নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নেশা সাহিত্য, পেশা শিক্ষকতা।

সুব্রত দত্ত

পরিশ্রমকে সঙ্গী করে কত মানুষ উর্ধ্বে গেলো, আকাশের ঐ তারার দলে/ চিরদিনই অলস আমি, আছি পড়ে অনন্তকাল এই ধরনীর গাছের তলে।

সুব্রত দত্ত › বিস্তারিত পোস্টঃ

`দ্য আলকেমিস্ট`- পাওলো কোএলহো ডি’সুজা

১৭ ই জুন, ২০১৬ রাত ১১:০৬

একদিন এক কিশোর তার মাকে বলল, ‘মা, আমি একজন লেখক হতে চাই।’ এই কথা শুনে তার মা বললেন, ‘প্রিয়, তোমার বাবা একজন প্রকৌশলী। তিনি একজন যুক্তিবাদী ও দায়িত্ববান মানুষ। তিনি জীবন ও জগৎ সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা রাখেন। তুমি কি স্বচ্ছ ধারণা রাখ যে একজন লেখক হওয়া বলতে ঠিক কী বুঝায়?’ সেদিন হয়তো কিশোরটি সে প্রশ্নের জবাব দিতে পারেনি। কিন্তু পরবর্তী সময়ে তাঁর লেখনীশক্তির যাদুতে জগৎ, জীবন সম্পর্কে অসাধারণ বক্তব্য তিনি দিয়েছেন। তিনি ব্রাজিলিয়ান লেখক ও গীতিকার পাওলো কোএলহো ডি’সুজা। ১৯৪৭ সালের ২৪ আগস্ট, রিও ডি জেনেরিও-তে জন্মগ্রহণ করা এই মানুষটি তাঁর কৈশোরের স্বপ্নকে বাস্তবায়নের ভেতর দিয়ে, মানুষ ও তার স্বপ্ন, আকাক্সক্ষার ব্যাখ্যা, গন্তব্যে পৌঁছানোর ইতিবাচক প্রণোদনাসহ জগৎ ও জীবন সম্পর্কে ভাবনার বিভিন্ন দ্বার উন্মোচন করেছেন।

