নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চেতনায় মুক্তিযোদ্ধা

সায়েমুজজ্জামান

কাজী সায়েমুজ্জামান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর। দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের স্কলারশিপ নিয়ে কিউং হি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড ট্রেড পলিসি বিষয়ে মাস্টার্স। জন্ম ১৯৮১ সালে চট্টগ্রাম শহরের দামপাড়ায়। তার পূর্বপুরুষ ছিলেন দক্ষিণাঞ্চলের বাউফলের ঐতিহ্যবাহী জমিদার কাজী পরিবার। ছাত্রজীবন থেকেই লেখালেখিতে হাতে খড়ি। তবে ১৯৯৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে তিনি সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত হন। তিনি যুগান্তর স্বজন সমাবেশের প্রতিষ্ঠাতা যুগ্ম আহবায়ক। ২০০৪ সালে তিনি দৈনিক মানবজমিন পত্রিকায় স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে যোগ দেন। পরে ইংরেজী দৈনিক নিউ এজ এ সিনিয়র প্রতিবেদক হিসেবে কাজ করেন। পরবর্তীতে ২৮ তম বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের একজন সদস্য হিসেবে সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, সহকারী কমিশনার (ভূমি), সিনিয়র সহকারী কমিশনার, সিনিয়র সহকারী সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে রেক্টর (সচিব) এর একান্ত সচিব হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনডিপিতে লিয়েনে চাকরি করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রোগ্রামে ন্যাশনাল কনসালটেন্ট হিসেবে কাজ করেছেন। শিল্প সচিবের একান্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন৷বর্তমানে সরকারের উপসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বাংলা ছাড়াও ইংরেজী, আরবী, উর্দ্দু ও হিন্দী ভাষা জানেন। ছোটবেলা থেকেই কমার্শিয়াল আর্টিস্ট হিসেবে পরিচিত ছিলেন। যেকোনো প্রয়োজনে ইমেইল করতে পারেন। [email protected]

সায়েমুজজ্জামান › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেশে ফিরেছেন ভালো, জনবিক্ষোভের কারণ হবেন না

১৭ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৬

গত ২০ ফেব্রুয়ারি চীন ফেরত ৪৫ ইউক্রেনীয় ও ২৭ বিদেশিকে নিয়ে একটি বিমান চীন থেকে ইউক্রেনে পৌঁছায়। পরে তাদের ছয়টি বাসে করে রাজধানী কিয়েভের দক্ষিণে একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পথে বিক্ষুব্ধ নাগরিকরা চীন ফেরতদের ওপর হামলা করে। তাদের বহন করা গাড়ি ভাংচুর করে। তারা রাস্তা অবরুদ্ধ করে বিভিন্ন জায়গায় আগুন লাগিয়ে দেয়। এতে পুলিশের সাথে সংঘর্ষ হয়। কয়েকজন আহত হয়। পরে বাধ্য হয়ে চীন ফেরত ব্যক্তিদের সাথে কোয়ারেন্টিনে যাওয়ার ঘোষণা দেন ইউক্রেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জোরিয়ানা স্কলেটস্কা।

দক্ষিণ কোরিয়ার মানুষ অনেক মানবিক। অথচ এরাও উহান থেকে নিজেদের নাগরিকদের স্বাগত জানায় নি। জিনসং ও আসান এলাকায় চীন ফেরতদের রাখা হবে- এখবরে গত ২৯ জানুয়ারি কয়েকশ লোক বিক্ষোভ করেন। তারা রাস্তার উপরে ট্রাক্টর রেখে পুরো এলাকা অবরুদ্ধ করে।

৩ ফেব্রুয়ারি ইন্দোনেশিয়ার নাগরিকদের চীন থেকে ফেরত নিয়ে যাওয়া হয়। এর খবরে আগের দিনই শতশত লোক নতুনা এয়ারপোর্টে গিয়ে বিক্ষোভ করে।

