নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চেতনায় মুক্তিযোদ্ধা

সায়েমুজজ্জামান

কাজী সায়েমুজ্জামান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর। দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের স্কলারশিপ নিয়ে কিউং হি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড ট্রেড পলিসি বিষয়ে মাস্টার্স। জন্ম ১৯৮১ সালে চট্টগ্রাম শহরের দামপাড়ায়। তার পূর্বপুরুষ ছিলেন দক্ষিণাঞ্চলের বাউফলের ঐতিহ্যবাহী জমিদার কাজী পরিবার। ছাত্রজীবন থেকেই লেখালেখিতে হাতে খড়ি। তবে ১৯৯৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে তিনি সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত হন। তিনি যুগান্তর স্বজন সমাবেশের প্রতিষ্ঠাতা যুগ্ম আহবায়ক। ২০০৪ সালে তিনি দৈনিক মানবজমিন পত্রিকায় স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে যোগ দেন। পরে ইংরেজী দৈনিক নিউ এজ এ সিনিয়র প্রতিবেদক হিসেবে কাজ করেন। পরবর্তীতে ২৮ তম বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের একজন সদস্য হিসেবে সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, সহকারী কমিশনার (ভূমি), সিনিয়র সহকারী কমিশনার, সিনিয়র সহকারী সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে রেক্টর (সচিব) এর একান্ত সচিব হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনডিপিতে লিয়েনে চাকরি করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রোগ্রামে ন্যাশনাল কনসালটেন্ট হিসেবে কাজ করেছেন। শিল্প সচিবের একান্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন৷বর্তমানে সরকারের উপসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বাংলা ছাড়াও ইংরেজী, আরবী, উর্দ্দু ও হিন্দী ভাষা জানেন। ছোটবেলা থেকেই কমার্শিয়াল আর্টিস্ট হিসেবে পরিচিত ছিলেন। যেকোনো প্রয়োজনে ইমেইল করতে পারেন। [email protected]

সায়েমুজজ্জামান › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রথম পোস্টিং থেকে বদলি হওয়ার আগে আমার লেখা নোট

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:১৬

অবশেষে চুয়াডাঙ্গা থেকে অবমুক্ত হলাম। গত ২৭ জানুয়ারী আমাকে চুয়াডাঙ্গা ত্যাগের অনুমতি দেয়া হয়। আমার পরবর্তী চাকুরীস্থল বিভাগীয় কমিশনারের অফিস, বরিশাল। সেখান থেকে কোন এক উপজেলায় পাঠিয়ে দেয়া হবে। সেখানে এসি ল্যান্ড হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। এখান থেকে একটি বড় অভিজ্ঞতা নিয়ে যাচ্ছি। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সকল শাখা, উপ-পরিচালক, স্থানীয় সরকার, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা, জেল সুপারের দায়িত্ব একই সঙ্গে পালন করতে হয়েছে। এটি আমার জন্য একটি বিরল প্রাপ্তি ।



২০১০ সালের ০৪ ডিসেম্বর রাতে আমি চুয়াডাঙ্গা এসেছিলাম। খুলনা থেকে ট্রেনে। অনেক রাত তখন। সরাসরি গিয়ে উঠলাম সার্কিট হাউজে। পরদিন চুয়াডাঙ্গা দেখতে বের হয়েছিলাম। মনে হলো একটি ছোট বাজার। এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন সূর্যসেন হলের আমার রুমমেট দুইজন ছিলেন চুয়াডাঙ্গার। একজন আনিস ভাই। বর্তমানে পিএসসির উপ-পরিচালক। অন্যজনের নাম মামুন। সে কোথায় আছে জানিনা। পরে সাংবাদিকতাকালীন দৈনিক মানবজমিনে আমার সহকর্মী ছিল আহমেদ পিপুল। বর্তমানে এনটিভিতে। ফারুক নামের আরো একজন সাংবাদিকের সঙ্গে পরিচয় ছিল যার বাড়িও চুয়াডাঙ্গা। চুয়াডাঙ্গা আসার আগে এতটুকুই ছিল আমার চুয়াডাঙ্গা বিষয়ক অভিজ্ঞতা।



