নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শুধু একদিন ভালোবাসা, মৃত্যু যে তারপর... যদি তা-ও পাই, আমি তা-ই চাই, চাই না বাঁচতে আমি প্রেমহীন হাজার বছর।
শিরোনামে যে প্রশ্নটি দেখছেন, প্রশ্নটি একজন লোক আমাকে করেছেন। তার মতে, নামাজ পড়া আর নামাজ কায়েম করার মধ্যে বিস্তর ব্যবধান। তিনি এটা মানেন যে, সালাত অর্থ ‘স্মরণ সংযোগ’। আর এই স্মরণ সংযোগ একটি দায়েমি প্রক্রিয়া। কোরআনের সূরা মাআরিজের ২৩নং আয়াত থেকে তিনি দলিল দিচ্ছেন- ‘আল্লাযিনা হুম আলা সালাতিহিম দায়িমুন’। এই আয়াত থেকে তিনি ‘দায়েমি সালাত’ এর প্রবক্তা। এখান থেকে তিনি সালাতের দুই ধরনের ব্যাখ্যা দেন- (এক) কায়েমি সালাত বা বহির্রূপী সালাত, (দুই) দায়েমি সালাত বা আভ্যন্তরীণ সার্বক্ষণিক সালাত। এজন্য তার কাছে ওয়াক্তিয়া সালাতের চাইতে দায়েমি সালাতকে সহজ মনে হয়।
আমি তার কথার উত্তর দেবার আগে কিছু মূলকথা বলার প্রয়াস পাবো। কোরআনে উল্লেখিত ‘আকিমুস সালাত’ বা ‘নামাজ কায়েম করা’ কথাটির অর্থ হচ্ছে, প্রতিষ্ঠা করা। আল্লাহ তায়ালা কোরআনে বহুবার নামাজ প্রতিষ্ঠার কথা বলেছেন। কোরআনে আল্লাহ অনেকভাবেই নামাজের কথা বলেছেন এবং প্রায় ১৮ জায়গায় তিনি আদেশসূচকভাবে নামাজ প্রতিষ্ঠার কথা বলেছেন। ‘নামাজ কায়েম’ বলতে আমরা সাধারণত নামাজের অনুষ্ঠান বাস্তবায়নকে বুঝি। অর্থাৎ নিজে নামাজ পড়া অন্যদেরকে নামাজ পড়তে উৎসাহিত করাই হচ্ছে ‘আকিমুস সালাত’ বা ‘নামাজ কায়েম’। আসলে আকিমুস সালাত বলতে কী বুঝায়?
নামাজ প্রতিষ্ঠা দুই ধরণের হতে পারে : [১] ব্যক্তির মধ্যে প্রতিষ্ঠা, [২] সমাজের মধ্যে প্রতিষ্ঠা।
ব্যক্তির মধ্যে নামাজ প্রতিষ্ঠা
ব্যক্তির মধ্যে নামাজ প্রতিষ্ঠা দুই ধরণের হতে পারে :
ক- নামাজকে ব্যক্তির মধ্যে প্রতিষ্ঠিত করা :
উদাহরণত, আমরা অনেকেই স্মার্টফোন ইউজ করি। আপনারা জানেন, এসব স্মার্ট ফোনে কিছু এপস বা কিছু প্রোগ্রাম প্রথম থেকেই ইন্সটল করা থাকে আবার কিছু প্রোগ্রাম পরবর্তীতে আমাদের প্রয়োজন অনুসারে ইন্সটল করি। ঠিক তেমনি আল্লাহ তায়ালা আমাদের দেহে কিছু প্রোগ্রাম বা সফটওয়্যার বা এপস শুরু থেকেই ইন্সটল করে দিয়েছেন। যেমন আমরা নিঃশ্বাস নেই, ক্ষুদা লাগলে খাই, ক্লান্তি লাগলে ঘুমাই ইত্যাদি। এরপর আমরা যখন আস্তে আস্তে বড় হই, তখন কিছু কিছু ব্যাপার আমরা নিজেরা নিজেদের খুশিমত ইন্সটল করে নিই। যেমন, কেউ গল্পের বই পড়তে পড়তে প্রচুর সময় ব্যয় করি, কেউ প্রচুর খেলাধুলা করি ইত্যাদি। আমরা যারা যেগুলো ইন্সটল করে নিয়েছি সেগুলো ছাড়া আমরা অস্থির হয়ে পড়ি। কোনো কারণে খেলতে না পারলে বা