তাঁর সবচে’ জনপ্রিয় রচনা ‘দ্য আলকেমিস্ট’ ইতোমধ্যে পৃথিবীর প্রায় ৮০টি ভাষায় অনূদিত হয়েছে এবং ২০০ মিলিয়নের মতো কপি বিক্রি হয়েছে। এই রচনাই তাঁকে বিশ^খ্যাত লেখকের পদমর্যাদায় অধিষ্ঠিত করেছে।
‘দ্য আলকেমিস্ট’-এর এই জনপ্রিয়তার কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা যায় রচনাটির বিষয়বস্তু। গঠনশৈলির জায়গাতে একেবারে সাদামাটাভাবে সরাসরি বর্ণন প্রক্রিয়ায় গিয়ে লেখক বিষয়বস্তুকে উপলব্ধি ও বুঝে উঠতে পারার পথটি সুগম করেছেন।
সান্তিয়াগো নামের একটি মেষপালক স্পেনের একটি চারণভূমির পাশে ভগ্ন গির্জায় একটি পরিত্যক্ত কক্ষে ঘুমোতে ঘুমোতে পরপর দু’বার একটি স্বপ্ন দেখে। সে দেখে মিশরের পিরামিডের নিচে গুপ্তধন রয়েছে। দু’বার একই স্বপ্ন দেখার জন্য সে মিশরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। তার এই যাত্রারম্ভের ভেতর দিয়ে উপন্যাসটির আখ্যানভাগের সূচনা হয়। সান্তিয়াগোর গুপ্তধনের অনুসন্ধানে যাত্রা, পথে বাধা-বিপত্তি, ব্যক্তিগত ও পারপ¦ার্শিক নানা প্রতিকূলতা- ইত্যাদির চমৎকার বয়ান ও বিশ্লেষণের ভেতর দিয়ে লেখক মানবজীবনের একটি বিশেষ অর্থ নির্মাণের চেষ্টা করেছেন। সান্তিয়াগো যেন আমরা প্রত্যেকেই, তার গুপ্তধন হচ্ছে আমাদের সেই স্বপ্ন বা আকাক্সক্ষা যা আমরা নিজের ভেতর পুষে রাখি। কিন্তু সে স্বপ্ন বা আকাক্সক্ষা পূরণ করে উঠতে পারি না অনেকেই। সেই না পেরে ওঠার কারণও ব্যাখ্যা করেছেন পাওলো কোএলহো। তিনি তাঁর ‘দ্য আলকেমিস্ট’-এর ভূমিকাতেই লিখেছেন- আমরা অনেকেই ব্যক্তিগত হৃদয়ের আহ্বানে সাড়া দিতে পারি না। এই ব্যক্তিগত হৃদয়ের আহ্বান হচ্ছে ঈশ^রের আর্শীবাদের মতো। এটা হচ্ছে তা, যা আমাদের হৃদয় আমাদের করতে বলে। চারটি বাধার কারণে আমরা সাড়া দিতে পারি না। প্রথমত, শৈশব থেকেই আমাদের পারিপ¦ার্শিকতা আমাদের শেখায়, যা কিছু আমরা করতে চাই না কেন, সে সবকিছুই অর্জন অসম্ভব। এই ধারণা নিয়ে বড় হতে হতে আমাদের মন বদ্ধপরিকর হয় যে আসলেই তা অসম্ভব। দ্বিতীয় বাধা হচ্ছে, ভালোবাসা। আমরা জানি যে আমাদের চাওয়াকে বাস্তবে রূপ দিতে গেলে প্রয়োজন হয় অনেক ত্যাগ-তিতিক্ষার। আর তা করতে গেলে আমাদের অনেত প্রিয়জনই আঘাত পাবে। তৃতীয় বাধা হিসেবে আসে পরাজয়ের ভীতি। যদি ব্যর্থ হই? যদি লক্ষ্যে পৌঁছাতে না পারি- এই ধরনের ভাবনাগুলো আমাদের স্বপ্নপূরণের অভিযাত্রাকে বিঘিœত করে। আর চতুর্থ বাধা হলো, স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেয়ার ভয়। যদি স্বপ্ন পূরণ হয়, তখন যদি ঠিক যেমনটা ভেবেছিলাম, সবকিছু তেমনভাবে না পাই- এই ভীতিও মানুষকে স্বপ্ন পূরণের পথে বাধা সৃষ্টি করে। লেখক অবশ্য এই চারটি বাধা অতিক্রমের পথও দেখিয়েছেন। মূলত