ্বাস মানুষকে আত্মহত্যার প্রেরণা দেয় না।


তাঁর মৃত্যু এক ধরনের আত্মহত্যা বটেই। একটা জনগোষ্ঠী জাতীয়তাবাদের দাবিতে জেগে উঠেছে, তিনি সেটাকে সমর্থন করতে পারলেন না। আবার পাকিস্তানি ঘাতকদের সঙ্গেও একমত পোষণ করতে পারলেন না। তার ফলে একধরনের বিচ্ছিন্নতাবোধ, যার প্রকৃতি অত্যন্ত নির্মম।
আমি যখন শুনলাম, ফররুখের একটা মেয়ে বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছে, এই তথাকথিত মুসলমান যাঁরা ফররুখকে নিয়ে নাচানাচি করছে তখন তাদের সকলের ঘরে ঘরে গেছি। কেউ কিছু করল না দেখে কাগজে একটি নিবন্ধ লিখে আমাকেই প্রতিবাদ করতে হয়। আমার এই লেখার কারণেই তৎকালীন মুজিব সরকারকে ফররুখকে চাকরির বকেয়া মাইনে এবং চাকরি ফেরত দিতে হয়। একগুঁয়ে মানুষদের যা হয়ে থাকে ফররুখের ক্ষেত্রেও তাই-ই হয়েছিল। একগুঁয়ে লোকেরা তাদের গোঁ টাকেই বিশ্বাস বলে প্রমাণ করতে চায়। ইসলামী আদর্শের কারণে ফররুখ আহমদের এভাবে করুণ মৃত্যু হল, এটাও বলা যাবে না। ইসলামী বিশ্বাস মানুষকে আত্মহত্যার প্রেরণা দেয় না।


তাঁর মৃত্যু এক ধরনের আত্মহত্যা বটেই। একটা জনগোষ্ঠী জাতীয়তাবাদের দাবিতে জেগে উঠেছে, তিনি সেটাকে সমর্থন করতে পারলেন না। আবার পাকিস্তানি ঘাতকদের সঙ্গেও একমত পোষণ করতে পারলেন না। তার ফলে একধরনের বিচ্ছিন্নতাবোধ, যার প্রকৃতি অত্যন্ত নির্মম।

১৯ শে অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৯:০৫

ডার্ক ম্যান বলেছেন: পাকিস্তানের সমর্থক ছিলেন না কে? আজকের বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী (শেখ মুজিব) স্বয়ং তো এক সময়ে পাকিস্তান আন্দোলনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন। সাতই মার্চের পূর্ব পর্যন্ত তিনি পাশাপাশি জয়-বাংলা এবং জয়-পাকিস্তান শব্দ দু’টো উচ্চারণ করেছিলেন, তাহলে ফররুখ আহমদের অপরাধটা কোথায়? [/sb

২৬ মার্চের স্বাধীনতা ঘোষণার সময় থেকে বঙ্গবন্ধু তো আর জয় পাকিস্তান বলেন নি

৩| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৩

কামাল১৮ বলেছেন: মুসলিম রেনেসাঁ মূল রেনেসাঁর সাথে সাংঘর্ষিক।রেনেসাঁ হলো চিন্তা জগতে পরিবর্তন।যেটা হয়েছিলো ইউরোপ জুড়ে সমাপ্তি হয়েছিলো ফরাসী বিপ্লবের মাধ্যমে।
মুসলমানদের চিন্তা জগতে পরিবর্তনের কোন সুযোগ নাই।জারাই চাইবে তাদের কল্লা ফেলে দিবে মৌলবাদিরা।তারা চেয়ে ছিলে তাদের পূর্ব গৌরব ফিরে পেতে।আবার ভারত শাসন করতে।যেটা তারা কয়েকশ বছর করেছে।কিছু কবি সাহিত্যিক দিবাস্বপ্ন দেখছিলো।ফররুখ আহমদ তাদের একজন।নজরুলও এমন কিছু কবিতা লিখেছেন।কিন্তু তার বেশির ভাগ কবিতাই মানবতাবাদী।সেখানে আছে মানুষের জয়গান

১৯ শে অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৯:০৮

ডার্ক ম্যান বলেছেন: কাজী নজরুল ইসলামকে একসময় নাস্তিক ডাকা হত । আর এখন তাঁকে ইসলামি কবি বলে ডাকা হয়

৪| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৮:০১

সোনাগাজী বলেছেন:



উনি আসলে কবি ছিলেন না, ছন্দাকারে বাংলা লিখতেন; উনি পাকিস্তানী সরকারের রাজকবি ছিলেন।

১৯ শে অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৯:০৯

ডার্ক ম্যান বলেছেন: পাকিস্তান সরকারের চাকরি অনেক বড় বড় কবি করেছেন। কবি শামসুর রাহমানও মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান সরকারের চাকরি করেছিলেন

৫| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২৪ রাত ১১:৩১

আজব লিংকন বলেছেন: বিনম্র শ্রদ্ধা ❣

২০ শে অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১২:২৪

ডার্ক ম্যান বলেছেন: মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ

৬| ২০ শে অক্টোবর, ২০২৪ রাত ১:৩৪

আহরণ বলেছেন: তিনি ঢাকা বেতারে যোগ দেন ১৯৪৮ সালে। কিন্তু ১৯৭২ এ বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ঢাকা বেতারের চাকরি কী হলো? রাজাকার Connection ছিল নাকি, @ ভাইয়া??

২০ শে অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১২:২৫

ডার্ক ম্যান বলেছেন: চাকরি চলে গিয়েছিল। তিনি পাকিস্তানকে সমর্থন করেছিলেন মুক্তিযুদ্ধের সময়

৭| ২০ শে অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪

আহরণ বলেছেন: লেখক বলেছেন: চাকরি চলে গিয়েছিল। তিনি পাকিস্তানকে সমর্থন করেছিলেন মুক্তিযুদ্ধের সময়

তাহলে তো এই ব্যাটা কুখ্যাত রাজাকার। এর জন্য কোন sympathy নেই আমার। Sorry ভাইয়া!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.