নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বুলি বলে শুনতে পাই, রূপ কেমন তা দেখি নাই, ভীষম ঘোর দেখি।। পোষা পাখি চিনলাম না, এ লজ্জা তো যাবে না, উপায় কী করি, আমি উপায় কী করি।।
লেখাটাকে সরাসরি বিভাজন করছি। মূল কথাটা উঠে আসা জরুরি-
ঈদে মিলাদুন্নবী দ. পালন ও বাংলাদেশ:
৫৬ টি মুসলিম দেশের মধ্যে ৫০ মুসলিম দেশেই ঈদে মিলাদুন্নবী দ. উদযাপিত হয় রীতিমত সরকারিভাবে। এদিন ছুটিও থাকে। বাংলাদেশেও ঈদে মিলাদুন্নবী দ. সরকারি ছুটির দিন এবং সরকারিভাবে উদযাপিত ( যে কোন সরকারের সময়েই)।
১ থেকে ১৫ রবিউল আউয়াল এমন কোন দিন নেই, যখন বাংলাদেশে অন্তত ৫০ টি স্বাগত মিছিল (জশনে জুলুস) হয় না, এমন কোন দিন নেই, যেদিন বাংলাদেশে অন্তত ৭০০ ঈদে মিলাদুন্নবী দ. মাহফিল হয় না। ১২ রবিউল আউয়াল বাংলাদেশের ৯০% এরও অধিক জেলা ও থানা শহরে ঈদে মিলাদুন্নবী দ.'র স্বাগত মিছিল বের হবে। এমনকি হাজারো মহল্লা-ইউনিয়নে সহ। বেশিরভাগ জেলা ও থানা শহরেই তিন বা তারো অধিক আলাদা জশনে জুলুস শোভাযাত্রা হয়।
সেদিন ঢাকায় আমি চোখে দেখে জুলুস গুণেছি সর্বমোট বারো'র উপরে। অন্তত ত্রিশটি বিশাল মিছিল হয়। অনেকগুলোই লাখো মানুষের।
বাংলাদেশে বিশ্বের বৃহত্তম জশনে জুলুস বের হয় এমনটা শুনি, চট্টগ্রামে সেই মিছিলে গিয়ে স্তব্ধ হয়ে যাই বছর পাঁচেক আগে। ভাষায় প্রকাশ্য নয়। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চট্টগ্রাম মহানগরীর বৃহত্তর অংশের প্রতিটা অলিগলি সাদা পাঞ্জাবি সাদা পায়জামা ও টুপি পরা মানুষে সয়লাব হয়ে যায়। এই আকৃতি শুনে বিশ্বাস করতে পারিনি এবং দেখেও বিশ্বাস হচ্ছিল না। অবশ্যই মাল্টি মিলিয়ন। চট্টগ্রামের অবস্থা এমন যে, গত পাঁচ বছর ধরে বলা হয়, বিভাগের বাইরে থেকে কেউ যেন না আসেন, বরং নিজ এলাকায় অংশগ্রহণ করেন।
সারা দেশের এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় দয়াময় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মমতায় সিক্ত অতি সাধারণ মানুষ এই সময়ে যাতায়াত করেন। আমিই ব্যক্তিগতভাবে ফোন পাই, সিলেট থেকে আসছি, কুমিল্লা থেকে আসছি, খুলনা থেকে আসছি... ওখান থেকে সেখানে যাচ্ছি।
আন্তর্জাতিক:
