নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নেশা সাহিত্য, পেশা শিক্ষকতা।

সুব্রত দত্ত

পরিশ্রমকে সঙ্গী করে কত মানুষ উর্ধ্বে গেলো, আকাশের ঐ তারার দলে/ চিরদিনই অলস আমি, আছি পড়ে অনন্তকাল এই ধরনীর গাছের তলে।

সুব্রত দত্ত › বিস্তারিত পোস্টঃ

বুঝে নিন কোথায় কেমন সেবা পাবেন:)

২৯ শে জুন, ২০১৬ রাত ৮:১৩

১। নিত্যদিনের বাজার-সদায় বলতে আমরা মূলত শাক-সবজি জাতীয় জিনিসগুলো কেনাকেই বুঝে থাকি। আপনি কি জানেন কোথায় আপনি ভালো, সতেজ শাক-সবজি পাবেন? ধরেন আপনি ঢাকাশহরের আশেপাশের কোন শহরে থাকেন। আপনার এলাকায় দুটি বা তার বেশি বাজার আছে। তবে সেগুলোর মধ্যে একটি বিশাল বড় এবং বাকি দুটো ছোট প্রকৃতির। নিশ্চয়, সবাই বলবেন বড় বাজার থেকে বাজার করাই ভালো কিন্তু আমার অভিজ্ঞতায় দেখেছি, ছোট বাজারে শাক-সবজির আইটেম কম থাকলেও যদি সকাল সকাল যান তবে বেশ টাটকা শাক-সবজি পেয়ে যাবেন। দামও কিন্তু খুব বেশি নিবে না। নিশ্চিন্তে বাজারটা সেরে ফেলতে পারেন।

২। ঈদের শপিং করবেন, মানে জামা-কাপড়-জুতো ও এই জাতীয় জিনিস কিনবেন। আপনার এলাকায় বেশ কয়েকটা মার্কেট আছে। ভাবলেন ভীড়ের মধ্যে বড় মার্কেটটায় গিয়ে লাভ নেই। বরং বাসার কাছের ছোট মার্কেটটা দিয়েই শপিং সেরে ফেলি। তবে বলব, চরম ভুল করলেন। দামে যেমন ঠকবেন, মানেও ঠকবেন শতভাগ নিশ্চিত। এই জাতীয় জিনিস সব সময় বড় মার্কেট দিয়ে কিনতে হয়।

৩। মাছ-মাংস কেনা একটা ঝক্কির কাজ। অনেকেই বিরক্ত হন। তবে বলব সরাসরি আড়ৎ বা তার আশেপাশে চলে যান, ছোটখাটো দোকান থেকে ভালো মাছ পাবেন না। যে বিক্রেতার দোকানে ভীড় বেশি দেখবেন, সেখান থেকে কেনার চেষ্টা করবেন (এটাকে গড্ডালিকা প্রবাহ ভাববেন না। যে কোন জ্ঞানতাত্ত্বিক বিষয়ে আমজনতা একটু পিছিয়ে থাকলেও সংসার-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তারা অনেক এগিয়ে।)

৪। দুপুরে কাজের ব্যস্ততায় লাঞ্চ করার সুযোগ পাচ্ছে না। অবশেষে পড়ন্ত দুপুরে খাওয়ার ফুসরৎ মিলল। কোন একটা রেস্টুরেন্টে ঢুকবেন। দেখলেন আশেপাশে তিন চারটা আছে। ভাববেন একটু আরামে বসে, নিরিবিলি খাই। তাই কম ভিড়ের রেস্টুরেন্টে ঢুকলেন। ব্যস্ নিম্নমাণের খাবার আপনার পেটকে স্বাগতম জানাবে। ওখানে ওয়েটার আপনার সঙ্গে আন্তরিক ব্যবহার করবে। তরকারির ঝোলও একটু বেশি দিবে কিন্তু জেনে রাখবেন মান খারাপ। ব্যস্ততার পথে কোন রেস্টুরেন্টে খেতে হলে অবশ্যই চেষ্টা করবেন ভিড় বেশি যে রেস্টুরেন্টে সেখানে খেতে বসতে। ওয়েটার হয়তো একটু অবজ্ঞা করবে কিন্তু তুলনামূলক ভালো মানের খাবার পাবেন।

৫। বন্ধুরা মিলে একটু চায়ের দোকানে বসে আড্ডা দিতে চাইছেন। এবার কিন্তু অচল দোকানের দিকেই এগিয়ে যাবেন। ভিড় কম, চা খেতে খেতে আড্ডা দিবেন। বিক্রেতাও রাগ করবেন না। কারণ তিনি বুঝবেন, এককাপ করে না অন্তত দু’কাপ করে চা সবাই খাবেন। সাথে ‘টা’ তো থাকবেই।

