নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নেশা সাহিত্য, পেশা শিক্ষকতা।

সুব্রত দত্ত

পরিশ্রমকে সঙ্গী করে কত মানুষ উর্ধ্বে গেলো, আকাশের ঐ তারার দলে/ চিরদিনই অলস আমি, আছি পড়ে অনন্তকাল এই ধরনীর গাছের তলে।

সুব্রত দত্ত › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছোটগল্প: \'মানসিক অসুস্থতা\'

১৭ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:৪৬

টিং টং
কলিংবেল বাজতেই দৌড়ে দরজা খুলতে যায় রিমা।
দরজাটা খুলতেই ওর উৎসাহী মুখটা দমে যায়। প্রতীক্ষা কার! আর এলো কে?
এমনিভাবে মানুষের প্রত্যাশা আর প্রাপ্তির গড়মিলটা থেকে যায় আজীবন।
'ভেতরে আসতে পারি?' সাব্বিরের প্রশ্ন।
'এসো'- বলেই রিমা ড্রইংরুমের দিকে এগোয়। পিছনে সাব্বির।
'বসো'- সোফার একপাশ দেখিয়ে দিয়ে রিমা মুখোমুখি অপর প্রান্তে বসে।
বসতে বসতে সাব্বির বলে, 'একটা জরুরি কথা জানাতে এলাম।'
'কী কথা?'
'কৌশিক আমেরিকা চলে যাচ্ছে।'
'তো!'
'তোমাকে জানানো জরুরি মনে হলো।'
'ধন্যবাদ। বসো, চা নিয়ে আসি।'
'না থাক, চা খাব না।'
'কেন?'
'ভালো লাগছে না। বরং আমি যাই।'
'আচ্ছা, যাও।'
সাব্বির সোফা থেকে উঠে বাসা থেকে বের হয়।
রিমা জানালা দিয়ে দূর আকাশের ছোট ছোট পাখিগুলো দেখে। মনটা খারাপ। সাব্বির কি কোনোদিনই সুস্থ হবে না? কৌশিক তো কবেই মারা গেছে। সাব্বির কেন ওকে ভুলতে পারিনি?
সিঁড়ি দিয়ে নামতে নামতে সাব্বিরের মনটা বিষন্ন হয়ে যায়। রিমা কি চিরদিনই অসুস্থ থাকবে? নিজেকে আর কত দিন সাব্বির বলে পরিচয় দিবে কৌশিক নামটা তো ভুলতে বসেছে।

সুব্রত দত্ত
১৭/০৭/২০১৬
রাত: ৯টা ৩০মিনিট।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:২৭

সাহসী সন্তান বলেছেন: গল্পের মোটিভটা ধরতে পারলাম না? কৌশিক আমেরিকা যাচ্ছে তাতে রিমার কি? আর সাব্বিরই বা রিমাকে কেন সে কথা বলতে এলো? তাছাড়া সাব্বিরই যদি কৌশিক হয় তাহলে রিমার কাছে সে এটা গোপন রেখেছে কেন?

গল্পটা এত ছোট না হয়ে আরো একটু বড় হওয়া উচিত ছিল! অন্তত গল্পের মধ্যে পাঠকের এই ধরনের কনফিউশনটা তো দূর করা উচিত ছিল? আমি ভাবছিলাম, এটা বোধ হয় কোন ত্রিভূজ প্রেমের গল্প! কিন্তু তাও না!

যাহোক শুভ কামনা!

১৮ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ৭:৩৯

সুব্রত দত্ত বলেছেন: দীর্ঘদিন পর আপনাকে ব্লগে দেখছি। ভালো লাগল। অবশ্য গত কিছুদিন আমিও ব্লগে নেই। তবে পুরো রোজার মাসে সবসময় ব্লগে ছিলাম কিন্তু আপনাকে পাইনি। যাহোক, গল্পের প্রসঙ্গে আসি। আপনার বক্তব্যের সঙ্গে একমত হয়েই প্রশ্নগুলোর উত্তর দিচ্ছি। ১. গল্পের মোটিভ ধরতে না পারার কারণ গল্পে মোটিভ নেই। ২. নিশ্চিতভাবে রিমার সঙ্গে কৌশকের কোন যোগসূত্র আছে, যেটা লেখক ক্লিয়ার করে বলতে চায় না। ৩. সাব্বির রিমা আর কৌশিকের পরিচিত বিধায় কথাটা বলতে এসেছিল। ৪. আসলে রিমা অসুস্থ কৌশিক নয় সাব্বির মারা গেছে। অথচ স্মৃতিশক্তির অসুস্থতায় রিমা জানে উল্টো তথ্যটা। ৫. এই গল্পটা পাঠককে নিঃসন্দেহে কনফিউজড করে দেয়। বর্তমান পৃথিবীতে প্রতিটি ঘটনাটাই কেমন যেন কনফিউজড মার্কা। মোটিভলেস জীবন। তথ্য বিভ্রান্তি। গল্প প্রকৃতপক্ষে কোন কাহিনিকে ধারণ না করে ঐ সবকে ধারণ করছে।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

২| ১৮ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ৮:৫৬

নীলপরি বলেছেন: আমিও আপনার উত্তরের মতোই গল্পটা আন্দাজ করেছিলাম । ভালো লাগলো ।

১৮ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ২:২৪

সুব্রত দত্ত বলেছেন: আপনার আন্দাজ শতভাগ ঠিক হয়েছে। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আর সত্যি বলতে কি একদম লিখতে পারছি না। এমন একটা জীবন ব্যবস্থার ভেতর দিয়ে জীবন অতিবাহিত করছি যেখানে সুন্দর, পবিত্র, কল্যাণকর কিছু সৃষ্টির প্রেরণা পাওয়া যায় না। বলতে পারেন, অপবিত্র, অকল্যাণকর, অসুন্দরও তো সাহিত্যে জায়গা করে নিতে পারে। মানছি। সাহিত্যকে যদি সমাজের দর্পণ মানি তবে তো নেতির জায়গাও সাহিত্যে থাকবে। এটার মতো আবার এও সত্য যে, মানুষ সুন্দরের পূজারি। সুতরাং সৌন্দর্য আবশ্যক সকলক্ষেত্রে। জীবনের সৌন্দর্য খুঁজে পাচ্ছি না। তাই এইসব হাবিজাবি লেখাকেই গল্প বলে চালিয়ে দেয়া।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.