নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নেশা সাহিত্য, পেশা শিক্ষকতা।

সুব্রত দত্ত

পরিশ্রমকে সঙ্গী করে কত মানুষ উর্ধ্বে গেলো, আকাশের ঐ তারার দলে/ চিরদিনই অলস আমি, আছি পড়ে অনন্তকাল এই ধরনীর গাছের তলে।

সুব্রত দত্ত › বিস্তারিত পোস্টঃ

তথ্য অধিকার!!! তথ্য কেন্দ্র!! তথ্য নাই!!!

২২ শে জুন, ২০১৬ রাত ৯:২২


প্রায়ই লক্ষ করা যায় যে কোন প্রতিষ্ঠানের ‘তথ্য কেন্দ্র’ নামক স্থানটি থেকে যথাযথ তথ্য পাওয়া যায় না। তাদের বক্তব্য থাকে ‘ভাই, এটা তো জানা নাই।’, ‘আমি জানি না ভাই।’, ‘এই তথ্য তো আমাদের কাছে নেই।’ ইত্যাদি, ইত্যাদি। তবে এমনটা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে যতটা দেখা যায়, সরকারি প্রতিষ্ঠানে তার থেকে অনেক বেশি দেখা যায়। এখন কথা হচ্ছে- ‘তথ্য অধিকার আইন’ প্রণয়ন করা হয়েছে কেন? কোনো তথ্য জানা কি কারো অধিকার? যদি তা-ই হয় তবে ‘তথ্য কেন্দ্র’-তে তথ্য না থাকাটা কেমনতর! তথ্য কেন্দ্রকে বরাবরই অবহেলার চোখে দেখা হয়। মানুষও তথ্য জানতে গিয়ে ইতস্তত করে এবং তথ্য কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত লোকও করে গড়িমশি। এর বহুবিধ কারণ থাকতে পারে। যেহেতু ‘তথ্য অধিকার আইন’ সম্পর্কে আমার জানাশোনা নেই সেহেতু সে ব্যাপারে কিছু লিখছি না। তবে আমার মনে হয় ‘তথ্য’-ই একমাত্র সত্যের দ্বারে পৌঁছে দেয়, সেই জন্যই ‘তথ্য কেন্দ্র’ পেয়ে থাকে সুপ্রিম পাওয়ার। একটু লক্ষ করলে দেখা যায়, এই তথ্য কেন্দ্রে চাকরি করা লোকজনের শিক্ষাগত যোগ্যতা বেশি না এবং তাদের পদমর্যাদাও তৃতীয় শ্রেণির। এ থেকে বোঝা যায়, এর গুরুত্বও তৃতীয় অবস্থানে। আমার মনে হয়, তথ্য পরিবেশন ও উপস্থাপন যে কোন প্রতিষ্ঠানের প্রধান কাজ হওয়া উচিত। অর্থাৎ, যদি পোস্ট অফিসের কথা ধরি। তবে পোস্ট অফিস একজন নাগরিককে কী কী সুবিধা দিবে? কীভাবে নাগরিকরা সুবিধা পাবে? ইত্যাদি যাবতীয় বিষয়গুলো সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হবে পোস্ট অফিসের প্রধান কাজ। তেমনি ভাবে সকল প্রতিষ্ঠানই। কিন্তু দেখা যায়, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানেও একটা তথ্য পেতে বেগ পেতে হয় অনেক সময়। সেবার মানও যে খুব বেশি, তা নয়। তাহলে ‘তথ্য কেন্দ্র’-এ ‘তথ্য নাই’ ব্যাপারটা কেমন হাস্যকর লাগে!!!

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.