৬। ডেটিং-এ যেতে চান কিন্তু জায়গা পাচ্ছেন না। মনে মনে খুঁজবেন নিরিবিলি জায়গাতে বসে একটু একান্তে কথা বলার জন্য কিন্তু মনে রাখবেন বিপদ কিন্তু ওখানেই ওৎ পেতে থাকে। শুধু শুধু প্রেমিকাকে ও নিজেকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে না ফেলতে চাইলে মোটামুটি মানুষজন আছে এমন জায়গায় বসেন। [আমি ডেটিং বিশেষজ্ঞ নেই। আর এটা নিয়ে আপত্তি আসবে অনেকের তবু যা মনে হল বললাম]

৭। বাজেট কম, ভুল করেও ডির্পাটমেন্টাল স্টোরে ঢুকবেন না। বের হওয়ার সময় দেখবেন কোন না কোন অদরকারি (অন্তত ঐ সময়ে)জিনিস কিনে ফেলেছেন। [অবশ্য যারা নিয়মিত ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে যান, তাদের কথা আলাদা]

৮। ইলেকট্রনিক ডিভাইস সংক্রান্ত সমস্যাগুলো আমরা সাধারণত এলাকার আশেপাশের দোকান থেকেই করে থাকি। তবে একটু কষ্ট করে যদি ইলেকট্রনিক ডিভাইসের মার্কেটে যান তবে ভালো সার্ভিস পাবেন। [অবশ্য এলাকার দোকানদার পূর্বপরিচিত হলে সমস্যা নাই]



[বি.দ্র: কথায় আছে ‘নতুন ফকির হাটে বেশি’, আমার হয়েছে সেই দশা। কেন বললাম, বুদ্ধিমানরা বুঝে গেছেন। অতিরিক্ত পণ্ডিতি করছি হয়তো। আসলে সামুতে আসার পর কেন যেন লেখা প্রকাশের একটা তীব্র তাগিদ বোধ করছি। স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে যত বার কোন দেয়ালিকা, বার্ষিক ম্যাগাজিনে লেখা দিয়েছিলাম কখনই ছাপা হয়নি। বন্ধুরা বলত আমি ভালোই লিখি কিন্তু লেখা না ছাপার কারণটা বুঝতে পারিনি। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে বুঝতে পেরেছি ‘লবিং’ শব্দটার শক্তি ব্যাপক। ফাস্ট ইয়ার, সেকেন্ড ইয়ারেও লেখা ছাপাতো না কেউ, পরে সিনিয়র হওয়ার পর লেখা দেয়ার জন্য ফোন পেতাম। এখন্ও পাই। অবশ্য এখন পর্যন্ত জাতীয় দৈনিকে কোন লেখা দেয়া হয়নি। আর সামুতে ঘটেছে অন্য একটা ঘটনা। ‘নির্বাচিত পোস্ট’ বিষয়টা বুঝিনি। মনে হয়েছে যে পোস্টগুলোতে বেশি মন্তব্য পড়ে বা যে পোস্টগুলো বেশি পঠিত হয়, সেগুলো বোধ হয় সংক্রিয়ভাবে নির্বাচিত পোস্ট হয়ে যায় কিন্তু ব্যাপারটা তা নয়। আমার একটা পোস্ট অল্প পঠিত ও মন্তব্য পাওয়া সত্ত্বেও নির্বাচিত পোস্ট হয়ে গেছে। বুঝলাম মডারেশন বোর্ড পড়েছে এবং নির্বাচন করার মতো ভেবেছে। ব্যস্ আর পায় কে! ‘নতুন ফকির হাটে বেশি’ হয়ে যাচ্ছে। পোস্ট বেশি বেশি দিচ্ছি। আর ছুটিতে আছি বিধায় লেখালেখিতেও মন দিতে পারছি। উপরের বক্তব্যগুলো আমার একান্ত চিন্তাপ্রসূত। ভুল থাকলে সংশোধন করে দিবেন সে প্রত্যাশা রাখি। অার ছবিগুলো ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত।]

মন্তব্য ১৭ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জুন, ২০১৬ রাত ৮:৩১

আব্দুল্লাহ্ আল আসিফ বলেছেন: না, ভাল লিখেছেন। ডেভিড জে সার্টোজ এর বইয়ে এ সম্পর্কে পড়েছিলাম।

