নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শুধু একদিন ভালোবাসা, মৃত্যু যে তারপর... যদি তা-ও পাই, আমি তা-ই চাই, চাই না বাঁচতে আমি প্রেমহীন হাজার বছর।
লেখাটা শুরু করতে চাই দুইটা প্রশ্ন দিয়ে, পশুত্ব মানেই কি খারাপ? মনুষ্যত্বের ভেতরে এই পশুত্বের তকমা কীভাবে এলো?
কোরবানি নিয়ে একটা প্রচলিত কথা আছে, কোরবানির পশুর সাথে সাথে মনের পশুত্বকেও কোরবানি দিতে হবে। এই কথাটা আমার কাছে কেমন বেখাপ্পা লাগে। কেন মনের পশুত্বকে কোরবানি দিতে হবে! মনের পশুত্ব কি আপনার কাছে খুব প্রিয় জিনিস! মনের পশুর জন্য আপনার কখনো মায়া বা কষ্ট হয়?
পশু আর মানুষের মধ্যে বেসিক কিছু মিল থাকে কিংবা এদের ভাবধর্ম বা আচরণ একে অপরের সাথে অনেক সময় মিলে যায়। কিন্তু এই মিল থাকাতে কি পশুকে মানবিক আর মানুষকে পাশবিক বলা যায়?
বিষয়টা উদাহরণ দিয়ে বলি, মানুষ কাঁদে, পশুও কাঁদে। এখন দেখা গেলো, একটি পশু কাঁদছে, তাহলে কি তার মধ্যে মানবতা আছে! অথচ এই কান্নাটা ছিল প্রাণী হিসেবে স্বভাবজাত অনুভূতি।
প্রতিটা প্রাণীর কিছু স্বতন্ত্র অনুভূতি বা আচরণ আছে। যেগুলো যার যার প্রাণীসমাজে স্বভাবজাত হলেও মানুষের কাছে সেটি অনেক সময় ভালো-মন্দের বিচারে তফাৎ হয়ে যায়। আর এই ভালো-মন্দের বিচার করার ক্ষমতা আল্লাহ স্রেফ মানুষকে দিয়েছেন। যেই কারণে পশুত্ব শব্দটি দ্বারা মানুষ কেবল পশুর খারাপ গুণগুলোকে নির্দেশ করে। বিপ্রতীপ চিন্তা করলে ঠিক একই বিচারে মানুষ পশুর মাঝেও মানবতা খুঁজে পায়। মানে পশুর মধ্যে মানবতা কেবল পশুর ভালো গুণগুলোকেই পৃথক করে।
কোরবানির সময় আমরা যেই প্রিয় পশুটিকে আল্লাহর নামে জবাই করি, তার জন্য আমাদের মায়া হয়, কষ্ট হয়। মাঝেমধ্যে তো এক্সট্রিম লেভেলের মানবতাবোধ থেকে এই কোরবানি থেকে বিরত থাকারও প্রতিজ্ঞা করে বসি আর এই প্রতিজ্ঞাকে বৈধ করার জন্য বলি, আগে মনের পশুকে কোরবানি করতে হবে। ঠিক যেভাবে একদল মানুষ বলে, নামাজ পড়ে কী হবে, যদি মনটাই পরিশুদ্ধ না হয়!