জাপানের ইয়োকোহামা বন্দরের কাছে আটক করা হয় বৃটিশ প্রমোদ জাহাজ ডায়মন্ড প্রিন্সেস। জাপানের মতো এমন একটি মানবিক দেশের লোকজনও শিপ থেকে লোকজন যাতে নামতে না পারে সেজন্য প্রতিবাদ করে। ফলে ভাইরাসে আক্রান্ত হলেও চিকিৎসার জন্যও নামার সুযোগ পায়নি কোনও যাত্রী। যাত্রীরা রুমের সামনে দাড়িয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়লেও মন গলেনি জাপানের। এতে বেশি সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হয়। জাহাজেই তাদের কোয়ারিন্টিন করা হয়।

আরেকটি বৃটিশ জাহাজ ক্যারিবীয় সাগরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। কোন ক্যারিবিয়ান দেশই জাহাজটিকে ভিড়তে দেয়নি। পরে কিউবা রাজনৈতিক কারণে জাহাজটিকে ভিড়তে দেয়।

আরেকটি প্রমোদতরী দ্য ওয়েস্টারডাম ক্রুজ সমূদ্রে ঘুরে তেল শেষ করে ফেলে। পাঁচটি দেশে আশ্রয় চেয়ে বিফল হয়। অথচ এর নাগরিকরা ছিল আমেরিকার। পরে কম্বোডিয়ার সরকার রাজনৈতিক কারণে জাহাজটিকে ভিড়তে দেয়।

এটাই বিশ্ব পরিস্থিতি। ইটালির কয়েকজন ইথোপিয়ার ঘুরতে গিয়েছিলেন। ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও তারা সেখানে থেকে গেছেন। বলেছেন, প্রয়োজনে জেল খাটবেন তবুও এখন দেশে ফিরবেন না।

২.০
আমাদের দেশের মানুষ অনেক মানবিক। রোহিঙ্গাদের মতো শিক্ষা-দীক্ষাহীন অপরাধপ্রবণ একটি জাতির লোকজনকেও তারা আশ্রয় দেয়ার জন্য জনমত গড়ে তুলেছিলো। সেখানে নিজেদের মানুষ তো ভিন্ন কথা। সাদরেই তাদেরকে গ্রহণ করছে। তবে বিদেশ ফেরত লোকজনের কাছে দেশবাসির একটাই চাওয়া। সবাই যেন সঠিকভাবে কোয়ারেন্টিন করে। অথচ কেউ কোয়ারিন্টিনে থাকতে রাজি নয়।

ইতোমধ্যে বিদেশ ফেরতদের পরিবারের সদস্যরা আক্রান্ত হয়েছে। বিদেশে থাকেন দেশে অর্থ পাঠান সবই ঠিক আছে। এ কারণে নিজের পরিবারকে দেশবাসিকে বিপদে ফেলবেন- এটা কেমন কথা। প্রবাসিদের কর্মকান্ডে দেশের মানুষ এখন ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। আল্লাহ না করুন, ধরুন কোন প্রবাসির কারণে কোন এলাকার লোকজন সংক্রমিত হলে সেখানে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশংকা আছে। প্রবাসিদের এটা মাথায় রাখা উচিত। নিজের জীবন দিয়ে হলেও দেশকে ভালো রাখা উচিত। বিশ্বের বর্তমান অবস্থা দেখেও কেন তারা পরিস্থিতি বুঝেন না।

