নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্পেস-টাইম

there is no problem in the heavens and earth ;) problem lies in three places... beneath, between and within the hells.

গোলাম দস্তগীর লিসানি

বুলি বলে শুনতে পাই, রূপ কেমন তা দেখি নাই, ভীষম ঘোর দেখি।। পোষা পাখি চিনলাম না, এ লজ্জা তো যাবে না, উপায় কী করি, আমি উপায় কী করি।।

গোলাম দস্তগীর লিসানি › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশের সমস্ত শিক্ষা ব্যবস্থা, সমস্ত টিভি-রেডিও-পত্রিকা-প্রকাশনা যদি সম্পূর্ণ নিরাপদে ধর্মহীনতার হাতে তুলে দেয়া হয়...

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০৭



সাধারণত ইসলামোফোবিক (ইসলাম-আতঙ্কিত) দের কথার কোন জবাব দিই না।
এই বর্ণবাদাক্রান্ত মানুষগুলোর কথার জবাব না দেয়ার তিনটা কারণ আছে-

১. আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূল দ.'র নিষেধ। কুরআন ও সুন্নাহ্ তে বারবার বলা আছে, ভালভাবে বলতে পারলে বলো, নাহয় সরে যাও, উঠে যাও, চুপ করে থাকো। এই আদেশটাকে বাস্তবে শিরোধার্য করে নিয়েছি। যারা ফোবিয়ায় আক্রান্ত নন এবং তীব্র সাম্প্রদায়িক নন, তাদের বেলায় একটু আধটু ইন্টারাক্ট করি।

২. তাদের নিরাপত্তা। তাদের সংখ্যা অত্যন্ত কম এবং তারা আক্রান্ত। আক্রান্ত সম্প্রদায়বিদ্বেষী মানুষকে জবাব দিলেও যদি তার বিরুদ্ধে আরো রোষ তৈরি হয়, এটা নৈতিক মনে হয়নি। এজন্যও বলি না।

৩. তাদের বেশিরভাগ কথাই লজিকের খুবই বাইরে দিয়ে যায়। তাদের সাথে যুক্ত হলে তাদের লেভেলে নেমে কথা বলতে হবে। নির্বোধের সাথে যুক্ত হয়ে আলাপচারিতা করতে গেলে অবশ্যই আলাপচারিতা নির্বোধতার কাছাকাছি হতে হয়... এ থেকে দুরেই থাকি। এ বিষয়টা আত্ম-অগ্রগতির জন্য ক্ষতিকর।

একটা ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নিলাম, কিছু কথা বলব।
একজন সম্প্রদায়বিদ্বেষী সম্প্রতি বলেছেন, একটা টিভি চ্যানেল, একটা পত্রিকা, একটা প্রকাশনী, লেখকদের নিরাপত্তা এবং দেশব্যাপী সর্বস্তরে লেখা প্রচার করতে দিলে তারা পাঁচ বছরের মধ্যে বাংলাদেশের অন্তত অর্ধেক মানুষকে ইসলাম-বিদ্বেষী এবং ধর্মমুক্ত করে ফেলবেন। শুধু তাই নয়, চোদ্দশ বছরের সংস্কার তাঁরা সরিয়ে ফেলবেন।
বাগাড়ম্বর সবচে বড় আড়ম্বর।
এই বাগাড়ম্বর নিয়ে দুটা কথা না বললে শান্তি পাচ্ছি না।
আমরা যে কমুনিস্ট দেশগুলোর আলোচনা করব, সে আলোচনা মূলত এই অসাড় বাগাড়ম্বর এর বাস্তবতা তুলে ধরবে।

বাংলাদেশ রাষ্ট্রটা যে পৃথিবীর সবচে বেশি সময় ধরে টিকে থাকা বর্তমান নন-মার্ক্সসিস্ট-লেনিনিস্ট-মাওয়িস্ট সমাজতন্ত্রী (কমুনিস্ট) রাষ্ট্র এটা কি আমরা জানি?
বাংলাদেশ রাষ্ট্রটার ক্ষমতায় যে এই বর্তমান মুহূর্তেও কমুনিস্টরা যূথবদ্ধতায় ক্ষমতাসীন, এবং সেই যূথবদ্ধতায় মার্ক্সসিস্ট, লেনিনিস্ট, মাওয়িস্টও আছেন, তাও কি আমরা সচেতন?
আমরা, বাংলাদেশের মানুষ কমুনিজমের এক ধারায় পৃথিবীর সবচে সিনিয়র।
এটা মুখের কথা না, এটা কম কথা না।

