নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বুলি বলে শুনতে পাই, রূপ কেমন তা দেখি নাই, ভীষম ঘোর দেখি।। পোষা পাখি চিনলাম না, এ লজ্জা তো যাবে না, উপায় কী করি, আমি উপায় কী করি।।
এ লেখাটিকে অত্যন্ত সিম্পল এবং সংক্ষিপ্ত রাখছি। ব্যক্তিগতভাবে আমি গালাগালি, তীব্র কথা এমনকি তর্ককেও প্রচন্ড অপছন্দ করি। সেটা মুসলিম বিদ্বেষী ইহুদির বিরুদ্ধে হোক, রাসূল দ.'র বিদ্বেষী নাস্তিকের বিরুদ্ধে হোক আর ওহাবী, ভন্ড পীর বা দেওবন্দী-শিয়ার বিরুদ্ধে হোক।
ধর্মীয় বিষয়গুলো ঝগড়াটেদের ঝগড়ায় এতই অস্পষ্ট হয়ে গেছে যে, দিন-তারিখ-পৃষ্ঠা আর ছাপাখানার রেফারেন্সের কচকচি এগুলোকে স্পষ্ট না করে আরো গুলিয়ে দিবে।
খুবই সম্মানের সাথে একটা কথা জানাই, ভাল মানুষরা ভাল মনে করে তাবলীগ ও ইজতেমাতে যোগ দেন। এখানে সৎ মানুষ আছেন, খোদাভীরু মানুষ আছেন। যেমন ভাল মানুষরা ভাল মনে করে হজ্ব করে, ভাল মানুষরা ভাল মনে করে শাহবাগে গেছেন, ভাল মানুষরা ভাল মনে করে শাপলা চত্ত্বরেও গেছেন। সৎ মানুষরা চার্চে যাযন, সিনাগগে যান, মন্দির বা মসজিদেও যান। যার যার উপলব্ধির ভিত্তিতে মানুষ কাজ করে, এ নিয়ে গায়ের উপর চাপিয়ে দেয়ার কিছু নেই। কিন্তু জানতে চাইলে সত্যটাকে আমরা যেভাবে জানি সেভাবে জানানো দায়িত্ব মনে করি।
লেখাটা সরল হলেও এতে মনোযোগ দেয়া জরুরি। মতবাদ ও গোত্রবাদ আমাদের চোখের সামনে ইসলামকে এমনভাবে নাচাচ্ছে যে, পথে থেকেও আমরা পথ হারাতে বসেছি। আমি অবশ্যই কোনও তীব্র কটাক্ষমূলক কথা আশা করি না এখানে। কোন পক্ষ থেকেই না, কারো কাছ থেকেই না।
বিশ্ব ইজতেমা শুরুতে ছিল তাবলীগ জামাতের জাতীয় সম্মেলন। পরে তা প্রচুর জনসমাবেশের কারণে বিশ্ব ইজতেমায় পরিণত হয়।
তাহলে ইজতেমার আগে তাবলীগ। তাবলীগ জামাত এসেছে ভারতের দেওবন্দ মাদ্রাসার মতাদর্শ থেকে। এখনো কওমী ধারার মাদ্রাসাগুলো দেওবন্দ মাদ্রাসার আদর্শেই পরিচালিত হয়। তাই তাবলীগের আগে দেওবন্দ মাদ্রাসা।
ভারতের দেওবন্দ মাদ্রাসা অনেক বড় আকৃতির একটা প্রতিষ্ঠান। দেওবন্দ মাদ্রাসা বা কওমী ঘরানা বা তালেবান আন্দোলন বা তাবলীগ জামাত- এটা একটা অবিচ্ছিন্ন মতাদর্শ।
আমাদের সরল জানামতে, দেওবন্দ মাদ্রাসা প্রথমে হানাফি ফিক্বাহ্ বা হানাফি মাজহাবের উপর প্রতিষ্ঠিত একটি সূফিপন্থী সুন্নি মাদ্রাসা ছিল। তখন আরবে ওয়াহাবী আন্দোলনের সূত্রপাত হয়। ব্রিটিশ রাজশক্তির সহায়তায় এর উত্থান। একদিকে বিন আবদুল ওয়াহাব নজদী ধর্ম নিয়ে অন্যদিকে সৌদ গোত্রপতি গোত্রশক্তি নিয়ে এক্ষেত্রে এগিয়ে আসে। তুর্কি খিলাফাত, যা মাজহাবপন্থী ছিল, সেই খিলাফাতের হাত থেকে আরবকে সরিয়ে নিয়ে স্রেফ গোত্রের নামে নামকরণ করা হয় "সৌদি আরব", যা কুরাইশ আরব হলেও বেমানান হতো। আরব এমনকি কুরাইশ গোত্রেরও না, সৌদ গোত্রের হবার তো প্রশ্নই ওঠে না। এটা পুরো সৃষ্টিজগতের।