সান্তিয়াগো এই চারটি বাধা অতিক্রম করার ভেতর দিয়ে সে তার গুপ্তধনের কাছে পৌঁছেছে। মজার বিষয় হলো, পিরামিডে পৌঁছে সে কোন গুপ্তধনই পায়নি বরং উপজাতীয় যুদ্ধে উদ্বাস্তু একদল মানুষের আক্রমণের শিকার হয়। তারা সান্তিয়াগোর সবকিছু কেড়ে নেয় এবং প্রচ- প্রহার করে। কিন্তু সান্তিয়াগো যখন ওর গুপ্তধন অনুসন্ধানের কথা বলে, তখন ঐ দলের দলনেতা তাকে বলে সেও এই এখানে দু’বছর আগে বেশ কয়েকবার স্বপ্ন দেখেছিল যে স্পেনের একটা চারণভূমিতে তার যাওয়া দরকার, সেখানে একটা ভগ্ন গির্জা রয়েছে, একজন মেষপালক এবং তার ভেড়ার পাল সেখানে রাত কাটায়। সেই গির্জাটার একটা কক্ষের ভেতর জন্ম নিয়েছে একটা সাইকামোর গাছ; সেই সাইকামো গাছের নিচে লুকানো গুপ্তধন রয়েছে কিন্তু এসব স্বপ্নকে বিশ^াস করে পুরো একটা মরুভূমি পাড়ি দেয়ার মতো নির্বোধ সে নয়। সান্তিয়াগো সমস্তটাই বুঝতে পারে। আসলে সে তার গুপ্তধনের ঠিকানা পেয়েছে। ঠিক যেখানে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে সে গুপ্তধনের স¦প্ন দেখেছিল ঠিক সেখানেই লুকনো রয়েছে গুপ্তধন। এই ধরনের চমৎকার সমাপ্তির ভেতর দিয়ে লেখক রূপকের আড়ালে আমাদের জীবন সম্পর্কে গূঢ় কিছু কথা বলেছেন। সমগ্র কাহিনির পরতে পরতে রয়েছে জীবন, স্বপ্ন, ব্যক্তিগত উপাখ্যান এবং সর্বাপরি ‘পৃথিবীর সংকেত’ নিয়ে বহু দার্শনিক কথাবার্তা। পৃথিবীর সংকেত বলতে এখানে বোঝানো হয়ে প্রতিটি মানুষের জন্য কোনটা করা উচিত বা কোনটা করা উচিত নয়- পৃথিবীর সমস্ত কিছু নিজ নিজ অবস্থান থেকে তার সংকেত দেয়। লেখকের মতে বিশে^ও প্রতিটি প্রাণ ও জড়ের ভাষা রয়েছে। সে ভাষাটা সংকেতের ভাষা। এই ভাষা বুঝতে পারাটা কোন ব্যক্তির জন্য খুব জরুরি। তাহলেই সে তার ব্যক্তিগত আহ্বানে যথাযথভাবে সাড়া দিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবে।
‘দ্য আলকেমিস্ট’ রচনাটি লেখা হয় ১৯৮৮ সালে। ঐ বছরই ব্রাজিলের একটি ছোট্ট প্রকাশনী থেকে বইটি প্রকাশ করা হয়। ৯০০ কপি ছাপানোর পরই প্রকাশক জানিয়ে দেন বইটি আর ছাপানো সম্ভব নয়। পরে ১৯৯৪ সালে আমেরিকার সবচেয়ে বড় প্রকাশনী সংস্থা ঐধৎঢ়বৎপড়ষষরহং ‘দ্য আলকেমিস্ট’ ছাপাতে আগ্রহ প্রকাশ করে। এরপরই উপন্যাসটি সারাবিশে^ ছড়িয়ে পড়ে। অনূদিত হতে শুরু করে বিভিন্ন ভাষায়। বাংলা ভাষায় ‘দ্য আলকেমিস্ট’ উপন্যাসটির চমৎকার অনুবাদ করেন সাঈদা সানী। যদিও বইটি মূল ভাষার ইংরেজি অনুবাদ থেকে বাংলা করা হয়েছে। কিন্তু যতটা সম্ভব সহজ ও সাবলীল ভাষার ব্যবহার করে মূল স্বাদ অক্ষুন্ন রাখার চেষ্টা লক্ষ করা গেছে। বই বিশ^সাহিত্য কেন্দ্র থেকে প্রকাশিত হয়েছে ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে। বইয়ের ছাপামূল্য ১৫০ টাকা।