বাংলাদেশ ছাড়াও গিনি বিসাউ, গায়ানা, ভারত, উত্তর কোরিয়া, পর্তুগীজ রিপাবলিক, সাও তোমে, শ্রীলঙ্কা ও তানজানিয়া বর্তমানে নন-মার্ক্সসিস্ট-লেনিনিস্ট-মাওয়িস্ট সমাজতন্ত্রী রাষ্ট্র।

আগে আলজেরিয়া, বার্মা, কেপ ভার্দে, মিসর, ইরাক, লিবিয়া, মাদাগাস্কার, সুদান ও সিরিয়া এই ধরনের সমাজতন্ত্রী ছিল।

এবার আসি পরের বিষয়ে,
বর্তমানে পৃথিবীতে মার্ক্সসিস্ট-লেনিনিস্ট মতক্রম থেকে উদ্ভুত কমুনিস্ট রাষ্ট্র মাত্র চারটা।
চীন, কিউবা, লাও এবং ভিয়েতনাম।

পতিত মার্ক্স ও লেনিনবাদী রাষ্ট্রর সংখ্যা এর আলোকে পর্যালোচনা করি?
আলবেনিয়া ও যুগোস্লাভিয়ার তিনটি রাষ্ট্রীয় নাম সহ তিনটি রাষ্ট্রকাঠামো।
কম্বোডিয়া, চেকোস্লোভাকিয়া, ইথিওপিয়া, আফগানিস্তান ও রোমানিয়া এই প্রতিটা দেশের দুইটি করে রাষ্ট্রীয় নামের দুইটি করে কমুনিস্ট রাষ্ট্রকাঠামো। পাঁচটি।
অ্যাঙ্গোলা, বেনিন, বুলগেরিয়া, কঙ্গো, পূর্ব জার্মানি, হাঙ্গেরী, উত্তর কোরিয়া, মঙ্গোলিয়া, মোজাম্বিক, পোল্যান্ড, সোমালিয়া, উত্তর ভিয়েতনাম ও দক্ষিণ ইয়েমেন। তেরোটি।
পতিত রাষ্ট্রের সংখ্যা মোট একুশটি।

এখানে সোভিয়েত রাশিয়া ভেঙে যে রাষ্ট্রগুলো তৈরি হয়েছে সেগুলোকে হিসাবেই আনা হয়নি।

এবার আমরা দেখব সম্পূর্ণ ব্যর্থরাষ্ট্র'র তালিকা।
যেসব রাষ্ট্র কখনোই লম্বা শাসন জারি করতে পারেনি। যেসব রাষ্ট্রতে সমাজতন্ত্রী বিপ্লব ক্ষমতা দখল করেও কিছু করতে পারেনি।

প্যারিস কমিউন, ফিনল্যান্ড, জার্মানি, এস্তোনিয়া, বাভারিয়ান, চিলি, চাইনিজ, অস্ট্রিয়ান, ফিনিশ, গ্রিস, দক্ষিণ কোরিয়া, আজারবাইজান, মাহাবাদ, উত্তর কোরিয়ার প্রভিশনাল সরকার, দক্ষিণ ভিয়েতনামের প্রভিশনাল সরকার, জাম্বিয়ার কাউন্সিল, ইয়েমেন। সতেরটি।
সোভিয়েত: রিপাবলিক অভ নাইসারার, ওডেসা, দন্তেস্ক-ক্রিভয়, আলসেস, স্যাক্সনি, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়ান-বেলারুশিয়ান, হাঙ্গেরিয়ান, মুঘান, লিমেরিক, বেসারাভিয়ান, স্লোভাক, পার্শিয়ান, গ্যালিসিয়ান, হুনান, ঙে-থিন, চাইনিজ। সতেরটি।
দুইপক্ষ মিলে ড্র। উভয় ব্যর্থ।