ভারত থেকে হজ্ব করতে যাওয়া কিছু সংখ্যক ধর্মসচেতন মানুষ তখন সৌদ গোত্রবাদের দখল করা মক্কা ও মদীনায় ধর্মের নতুন পরিবর্তিত ব্যাখ্যা গ্রহণ করেন এবং ফিরে আসেন। দেওবন্দ মাদ্রাসায় সে শিক্ষা স্থান পায় এবং একই সাথে ক্ল্যাসিক্যাল শিক্ষাও পুরোপুরি সরে না। সৃষ্টি হয় নতুন একটি ধারা যা ক্ল্যাসিক্যাল সূফি-মাজহাবপন্থী ধারার পুরোপুরি বাইরেও না, আবার পুরোপুরি সৌদি ওয়াহাবি ধারাও না।
রয়ে যায় একই সাথে পুরনো হানাফি শিক্ষা, সেইসাথে ক্ল্যাসিক্যাল এই ধারার কিছু বিষয়কে "শিরক-বিদআত" বলাটা সাব্যস্ত হয়। পুরনো অনেক বিষয় রাখা হয় আবার অনেক জানাশোনা সুন্নাতকে করে দেয়া হয় রদ।
এক্সট্রিম ওয়াহাবী মতাদর্শ থেকে আসা এমনি এক মত হল, মুসলিমরা শিরকে ডুবে আছে। বলা বাহুল্য, এটা রাসূল দ.'র অনেক হাদীসের সরাসরি বিপরীত। কুরআনের অনেক আয়াতেরও বিপরীত। রাসূল দ. বারবার বলেছেন, তাঁর উম্মাহ্ শিরক করবে এই ভয় তাঁর নেই। এ বিষয়ে নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে যে রাসূল দ.'র পর তাঁর উম্মাহ্ আর শিরক করবে না। কিন্তু তারা ভ্রান্তিতে জড়িয়ে যাবে এবং পরস্পরকে দোষারোপ করবে এই ভয় তাঁর রয়েছে।
দেওবন্দ মাদ্রাসা থেকে এই "শিরক" মতকে গ্রহণ করা হয়। এবং এক্সট্রিম ওয়াহাবি বা সালাফি মতাদর্শের মত করেই "শিরক" কে "বিদআত" এর সমার্থক করে নেয়া হয়।
সবচে কষ্টদায়ক বিষয় হল, মুসলিমদের মধ্যে শিরক এর তকমা আঁটা হয়েছে তাদের উপরে, যারা রাসূল দ.কে ভালবাসার মাধ্যমে এবং নবী-রাসূল-আহলে বাইত-সাহাবা-ওয়ালীগণকে মানার মাধ্যমে ঈমানের শর্ত পূরণ করেন। অর্থাৎ শিরকের কুঠার দিয়ে আঘাত করা হয়েছে খোদ ইসলামেরই ৩৫% হানাফি সহ মোট মুসলিম জনসংখ্যার ৭৫-৮০% মানুষকে। মাজহাবপন্থী ও সূফিপন্থীদের।
রাসূল দ. বলেছেন, তাঁর উম্মাহ'র সিংহভাগ কিয়ামাতের আগ পর্যন্ত পথভ্রষ্ট হবে না। মাজহাবপন্থীদের সংখ্যা এখনো পৃথিবীতে ৭০%। এদের সবাইকে "শিরক-কারী" হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এটা ছিল মূলত সৌদ গোত্রের সাথে কুরাইশ গোত্রের গোত্রীয় শত্রুতা ও জিঘাংসার ফল। রাসূল দ., তাঁর পরিবার, তাঁর সাহাবীগণ, চার খলিফা- এঁদের প্রতি দৃঢ় আনুগত্য ও সুউচ্চ সম্মান প্রদর্শনের বিশ্বাসকে গোত্রীয় দৃষ্টিকোণ থেকে বিন আবদুল ওয়াহাব নজদী সাব্যস্ত করেন "শিরক" হিসাবে।