যাই হোক-চুয়াডাঙ্গা গত তিন বছর দুই মাস ছিলাম। এর মধ্যে ঢাকায় বিভিন্ন প্রশিক্ষণে প্রায় ১৩ মাস কেটেছে। চুয়াডাঙ্গায় অবস্থানকালীন জাতীয় সংসদ নির্বাচন, পৌরসভা নির্বাচন, দুই পর্যায়ে ইউনিয়ন নির্বাচন এবং সর্বশেষ যৌথবাহিনীর অভিযানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে বলতে গেলে চুয়াডাঙ্গার প্রতিটি ইউনিয়ন ঘুরে দেখেছি। এ জেলায় প্রচন্ড গরম। আবার প্রচন্ড ঠান্ডা। জেলাটির ওপর দিয়ে কর্কট ক্রান্তি রেখা চলে যাওয়ার কারণেই এই অবস্থা। প্রথম দিন মনে হয়েছিল সাইবেরিয়া প্রবেশ করছি। চুয়াডাঙ্গায় গতবছর ৩ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। বাংলাদেশে এমন ঠান্ডা পড়ে এখানে না এলে বুঝার উপায় ছিলনা। দেশের সর্ব্বোচ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি এর গরমের অভিজ্ঞতাও আমার হয়েছে। ওইদিন আমার ত্বকে জ্বলুনি শুরু করেছিল। কিন্তু এবার ততটা শীত পড়েনি। হতে পারে এ এলাকার আবহাওয়া আমি মানিয়ে নিয়েছিলাম। তবে সবকিছু মানিয়ে নেয়ার পরই আমার বিদায় নিচ্ছি।



চুয়াডাঙ্গা জেলায় ভূগর্ভস্থ পানি ছাড়া পানির আর কোন উৎস নেই। ফারাক্কা বাধের প্রভাবে সকল নদী শুকিয়ে গেছে। বর্ষাকালে মাখাভাঙ্গা নদীতে একটু পানি থাকে। কিন্তু কোন বাঁধ বা স্লুইস গেট না থাকার ফলে সবটুকু পানিই ভারতে চলে যায়। এরপরও ফসলের মাঠ দেখলে প্রাণ জুড়িয়ে যায়। না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন। আমার মনে হয়, এত ফলন দেশের কোথাও হয়না। গাড়ি থেকে নেমে ক্ষেতের আল ধরে দৌড়াতে ইচ্ছা করে। এখনো বিস্তির্ণ এলাকা ফসলের মাঠ। তবে গ্রামের বাড়িঘর আমার ভালো লাগেনি। লোকজন রাস্তাকে কেন্দ্র করে ঘর তৈরী করে। গ্রামে গিয়ে আমার মনে হয়েছে একেকটি রিফিউজি ক্যাম্প। কারো কোন উঠোন নেই। যে যেভাবে পারে ঘর তৈরী করেন। সরকারী রাস্তার ওপর ঘর করা হয় বলে গহীণ গ্রামে গিয়েও কয়েকটি ঘর আমাকে ভেঙ্গে ফেলতে হয়েছে। গ্রামেও পুকুর নেই বললেই চলে।