এটা কোন 'দেশি কালচার বা উপমহাদেশীয় কালচার' নয়। পৃথিবীর এমন কোন মুসলিম প্রধান দেশ নেই, যেখানে এদিনকার অনুষ্ঠানের ভিডিও আমি নিজে দেখিনি এবং সংরক্ষণ করে রাখিনি। পৃথিবীর এমন কোন মেজর সিটি নেই, যেখানে এদিন মানুষ পথে নেমে না আসে, একত্রিত না হয়। সে কী রঙ, সে কী রূপ, ভালবাসার সে কী বহির্প্রকাশ! সময় সংকুলান হলে এমন কিছু মনোহর ভিডিওর লিংকও লেখার শেষে যুক্ত করছি।
ঈদে মিলাদুন্নবী দ. :
কীভাবে কীভাবে যেন, এই বিশেষ দিনটা বাংলাদেশের মিডিয়ার সচেতন দৃষ্টি আকৃষ্ট করে না। আমাদেরই মধ্যে রয়েছে এ বিষয়ে চরম অস্পষ্টতা। নবীদের জন্মদিবস উপলক্ষ্যে তাঁদের প্রতি সমস্ত জগৎ থেকে সালাম প্রেরণ করার আদেশ কুরআনে সূরা মারইয়ামে সুস্পষ্টভাবে রয়েছে। আদেশ রয়েছে তাঁদের প্রত্যাগমন দিবসেও সালাম প্রেরণ করার এবং তাঁদের পুনরুত্থান দিবসেও সালাম প্রেরণ করার। শুক্রবার ঈদ হিসাবে পালন করা হয়, সহিহ হাদীস অনুসারে এই ঈদও আদম আ.'র সৃজনদিবস (জন্মদিন) হিসাবেই এসেছে। অগুণতি সহিহ হাদীসে প্রমাণিত, রাসূল দ. প্রতি সোমবারে রোজা রেখে বিশেষভাবে তাঁকে প্রেরণের কৃতজ্ঞতা স্বরূপ জন্মদিবস পালন করতেন। এছাড়াও কুরআনে বলা হয়েছে, তোমরা আল্লাহর করুণার কৃতজ্ঞতাস্বরূপ খুশি উদযাপন করো এবং কুরআনের অন্যত্র বলা হয়েছে, এই রাসূল দ. কে সমগ্র সৃষ্টিজগৎসমূহের প্রতি আল্লাহর রহমত হিসাবে উপস্থাপন করা ছাড়া প্রেরণ করা হয়নি।
এই সামান্য কয়েকটি প্রমাণ এত শক্তিশালী যে, এর বিপরীতে সব কথা রীতিমত ঠুঁটো অকেজো হয়ে যায়। কেননা, কুরআন ও হাদীস এর এত স্থানে এতভাবে রাসূল দ.'র শুভাগমন উপলক্ষ্যে ঈদ পালনের নির্দেশ আছে। এর উপর, শুভাগমন দিবস পালন করা যাবে না, এমন একটা বাক্যও নেই। যেখানে পালনের পক্ষে বাক্য রয়েছে এবং পালন না করার কোন নির্দেশ নেই, সেক্ষেত্রে পালন না করা গর্হিত কাজ এবং পালন করতে না বলা বা পালন করা খারাপ মনে করা বা পালন করতে বাঁধাদান করা মুসলিম ফিকাহবিদদের মতানুসারে সরাসরি কুরআন ও হাদীসের অস্বীকার ফলত: কুফর।
এবং নির্দেশস্বরূপ নবীগণ আ.'র আগমন ও প্রত্যাগমন দিবস পালন করতে বলা হয়েছে বিধায় একে অনেকে ওয়াজিব বলেন, অনেকে সুন্নাতে মুআক্কাদাহ্ বলেন এবং অনেকে বলেন ফরজ। আর নবীগণের মধ্যে রাসূল দ.-ই একমাত্র সকল জগতের উপর রহমত বা প্রধান। এই তিনটার যে কোন একটা পালন না করলেই মানুষ ফাসিক (জেনেশুনে কর্তব্য পালন করতে ব্যর্থ হওয়া মানুষ হয়) এবং অস্বীকার করলে তা কুফরে পরিণতও হতে পারে, কারণ কুফর শব্দের অর্থই অস্বীকার।