মাজহাবপন্থী, সূফি ও শিয়াদের বিশ্বাসকে "শিরক" সাব্যস্ত করার পর এদের কর্মকে সাব্যস্ত করা হয় "বিদআত" হিসাবে।
এভাবে বিশ্বাস ও কর্ম- উভয় দিক ব্যালেন্স করে নিয়ে ওয়াহাবী চরমপন্থী মতবাদের উত্থান ঘটে যেখানে কোনও ইমাম, কোনও মহা মনীষী কাউকে পরিপূর্ণভাবে মানা হয় না বা স্বীকৃতি দেয়া হয় না।
এই চরমপন্থী উত্থানের একটা মধ্যমপন্থী রূপ হল দেওবন্দ মাদ্রাসার মুভমেন্ট।
ক্ল্যাসিক্যাল তথা সূফিপন্থী ও মাজহাবপন্থী মানুষরা দেওবন্দ মুভমেন্টের সাথে একমত নন কারণ এতে ওয়াহাবী এলিমেন্ট খুবই তীব্রভাবে আছে। অপরদিকে সৌদ গোত্রবাদ উদ্ভুত ওয়াহাবী মতবাদ তথা সালাফি-আহলে হাদীস বা "অনলি মুসলিম" মনোভাবের মানুষরাও দেওবন্দ ঘরানাকে একেবারেই গ্রহণ করেন না কারণ এতে সূফি ও হানাফি এলিমেন্টও অত্যন্ত তীব্রভাবে আছে।
তাই আমরা দেখতে পাবো, একই সাথে সালাফি-আহলে হাদীস এবং সূফি-সুন্নি-মাজহাবপন্থী এই দুই বিপরীত মেরু থেকে তাবলীগ জামাতের সমালোচনা করা হয়। মজার ব্যাপার হল, এই সমালোচনা কিন্তু সম্পূর্ণ বিপরীত দোষ ধরে করা হয়।
তাবলীগ জামাতের প্রতিষ্ঠাতা বলেছেন, "লোকে মনে করে আমি নামাজ প্রতিষ্ঠার জন্য দাওয়াতে তাবলীগ প্রতিষ্ঠা করেছি। তা নয়।" আসলে তাদের বিশ্বাস হয়েছিল এমন যে, মানুষের মধ্যে আর তৌহিদ নেই। শিরক ঢুকে গেছে। তাই "মুসলিমদের শিরক" তথা "সোনার পাথর বাটি" দূর করার জন্য দাওয়াতে তাবলীগের প্রতিষ্ঠা। সোনার বাটি থেকে পাথর দূর করতে চাওয়া যেমন অবাস্তব-কল্পনা তেমনি মুসলিমের ভিতর থেকে শিরক দূর করতে চাওয়া অসম্ভব লক্ষ্য।
তাবলীগ জামাতের প্রথম কাজটাই হয় পরিচয় চাওয়া। "মুসলমান ভাই তো?"
হ্যা বোধক উত্তর এলে অদ্ভুত কথা হয় এরপর। "আমরা কালিমার দাওয়াত নিয়ে এসেছি/ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ'র দাওয়াত নিয়ে এসেছি।"
এরচে অদ্ভুত কিছু আর হতে পারে না। মুসলিম ভাইকে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ'র দাওয়াত দেয়ার মত ভ্রান্ত কাজ আর কিছু হতে পারে না। আর লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্ পূর্ণ কালিমা নয়। এটা কালিমার প্রথম অংশ। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ্ দ. হচ্ছে পূর্ণাঙ্গ কালিমা যা বুখারী ও মুসলিম শরীফে অত্যন্ত স্পষ্ট ভাষায় বলা হয়েছে।
-"ইয়া রাসূলআল্লাহ্ দ., লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্ ই কি চাবি নয়?"