বই না পড়তে পারলে আমাদের অস্বস্তি লাগে। এটাই হচ্ছে প্রতিষ্ঠিতকরণ। অর্থাৎ এই বিষয়গুলো আমরা নিজেদের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত করে নিয়েছি। ঠিক তেমনি নামাজও এইভাবে প্রতিষ্ঠিত করার বিষয় আছে। কেউ যদি নামাজকে তার নিজের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত করে নেয়, তখন নামাজের ওয়াক্ত হওয়া মাত্রই সে অস্থির হয়ে পড়বে। নামাজ পড়ার জন্য তার মন আনচান করবে। তাদের অন্তর থাকবে মসজিদের সাথে লাগোয়া।
আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যেদিন আল্লাহর ছায়া ছাড়া অন্য কোনো ছায়া থাকবে না, সেদিন সাত ব্যক্তিকে আল্লাহ তায়ালা তাঁর নিজের (আরশের) ছায়ায় আশ্রয় দিবেন। এর মধ্যে এক ধরণের ব্যক্তি যার অন্তর মসজিদের সাথে লেগে রয়েছে।” [বুখারি : ৬২৭]
এখন এই নামাজকে নিজেদের মধ্যে ইন্সটল বা প্রতিষ্ঠা করার পদ্ধতি হচ্ছে, বারবার নামাজ পড়া। নামাজের প্রতি সচেতন থাকা। নামাজ না পড়ার শাস্তি এবং আল্লাহর অবাধ্য হওয়ার শাস্তি স্মরণ করা। এভাবে নিয়মিত অনুশীলনের মাধ্যমে নামাজ আমাদের শরীরে এবং অন্তরে নামাজ প্রতিষ্ঠিত হবে। ইনশাআল্লাহ।
খ- নামাজের শিক্ষাকে ব্যক্তির মধ্যে প্রতিষ্ঠিত করা :
শুধু নামাজ আদায় করেই নয়, বরং নামাজ থেকে শিক্ষাগ্রহণ করে সেই শিক্ষা নিজের যাপিত জীবনে প্রতিষ্ঠিত করাও নামাজ কায়েম তথা নামাজ প্রতিষ্ঠা করা। অর্থাৎ নামাজ নিয়মিত পড়েও যদি কোনো ব্যক্তি নামাজের শিক্ষাকে নিজের মধ্যে ধারণ করতে না পারেন, নিজের জীবনে প্রতিষ্ঠা করতে না পারেন তাহলে তিনি পরিপূর্ণ নামাজ কায়েম করতে পারেননি। তাই নামাজ আদায়ের সাথে সাথে নিজের জীবনে নামাজের শিক্ষাকেও কায়েম করা কর্তব্য। এটিও আকিমুস সালাতের অংশ।
তবে এখানে একটি কথা মনে রাখতে হবে, নামাজের যে পদ্ধতিগত আচরণ রয়েছে, সেটি শুধুমাত্র নির্দিষ্ট সময়ের সাথে ধর্তব্য। এর বাইরে ‘দায়েমি সালাত’ বলতে কিছু নেই। অর্থাৎ আভ্যন্তরীণ বা ভেতরগত নামাজের কোনো অস্তিত্ব নেই। কোরআনে যে ‘নামাজে সর্বদা নিষ্ঠাবান’ থাকার কথা বলা হয়েছে, সেটি নামাজের শিক্ষাকে নিজের জীবনে ধারণ করার কথা বলা হয়েছে। কারণ, আল্লাহ তায়ালা বলেন- “নিশ্চয়ই সালাত অন্যায় ও অশ্লীল কাজ থেকে বিরত রাখে।” [সূরা আনকাবূত : ৪৫]
প্রখ্যাত মুফাসসীর হাফেজ ইবনে কাসীর রহ. বলেন, “সালাতে খুশূ-খুযূ (ধ্যান ও বিনয়) তারই অর্জন হয়, যে নিজের অন্তরকে সবকিছু থেকে ফিরিয়ে শুধু সালাতের মধ্যেই নিবিষ্ট রাখে।” [তাফসীরে ইবনে কাছীর ৩ খণ্ড ২৯৫ পৃষ্ঠা]