পুকুর না থাকলেও চুয়াডাঙ্গায় মোট ৭২টি বিল রয়েছে। এর মধ্যে ২০ একরের ঊর্ধ্বে বিলের সংখ্যা ২৮টি। রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর (আরডিসি) হিসেবে এসব বিলের দেখাশুনা করেছি। এসব বিলের ইজারা হয় ‘জাল যার জলা তার’ নীতিতে। কিন্তু জাল যার আছে তার নামে রাজনৈতিক ব্যক্তিরাই এর নিয়ন্ত্রক। অনেক বিল খননের জন্য প্রকল্পে ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে ইজারা নেয়া হলেও কেউ কখনোই বিল খনন করেনি। অনির্বায্য কারণেই এসব দেখা হয়না। দেশের প্রথম দুটি রেকর্ড-সিএস ও এসএ রেকর্ডে বিলের জমি ঠিক থাকলেও আরএস রেকর্ডে বেশিরভাগ জমি ব্যক্তি নামে রেকর্ড করা হয়েছে। আমি দায়িত্ব নিয়ে তালিকা করে রেকর্ড সংশোধনের জন্য বেশ কিছু মামলা করেছি। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, সিএস ও এসএ রেকর্ডে ভান্ডারদহ বিলের জমির পরিমাণ ১৬৯.২২ একর। কিন্তু আরএস রেকর্ডে ১১৯.৯৭ একর। বাকী সব জমি ব্যক্তি নামে অবৈধভাবে রেকর্ড করিয়ে নেয়া হয়েছে। সিএস ও এসএ রেকর্ডে হারদা বিলের জমির পরিমাণ ১১১.০৭ একর। কিন্তু আরএস রেকর্ডে মাত্র ৪৫.০০ একর। তালিকা ভারী হবে বলে বেশি বিলের নাম লিখলাম না। এরকম ২৮টি বিল রয়েছে। অথচ এসএন্ডটি এ্যাক্ট, ১৯৫০ অনুযায়ী বিলের জমির শ্রেণী পরিবর্তন করা, বন্দোবস্ত দেয়া বা ব্যক্তি নামে রেকর্ড হওয়ার সুযোগ নেই। ভূমি ব্যবস্থাপনা কেন প্রশাসন ক্যাডারের হাতে দেয়া হয়েছে-এর বড় কারণ এটিই। এই অপকর্মগুলো করেছিলেন আশির দশকে তৎকালীন সিও (রেভ) পদবীর কর্মকর্তারা। এদের হাতে সরকারী জমির ব্যবস্থাপনা থাকলে বর্তমানে কোন জমি সরকারের নামে অবশিষ্ট থাকতো কিনা- সন্দেহ। যারা এখনো মনে করেন - প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের হাত থেকে ল্যান্ড নন ক্যাডারের হাতে তুলে দেবেন- আমার চুয়াডাঙ্গার অভিজ্ঞতা তাদের জন্য কাজে লাগতে পারে।



চুয়াডাঙ্গায় এত বিল থাকতেও মাছ আসে পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জেলা থেকে। অবাক লাগে আমার। এসব বিল ভালো করে ব্যবস্থাপনা করা হলে এ জেলা থেকেই মাছ অন্য জেলায় পাঠাতে হতো। এখানে অনেক বৈধ অবৈধ ইটের ভাটা গড়ে উঠেছে। আমি ইটের ভাটায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনার দায়িত্ব পেয়ে অনেক চিমনি গুড়িয়ে দিয়েছিলাম। গাছ জব্দ করে নিলাম করেছিলাম। এরপর থেকে আমাকে আর এই বিষয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার ক্ষমতা দেয়া হয়নি। এত ইটের ভাটা জমির উপরিভাগ (টপ সয়েল) শেষ করে ফেলেছে। আমার মনে হয়েছে, ইটের ভাটার মালিকদের সঙ্গে সরকার যদি এই চুক্তিতে উপনীত হয়- ইটের ভাটার জন্য মাটি কেবল বিল থেকেই যাবে, অন্য কোন জমি থেকে নয়- তবে ফসল আর মৎস্য দুটি খাতের জন্যই চুয়াডাঙ্গার নাম সবাইকে স্মরণ করতে হতো।



আমি এখানে দায়িত্ব পালন করাকালে সরকারের জমিকে নিজের পৈত্রিক জমি মনে করেছি। অর্পিত ও ভিপি সম্পত্তির লীজমানি আদায়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা হওয়ার পর আমার আদায়ই সবোর্চ্চ। সার্টিফিকেট অফিসার হিসেবে লাল নোটিশ দিয়ে মামলা হওয়ার আগেই বিভিন্ন ব্যাংকের কোটি কোটি টাকা ঋণ আদায় করে দিয়েছি। ২৫ বছরের অধিক সময় ধরে ঝুলতে থাকা মামলাগুলো নিষ্পত্তি করেছি। বর্তমানে মাত্র ৫৫টি মামলা রয়েছে। কোন জেলায় এত কম সার্টিফিকেট মামলা নেই। এ নিয়ে দৈনিক কালের কণ্ঠ পত্রিকায় লিখেছিও।