সোভিয়েত পরবর্তী রাশিয়ায় সূফিপন্থী ইসলাম সবচে বেশি অগ্রসর, সরকার কর্তৃক স্বীকৃত এবং সহায়তাকৃত।
বর্তমান কমুনিস্ট চীনেও সূফিপন্থী ইসলাম সরকার কর্তৃক স্বীকৃত এবং সহায়তাকৃত।

এবার দেখি সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে কয়টা মুসলিম-সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্র'র জন্ম হয়েছে।
উজবেকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান, তাজিকিস্তান, কাজাখস্তান, কিরঘিজস্তান, আজারবাইজান। এই ছয়টা সম্পূর্ণ মুসলিম-গরিষ্ঠ রাষ্ট্র।

আজারবাইজানের ৯১.৬% মুসলিম। সিআইএ বলছে। ২০১২ সালে বার্কলে বলছে, ৯৩.৪%, ২০০৯ সালে পিউ রিসার্চ সেন্টার বলছে ৯৯.২%। বাকীদের মধ্যে নাস্তিকও আছে। এই হল সোভিয়েত রাষ্ট্রের ১৯২২-১৯৯১ সাল পর্যন্ত ধর্মহীন করার সার্বিক প্রয়াসের সাফল্য। এই হল সমস্ত সোভিয়েত টিভি, সংবাদপত্র, প্রকাশনা, লেখকদের নিরাপত্তা, স্কুলে স্কুলে নাস্তিকতা ও ইসলাম বিদ্বেষ প্রচার করার বাস্তব ফলাফল।
স্বপ্নের পরোটা যখন ভাজবেন, ঘি দিয়েই ভাজেন।

তাজিকিস্তানে ৯৮% মুসলিম যার মধ্যে আবার ৯৯% হানাফি সুন্নি সূফিপন্থী মুসলিম। তুর্কমেনিস্তানের ৯৩% এরও বেশি মুসলিম। উজবেকিস্তানের ৯০% মুসলিম এবং ৫% রাশিয়ান অর্থোডক্স, এত সাধের নাস্তিকতার চিহ্ন নেই। কিরঘিজস্তানে ৮৩% এর বেশি, কাজাখস্তানে ৭০% এর বেশি মুসলিম।
সাবেক সোভিয়েত অঞ্চল জর্জিয়া, যে দেশের পতাকা ক্রুসেডের পতাকা, সেখানেও ১০% মুসলিম রয়েছেন। সেখানেও ২০১১ সালে মুসলিমদের সাংবিধানিকভাবে অধিক স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে।

খোদ্ সোভিয়েত অঞ্চলের কী দশা, সেটা দেখা যাক। রাশিয়ার মেইন মাদারল্যান্ডে রয়টার অনুযায়ী ১৪% মুসলিম। সেখানে জারদের আমলে কি ২% ও মুসলিম ছিল? কমুনিস্ট শাসন, ইসলামোফোবিক এলিমেন্ট, সোভিয়েতের এত এত চ্যানেল, পত্রিকা, প্রকাশনা, লেখক, শিক্ষক, শিক্ষা ব্যবস্থা জারের পরে ইসলামের ১,০০০% প্রবৃদ্ধি করেছে।
কল্পনা ভাল। কল্পনা খুবই ভাল।

আমরা দেখতে পাচ্ছি, রাশিয়া সহ মার্ক্সবাদ-লেনিনবাদ থেকে জন্মানো কমুনিস্ট রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে মুসলিম জনসংখ্যা এবং শতাংশ প্রতিটাতেই জারপূর্ব সময়ের চেয়ে কমুনিস্ট-পরবর্তী সময়ে বেড়েছে।