এই বিষয়টা খুবই স্পষ্টভাবে সমগ্র মুসলিম জাতির জানা আছে বলেই শিয়া সুন্নি নির্বিশেষে তা পালন করা হয়। দু একটা নব্য মতবাদ ছাড়া পৃথিবীর সকল মতের সকল উপমতের সকল মুসলিম এ দিবস ও এ ১২ দিন পালন করার বিষয়ে একমত- পালনের পদ্ধতি বিষয়ে দ্বিমত থাকতেই পারে এবং আছে। কিন্তু সম্মাননা ও শ্রেষ্ঠত্বের বিষয়ে কোন দ্বিমত নেই। কোন মাজহাবের মধ্যেই এ দিবস পালন করা নিয়ে কোন দ্বিমত নেই।
৯ থেকে ১৬ রবিউল আউয়াল:
* ৯ রবিউল আউয়াল: জান্নাতের সকল নারীর অধিকারী রাসূল দ.'র মহাসম্মানিতা কন্যার জন্মদিবস। এ দিবসটাকে কিছু ইতিহাসবেত্তা স্বয়ং রাসূল দ.'র শুভাগমন দিবস হিসাবেও আলোকপাত করেছেন।
* ১২ রবিউল আউয়াল: মহান দয়াময় আলোকবর্তিকা মাওলা হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শুভ আগমন দিবস। এদিনই তাঁর প্রত্যাগমন দিবসও। তাঁর প্রত্যাগমন দিবস পালন করাও কুরআনিক নির্দেশ।
* ১৪/১৫ রবিউল আউয়াল: রাসূলুল্লাহ দ.'র সমাধি-দিবস।
* ১৫/১৬ রবিউল আউয়াল: খিলাফাত দিবস। এদিন হজরত আবু বকর রা. কে মুসলিম জাতির খলিফা নির্বাচিত করা হয় এবং রাসূল দ.'র পর মুসলিম জাতির নেতৃত্বানুসারী পথচলা শুরু হয়। এদিনকে শিয়ারাও ইরানে জাতীয়ভাবে এবং সারা পৃথিবীতে স্থানীয়ভাবে পালন করেন মুসলিম জাতির ঐক্য দিবস হিসাবে।
৯ থেকে ১৬ রবিউল আউয়ালের এ দিবসগুলো সারা পৃথিবীর শিয়া-সুন্নি মতবাদ নির্বিশেষে হাজারো বছর ধরে শ্রদ্ধার সাথে পালন করা হচ্ছে।
দিনের হিসাব, জামাতের হরতাল ও বিএনপির সম্ভাব্য অবিবেচনাপ্রসূত সিদ্ধান্ত:
মওদুদী-গোলাম আজমের জামাত একাত্তরের একজন প্রমাণিত দোষী সাব্যস্ত আল-বদরী খুনী ধর্ষকের ফাঁসির আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে হরতাল ডেকেছে আজকে আট ও কালকে নয় রবিউল আউয়াল। হিসাব ঠিক পথে গেলে ২ জানুয়ারি (১০ রবিউল আউয়াল) থেকে বিএনপি নিজ ব্যানারেও মাঠে নামবে। ১১ রবিউল আউয়াল (ঈদে মিলাদুন্নবী দ.'র মূল দিবসের আগের দিন) ও ১৩ রবিউল আউয়াল (পরদিন, ৫ জানুয়ারি) তারা হরতাল অবরোধের মত প্রেক্ষাপট রচনা করতে পারেন। এর জের মুসলিম জাতির খিলাফাত দিবস (১৫-১৬ রবিউল আউয়াল) পর্যন্ত অবশ্যই চলবে বলে আমরা ধারণা করতে পারি।
৯ রবিউল আউয়াল জান্নাতের সকল রমণীর প্রধান মাতা ফাতিমা বিনতে রাসূল দ.'র শুভাগমন দিবস। এটা জামাত জানে। জেনেও তারা এইদিন হরতাল ডেকেছে। তাছাড়া, ১২ রবিউল আউয়ালের পরই রাসূল দ.'র শুভাগমন দিবস হিসাবে যে দিনটার কথা অধিক বলা হয়, তা হল এই ৯ রবিউল আউয়াল।