আমি সাংবাদিক থাকার কারণে যে জেলাতেই যাবো সেখানেই আমার সাবেক সহকর্মী সাংবাদিকদের পাবো। চুয়াডাঙ্গাও তার ব্যত্ক্রিম ছিলনা। এখানে এসে দুটি প্রেসক্লাব দেখতে পেয়েছিলাম। আমার ভালো লেগেছে যে, এখন একটি প্রেসক্লাব দেখে যাচ্ছি। সবাই পেশার কারণে ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন। অনেক সাংবাদিকের সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক তৈরী হয়েছে। এদেরকে মনে পড়লে অবশ্যই খারাপ লাগবে। নামের তালিকা লম্বা হবে বলে এদের নাম উল্লেখ করলাম না বলে আশা করি কেউ মনে কষ্ট পাবেন না।



আমাদের চাকুরীর অন্যতম দায়িত্ব মোবাইল কোর্ট পরিচালনা। এই দায়িত্ব আমাকেও পালন করতে হয়েছে। এ দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আমি কোন তদবীর শুনিনি। আমি মাদকের মামলায় যাদের শাস্তি দিয়ে কারাগারে প্রেরণ করেছিলাম, তাদের কেউ আপীলে ছাড়া পায়নি। না জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কোর্ট থেকে না জেলা জজ আদালত থেকে। আমি এরকম একটি বিরল সফলতার দাবীদার।



তবে আমার ব্যর্থতাও আছে। জেলা রেকর্ডরুমকে দালালমুক্ত করতে গিয়ে পারিনি। দায়িত্ব পেয়ে আমি দেখলাম, রেকর্ডরুমে ৬ জন জনবল প্রতিদিন ৬০-৭০টি রেকর্ডের নকল সরবরাহ করতে পারে। কিন্তু প্রতিদিন ২০০-৩০০ নকল প্রাপ্তির আবেদন পড়ছে। ফলে রেকর্ড রুমে প্রায় ২ দুই হাজার আবেদন পেন্ডিং থাকে। অবস্থা এমন- যে আগে যোগাযোগ করে সে আগে রেকর্ড পায়। এজন্য একটি দালাল গ্রুপ তৈরী হয়েছে। এরা আইনজীবীদের মুহুরী। রেকর্ডরুমের লোকজনের সঙ্গে তাদের একটি আধ্যাত্মিক (!) সম্পর্ক দেখতে পাই। আমি রেকর্ড রুম আর জনগণ এই দুইয়ের মাঝখান থেকে এদের তাড়াতে চাইলাম। প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে, প্রতিদিন ৫০ টি আবেদন নিতে শুরু করি। কর্মচারীদের টার্গেট ঠিক করে দেই- প্রতিদিন ১০০ রেকর্ড লিখতে হবে। এর মধ্যে নতুন ৫০ আর পুরাতন আবেদন ৫০। ধীরে ধীরে বাড়িয়ে প্রতিদিন ২০০ পর্যন্ত টার্গেট দিলাম। জমে থাকা সকল আবেদন শেষ হয়ে গেল। এবার নতুন আবেদন ৫০ থেকে বাড়িয়ে ২০০ নেয়া শুরু করি। মুহুরীদের কাছ থেকে আবেদন যাতে কিনতে না হয় সেজন্য আমি একটি আবেদনের নমুনা শহরের বিভিন্ন ফটোকপি দোকানগুলোকে দিলাম। মানুষের মধ্যে সাড়া পড়ে গেল। মুহুরীদের অবৈধ ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্থ হলো। তাদের প্রতিদিনের ১০ হাজার টাকার অবৈধ লেনদেনে বাধা পড়লো। একারণে আমি আইনজীবী আর মুহুরীদের চক্ষুশুল হয়ে গেলাম। কয়েকজন আইনজীবী আমার নামের সঙ্গে জেলা প্রশাসক আর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) কে বিবাদী করে সিভিল কোর্টে মামলা করে দেয়। মামলার আরজিতে- পূর্বে যেভাবে নেয়া হতো সেভাবেই নিতে বাধ্য করতে এবং ভবিষ্যতে মুহুরীদের রেকর্ডের নকল তুলতে যাতে বাধা দেয়া না হয় সেজন্য আমার বিরুদ্ধে আদেশ প্রার্থনা করা হয়। সংশ্লিষ্ট সহকারী জজকে গিয়ে আমি বুঝালাম। সে আমাকে বললো- 'আপনি একটি ঐতিহাসিক কাজ করছেন। আগে প্রতিদিন ৭০-৮০টি দিতেন, এখন ২০০ দিচ্ছেন।' আমাকে একথা বলার পর তিনিই আবার অজ্ঞাত কারণে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে দেন। সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ৫৫ ধারা অনুযায়ী এ বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা দেয়া না গেলেও সংশ্লিষ্ট জজ তা করলেন। বিচার বিভাগ নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই। এ নিয়ে আমার মাথা ব্যথাও নেই। তবে আমাদের সার্ভিসে ভালো হলে বসদের ধন্যবাদ পাওয়া যায়না। কিন্তু খারাপ হলে রেহাই নেই। মামলা হওয়ার পর আমাকে ডেকে নিয়ে ডিসি স্যার বললেন, দেখেছো, এদেশে এই চোর চোট্টাদের মাঝে ভালো করা কতটা কঠিন। সিনিয়র স্যারদের অকুণ্ঠ সমর্থনে আমি কঠিন সেই দিনগুলো পার করেছিলাম। অনেক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি তাদের। পরে অবশ্য মামলার বাদী পক্ষ নিজেরাই আবেদন দিয়ে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে। মামলার কারণে আমি রেকর্ডরুম দালালমুক্ত করতে পারিনি। তবে ব্যাকলক মুক্ত করেছিলাম। এখনো সেটি অব্যাহত আছে। মামলার কারণেই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট পরিচালনা করার সময় আইনজীবীদের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ভালো যায়নি।