কোন্-টা সত্যিকার "ধর্মনিরপেক্ষ"?
পৃথিবীর সবচে সিনিয়র সমাজতন্ত্রী এবং ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র বাংলাদেশ? না, এটা সহি ধর্মনিরপেক্ষ না। এখন বাংলাদেশে একটা টিভি, একটা প্রকাশনা, একটা পত্রিকা পেলে কী করতেন তারা, যারা সাত বছর যা খুশি তা লিখে গেছেন ব্লগে এবং তাদের কেশ স্পর্শ করেনি বিম্পি-জামাত-সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক-আওয়ামীলীগ এই তিন তিনটা সরকার? এই সাত বছরের নিরাপদ তম্বির প্রাপ্তি কী?
ঠিকাছে। সোভিয়েত? না, তাও না। সোভিয়েত ঠিকমত ধর্মনিরপেক্ষতার নামে নাস্তিকতা ছড়াতে পারেনি, তাই সাবেক সোভিয়েত রাজধানী পৃথিবীর সবচে বড় মুসলিমপ্রধান ইউরোপিয় রাজধানী। ইউরোপের সবচে বড় নামাজের জামাতগুলো খোদ মস্কোকে ব্যর্থতার প্রমাণস্বরূপ জ্বাজল্যমান করে। পাঁচ বছর? সমগ্র শক্তি নিয়ে ১৯২২-১৯৯১ এ যা করা হয়েছে তার ফলাফল এই?
তাহলে চীন? চীনের কোরান বেল্টের মানুষ কীভাবে মুসলিম আছে এবং কী পরিমাণে আছে তা বুক কাঁপায়। জিংজিয়াং, নিংজিয়া, গাঙসু, কুইঙহাই, তিব্বত ও মঙ্গোল অঞ্চলে যারা পারিবারিকভাবে মুসলিম ছিলেন তাঁরা এখনো তা-ই আছেন। সেখানে চীনের সকল টিভি, পত্রিকা, রেডিও, সার্চ ইঞ্জিন, বই, লেখক, প্রকাশনা ব্যর্থ। পাঁচ বছর তো দূরে, সত্তর বছরের কড়ানাড়া পৃথিবীর দ্বিতীয় অথবা প্রথম পরাশক্তি চীন, ওটাও সহি না?

মিসর, ইরাক, লিবিয়া, সুদান, আফগানিস্তান, আলবেনিয়া, কঙ্গো, ইথিওপিয়া, মোজাম্বিক, সোমালিয়া, ইয়েমেন, তানজানিয়া, আলজেরিয়া, সিরিয়া- এই চোদ্দটা মুসলিমপ্রধান দেশে ধর্মহীনতা সর্বশক্তি নিয়ে প্রবেশ করেছিল। এখনো এই চোদ্দটা দেশ মুসলিম জনসংখ্যা প্রধান দেশই আছে। সাবেক সোভিয়েতের সাতটা দেশে ধর্মহীনতার সমগ্র শিক্ষা সমগ্র শক্তি নিয়ে প্রবেশ করেছিল, তখন তো তখনি, এখনো সেগুলো মুসলিম জনসংখ্যা প্রধান দেশই আছে।
পাঁচ বছরে অর্ধেক মুসলিমকে ধর্মহীন করা আর দেশ থেকে চোদ্দশ বছরের সবকিছু ধুয়ে দেয়া?
শুধু শুধু আমরা বলি না, জগতে সবচে বেশি ব্রেনওয়াশড শ্রেণী হল দুটা, চরমপন্থী কমুনিস্ট আর চরমপন্থী জিহাদিস্ট। উভয়ের কোনও বাস্তব বোধ নেই, উভয়ে নিজ ধরনের মানুষকে হাওয়ায় ফুলানো বেলুন দেখায়, সেই বেলুনকে বড় করে পরিচয় করে দেয় ভবিষ্যত পৃথিবী হিসাবে। একটা সুঁইই এর জন্য যথেষ্ট।

সাহিত্য আর বাস্তবতা এক নয়। আবেগ আর বাস্তবতা এক নয়। সাহিত্য আর পরিসংখ্যান এক নয়। ফুঁ দিয়ে ফোলালে তা সুঁইয়ের ডগার কাছে টিকে থাকার সমান নিরাপত্তাও রাখে না, কারণ তা বেলুন হয়- যত বড়ই হোক। ফুঁ দিয়ে ফোলানো ১৪,০০ বছর লুপ্ত করার কথা উহু আহা করার মত কোন কথা না, বরং লজ্জার কথা।
গণিত কথা বলে। এই ধরনের মুখপাত্ররা বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারের কথা বলা বিষয়ক মন্ত্রী হিসাবে মানানসই। বাস্তব কথক হিসাবে কখনো নন।

