নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্পেস-টাইম

there is no problem in the heavens and earth ;) problem lies in three places... beneath, between and within the hells.

গোলাম দস্তগীর লিসানি

বুলি বলে শুনতে পাই, রূপ কেমন তা দেখি নাই, ভীষম ঘোর দেখি।। পোষা পাখি চিনলাম না, এ লজ্জা তো যাবে না, উপায় কী করি, আমি উপায় কী করি।।

গোলাম দস্তগীর লিসানি › বিস্তারিত পোস্টঃ

অপকর্ম ও ঘৃণার উত্তরাধিকার

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৪২

জামাতিদের ইতিহাস লজ্জার ইতিহাস। জামাতিদের ইতিহাস গোপন ইতিহাস। জামাতিদের ইতিহাস এমন ইতিহাস, যা বলা যায় না। জামাতিদের ইতিহাস, ছি:'র ইতিহাস।

যদিও জামাতিরা জানে, একটা মানুষ যখন মিথ্যা বলে, তখন তার ঈমান থাকে না।
একটা মানুষ যখন মিথ্যা বলে, এবং মিথ্যার উপর প্রতিষ্ঠিত থাকে এবং মিথ্যাকে সমুন্নত রাখে, তখন সেই মানুষটার বা সেই সংঘের কারোই ঈমান থাকার প্রশ্ন ওঠে না।

জগতের বাচ্চা বাচ্চাও আজকে জানে, রাসূল দ. বলেছেন, আমি মধ্যপন্থী, আমার উম্মাহ মধ্যপন্থী। তিনি দ. বলেছেন, তোমরা ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করো না, অতীতে বহু জাতি ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে গিয়ে বিলীন হয়ে গেছে। কুরআনের কথা, একজন নিরপরাধ মানুষকে যে হত্যা করে সে পুরো মানবজাতিকে হত্যার মত জঘন্য দায় বহন করে। নবী দ. বলেছেন, যে কোন একত্ববাদী (মুওয়াহিদ) কেও হত্যা করে, সে জান্নাতের ঘ্রাণও পাবে না, যদিও জান্নাতের ঘ্রাণ চল্লিশ বছরের দূরত্ব থেকে পাওয়া যায়। তিনি দ. বলেছেন, শত্রু ঘোষিত নয়, এমন কোন ব্যক্তি অমুসলিমকেও যদি কেউ হত্যা করে, সে জান্নাতে যাবে না। তিনি দ. বলেছেন, হে মানবজাতি! (লক্ষ্যণীয়, মুসলিম জাতি নয়, মানবজাতি, আইয়ুহান্ না-স!) তোমাদের জন্য পরস্পরের রক্তকে আজ থেকে হারাম (পবিত্র ও নিরাপদ) ঘোষণা করা হল। এবং এই ঘোষণা তিনি অতি গুরুত্বপূর্ণ সময়ে পুনর্বার দিয়েছেন, বাইশ বছরের নবুয়্যত শেষে বিদায় হজ্বের দিন। তিনি দ. বলেছেন, কিছু মানুষ কুরআন পাঠ করে চেহারা অত্যন্ত উজ্জ্বল করবে এবং প্রতিবেশীকে মুশরিক বলে হত্যা করতে উদ্যত হবে- যারা হত্যা করতে যাচ্ছে তারাই মুশরিক।

এইসব বাণী কিছু অপক্ক ভ্রুণের নার্ভাস সিস্টেমে কোনকালেই আন্দোলন তৈরি করতে পারেনি। এই অপরিপক্ক ভ্রুণসমূহের মধ্যে অগ্রগামী যুগে যুগে সন্ত্রাসবাদী উগ্র ইসলাম বিকানো দলগুলো যাদের মধ্যে জামাতিস্লাম অন্যতম।

