নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নেশা সাহিত্য, পেশা শিক্ষকতা।

সুব্রত দত্ত

পরিশ্রমকে সঙ্গী করে কত মানুষ উর্ধ্বে গেলো, আকাশের ঐ তারার দলে/ চিরদিনই অলস আমি, আছি পড়ে অনন্তকাল এই ধরনীর গাছের তলে।

সুব্রত দত্ত › বিস্তারিত পোস্টঃ

শাহ আবদুল করিম : একজন জীবন-শিল্পী

১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৩

সাহিত্যের ছাত্র হওয়ায় একটা বিশেষ সুবিধা হয়েছে এই যে আমি পেয়েছি অনেকগুলো রঙ-বেরঙের চশমা। ঐ চশমাগুলো পরে আমি দেখতে পারি জীবন ও জগৎ-কে, দেখতে পারি শিল্পকে, সাহিত্যকে। তবে চশমা পরার একটা ক্ষতিকর দিকও তো আছে। চোখের নিজস্ব জ্যোতি যায় কমে। রঙ-বেরঙের চশমা পরে নিজকে স্মার্ট দেখানো যেতে পারে কিন্তু নিজস্ব চোখের তো ঘটে বিপত্তি। নগ্ন চোখে তাই জীবনের দিকে ফিরিয়ে তাকানো মুশকিল। শিল্প সাহিত্যের আলাপে গেলে নজরটা ক্ষীণ হয়ে আসে, স্বতঃস্ফূর্তভাবেই চোখে এঁটে যায় চশমাগুলো। এই যেমন- কাল রাতে ঘুম আসছে না, ঘুম আসছে না করে ইউটিউবে শুনছিলাম বাউল গান। এই বাউল গান নিয়ে ভাবতে গিয়েই মাথার মধ্যে আরো কিছু শব্দ এসে বিশাল এক হট্টগোল পাকিয়ে দিলো। কই ভাববো লালন শাহ কিংবা শাহ আবদুল করিমের কথা- সেখানে এসে গেল ‘মূলধারা’, ‘প্রান্তিক জনগোষ্ঠী’, ‘গণসঙ্গীত’, ‘লোকগান’, ‘মরমীবাদ’, ‘নিম্নবর্গের সাহিত্য’, ‘Art for art’s sake’, ‘Art for man’s sake’- এমনি হাজারো শব্দ, হাজারো ভাবনা। সাহিত্য শিল্পের শিক্ষক কিংবা ছাত্র মাত্রই বিষয়গুলোর সঙ্গে সুপরিচিত। হয়তো অনেকের বিস্তর পড়া নেই এগুলো নিয়ে। মজার কথা হলো আমি কিন্তু এগুলোর ব্যাপারে মহাপণ্ডিত নই। আমার পড়াশুনা ও জানাশোনাও খুব সীমিত কিন্তু মাথার ভেতর এদের আধিপত্যকে অস্বীকার করতে পারি না। এগুলো হচ্ছে ঐ রঙ-বেরঙের চশমা। চশমাটা আমি পেয়েছি বটে পাওয়ার তার কম। শখের চশমার মতো। তবু তাতেই চোখ বিভ্রান্ত। বাউল গান শুনতে শুনতে মনে হলো শাহ আবদুল করিমকে নিয়ে একটা কিছু লেখা যেতে পারে। বছরখানেক হলো তাঁর গানের প্রতি অনুরক্তি এসেছে আমার। ঐ থেকেই টুকটাক পড়াশুনা এবং গানের লিরিকের প্রতি মনোযোগ। এই সামান্য জ্ঞান নিয়ে লিখতে বসাটা কতটুকু যৌক্তিক- সেটা প্রশ্নাতীত নয়। তবু আমার ‘ব্যক্তি কথন’ সিরিজে লেখাগুলো একেবারে ‘ব্যক্তিগত প্রবন্ধ’ভুক্ত। এখানে আমার অধিকার আছে মনের কথা বলার, মনে যা আসে তা প্রকাশ করার। মানে খালি চোখে আমি শাহ আবদুল করিমকে নিয়ে বলতেই পারি।

