নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখক- মহিউদ্দিন আহমদ
প্রকাশক- বাতিঘর (,চট্টগ্রাম)
প্যারিসভিত্তিক একটি আন্তর্জাতিক সংগঠন রিপোর্তিয়ের্স সঁস ফ্রঁতিয়ের্স (রিপোর্টার্স সানস ফ্রন্টিয়ার), সংক্ষেপে আরএসএফ। আর ইংরেজিতে যেটি রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার। এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতেন সাংবাদিক সালিম সামাদ।
কোথাও কোনো সাংবাদিককে হয়রানি করা হলে বা তাঁর ওপর হামলা হলে সেটা যাচাই বাছাই করে প্রতিবেদন পাঠান তিনি।
২০০১ সালের অক্টোবর মাসে জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার বিজয়ী হয়ে সরকার গঠনের পর শুরু হয় বিরোধী দল ও হিন্দুদের উপর নির্যাতন। সব খবর প্রকাশ করা না গেলেও কিছু খবর পত্রিকায় প্রকাশিত হতে থাকে। পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ প্রকাশের জের ধরে কোন কোন সাংবাদিকও নির্যাতনের শিকার হন। সালিম সামাদ তাদের নিয়ে দৌঁড়াদৌঁড়ি করার সময় বিখ্যাত টাইম ম্যাগাজিন তাঁর সাথে যোগাযোগ করে অন্য একটা বিষয় নিয়ে।
ইন্দোনেশিয়ায় একজন জিহাদি আটক হয়েছে যার ট্রেনিং হয়েছিল বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের জিহাদি ক্যাম্পে। চেচনিয়ার কিছু লোকের ট্রেনিং হয়েছিল এখানে।
এরই মাঝে সালিম সামাদ আজকের কাগজে অফিসে গেলেন অন্য কাজে। চিফ রিপোর্টারের টেবিলে নিউজের ফাইলে একটা খবর দেখে তাঁর চোখ আটকে যায়।
চিটাগং থেকে আজকের কাগজের রিপোর্টার তসলিম পার্বত্য চট্টগ্রামের গহীন জঙ্গলে অস্ত্র কেনাবেচার সচিত্র প্রতিবেদন পাঠিয়েছেন।
সালিম সামাদ তসলিমের সাথে যোগাযোগ করেন। তসলিমের সহায়তায় তিনি নাইক্ষ্যংছড়ির সেই ট্রেনিং ক্যাম্পের কাছাকাছি যান।
সালিম সামাদের সাথে এক বিয়ের অনুষ্ঠানে পরিচয় হয় সদ্য অবসরে যাওয়া কর্নেল মতির সাথে যিনি একসময় কাজ করতেন গোয়েন্দা সংস্থায়। সালিম সামাদ নাইক্ষ্যংছড়ি ক্যাম্পের কথা তুলতেই কর্নেল মতি স্বীকার করেন। এটা ৬ মিলিয়ন ডলারের প্রজেক্ট বলে জানালেন কর্নেল মতি। এরপর সালিম সামাদ টাইম ম্যাগাজিনের কাছে রিপোর্ট পাঠান।
দিল্লিতে বসবাসরত টাইম ম্যাগাজিনের রিপোর্টার অ্যালেক্স পেরি ঢাকায় আসেন সালিম সামাদের সাথে দেখা করতে। হোটেল সোনারগাঁওয়ের কিচেন রুমে গোয়েন্দাদের নজরদারি এড়িয়ে সালিম সামাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
২০০২ সালের ২১শে অক্টোবর এশিয় এডিশনে "ডেডলি কার্গো" শিরোনামে প্রতিবেদনটি ছাপা হয়। নিরাপত্তাজনিত কারণে সালিম সামাদের পরিবর্তে অথর হিসেবে অ্যালেক্স পেরির নাম ব্যবহার করা হয়।
টাইম ম্যাগাজিনের রিপোর্টের পর গোয়েন্দারা মোল্লা আমজাদ হোসেন নামক এক সাংবাদিককে ধরে নির্যাতন করেন অথচ তিনি কিছুই জানতেন না। তারপর তারা সালিম সামাদকে সন্দেহ করে তার উপর নজরদারি শুরু করেন।
টাইম ম্যাগাজিনের রিপোর্টের পর ইংল্যান্ডের চ্যানেল ফোর এটা নিয়ে ডকুমেন্টারি করার জন্য সালিম সামাদের সাথে যোগাযোগ করে।
চ্যানেল ফোরের দুইজন সাংবাদিক বাংলাদেশে আসেন। তারা তাদের কাজ শুরু করেন।
সরকার দুই বিদেশি সাংবাদিক ও একজন দোভাষীকে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দেয়। সালিম সামাদও গ্রেপ্তার হন নানা নাটকীয়তার পর। সালিম সামাদকে নির্যাতন করা হয় শাহরিয়ার কবির ও মুনতাসীর মামুনের নাম বলার জন্য। কিন্তু এসপি কোহিনূর মিয়ার নির্যাতন সত্বেও তিনি তাদের নাম বলেন নি। কিন্তু তারপরও সরকার শাহরিয়ার কবির আর মুনতাসীর মামুনকে গ্রেপ্তার করে। অথচ এই ঘটনার কিছুই জানতেন না তাঁরা।
একসময় একে একে সবাই এই মিথ্যা মামলা থেকে ছাড়া পান। সালিম সামাদ হন দেশান্তরী। এ জার্নালিস্ট উইদাউট এ ন্যাশন।
১৫ ই অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ৯:০৪
ডার্ক ম্যান বলেছেন: গল্পের আদলে লেখা হলেও এটা বাস্তব
২| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৩:০৭
জুল ভার্ন বলেছেন: জাসদ নেতা লেখক মহিউদ্দিন সাহেবের লেখায় এমন ফ্যান্টাসি থাকাই স্বাভাবিক! [/sb
১৫ ই অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ৯:০৫
ডার্ক ম্যান বলেছেন: আপনাদের আয়নাঘরের মত ফ্যান্টাসিপূর্ণ
৩| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৩:২০
বিষাদ সময় বলেছেন: Where ignorance is bliss, Tis folly to be wise ....
কাজেই এখানে মূর্খ এবং কানা হয়ে থাকুন তাহলে ভাল থাকবেন।
১৫ ই অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ৯:০৬
ডার্ক ম্যান বলেছেন: সবাই কানা হয়ে থাকতে পারে না
৪| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৯:০৬
কামাল১৮ বলেছেন: জুল ভার্ন যে আয়না ঘরে ছিলো সেই কাহিনী আরো মর্মান্তিক।সেখানে কোন ফ্যান্টাসি নাই।
১৫ ই অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ৯:০৭
ডার্ক ম্যান বলেছেন: আয়নাঘরের কাহিনী পাবলিক আর খাচ্ছে না। গামছা বাবার কেরামতি সবাই ধরে ফেলছে
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ২:৩৯
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: দারুণ গল্প তো!