মুসলিম ঐতিহাসিকরা প্রায় সকলেই একমত যে, রাসূল দ.'র শুভাগমন দিবস ১২ রবিউল আউয়াল, এরপর কিছু মত রয়েছে ৯ রবিউল আউয়াল বিষয়ে। তাই মুসলিমরা এ দিবসটাকেও বিশেষভাবে পালন করেন।
তাহলে আঘাতটা কোন্ জায়গায় লাগছে? :
কিছু মানুষের কিছুতেই কিছু এসে যাবে না। কারণ, এটা কুরবানীর ঈদও নয়, রোজার ঈদও নয়, এতে বোনাসও পাওয়া যায় না, আর ছুটিও মাত্র একদিন। আবার অনেকের কিছুই এসে যাবে না, কারণ তারা আসলে বিষয়টা সম্পর্কে সচেতন নন। দুই ঈদ যেমন ধর্মকে ছাপিয়ে উৎসবে পরিণত হয়েছে, এটা তেমন ঈদ নয়। এতে ধর্মকে ছাপিয়ে উৎসব নেই, বরং পুরোটাই ধর্মের বিষয়। আচার-আচরণ ও কর্মপদ্ধতিতেও।
কিন্তু কয়েক কোটি মানুষ খুব আঘাত পাবেন। তাঁরা এদিন হয়ত তেমন কিছুই করেন না, কিন্তু ভক্তি ভরে শ্রদ্ধাভরে অন্তত স্মরণ করেন। এই দিনগুলোর আশপাশে এমন ধরনের বাঁধাগ্রস্ত পরিস্থিতি তৈরি করাতে খুবই আঘাত পাবেন।
আরো কয়েক কোটি মানুষ শুধু বাংলাদেশেই আছে, যারা এদিনের জন্য অপেক্ষা করে সারা বছর, যারা এদিনের জন্য পোশাক তৈরি রাখে, সুগন্ধী তৈরি রাখে, তৈরি রাখে মনও। যারা এদিনের হিসাব করে ট্রেনের বার্থ বুক করে, বাসের সিট বুক করে, মসজিদের কোণায় একটা জায়গা বুক করে রাখে। দরিদ্র হলেও এদিনের জন্য টাকা জমিয়ে রাখে। আছে, এমন মানুষ আছে। রবিউল আউয়ালের শুরু থেকেই এমন লক্ষ মানুষ চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে ঢাকায় আসে, ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে যায় লক্ষ লক্ষ মানুষ। এবং দেশের অন্য সব জায়গাতেও একই কথা প্রযোজ্য। এদিনের জন্য এ মাসের প্রথম পনেরটা দিন মানুষ এক জেলা থেকে আরেক জেলায় চলে যায় শুধু ধর্মসভা বা ওয়াজ মাহফিলে অংশ নিয়ে শোনার জন্য। কোন রাজনৈতিক বিষয় নয়, কোন দলাদলি নয়, কোন সংঘাত সংঘর্ষ নয়। নিজেরা কষ্টেসৃষ্টে চাঁদা তুলে বাসের পর বাস ভাড়া করে রাখে। তার নবীর দিন, হায়, তার নবী কামলিওয়ালার দিন! এদিনে কাঁদবে বলে, এদিনে হাসবে বলে, এদিনে আবেগী হবে বলে... যারা সারা বছর এদিনের স্মরণে সঙ্গীত শোনে, যারা বলে, তোমার আগমনের খুশি প্রতিদিনই পালন করবো, হে আল্লাহর রাসূল দ.! কেননা তোমার দেয়া ধর্মও আমরা প্রতিদিনই পালন করি!
কম্পিউটার সায়েন্সে পড়া, ম্যাথমেটিক্সে পড়া ছাত্র পরীক্ষা মিস দিয়ে চলে যায় দেশের একপ্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে। পুলিশ-আর্মি-নেভিতে থাকা জওয়ান বা অফিসার কোনক্রমে ছুটি ম্যানেজ করেন, কারণ একদিনে হয় না। পরিজন গ্রামে পাঠিয়ে দেন কেউ কেউ, ফ্রিলি মুভ করার জন্য। অন্তত এক ডজন ভার্সিটি শিক্ষককে চিনি, যাঁরা লম্বা ছুটি যে কোনভাবে ম্যানেজ করেন। কাল রাতেও ইংরেজি সাহিত্যের এমনি এক শিক্ষকের সাথে দেখা, এক মিলাদুন্নবী দ. মাহফিলে।
আমি এমন একাধিক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী দোকানদারকে চিনি, যাঁরা এই ৬-৭ রবিউল আউয়াল থেকে শুরু করে একেবারে ১৫-১৬ রবিউল আউয়াল পর্যন্ত নিজের ছোট্ট 'ফ্লেক্সিলোড' এর দোকান বন্ধ রাখেন, কারণ তিনি তাঁর নবী দ.'র প্রেমে মাতোয়ারা হয়ে সবকিছুতে অংশ নিতে থাকেন। এমন সবজি ব্যবসায়ীকে চিনি, যিঁনি প্রতি রাতে ঢাকার পাশের জেলা থেকে শেষ ট্রেনে ঢাকায় আসেন, সারারাত জেগে কারওয়ান বাজার বা শ্যামবাজার থেকে সবজি কেনেন, ভোরে নিজের শহরে ফেরত গিয়ে সেই সবজি ফুটপাতে চট বিছিয়ে বিক্রি করেন। এমন বুড়ো রিকশাওয়ালাকে চিনি, যিঁনি বেশিক্ষণ চালাতে পারেন না বলে, পার্ট টাইম রিকশা চালান এবং পার্ট টাইম দুই তিন ডজন কলা নিয়ে চট বিছিয়ে বসে পড়েন। এই যে তিন ধরনের মানুষের কথা বললাম, এঁরা তিন কোণায় বসবাস করেন ঢাকার। পরস্পরের সাথে পরিচয় নেই, আমার সাথে তিনজনেরই পরিচয়। অথচ এই সবজি ব্যবসায়ীও তাঁর সবচে দামি পাঞ্জাবিটা পাট করে রাখেন এদিনের জন্য। সুগন্ধি কেনেন এদিনের জন্য। দামি টুপি কেনেন এদিনের জন্য। এমনকি খাসির বিরিয়ানি করার চেষ্টা করেন কয়েকজন মিলে, নাহলে মুরগিরই সই। পরিবার খেলো, আরো কিছু দরিদ্র মানুষ খেলো। এই দরিদ্র রিশাচালক বৃদ্ধের কোন দামি পোশাক নেই, তবু তিনি এদিন কোথায় না কোথায় চলে যান। এঁরা প্রত্যেকেই এই সময় ৭ থেকে দশদিন সবকিছু বন্ধ রাখেন। নিজের এলাকার এবং এমনকি আশপাশের জেলার সব মাহফিল-প্রোগ্রামে যোগ দেন। গুনগুনিয়ে গান,
মোর নবীরে লুকিয়ে দেখে,
তার পেশানীর জ্যোতি মেখে,
ওরে ও চাঁদ, রাঙলি কী তুই-
গভীর অনুরাগে!
মুহাম্মাদের দ. নাম জপেছিলি...
আওয়ামীলীগ, বিএনপি ও জামাতের 'শ্রদ্ধেয়' নেতৃবৃন্দের প্রতি:
বিএনপি-জামায়াত আপনারা ভাল আছেন? এই ভদ্র ও সুগঠিত প্রবন্ধে আপনাদের সুগভীর প্রজ্ঞা ও দেশজ্ঞানের প্রতি এবং ধর্ম-সচেতনতার প্রতি এরচে বেশি একটা বাক্যও বলার ক্ষেত্রে শালীনতা রক্ষা করা সম্ভব হবে না। ঘটনার দায় ঘটকের উপরই পড়ে সব সময়।
আর সরকার ও সরকারদলীয়দের ক্ষেত্রে একটাই কথা, আমরা যেন আমাদের ধর্ম পালন করতে পারি, যেন নিরাপদে এই সময়টায় রাতে ও দিনে সারা দেশে যাতায়াত করতে পারি, যেন আমাদের আক্রমণকারীদের শিকারও না হতে হয়, যেন নিরাপত্তারক্ষীদের নিরাপত্তার বাহারে হাজতেও ঢুকতে না হয়। হেনস্তা হতে না হয়।
প্রিয় বন্ধু ও সহব্লগার,
আমি অসহায় অক্ষম একজন মানুষ। লার্জ স্কেলে বার্তা পৌছানোর সামর্থ্য আমার নেই। তবে বলতে পারব, দেশের কোটি কোটি মানুষের কথা পৌছে দেয়ার চেষ্টা নিজ সামর্থ্যের মধ্যে করেছি। সম্ভব হলে লেখাটাকে আজকের মধ্যেই যতদূর পারা যায় ছড়িয়ে দিন। কপি করে নতুন স্ট্যাটাস দেয়া যায়। বিষয়টা সম্পর্কে আলোচনা করা যায় নিজের মত করে সর্বত্র। পারিবারিক বড় সমস্যার ভিতর দিয়ে যাচ্ছি মাসখানেক যাবত, এখন ধর্মীয় বিষয়েও ছুটতে হয়- ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও কমেন্ট ও ইনবক্সের বিস্তৃত জবাব দিতে পারছি না যা আমার স্বভাব বিরুদ্ধ। ব্যাক করেই আবার আগের মত পুরনো ও নতুন আলাপগুলো হবে আশা রাখি। নিচের এই লিংকগুলো আমাদের পিপাসা মিটাতে পারে।
কে কোন্ ধর্মের বা কোন্ মতবাদের সেটা কিন্তু বড় বিষয় নয়, বড় বিষয় হল, কিছু মানুষ, যাদের সংখ্যা কোটি কোটি, নিজের ধর্মটাকেও পালন করার সুযোগ পাচ্ছে না আজকে আমরা এতই গণ-অসচেতন হয়ে পড়েছি!
মন উথাল পাথাল করা শত বিচিত্র মিলাদুন্নবী দ. উদযাপন, যে কোন মনও যাবে গলে:
* মদীনায় মিলাদ। মদিনা ইউনিভার্সিটির একজন ডক্টরেট করা ফুল প্রফেসর ডিনকে চিনি, যিঁনি মদিনারই স্থানীয় ১,৪০০ বছর ধরে বংশীয়ভাবে। রাসূল দ.'র বংশধর তিনি। তিনি সপ্তাহে দুইদিন মিলাদ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। মদীনায় মিলাদের ভিডিও: https://www.youtube.com/watch?v=-V7oF0j2K7w
* বিশ্বের আটাশটি দেশের মিলাদ অনুষ্ঠান ও জুলুসের প্লেলিস্ট: Click This Link
* সৌদি আরবে: https://www.youtube.com/watch?v=Cs18K-xsk4c
* আরব আমিরাত: https://www.youtube.com/watch?v=uyymlwWb3oQ
* দুবাই: https://www.youtube.com/watch?v=Y8mQDQqhLlg
* আবুধাবি ন্যাশনাল থিয়েটারে: https://www.youtube.com/watch?v=B-_IRTy1sPc
২. https://www.youtube.com/watch?v=h3vUaApr9bs
* মালয়েশিয়া, হায়, কী মমত্ব, কী মমত্ব! মিলাদ পাঠের লিজেন্ড 'ওপিক' আছেন এই ভিডিওতে বয়েসি আলোকিত শাইখের পাশে: https://www.youtube.com/watch?v=zwGp57o8JMs
* ইন্দোনেশিয়ায়: https://www.youtube.com/watch?v=F_2SyY646i8
* আমস্টার্ডামে ঘানার নবী-মমত্ববিদ্ধরা: https://www.youtube.com/watch?v=lJ7WKQqe9og
* সাইপ্রাসের স্থানীয়দের মিলাদ: https://www.youtube.com/watch?v=F_2SyY646i8