বাংলাদেশের সমস্ত শিক্ষা ব্যবস্থা, সমস্ত টিভি-রেডিও-পত্রিকা-প্রকাশনা যদি সম্পূর্ণ নিরাপদে ধর্মহীনতার হাতে তুলে দেয়া হয় তাহলে একশো বছর পরও মুসলিম শতাংশ ৫% কমানো যাবে না। আবেগ থেকে বলছি না, অতীতের সারা পৃথিবীর রেকর্ড থেকে বলছি।

মন্তব্য ১৯ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (১৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৪

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: একদম সত্যি এবং বাস্তবতার নিরিখে লেখা । ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।






ভালো থাকবেন নিরন্তর।

২| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৭

নতুন বলেছেন: একজন সম্প্রদায়বিদ্বেষী সম্প্রতি বলেছেন, একটা টিভি চ্যানেল, একটা পত্রিকা, একটা প্রকাশনী, লেখকদের নিরাপত্তা এবং দেশব্যাপী সর্বস্তরে লেখা প্রচার করতে দিলে তারা পাঁচ বছরের মধ্যে বাংলাদেশের অন্তত অর্ধেক মানুষকে ইসলাম-বিদ্বেষী এবং ধর্মমুক্ত করে ফেলবেন। শুধু তাই নয়, চোদ্দশ বছরের সংস্কার তাঁরা সরিয়ে ফেলবেন।
বাগাড়ম্বর সবচে বড় আড়ম্বর।


এটাও একটা মূখ`তা মাত্র....

সমাজতন্ত্র চীন ছাড়া আর কোথাও সুবিধা করতে পারছেনা। একটা সময় সেটাও গনতন্ত্রে চলে যাবে।

নাস্তিক বলে কোন ধম`তো নেই।

যেটা হয় সেটা হলো মানুষ ধমের` থেকে দুরে সরে আসে।

বাংলাদেশের সমস্ত শিক্ষা ব্যবস্থা, সমস্ত টিভি-রেডিও-পত্রিকা-প্রকাশনা যদি সম্পূর্ণ নিরাপদে ধর্মহীনতার হাতে তুলে দেয়া হয় তাহলে একশো বছর পরও মুসলিম শতাংশ ৫% কমানো যাবে না। আবেগ থেকে বলছি না, অতীতের সারা পৃথিবীর রেকর্ড থেকে বলছি।


সেটা অবশ্যই কমবে না। কারন এখন মানুষ জন্মসূত্রে প্রাপ্ত ধম`কেই নামে এবং কাগজে ব্যবহার করছে এবং করবে। কিন্তু ১৪০০ বছর আগে যেইটুকু ধম`বিশ্বাস/নৈতিক বিশ্বাস ছিলো তা কি এখন আমাদের দেশের মানুষ করে??

বিশ্বে অনেক খৃস্টানেরা/হিন্দু/বৌদ্ধরা এখন নামে মাত্র ধম` পালন করে। মানুষ এখন চাচ`/মন্দিরে শুধুই বিশেষ দিনেই যায় কারন ঐ সময় ছুটি থাকে এবং এটা একটা সামাজিক ট্রডিসনের মতনও।

ব্যক্তিজীবনে খৃস্টানেরা/হিন্দু/বৌদ্ধদের খুবই কম সংখ্যায় ধম`চচা` করে।

ঠিক তেমনটাই কিন্তু আমাদের দেশেও চলছে। আমাদের দেশের ৯০% মানুষ মুসলমান... অবশ্যই সেটা নামে/টাইটেলে

কতজন মানুষ ইসলামের শিক্ষায় নৈতিক ভাবে সমাজে চলে?? যদি ৫০% ও ধমী`য় নৈতিকশিক্ষা মেনে চলতো তবে আমাদের দেশে দূনিতি/ভ্যজাল/সন্ত্রাস থাকতো পারতো না।

৩| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৫

এস বাসার বলেছেন: লিসানি ভাই, সম্ভবত এদেশের সচেতন মানুষদের ৯০% চুপ থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, অন্তত নিজে বাঁচলে বাপের নাম, তাই না। এত বড় বড় ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরও আমরা চুপ.......... আছি এবং থাকবো.........

তবুও চুপ থাকতে পারি না.........

আচ্ছা বর্তমানে যে কিলিং এবং এট্যাক হচ্ছে , সেটা কি ধর্মের জন্য নাকি রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য? কি মনে হয় আপনার?