সুব্রত দত্ত
জুন ১৭, ২০১৬।

মন্তব্য ৩৬ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৩৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই জুন, ২০১৬ রাত ১১:৫৯

বিন্দু বিসর্গ বলেছেন: মাকসুদুজ্জামান খান ও অনুবাদ করেছেন

১৮ ই জুন, ২০১৬ রাত ১২:০৬

সুব্রত দত্ত বলেছেন: আমার জানা ছিল না। ধন্যবাদ।

২| ১৮ ই জুন, ২০১৬ রাত ১২:০০

কল্লোল পথিক বলেছেন:




সুন্দর রিভিউ।
বইটি পড়ার ইচ্ছা আছে।

১৮ ই জুন, ২০১৬ রাত ১২:০৮

সুব্রত দত্ত বলেছেন: জোগাড় করে পড়ে ফেলুন। আমার বিশ্বাস, উপকৃত হবেন।
রিভিউটাকে সুন্দর বলার জন্য ধন্যবাদ।

৩| ১৮ ই জুন, ২০১৬ ভোর ৪:১৪

ঈশান আহম্মেদ বলেছেন: ভালো লাগলো বই রিভিওটা।দেখি বইটা জোগার করতে পারি কিনা।কোন পিডিএফ ফাইল আছে এই বইয়ের।থাকলে লিংক প্লিজ।

১৮ ই জুন, ২০১৬ সকাল ৮:১৩

সুব্রত দত্ত বলেছেন: রিভিউটা ভালো লেগেছে শুনে ভালো লাগল। বইটার কোন লিংক আছে বলে মনে হয় না। বিপ্লব06 ভাই, ইংরেজি বইটার লিংক দিয়েছেন। দেখতে পারেন। ধন্যবাদ।

৪| ১৮ ই জুন, ২০১৬ ভোর ৪:২৯

বিপ্লব06 বলেছেন: এইটা একটা অসাধারণ বই। আমি মনে করি সবারই বইটা পড়া উচিত।
এইখানে ইংরেজি কপিটার লিঙ্ক।

১৮ ই জুন, ২০১৬ সকাল ৮:১৬

সুব্রত দত্ত বলেছেন: হুম, আমিও বইটা পড়ে অভিভূত হয়েছি। হতাশার ভেতর থাকা মানুষগুলোর জন্য এটা বেশি দরকার মনে হয়। ইংরেজি বইটার লিংক দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।

৫| ১৮ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ২:৪৮

অপরিচিত সেই আমি বলেছেন: বইটা পড়া হয় নাই। তবে রিভিউ ভাল হইছে।

১৮ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:২৬

সুব্রত দত্ত বলেছেন: সম্ভব হলে সংগ্রহ করে পড়বেন। আমার মনে হয় তাতে উপকৃত হবেন। আর রিভিউটার প্রশংসার জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

৬| ১৮ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৪

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ভালো পোস্ট!

১৮ ই জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৩

সুব্রত দত্ত বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

৭| ১৮ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:০২

র‍্যাশ বলেছেন: বইটার ইংরেজী অনুবাদ পড়েছিলাম , ভাল লেগেছিল। পোস্টও ভাল লেগেছে।

১৮ ই জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৪

সুব্রত দত্ত বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। অাসলেই বইটা চমৎকার। সবারই পড়া উচিত। অাপনার পোস্টটা ভালো লেগেছে শুনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ।

৮| ১৮ ই জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৪

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: দারুন লিখেছেন।
পড়তে হবে বইটা

১৮ ই জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৬

সুব্রত দত্ত বলেছেন: হুম, অবশ্যই পড়া উচিত। যে সকল দোকানে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বই রাখে সেসব দোকানে পাবেন। পোস্টটা ভালো লেগেছে শুনে ভালো লাগল। ধন্যবাদ।

৯| ১৮ ই জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৬

মনিরা সুলতানা বলেছেন: পড়ার আগ্রহ জাগলো আপনার রিভিউ তে!!!
শুভ কামনা :)

১৮ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:২৫

সুব্রত দত্ত বলেছেন: আমার পরিশ্রম তাহলে স্বার্থক হলো। ভালো লাগল আপনার মন্তব্য। সাহিত্যের ছাত্র বিধায় পাঠ্যপুস্তক হিসেবে পড়ে অনেক বইয়েরই রিভিউ লিখতে হত পরীক্ষার খাতায়। এখন পরীক্ষা দিতে হয় না আর। সে অধ্যায় সমাপ্ত। এখন লেখি প্রাণের তাগিদে। সেটা যে ভালো হচ্ছে, এখানে অনেকের মন্তব্যে তা বিশ্বাস করতে শিখছি। এটা আমার তৃতীয় রিভিউ লেখা। মনে হচ্ছে রিভিউ লেখাটা কনটিনিউ করা যেতে পারে। আর আপনার পড়া আগ্রহ যখন জেগেছে, আশা করি সংগ্রহ করে পড়বেন। পড়ার পরের মন্তব্যের অপেক্ষায় রইলাম। ধন্যবাদ।