শাহ আবদুল করিম সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন ফেব্রুয়ারি ১৫, ১৯১৬ সালে। ভাটি অঞ্চলের এই মানুষটি তাঁর পুরো জীবনটাই কাটিয়েছিলেন সুনামগঞ্জের আশেপাশে। দরিদ্রতার হেতু মাত্র ১২ বছর বয়সে তিনি রাখালের কাজ নেন অপরের বাড়িতে। সত্যি কি অদ্ভুত না! পৃথিবীর ইতিহাসে কত মহামানবের কথাই না আমরা জানতে পারি যাঁরা পেশায় একসময় রাখাল ছিলেন। কে জানে এই রাখাল পেশায় কি এমন জাদু আছে? ঐ রাখাল বালকই সময়ের পরিক্রমায় একদিন ‘বাউল সম্রাট’ হয়ে ওঠেন। বাউল গানের জগতে ইতিহাসের নিকটবর্তী সময়ের শ্রেষ্ঠ মানব ছিলেন তিনি। ছোটবেলা থেকেই তাঁর গান বন্ধু-বান্ধবের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ে পুরো সিলেট অঞ্চলে। লেখক ও প্রাবন্ধিক সুমনকুমার দাশ আবদুল করিমকে নিয়ে স্মৃতিচারণার সময় মজার মজার স্মৃতির কথা তুলে ধরেছেন তাঁর লেখায়। শাহ আবদুল করিমকে নিয়ে এ যাবৎ তিনি বেশ কয়েকটি বই প্রকাশ করেছেন, করিমের গানকে লিপিবদ্ধ করার মহতী উদ্যোগও তিনি নিয়েছেন। তাঁর লেখা থেকে জানা যায় একটা সময় সমগ্র সিলেটে শাহ আবদুল করিমের গান তুমুল জনপ্রিয়তা লাভ করে। ইতিহাসের সময়টাও আমরা একটু খেয়াল করতে পারি। তখনও দেশভাগ হয়নি। সিলেট যুক্ত হয়নি বাংলাদেশের সঙ্গে। আসামের করিমগঞ্জ নামের উৎস নিয়ে আমার আগ্রহ আছে। খুঁজেছি অনেক কিন্তু নেটে তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে যতটুকু জানি করিমগঞ্জ অঞ্চলে শাহ আবদুল করিমের গানের জনপ্রিয়তা এখনো তুঙ্গে। এই যে পশ্চিমবঙ্গে লোকগীতির যে চর্চা হচ্ছে কয়েক দশক ধরে তাতে শাহ আবদুল করিমের অবস্থা বেশ পোক্ত। কিন্তু শাহ আবদুল করিমের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে আমার এত দীর্ঘ আলাপের কারণ কী! আমাকে কি প্রমাণ করতে হবে তিনি জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী! এই হচ্ছে চোখের উপর চশমা পরার প্রধান ত্রুটি। বরং আমি কি শাহ আবদুল করিমের এই জনপ্রিয়তার কারণ নিয়ে দু’চারটা কথা বলতে পারি।

একটা গানের লাইন-
যেন ইটের ভাটায় দিয়া কয়লা - আগুন জ্বালাইছে।।
দেওয়ানা বানাইছে।
কী জাদু করিয়া বন্ধে মায়া লাগাইছে।।

ইটের ভাটার আগুনের তীব্রতা লোকজীবনে খুব পরিচিত। আমি মূলধারার কোনো কবি কিংবা সাহিত্যিকের লেখার এই ইটের ভাটার প্রসঙ্গ পাইনি। প্রকৃতপক্ষে গণজীবনের সঙ্গে, গণজীবনের যাপিত জীবনের সঙ্গে আপামর জনতার যে সংশ্লিষ্টতা রয়েছে সেটাই কবি তাঁর হৃদয়বৃত্তি প্রকাশের মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন। ‘পপ কালচার’ বলে উন্নাসিক শিল্পবোদ্ধারা এড়িয়ে গেলেও মানুষের আত্মার জীবনের সঙ্গে এর সম্পর্ক নিঃসন্দেহে অনেক গভীরে গ্রথিত।


শাহ আবদুল করিমের অধিকাংশ গানে ‘বন্ধু’ শব্দটির ব্যবহার লক্ষ করা যায়। তাঁর সাক্ষাৎ এবং তাঁকে নিয়ে রচনাপত্র থেকে জানা যায় তিনি সিরাজ সাঁই, লালন শাহসহ বাউলের এই ধারার দর্শনের অনুসারি ছিলেন। সেই মত অনুসারে বলা চলে এই বন্ধু কেবল আমাদের বন্ধুত্ব পাতানো বন্ধু না। এই বন্ধু পরমাত্মা, এই বন্ধু প্রিয় মানুষ।

ভাটি অঞ্চলকে কেন্দ্র করে তাঁর গানগুলোতে জনজীবনের চিত্র অঙ্কিত হওয়ার ভেতর দিয়ে অন্যায়, অবিচার, কুসংস্কার ও সাম্প্রদায়িকতার বিপক্ষে প্রতিবাদের স্বরও লক্ষ করা যায়। পাঁচ শতাধিকের উপরে লেখা তাঁর গানগুলোর বেশ কয়েকটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়ে এখন সকল স্তরের মানুষের প্রিয় গানের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে।