* চেচেনরা বড় মুহিব্বুর রাসূল দ.! চেচেনদের মিলাদের অনন্য নিদর্শন: https://www.youtube.com/watch?v=eha3it5G2O8
* তুরস্কে মিলাদুন্নবী দ.'র অতুল সমুদ্র:
১. https://www.youtube.com/watch?v=4Xer_UUVU4U
২. https://www.youtube.com/watch?v=JUNPqiNRHnU
৩. https://www.youtube.com/watch?v=76XJ1pVJTp8
* তিউনিশিয়ায়:
১. https://www.youtube.com/watch?v=z9YCDcQ4ooQ
২. https://www.youtube.com/watch?v=CrS5yAZBJeM
* লিবিয়ার মিলাদ অনুষ্ঠানের, জশনে জুলুসের কোন তুলনা পৃথিবীতে নেই, অনেক প্রিয় ভিডিও পেলাম না, কিন্তু এও চলবে:
১. লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ মুহাম্মাদ রাসূলুল্লাহ: https://www.youtube.com/watch?v=hA4-OgYVTq0
* কেনিয়ায় শতবর্ষ উদযাপন: https://www.youtube.com/watch?v=CX9tW2CjmAI
* মিসরে মিলাদ স্থানীয়দের: https://www.youtube.com/watch?v=dDrHjBm8Pk4
* বুলগেরিয়ায় স্থানীয়দের: https://www.youtube.com/watch?v=F7ozjqjsXY8
* সুদানে স্থানীয়দের মিলাদুন্নবী দ.: https://www.youtube.com/watch?v=ic_YOfh5ydw
সুদানিদের ভালবাসার নিদর্শন: https://www.youtube.com/watch?v=PLl4UOrgJMw
৩. https://www.youtube.com/watch?v=ic_YOfh5ydw
* সুইৎজারল্যান্ডে, ২ ঘন্টার ভিডিও: https://www.youtube.com/watch?v=ilLOQ85mr6M
* মিলাদ কি বিদআত? পীর সাকিব শামী'র পৌনে দুই ঘন্টার ইংরেজি বিশ্লেষণ: https://www.youtube.com/watch?v=lmvknEou4qM
* আইটিএস গ্রান্ড মৌলিদ বিশেষ বক্তব্য:
শাইখ আবদুল হাকীম মুরাদ- https://www.youtube.com/watch?v=sWGFaLtxd-s
শাইখ মুহাম্মাদ বিন ইয়াহইয়া আল নিনোয়ি- https://www.youtube.com/watch?v=FVgDRwyusNo
বাংলাদেশে মিলাদুন্নবী দ. জশনে জুলুসের অসাধারণ কিছু ভিডিও:
১. নদীর বুকে: https://www.youtube.com/watch?v=Dr3Vd4_eyDk
২. ঢাকায়: https://www.youtube.com/watch?v=vDlbLGKnn3Q
চট্টগ্রামে বিশ্বের বৃহত্তম জুলুস... আফসোস একটাই, কিউটিভিতে লাইভ দেখেছিলাম মিলাদুন্নবী দ.'র শুভেচ্ছা মিছিলটি, কিউটিভি কর্তৃপক্ষ হেলিকপ্টার ভাড়া করে এরিয়াল ভিউ নিয়েছিল, সে দৃশ্য শুধু সে-ই উপলব্ধি করতে পারবে, যে সেখানে গিয়েছিল। প্রতিটা অলিগলি ও মূল রাস্তা মানুষ আর মানুষ... অনেক খুজেও ইউটিউবে পেলাম না।
১. হৃদয়ের জানালাটা খুলে দাও না, ইয়া নাবী সালামু আলাইকা... https://www.youtube.com/watch?v=B1lAbC-UGZI
২. https://www.youtube.com/watch?v=kGxfVvzT678
যে কোন আলোচনায় সব সময় সবাইকে স্বাগত। ঈদে মিলাদুন্নবী দ. সাঈদ!
©somewhere in net ltd.
১| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:১৭
নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: বাহ! রাজারবঘীদের সাথে এই ইস্যুতে আপনার বেশ মিলে গেছে। তারপরেও কেন যে তাদের সাথে ক্যাচাল করতে যান! আমরা একই নবীর উম্মত - এই স্লোগানে আসুন সকল মুসলমান এক পতাকাতলে শামিল হই। কাফির-বেঈমানেরা তাহলে আমাদের একটা চুল ছেড়ারও সাহস পাবেনা।