এই কামারু মুক্তিযোদ্ধাদের আঙুল কাটতো। তাদের দোষ, তারা স্বাধীন একটা দেশ চেয়েছিল। আলবদর বাহিনীর প্রধান নিজামী আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। এই সেই নিজামী, যে ও যারা শুধু নয়মাস সব ধরনের গণহত্যা করায়নি, গণধর্ষণ করায়নি, বরং বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ শহীদের লাশকে ঘুর্ণিঝড়ের লাশ বলে চালিয়েছে। কাশেম চট্টগ্রাম আল বদরের নেতৃস্থানীয় ছিল। এরা নয়মাস অত্যাচার দেখেছে। এরপরও এদের চোখ ফেরেনি। এরা হার মানার দুদিন আগে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছে শুধু একটা কারণে, হায়, বিক্ষত দেশটা যেন পঙ্গুও হয়। এদের এই দেশে পুনর্বাসিত থাকতে দেয়া হয়েছে। যুদ্ধ করা ভাল, একটা জনপদে সেই জনপদের মানুষ হিসাবে সারা পৃথিবীতে অপপ্রচার কতটুকু ভাল সেটা সময় বলে দিচ্ছে। ঠিক এজিদের মত, ঠিক ইবনে জিয়াদের মত, কারবালায় আহলে বাইতে রাসূলিল্লাহর পবিত্র মস্তক যারা বহন করে নিয়ে গিয়েছিল, সেই শুয়ারগুলোর মত, ইমাম হুসাইন রা.'র পবিত্র দেহ যারা ঘোড়ার ক্ষুরে ক্ষতবিক্ষত করেছিল, ঠিক সেগুলোর মত প্রত্যেকটাই চরম ঘৃণিত ও নিগৃহীত অবস্থায় মৃততুবরণ করবে ও করছে।

পাকিস্তানে কালকে পরশু তরশুও প্রতিবাদ সভা হয়েছে। পাকিস্তানের পক্ষে যুদ্ধ করা যুদ্ধাপরাধ নয়। অবশ্যই, কারো পক্ষে যুদ্ধ করাই যুদ্ধাপরাধ নয়।

কিন্তু পিশাচের ছাওরা এটা কেন স্বীকার করে না, যে তারা পাকিস্তানের পক্ষে যুদ্ধ করেছিল? শুধু পাকিস্তানীরা কেন সেটা বলে? কারণ জগতের সবাই জানে, পাকিস্তানী সেনাবাহিনী শুধু যুদ্ধ করেনি। যুদ্ধাপরাধ করেছে। পাকিস্তানি রাজাকার, আলবদর, আল শামস, শান্তি কমিটি, জামাতে ইসলাম, নেজামে ইসলাম, মুসলিম লিগ, ছাত্রসংঘ শুধু যুদ্ধ করেনি, যুদ্ধাপরাধ করেছে। গণ-ধর্ষণ যুদ্ধ নয়। জনপদে অগ্নিসংযোগ যুদ্ধ নয়। সিভিলিয়ান হত্যা যুদ্ধ নয়। যত্রতত্র ব্রাশ ফায়ার করা যুদ্ধ নয়।

এইগুলোই যুদ্ধাপরাধ, যে কলঙ্ক অস্বস্তির কাঁটা পশ্চাদ্দেশে নিয়ে হাজারো বছর ধরে জামাতিস্লাম এবং সমমনাদের চলতে হবে।

পিশাচ কাদের মোল্লা যখন মরল, তার আগ পর্যন্ত তার 'পরিবার' কেন বলে বেরিয়েছে পিশাচ কাদের ছিল মুক্তিযোদ্ধা? কেন ও লটকে যাবার পর পাকিস্তানের পার্লামেন্ট বলল, ও পাকিস্তানের পক্ষে যুদ্ধ করেছিল? এই পরিবার কেমন পরিবার? এই সন্ততি কেমন সন্ততি? আল্লাহ শুধুশুধু বলেননি, পবিত্র মানুষের জন্যই পবিত্র পরিবার। কাঁটাবনে গোলাপ জন্মায় না। কাঁটাগাছই জন্মায়।