১০| ১৮ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:০১

নীলপরি বলেছেন: রিভিউ ভালো লাগলো ।

১৮ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:২৭

সুব্রত দত্ত বলেছেন: আপনার মন্তব্যটা ভালো লাগল। :)

১১| ১৮ ই জুন, ২০১৬ রাত ১১:২০

মনিরা সুলতানা বলেছেন: অবশ্যই কন্টিনিউ করবেন, আশা করছি দারুন কিছু লেখা পাব!!!!

চমৎকার একজন ব্লগার পেতে যাচ্ছে সামহুয়ারইন :)

১৮ ই জুন, ২০১৬ রাত ১১:৩৩

সুব্রত দত্ত বলেছেন: বলেন কি!!! সামহুয়ারইন-এ মাত্র জন্মেছি। এতেই সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছেন! আমার তো নেশা নেশা লাগছে। সত্যি ভালো লাগল। দোয়া রাখবেন। তবে কোন একটা বইতে পড়েছিলাম 'বড় লেখক, ভালো লেখক হওয়ার আগে বড় মানুষ, ভালো মানুষ হতে হয়।' কথাটা খুব মনে ধরেছিল। তাই চমৎকার একজন ব্লগার হওয়ার আগে চেষ্টা করব চমৎকার একজন মানুষ হওয়ার (যেটা পৃথিবীর কঠিন কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম)। সাহিত্যিকদের মধ্যে আমার প্রধান গুরু কান্ট লিও টলস্টয়। তার জীবনটা চমৎকার। জীবনে অবশ্য বেশ কয়েকটা পাপ করেছিলেন কিন্তু অভিনব ভাবে তার প্রায়শ্চিত্তও করেছিলেন তার জীবন ও সহিত্য দিয়ে। এমন অনেকেই আমার প্রেরণা। এখানে কেবল নাম জানা কয়েকজনের ভালো ব্যবহার ও উৎসাহ দান আমাকে আরও উৎসাহ দিচ্ছে। তাদের সবাইকে ধন্যবাদ এবং বিশেষভাবে আপনাকে এত বড় আশাবাদ ব্যক্ত করার জন্য। ভালো থাকবেন। শুভ রাত।

১২| ১৯ শে জুন, ২০১৬ রাত ৩:৫২

ধুপছায়া খেলা বলেছেন: বেশ চমৎকার লেখা। আমি পড়ছি বইটা। মাঝামাঝি অবস্থায় আছি। এই লেখাটা বিষয়গুলোকে আরো বোধগম্য করে তুলবে। ধন্যবাদ, চমৎকার লেখা উপহার দেয়ার জন্য।

১৯ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১০:৪৭

সুব্রত দত্ত বলেছেন: পড়ে ফেলেন। অবশ্যই ভালো একটা বই এটা। আর আমার রিভিউটা আপনার ভালো লেগেছে শুনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

১৩| ১৯ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১১:৪৬

আরমিন বলেছেন: সুন্দর রিভিউ হয়েছে, শুভকামনা আপনার জন্য।

১৯ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:২৭

সুব্রত দত্ত বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

১৪| ১৯ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ২:৪২

অদৃশ্য বলেছেন:



গতবছরের আগের বছর অনেক খুঁজে বইটি সংগ্রহ করেছিলাম... আপনার লিখাটিও চমৎকার হয়েছে...

শুভকামনা...

১৯ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:২৯

সুব্রত দত্ত বলেছেন: রিভিউ-এর প্রশংসার জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

১৫| ১৯ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:০৪

পুলহ বলেছেন: পড়তে হবে, অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে রিভিউ এর জন্য।
শুভকামনা!