আমি একটা জিনিস বুঝতে পারছিনা। উহান থেকে যারা ফিরেছিলেন তারা শিক্ষিত। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক থেকে অনেক গবেষক ছিলেন। বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা ছিলেন। তারা হাজী ক্যাম্পে থেকেছেন। এমন বিক্ষোভ করেন নি। অথচ ইটালি প্রবাসিরা একই ফ্যাসিলিটিতে দৃষ্টিকটু বিক্ষোভ করেছেন। দেশকে গালিও দিয়েছেন। একটা ভিডিওতে দেখলাম, একজন বলছেন, ২২ ঘন্টার বিমান যাত্রায় না কী বাচ্চারা খেতে পারেন নি। ডাহা মিথ্যা কথা। প্রতিটি বিমানে যথেস্ট খাবার দেয়া হয়। এমন মানিসকতার মানুষগুলো সঠিকভাবে হোম কোয়ারেন্টিন করবে বলে বিশ্বাস হয়না। এদেরকে কঠোরভাবে নজরদারিতে রাখা দরকার। এলাকার চৌকিদার এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন। আইনের কঠোর প্রয়োগ ছাড়া এরা কোয়ারিন্টিন করবেনা।

কোরিয়ায় একজন মহিলা আইন না মেনে অসুস্থতা নিয়ে চার্চের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সুপারস্প্রেডার হিসাবে পরিচিতি পেয়েছেন। তিনি ৩১ নম্বর রোগী হিসেবে বিখ্যাত হয়েছেন। করোনা ছড়িয়ে দিয়ে পুরা কোরিয়ার দুর্ভোগের কারণ হয়েছেন। আশা করি প্রবাসি বাংলাদেশিরা কেউ এমন হওয়ার চেষ্টা করবেন না। জনবিক্ষোভের কারণ হবেন না৷


দক্ষিণ কোরিয়া
১৭ মার্চ ২০২০

মন্তব্য ২৩ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:





চীন ফেরত ও ইটালী ফেরত প্রবাসী বাংলাদেশীদের মাঝে আকাশ পাতাল ফাঁরাক। এতো নোংরা ভাষা দেখে বোঝা যাচ্ছে কোন পরিবেশে চলা মানুষ আর কোন পরিবেশে বড় হওয়া।

ইটালী উন্নত দেশ হতে পারে কিন্তু ইটালী প্রবাসী ভিসা আদম ব্যবসায় জড়িত বাংলাদেশীরা কোন কারণে উন্নত মন মানসিকতার হবে?

১৭ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪২

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: কোন ক্রমেই দেশকে নিয়ে গালি দিতে পারেনা। দেশ সরকার কর্মকর্তা এসব এক না। অন্য দেশে সরকার কর্মকর্তাদের নিয়ে সমালোচনা করা হয়। তবে নিজের দেশকে নিয়ে গালি দেবে এমনটা দেখিনি।
বঙ্কিমচন্দ্রের ভাই সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তার পালামৌ ভ্রমণে লিখেছিলেন, বিদেশে বাঙালি মাত্রেই সজ্জন। তারা অন্য যে কোন দেশের লোকজনের চেয়ে আইন বেশি মানে। অথচ কী দেখলাম। এদিকে করোনা আক্রান্ত রোগীদের সংখ্যা বাড়ছে। দশজন হয়ে গেছে। এদের থেকে নিশ্চয়ই ছড়িয়েছে। সামনে কী হয় সেটাই দেখার বিষয়।

২| ১৭ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


ইতালীতে মানুষ গেছে আফ্রিকা হয়ে নৌকায়, কারণ তারা দেশে চাকুরী পায়নি; তাদের বড় অংশের কাছে লিগ্যাল কাগজপত্র নেই; দেশে ফেরাটা অনেকের জন্য শেষ ফেরা; ওদের যাওয়া-আসা, ২টার জন্য দায়ী সরকার ও দেশের অধিক সুবিধা ভোগীরা; আপনি কি অধিক সুবিধাভোগীদের ১ জন?