ইসলাম কি এতই ঠুনকো , যে চাপাতি দিয়ে ইসলম কায়েম করতে হবে? আর আমাদের নবী ( সাঃ ) কি আমাদেরকে এই শিক্ষা দিয়েছেন? আমি প্রতি বছর রমজান মাসে অন্তত একবার নবীজীর জীবনী শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ি........ যতবার পড়ি ততবারই অবাক হই উনার অসাধারন নেতৃত্ব, ধৈর্য,সহনশীলতা আর সমাজ সংস্কারক হিসেবে আপোষহীন একজন মহান নেতার কর্মকান্ডের বিশালতা দেখে।

কিন্তু এখন আমরা কি দেখছি? এভাবে কি আমার ইসলামকেই কলুষিত করছি না? ইসলাম বিদ্বেষীদের হাতে নিজেদেরকে সঁপে দিচ্ছিনা?

ভাবতে পারিনা। কে, কারা, কেন এগুলো করছে? কি তাদের উদ্দেশ্য? তারা কি কায়েম করতে চায়???

৪| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:২৬

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: জগতে সবচে বেশি ব্রেনওয়াশড শ্রেণী হল দুটা, চরমপন্থী কমুনিস্ট আর চরমপন্থী জিহাদিস্ট। উভয়ের কোনও বাস্তব বোধ নেই, উভয়ে নিজ ধরনের মানুষকে হাওয়ায় ফুলানো বেলুন দেখায়, সেই বেলুনকে বড় করে পরিচয় করে দেয় ভবিষ্যত পৃথিবী হিসাবে। একটা সুঁইই এর জন্য যথেষ্ট।

৫| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫১

আনু মোল্লাহ বলেছেন: যুক্তি-তর্ক ও তথ্য-উপাত্ত সম্বলিত পোস্টটি ভাল লেগেছে।
আপনাকে শুভেচ্ছা জানাই প্রিয় লিসানি ভাই।

৬| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০০

আমি আবুলের বাপ বলেছেন: বাংলাদেশের সমস্ত শিক্ষা ব্যবস্থা, সমস্ত টিভি-রেডিও-পত্রিকা-প্রকাশনা যদি সম্পূর্ণ নিরাপদে ধর্মহীনতার হাতে তুলে দেয়া হয় তাহলে একশো বছর পরও মুসলিম শতাংশ ৫% কমানো যাবে না। আবেগ থেকে বলছি না, অতীতের সারা পৃথিবীর রেকর্ড থেকে বলছি।

সহমত।

৭| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০১

আমি আবুলের বাপ বলেছেন: বাংলাদেশের সমস্ত শিক্ষা ব্যবস্থা, সমস্ত টিভি-রেডিও-পত্রিকা-প্রকাশনা যদি সম্পূর্ণ নিরাপদে ধর্মহীনতার হাতে তুলে দেয়া হয় তাহলে একশো বছর পরও মুসলিম শতাংশ ৫% কমানো যাবে না। আবেগ থেকে বলছি না, অতীতের সারা পৃথিবীর রেকর্ড থেকে বলছি।

সহমত।

৮| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৪

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
এসব বাগাড়ম্বর, হাওয়াবাজির তামাশা অনেককাল ধরেই চলে আসছে। উত্তরে পরিসংখ্যানিক বাস্তব বোধ প্রতিবিম্বিত করাই শ্রেয়। তবে আসল কথা হলো- সংখ্যার পাশাপাশি গুণগত উত্তরণ হওয়াটা জরুরী। মূল আঁকড়ে ধরে রাখা ও চর্চা করাটাই এই কঠিন সমস্যা থেকে বাঁচার উপায়। যা করতে আমরা শতদল বিভক্ত।

যারা যা খুশি তা লিখে পরিস্থিতি সৃষ্টিতে চরম ভূমিকা রাখলো; সেদিকে দৃষ্টি দিচ্ছি না কেনো ? সরকারব্যবস্থার আইন-শাসন কোথায় ছিলো ! ব্রেনওয়াশকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সামাজিক সচেতনতা কার্যক্রম গ্রাম-পাড়া-মহল্লায় পৌছতে পারছে কী! আবেগ দিয়ে আমরাওতো ধর্মের কসরত করার চেষ্টা করছি। জ্ঞান-বিজ্ঞানে পিছিয়ে পড়ে, সন্ত্রাসবাদী কিছু সংগঠনের সন্ত্রাসী কার্যক্রমে অজান্তেই নিজেদের জড়িয়ে ফেলছি !!