১৯ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:৩১

সুব্রত দত্ত বলেছেন: অবশ্যই পড়বেন। আশা করি বইটি আপনাকে অবশ্যই উপকৃত করবে। ধন্যবাদ।

১৬| ১৯ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:০৯

আব্দুল্লাহ্ আল আসিফ বলেছেন: ধন্যবাদ :)

১৯ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:৩২

সুব্রত দত্ত বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ ।

১৭| ১৯ শে জুন, ২০১৬ রাত ১০:২২

নয়ন বিন বাহার বলেছেন: অসাধারন বই বলতে যা বোঝায় এটা হল তাই। পড়তে পড়তে মনে হয়েছিল কি যেন পেতে যাচ্ছি, অদ্ভুত ভাল লাগা তৈরী হয়েছিল। আবার পড়ার জন্য মনস্থির করছি।
রিভিউ শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

১৯ শে জুন, ২০১৬ রাত ১০:৪৫

সুব্রত দত্ত বলেছেন: রিভিউটা সেই জন্যই লেখা। অসাধারণ বই। জীবনের জন্য এক ধরনের পাথেয় বলা যায় এটাকে। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

১৮| ১৯ শে জুন, ২০১৬ রাত ১১:১০

মনিরা সুলতানা বলেছেন: বলেন কি!!! সামহুয়ারইন-এ মাত্র জন্মেছি। এতেই সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছেন!

জি আপনার লেখা এবং উপস্থাপনার ধাচে সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি !!!

আমার তো নেশা নেশা লাগছে। সত্যি ভালো লাগল। দোয়া রাখবেন।

হুম ব্লগিং সত্যই এক নেশা লেখার ভিন্নতা ব্লগারদের আত্মিক সম্পর্ক যে কোন সৃষ্টির (লেখা) সরাসরি ফিডব্যাক সবকিছু মিলিয়ে নিজস্ব এক ভূবন । অবশ্যই শুভকামনা থাকলো ।

তবে কোন একটা বইতে পড়েছিলাম 'বড় লেখক, ভালো লেখক হওয়ার আগে বড় মানুষ, ভালো মানুষ হতে হয়।' কথাটা খুব মনে ধরেছিল। তাই চমৎকার একজন ব্লগার হওয়ার আগে চেষ্টা করব চমৎকার একজন মানুষ হওয়ার (যেটা পৃথিবীর কঠিন কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম)।

আমার মতে যে নিজের সমালোচনা করতে পারে সে নিঃসন্দেহে একজন চমৎকার মানুষ ! আপনি সেটা পারেন আমারা দেখেছি ।

সাহিত্যিকদের মধ্যে আমার প্রধান গুরু কান্ট লিও টলস্টয়। তার জীবনটা চমৎকার। জীবনে অবশ্য বেশ কয়েকটা পাপ করেছিলেন কিন্তু অভিনব ভাবে তার প্রায়শ্চিত্তও করেছিলেন তার জীবন ও সহিত্য দিয়ে। এমন অনেকেই আমার প্রেরণা

ভালোলাগলো আপনার প্রেরণা জানতে পেরে :)

এখানে কেবল নাম জানা কয়েকজনের ভালো ব্যবহার ও উৎসাহ দান আমাকে আরও উৎসাহ দিচ্ছে। তাদের সবাইকে ধন্যবাদ এবং বিশেষভাবে আপনাকে এত বড় আশাবাদ ব্যক্ত করার জন্য। ভালো থাকবেন। শুভ রাত।

এখানে সবাই সবার পরিচিত যারযার কর্মে ,সবাই ব্লগার এইটাই আমাদের পরিচয়ের সুত্র
আপনাকে ও অনেক ধন্যবাদ ভালোথাকবেন :)

২০ শে জুন, ২০১৬ রাত ১২:৫৮

সুব্রত দত্ত বলেছেন: আপাতত ভাষাহীন আছি। প্রতিটি লাইন ধরে চমৎকার মন্তব্য করলেন। অনেক অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন। দোয়া রাখবেন। চেষ্টা করব ভালো পোস্ট দিতে। শুভ রাত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.