৩| ১৭ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩১

চাঁদগাজী বলেছেন:


যেসব বাংগালী নিজ দেশে কাজ না পেয়ে, বিনা ভিসায়, পায়ে হেঁটে, নৌকায় ইতালি, গ্রীস, দ: আফ্রিকা গিয়ে পরিবার পালন করছে, তাদের বেলায় এসব বালছাল লেখার সময় একটু পিগমী মগজটাকে কাজে লাগাবেন।

৪| ১৭ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




চাঁদগাজী ভাই,
আপনি ইতালী ও মালয়েশীয়া প্রবাসী বাংলাদেশী সম্পর্কে হয়তো ততোটুকু জানেন যতোটুকু ইতালী ও মালয়েশীয়া প্রবাসীরা আপনাকে জানিয়েছে। বিশ্বে প্রবাসী বাংলাদেশীদের মধ্যে সবচেয়ে করাপ্টেড বাংলাদেশী ইতালী ও মালয়েশীয়াতে থাকে। এরা একজন বাংলাদেশী আরেক জন বাংলাদেশীর টাকা আত্মসাৎ করে পথের ফকির করে ছেড়ে দেয়। ভিসা পাসপোর্ট ব্যবসার নামে প্রতিনিয়ত চলে হটকারী। ইতালী ও মালয়েশীয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন অফিস দেখে মনে হয় একটি খুবই নিম্নমানের দালাল (দাল্লা) হাউজ।

খুবই নোংরা বিষয় যা ব্লগে লিখতেও ঘৃণা করে। আমার কাছে মনে হয়েছে বাংলাদেশের ওয়েস্টেজ লোকগুলো সম্ভবত ইতালী, মালয়েশীয়া ও জাপানে অবস্থান করছে।







৫| ১৭ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৮:১৯

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: প্রবাস ফেরত মানুষদের বিপক্ষে বিক্ষোভ করায় অবস্থায় দেশ নেই। দেশের বেশিরভাগ ফ্যামিলিই প্রবাসীদের উপর নির্ভরশীল।

সরকারের মানুষ, সাধারণ পাব্লিক সবার সচেতন থাকা উচিত। (প্রবাসীদের মধ্যেও ভালো-মন্দ লোক আছে, সবাইকে খারাপ ভাবা ঠিক হবে না।)

১৭ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১১:১৩

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: সস্তা আবেগ রাখলে বিপদ৷ একজন দুইজন করে এগিয়ে যাচ্ছে রোগীর সংখ্যা৷ কোরিয়াতেও প্রথম দিকে এমন ছিলো৷ প্রবাসীদের কাছে তো বেশি কিছু চাওয়ার নেই৷ তারা মাত্র চৌদ্দ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন৷ তারা সঙ্গ নিরোধ না করায় তাদের পরিবার আক্রান্ত হয়েছে৷ আজকে বগুড়ায় এক পরিবারকে একঘরে করা হয়েছে৷ শরীয়তপুরের দুই জায়গায় জরিমানা করা হয়েছে৷ দুই এক দিনের মধ্যে দেখবেন গণপিটুনির সংবাদ৷
কোরানার রোগী বাড়বে৷ আর অস্থিরতা বাড়বে৷ কোন বিদেশির কারণে কোন এলাকার মানুষ আক্রান্ত হলেই দেখবেন৷
ধন্যবাদ আপনাকে৷

৬| ১৭ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৮:৫৯

ঢাবিয়ান বলেছেন: আমার বাচ্চা ২২ ঘণ্টা কিচ্ছু না খাইয়া আছে"

গতকাল ইতালি ফেরত প্রবাসীদের দীর্ঘ বিমান যাত্রার পর হাজী ক্যাম্পে যখন ঢুকানো হয় তখন যেখানে না ছিল কোনপ্রকার খাবার বা বিশ্রামের ব্যবস্থা।

উল্লেখ্য এই হাজী ক্যাম্পটি মাত্র গতকালই ধর্ম মন্ত্রানালয় থেকে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ে হস্তগত করা হয়েছিল। ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করারও সময় হয়নি, ছিল না বিছানাপত্তর কিছুই।

বাথরুমের অবস্থা যাচ্ছেতাই। আশকোনা হাজী ক্যাম্পে যদি কেউ গিয়ে থাকেন তবে জানেন অপরিছন্ন, ময়লা, মশার আখড়া এই ক্যাম্পে সুস্থ মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়বে সেখানে দীর্ঘ বিমান যাত্রার পর আচমকা ওদের সেখানে ঢুকানো হয়। তাঁরা সেখানে কতদিন থাকবে, তাদের নিয়ে প্ল্যান কি সেসবের কিছুই ঠিকমত ব্রিফিং করা হয়নি।