আজকে যারা নব্যপ্রজন্ম হত্যাকারী হতে যাচ্ছে ও হচ্ছে সারা বিশ্বব্যাপী, যারা বোমাহামলাকারী, নারী-শিশু হত্যাকারী, সিভিলিয়ান হত্যাকারী, চাপাতি-রামদা দিয়ে জবাইকারী হতে যাচ্ছে, ফতোয়া খুঁড়ে খুঁড়ে রেইপের মত জঘন্য কাজে লিপ্ত হচ্ছে, তাদের জেনে রাখা উচিত, তাদের পরবর্তী প্রজন্মের কাছেও তাদের পরিচয় হবে লজ্জার। আজকে জামাতিরা যেভাবে নিজেদের প্রকৃত পূর্বসূরীদের কৃতকর্মের লজ্জা থেকে বেরিয়ে আসতে চায়, তাদের অনুসারীরাও ঠিক তেমনিভাবে তাদের লজ্জার আকর থেকে বেরিয়ে আসতে চাইবে অথবা আজকের জামাতিদের মত প্লেইন মিথ্যা কথা বলবে।

একবার ঢুকে গেলে, একবার এইসব সন্ত্রাসী সংগঠনের সমর্থক-কর্মী হয়ে গেলে এই পৃথিবীতে লজ্জার কোন অভাব হবে না, থুতুর কোন অভাব হবে না, এবং ওই পৃথিবীতেও। দশবার ভাবা উচিত।

কুকর্মের লজ্জা এমনই লজ্জা, যা ভি সাইন দেখালে যায় না- বরং আরো বাড়ে। মিথ্যা বলে যা ঢাকা যায় না। সব ধরনের কুকর্মের পর যা বাকি থাকে এবং ইসলামের সমস্ত কিছুকে অস্বীকার করার পর যা বাকী থাকে, তার নাম কখনোই ইসলাম নয়, বড়জোর কুফর হতে পারে।

ধর্ম থাক বা না থাক, ঈমান থাক বা না থাক, বোধসম্পণ্ন মানবজাতির কাছে বিলুপ্তপ্রায় জামাতিদের মিথ্যা ছাড়া আশ্রয় নেই। তাদের ঈমানের প্রয়োজন নেই, তাদের শুধু টিকে থাকার প্রয়োজন।

অতিকায় হস্তি বিলুপ্ত হলেও তেলাপোকা টিকে আছে, টিকে থাকা সার্থকতা নয়। জামাতিদের, জগতজুড়ে ইসলামের নামে সন্ত্রাস করে বেড়ানো ডজন ডজন সংগঠনের টিকে থাকা তাই তেলাপোকার টিকে থাকার চেয়েও অধম। কেননা, তেলাপোকা মিথ্যা বলতে পারে না। তেলাপোকা কীট হতে পারে, আপন চক্রবৃদ্ধি কর্মফলে ঘৃণ্য নয়।

মন্তব্য ২৯ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (২৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:০৬

মামুন রশিদ বলেছেন: চমৎকার ব্যবচ্ছেদ! ঘৃণা ছাড়া তাদের আর কিছু পাওয়ার অধিকার নাই ।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৮

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: অপকর্ম করে সেটা আবার অস্বীকার করা দুইটা অপরাধ, গণ-অস্বীকার তৃতীয় অপরাধ এবং সেই দেশের মানুষকে শাসন করতে চাওয়া চতুর্থ অপরাধ।

কৃতজ্ঞতা, মামুন ভাই।

২| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কুকর্মের লজ্জা এমনই লজ্জা, যা ভি সাইন দেখালে যায় না- বরং আরো বাড়ে। মিথ্যা বলে যা ঢাকা যায় না। সব ধরনের কুকর্মের পর যা বাকি থাকে এবং ইসলামের সমস্ত কিছুকে অস্বীকার করার পর যা বাকী থাকে, তার নাম কখনোই ইসলাম নয়, বড়জোর কুফর হতে পারে।

ধর্ম থাক বা না থাক, ঈমান থাক বা না থাক, বোধসম্পণ্ন মানবজাতির কাছে বিলুপ্তপ্রায় জামাতিদের মিথ্যা ছাড়া আশ্রয় নেই। তাদের ঈমানের প্রয়োজন নেই, তাদের শুধু টিকে থাকার প্রয়োজন।

ইয়াজিদের মতো পার্থিব ক্ষমতা আর সম্পদের মোহে! আত্মায় ধর্মের প্রাণের চিহ্ণও থাকবে না.. নেই..
মৃত পাথরেও প্রাণের চিহ্ণ থাকে.. তারা তেমনটিও নয়....