যখন কেউ এমন ধ্যানের সাথে সালাত আদায় করে তখনই সালাত তার চক্ষু শীতল করে, অন্তরের প্রশান্তির কারণ হয়। যেমনটি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাদীসে ইরশাদ করেছেন- “সালাতেই দান করা হয়েছে আমার চক্ষুর শীতলতা।” [মুসনাদে আহমাদ, সুনানে নাসাঈ]
এটাই তো সালাত সম্পর্কে একজন মুমিনের অনুভূতি হওয়া উচিত। সালাত তার জন্য এক নিরাপদ আশ্রয়স্থল, অন্তরের প্রশান্তি, শান্তির আধার। পক্ষান্তরে মুনাফিক এবং যারা সালাতে ধ্যান ও বিনয় অবলম্বন করে না, তাদের জন্য সালাত মহা কঠিন কাজ। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন- “সালাতকে অবশ্যই কঠিন মনে হয়। তবে খুশূ-খুযূ (অর্থাৎ ধ্যান ও বিনয়) অবলম্বনকারীদের জন্য নয়। [সূরা বাকারা : ৪৫]
আরেক আয়াতে মুনাফিকদের চরিত্র সম্পর্কে আল্লাহ বলেছেন- “(নিশ্চয়ই মুনাফিকরা) যখন সালাতে দাঁড়ায়, তখন অলসতার সাথে দাঁড়ায়। তারা মানুষকে দেখায় আর আল্লাহকে অল্পই স্মরণ করে।” [সূরা নিসা : ১৪২]
সতুরাং নামাজে ধ্যানমগ্নতা ও বিনয়াভাব হচ্ছে মুমিনের গুণ। পক্ষান্তরে ধ্যান ও বিনয়বিহীন অলসতার সাথে নামাজ মুনাফিকের বৈশিষ্ট্য। আর ধ্যানমগ্ন ও বিনয়াবনত নামাজই নামাজিকে সকল অন্যায়-অশ্লীলতা থেকে বিরত রাখে, তাকে নামাজে সার্বক্ষনিক নিষ্ঠাবান রাখে। নামাজের শিক্ষাকে নিজের জীবনে ধারণ করার সক্ষমতা দান করে।
মোটকথা, নামাজের শিক্ষাটা আসবে প্রাকটিক্যাললি নামাজ পড়া থেকে, নামাজ পড়ার ধ্যানেই রয়েছে নামাজের শিক্ষা। নামাজের বাইরে নামাজের শিক্ষা নিতান্তই বাগাড়ম্বর।
হযরত সাদ বিন উমারাহ রা. এক ব্যক্তিকে উপদেশ দিতে গিয়ে বলেন- “যখন তুমি সালাত আদায় কর, তো এমনভাবে আদায় কর যেন এটাই তোমার জীবনের শেষ সালাত।” [আলমুজামুল কাবীর, তবারানী]
প্রসিদ্ধ হাদীস ‘হাদীসে জিবরীল’-এ ইবাদতের একটি মূলনীতি বর্ণনা করা হয়েছে। তাতে ফুটে উঠেছে ধ্যানমগ্নতা ও বিনয়ভাব কাকে বলে? দেখুন হাদিসটি : “ইহসান হচ্ছে, আল্লাহর ইবাদত এমনভাবে করবে যেন তুমি তাঁকে দেখছ। আর তুমি তাঁকে না দেখলেও তিনি তো (অবশ্যই) তোমাকে দেখছেন।” [বুখারি]
নামাজকে সমাজে প্রতিষ্ঠা
সমাজে নামাজকে প্রতিষ্ঠা দুইভাবে হতে পারে :
ক- ফরজ নামাজ জামায়াতের সাথে পড়ে নামাজকে সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠা করা :
নামাজের আরকান-আহকামসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো মানুষকে শিক্ষা দিয়ে, মসজিদ নির্মাণ করে সেখানে নামাজ পড়তে পারার ব্যবস্থা করা। যখনই নামাজের আজান হবে, তখন সকল কাজ বাদ দিয়ে নামাজে অংশগ্রহণ করার ব্যবস্থা করা। ইসলামিক সমাজে সকল মুসলিমের জন্য নামাজের জামায়াতে শরিক হওয়াকে বাধ্যতামূলক করা।
এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন : “হে ঈমানদার ব্যক্তিগণ, জুমআর দিন যখন নামাজের জন্যে (আজানের মাধ্যমে) ডাকা হয়, তখন বেচা-কেনা রেখে নামাজের দিকে দ্রুত চলে যাও। এটি তোমাদের জন্যে উত্তম যদি জানতে।” [সুরা জুমআ : ৯]
সূরা বাকারার ৪৩ নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন, “তোমরা রুকুকারীদের সাথে রুকু করো।”
এভাবে নামাজ প্রতিষ্ঠিত করা এবং তা নিয়মিত পালন ও এর ব্যবস্থা করার দায়িত্ব রাষ্ট্রপ্রধানেরও। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘‘তারাই ওইসব লোক, যাদেরকে যদি আমি দুনিয়াতে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করি, তারা নামায কায়েম করে, যাকাত চালু করে, ভালো কাজের আদেশ দেয় ও মন্দ কাজ থেকে নিষেধ করে। আর সকল বিষয়ের শেষ ফল আল্লাহরই হাতে।” [সূরা হজ্জের : ৪১]
এই জামায়াতে নামাজ পড়া যে কতটা জরুরি, এই প্রসঙ্গে রাসূলের হাদিস দেখতে পাই, হযরত আবু হুরায়রা রা. বলেন, “রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শপথ করে বলেন, আমার এরূপ ইচ্ছা হয় যে, আজানের পর কাউকে ইমাম বানিয়ে নামাজ শুরু করার আদেশ দেই এবং আমি ওইসব লোকের বাড়ি খুঁজে বের করি; যারা নামাজের জামাতে শরিক হয়নি এবং কারও দ্বারা জ্বালানি কাঠ আনিয়ে তাদের ঘরে থাকা অবস্থায় বাড়িঘরে আগুন লাগিয়ে দেই।” [বুখারি]
এছাড়াও রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সারাজীবন জামাতের সঙ্গেই নামাজ আদায় করেছেন। এমনকি ইন্তিকালপূর্ব অসুস্থতার সময়ও জামাত ছাড়েননি। সাহাবায়ে কেরামের পুরো জীবনও সেভাবে অতিবাহিত হয়েছে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “তোমরা যেভাবে আমাকে নামাজ আদায় করতে দেখো, সেভাবে নামাজ আদায় করো।” [বুখারি]
খ- নামাজ প্রতিষ্ঠার সামাজিক শিক্ষা :
আল্লাহর প্রতি ঈমানের সূত্রে যারা পরস্পরে ভাই ও বন্ধুতে পরিণত হয়েছে, তাদের পরস্পরে পরিচিতি লাভ। তাদের মাঝে মহব্বত ও ভালোবাসা জোরদার করে তোলা।
মুসলমানদের মাঝে বিভিন্নতার অবসান ঘটিয়ে সংঘবদ্ধতা গড়ে তোলা এবং উত্তম ও ভালো কাজের প্রতি তাদের সকলের হৃদয় আকৃষ্ট করা।
মুসলমানদের মধ্যে পারস্পরিক সাহায্য সহযোগিতার মনোভাব জোরদার করা।
মুসলমানদের অন্তরসমূহ এককাতারে বেঁধে দেয়া। কেননা, একই কাতারে সাদা কালো, আরবি-আজমি, আবাল-বৃদ্ধ, ধনী-গরীব কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এক কাতারে এক ইমামের পিছনে, একই সময়ে, এক কিবলাকে সামনে নিয়ে দাঁড়িয়ে যায়।