জনাব লিসানি, আমরা আমাদের মূর্খতার কারণেই হেরে যাচ্ছি, লাঞ্ছিত হচ্ছি বারবার।

৯| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৮

ক্যান্সারযোদ্ধা বলেছেন: ধন্যবাদ।

১০| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৩

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ভাল লিখেছেন, এস বাসারের মন্তব্যেও চিন্তার খোরাক আছে।

আমার ব্যাক্তিগত অনুধাবন হল, যে বা যারা এসব হত্যাগুলো করছে, এদের সাথে ইসলামের কোন সম্পর্ক নেই। অন্য কোন গোষ্ঠী ইসলামকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য দীর্ঘ মেয়াদী প্রকল্পের আওতায় এদের মগজ ধোলাই করেছে এবং কিছু নির্ভীক হত্যাকারী তৈরী করেছে। নীল নকসা একটাই, ইসলামকে দুনিয়ার মানুষের কাছে হেয় প্রতিপন্ন করে উপস্থাপন করা। অথচ, ইসলাম হল আল্লাহর মনোনীত একমাত্র জীবন ব্যবস্থা ! শত্রুরা এটা খুব ভাল করেই জানে।

ইউরোপ এবং পাশ্চাত্যের মিডিয়াও এদের প্রকল্পের অংশ। তাই জাগৃতি প্রকাশনীর মালিক হত্যার রিপোর্টে বিবিসি লন্ডনে বসবাসরত নাস্তিক নামধারী কুলাংগার ইসলাম বিদ্বেষী আরিফুর রহমানকে স্টুডিওতে ডেকে নিয়ে আসে সাক্ষাৎকার নেয়ার জন্য! সবই নীল নকসার বাস্তবায়ন! আর কিছুই না।

মুসলিম অমুসলিম নির্বিশেষে আমরা যদি এই ফাদ থেকে বের হতে না পারি, নিজেদের মস্তিষ্ককে যদি একটু কাজে না লাগাতে পারি, তবে অদূর ভবিষ্যতে আমরা চরম বিশৃঙ্খল সামাজিক অবস্থার মধ্যে পড়তে যাচ্ছি !

১১| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫০

প্রবাসী একজন বলেছেন: সত্য চিরস্থায়ী। মিথ্যা ক্ষনস্থায়ী..এটাই বাস্তবতা।

১২| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩০

অশ্রুকারিগর বলেছেন: অত্যন্ত সময়োপযোগী এবং যুক্তিভিত্তিক পোস্ট ।

১৩| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১৬

মুদ্‌দাকির বলেছেন: আমারতো মনে হয় ওদের অধিনে ইমানদাররা নিজেদের বিকাশে আরও মনোযোগী হবে। আসসালামুয়ালাইকুম

১৪| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৫৩

গেম চেঞ্জার বলেছেন: আপনার লেখায় তথ্যশক্তি আছে। তবে এড়িয়ে গেছেন ভেতরের অনেক কিছুই। চরমপন্থী নাস্তিকরাও যেমন ঠিক পথে নেই তেমনি চরমপন্থী ধার্মিকরাও ঠিক পথে নেই। উভয় দলই দেশকে একটি খেলার ছকে আবদ্ধ করে রেখেছে।

মানুষকে তার বিঃশ্বাস থেকে সরানো সহজ কাজ না। বিঃশ্বাসের বলয় থেকে বের করতে হলে চিন্তা ও বিশ্লেষণী ক্ষমতার বিকাশ ছড়িয়ে দিতে হবে সব সাধারণ মানুষদের নিকট। শিক্ষার বিকল্প কিছুই হতে পারে না। অবশ্য আমাদের দায়সারা শিক্ষাব্যবস্থায় যেভাবে প্রশিক্ষিত টেন্ডারবাজ, ঘুষখোর, দুর্নীতিবাজরা বের হচ্ছে তাতে ভাল কিছু আশা করা আকাশ কুসুমের মতই।

১৫| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:০২

ফারনান ফয়সাল বলেছেন: দারুন লিখেছেন লিসানি ভাই । মগাচিফ কি সামুতে নাই ?????