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০০

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আহা, মৃত পাথরেও প্রাণের চিহ্ন থাকে, তারা তেমনটিও নয়।

স্বাধীনতা কারো জন্য আশীর্বাদ তো কারো জন্য অভিশাপ ভৃগুভাই।


স্বাধীন মানুষ হয়ে যে অন্যের অধিকারের দিকে লক্ষ্য রাখতে পারে, তাদের জন্যই মানব হিসাবে স্বাধীনতা আশীর্বাদ।


আর মানুষ স্বাধীন যা খুশি করতে পারে, এই কারণে যারা পুরো একটা জাতিকে দুর্ভোগে পাঠায়, এবং অস্বীকার করে, তাদের উপর আল্লাহ কুরআনে কি অভিশাপ দেননি?

৩| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪২

লেখোয়াড় বলেছেন:
@ বিদ্রোহী ভৃগু................

আপনার কথা আজকাল খুব ভাল হয়।
অনেক পরিবর্তন হয়েছেন, তবে এটা মন থেকে তো? না বাধ্য হয়ে?
জানেন তো জামাত আর বিএনপির মধ্যে কোন পার্থক্য নেই।
নাতি পালে হাওয়া দিচ্ছেন।

এবার বলবেন আওয়ামী লীগ খুব ভাল দল তাই না?
আরে না না, ভাল না।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০১

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: লেখোয়াড় ভাই কেমন আছেন?

ভৃগুভাই হার্ডাকোর বিএনপি সমর্থক। তবে রাজাকার বিরোধী।

৪| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৩০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: @লেখোয়াড় আপনার ধারনা কেবলই আপনার। সে জন্য আমি বা কর্তৃপক্ষ কেউ দায় নয় ;)

জামাত, ওহাবীজম মোদুদীবাদ সব সময়ই ঘৃনা করেছি-কারণ তা মিথ্যা।

আবার ধর্মকে দলীয় পছন্দ অপছন্দের সাথে মেলানোও এক ধরনের হিপোক্রসি!

জামাত আর বিএনপির মধ্যে পার্থক্য নেই তেমনি একা ধারনা।

আওয়ামীলীগ আর জামাতের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই এমন কথা বলার লোকেরও কিন্তু অভাব নেই।! ;)

আওয়ামীলীগ ভাল কি মন্দ তার কর্মই তা নির্ধারন করে দেবে! মানুষ সকলেই কনসাস!

সো কাউকে ট্যাগিং করে বা মিডিয়ার নিয়ন্ত্রন নিয়ে খানিকটা সময়কে বদলানো গেলেও সার্বিক অবস্থা বা সত্যকে বদলানো যায় না!!!


পালে হাওয়া দেয় সুবিধাবাদী টাইপের লোকজন। আমার জীবন দর্শনে যা মেলে না।

এখন বিএনপিকে সমর্থন করলেই যদি মনে করেন ট্যাগিং মাষ্ট - সে আপনার বিশ্বাস।

ভাল থাকুন।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩১

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আমি বা কর্তৃপক্ষ কেউ দায়ী নয়, হাহাহা। মজার কমেন্ট।

আপনি বিএনপি করেন এতে আমার ব্যক্তিগতভাবে কোন আপত্তি নেই। আমার প্রধান আপত্তি শুধু জামাত, রাজাকার, চরমপন্থী, চরমপন্থী কমুনিস্ট এদের নিয়ে।

আর বিএনপি আওয়ামীলীগ জাতীয় পার্টির প্রতি যে রাগ, সেটা তাদের দুর্নীতি ও জনদরদের অভাবের রাগ। অসততার রাগ।

৫| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৫৮

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: +++++++++++++++++++

আরও একটা অসাধারণ লেখা ভ্রাতা ।

জগতের নিকৃষ্টতম প্রজাতি ওরা । শুধুই ঘৃণা । নিজেরা তো ধ্বংস হচ্ছেই , সাথে আমাদেরও কলঙ্কিত করে যাচ্ছে ।

ভালো থাকবেন সবসময় :)

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৪

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: পৃথিবীর সব জাতিতে, সব দেশে, সব ধর্মে, সর্বকালে এই ধরনের মানুষ ছিল। দুর্ভাগ্যজনকভাবে তাদের সবাই-ই ক্ষমতাবান হয়ে থাকে।

আন্তরিক কৃতজ্ঞতা অপূর্ণ ভাই। আপনার জন্যও সব সময় ভাল থাকার কামনা।

৬| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:১৩

লেখোয়াড় বলেছেন:
@বিদ্রোহী ভৃগু ..........

