নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বুলি বলে শুনতে পাই, রূপ কেমন তা দেখি নাই, ভীষম ঘোর দেখি।। পোষা পাখি চিনলাম না, এ লজ্জা তো যাবে না, উপায় কী করি, আমি উপায় কী করি।।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর আবুল কাশেম ফজলুল হক স্যার দীপন হত্যার কোনও বিচার চান না।
এই না চাওয়াতে তাঁর ছেলেটাকে দানব মনে হতে পারে।
তার ছেলেটাকে অমানুষ মনে হতে পারে।
কিন্তু এই বিচার না চাওয়ার পেছনে অনেক বড় একটা হাহাকার আছে। বিশ্বাস উঠে যাওয়া আছে। তিনি সম্ভবত চারপাশে কোন মানুষ দেখছেন না।
আমি জানি না, ফয়সাল আরেফিন দীপন কোন নাস্তিক কিনা। তিনি এত বছরে কোনদিন বলেন নাই, তিনি নাস্তিক নাকি শিংওয়ালা কোনও ভয়ানক দানব।
আমি শুধু জানি, বাংলাদেশের প্রকাশকদের মধ্যে দীপন সম্ভবত সবচে বেশি সদা হাস্যোজ্জ্বল ছিলেন।
দীপন সম্ভবত সবচে ভালভাবে হাসিমুখে কথা বলতেন নবীন-প্রবীণ লেখকদের সাথে।
তিনি যখন কাউকে সময় দিতেন, পুরোটা সময় মনোযোগ দিয়ে দিতেন। একটুও ভাব মারতেন না।
আগাগোড়া ভদ্রলোক। খুবই বিনয়ী। প্রচন্ড আত্মসম্মানবোধ সম্পণ্ন। এই মানুষটা সহজে ধৈর্য্যহারা হতেন না।
তাঁকে দেখে মোটেও ফটকা ব্যবসায়ী মনে হত না, যা অনেক অনেক বড় ব্যবসায়ীকে দেখেও মনে হত।
প্রফেসর আবুল কাশেম ফজলুল হক স্যার, আমি আসলেই জানি না আপনার ছেলে নাস্তিক ছিল কিনা। কিন্তু আপনি একটা ভদ্র ছেলে জন্ম দিয়েছেন। একজন আত্মসম্মানবোধসম্পণ্ন সভ্য, মার্জিত, রুচিশীল, সর্বক্ষণ একই স্ট্যান্ডার্ড এ মানুষের সাথে বিনয় ভালবাসা ও আন্তরিকতা বজায় রাখতে পারার মত ছেলে আপনি জন্ম দিলেন কী করে!
এমন মানুষের মত মানুষ জন্ম দিতে পারাও ভাগ্যের কথা। আপনার ছেলে সম্পর্কে আমরা শুধু এটুকু বলতে পারি, দীপন খুবই পজিটিভ ছিলেন। দীপন খুবই রুচিশীল ছিলেন। দীপন মানুষটা ভাল ছিলেন। ভাল ছিলেন। ভাল ছিলেন।
২| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:০৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কি অদ্ভুত উল্টো যাত্রা! না ইসলামের না মহানবীর না মানবতার! কোন শিক্ষাতেই ভিন্নমতকে কোপানো পড়ে না!
মত কে মত দিয়েই মোকাবেলা কর!
না মানলে তার জাহান্নামে তাকে যেতে দাও- তোমার জান্নাতে তুমি যাও!
আল্লাহতো নবীজিকেও বলেছেন আপনাকে দারোগা করে পাঠাইনি! মানে কি? কাউকে জোর জবরদস্তি বোঝানে দরকার নেই। দাওয়াত দাও মানলে মানবে না মানলে তার ফল সেই ভোগ করবে!
৩| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৪২
শামছুল ইসলাম বলেছেন: বিদ্রোহী ভাইয়ের সাথে সহমত।
৪| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:১৩
কানিজ রিনা বলেছেন: অভমানি একজন পিতা ছেলে হত্যর বিচার না
চাওয়া। হে মানবতা কোথায় রাখি এলজ্জা।
আজ বক্সে করে ফেলে রাখা মৃত শিশুর মায়ের
লজ্জা এপাপের বোঝা কি ভাবে সারা জীবন
বয়ে বেড়াবে। ধিক্কার শুধুই ধিক্কার। সৃষ্টি করতা
আপনাদের হুকুম দিয়েছন এভাবে খুন করার জন্য
কোথায় কোন ধরমে লেখা আছে দেখান।
৫| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:১৬
আবু শাকিল বলেছেন: কি বলব বোঝতে পারছি না।
৬| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৫৮
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: হত্যা করা এখন একমাত্র সমাধানে পরিণত হয়েছে!!!!!! এখন অন্ধকার যুগে বাস করছি । সবার আদর্শ এখন হত্যা । এর চেয়ে দুঃখজনক আর কি হতে পারে ।
গঠন মূলক সমাধান চাই । শান্তি চাই । মানব হত্যা বন্ধ হোক ।
৭| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৫২
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: পারফেক্ট পোস্ট। হত্যা কখনোই সমাধান না কোনকিছুর ক্ষেত্রেই। কোন মত পছন্দ না হলে তাদের এড়িয়ে গেলেই হয়। ঈশ্বর এদের শুভবুদ্ধি দিক।
৮| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২০
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: এই বিচার না চাওয়ার পেছনে অনেক বড় একটা হাহাকার আছে। বিশ্বাস উঠে যাওয়া আছে। আছে জলজ্যান্ত উদাহরনও।। পত্রিকায় পড়লাম তিনি এই হত্যাকে পুরোপুরি রাজনৈতিক খুন বলে অভিহিত করেছেন।। সুতরাং.....।।
৯| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩০
ধমনী বলেছেন: বিচারের বিষয়ে কতটা আশাহীন হলে বাবা হয়ে এ মন্তব্য করতে হয়েছে তার!
১০| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩৫
ফ্রিটক বলেছেন: মানুষ হত্যা মহাপাপ। সে ব্লগার, মিস্তিরি, কৃষক, সাধারন, যে পেশারই হোক, আর সবগুলোর যথাযথ বিচার হওয়া ঊচিত।
©somewhere in net ltd.
১| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৬
সাজিদ কবির বলেছেন: কোপানোই সমাধান আর আমরা বিচার চাইতেই থাকবো কলমে । আর তাহারা বিচার করে দিয়ে যাবে ধামাতে !