এরুপ চরম অব্যবস্থাপনার দায়ভার যাদের তাদের কথা প্রকাশ হয়নি।

প্রবাসীদের মাঝে ছিল শিশু, নারী, বয়স্ক অনেকেই। নিজে হয়তো না খেয়ে থাকতে পারবেন কিন্তু ছোট্ট সন্তানটি যখন বাইশ ঘণ্টা অভুক্ত তখন আপনার রিঅ্যাকশন কেমন হতো।

হাজী ক্যাম্পে অবস্থাপনা নিয়ে কেউ প্রশ্ন করেনি। একটা ভিডিও দেখেছেন গালি দিচ্ছে, ব্যস যাচাই হয়ে গেল। পিছনের ঘটনা কেউ জানতেও চায়নি।

অভুক্ত সন্তানকে কোলে নিয়ে দেশকে গালি দিয়ে সে অপরাধ করেছে, কিন্তু যারা হাসি মুখে দেশের পঞ্চাশ হাজার কোটি টাকা পাচার করে দিল, যে ডিসি রাতের আঁধারে সাংবাদিক তুলে নিয়ে যায়, যখন মশা মারতে না পারায় শত মানুষ ডেঙ্গুতে মারা যায়, তাদের অপরাধের বিচার কে কবে?

আমাদের একজন সহজ শত্রু দরকার ছিল, যার উপর অব্যবস্থাপনার, দৈনন্দিন কষ্টের সকল ক্ষোভ হতাশা রাগ ঝাড়তে পারি।

করোনা শুরু হবার পর প্রায় দুইমাস সময় পেয়েছে বাংলাদেশ। এই প্রশ্ন কেন কেউ করছে না যে, এই দুই মাস কি প্রস্তুতি নিল যে মাত্র দেড়শজনের ব্যবস্থাই করতে পারে না!!

চাইলে আরও এক মাস আগে ভিসা বাতিল করে দিতে পারত, সেটা করা হয়নি। ভিসা বাতিল করলে কেউ আসতেই পারত না। এয়ারপোর্ট ক্রসই করতে পারত না। আজ এতদিন পর তারা ভিসা বাতিল করছে যখন ভাইরাস যা আসার আগেই চলে এসেছে।

অব্যবস্থাপনার এই দায়বার যাদের তাদের প্রশ্ন করার সামর্থ্য আছে কারো?

নীল গেঞ্জির মতো সহজ টার্গেট পেয়ে আমরা সফল।

কিন্তু আমরা যেন ভুলে না যাই

ঘটনার পিছনেও ঘটনা থাকে, সত্য লুকানো থাকে।৯
(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত )

১৭ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১১:১৬

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: বিমানে কেউ না খেয়ে থাকেনা৷ তারা প্রত্যেকের জন্য আলাদা রুম চায়৷ আলাদা রুম সরকার কোথায় পাবে? তারা দাবি করেছেন হোম কোঢারেন্টিন৷ সরকার তো সেটা দিয়েছেন৷ লাভ কী হয়েছে৷এখন সারাদেশে জরিমানা করা হচ্ছে৷

৭| ১৭ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১০:২৪

রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের দেশের মানুষ মোটেও মানবিক না। সব গুলা বদমাইশ।