চুয়াডাঙ্গায় বেশ কিছু সরকারী জমিতে এমনকি হাটের পেরিফেরিতে পুলিশ বিভাগ স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে টাকা পয়সা নিয়ে মার্কেট করেছে। জেলা পুলিশে কর্মরত সদস্যদের কল্যাণে এসব মার্কেট করা হলেও আসলে বর্তমান সরকারী নীতিমালায় এসব করার সুযোগ নেই। আমি সরকারী জমি রক্ষা করতে গিয়ে পুলিশ সুপারের বিরাগভাজন হয়েছি। যদিও আমার ব্যক্তিগত কোন স্বার্থ ছিলনা। তবে একব্যক্তি চাদাঁ চেয়ে আমাকে হুমকি দিয়েছিল। আমি তাকে কথা দিয়েছিলাম ৭ দিনের মধ্যে ধরে চুয়াডাঙ্গা নিয়ে আসবো। হুমকি পাওয়ার পর ফেসবুকে প্রতিদিন আপডেট দিয়েছিলাম। তারপর ৬ দিনের মাথায় তাকে ধরিয়ে চুয়াডাঙ্গা এনেছিলাম। ওই ব্যক্তি অনেক মানুষকে চাদাঁর জন্য হুমকি দিয়ে তাদের জীবন দুর্বিসহ করে তুলেছিল। কিন্তু কেউ তার বিরুদ্ধে মামলা করতে সাহস পায়নি। আমি তার বিরুদ্ধে মামলা করি। আর এ কারণিই হয়ত চুয়াডাঙ্গা আবার আমাকে আসতে হবে। তবে এর পুরো কৃতিত্ব পুলিশ বিভাগের। আমাকে সহায়তা করার জন্য তাদের কৃতজ্ঞতা না জানালে আমি অকৃতজ্ঞ বলে বিবেচিত হবো।