অথচ দেখুন, আল্লাহ কত সহজেই মানুষকে এই দায় থেকে মুক্তি দিয়েছেন। দেখুন, কোরবানি তো হবে আল্লাহর নামে, দায় মানুষের হবে কেন? মানে আল্লাহর হুকুম পালনার্থেই বান্দা এই কাজ করবে। এতে তার কোনো দায় থাকবে না, বিষয়টা এমন। এভাবে মানুষের মনে যেমন রয়েছে কোরবানির পশুর প্রতি মায়া ও কষ্ট, তার বিপরীতে রয়েছে আল্লাহর হুকুম। বান্দা কোন পথে যায়, সেটাই হবে বিচার্য।
হযরত ইবরাহিম আ. কে বলা হয়েছিল, সবচেয়ে প্রিয়বস্তুটি কোরবানি করতে। একবার ভাবুন তো, আপনার মনের ভেতর যে পশুত্ব আছে, সেটা কি আপনার প্রিয়? সেটা তো মানুষের খারাপ গুণ। এসব গুণ কখনো মানুষের প্রিয় হতে পারে না। এই পাশবিক গুণগুলো তো মানবতার আজন্ম শত্রু। একে আরাম-আদরের সাথে কোরবানি নয়; বরং এর সাথে সারা বছর যুদ্ধ করে একে পরাজিত করুন, তারপর কতল করুন।
মনে রাখতে হবে, কোরবানি আর কতল এক বিধান নয়। মনের ভেতরের পশুত্বকে কতল করলেই তো কোরবানি করার মানসিকতা তৈরি হয়। নয়ত আপনি সারাজীবন শুধু মনের পশুত্বকে কোরবানি করে করে আরো বহুগুণ পশুত্বকে প্রজনন করেই যাবেন, টের পাবেন না।
২| ২১ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১১:০৭
কামাল১৮ বলেছেন: সেই যুগে মানুষ আর পশুর সাথে খুব একটা প্রভেদ ছিল না।মানুষ কে মানুষ হতে অনেক সময় লেগেছে।সই যুগের রীতিনীতি আজো যারা পালন করে,তাদের চিন্তা চেতনা অজো সেই যুগের মানুষের চিন্তা চেতনারই সমান।
৩| ২৪ শে জুলাই, ২০২১ ভোর ৬:৪৩
সোহানী বলেছেন: মানুষের মতো এতো জঘন্যতা কোন পশুর মাঝে আছে কিনা আমার জানা নেই। পশু তার ক্ষুধা নিবারনের জন্য শিকার করে আর মানুষ? হিংস্রতা থেকে শিকার করে।
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৯:০৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কোরআন বা হাদিসে কোথাও কি বলা আছে যে মনের পশুত্বকে কোরবানি দেয়া কোরবানির উদ্দেশ্য? আমার মনে হয় না। আপনার জানা থাকলে জানাতে পারেন। যদিও এই কথাটা সবাই বলে। কোরবানির উদ্দেশ্য হোল ;
১। আল্লাহর আদেশ পালন করা। আল্লাহ তার বন্ধু হজরত ইবরাহিম (আ) এর সম্মানে আমাদেরকে কোরবানি করতে বলেছেন। ইহা হজরত ইবরাহিম (আ) এর সুন্নাহ। আল্লাহর আদেশ পালনের মাধ্যমে আমরা আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ করি।
২। কোরবানির উদ্দেশ্য তাকওয়া (খোদাভিতী) অর্জন। ‘আল্লাহর কাছে পৌঁছায় না উহার (জন্তুর) গোশত এবং রক্ত, বরং পৌঁছায় তোমাদের তাকওয়া। (সূরা হাজ্জ, আয়াত-৩৭)
৩। কোরবানির উদ্দেশ্য নেকি অর্জন। ইবনে মাজাহ শরিফে এসেছে, হজরত যায়েদ ইবনে আরকাম (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘কতিপয় সাহাবি প্রশ্ন করলেন, হে আল্লাহর রাসূল (সা.)! কুরবানি কী? হজরত রাসূলে মকবুল (সা.) বললেন, তোমাদের পিতা হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর সুন্নাত।’ সাহাবারা বললেন, এতে আমাদের জন্য কী প্রতিদান রয়েছে? রাসূলুল্লাহ (সা) বললেন, প্রতিটি পশমের বিনিময়ে একটি করে নেকি রয়েছে।’ (ইবনে মাজাহ-৩১২৭)।
এছাড়া সামাজিক কারণ আছে। যেমন গরীব মানুষ মাংস খেতে পায়। গরু, ছাগলের বাণিজ্যের কারণে অর্থনীতি গতিশীল হয়। সামাজিক সম্প্রীতি বাড়ে ইত্যাদি।