১৭ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১১:২০

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: ক্যাপার সেটা না রাজীব ভাই৷ ব্যাপার হলো মানুষগুলো দুর্যোগ দেখতে দেখতে ভোতা হয়ে গেছে৷ বাংলাদেশের মানুষের হাড়গোড় আটলান্টিক মহাসাগর থেকে শুরু করে আমাজনে পর্যন্ত পাওয়া যাবে৷ এখন মানুষ আগুন দেখে বিশ্বাস করেনা আগুনে পুড়ে যায়৷ শরীর পোড়া পর্যন্ত বিশ্বাস করেনা৷ তবে এর একটা ভালো দিক আছে৷ সবাই যে যার মতো আছে৷ বিপদের কেয়ার করছেনা৷ একারণে বাজার ঠিক আছে৷ নয়তো হুজুগে বাঙালি অস্থির হলে বাজারের অবস্থা খারাপ হয়ে যেতো৷
ধন্যবাদ৷

৮| ১৮ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১২:৪৪

নেওয়াজ আলি বলেছেন:

১৮ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৮

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: বাংলাদেশের মতো এমন ঘনত্বের জনসংখ্যার দেশে এমন ব্যবস্থা যে করতে পেরেছে সেটাই বিরাট। এখন দুর্যোগের সময়। এখন চাল কাঁড়া আর আকাঁড়া নিয়ে বিবাদ করতে নেই। যা দেয়া তাই নিয়ে নেয়া দরকার।

৯| ১৮ ই মার্চ, ২০২০ ভোর ৬:৩১

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: ইতালি ফেরত কয়েকজনের ভাষা খুবই আপত্তিকর ছিল | এই ধরণের ব্যক্তিদের কদর্য ভাষার উতপত্তি বা কারণ অনেক ব্লগারের মন্তব্যে ইতোমধ্যে বলে দিয়েছেন | এধরণের আপত্তিকর কথাবার্তা কেউ বলার আগে ভাবা উচিত এতে দেশের সাধারণ মানুষের মনে কি প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে |

তবে সেই সাথে আরো অনেক আপত্তিকর মনে হলো পররাষ্ট্রমন্ত্রীর 'নবাবজাদা' মার্কা উল্টাপাল্টা অশালীন উক্তিটি | একজন বিমানযাত্রী দীর্ঘভ্রমণ শেষে কোনো বিরতির সম্মুখীন হওয়ার পর অবশ্যই এটা আশা করে না যে তাকে এবং তার সন্তানদের দীর্ঘ সময় খাওয়া দেওয়ার ব্যবস্থা না করে অসহায়ভাবে এক কোনায় ফেলে রাখা হবে | এটা কোন 'নবাবজাদা'র চাহিদা নয়, একজন আন্তর্জাতিক বিমানযাত্রী নূন্যতম এটা আশা করতেই পারে |

বাংলাদেশ উদ্ভট এক উঠের পিঠে চড়ে চলছে বলেই নেতা/পাতি নেতারা এরকম লাগামহীন কথাবার্তা সহজেই বলে পার পেয়ে যান | তাদের জবাবদিহিতার প্রয়োজন পড়ে না 'নবাবজাদা' জনগণের কাছে |

১৮ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪২

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: দুর্যোগের সময় পছন্দ অপছন্দ বলতে কিছু নেই। সঙ্গনিরোধ অনেকটা কারাগারের মতো। এখানে চয়েজ দেয়ার চেষ্টা করা বোকামি। নবাবজাদা এমন কী বলেছে, এগুলোকে জেলে পাঠানোর দরকার ছিল। কয়েকটা দিন যাক। দেখবেন, মৃত্যুর হার বাড়তে থাকুক। সব উল্টে যাবে।
প্রবাসিরা দেশে ফিরে দেশকে বিপদের মুখে ফেলেছেন। বিশেষ করে ইটালি প্রবাসীরা।

১০| ১৮ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ৮:৫৮

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে আমার মন্তব্যের সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

১৮ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪২

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেও। ভালো থাকবেন।

১১| ১৮ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:৩১

পদ্মপুকুর বলেছেন: ঢাবিয়ান বলেছেন: হাজী ক্যাম্পে অবস্থাপনা নিয়ে কেউ প্রশ্ন করেনি। একটা ভিডিও দেখেছেন গালি দিচ্ছে, ব্যস যাচাই হয়ে গেল। পিছনের ঘটনা কেউ জানতেও চায়নি। অভুক্ত সন্তানকে কোলে নিয়ে দেশকে গালি দিয়ে সে অপরাধ করেছে, কিন্তু যারা হাসি মুখে দেশের পঞ্চাশ হাজার কোটি টাকা পাচার করে দিল, যে ডিসি রাতের আঁধারে সাংবাদিক তুলে নিয়ে যায়, যখন মশা মারতে না পারায় শত মানুষ ডেঙ্গুতে মারা যায়, তাদের অপরাধের বিচার কে কবে?