চুয়াডাঙ্গায় আমার যে বিষয়টি মনে পড়বে তা হলো- আমি দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন অনুমোদন করিয়ে দিয়েছি। সাভারে পিএটিসিতে সকল ক্যাডারের বুনিয়াদী প্রশিক্ষণ কোর্স করতে হয়। আমাকেও সেখানে যেতে হয়। প্রশিক্ষণে একটি কর্মসূচী ছিল, ডু ফর বাংলাদেশ। সমস্যা চিহ্নিত করে তার সমাধান দেয়া। আমি বেশি টিএডিএ পাবোনা জেনেও সমস্যা সমাধানের এলাকা হিসেবে চুয়াডাঙ্গা বাছাই করেছিলাম। আামদের ক্ষেত্র ঠিক করে দেয়া হয়েছিল। প্রাথমিক বিদ্যালয়। আমি চুয়াডাঙ্গার বেশকিছু প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করে দেখতে পাই-এখানে ৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। বাচ্চারা ক্লাস করে ভবনের বাইরে। গাছতলায়। আর পুলিশ স্কুল ভবনে। লোকজনের কাছে শিক্ষার চেয়ে নিরাপত্তাই প্রধান ছিল একসময়। তখন এসব ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছিল। পরে পুলিশ আর ভবন ছাড়েনি। এসব দেখে পিএটিসিতে ফিরে যাই। একদিন প্রাথমিক শিক্ষা সচিব ও অধিদপ্তরের মহাপরিচালক স্যার পিএটিসিতে গেলেন। আমাদের অভিজ্ঞতা শুনলেন। কোর্সে অংশগ্রহণকারীরা প্রাথমিক শিক্ষার প্রশংসা করেছিল। আমি বলেছিলাম, চুয়াডাঙ্গায় বাচ্চারা এখনো গাছের নিচে ক্লাস করে। সঙ্গে সঙ্গে সচিব স্যার চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে ফোন করলেন। তিনি জানালেন, ঘটনা সঠিক। পরে ক্লাশেই স্যার আমাকে প্রতিশ্রুতি দিলেন, ওই স্কুলগুলোতে ভবন করে দেয়া হবে। এর পর আমি লেগে ছিলাম। ফলে আলমডাঙ্গা উপজেলার পাচঁকমলাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় আর দামুড়হুদা উপজেলার ছূটিপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন অনুমোদন করা হয়।



চাদেঁ পা ফেলে নীল আর্মস্ট্রং একটি কথা বলেছিলেন, ওয়ান স্মল ফুট স্টেপ। সরকারী চাকুরীতে চুয়াডাঙ্গা ছিল আমার প্রথম পোস্টিং। প্রথম পদক্ষেপ।



The woods are lovely, dark, and deep, But I have promises to keep, And miles to go before I sleep, And miles to go before I sleep. (Stopping by Woods on a Snowy Evening by Robert Frost)



আগামী বৃহষ্পতিবার বরিশালের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবো ইনশাআল্লাহ। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। কারও মনে কোন কষ্ট দিয়ে থাকলে জোড় হাতে ক্ষমা চাইছি। বিদায় চুয়াডাঙ্গা।



সর্বশেষ আপডেট: পরবর্তীতে আমি বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার অফিসে গিয়ে যোগদান করি। সেখান থেকে আমাকে পটুয়াখালি জেলার গলাচিপা উপজেলায় এসি ল্যান্ড হিসেবে প্রেরণ করা হয়। তবে যোগদান করে এখনো কাজ শুরু করতে পারিনি। বর্তমানে ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে চলমান কাজে সহয়তা করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সংযুক্ত হয়ে কাজ করছি। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ছাড়া পেলেই আমার আমার পরবর্তী চ্যালেঞ্জ হিসেবে এসি ল্যান্ডের কাজ শুরু করবো।