আপনার কথাগুলো খুব ভাল লাগল।

বিষেশ করে এই গুলো...............

জামাত, ওহাবীজম মোদুদীবাদ সব সময়ই ঘৃনা করেছি-কারণ তা মিথ্যা।

আবার ধর্মকে দলীয় পছন্দ অপছন্দের সাথে মেলানোও এক ধরনের হিপোক্রসি!

পালে হাওয়া দেয় সুবিধাবাদী টাইপের লোকজন। আমার জীবন দর্শনে যা মেলে না।
........................................

আপনার জীবন দর্শন যদি যা বললেন তাই হয়, তাহলে বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ সুখি হবে। বাংলাদেশ সমৃদ্ধ হবে।

আপনাকে বলি, যে কেউ বিএনপি করতে পারে, বি এন পি যে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পক্ষে কিছু বলে না, এটা নিয়ে তো কিছু বলেন না।

আপনি কিন্তু তাদের বিচার চান।

এরকম অনেক বিষয়ে কথা বলার আছে, সেই জন্য আমি আপনাকে ওভাবে বলেছি।

যাহোক, ওভাবে বলার জন্য ক্ষমা চাচ্ছি।
ভুল বুঝবেন না।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩২

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: এই ভাইব্রাদারিটা অসাম লাগল লেখোয়াড় ভাই। আজকে আমরা কিন্তু এটুকু ভাতৃত্ব দেখাই না। আপনাকে সালাম।

৭| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:১৮

হাসান নাঈম বলেছেন: লিসানী ভাই, আমি জানতাম মুমিনের হৃদয়ে ঘৃনা নয় বরং ভালবাসার চাষ হয়।

আপনি সম্ভবত ব্যাতিক্রম - আপনার হৃদয়ে ঘৃনা, প্রতিশোধ পরায়নতা, প্রতিহিংসার ব্যাপক উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে!

ঠিক আছে, ক্ষমতার জোরে একটি বিচারিক হত্যাকান্ডতো ঘটিয়েছেন, আর একটাও চুড়ান্ত করে এনেছেন - তা এভাবে আর কয়টা বিচারিক হত্যাকান্ড ঘটালে আপনাদের অতৃপ্ত আত্মার শান্তি হবে?? আপনাদের রক্ত পিপাষা মিটবে??

তবে যাই করুন এইভাবে দেশের পুরো বিচার প্রকৃয়াকে কলুষিত করে নিজেদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে হত্যার এবং সেই হত্যায় আনন্দ উল্লাষ প্রকাশের যে দৃস্টান্ত তৈরী করছেন, ইহকালে না হলেও পরকালে তার উপযুক্ত প্রতিদান নিশ্চয়ই পাবেন।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৫

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: নারে ভাই, আমি ধরে কাউকে কুপিয়ে মেরে ফেলব, এই ধরনের প্রতিহিংসা নাই। তবে একাত্তরে যে ব্যক্তিগুলো রাজাকারি করেছিল তাদের প্রতি থুতু নিক্ষেপ বা জুতা নিক্ষেপ করতে রাজি আছি, ককটেলও নয়।


আমার আর ক্ষমতা কই আর আমিই বা কোথায় বিচার করলাম! রক্ত কি মানুষ খায়, যে পিপাসা থাকবে?

এটা একটা পয়েন্ট, একাত্তরে হত্যার নির্দেশ ধর্ষণের নির্দেশ এবং তা পালন যত রাজাকার করেছিল তাদের সবার মৃততুদন্ড হলে আমাদের আত্মা শান্তি পাবে।

হায়, পাকিস্তানি ওই জেনারেল এবং সৈন্যগুলো ধরাছোঁয়ার বাইরেই রয়ে গেল। আজকে বাংলাদেশ যদি আর্থিক এবং ক্ষমতার দিক দিয়ে এতটা শক্তিমান হতো, তবে পাকিস্তানের ওই সময়ে করা প্রত্যেক সৈন্য এবং অফিসারের বিচার করার দাবি আমরা তুলতে পারতাম। আমরা অসহায়।