আমাদের একজন সহজ শত্রু দরকার ছিল, যার উপর অব্যবস্থাপনার, দৈনন্দিন কষ্টের সকল ক্ষোভ হতাশা রাগ ঝাড়তে পারি। করোনা শুরু হবার পর প্রায় দুইমাস সময় পেয়েছে বাংলাদেশ। এই প্রশ্ন কেন কেউ করছে না যে, এই দুই মাস কি প্রস্তুতি নিল যে মাত্র দেড়শজনের ব্যবস্থাই করতে পারে না!!


একমত।

১৮ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৪

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: বিমানে অভুক্ত থাকার কোন সুযোগ নেই। এই ইটালি প্রবাসিরা দেশকে বিপদে ফেলেছেন। কয়েকিদিন যাক। মৃত্যুর হার বাড়ুক। তখন আপনাদের মতামত উল্টে যাবে।
ধন্যবাদ।

১২| ১৮ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:১৬

জুন বলেছেন: বিমানে বাচ্চা সহ পরিবার বিজনেস ক্লাসের পরেই বোর্ডিং করে, তাদের কেবিন ক্রুরা সিরিয়াল ব্রেক করে দ্রুততম সময়ের মাঝে খাবার পৌছে দেয়। অনেক বিমান সংস্থাকে বাচ্চাদের খেলার জন্য খেলনা দিতে দেখেছি। সেক্ষেত্রে তাদের বাচ্চারা না খেয়ে থাকে কি করে? খাবারের পরিমানও যথেষ্টই থাকে। আর ইমারজেন্সি অবস্থা সবারই বোঝা উচিত। স্বার্থপর হলে চলে না। আমাদের মত তৃতীয় বিশ্বের একটি দেশের কাছ থেকে আমরা কতটুকু আশা করতে পারি সেটাও মাথায় রাখা উচিত। আমাদের সরকারের উচিত আরো কঠোর ব্যবস্থা নেয়া এই ব্যাপারে। যেখানে আরো ১৭ কোটি মানুষের আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা থাকছে তাদের কাছ থেকে।
ভালো লিখেছেন।

১৮ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৮

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: ধন্যবাদ আপু। একমত।
ইটালি প্রবাসীদের গোয়াতুর্মিতে দেশ বিপদে পড়েছে। ইতোমধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। তাও ইটালি প্রবাসীর আত্মীয়। সে যে আরো কতজনের মধ্যে ছড়িয়েছে তারতো ঠিক নেই।
দুর্যোগের সময় যা পাওয়া যায় তা নেয়া দরকার ছিল। আল্লাহ ভরসা ছাড়া কোন উপায় নেই।

১৩| ১৮ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:২০

রাজীব নুর বলেছেন: মহান প্রভুর কাছে দাবী একটাই-
ইয়া আল্লাহ্ ! সর্বক্ষেত্রে মুশকিল আহ্সান চাই , তোমার রহমতের ছায়াতলে আমাদেরকে দয়া করে রাখো।

১৮ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৯

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: বাংলাদেশে আল্লাহর দয়া ছাড়া উপায় নেই। আজকে দেখলাম পঞ্চাশ হাজার মানুষ জড়ো করে দোয়া মোনাজাতের আয়োজন করছে একজন মৌলবী। মানুষ ছুটি কাটাতে গেছে পর্যটন স্পটগুলোতে। সেখানে লোকে লোকারণ্য। কী বলবো বলেন!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.