নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পরিশ্রমকে সঙ্গী করে কত মানুষ উর্ধ্বে গেলো, আকাশের ঐ তারার দলে/ চিরদিনই অলস আমি, আছি পড়ে অনন্তকাল এই ধরনীর গাছের তলে।
১.
ডাকাত বা প্রেতাত্মা
গাড়িটা নষ্ট হয়ে যাওয়ার সঙ্গে দৈব সংযোগ আছে বলেই মনে হচ্ছিল হামিমের। এই মাঝরাতে আচমকা ঝড়-বাদল, তারই মধ্যে গাড়িটা অচল! বিরক্তিতে তার কপালে কয়েকটা ভাঁজ হয়তো পড়েছিল। কিন্তু গাড়িটাকে ঠিক করার চেষ্টা অথবা এই নির্জন পথটা থেকে চলে যাওয়ার উপায় ভাবা ছাড়া অন্য কিছু করার ছিল না সে মুহূর্তে। এরই মধ্যে মোবাইলেও বার বার লো ব্যাটারি সিগন্যাল- সবমিলিয়ে নাটকীয় পরিবেশ বৈকি। হামিম ভাবতে থাকল- নিশ্চয়ই কোন ডাকাত দল অথবা প্রেতাত্মার শিকার হবেন তিনি। হঠাৎ পুলিশের গাড়ির আওয়াজ পেতেই তার মনটা আনন্দে নেচে উঠল। বেঁচে গেলাম, বেঁচে গেলাম বলে তার অন্তরাত্মা চেঁচিয়ে উঠল। পুলিশের গাড়িটা তার সামনে এসেই থামল। এরপর কিছুক্ষণ কথাবার্তার পর গাড়িতে হামিমকে তুলে নিল। হামিম থানায়। পরের দিন কোর্টে চালান। মাদকদ্রব্য বহনের অপরাধে ছয় মাসের কারাদণ্ড ও বিশ হাজার টাকা জরিমানা।
সুব্রত দত্ত
২৮ মার্চ, ২০১৬
২.
টিয়ার পালক
সায়লা অনেক দিন ধরে একটা টিয়া পাখির খোঁজ করছিল। আমাকে সেদিন ফেসবুকে নক করল। অনেকদিন পর ওর মেসেজ দেখে খুব উৎসাহী হয়েছিলাম কিন্তু ভাবটা ধরলাম এমন যে, ওর প্রতি কোন আগ্রহ নেই। হায়, হ্যালোর পরই ও বলল একটা টিয়া পাখি দরকার। কেন দরকার? তা জানতে চাওয়া হয়নি। মেয়েরা বিড়াল পোষে, কুকুর পোষে, নানা রকম পাখিও পোষে । হয়তো ওরও শখ হয়েছে। বললাম, একটা পাখি বিক্রেতার সঙ্গে আমার পরিচয় আছে। আর পায় কে, অনেক অনেক রিকোয়েস্ট করে বলল একটা টিয়া ম্যানেজ করে দিতে। সাবেক প্রেমিক হলে কি হবে টানটা কিন্তু যায়নি এখনও। নিরুপায় হয়ে পাখি বিক্রেতার সঙ্গে যোগাযোগ করলাম। টিয়া তার বেশ কয়েকটাই আছে। একটা কিনে নিলাম। একেবারে সবুজ। ভয়ঙ্কর সবুজ। আদর করতে করতে পাখিটাকে নিয়ে গেলাম সায়লাদের বাসাতে। টিয়াটাকে দেখেই হাউ সুইট সুইট করতে লাগল সায়লা। অনেকটা বদলে গেছে সে। আগের মতো জড়তা নেই কিছুতেই। আনন্দে আমাকে জড়িয়ে ধরে একটা কিসও করে দিয়েছিল। ওর বাসা থেকে ফেরার সময় সারাটা পথ ঐ কিসটার কথাই ভেবেছি। যাক, দুই হাজার টাকা খরচে ক্ষতি হয়নি তবে। তারপর কয়েকদিন পর ওর একটা পোস্ট দেখলাম ফেসবুকে।
সায়লা শারমিন ফিলিং স্যাড উইথ আলিফ মঈন
‘আমার টিয়াটা মইরা গ্যাছে। সত্যি কইতেছি ওকে মারতে চাই নাই। শুধু কয়েকটা পালক ছিঁড়ে নিতে চাইছিলাম। টিয়াটা খালি ছটফট করতাছিল। একটু জোড় করলাম। মইরা গ্যালো। কি আর করা, ফালাইয়া দেয়ার আগে পালক কয়টা ছিঁড়ে রাখলাম।’
সঙ্গে একটা ছবি পোস্ট করছে ও। সবুজ টুকটুকে শাড়িতে দারুণ মানিয়েছে ওকে। মাথার চুলে একটা সুন্দর ব্যান্ড টিয়া পাখির পালক দিয়ে তৈরি।
সুব্রত দত্ত
মার্চ ৩০, ২০১৬।
২| ০৪ ঠা জুন, ২০১৬ রাত ১:০২
সুব্রত দত্ত বলেছেন: ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা জুন, ২০১৬ রাত ১১:৫৫
সুমন কর বলেছেন: দু'টোই ভালো লাগল। +।