তাঁর উল্লেখযোগ্য কয়েকটি গান হলো-

• বন্দে মায়া লাগাইছে, পিরিতি শিখাইছে
• আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম
• গাড়ি চলে না
• রঙ এর দুনিয়া তরে চায় না
• তুমি রাখ কিবা মার
• ঝিলঝিল ঝিলঝিল করেরে ময়ুরপংখী নাও
• তোমার কি দয়া লাগেনা
• আমি মিনতি করিরে
• তোমারও পিরিতে বন্ধু
• সাহস বিনা হয়না কভু প্রেম
• মোদের কি হবেরে ,
• মানুষ হয়ে তালাশ করলে
• আমি বাংলা মায়ের ছেলে
• আমি কূলহারা কলঙ্কিনী
• কেমনে ভুলিবো আমি বাঁচি না তারে ছাড়া
• কোন মেস্তরি নাও বানাইছে
• কেন পিরিতি বাড়াইলারে বন্ধু • মন মিলে মানুষ মিলে, সময় মিলেনা
• সখী তুরা প্রেম করিওনা
• কাছে নেওনা ,দেখা দেওনা
• মন মজালে,ওরে বাউলা গান
• আমার মাটির পিনজিরাই সোনার ময়নারে
• নতুন প্রেমে মন মজাইয়া
• বসন্ত বাতাসে সইগো
• আইলায় না আইলায় নারে বন্ধু
• মহাজনে বানাইয়াছে ময়ুরপংখী নাও
• আমি তোমার কলের গাড়ি
• সখী কুঞ্জ সাজাও গো
• জিজ্ঞাস করি তোমার কাছে
• যে দুংখ মোর মনে
• হুরু থাকতে,আমরা কত খেইর (খেইল) খেলাইতাম
• হাওয়াই উরে আমার
• গান গাই আমার মনরে বুঝাই
• দুনিয়া মায়ার জালে • দয়া কর দয়াল তোমার দয়ার বলে
• আগের বাহাদুরি গেল কই
• মন বান‍দিব কেমনে
• আমার মন উদাসি
• আমি তরে চাইরে বন্ধু
• কাঙ্গালে কি পাইব তোমারে
• বন্ধুরে কই পাব
• এখন ভাবিলে কি হবে
• আসি বলে গেল বন্ধু আইলনা
• আমি কি করি উপায়
• প্রান বন্ধু আসিতে কত দুরে
• বন্ধু ত আইলনাগু সখী
• আমি গান গাইতে পারিনা
• খুজিয়া পাইলাম নারে বন্ধু
• ভব সাগরের নাই

শাহ আবদুল করিমের মৃত্যু দিনের স্মৃতি মনে করে সুমনকুমার দাশ লিখেছেন-

“১২ সেপ্টেম্বর ২০০৯। রোদঝলমলে সকাল। হঠাৎ শুনলাম বাউলসাধক শাহ আবদুল করিম আর নেই। চোখের পলকে যেন রং-রূপ-রস-গন্ধে ভরা জীবনটা হয়ে গেল বর্ণহীন, ফিকে। পৃথিবী যেন স্তব্ধ মনে হলো।
এই সাধকের জীবন ও দর্শনে আমি বহুকাল বাঁধা পড়ে আছি। সেই বন্ধন থেকে জন্ম নিয়েছিল এক অদ্ভুত বোধের—শাহ আবদুল করিম মরতে পারেন না।
যে বাঁধনে শাহ আবদুল করিম আমাকে বেঁধেছিলেন, সেই একই বাঁধনে বাঁধা পড়েছিলেন শত-সহস্র মানুষ। মৃত্যুর পর যখন তাঁর মরদেহ নিয়ে আসা হয় সিলেটের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে, তখন হাজারো বাউল-অনুরাগী ভিড় জমিয়েছিলেন। তাঁর মৃত্যুর খবরে কাঁদতে পারিনি আমি। গলার কাছে দলা পাকিয়ে ছিল গুমোটবাঁধা কান্নার বাষ্প। আমি কোথায়-কার কাছে যাব, বুঝে উঠতে পারছিলাম না। মনে আছে, কেউ একজন আমাকে টেনে নিয়েছিলেন বুকে। অঝরে কেঁদেছিলাম আমি। সংবিত্ ফিরে পেলাম যখন, তখন দেখি অপেক্ষমাণ হাজারো বাউল-অনুরাগী দুপুরের কড়কড়ে রোদে দরদর করে ঘামছেন। কারও কারও ঘাম আর অশ্রুতে একাকার হয়ে গেছে পুরো মুখায়ব। করিমের অন্যতম প্রিয় দুই শিষ্য আবদুর রহমান ও রণেশ ঠাকুরের নেতৃত্বে বাউলেরা শহীদবেদিতে দাঁড়িয়ে কান্নাজড়িত কণ্ঠে খালি গলায় গাইছিলেন—‘কেন পিরিতি বাড়াইলায় রে বন্ধু ছেড়ে যাইবায় যদি...’। আবেগপ্রিয় লোকজন এ গান শুনে কান্না সামলাতে পারেননি। অঝরে যেন শ্রাবণের বৃষ্টি নেমেছিল সবার চোখ থেকে। কাউকে ভালোবেসে হারানোর কষ্ট সেদিনই প্রথমবারের মতো অনুভব করলাম।”