১৬| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৪৬

জনাব মাহাবুব বলেছেন: যারা ইসলাম ফোবিয়া ছড়িয়ে দিচ্ছে তারাও জানে ইসলাম ফোবিয়া ছড়িয়ে ইসলামের কোন ক্ষতি করা যাবে না।

ইসলামের কোন ক্ষতি করা না গেলেও ইসলাম ফোবিয়া ছড়িয়ে তারা নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধি হাসিল করছে, জনগণকে বিভ্রান্ত করে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আহরণ করছে। কিছু সাংবাদিক, পদলেহি ধর্মবিদ্বেষীরা ইসলাম ফোবিয়া ছড়িয়ে দিয়ে হালুয়া রুটিতে ভাগ বসাচ্ছে। কেউ কেউ আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছে।

ইসলাম ফোবিয়া ছড়িয়ে দিয়ে তারা জনগণকে বিভক্ত করে দিচ্ছে, এক পক্ষকে উস্কে দিচ্ছে আরেক পক্ষকে ঘৃনা করতে এমনকি হত্যা করতেও। বিশ্বের অনেক দেশই আছে ইসলাম ফোবিয়াকে ব্যবহার করে তারা রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসীন হয়েছে। আমাদের পাশের দেশ ভারতের বিজেপি সরকারই সবচেয়ে ভালো উদাহরণ। তারা রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসতে পেরেছে ইসলাম বিরোধী কর্মকান্ড করে এবং হিন্দুদের উস্কে দিয়েছে মুসলিমদের হত্যা করতে। তারা জানে, তাদের ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখবে একমাত্র মুসলিম বিরোধীতার কারনেই।

১৭| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কল্পনা ভাল। কল্পনা খুবই ভাল।

কল্পনা করতে তো আর পয়সা লাগে না! ;) উল্টো এইরকম গাঁজাখূরি কল্পনায় হয়তো ভীক্ষার টুটি ফুটি মিলে!! তাই দম দিয়েই কল্পনা করে তারা!!

নেশা কেটে গেলে কি হবে ভেবে হয়রান!!!!! =p~

১৮| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০১

জেকলেট বলেছেন: আজকের বাংলাদেশের শিক্ষ ব্যাবস্থা, টিভি-রডিও, পত্রিকার কয়টা ইসলামপন্থী দের হাতে?? আর প্রকাশনা?? কোরআনের বাংলা অনুবাদ ও যে দেশে জিহাদি বই হিসেবে মিডিয়ায় প্রচারনা পায় সেই দেশে উনারা আর কি চান??? আসলে সমস্যাটা হচ্ছে রাজা যে নেংটা সেইটা রাজাও জানেন আর জনগন ও জানে তাই রাজার আর লাজ-লজ্জা কিছু নাই। উনার কাপড় পরার কোন বালাই নাই। উনারা না মুক্ত মত প্রকাশের দাবিদার তাহলে সবকিছু উনারা কবজায় নিয়ে খালি উনাদের মতপ্রকাশ করতে হবে কেন??? লেজ কিন্তু বের হয়ে গেছে।
উনাদের চোখে যে ঠুলি পরানো তাতে উনাদের যে কাকের দসাই হবে তাতে আর সন্দেহ কি?? উনাদের প্রচেষ্টার ফল যে হিতে বিপরীত হচ্ছে তা দেখার মত চোখের আলো ও অবসিষ্ট নাই। আর না হয় আঘে যেখানে এই ব্লগেই কেউ ধর্ম বিদ্বসি কিছু লেখলে কেউ কেউ গালাগালি দিত, কেউ ব্লক করত, কেউ রিপোর্ট করত ইত্যাদি ইত্যাদি। আজকে ব্যাপারটা উল্টো হয়ে গেছে এখন উনারা গালাগালি করে, ব্লক করে , রিপোর্ট করে। এখন সবাই পড়ালেখা শুরু করেছে এবং সবাই ধর্ম বুঝে পালোন করার চেষ্টা করে। এই সকল ব্লগারদের কাছে দুই পক্ষই সমান এক্সট্রিমিস্ট।

১৯| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০০

ধমনী বলেছেন: দারুণ পর্যবেক্ষণ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.