"হ্যা, কিন্তু এর খাঁজ রয়েছে।"
আর সেই খাঁজ হচ্ছে মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ্ দ.। যাঁরা ইতোমধ্যেই লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ্ দ. মানেন তাদের মধ্যে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্'র দাওয়াত দেয়া মানে সুস্পষ্টভাবেই মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ্ দ. বাদ দেয়া। বিষয়টা যতই আজব বোধ হোক, এমনি।
ইসলামের প্রতিটা বিষয় থেকে রাসূল দ. কে, তাঁর চার খলিফা রা. কে, তাঁর পরিবার বা আহলে বাইত ও সাহাবী বা আসহাব রা. গণকে আড়াল করার একটা প্রক্রিয়া সব সময় ওয়াহাবী মুভমেন্টে জড়িত ছিল। হাদীস থেকে রাসূল দ.'র সম্মানবাচক তথ্যগুলোকে জয়িফ বলা হচ্ছে। স্বয়ং ইমাম বোখারীর শত শত হাদীসকে, ইমাম মুসলিমের শত শত হাদীসকে, ছয় শুদ্ধগ্রন্থের হাজার হাজার হাদিসকে জয়িফ বলা হচ্ছে। জয়িফ শব্দের অর্থ দুর্বল অথচ এখন জয়িফ ও জালকে একত্রে বলা হচ্ছে অবশেষে জয়িফ ও জালকে সমার্থক বলা হচ্ছে। সবশেষে জয়িফকে এভাবে বলা হচ্ছে, "জয়িফ, অর্থাৎ জাল" যার সরাসরি অর্থ হল, "দুর্বল, অর্থাৎ মৃত।"
এর মূল কারণ গোত্রবাদ ও গোত্রবোধ। গোত্রবাদ কত তীব্র হলে রাসূল দ.'র ভূমিকে কেউ নিজ গোত্রর নামে নামকরণ করতে পারে, নিজ গোত্রপতির নামে নামকরণ করতে পারে!
তাবলীগ জামাত পূর্ণাঙ্গ ওয়াহাবী মুভমেন্ট নয়। পূর্ণাঙ্গ ওয়াহাবী মুভমেন্ট যেখানে ইতোমধ্যে বলছে, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ্ দ. যারা এক বাক্যে পাশাপাশি বলবে তারা মুশরিক (তারেক মনোয়ারের ইউটিউব ভিডিও)সেখানে দেওবন্দী মুভমেন্ট বিষয়টাকে এভাবে দেখছে না ও ব্যবহার করছে না কিন্তু কার্যক্ষেত্রে ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় তেমটাই করছে।
তাবলীগ জামাতে প্রতিনিয়ত যে বিষয়টা শেখানো হয় তা হল, আমরা সর্বত্র শিরকে ডুবে আছি। অকল্পনীয়! একজন মানুষ এ বিশ্বাস করতে পারে যে, তার হামের টিকা দিলে আর হাম হবে না, অথচ সে এ বিশ্বাস কী করে করে যে, রাসূল দ. নিশ্চয়তা দেয়ার পরও মুসলিমরা শিরক করতে পারে!
"এই পোশাকটা আমাকে বাবা দিয়েছেন", বা, "আমি কালকে এ কাজটা করব" এইসব কথাকে তাঁরা শিরক বলছেন। অথচ এই কথাগুলো হল দুর্বল কথা। অপূর্ণাঙ্গ কথা। দুর্বল কথাকে সবচে বড় জুলম শিরক হিসাবে অভিহিত করার মত বোকামি আর কী হতে পারে!