আমি রাজনীতি প্রকৃপক্ষেই করি না, আমার আবার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ কীভাবে থাকবে? নির্বাচনে ভোট দিতেও দ্বিধাগ্রস্ত হই।

রাজনৈতিক একটা হত্যাকান্ডও সমর্থন করি না, তা বিএনপি করুক আর আওয়ামীলীগ।

যুদ্ধাপরাধীদের শাস্তি রাজনৈতিক বিষয় হলে এটা নিয়ে কোন শব্দই করতাম না। রাজনীতি নিয়ে শব্দ করে নিজের শক্তি অপচয়ের মানে নয় না।

৮| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:১৯

হাসান নাঈম বলেছেন: এ'ব্যাপারে অধমের একটা পোস্ট ছিল, যদি একটু পদধুলি দিতেন -

http://www.somewhereinblog.net/blog/nhasanbd/29990775

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৬

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আমি অধমও যাচ্ছি। :)

৯| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৪২

তাসনুভা সাখাওয়াত বীথি বলেছেন: একটা মানুষ যখন মিথ্যা বলে, তখন তার ঈমান থাকে না।
একটা মানুষ যখন মিথ্যা বলে, এবং মিথ্যার উপর প্রতিষ্ঠিত থাকে এবং মিথ্যাকে সমুন্নত রাখে, তখন সেই মানুষটার বা সেই সংঘের কারোই ঈমান থাকার প্রশ্ন ওঠে না।


একদম ঠিক ।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৭

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আন্তরিক কৃতজ্ঞতা বীথি আপু।

এই কথাটা তো এম্নিতেই বোঝা যায়। তার জন্য বিজ্ঞতার প্রয়োজন নেই। এরপরও এটা রাসূল দ. বলেছেন এবং অনেক সহীহ হাদীস গ্রন্থে সহীহ সূত্রে তা উল্লেখ আছে।

১০| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:১৬

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাইয়েরা আমি আজকে রাত্রে ফিরে সব কমেন্টের সাথে ইন্টারাক্ট করব ইনশাআল্লাহ।

১১| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৩৭

এ কে এম রেজাউল করিম বলেছেন: কুকর্মের লজ্জা এমনই লজ্জা, যা ভি সাইন দেখালে যায় না- বরং আরো বাড়ে। মিথ্যা বলে যা ঢাকা যায় না। সব ধরনের কুকর্মের পর যা বাকি থাকে এবং ইসলামের সমস্ত কিছুকে অস্বীকার করার পর যা বাকী থাকে, তার নাম কখনোই ইসলাম নয়, বড়জোর কুফর হতে পারে।

সহমত!!!!

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৮

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আন্তরিক কৃতজ্ঞতা রেজাউল করিম ভাই। আশা করি অনেক অনেক ভাল আছেন।

১২| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: @ হাসান নাঈম বলেছেন: লিসানী ভাই, আমি জানতাম মুমিনের হৃদয়ে ঘৃনা নয় বরং ভালবাসার চাষ হয়।

আপনি সম্ভবত ব্যাতিক্রম - আপনার হৃদয়ে ঘৃনা, প্রতিশোধ পরায়নতা, প্রতিহিংসার ব্যাপক উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে! ......

আচ্ছা নাঈম ভাই আপনার মতে তবে মুসলমানরা কি ক্লিব টাইপ কিছু হবে? বা বোধহীন জড় কিছু?

কোরআন কি বলেছে এব্যাপারে-
তারা বিশ্বাসীদের প্রতি কোমল কিন্তু অবিশ্বাসীদের প্রতি কঠোর!

আবার কঠোরতারও হিন্টস দিয়েছে- যে তাদের নাম শুনেই শত্রু শিবিরে আতংক তৈরি হবে। শত্রুদের অন্তারত্মা কেঁপে উঠবে!!!


আচ্ছা এবার বলুন ৭১ এর সকল অপরাধ কি আপনার কাছে তুচ্ছ? বা ক্ষমার অযোগ্য! বা ইসলামী কায়দায়ই বলেন তারা (৭১এ শহীদ পরিবার) কি রক্তপণ নিতে সম্মত হবে? যদি না হয় তবেতো বিধানানুসারে শাস্তিই প্রযোজ্য! এখানেতো হিংসার কিছু নেই। আছে কি?

