নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পরিশ্রমকে সঙ্গী করে কত মানুষ উর্ধ্বে গেলো, আকাশের ঐ তারার দলে/ চিরদিনই অলস আমি, আছি পড়ে অনন্তকাল এই ধরনীর গাছের তলে।
বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে আমরা সহজেই বুঝতে পারি জীবনটা ক্রমশ কঠিন এবং প্রতিকূল হয়ে উঠছে। এখন সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবন কামনাই অনেক বড় চাওয়া। পড়াশুনা, চাকরি, সংসার- প্রতিটি ক্ষেত্রে কঠিন সংগ্রাম করতে হচ্ছে। আমাদের পূর্ব পুরুষরা যে সংগ্রাম করতেন না, তা বলছি না কিন্তু এখন অনেক উটকো সমস্যাকে মোকাবেলা করতে হয় আমাদের। বর্তমান পৃথিবীতে কোটি কোটি মানুষের হাজার কোটি মতবাদে চাপা পড়ে যাচ্ছে অনেক মৌলিক বিষয়ই। আপনি খুব ধার্মিক বা নাস্তিকই হোন না কেন, আপনার জন্য কিছু মৌলিক নীতি আদর্শ থাকা দরকার। কিন্তু সেটাই দুর্লভ হয়ে যাচ্ছে ক্রমশ। একটা মানুষকে আঘাত বা হত্যা করার অধিকার আপনার নেই সেটা সকল ধর্ম এমনকি নাস্তিকদের বইপুস্তকেও লেখা আছে অথচ হত্যার অভিনব পদ্ধতি ও কারণ উদ্ভাবিত হচ্ছে দিনদিন। নাস্তিকতার যৌক্তিকতাও বাড়ছে আবার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিও কমছে। আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার জায়গা থেকে বলব, এই দুর্দিনে নিজেকে একজন গবেষক, আলোচক বা সমালোচক অথবা ধর্মরক্ষাকারী হিসেবে গড়ে তোলার আগে মানুষ করে তোলার প্রয়োজন। সে জন্য প্রয়োজন আত্মশুদ্ধি। আমাদের অভিযোগের শেষ নেই। এখানে সমস্যা, এ ওটা করেছে, ও সেটা করেছে- ইত্যাদি অভিযোগের ফিরিস্তির শেষ নেই। এটার আগে নিজের সমস্যাগুলোকে চিহ্নিতকরণ ও তার সমাধানের পথ খোঁজা দরকার। এই তো কিছু দিন ধরে দেখলাম, শবে-বরাত, রবীন্দ্র-নজরুল প্রসঙ্গ, নারায়ণগঞ্জের প্রধান শিক্ষকের পক্ষে-বিপক্ষে কত শত কথা বলা হয়ে গেল। এগুলোর অবশ্যই দরকার আছে। কিন্তু তাই বলে কেবল তর্ক-বির্তক করে, রেষারেষি করে, শত্রুতা বাড়িয়ে কি আমরা কল্যাণের পথে এগোতে পারব? বিভাজন নীতিতে কি মুক্তি সম্ভব? আমার তো মনে হয় না। তার থেকে বরং প্রথমে নিজের সম্পর্কে ভাবা দরকার। আমার চাওয়া-পাওয়া, নীতি-আদর্শ-রুচির বিষয়গুলো সম্পর্কে সুনিশ্চিত হয়ে নিজেকে সংশোধন করা বেশি দরকার। আর সবার আগে প্রয়োজন আত্মশুদ্ধি।
©somewhere in net ltd.