১২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ তারিখে এই মহান শিল্পীর দেহাবসান ঘটে। তাঁকে আমি জীবন-শিল্পী বলবো কারণ জীবনকে খালি চোখে দেখে তার ভেতরকার সত্যিকারের হৃদয়তন্ত্রীর তারগুলোকে বাজিয়ে তিনি সৃষ্টি করতেন গান। গানের ভেতর দিয়ে জীবনের গল্প, আত্মার গল্প বলার এমন বিস্ময়কর প্রতিভা সচরাচর দেখা যায় না। ২০০১ সালে তিনি একুশে পদক লাভ করেন সঙ্গীতে অবদানের জন্য। এছাড়া আরো বেশ কিছু পুরস্কার ও সম্মাননা তিনি পেয়েছিলেন। দরিদ্র হলেও বিভিন্ন সংস্থা থেকে দেয়া দানকে তিনি হাসিমুখে না বলতেন। মনে পড়ে সঞ্জীব চৌধুরী তাঁর ব্যান্ডদল ‘দলছুট’কে নিয়ে শাহ আবদুল করিমের কয়েকটি গান গেয়েছিলেন। ‘গাড়ি চলে না, চলে না’ গানটি তো তখন ব্যাপক আলোড়ন তুলেছিল। মূলত ঐ সময় থেকেই শাহ আবদুল করিমের গান সাহিত্য-সংস্কৃতির কথিত মূলধারার জনগোষ্ঠীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে।

শাহ আবদুল করিমকে নিয়ে রচিত হয়েছে বেশ কয়েকটি বই এবং তাঁর গানের কয়েকটি সঙ্কলনও প্রকাশিত হয়েছে। সেগুলো হলো-
• আফতাব সঙ্গীত (১৩৫৫ বাংলা; আনুমানিক ১৯৪৮)
• গণ সঙ্গীত (১৯৫৭)
• কালনীর ঢেউ (১৩৮৮ বঙ্গাব্দের আশ্বিন; ১৯৮১ সালের সেপ্টেম্বর)
• ধলমেলা (১৩৯৬ বঙ্গাব্দের ১ ফাল্গুন; ১৯৯০ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি)
• ভাটির চিঠি (১১ বৈশাখ ১৪০৫; ২৪ এপ্রিল ১৯৯৮)
• কালনীর কূলে (নভেম্বর ২০০১)
• শাহ আব্দুল করিম রচনাসমগ্র (সংকলন ও গ্রন্থন: শুভেন্দু ইমাম, ২২ মে ২০০৯)

শাহ আবদুল করিমকে নিয়ে তৈরি করা প্রামান্য চিত্রটি দেখুন।



জনপ্রিয় কয়েকটি গানের একটি ইউটিউব সংকলন।




সুব্রত দত্ত
২০ জুলাই ২০২০ খ্রিস্টাব্দ
উত্তরখান, উত্তরা, ঢাকা।


[তথ্য, চিত্র ও ভিডিও ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত]

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২১

স্থিতধী বলেছেন: আসলে ' পপ কালচার' / ফোক আর ক্লাসিকাল ধারার কালচার বা উচ্চ মার্গের সঙ্গীত / জ্ঞান চর্চার মাঝে একটা দেয়া- নেয়ার সম্পর্ক থেকেই যায় সবসময়। যে উন্নাসিকদের কথা বলছেন তাঁরা এই দেয়া নেয়ার সম্পর্ক টি না বুঝে শুধু পার্থক্য টাই দেখে যায়। লেখাটি ভালো লেগেছে। শাহ আব্দুল করিমের অনেক গান- ই ভালো লাগে।

১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪৮

সুব্রত দত্ত বলেছেন: হুম ঠিক ধরেছেন। বর্তমান প্রজন্মকে দেখি এসব জানার ব্যাপারে বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই।
আমার লেখাটা আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ।

২| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫৬

রাজীব নুর বলেছেন: একজন গ্রেট বাউল।

১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪৮

সুব্রত দত্ত বলেছেন: হুম, ঠিক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.