আমার বদলীর পর চুয়াডাঙ্গা মানুষের প্রতিক্রিয়া দেখুন-

Click This Link



দালাল উচ্ছেদ করতে গিয়ে আমার বিরুদ্ধে সিভিল কোর্টে মামলার খবর দেখুন-

http://uttaradhikar71news.com/news/?id=7212



দৈনিক কালের কন্ঠ পত্রিকায় ২২ বছর পর ঋণ আদায় নিয়ে লিখেছিলাম-

Click This Link

ইট ভাটায় আমার অভিযান-

Click This Link



চুয়াডাঙ্গায় পুলিশ কর্তৃক খাসজমি দখল করে মার্কেট নির্মাণের খবর প্রায় সকল পত্রিকায় ছাপা হয়েছিল..

http://manobkantha.com/2013/08/01/132497.html



মন্তব্য ৩৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:২২

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: নতুন কর্ম স্থলে আপনার যাত্রা শুভ হ'ক। এই কামনায়।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:৪৫

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: ধন্যবাদ। অনেক ভালো থাকবেন।

২| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:৩১

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: অনেকদিন পর একজন সিভিল সার্ভেন্ট এর জবান খুঁজে পেলাম। অলমোষ্ট বাই দ্যা বুক।
ন্যারেটিভ এবং এর সাথে সম্পৃক্ত বিশ্লেষণটাও চমৎকার।

ইন্টারেস্টিং । শুভেচ্ছা জানবেন। ++++।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:৪৮

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: আমি দেখেছি সিভিল সার্ভেন্টরা জবান খুলতে ভয় পান। আমি এর আগে সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত থাকার কারণেই হয়ত আমার জবান প্রকাশ করতে সাহস পাচ্ছি। যাই হোক আপনাদের ভালোবাসায় আগামীতেও এটি অব্যাহত থাকবে বলে আশা করছি।

৩| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:৪৭

ফিলিংস বলেছেন: আমারও খুব পরিচিত শহর......। ভালো মানুষের শহর।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:৪৯

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: এক কথায় ভালো। চমৎকার ভাষা । নদীয়ার ভাষায় মুগ্ধ হয়েছি।

৪| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:৫০

শাশ্বত স্বপন বলেছেন: আমি বিশ্বাস করি, আপনি সৎ থাকবেন।

আমি ২২তম বিসিএস(স্বাস্থ্য), সাংবাদিকতা দিয়ে জীবন শুরু...। প্রায় ১৪ বছর বিরতি দিয়ে বর্তমানে দৈনিক আমাদের সময় এর সিনিয়র সাব-এডিটর। আপনার সাথে আছি, থাকব..

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:০৫

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: সকালের সূর্যই বলে দেয় দিনটি কেমন যাবে। আগেতো আমাদের সময় পত্রিকায় স্বাস্থ্য বিটে আফসার আহমেদ রূপক ভাই ছিলেন। এখন উনি কোথায় জানিনা। যাক আমাদের সময় অফিসে গেলে আপনার সঙ্গে দেখা হবে। ভালো থাকবেন।

৫| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:৫৮

উপপাদ্য বলেছেন: অনেক বাধা বিপত্তির মাঝে চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করার যে আ্যাডভেঞ্চার সেই অনুভুতি পেলাম। খুব চমৎকার লেগেছে।

একটা অনুরোধ করবো। হাওর বাওর নদী বিল স্কুল জুডিশিয়ারীতে যেসব সমস্যার কথা আপনি উল্লেখ করলেন সেসব সমস্যার বিস্তারিত খুটি নাটি ও সমাধানে সরকারী-বেসরকারী সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান কিভাবে ভুমিকা রাখতে পারে অথবা কিভাবে সমাধান করা সম্ভব এজাতীয় কিছু কি লেখা যায়??

উন্নয়ন কর্মী হিসেবে দেশে যেয়ে দেশের জন্য কিছু করতে চাচ্ছি। আল্টিমেটলি বাংলাদেশে ব্যাক করবোইতো ইনশাআল্লাহ।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৪২

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: দেশে ফিরে আসুন। দেশের মানুষের জন্য কাজ করায় মজা আছে। একজন মানুষেল মুখে যখন হাসিন ফোটে- তার তুলনা হয়না। দেখবেন এখানে কাজ করার অনেক জায়গা আছে। পুরোটাই ফাকাঁ। যাই হোক, জেলা পর্যায়ে তিনটি প্রধান অংগ, বিচার, প্রশাসন ও পুলিশ এই তিনটি বিভাগের মধ্যে বর্তমানে কি সম্পর্ক বিরাজ করছে -এর কিছুটা কোন মন্তব্য ছাড়াই তুলে ধরেছি। যারা এসব নিয়ে গবেষণা করবেন তাদের কাজে লাগতে পারে। আপনার পরামর্শটি মাথায় থাকলো। আমি এ বিষয়ে লেখবো। ভালো থাকবেন।

৬| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৩০

পথহারা সৈকত বলেছেন: Thank you sir..............

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:০৮

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: আপনাকেও Thanks sir.....

৭| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৩১

মামুন রশিদ বলেছেন: ভালো লাগল একজন সিভিল সার্ভেন্টের স্টেটমেন্ট পড়ে । শুভ কামনা রইলো ।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:০৯

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: আমরা যদি না জাগি মা কেমনে সকাল হবে? আপনার জন্যও শুভ কামনা।

৮| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৪৪

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
প্রবল আগ্রহ নিয়ে পড়লাম। ভালো লাগলো।

আসল স্বভাবে একটি ব্লগ পোস্ট পড়লাম।

এই লেখকের পোস্টকে অনুসরণ করলাম :)

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:১১

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

৯| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:১২

ময়না বঙ্গাল বলেছেন: স্যার, সালাম নিবেন।আমি জেলা প্রশাসকের কার্যালয় রাজশাহীতে লাইব্রেরেীয়ান হিসেবে কর্মরত। আমার অফিসিয়াল নাম মুহা: নজরুল ইসলাম। আল্লা আপনার সহায় হোক স্যার।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৩০

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনাদের হাফিজ স্যার এখন পিএম অফিসে আমার সঙ্গে কাজ করছেন। ভালো থাকবেন। আমার জন্য দোয়া করবেন।

১০| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:০৯

সরকার আলী বলেছেন: সমাজের বড় অসময়ে, অসমতল কর্মক্ষেত্রে, সমর্পিত দায়িত্বের অসাহসিক সমাপন চলতে থাকুক এই কামনায়

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৫৭

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: বাক্যব্যঞ্জনায় আপনার প্রত্যাশা ধ্রুপদী। আপনার প্রত্যাশা বাস্তবায়ন হোক আমারও সেই প্রার্থনা। ভালো থাকবেন।

১১| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:২৭

তূর্য হাসান বলেছেন: শুভ কামনা রইল।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৫৮

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

১২| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৪৪

রাজন সান বলেছেন: আপনার মত মানুষ বড়ই প্রয়োজন এই সময়ে। অনেক অনেক শুভকামনা আপনার প্রতি। আপনার সাথে আমার পরিচয় কেন হয়নি? আমাকে আপনি চিনবেন। মল্লিক সাহেন আমাকে চিনেন। ধন্যবাদ আপনাকে।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৫৯

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: আমার এই সকল কর্মকান্ডে পেছনের ব্যক্তি হলেন মল্লিক স্যার। তার জন্যই এত কিছু সার্থক হয়েছে। ভালো থাকবেন।

১৩| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৪১

একজন ঘূণপোকা বলেছেন:
ভালো লাগল নোট

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৩২

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

১৪| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৪৫

আসফি আজাদ বলেছেন: Let's do whatever we can from our own positions. Best of wishes for you. Hope you will keep us the spirit.
+++

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৩১

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: আপনাকেও +

১৫| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৪৫

আসফি আজাদ বলেছেন: keep up the spirit.

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:২৪

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: Thanks a lot for inspiring me...

১৬| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:০৯

সুমন্ত বলেছেন: It seems govt people are reluctant to express in blogs. Thanks for ur courage to write.

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৩০

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: Thanks for ur appreciation..

১৭| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৪৮

অমৃত আমি বলেছেন: আমি ও চুয়াডাঙ্গার, ভার্সিটির ছাত্র.. খুব ভালো লাগেছে...

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৩১

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.