২৯ শে জুন, ২০১৬ রাত ৮:৪২

সুব্রত দত্ত বলেছেন: অামি অবশ্য ডেভিড জে সার্টোজ এর বই পড়িনি। অামার ব্যক্তিগত ধারণা থেকে বলছি। ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

২| ২৯ শে জুন, ২০১৬ রাত ১০:৩৯

ঢাকাবাসী বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন, ভাল লাগল। ছবিগুলো দেখে লেখাটা বিদেশীদের জন্য মনে হয়।

৩০ শে জুন, ২০১৬ রাত ১২:৩০

সুব্রত দত্ত বলেছেন: আমি দুঃখিত। নিজের ক্যামেরা নাই যে ছবি তুলে দিব। ইন্টারনেটেরও খুব বেশি সুবিধায় থাকি না যে খুঁজে খুঁজে দেশিয় ছবি বের করব। তবে যুক্তি দিয়ে তো সত্যকে বদলানো যায় না। সকালে ছবিগুলো বদলে দেয়ার চেষ্টা করব নতুবা বাদ দিব। ধন্যবাদ আমকর মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকবেন। শুভ রাত।

৩০ শে জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১২

সুব্রত দত্ত বলেছেন: ছবিগুলো বদলে দিলাম। এছাড়া অার কোন ভুল থাকলে জানবেন। উপকৃত হব। ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন। শুভ সন্ধ্যা।

৩| ২৯ শে জুন, ২০১৬ রাত ১১:১৫

সুমন কর বলেছেন: আরে না, চিন্তার কোন কারণ নেই পোস্ট ভালো হয়েছে। +।

৩০ শে জুন, ২০১৬ রাত ১২:৩২

সুব্রত দত্ত বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। শুভ রাত।

৪| ৩০ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১১:২৯

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: শুধু শুধু প্রেমিকাকে ও নিজেকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে না ফেলতে চাইলে মোটামুটি মানুষজন আছে এমন জায়গায় বসেন।
এইটা জোস বলছেন :)

৩০ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১১:৫৮

সুব্রত দত্ত বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। একটা পয়েন্ট মেনশন করে জোস বললেন। বাকিগুলোকে মেনশন ছাড়াই না হয় কিছু বলতেন।

৫| ৩০ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:১১

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: বাকিগুলাও ভাল বলছেন।
আসলে ঐটা সবচেয়ে ভাল বলছিলেন

৬| ৩০ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ১:১০

সুব্রত দত্ত বলেছেন: :) ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

৭| ৩০ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ২:৫৫

অশ্রুকারিগর বলেছেন: সম্পূর্ণ অন্যরকম একটা ফিচার লিখেছেন। এটাও নির্বাচিত পাতায় এসেছে। অভিনন্দন। হাহাহাহা।

৫,৭ নং একদম মিলে যায়, বাকিগুলো জানিনা।

লিখতে থাকুন এভাবে।

৩০ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:৫১

সুব্রত দত্ত বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। অার সামু কর্তৃপক্ষকেও অসংখ্য ধন্যবাদ। চেষ্টা করব ভালো পোস্ট দিতে। অাপনাদের উৎসাদ দান বেশ কাজ করছে অামার মনের উপর। ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ।

অার ৫,৭ নং হয়তো অাপনি প্রত্যক্ষ করেছেন। বাকিগুলো নিয়েও লক্ষ করবেন অাশা করি।

৮| ০৩ রা জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ভালো লিখেছেন। শেষে ব্র্যাকেটবদ্ধ বিঃ দ্রঃ কথাগুলো পড়ে মনে হলো আপনি কিছুটা দ্বিধা দ্বন্দ্বে ভুগছেন। সাফল্য ও ব্যর্থতা যমজ ভাই। এদের একজন আপনার সাথে দেখা করলে অন্যজনও দেখা করতে আসবে। সুতরাং, এসব নিয়ে এতটুকুও না ভেবে লিখে যান। আপনার সাফল্য কামনা করছি।

০৩ রা জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:৪০

সুব্রত দত্ত বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনার মূল্যবান বক্তব্য আমাকে দ্বিধা থেকে বের হতে সাহায্য করবে।

৯| ০৩ রা জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:৫০

মোঃ সাইফুল্লাহ শামীম বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন। অনেকাংশেই সহমত।

০৩ রা জুলাই, ২০১৬ রাত ১১:২৮

সুব্রত দত্ত বলেছেন: ধন্যাদ ভাই। ভালো থাকবেন। শুভ রাত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.