গুনাহ মাফ হওয়া এবং দরজা বুলন্দ হওয়া। আবু হুরায়রা রাযি. বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “আমি কি তোমাদেরকে এমন বিষয়ের পথ দেখাব না, যার মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা গুনাহসমূহ মাফ করে দেন এবং দরজা বুলন্দ করেন? তারা বললেন, নিশ্চয় দেখাবেন হে আল্লাহর রাসূল! তিনি বললেন, কষ্ট সত্ত্বেও উত্তমরূপে অজু করা, মসজিদ পানে অধিক পদচারণা, এক নামাজের পর অন্য নামাজের অপেক্ষায় থাকা। এটাই হলো রিবাত তথা আল্লাহর ইবাদতে নিজেকে আবদ্ধ করে রাখা।” [মুসলিম]
একা নামাজ পড়ার তুলনায় জামাতের সাথে নামাজ পড়ার সওয়াব বেশি। আবদুল্লাহ ইবনে উমর রাযি. বর্ণনা করেন, “রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, জামাতের সাথে নামাজ আদায় একা নামাজ আদায়ের চেয়ে সাতাশগুন বেশি ফজিলতপূর্ণ।” [বুখারি]
সর্বোপরি, আমরা যাতে নামাজকে ব্যক্তিগত এবং সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠা করতে পারি, সেজন্য জোরপ্রচেষ্টা চালাতে হবে। নিয়মিত নামাজ আদায় তো করতেই হবে, পাশাপাশি এর শিক্ষাও বাস্তবায়ন করতে হবে, নতুবা আমাদের নামাজ কায়েমের হক আদায় হবে না। আমরা ক্ষতিগ্রস্থদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হবো। মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের প্রকৃতভাবে নামাজ কায়েমের তাওফিক দান করুন।
২| ২৯ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১২:১৩
রাজীব নুর বলেছেন: প্রভু আপনার মঙ্গল করুক।
৩| ২৯ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১:৪১
নেওয়াজ আলি বলেছেন: আসুন নামাজ কায়েম করি
৪| ২৯ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:৫৫
মাহমুদ রহমান (মাহমুদ) বলেছেন: মূল্যবান পোষ্ট। ঈমানের পর মুসলমানের মুল প্র্যাকটিস সালাত।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে এর অন্তর্নিহিত হিকমা বুঝার তৌফিক দাম করুক। আমিন ।
পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে জুন, ২০২০ সকাল ১১:৪০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: নামাজকে সব সময় অগ্রাধিকার দেয়ার চেষ্টা করতে হবে। রসূল (সাঃ) যুদ্ধের মধ্যেও অনেক সময় দুই ভাগ হয়ে এক ভাগ নামাজ আদায় করেছেন আর আরেক ভাগ যুদ্ধ করেছেন। তবে অনেক সময় কাজা নামাজ আদায় করতে হয়েছে যুদ্ধের কারণে। কোরআনে কোথাও আল্লাহ্ বলেননি তোমরা নামাজ পড়। বলা হয়েছে নামাজ প্রতিষ্ঠা কর। প্রতিষ্ঠা করা মানে একে সুদৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরা।