নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্পেস-টাইম

there is no problem in the heavens and earth ;) problem lies in three places... beneath, between and within the hells.

গোলাম দস্তগীর লিসানি

বুলি বলে শুনতে পাই, রূপ কেমন তা দেখি নাই, ভীষম ঘোর দেখি।। পোষা পাখি চিনলাম না, এ লজ্জা তো যাবে না, উপায় কী করি, আমি উপায় কী করি।।

গোলাম দস্তগীর লিসানি › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশের সূর্যসন্তান :: আচার্য ইউরী বজ্রমুনি

০২ রা মে, ২০১৬ দুপুর ২:১৪



আচার্য ইউরী বজ্রমুনি শুধু আত্মউন্নয়ন ও ধ্যানের তিন দশকের শিক্ষক নন, বরং একজন মানুষ ধ্যান ব্যবহার করে জীবনে কতটা বিচিত্র অর্জন করতে পারে তার বাস্তব প্রমাণ।
তিনি ব্যুত্থান মেডিটেশন, বজ্রপ্রাণ ও ব্যুত্থান মার্শাল আর্টের জনক।



আসিয়ামা বান্ডো’র সপ্তম ডিগ্রি ব্ল্যাকবেল্ট, বান্ডোতে উত্তরাধিকারী গ্র্যান্ডমাস্টার।
বার্মায় থান শিন পা- শতবর্ষে ফোটা একটি ফুল।
ভূটানে সোনালি নখরওয়ালা শান্তি ড্রাগন।
ভারতে বজ্রমুনি, আসান।


ছবি: ডিসকভারি চ্যানেলের সুপারহিউম্যান প্রোগ্রামে তাঁর পা নানাভাবে পরীক্ষা নীরিক্ষা করা হয়। তিনি পাঁচ সুপারহিউম্যানের মধ্যে সবচে কম ওজন সম্পণ্ন। বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন সময়ে এই পা দিয়ে এক টন ভরবেগ কীভাবে তৈরি হয় তা নিয়ে ঘেঁটেছেন।

ডিসকভারি চ্যানেলে বিশ্বের পাঁচ অতিমানব-ক্ষমতাধরের একজন। জাপানে সোকে। পাঁচটি আলাদা আলাদা গ্র্যান্ডমাস্টার্স অ্যাসোসিয়েশনে বার্ষিক অথবা বিশেষ অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত। চারটি আলাদা বিশ্বরেকর্ডের অধিকারী। পশ্চিমা বিশ্বে থান্ডার শিনম্যান। পায়ের পেশীকে সর্ব্বোচ্চ ব্যবহার করার বিশ্বরেকর্ডের অধিকারী। শরীর ও মনের সর্ব্বোচ্চ নিউরো কানেক্টিভিটির বাস্তব উদাহরণ এক্ষেত্রেও বিশ্বরেকর্ডধারী। আশির দশক থেকে ধ্যান ও আত্মউন্নয়ন শেখান, তিনি আচার্য বজ্রমুনি।

মনোদৈহিক উন্নয়নে তিনি গ্লোবাল আইকন। আচার্য বজ্রমুনিকে বলা হয় প্রাচীণ ভারতীয় মনোদৈহিক প্রশিক্ষণ পদ্ধতির আধুনিক জনক। জীবনের পুরোটা সময় বজ্রমুনি কাটিয়েছেন মন ও দেহের সংযোগ গবেষণায়; ভারসাম্য ও আত্মিক আলোকায়নে। ঘুরে বেড়িয়েছেন একের পর এক দেশ। অর্ধশতাধিক। মহাদেশ থেকে মহাদেশে ভ্রমণ শুধু নয়, শিখেছেন তিনি প্রাচীণ অঞ্চলগুলোতে লুকিয়ে থাকা প্রাকৃতিক জ্ঞান-প্রজ্ঞা-কৌশল।


ছবি: লুপ্তপ্রায় বিদ্যা ভার্মা কালাইয়ের গ্র্যান্ডমাস্টার আসান প্রয়াত ভাষ্করণ টিচারের সাথে আচার্য ইউরী বজ্রমুনি। ভাষ্করণ টিচার ভার্মা কালাই শিখেছিলেন অন্তত পঁচিশজন শিক্ষকের কাছে। এখন ভার্মা কালাই সারা পৃথিবীতেই প্রায় বিলুপ্ত। কারণ, ভার্মা কালাইয়ের মত প্রাণঘাতী এবং নিরাপদ মার্শাল আর্ট সম্ভবত আর একটিও নেই। অসাধারণ সব গল্প রয়েছে ইউরী টিচারের শিক্ষকদের সাথে। মার্শাল আর্টের জন্মদাতা ও চ্যান জেন জেজেন তথা প্রচলিত ধ্যানের জন্মদাতা বোধিধর্মার গ্রাম কাঞ্চিপুরাম থেকে শুরু করে শাওলিন টেম্পলে ইউরী টিচারের কীর্তিগুলো রূপকথারই মত। সময় করে একটু একটু করে বলব।

দূরপ্রাচ্য থেকে প্রতীচ্য- সরাসরি হাতে কলমে শেখায় ছাত্রের ধীশক্তি পরিণতিতে একজন সম্মিলিত অভিজ্ঞাময় শিক্ষকের জন্ম দিয়েছে। গবেষণা করেছেন বহুমুখী বিষয়ে, চল্লিশটিরও বেশি আত্মউন্নয়ন ও মার্শাল আর্টে। প্রাচীণ জ্ঞান, আবহমান মরমীবাদ, দর্শন ও মানসিক অগ্রগতির শিক্ষা-গবেষণা পরিণতিতে উপহার দিয়েছে একজন মরমী, দার্শনিক ও সেল্ফ- হেল্প অথর। লক্ষ কোটি বছরের এই বিশ্ব প্রকৃতির সাথে প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা করে চলতে পারলে, প্রকৃতিকে প্রাকৃতিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে, কৃত্রিম ওষুধ-বিহীন সুস্থ সফল জীবন কাটানো সম্ভব, বলেছেন বজ্রমুনি।

মনোপ্রশিক্ষণে তিনি খ্যাতি ও সাফল্যের পথে অগ্রণী। ব্যক্তিগত উন্নয়ন ও শরীর-মন উভয় ক্ষেত্রে কার্যকর মেডিটেশনের সফল উদাহরণ আচার্য বজ্রমুনি ডিসকভারি চ্যানেলে অভিহিত হয়েছেন সুপারহিউম্যান হিসাবে। এ গ্রহের শীর্ষ পাঁচ অতিমানবের মধ্যে একজন। অনেক মার্শাল আর্টের মাস্টার। ডেভলপ করেছেন ব্যায়াম পদ্ধতি বজ্রপ্রাণ। মানব-রূপান্তরের অতি প্রাচীণ এই আত্মরক্ষা-ধ্যান-যোগব্যায়াম-খাদ্যগ্রহণ-চিকিৎসা পদ্ধতিগুলোকে নিয়ে এসেছেন আধুনিক মানুষের প্রয়োজনের আপেক্ষিকতায়।

বজ্রমুনির চতুর্থ বিশ্বরেকর্ড ছিল পেশী চালনায় মস্তিষ্ককে সর্ব্বোচ্চ পরিমাণ ব্যবহার করা। ডিসকভারি চ্যানেলের বিজ্ঞানী ও গবেষকরা এ পরীক্ষাটি করেন। অন্যদিকে তিনি এ পৃথিবীর সবচে শক্তিমান শিন-কিকার। পায়ের সামনের এই হাড় দিয়ে তাঁরচে বেশি শক্তিশালী লাথি আর কেউ দিতে পারেনি। রিপলি’স বিলিভ ইট অর নট মিউজিয়ামে আছে তাঁর অবিশ্বাস্য কাজের অন্তর্ভুক্তি।

বজ্রমুনি বাংলাদেশের প্রথম নিরাপত্তা প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা। ১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় রেঞ্জার্স প্রাইভেট লিমিটেড। প্রতিষ্ঠা করেছেন গ্লোবাল এক্সিটিউটিভ প্রোটেকশন অ্যান্ড সিকিউরিটি ট্রেইনিং এজেন্সি, ইউ এস এ। আচার্য বজ্রমুনি ধ্যান ও আত্মনির্মাণ, নিরস্ত্র আত্মরক্ষা এবং সশস্ত্র নিরাপত্তা- এই তিন ধরনের ক্ষেত্রেই একজন প্রফেশনাল মাস্টার ট্রেইনার। আচরণ পুন:নির্মাণ এবং অতীত মানসিক ও শারীরিক আঘাত-বিপর্যয় কাটানোর ক্ষেত্রে তিনি বিশেষজ্ঞ। বাংলাদেশের প্রায় সব আইন, নিরাপত্তা ও সামরিক এজেন্সিতে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাকাডেমির সিকিউরিটি ম্যানেজমেন্ট কমিশন্ড অফিসার্স কোর্স, প্রাইভেট ইনভেস্টিগেশন সহ বহু কোর্সে তিনি প্রশিক্ষক পর্যায় অর্জন করেন। ব্রিটিশ আর্মি রয়াল ইঞ্জিনিয়ার্সের সাথে ডিপ্লোমা করেন ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস সার্চ অ্যান্ড রিকগনিশন এ। লাটভিয়ান স্পেশাল ইউনিটসের সাথে মিলিটিরি ওয়েপন অ্যান্ড এক্সপ্লোসিভ ট্রেইনিঙ কোর্স, ইংল্যান্ডের ফায়ার ট্রেইনিং অ্যাকাডেমি থেকে ফায়ার মার্শাল কোর্স, আইরিশ কারেকশন ডিপার্টমেন্ট সহ আরো বহু প্রতিষ্ঠানের সাথে তিনি কাজ করেছেন।

ধ্যান ও প্রাচীণ জ্ঞান শিখেছেন দক্ষিণ ভারতের কালারিপাইট, মধ্য ভারতের বজ্রমুষ্ঠি, বার্মার আন্ডারগ্রাউন্ড আর্ট স্কুলগুলো থেকে।

গবেষণা, প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণের পাশাপাশি তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকারি সামরিক-আধা সামরিক ও বেসামরিক সংস্থা, বহুজাতিক কোম্পানি, জনপ্রতিনিধি, অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ও নেতৃবৃন্দ, শিক্ষা-কর্তৃপক্ষকে পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

চল্লিশটি ভিন্ন মার্শাল আর্টে প্রশিক্ষণ, লুপ্তপ্রায় বিদ্যা ভার্মা কালাই শেখা এবং আন্ত:সাংস্কৃতিক অন্তর্জ্ঞান তাঁকে পরিণত করেছে অগুণতি মানুষের জন্য উদ্দীপনাময় লেখকে। আচার্য বজ্রমুনি দেশে থাকাকালীন সময়ে তারুণ্যের উন্নয়ন, কর্মমুখীতা ও মানুষের মনোদৈহিক উন্নয়নের কাজে সম্পূর্ণ মনোনিবেশ করছেন।


অর্জনময় জীবন



১৯৮০’র দশক আত্মরক্ষা কলা বা মার্শাল আর্টে প্রশিক্ষক।

১৯৯০’র দশকের শুরু থেকে ব্যুত্থান মার্শাল আর্টের শুরু। নতুন বাংলাদেশি মার্শাল আর্টের জন্ম। ব্যুত্থানে দর্পণ, বিশ্রাম সহ বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় একক ও যৌথ ধ্যান এবং বজ্রপ্রাণ ব্যায়ামের শুরু।

১৯৯১-১৯৯৩। বান্ডো মার্শাল আর্ট সেভেনথ ডিগ্রি ব্ল্যাক বেল্ট। এশিয়া বান্ডো এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট গ্র্যান্ডমাস্টার খিং মং জি কর্তৃক। অব্যবহিত পরেই আসিয়ামা বান্ডোতে বজ্রমুনিকে সারা পৃথিবীতে তাঁর উত্তরাধিকারী এবং গ্র্যান্ডমাস্টার মনোনীত ও স্থলাভিষিক্ত করেন।

২০০৫। থান শিন পা- শতবর্ষে ফোটা একটি ফুল। থাইন (মার্শাল আর্ট) ফেডারেশন ইয়াংগুনে সারা মায়ানমার থেকে ৩২ জন সেরা মার্শাল আর্ট মাস্টার ও বেশিরভাগ গ্র্যান্ড মাস্টার সহ বজ্রমুনি’র সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজন করেন। থাইন একাডেমির প্রিন্সিপাল ও প্রেসিডেন্ট তাঁকে জামা পরিয়ে দিয়ে এ উপাধী দেন। অর্ধ শতাব্দীতেও কাউকে এমন সম্বর্ধনা এবং উপাধী দেয়া হয়নি। থাইন অ্যাকাডেমির অধ্যক্ষ বলেন, আমরা, আমাদের সকলের পক্ষ থেকে আমাদের সকল বিষয় আপনার হাতে তুলে দিচ্ছি। একে বিশ্বের সামনে তুলে ধরুন।
বজ্রমুনি ও আসান উপাধী লাভ। দক্ষিণ ভারতের ভার্মা কালাই গ্র্যান্ডমাস্টার ভাষ্করণ তাঁর স্কুল অভ ভার্মা কালাই অ্যান্ড সিদ্ধা মেডিসিনের পক্ষ থেকে আচার্যকে এ উপাধী দেন। বজ্র অর্থ বিদ্যুৎ অথবা হীরা। মুনি অর্থ সাধক, সিদ্ধ। বজ্রমুনি অর্থ যিঁনি বজ্রের মত শক্তিশালী, গতিশীল এবং অমোঘ; একই সাথে সাধনায় সফল।

২০০৬। সোনালী নখরের শান্তি-ড্রাগন। রাজকীয় ভূটান দূতাবাসে ভূটান সরকারের পক্ষ থেকে এ উপাধী দেন বাংলাদেশের বিদায়ী ভূটানী রাষ্ট্রদূত। তিনি ভূটান রাজ পরিবারের সদস্য। বর্তমানে বিরোধী দলীয় প্রধান।

২০০৭। হল অভ ফেইম গ্র্যান্ডমাস্টার অভ দ্য ইয়ার, ওয়ার্ল্ড মার্শাল আর্টস হল অভ ফেইম, যুক্তরাষ্ট্র

২০০৭। গ্র্যান্ডমাস্টার অভ দ্য ইয়ার, ইউনিভার্সাল মার্শাল আর্টস হল অভ ফেইম, যুক্তরাষ্ট্র

২০০৮। শাওলিন টেম্পল ভিত্তিক গ্র্যান্ডমাস্টার অভ দি ইয়ার, ওয়ার্ল্ড ব্ল্যাকবেল্টস মার্শাল আর্ট হল অভ ফেইম। ইন্টারন্যাশনাল মার্শাল আর্টস রিসার্চ ইন্সটিটিউট, কুচিন, মালয়েশিয়া।

২০০৯। গ্র্যান্ডমাস্টার অভ দি ইয়ার, মার্শাল আর্টস হল অভ ফেইম, ইংল্যান্ড।

২০০৯। ওয়ার্ল্ড সোকেশিপ কাউন্সিল, জাপান। জাপানের সব মার্শাল আর্টের স্কুল ও গ্র্যান্ডমাস্টাররা তাদের জগতে আপন করে নিয়েছেন ব্যুত্থান ও এর গ্র্যান্ডমাস্টার আচার্য ডক্টর ইউরী বজ্রমুনিকে।

২০০৯। গ্র্যান্ডমাস্টার পিনাকল অ্যাওয়ার্ড, ওয়ার্ল্ড গ্র্যান্ডমাস্টার্স কাউন্সিল, ইউএসএ। এটা পৃথিবীতে সবচে বড় গ্র্যান্ডমাস্টারদের অ্যাসোসিয়েশন।

২০১০। প্রথম ওয়ার্ল্ড রেকর্ড। বার্মিংহাম ন্যাশনাল এক্সিবিশন সেন্টার ইন্টারন্যাশনাল মার্শাল আর্ট শো তে। এক শিন কিকে সর্ব্বোচ্চ সংখ্যক বেসবল ব্যাট ভাঙার রেকর্ড। রেকর্ডহোল্ডার্স রিপাবলিক, রেজিস্ট্রি অভ অফিশিয়াল ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস।

২০১১। সেখানেই অর্গানাইজিং কমিটির দেয়া মোস্ট আউটস্টান্ডিঙ অ্যাচিভার্স অ্যাওয়ার্ড ট্রফি। সিলভার কাপ।

২০১২। ডিসকভারি চ্যানেল, পৃথিবীর সেরা পাঁচ সুপারহিউম্যানের একজন।

২০১২। সর্ব্বোচ্চ সংখ্যক বেসবল ব্যাট ভাঙার রেকর্ড এক শিন কিকে (এবার তিনটি)। এনইসি।

২০১৩। বিশ্বের সবচে অবিশ্বাস্য ক্ষমতা ও অবস্থা, রিপলি’জ বিলিভ ইট অর নট মিউজিয়াম, ক্যালিফোর্নিয়া।

২০১৩। সচেতনভাবে মনের নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সর্ব্বোচ্চ পরিমাণ পেশী ব্যবহার করার ওয়ার্ল্ড রেকর্ড।



গতদিনের পত্রিকায়:


যুক্তরাষ্ট্রে সম্মাননা পেলেন বাংলাদেশি সুপারহিউম্যান ইউরী

২৭ এপ্রিল নিউ ইয়র্কের বেনকোয়েটের রিগো পার্ক জয়া হলে বাংলাদেশি আমেরিকান কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ইয়ুথ সার্ভিসেস (বিএসিডিওয়াইএস) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ‘সুপারহিউম্যান’ এম এ কে ইউরীকে বিশেষ সম্মাননা পদক দিলেন নিউ ইয়র্ক স্টেট সিনেটর রক্সানি জে পারসুয়াড ও স্টেট অ্যাসেম্বলিম্যান মাইকেল মিলার।

অনুষ্ঠানে ড. ইউরীর পাশাপাশি সম্মাননা পদক পেলেন এলবা মেলেনডায়েজ, ড. মহাবির ও ড. বিষ্ণু মহাদেব। এ অনুষ্ঠানে বিএসিডিওয়াইএস-এর চেয়ারম্যান জন সি হোয়াইটহেড ও সচিব ওয়াল্টার ক্যাম্পবেল উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, ডিসকভারি চ্যানেলে প্রদর্শিত বিশ্বের সেরা পাঁচ শক্তিধর ব্যক্তির একজন সুপারহিউম্যান ড. ইউরী। মনোদৈহিক অসাধারণ ক্ষমতার স্বীকৃতিস্বরূপ তার রয়েছে একাধিক বিশ্বরেকর্ড।

নিউ ইয়র্কে বসবাসরত বাংলাদেশিদের ভাষাগত দক্ষতা ও পেশাগত উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করে আসছে বাংলাদেশি আমেরিকান কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ইয়ুথ সার্ভিসেস। আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল ও নানারকম প্রতিবন্ধকতার শিকার অভিবাসীদের জীবনমান উন্নয়নে প্রতিষ্ঠানটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে ২০১১ সাল থেকে।

উল্লেখ্য ড. ইউরী ইন্টারন্যাশনাল ব্যুত্থান ফেডারেশনের প্রতিষ্ঠাতা। এর প্রধান কার্যালয় আমেরিকার নিউ ইয়র্কে অবস্থিত। বাংলাদেশ ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইন্দোনেশিয়া, নেপাল, ব্রুনাই, ভারত ও মিয়ানমারসহ বিভিন্ন দেশে ব্যুত্থান প্রসার লাভ করেছে।

এ ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের আমন্ত্রণে মনোদৈহিক উন্নয়ন বিষয়ক আলোচনায় তরুণ প্রজন্মের মাঝে ব্যাপক সাড়া জাগাতে সক্ষম হয়েছেন তিনি।

মন্তব্য ৩৩ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৩৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা মে, ২০১৬ দুপুর ২:৫৯

যোগী বলেছেন:
গালের নিচে প্রচুর চর্বি, পেটটাও অনেক বড়, পুরাই থলথলা শরীর।
লোকটা আসলেই করে কী?
রিপলিস বিলিভ ইট অর নটের লিংক দেন দেখি।

১৫ ই মে, ২০১৬ সকাল ৭:০৪

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: জি। এখন তাঁর ওজন বেশি এবং এটা আমার উপলব্ধি অনুযায়ী তিনি ইচ্ছা করেই করছেন। একটা উদ্দেশ্য নিয়ে।

আমরা সাধারণ মানুষরা উদ্দেশ্যবিহীন ঘোরাফেরা করি। আমরা পাতলা হই বা ভারি হই, উদ্দেশ্যবিহীন অনিয়ন্ত্রিতভাবে হই। বিষয়টা সবার ক্ষেত্রে, বিশেষ করে অতি উচ্চতার অর্জনকারীর ক্ষেত্রে একই রকম নয়।

আরেকটু খোলাসা করে বলি,
ভরবেগ মানে হচ্ছে, ভর ও বেগের গুণফল।

২০১০ সালের দিকে যখন টিচার এক লাথিতে দুই বেসবল ব্যাট ভাঙার রেকর্ড করেন, তখন তাঁর ওজন ছিল কম।
২০১২ তে সুপারহিউম্যান যখন হন তখন ওজন কিছুটা বেশি ছিল। তাও বাকী চার সুপার হিউম্যানের চেয়ে কম।
সে বছর যখন তিন বেসবল ব্যাট ভাঙেন, তখন ওজন বাড়ছে।

এক লাথিতে চারটি বেসবল ব্যাট ভাঙার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর এবং এজন্য প্রয়োজন অত্যন্ত বেশি ভরবেগ, শুধু পায়ের শক্তি আর নিউরো কানেক্টিভিটি আর টাইমিঙের সাথে আত্মবিশ্বাস যুক্ত হলেই হবে না।

বিষয়টা অবশ্য পদার্থবিজ্ঞান। রকেট সায়েন্স না হলেও একটু টাফ।

১৫ ই মে, ২০১৬ সকাল ৯:০৫

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: MAK Yuree গুগল করেন ভাই, ভিডিওগুলো খুটিয়ে দেখেন। যা দেখবেন তা হজম করা কষ্ট হয়ে যাবে।

২| ০২ রা মে, ২০১৬ বিকাল ৩:২১

আহলান বলেছেন: দেশের কোন কাজে আসলো এতো গুন ...!

১৫ ই মে, ২০১৬ সকাল ৭:০৯

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই আমরা কি নিশ্চিত করে জানি, দেশের কাজে লেগেছে কি লাগেনি?

আমাদের ভারডিক্ট সবচে সহজ এবং অননুসন্ধানী। ফলে, মূল্যহীন।

যে লোকটার কথাই আমরা জানি না, তিনি দেশের কাজে কতটুকু লেগেছেন তা জানার তো প্রশ্নই ওঠে না।

১৫ ই মে, ২০১৬ সকাল ৭:২৪

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ঠিক কতটুকু অবদান থাকলে একজন মানুষ ' দেশের কাজে লেগেছে ' বলব আমরা?

আমাদের মত মানুষরা যদি দশজন নাগরিকের জীবনে অবদান রাখি, তাহলে বলা যাবে দেশের কাজে লেগেছি।
সেখানে বেশি অজর্নকারীরা একশোজনের জীবন বদলে অবদান রাখতে পারেন। এক হাজার জনের... এটুকুই তো?

তাঁর ট্রেনিং নিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কমিশন্ড অফিসাররা।
এনএসআই, ডিজিএফআই আর বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বাহিনী এসএসএফ কে দিয়েছেন প্রশিক্ষণ।

আানসার ও পুলিশের প্রায় দশ হাজার সদস্য তাঁর ডেভেলপ করা ব্যাটন ব্যবহার করে, ব্যাটন ব্যবহারের প্রশিক্ষণও তাঁর কাছ থেকে পাওয়া। এই ব্যাটনগুলো দেশের বাইরে থেকে কেনার কথা ছিল, বৈদেশিক মুদ্রা বেঁচেছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দশ হাজার সদস্য আগ্নেয়াস্ত্রের বদলে লাঠির মত একটা অস্ত্র ব্যবহার করেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন, ফলে, জনক্ষতি কমে আসার হারটা একবার কল্পনা করুন।

১৫ ই মে, ২০১৬ সকাল ৭:৩৭

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: এর বাইরে বা পাশাপাশি দশ হাজারের বেশি আনসার সদস্য ব্যুত্থান মার্শাল আর্টের প্রশিক্ষণ নিয়েছেন যথাযথ পরিমাণে। আত্মরক্ষা ও আক্রমণকারীকে নিরস্ত্রীকরণের জন্য তা যথেষ্ট। পাশাপাশি আত্মবিশ্বাস, আত্মউন্নয়ন- এসব ক্ষেত্রেও।

ব্যুত্থান মার্শাল আর্টের তিন প্রজন্ম পেরিয়ে গেছে।
আজ থেকে তিন দশক আগে মাঝবয়েসি যারা ব্যুত্থান মার্শাল আর্টের চর্চা করতেন আজকে তাদের ছেলেরা তো তো করেছেনই, তাঁদের নাতিরা এমনকি কারো কারো চতুর্থ প্রজন্ম চর্চা করছে ব্যুত্থান।

তাঁর কারণে বাংলাদেশে ১০০র অধিক তরুণ ব্ল্যাকবেল্টধারী, (বুত্থানের ব্ল্যাকবেল্ট সস্তা নয় এবং প্র্যাকটিস করলেই দেয়া হয় না, বরং যোগ্যতার চরম প্রদর্শন করতে হয়।)
৫০ এর অধিক মানুষ ব্ল্যাকবেল্ট দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ এমনকি পঞ্চম মাত্রার অধিকারী।

এবং সারা দেশে সরকারি বাহিনীর সদস্যর বাইরে ১০ হাজারের অধিক সিভিলিয়ান মানুষ তাঁর ছাত্র।

১৫ ই মে, ২০১৬ সকাল ৭:৪১

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আমাদের বিন্দুমাত্র ধারণা নেই, মার্শাল আর্টের প্রশিক্ষণ পেলে একজন মানুষের মস্তিষ্কতে কী পরিমাণ পরিবর্তন আসে- শরীরে ও আত্মবিশ্বাসে কী পরিমাণ বদল আসে সেটা তো বাদই।

একজন মানুষ যখন একই সাথে

ধ্যান + শর্ট ইন্টারভাল হাই ইন্টেনসিটি অ্যারোবিকস + মার্শাল আর্ট + ক্ল্যাসিক স্লো-মো এক্সারসাইজ + এর সাথে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেন ও নিয়মিত চর্চা করেন-

তখন তার শুধু মস্তিষ্কের আটটা আলাদা অঞ্চলে নিউরন ও গ্রে ম্যাটার বাড়ে। গাণিতিক ক্ষমতা এবং মস্তিষ্কের সার্বিক ক্ষমতা বাড়ে। শরীরের সব ধরনের প্রয়োজনীয় হরমোনের হার বেড়ে যায়।
কমে দুশ্চিন্তা প্রসেস করার অঞ্চলটার আকার।
যখন একজন মানুষের মাথার আটটা অঞ্চল বাড়ে এবং দুটা ক্ষতি প্রসেসের অঞ্চল কমে, তখন সে সাধারণ মানুষ থাকে না। কারণ, মানুষ মানুষ হয়েছে মস্তিষ্ক দিয়ে। সে অসাধারণ হয় এবং মানুষ অসাধারণ হলে কী হয়, তা আমরা আসলে জানি না। এটা জানা আমাদের কাজ কখনোই ছিল না।

হাড়, সংযোগ, ফুসফুস, হৃদপিন্ড, পাকস্থলী, পেশী সব সুস্থ সবল হয়ে ওঠে। বয়স বাড়া রিভার্স হয়, প্রতিটা কোষ প্রয়োজনীয় রক্ত, পুষ্টি, পুননির্মাণ পুনর্গঠন ও নতুন উৎপাদন পায়। ফলে অষুধ নির্ভরতা কমে যায়।

আমার শিক্ষক ২৫ বছর ধরে কোন ধরনের অষুধ ব্যবহার করেন না, কারণ সেটা তাঁর প্রয়োজন পড়ে না। তাঁর ছাত্ররা এই শক্তি তাঁর কাছ থেকে পাচ্ছে। বাংলাদেশে তাঁর ছাত্রের সংখ্যা ২৫ হাজারের উপরেই হবে।

আরো অনেক মাত্রার বিষয় আছে, যেগুলো আর এখানে উল্লেখ করলাম না। শুধু জেনে রাখুন, সারা পৃথিবীতে বাংলাদেশকে তিনি অন্যরকমভাবে পরিচিত করিয়েছেন। সেটা যে কী সম্মান, কী অবদান, তা কোনও একদিন নিজের অনিচ্ছাতেও আমরা জানতে পারব।

৩| ০২ রা মে, ২০১৬ বিকাল ৩:৪১

নতুন বলেছেন: যোগী << ইউটিউবের এই ভিডিওটা দেখুন... https://www.youtube.com/watch?v=yl8Snm6meVY

১৫ ই মে, ২০১৬ সকাল ৯:০৭

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ভাই। আশা করি খুবই ভাল আছেন সবাইকে নিয়ে।

৪| ০২ রা মে, ২০১৬ বিকাল ৫:২৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: রোমাঞ্চকর মানুষ!

১৫ ই মে, ২০১৬ সকাল ৭:১০

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আসলেই দারুণ রোমাঞ্চকর মানুষ হামাভাই। যা শিখছি তাঁর কাছে, অকল্পনীয়।

৫| ০২ রা মে, ২০১৬ রাত ৯:২৪

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

মোহাম্মদ আনোয়ার কামাল... এম এ কে/ ম্যাক.... ম্যাক ইউরি...ড. ম্যাক ইউরি.... ড./আচার্য্য ইউরি বজ্রমুনি।
অবশেষে তার বাংলা নামটি হারিয়েই গেলো...

১৫ ই মে, ২০১৬ সকাল ৮:৩৬

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই আমাদের সমস্যা হল, মূল বিষয় থেকে ফোকাস সরিয়ে ফেলি।

যেমন, মুসলিম বলতে আমরা মনে করি দাঁড়ি আর জোব্বা-পাগড়ি। অথচ দাঁড়ি প্রাচীণ আরবের অ্যাটায়ার। জোব্বা-পাগড়ি মরুভূমির অ্যাটায়ার। ইসলামপূর্ব আরবেও জোব্বা পাগড়ি ছিল। মহাকাল থেকে ভারত ও আফ্রিকার মরুভূমিতে জোব্বা পাগড়ি পরা হয়। মূলত মুসলিম হল কর্মকান্ড ও বিশ্বাসে।

তাঁর নাম কী রইল, এটা তাঁর পরিচয় নয়। এই সহজ সত্যটা আমরা খুব সহজেই সরিয়ে ফেলি বলেই ফোকাস আমাদের সরে যায়, লক্ষ্য সরে গেলে আমাদের মূল্য লক্ষ্যহীনদের মতই হয়।

১৫ ই মে, ২০১৬ সকাল ৮:৫৪

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: মাঝে মাঝে অর্জনকারী আর সাধারণ মানুষের মধ্যে একটা বিশেষ তফাত চোখে পড়ে, সেটা হল তাঁদের নাম বা উপাধিতে।

কারো সাথে কারো তুলনা করছি না, কিন্তু আপনি দেখুন, খুব মজা পাবেন-

নাম আবদুল্লাহ্ পরিচিতি পেলেন আব বকর হিসাবে। আরেকজন আবু হুরাইরা হিসাবে।
নাম আবদুল কাদির, স্বনামধন্য হলেন মুহিউদ্দিন হিসাবে, পরিচিতি পেলেন গাউসে আজম বা বড়পীর হিসাবে। গিলানী হয়ে গেলেন জিলানী।
নাম নু'মান বিন সাবিত পরিচিতি পেলেন আবু হানিফা হিসাবে এবং পরবর্তীতে ইমামে আজম হিসাবে।
নাম হাসান, আঞ্চলিকতায় পারসিক, পরিচিতি পেলেন মুঈন উদ্দিন হিসাবে, আরো পরে খাজা বাবা হিসাবে।
নাম সিদ্ধার্থ, হয়ে গেলেন গৌতম, আরো পরে বুদ্ধ।
নাম কী মনে নেই, পরে হলেন রজনীশ, আরো পরে ওশো।
ডেমি মুরের নাম ডেমেনট্রিয়া গাইনস।
মার্গারেট মেরি অ্যামিলি অ্যান হাইরা কার নাম বলেন তো? ম্যাগ রায়ান।
নাতালিয়া নিকোলাভেরা যাখারিঙ্কো? নাটালি উড।

অ্যালবার্ট পাইকসের নাম কিন্তু অ্যালবার্ট আইনস্টাইন!

১৫ ই মে, ২০১৬ সকাল ৯:০১

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: কেউ ডক্টরেট পেলে তার নামে ডক্টর থাকতেই পারে।
আর তিনি প্রতিটা শব্দে বাংলা এনেছেন। বুত্থান মার্শাল আর্টের প্রতিটা টার্ম বাংলা রাখা হয়েছে। সারা পৃথিবীর যেখানেই এটা শেখানো হোক না কেন, বাংলা শব্দই শেখানো হয় ছাত্রদের। গ্র্যান্ড মাস্টার বরং ইংরেজি শব্দ। আর গ্র্যান্ড মাস্টারের একমাত্র প্রযোজ্য বাংলা শব্দ আচার্য।

তাঁর জন্মের সমসাময়িককালে প্রথম কোনও মানুষ মহাশূণ্যে যায়।
রাশিয়ান ওই মানুষটার নাম ছিল গ্যাগারিন। রাশিয়ায় তাঁকে ডাকা শুরু হয় ইউরী গ্যাগারিন হিসাবে। ইউরী অর্থ বিজয়ী।
টিচারের মামা ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজির প্রফেসর। তিনি ভাগ্নের নাম জন্মের পরপরই রাখেন ইউরী, আশা রাখেন সে বিজয়ী হবে। তাঁর আশা সত্য হয়েছে আর আমরা নামের সংক্ষিপ্তকরণ প্রলম্বিতকরণ ও অর্থ নিয়ে পড়ে আছি।

আমাদের ফোকাস পয়েন্ট যেদিকে, প্রাপ্তি ও প্রবৃদ্ধি তো সেদিকেই হবে।

৬| ০৩ রা মে, ২০১৬ দুপুর ২:৩০

পুলহ বলেছেন: আপনারই একটা পোস্ট থেকে সম্ভবতঃ ওনার কথা প্রথমে জেনেছিলাম, আজ আরেকটু বিস্তারিত জেনে ভালো লাগছে।
ধন্যবাদ এমন অসাধারণ একজন মানুষের সাথে পরিচয় করিয়ে দেবার জন্য

১৫ ই মে, ২০১৬ সকাল ৯:০৪

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আপনাকেও আন্তরিক শুভেচ্ছা ভাই। আশা করি অনেক অনেক ভাল আছেন।

৭| ০৩ রা মে, ২০১৬ বিকাল ৪:০৩

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
এই প্রথম উনার সম্পর্কে জানলাম।

ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।

১৫ ই মে, ২০১৬ সকাল ৯:০৭

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ ভাই। অনেক অনেক ভাল থাকুন।

৮| ০৪ ঠা মে, ২০১৬ রাত ৯:৩৮

স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন: শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ :)

১৫ ই মে, ২০১৬ সকাল ৯:০৮

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আশা করি ভাল আছেন শোভন ভাই।

৯| ০৪ ঠা মে, ২০১৬ রাত ১১:২৩

স্বপ্নচারী গ্রানমা বলেছেন:
ভালো লাগলো পড়ে !

আশা করি ভালোই আছেন ।

১৫ ই মে, ২০১৬ সকাল ৯:০৯

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: অনেক অনেক ভাল আছি ভাই, আলহামদুলিল্লাহ্। খুব ভাল থাকুন আপনিও।

১০| ০৪ ঠা মে, ২০১৬ রাত ১১:৫০

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এই লোকটার সম্পর্কে এতদিনেও কিছু জানতাম না...গর্বিত

১৫ ই মে, ২০১৬ সকাল ৯:১০

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আমরা তো বাংলাদেশে অকেজো বিষয়গুলোতে ফোকাস করি। এটা আমাদের এক ধরনের জাতিগত অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। নাহলে আমাদের অর্জনকারী মানুষগুলোকে বাংলাদেশের মানুষের সাথে পরিচিত করিয়ে দিলেও মনোবৃত্তিতে একটা বড় পরিবর্তন আসতো।

১১| ০৬ ই মে, ২০১৬ ভোর ৪:২৪

নিয়েল হিমু বলেছেন: ভিডিও দেখে বিস্মিত হলাম

১৫ ই মে, ২০১৬ সকাল ৯:১১

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: কেমন আছেন হিমুভাই! আমিও। এখনো যতবার দেখি ততবার বিস্মিত হই।

১২| ০৬ ই মে, ২০১৬ ভোর ৬:৫০

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

মোহাম্মদ আনোয়ার কামাল... এম এ কে/ ম্যাক.... ম্যাক ইউরি...ড. ম্যাক ইউরি.... ড./আচার্য্য ইউরি বজ্রমুনি।
অবশেষে তার বাংলা নামটি হারিয়েই গেলো... B-)

১৫ ই মে, ২০১৬ সকাল ৯:০২

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: লেখক বলেছেন: ভাই আমাদের সমস্যা হল, মূল বিষয় থেকে ফোকাস সরিয়ে ফেলি।

তাঁর নাম কী রইল, এটা তাঁর পরিচয় নয়। এই সহজ সত্যটা আমরা খুব সহজেই সরিয়ে ফেলি বলেই ফোকাস আমাদের সরে যায়, লক্ষ্য সরে গেলে আমাদের মূল্য লক্ষ্যহীনদের মতই হয়।

১৫ ই মে, ২০১৬ সকাল ৯:০৩

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: লেখক বলেছেন: মাঝে মাঝে অর্জনকারী আর সাধারণ মানুষের মধ্যে একটা বিশেষ তফাত চোখে পড়ে, সেটা হল তাঁদের নাম বা উপাধিতে।

কারো সাথে কারো তুলনা করছি না, কিন্তু আপনি দেখুন, খুব মজা পাবেন-

নাম আবদুল্লাহ্ পরিচিতি পেলেন আব বকর হিসাবে। আরেকজন আবু হুরাইরা হিসাবে।
নাম আবদুল কাদির, স্বনামধন্য হলেন মুহিউদ্দিন হিসাবে, পরিচিতি পেলেন গাউসে আজম বা বড়পীর হিসাবে। গিলানী হয়ে গেলেন জিলানী।
নাম নু'মান বিন সাবিত পরিচিতি পেলেন আবু হানিফা হিসাবে এবং পরবর্তীতে ইমামে আজম হিসাবে।
নাম হাসান, আঞ্চলিকতায় পারসিক, পরিচিতি পেলেন মুঈন উদ্দিন হিসাবে, আরো পরে খাজা বাবা হিসাবে।
নাম সিদ্ধার্থ, হয়ে গেলেন গৌতম, আরো পরে বুদ্ধ।
নাম কী মনে নেই, পরে হলেন রজনীশ, আরো পরে ওশো।
ডেমি মুরের নাম ডেমেনট্রিয়া গাইনস।
মার্গারেট মেরি অ্যামিলি অ্যান হাইরা কার নাম বলেন তো? ম্যাগ রায়ান।
নাতালিয়া নিকোলাভেরা যাখারিঙ্কো? নাটালি উড।

অ্যালবার্ট পাইকসের নাম কিন্তু অ্যালবার্ট আইনস্টাইন!

১৫ ই মে, ২০১৬ সকাল ৯:০৩

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: কেউ ডক্টরেট পেলে তার নামে ডক্টর থাকতেই পারে।
আর তিনি প্রতিটা শব্দে বাংলা এনেছেন। বুত্থান মার্শাল আর্টের প্রতিটা টার্ম বাংলা রাখা হয়েছে। সারা পৃথিবীর যেখানেই এটা শেখানো হোক না কেন, বাংলা শব্দই শেখানো হয় ছাত্রদের। গ্র্যান্ড মাস্টার বরং ইংরেজি শব্দ। আর গ্র্যান্ড মাস্টারের একমাত্র প্রযোজ্য বাংলা শব্দ আচার্য।

তাঁর জন্মের সমসাময়িককালে প্রথম কোনও মানুষ মহাশূণ্যে যায়।
রাশিয়ান ওই মানুষটার নাম ছিল গ্যাগারিন। রাশিয়ায় তাঁকে ডাকা শুরু হয় ইউরী গ্যাগারিন হিসাবে। ইউরী অর্থ বিজয়ী।
টিচারের মামা ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজির প্রফেসর। তিনি ভাগ্নের নাম জন্মের পরপরই রাখেন ইউরী, আশা রাখেন সে বিজয়ী হবে। তাঁর আশা সত্য হয়েছে আর আমরা নামের সংক্ষিপ্তকরণ প্রলম্বিতকরণ ও অর্থ নিয়ে পড়ে আছি।

আমাদের ফোকাস পয়েন্ট যেদিকে, প্রাপ্তি ও প্রবৃদ্ধি তো সেদিকেই হবে।

১৩| ২৭ শে জুন, ২০১৭ রাত ৮:৪৭

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: এই অসাধারন গুনী মানুষটি সম্পর্কে এই প্রথম জানলাম। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.