তাবলীগে যুক্ত হওয়া ওয়াহাবী বিশ্বাস বা আক্বিদার মধ্যে সবচে ভয়ানক আক্বিদা হচ্ছে রাসূলুল্লাহ্ দ.'র উম্মাহকে শিরকের দোষে দুষ্ট করা এবং রাসূল দ.'র সম্মান বিষয়ক বিশ্বাসকে "শিরক" ও কাজকে "বিদআত" অভিহিত করা।
এ পোস্টটায় মূলত শুধু একটা দিকেই আলোকপাত করা হল।
বিশ্ব ইজতিমা যদি এড়ানোর বিষয় হয়, তবে তা এজন্য এড়ানোর বিষয়। বিশ্ব ইজতিমায় নামাজ পড়া হয়, মুনাজাত করা হয়, অনেক মানুষ একসাথে আল্লাহর কথা বলেন- এগুলোর কোনটাই সমস্যা না। অর্ধসত্য সব সময় মিথ্যার চেয়ে ভয়ানক। এখন যদি কোন মুসলিমকে এসে কোনও শয়তান পূজারী বলে, আল্লাহ্ সর্বশক্তিমান, আল্লাহ্ স্রষ্টা, তিনিই মালিক কিন্তু লুসিফার আল্লাহর বড় ছেলে, কোনও মুসলিম এ কথায় গলবে না। কিন্তু অর্ধসত্য ভয়ানক। একজন মুসলিম অন্য মুসলিমের ভয়ানক কথাও মেনে নিতে রাজি আছে। কারণ সেখানে নামাজ আছে, রোজা আছে, পাগড়ি আছে, দাঁড়ি টুপি এবং মিসওয়াক আছে। সবই আছে, সেইসাথে মুসলিমদের মুশরিক বলাও আছে! অথচ রাসূল দ. আল্লাহর পক্ষ থেকে নিশ্চয়তা দিয়েছেন যে মুসলিমরা শিরক করতে পারবে না। করবে না। আসলে রাসূল দ. ও তাঁর প্রিয়জনদের ভালবাসাকেই শিরক সাব্যস্ত করার একটা প্রক্রিয়া এটা।
আমি তাবলীগে দুই চিল্লা লাগানো, বহুবার তিনদিন যাওয়া, উচ্চশিক্ষিত, সুউচ্চ তাবলীগ পরিবারের একজনকে চিনি, যে জানে না রাসূল দ.'র রওজা মদীনায় নাকি মক্কায়। কারণ তাবলীগে কখনো সে আলাপ হয়নি, কারণ তার বাসায় কখনো এ আলাপ হয় না। কেন? রাসূল দ. কী সমস্যা?
যেখানে পূর্ণসত্য হল "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ্" সেখানে "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্" ভয়ানক কারণ তাতে "মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ দ." বাদ দেয়ার একটা প্রবণতা স্পষ্ট। আর যেখানে "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্" ভাল সেখানে "লা ইলাহা" ভয়ানক কারণ তাতে আল্লাহ্-ই বাদ পড়ে যান।
২| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৯
মেশকাত মাহমুদ বলেছেন: চমৎকার বিশ্লেষণ।
৩| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৬
সবুজ সাথী বলেছেন: রাসূল দ. বারবার বলেছেন, তাঁর উম্মাহ্ শিরক করবে এই ভয় তাঁর নেই। এ বিষয়ে নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে যে রাসূল দ.'র পর তাঁর উম্মাহ্ আর শিরক করবে না। "
এই কথা কোন হাদীসে আছে দয়া করে জানাব্রবে।মানুষ্কে বিভ্রান্ত করবেননা।
আমি এর উল্টা হাদীসই পেয়েছি। কিয়ামতের আলামতের কয়েকটা হাদীসে বলা হয়েছে তোমরা একসময় ইয়াহুদী-নাসারাদের পদে পদে অনুসরণ করবে। তারা যদি গোসাপের গর্তে প্রবেশ করে তাহলে তোমরাও তাই করবে।
৪| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫০
সবুজ সাথী বলেছেন: আর কথিত ওয়াহাবী আর দেওবন্দি বিষয়ে আপনার তথ্য হাস্যকর। যারা উপমহাদেশের ইসলামের ইতিহাসে সামান্য জ্ঞান রাখেন তারা আপনার তথ্য দেখে গড়াগড়ি খাবেন।
৫| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:০৭
জাহিদ ২০১০ বলেছেন: আচ্ছা ভাই আল্লাহ ও লাগে আবার ইল্লাহ ও লাগে৷ এই মহান উক্তি টা কারা বাহির করছে?? আচ্ছা জুমার সময়ের মুসুল্লিরা কি জুমার দিনেই জীবিত হয়ে মারা যায় নাকি?? অন্য নামাযে তো হারিক্যান দিয়াও খুজে পাওয়া যায় না,, কেনু???? আচ্ছা মুসলমানের ঘর এক একটা সিনেমা হল, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে সুদের সাথে বেশিরভাগই জড়িত, বেশিরভাগই শিক্ষিত ও অশিক্ষিত মুখে গিবত, পরনিন্দা আবার গালি ছাড়া তো কথাই নাই,,,, চুরি, বাটপারি, হত্যা, জুলুম আর কতো গুনের কথা বললে আপনি বলবেন মুসলমান রা শিরকমুক্ত ঈমান নিয়া জীবনযাপন করে???
৬| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৫৪
কাউন্টার নিশাচর বলেছেন: এ লেখা তো "আমার ব্লগ" এ দেখলাম
আপনি কি ২ জায়গাতেই লেখেন।?
৭| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৫৫
মুদ্দাকির বলেছেন: লিসানি ভাই, আসসালামুয়ালাইকুম !! এত মত আর এত ভাগা ভাগি আর ভালো লাগেনা!!! আপনার কথা যদি সত্যজ্ঞানের উপরে হয় তবে কেয়ামতের ময়দানে নিজের এবং কোটি মুসলিমদের ভাগ্যবান দেখতে পাচ্ছি। মঝে মাঝে মনে হয় রাসূল সাঃ এর রক্তের খোজ যদি পেতাম তবে উনাদের দিকে চেয়ে থাকতাম। তবলিগ জামাত আমার ব্যাক্তিগত ভাবে পছন্দ না। তবে অসাধারন কিছু ভালো মানুষকে চিনি আবার অসাধারন কিছু ভন্ড লোককে চিনি জারা প্রতিনিয়ত তবলিগকে ঢাল হিসাবে ব্যাবহার করেন এমনকি মানুষ হিসাবে ও ভালোনা!!!
৮| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:২৬
মাসূদ রানা বলেছেন: গুরুত্বপূর্ন বিষয় লিখেছেন ভাই। তবলিকের ভাইদের প্রতি আমার প্রচ্ছন্ন ভালোবাসা কাজ করলেও ওনাদের আদর্শকে আমার কাছে সদাই নবিজী হজরত মুহাম্মদ (স) এর দর্শন পরিপন্থি সংষ্কৃতি বলেই মনে হয়েছে। নবিজী (স) ছিলেন একজন ভারসেটাইল জিনিয়াস। তিনি একই সাথে পরিবার পরিজন, আত্মীয় স্বজন, পারা প্রতিবেশীর দায়িত্ব যেমন নিখুতভাবে পালন করেছিলেন, তদ্রুপ ইসলাম প্রচারের কাজও করেছেন সফলতার সাথে, রাষ্ট্র পরিচালনার কাজ করেছিলেন অসাধারণ দক্ষতায়। ইসলাম কখনোই কাওকে জীবিকা ও পরিবারের দায়িত্ব বাদ দিয়ে ইসলাম প্রচারকে উৎসাহিত করে না। যদি তাই হতো তাহলে পরে আমাদের নবিজী (স) মক্কায় ফিরে যাবার চিন্তা না করে, কাজ কারবার বাদ দিয়ে চীন, জাপান, আম্রিকা, আফ্রিকা ঘুরে বেরাতেন আর ইসলাম প্রচার করতেন।
দুই মাস তিন মাসের জন্য পরিবার পরিজন থেকে পৃথক হয়ে গিয়ে সন্নাসী জীবণ চালনা করা ইসলামে মাকরুহ আর ৪ মাসের অধিক সময় পৃথক থাকা সগীরা গুনাহ । আল্লাহ পাক আমাদের সবাইকে সহিহ বোঝ দান করুন ।
ভালো থাকবেন ভাই ।
৯| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:০৫
হারান সত্য বলেছেন: লিসানী ভাই, আসসালামু আলাইকুম।
আপনার বিশ্লেষণী দক্ষতা খুবই ভাল, সন্দেহ নাই - কিন্তু যেকোন বিচার বিশ্লেষণ পুর্বধারনার ভিত্তিতেই হয় আর সেই পুর্বধানা বা হাইপোথিসিস এ যদি কোন ত্রুটি থাকে তাহলে কোন বিশ্লষণই সেই ত্রুটি কাটিয়ে উঠতে পারে না।
মুসলিমরা শিরক করতে পারে না - এই পুর্ব ধারনা দ্বারাই আপনার সব বিশ্লেষণ ব্যাপকভাবে প্রভাবিত। আপনি এ'ব্যাপারে হাদীসের কথা বলেছেন (যদিও রেফারেন্স দেন নাই) কিন্তু এখানে 'মুসলিম' বলতে কী বুঝান হয়েছে বা মুসলমানের পরিচয় কি সেটাই পরিষ্কার নয়। আপনি যদি মুসলমানের পরিচয় হিসেবে বর্তমানে প্রচলিত ধারনা অর্থাৎ মুসলিম পরিবারে জন্ম নিলে বা মুসলিম নাম রাখলে বা মুখে কালেমা পড়লেই কেউ মুসলিম হবে - এটাকে মেনে নেন তাহলে সেটা মেনে নেয়া কঠীন। কারণ স্যাটানিক ভার্সাসের লেখক সালমান রুশদিও মুসলিম পরিবারের সন্তান। তার নামটাও মুসলিম। তাহলে কি আপনি বলবেন যে তার পক্ষেও শিরক করা অসম্ভব?
এ'ভাবে জন্মগত বা জাতিগত বা নামে মুসলিম আর কাজে কর্মে প্রকৃত মুসলিম কি এক? নিশ্চয়ই নয়। তাই কথাটা যদি এ'ভাবে বলেন যে 'প্রকৃত মুসলিম শিরক করতে পারে না' - তাহলে অনেক বেশী যুক্তিযুক্ত হয়। আর আমাদের সবার প্রচেস্টাতো সেই প্রকৃত মুসলিম হওয়ার জন্যই।
আসলে শিরক বিদাত বিভ্রান্তি গর্ব অহংকার মুর্খতাসহ বহু কিছুই সময়ের পরিক্রমায় আমাদের মধ্যে ঢুকে গেছে যা থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য মহাগ্রন্থ আল কোরআনের কাছে ফিরে যাওয়া ছাড়া ভিন্ন কোন পথ নাই।
১০| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:২৪
আলাপচারী বলেছেন: তাবলীগকে আমার পিউরিটান মনে হয়। সেই নির্বিষ নিরীহ একনিষ্ঠ শুধু নামাজ আর নামাজ।
আমাদের ভয় অন্য জায়গায়।
যদি এর বর্তমান নিবির্ষ নেতৃত্ব বদল হয়ে একদিন রেডিক্যাল কোনো নেতৃত্বের হাতে এই আন্দোলন পড়ে তবেই খবর!
এই আন্দোলন (তাবলীগ) দ্বিধাহীন আনুগত্যে জাড়িত। তাই ভয়।
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সত্যের আলোয় উদ্ভাসিত দারুন সহজ সাবলীল এবং নির্মেদ লেখায় কৃতজ্ঞতা।
ইয়াজিদ ইবনে মুয়াবিয়ার আহলে বাইত বিরোধীতাই আজকের ওহাবীদের দ্বারা আরও পরিপুষ্ট হচ্ছে। দু:খজনক।
হে আল্লাহ বিভ্রান্ত সউ গোষ্ঠির হাত থেকে তুমি পবিত্র ভূমিকে নিরাপদ কর, সত্য মুসলিম মুমিনদের জন্য ঐ ভূমিকে কেন্দ্র করে দাও, সকল চক্রান্তকারীল কূটচালকে ছিন্নভিন্ন করে দাও, বিভ্রান্তদের হেদায়েত নসীব কর, বিভ্রান্তকারীদের যথোপযুক্ত শাস্তি দাও! জালিম ও জুলুমের হাত থেকে এ বিশ্বকে নিরাপদ কর। মানবতা, শান্তি ও প্রেমের ধর্ম ইসলামকে বিজয়ী কর।
ইসলামের নামে ভ্রান্তি প্রণেতা, সহায়াতাকারী, প্রচারকারী ও বিশ্বাসকারী সকলকেই তোমার তরফ থেকে শাস্তি ধার্য্য কর। সত্য সঠিক বিশ্বাসী, মুসলমান ও মুমিনদের হাতকে দৃঢ় মজবুত কর। তাদের মাঝে সুদৃঢ় ঐক্যে বন্ধন অটুট করে দাও ।
নিশ্চয়ই তুমি মহাপরাক্রমশালী অমূখাপেক্ষি সিদ্ধান্ত গ্রহনকারী ও পরম দাতা।