নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বুলি বলে শুনতে পাই, রূপ কেমন তা দেখি নাই, ভীষম ঘোর দেখি।। পোষা পাখি চিনলাম না, এ লজ্জা তো যাবে না, উপায় কী করি, আমি উপায় কী করি।।
নিশ্চই সালাফিদের এইসব টিভি প্রোগ্রাম বাংলা হিন্দি উর্দু এবং বিশেষ করে ইংরেজিতে দেখে আমরা অভ্যস্ত, আবু হানিফাকে আমি দেয়ালে ছুড়ে মারলাম। মালিক, শাফিয়িকে দেয়ালে ছুঁড়ে মারলাম... এই দেয়ালে ছুড়ে মারার দেয়ালের ওপাশের ইতিহাস নিয়ে অতি সংক্ষিপ্ত পর্যালোচনা-
ইমাম আবু হানিফা রা. (৮০-১৫০ হি.)-
সবচে বড় জনবিস্তৃত মাজহাবের ইমাম, বর্তমান পৃথিবীতেও জীবিত ৩১% মুসলিমের সরাসরি ইমাম, স্বয়ং তাবিয়ি, ২৭ সাহাবার ছাত্র এবং ৩,৫০০ তাবিয়ির ছাত্র। হাদীস শাস্ত্রের সবচে বড় ইমাম (দ্র. ড. তাহির উল ক্বাদরীর প্রায় ৭০০ পৃষ্ঠার বই বাংলায় অনূদিত সাঞ্জারী পাবলিকেশন্স)। রাসূলে খোদা দ.'র প্রতি যে আক্বিদা রাখতেন, তার প্রমাণ ক্বাসিদায়ে নু'মান এ লিখেছেন, 'হে আল্লাহর রাসূল দ.! আপনি ছাড়া এই সৃষ্টিজগতে আমার আর কেউ নেই।' ইনি আহলে বাইতে রাসূলিল্লাহ দ.'র (নবী দ. পরিবার) এমন অনুরক্ত ছিলেন, যে পরপর তিন পুরুষের আনুগত্য করে শিক্ষা লাভ করেছেন একই পরিবারের এবং ইমাম জাফর আস সাদিক রা.'র দুই বছর আনুগত্য ও ছাত্রত্ব করার পর বলেছেন, 'রাসূল দ.'র সন্তান মহান জাফরের মত কোন জ্ঞানী আমি ভূপৃষ্ঠে দেখিনি। জাতির সর্বাধিক জ্ঞানী তিনিই। আমি নু'মান ধ্বংস হয়ে যেতাম, যদি না আপন শাইখ ও ইমাম জাফরের বাসায় দুই বছর ছাত্রত্ব করতাম।'
নবী পরিবার দ. গণকে খলিফা নামধারী রাজা প্রবঞ্চনা করছিলেন, ইমাম আবু হানিফা রা.'র তখন শেষ বয়স। তিনি খলিফার সাথে রাষ্ট্রীয় সকল সম্পর্ক ছিন্ন করেন এবং বারংবার একাধিক খলিফার রাজকীয় দায়িত্ব পালনে অস্বীকৃতি জানান। আহলে বাইত রা. গণের আনুগত্যের কারণে তাঁকে কারাবন্দী করা হয়, সেখানে অন্তরীণ অবস্থায় বিষয় প্রয়োগ করা হয় এবং শহীদ করা হয়।
ইমাম মালিক ইবনে আনাস রা. (৮০-১৮৯ হি.)-
২৫% মুসলিমের সরাসরি ইমাম, মালিকি মাজহাবের দিকনির্দেশক, হাদীসের ইমাম, মদিনায় জন্মগ্রহণকারী এই মহামানবকে শাসকগোষ্ঠী বশে আনতে না পেরে পথে হিঁচড়ে নিয়ে যায় এবং সবার সামনে চাবুক মারে। তাঁর সম্পত্তি ক্রোক করা হয়। তাঁরও দোষ ওই একটা, তিনিও আহলে বাইতে রাসূলিল্লাহ দ.'র প্রতি সর্বতো সমর্পিত ছিলেন।
তিনিও ছিলেন মহানবী দ.'র মহান সন্তান জাফর রা.'র ছাত্র ও অনুগত। তৎকালে রাসূল দ.'র বংশধরদের ইবনে রাসূল বা রাসূল দ.'র সন্তান নামে সম্বোধন করা হতো যেহেতু রাসূল দ. হাসান ও হুসাইন রা.কে নিজ দৌহিত্র না বলে বারংবার পুত্র সম্বোধন করেছেন।
অথচ আব্বাসীয় খলিফারা ইমাম মালিককে হাদীস শাস্ত্রে এত সুউচ্চে জ্ঞান করতেন যে, ভূপৃষ্ঠে ইমাম মালিকের হাদীসের গ্রন্থের মত বিশুদ্ধ কুরআন ছাড়া আর দ্বিতীয় গ্রন্থ নেই- একথা পুরো মুসলিম জাতিতে প্রবাদপ্রতীম ছিল।
ইমাম মুহাম্মাদ ইবনে ইদ্রিস আশ শাফিয়ি রা. (১৫০-১৯৮)-
হিজাজ (মক্কা মদিনার মূল ভূমি) তে জন্মে তাঁর মাজহাবের বিকাশস্থল হয় মিসরে। ১৬% মুসলিমের ইমাম বিষয়ে কোন কথা বলব না। শুধু তাঁর লেখা থেকে এইটুকু-
ﻳﺎ اهل ﺑﻴﺖ ﺭﺳﻮﻝ ﻟﻠﻪ ﷺ ﺣﺒﻜﻢ
ﻓﺮﺽ ﻣﻦ ﻟﻠﻪ ﻓﻲ ﺍﻟﻘﺮﺍﻥ ﺍﻧﺰﻟﻪ
ﻳﻜﻔﻲ ﻛﻢ ﻣﻦ ﻋﻆﻴﻢ ﺍﻟﻔﺨﺮ ﻋﻨﻜﻢ
ﻣﻦ ﻟﻢ ﻳﺼﻞ ﻋﻠﻴﻜﻢ ﻟﺎ ﺻﻠﺎ ت له
হে নবী ﷺ এর বংশধররা,আপনাদের ভালোবাসা
আল্লাহ কুরআনে আয়াত নাযিল করে ফরয করেছেন।
আপনাদের মর্যাদা বোঝার জন্যে এতটুকুই যথেষ্ট যে
কারো নামায হবে না যদি আপনাদের উপর দরুদ না পড়ে।
তাঁকেও আহলে বাইতে রাসূলিল্লাহ ﷺ র পথে শহীদ করা হয়।
ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল রা. (১৬৪-২৪১ হি.)-
সালাফি/আহলে হাদীস এরা এটা ভয়ংকর বাজে কথা বলে বেড়ায়, যেটুকু তারা অনুসরণ করার, মহান হাম্বলী মাজহাব অনুসরণ করে। এরচে বাজে উক্তি আর হতে পারে না। হাদীসশাস্ত্র ও ফিকাহর মহান ইমাম, হাম্বলি মাজহাবের ইমাম এজিদ সম্পর্কে কী বলছেন শুধু সেটুকুই সংক্ষেপে দেখি-
ইমাম আহমদ রা.'র সূত্রে উল্লেখ করেছেন আল-বরযানজি র. নিজ ‘আল-আশআত’ পুস্তকে এবং আল-হায়তামী তাঁর ‘আস্ সাওয়াইক্ক’ গ্রন্থে এই মর্মে যে, ইমাম আহমদ রা.-এর পুত্র আবদুল্লাহ তাঁকে অভিশপ্ত পিশাচ এজিদের প্রতি লা’নত (অভিশাপ) দেয়ার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করেন। ইমাম সাহেব বলেন, ‘তার প্রতি লা’নত দেয়া যাবে না কেন, যেখানে স্বয়ং আল্লাহতা’লা-ই কুরআন মজীদে তাকে লা’নত দিয়েছেন?’
আবদুল্লাহ আবার প্রশ্ন করেন, ‘কিতাবুল্লাহর ওই আয়াতটি তেলাওয়াত করুন যাতে আমি জানতে পারি কীভাবে এই পিশাচের প্রতি লা’নত দেয়া হলো?’
‘তবে কি তোমোদের এ লক্ষণ দৃষ্টিগোচর হচ্ছে যে তোমরা শাসনক্ষমতা লাভ করলে পৃথিবীতে বিপর্যয় ডেকে আনবে এবং আপন আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন করবে? এরা হচ্ছে ওই সব লোক যাদের প্রতি আল্লাহতা’লা অভিসম্পাত (লা’নত) দিয়েছেন...’ (আল-কুরআন, ৪৭:২২-২৩)।
এরপর তিনি বলেন, ‘এয়াযীদ যা করেছে তার থেকে বড় বিপর্যয় আর কী হতে পারে’?” [আল্লামা আলূসী কৃত ’তাফসীরে রূহুল মা’আনী’ গ্রন্থের ৯ম খণ্ড, আল-কুরআন ৪৭:২২-২৩-এর ব্যাখ্যায়]
এই পর্বে শুধু চার মাজহাবের ইমামের কথাই থাক।
এবার দেখা যাক শুধু দুইটা ফ্যাক্ট, সালাফি/ওয়াহাবি/আহলে হাদিস নামে পরিচিত মতবাদের উৎস গোত্র বনু তামিম কারবালায় কী করেছিল,
১. তারা রাসূল দ.'র পরিবারের ১৫ জন সদস্যের কর্তিত মস্তক বর্শায় বিদ্ধ করে নিয়ে গিয়েছিল এজিদের প্রতি।
২. যুদ্ধের প্রথম দিকে বনু তামিম গোত্রের আবদুল্লাহ ইবনু হাউজা নামের এক পিশাচ ঘোড়ায় চড়ে ইমাম হুসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু কে খুঁজতে এসে
- ও হুসাইন! ও হুসাইন বলে চিৎকার করছিল। বলছিল, দোযখের সুসংবাদ নাও।
ইমাম হুসাইন (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) বললেন: আমি তো দয়ালু প্রতিপালক ও বাধ্য শাফায়াতকারীর কাছে যাচ্ছি।
পরে ইমাম বলেন,লোকটি কে?
সঙ্গীরা বললেন: ইবনু হাউজা।
ইমাম অভিশাপ দিয়ে বললেন: হে আমার প্রতিপালক তাকে দোযখে স্থানান্তরিত করুন।
বর্ণনাকারী বলেন- অভিশপ্ত পিশাচটার ঘোড়া সাথে সাথে তাকে নিয়ে খালের মধ্যে পড়ে গেলে সে ছিটকে পড়ে। বাম পা রেকাবিতে আটকে রয়। ঘোড়া দৌড়াতে থাকে। অভিশপ্তর মাথা পাথরের মধ্যে বার বার
ধাক্কা খেতে খেতে যুদ্ধের শুরুতেই
পিশাচ তার নিজ ঠিকানা জাহান্নামে চলে যায়।
(তাবারি, পঞ্চম খণ্ড, ২৫৫ পৃষ্টা)
আর সালাফি আহলে হাদিস নামে পরিচিত মতধারার মূল গোত্র বনু তামিমের পূর্বপুরুষ যতই চেষ্টা করত, সমস্ত জান্নাতের একচ্ছত্র সম্রাট ও নেতৃস্থানীয় ইমাম হাসান হুসাইন ও তাদের মাতাকে জাহান্নামে পাঠাতে পারতো না। মস্তিষ্কে চীনা বাদাম প্রতিস্থাপিত হয় দেখেই কারো পক্ষে বলা সম্ভব যে জান্নাতের একাধিপতি জাহান্নামে যাবেন।
সন্ত্রাসবাদের মূল তো এখানেই। সত্য মনে করে সালাফিজমকে আঁকড়ে ধরার আগে আমাদের ঠিক করা উচিত ঠিকানা কোথায় হবে এবং কোথায় যাব। আন্দাজে উত্তর দেয়ার আগে, হুসাইন কে এবং তার পরিবার কারা এটা জানার চেষ্টা করা, ভুল না করে জেনে ঠিক করাই উচিত। এবং এই টার্ম- সালাফি/আহলে হাদীস/ওয়াহাবী/আইএস/আল ক্বায়েদা'র সাথে সাথে খারেজি, বনু উমাইয়ার এজিদ ও পরবর্তী প্রজন্ম কী সেটা সার্চ করাটা জরুরি।।কেননা., একটা মতবাদ আমাকে মানুষ হত্যায় উদ্বুদ্ধ করবে, আর আমি সেটার গোড়া জানব না, তাতো হয় না।
সবশেষে জাকির নায়িক বিষয়ক দুটা কথা-
১. জাকির নায়িক কেন সকল মাজহাবের ইমামদের বই অত্যন্ত অসম্মানের সাথে দেয়ালে ছুড়ে ফেলতে চায়?
২. সে কেন এজিদের নামের সাথে রাদ্বিআল্লাহু আনহু বলে?
নিজের মনের ভিতরে দেয়া সঠিক উত্তরের পুরস্কার হিসাবে ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী আমরা পাবো অক্ষয় ঈমান এবং ভুল উত্তরের জন্য আমৃততু উত্তর সঠিক করার সুযোগ। কেননা, মতবাদের ভিন্নতার জন্য হত্যা, হামলা, ধর্ষণ করার কোন সুযোগ নেই। মতবাদের ভিণ্নতার দোষে দুষ্ট করে সন্ত্রাসবাদ করার সুযোগ নেই।
২| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৭
মুকতোআকাশ বলেছেন: আস-সালামু আলাইকুম। এত দিনে পরিষ্কার বুঝলাম কেন মুসলমানেরা পৃথিবীতে ইহুদি, খ্রিস্টান ও হিন্দু দের পদতলে পড়ে আছে ! ৩১% +২৫%+১৬%=৭২% ভাগ মুসলমানের চিন্তা যদি আপনার মত হয় তাহলে মুসলমান যে দুনিয়ার তলানিতে থাকবে তাতে আর সন্দেহ কি ।
২. যুদ্ধের প্রথম দিকে বনু তামিম গোত্রের আবদুল্লাহ ইবনু হাউজা নামের এক পিশাচ ঘোড়ায় চড়ে ইমাম হুসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু কে খুঁজতে এসে
- ও হুসাইন! ও হুসাইন বলে চিৎকার করছিল। বলছিল, দোযখের সুসংবাদ নাও।
ইমাম হুসাইন (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) বললেন: আমি তো দয়ালু প্রতিপালক ও বাধ্য শাফায়াতকারীর কাছে যাচ্ছি।
পরে ইমাম বলেন,লোকটি কে?
সঙ্গীরা বললেন: ইবনু হাউজা।
ইমাম অভিশাপ দিয়ে বললেন: হে আমার প্রতিপালক তাকে দোযখে স্থানান্তরিত করুন।
বর্ণনাকারী বলেন- অভিশপ্ত পিশাচটার ঘোড়া সাথে সাথে তাকে নিয়ে খালের মধ্যে পড়ে গেলে সে ছিটকে পড়ে। বাম পা রেকাবিতে আটকে রয়। ঘোড়া দৌড়াতে থাকে। অভিশপ্তর মাথা পাথরের মধ্যে বার বার
ধাক্কা খেতে খেতে যুদ্ধের শুরুতেই
পিশাচ তার নিজ ঠিকানা জাহান্নামে চলে যায়।
(তাবারি, পঞ্চম খণ্ড, ২৫৫ পৃষ্টা)
আর মোটামাথা সালাফি আহলে হাদিসদের মূল গোত্র বনু তামিমের পূর্বপুরুষ যতই চেষ্টা করত, সমস্ত জান্নাতের একচ্ছত্র সম্রাট ও নেতৃস্থানীয় ইমাম হাসান হুসাইন ও তাদের মাতাকে জাহান্নামে পাঠাতে পারতো না। মস্তিষ্কে চীনা বাদাম প্রতিস্থাপিত হয় দেখেই কারো পক্ষে বলা সম্ভব যে জান্নাতের একাধিপতি জাহান্নামে যাবেন।
ইমাম হুসেন(রাঃ) দোজখে যাবার অভিশাপ দেওয়ার সাথে সাথে হাউজা দোজখে চলে গেল। ভালো কথা, তাহলে ইমাম হুসেনকে যখন তরবারি ঘসে ঘসে হত্যা করলো তখন ঐ অভিসাপ দিলনা কেন? তাহলে তো আজ ইতিহাস অন্য রকম হতো।
এই সব অলৌকিক গল্প ঐ সব মগজ হীন লোক দের শুনাবেন।
আর অন্যান্য কথা গুলো নাই বললাম। মানুষ কে ছোট করে তিরস্কার করে কথা বলা মুসলমানের কাজ না। বরং অলৌকিক গল্প বাদ দিয়ে সঠিক ইসলাম চর্চার মধ্যে দিয়ে মুসলমান দের একতা বদ্ধ করার চেষ্টা করা উচিৎ। আল্লাহ আপনার চোখের উপর থেকে পর্দা সরিয়ে সত্য বুঝার জ্ঞান দান করুণ। আমিন।
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৫
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: জনাব, ওয়া আলাইকুমুস সালাম।
অতি সংক্ষেপে জবাব দিচ্ছি।
১. 'মুসলমান' 'তলানি' তে পড়ে নাই।
সিহাহ সিত্তাহ তে সহীহ্ সূত্রে একটা হাদীস পাবেন, যে জান্নাত চায় তার জন্য দুনিয়া নিষিদ্ধ যে দুনিয়া চায় তার জন্য জান্নাত নিষিদ্ধ এবং যে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল দ. কে চায় তার জন্য উভয়ই নিষিদ্ধ।
মুমিনের দারিদ্র অতি স্বাভাবিক বিষয়। আলহামদুলিল্লাহ। দারিদ্র তলানী নয়। মুমিন মাযলুম হতেই পারে, জগতের সকল নবী ও রাসূল আলাইহিমুস সালাম মাযলুম ছিলেন। আহলে বাইতে রাসূলিল্লাহ দ. মাযলুম ছিলেন।
২. আমার মতো মুসলমান ৭২ ভাগ নয়, বরং ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল রাদ্বিআল্লাহু তাআলা আনহুকে যারা মানেন, তারাও আমার মত মুসলমান।
সংখ্যাটা তাই বাড়বে।
আর এত সংখ্যক মুসলমান যদি একই পন্থী হয়, তাহলে বিভক্তি কোথায়? নামাজে দাঁড়ানোর পদ্ধতি চার মাজহাবে ভিন্ন, আমলের পদ্ধতি চার মাজহাবে ভিন্ন, চার মাজহাবের ঈমান এক। আর মুমিন ইমান দিয়ে বিচার হয়, চার মাজহাবের সকল আমলই খাঁটি সুন্নাহ হওয়াতে এ নিয়ে কোন দ্বন্দ্ব নেই।
এরপরও বিভক্তি রয়েছে, যা আল্লাহর ইচ্ছা, এ নিয়ে বাড়াবাড়ির কিছু নেই। কেননা, ৭৩ ফির্কার ৭২ জাহান্নামী হবেই, কেননা, রাসূল দ. মিথ্যা বলতে পারেন না।
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৯
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভালো কথা, তাহলে ইমাম হুসেনকে যখন তরবারি ঘসে ঘসে হত্যা করলো তখন ঐ অভিসাপ দিলনা কেন? তাহলে তো আজ ইতিহাস অন্য রকম হতো।
সাইয়্যিদুশ শাবাবি আহলিল জান্নাহ ইবনুর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদি সানায়ি ওয়া মাওলায়ি ইমাম হুসাইন সালামুল্লাহি আলাইহি ইবনে আলী ইবনে আবি ত্বালিব ইবনে আবদিল মুত্তালিব রাদ্বিআল্লাহু তাআলা আনহুম কেন তখন অভিশাপ দিলনা?
তাঁর দয়া হয়েছে এই কারণে তিনি সালামুল্লাহি আলাইহি অভিশাপ দেননি।
কেয়ামতের ময়দানে তাকে সালামুল্লাহি আলাইহি জিগ্যেস করবেন, ভালই হবে, আমিও তখন জানতে পারব।
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০২
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: যেখানে আছি সেখান থেকে আল্লাহ আজ্জাওয়াজাল্লা আমাকে সরাবেন না, কারণ আমি ঈমানের ক্ষেত্রে ভুল করতে রাজি নই এবং আল্লাহু রাব্বুল ইজ্জাত যুলমকারী নন।
তাঁর রহমত থেকে নিরাশ নই, সুতরাং তিনি নিরাশও করবেন না।
এবং মুমিনদের জন্য আল্লাহ জাল্লা শানুহু নিজ পবিত্র পক্ষ থেকে সালাম প্রেরণ করেছেন।
৩| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:০০
হাসান নাঈম বলেছেন: লিসানী ভাই,
দুনিয়ার সবাই খারাপ, বিভ্রান্ত, জাহান্নামী, শুধুমাত্র আমি এবং আমার মতের লোকেরাই সঠিক, জান্নাত কেবল মাত্র আমাদের জন্য - এই লাইনের চিন্তা কি খুব ভাল কিছু? মুসলমানদের মধ্যে যত দলাদলী, বিভাজন, কলহ সবকিছুর উৎস কি এই চিন্তা নয়?
যদি শিয়া, সুন্নী, মাজহাবী, লা-মাযহাবী, সালাফী, ওহাবী, তরিক্বত পন্থী, শরিয়ত পন্থী, পীর-মুরিদী, সুফীবাদী, রাজনীতিক - সব ধারার মুসলামানদের মধ্যে কোরআন হাদীস চর্চা, ঈমান আমল এবং সার্বিক বিবেচনায় ভাল মানুষরা জান্নাতে যায় আর খারাপরা জাহান্নামে যায়, তাহলে সমস্যা কি? আপনি নিশ্চয় ভাল করে জানেন যে এই সবগুলি ধারাতেই ভাল মানুষ যেমন আছে তেমনি খারাপও আছে।
কোন একটা দল, গোত্র, সংগঠন, আদর্শিক ধারা বা সম্প্রদায়কে সবার সেরা, সকল দোষ ত্রুটির উর্ধে ভাবা, অথবা কোন একটা দল, গোত্র, সম্পদায়, সংগঠন বা আদর্শিক ধারার সকল মানুষকে চরম অপরাধী জাহান্নামী মনে করাকেই কি সাম্প্রদায়ীকতা হিসেবে চিন্হিত করা হয় না?
ইসলাম কি এই ধরনের সাম্প্রদায়ীক চিন্তাকে সমর্থন করে??
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৪
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: নাঈম ভাই, আমি রীতিমত কৃতজ্ঞ আপনার এই কমেন্টে। এটা অসাধারণ কথা।
অবশ্যই দুনিয়ার সকল মত জাহান্নামী নয় এবং একা শুধু আমার মত জান্নাতী নয়। আল্লাহ এই বিভ্রান্তি থেকে রক্ষা করেছেন।
অবশ্যই সকল ধারাতে ভাল মানুষ আছেন এবং খারাপ মানুষ আছেন।
কিন্তু ঈমানকে মূল ধারায় জান্নাতের শর্ত ধরা হয়। এবং ঈমানের চারটা ঘরানায় ইমাম হুসাইন রাদ্বিআল্লাহু আনহুর আনুগত্য ভিন্ন ভিন্নভাবে ফরজ।
১. আ-মানতু বিল্লাহি- আল্লাহর উপর ঈমান। বিশেষজ্ঞরা বলেন, আল্লাহর উপর ঈমান মানে আল্লাহর বাণীর উপরও ঈমান। বুখারী ও মুসলিমস উভয়ের কিতাবুল ঈমান অনুসারে আল্লাহর উপর ঈমান মানে রাসূল দ.'র উপরও ঈমান। (দ্র. লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ অর্থ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ্ দ.)
এই দুই অর্থে, কুরআন ও হাদীসে আহলে বাইতে রাসূল দ. গণের প্রতি যে ধরনের ঈমান আনতে বলা হয়েছে, সেই ধরনের ঈমান আনাও শর্ত।
২. ওয়া কুতুবিহী- কুরআনের উপর ঈমান। (সরলার্থে)। কুরআনে আহলে বাইতে রাসূলিল্লাহ সম্পর্কে এই মুহূর্তে তিনটা আয়াত মনে পড়ছে। আরো আয়াত রয়েছে। আয়াত তিনটার মূল বিষয় বলছি, ক. আহলে বাইতে রাসূলিল্লাহর পবিত্রতা খ. তাদের ভালবেসে নুবুয়্যতের হক আদায় করা গ. তাদের বংশ বিষয়ে কোন প্রকার শত্রুতা পোষণ না করা। এই তিন আয়াতের দিক দিয়েই কুফর হয় এজিদ অ্যান্ড কোং কে কোনপ্রকার নৈতিক সমর্থন দিলে। আর কুফর ঈমানের সম্পূর্ণ বিপরীত।
৩. ড. তাহির উল ক্বাদরী ইমাম হাসান ও হুসাইন রা.'র সম্পর্কে হাদিসগুলোকে একত্র করে একটা বই লিখেছেন এবং মহান মাতা ফাতিমা রা. বিষয়ক হাদীসগুলো একত্র করে আরেকটা বই লিখেছেন। আল্লাহ কবুল করলে এক সময় আমি অনলাইনে আপনার জন্য বই দুটা আপলোড করব। বাংলা অনুবাদ আছে।
রাসূল দ.'র উপর ঈমান এর আংশিক মানে তার সমস্ত বাণীর উপরও ঈমান। বিশেষ করে নি:শংসয় (সহীহ্) হাদীস তো অবশ্যই ঈমানে আনতে হবে।
দুটা সহীহ্ হাদীস (রেফারেন্স কিন্তু নিয়ে বসি না )-
* হুসাইন নেতৃস্থানীয়দেরও নেতৃস্থানীয়। (অনুসিদ্ধান্ত, তিনি নেতৃস্থান এর দাবিদার হলে সকল নেতৃস্থানকে তাঁর জন্য জায়গা ছেড়ে দিয়ে আনুগত্য করতে হবে।)
* হাসান ও হুসাইন আমার উম্মতের প্রতি আমার আমানত।
হায়। এখানেই তো সব শেষ। পর্দা পড়ে গেল যবনিকা পতন হল।
তাই যারাই আহলে বাইতে রাসূলিল্লাহর খুনীদের সমর্থন করবে, তাদের কারো ঈমান ভাই থাকবে না। যদি দাবি করি আমরা, যে তাদের কারো ঈমান আছে, তাহলে জগতে যত জাতি ও ইহুদিরা নবী-রাসূলদের ক্বতল করেছে তাদেরও ঈমান আছে। কেননা, হাসান আমার অর্ধাংশ এবং হুসাইন আমার বাকী অর্ধাংশ। এদের রক্ত আমার রক্ত। এদের মাংস আমার মাংস। যে হুসাইনকে ভালবাসে সে আমাকে বাসে আর যে আমাকে বাসে সে আল্লাহকে বাসে। এগুলো সবই অতি বিখ্যাত সহীহ্ হাদীস।
যারা বনী ইস্রাঈলের নবী হন্তা, সেই নবী হন্তার যারা সমর্থক, তাদের মধ্যেও অত্যন্ত ভাল মানুষ আছে।
না, আমাদের মাজহাবগুলোকে পদ্ধতির দিক দিয়ে অবশ্যই সবচে সেরা ভাবি। কেননা, আল্লাহ বলেছেন, মুমিনরা সবচে সেরা। এটা কুরআনের আয়াত।
কিন্তু সকল পথভ্রষ্টদের চূড়ান্ত জাহান্নামী ভাবি না। কেননা, আল্লাহ মহা ক্ষমাশীল। তার ক্ষমার চাদর ছড়িয়ে যাবে। তবে এজিদ ও তার মত যত নবী হন্তা নবী পরিবার হন্তা আছে সর্বকালে, তারা ও তাদের সজ্ঞান সমর্থকরা জান্নাতে কী করে যায় তা ধরতে পারি না।
ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি, সকলের বিশ্বাস নিয়ে থাকার অধিকার আছে। কোনও ধর্মের মানুষ শিরক করে। করুক না। যে যার বিশ্বাস নিয়ে থাক, কারণ যার যার কর্মফল ভিন্ন। আর কর্মফল ও বিশ্বাসের জবাব তো আমার কাছে দিবে না, আল্লাহর কাছে দিবে।
আমরা শুধু স্পষ্ট করার দায়িত্ব পালন করছি। কারো গায়ে কিছু চাপিয়ে দিচ্ছি না।
নবী দ. বিদ্বেষী ও আহলে বাইত রা. বিদ্বেষীদের নামাজ বিষয়ক কিছু হাদীস কিন্তু আছে। ওইসকল পূণ্য অগ্রহণীয়।
৪| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৪
মুহাম্মাদ মাহফুজুর রহমান শরীফ বলেছেন:
@ গোলাম দস্তগীর লিসানি :
আমি যতদুর জানি "আহলে হাদিস"-এর ব্যাবহারিক মানে হচ্ছে হাদিস বিষয়ে বিশেষজ্ঞ।
অর্থাৎ এটা কোন মতাদর্শধারী দলের নাম হতে পারে না।
কারণ সকল দলের মধ্যেই হাদিস বিশেষজ্ঞ তথা "আহলে হাদিস" রয়েছেন।
সুতারাং, যারা কোন মতাদর্শধারী দলকে পরিচিত করার জন্য "আহলে হাদিস" শব্দটি ব্যাবহার করে, তবে তারা অবশ্যই ভ্রান্তিতে আছে অথবা ধোকাবাজ।
আর বর্তমানে যারা নিজেদেরকে আহলে হাদীস বলে পরিচয় দিচ্ছে, তারা হয় ভ্রান্তিতে আছে নতুবা ধোকাবাজ।
শুধু মাত্র হাদিস মানি হাদিস মানি এই কথা বলে কেউই নিজেদের মতাদর্শধারী দলকে "আহলে হাদিস" বলে দাবি করতে পারেনা।
বর্তমানে যারা নিজেদের দলকে "আহলে হাদিস" বলে দাবি করে, তারা কি সকলেই হাদিস বিশেষজ্ঞ?
তাহলে কেন এই দাবি?
মুহাম্মদ সা. তো মুসলিমদের মধ্যে বিভক্তি আনা বা তাতে যোগ দিতেও নিষেধ করেছেন, তাহলে তারা কি ভাবে দলের নাম "আহলে হাদিস" দিয়ে তাতে অন্যদেরকে আহবান করে?
আসলে এদের নাম হওয়া উচিত "আহলে বিভক্তি" বা "আহলে ফেতনা"।
সেই জন্য মোটামাথা সালাফি, ওয়াহাবীর সাথে "আহলে হাদিস" নামটি একত্রে যুক্ত করা ঠিক না বলেই মনে হচ্ছে।
বরং বলা উচিত সালাফি, ওয়াহাবী, আহলে ফেতনা তারপরে ব্রাকেটের মধ্যে (আহলে ফেতনা অর্থাৎ মিথ্যাই যারা নিজেদেরকে আহলে হাদিস বলে পরিচয় দেয়।)
অবশ্য আমার জানার ও বুঝার মধ্যে কিছু ভুলও থাকতে পারে।
যদি কিছু ভুল বলে থাকি, তবে সেটা বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।
ভালো থাকবেন।
ধন্যবাদ।
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:০৬
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: মাহফুজ ভাই, মূল দিকে আপনার কথার সাথে আমি একমত।
আহলে হাদীস = হাদীস অনুসরণ করে যারা সেই দল। খুবই ভাল অর্থ।
সালাফি= সালফে সালিহিনদের অনুসরণ করে যারা সেই দল। এটাও খুবই ভাল অর্থ।
ওয়াহাবী= মহান আল্লাহ বা ওয়াহাবকে অনুসরণ করে যে দল। এটাও ভাল অর্থ।
জামায়াতে ইসলাম= ইসলামের দল। এটাও।
কী বলব ভাই, এই শব্দগুলো ব্যবহার করতে আমারও খারাপ লাগে। আবার প্রতিটা শব্দের আগে তথাকথিত শব্দটা যোগ করাও হ্যাজার্ড।
কথাগুলো সুষ্ঠু এবং সুন্দর বলেছেন।
৫| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৩২
মুহাম্মাদ মাহফুজুর রহমান শরীফ বলেছেন:
@ গোলাম দস্তগীর লিসানি :
লিসানি ভাই,
আজকে এই অর্থগুলি আরো ভালো ভাবে জানলাম।
এই জন্য আপনাকে বড় করে একটা ধন্যবাদ।
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:২৬
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আসলে জগতে সবাই তো পবিত্র শব্দ ব্যবহার করে অপবিত্র কাজ করে থাকে। সমস্যা এখানেই।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ মাহফুজ ভাই।
৬| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৪৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হে নবী ﷺ এর বংশধররা,আপনাদের ভালোবাসা
আল্লাহ কুরআনে আয়াত নাযিল করে ফরয করেছেন।
আপনাদের মর্যাদা বোঝার জন্যে এতটুকুই যথেষ্ট যে
কারো নামায হবে না যদি আপনাদের উপর দরুদ না পড়ে।
সুবহানাল্লাহ ওয়া বিহামদিহী।
উপরে কয়েকটি কমেন্ট দেখে আফসোস হল- হায় যদি আল্লাহ যদি তিনাদের হেদায়েতের চক্ষু খুলে দিতেন- তবেই তাঁরা বুঝতো!
আপনার কাজ - আমরা শুধু স্পষ্ট করার দায়িত্ব পালন করছি। কারো গায়ে কিছু চাপিয়ে দিচ্ছি না। সত্য, সঠিক, সুন্দর।
তারাও দাড়ি, টুপি আর আলখেল্লা পড়ে ছিল- তারাও আছরের নামাজের দোহাই দিয়েছিল খোদ নামাজকেই (আহলে বিধানকর্তা) হত্যা করতে গিয়ে!!!!!
তাদের জন্য লানত।
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৩৮
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: নামাজকে তো তারা হত্যা করেছেই ভাই। মক্কা মদীনাতেও নামাজে প্রায়শ শুধু তাহিয়াহ্ শরীফ পড়ার সময় দেয়। দরুদে ইব্রাহিম যাতে রাসূল দ.'র পূর্বপুরুষ ও বংশধরদের উপর সালাত সালাম পাঠ করা হয় তা বুখারিতে রাসূল দ.'র নির্দেশ হলেও তারা পড়ার সময় দেয় না।
আল্লাহ কিছু কিছু ক্ষেত্রে বড় কঠোর। তিনি নিজে দেবেন না, যদি বান্দা না চেষ্টা করে।
শুভেচ্ছা ভাই, আপনাকে আমাদেরকে তিনি ভাল রেখেছেন।
৭| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:১৫
খাটাস বলেছেন: ইসলামের কিছু ব্যাপার গুলো খুব অদ্ভুত। সম্ভবত জানার পরিধি কম বলেই আমার মাঝে মাঝে অগোছালো হয়ে যায়, কোন মতবাদ সঠিক এই ভেবে।
না জেনে কিছু বলা ধৃষ্টতা। তাই কিছু বলছি না।
লিখতে থাকুন লিসানি ভাই। সাথে ই পড়ছি।
তবে এই লিখাটা একটু কঠিন হয়ে গেছে। আর একটু সহজ করে লিখলে সুবিধা হত বুঝতে।
শুভ কামনা রইল ভাই। ভাল থাকবেন।
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:১৯
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আশা করি পোস্টের মূল কন্টেন্টের বিষয়ে কারো আপত্তি নেই। ভাষার বিষয়ে আসলেই আপত্তি থাকতে পারে। মাথা গরম আছে, পরে এডিট করে সুভাষী করবনে। ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে এই দিনে যার মাথা গরম থাকে না তার মাথা নাই বলে বিশ্বাস করি।