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৪

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: এক্সাক্টলি ভাই, কোটি কোটি মানুষ আজকে নিহত ও ধর্ষিতদের পরিবার।

ধর্ষণের পর যে রক্তবীজ রেখে গিয়েছিল পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী, বিহারী মারোয়াড়ি রাজাকার এবং বাংলাদেশের বুকে জন্মানো কুলাংগার রাজাকাররা, সেই বীজ থেকে যে ফুটফুটে নিষ্পাপ শিশুরা জন্মেছে, তারা আজকে কোথায় এই প্রশ্নটা জামায়াত সমর্থকদের করা যায়।

কত লক্ষ নারী অকল্পনীয় ট্রমার ভিতর দিয়ে গেছে। কত হাজার নারী খ্রিস্টধর্মে দীক্ষিত হয়েছে শুধু তাদের কারণে! এই পাকিস্তানী সেনা আর তাদের বাঙালি দোসররা এই নারীদের জীবন মরণ সব তছনছ করে দিয়ে গেছে। হাজারো পিতৃপরিচয়হীন সন্তান আজো পশ্চিমা বিশ্বে খ্রিস্টধর্ম অনুসরণ করছে।

বেচারারা আত্মপরিচয় জানে না, বেচারারা আত্মদেশের পরিচয় জানে না, বেচারারা এত করুণ এক জীবন ধারণ করছে যে জীবনে আপন জন্মদাতা পিতাকে শ্রদ্ধা করতে পারে না আর মাতার বুকের দুধ কখনো পেয়েছে কিনা সেইটা জানার সুযোগও নেই।

ওই নারী ও শিশুদের আশ্রয়দাতা মাদার তেরেসা এই পাকিস্তানি তথাকথিত মুসলিম সৈন্য ও রাজাকারদের চেয়ে লক্ষ লক্ষ কোটি গুণ ভাল।

১৩| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:০৩

হাসান নাঈম বলেছেন: @ বিদ্রহী ভৃগু:

দেখুন অপরাধীকে বিচারের মাধ্যমে সাস্তি দেয়া এক জিনিষ আর কিছু ব্যাক্তিকে টার্গেট করে আইন বদলিয়ে, আদালতকে প্রভাবিত করে হত্যা করা সম্পুর্ণ ভিন্ন বিষয়।

আপনারা গত চব্বিশ বছর ধরে ( '৯১ এ জামাতের সমর্থনে বি.এন.পি. ক্ষমতায় যাওয়ার পর থেকে ) কিছু ব্যাক্তিকে টার্গেট করে মিথ্যা প্রচারনা চালিয়েছেন। অথচ আপনাদের জাতির পিতা শেখ মুজিব তার প্রথম সরকারের সময়ই ঐসব অপরাধের জন্য কারা দায়ী সেই সিদ্ধান্ত দিয়ে গেছেন। তিনি ১৯৫ জনকে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছিলেন যেখানে এ'দের কার নাম ছিল না।

তিনি লক্ষাধিক মানুষের বিরুদ্ধে দালাল আইনে মামলা করেছিলেন, যার মধ্যে এক জনকে ফাঁসি দেয়া হয়েছিল। ১১ হাজারেরমত বিচার প্রার্থী জেলে আটক ছিলেন - তাদের মধ্যেও এরা কেউ ছিল না।

তাহলে আপনারা কিসের ভিত্তিতে এ'দেরকে সেই অপরাধের দ্বায়ে অভিযুক্ত করলেন? কেন করলেন? তাহলে কি আপনারা আপনাদের পিতার কাজের প্রতিও শ্রদ্ধাশীল নন? শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে হত্যা করার জন্য দেশের আইন আদালততো বটেই নিজেদের ঘোষিত জাতির পিতাকেও এইভাবে অশ্রদ্ধা দেখালেন??

তার পরও যদি আপনারা সৎ হতেন তাহলে 'আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ আইন' অপরিবর্তিত রেখেই বিচার করতেন। আইন এবং অপরাধ যখন আন্তর্জাতিক তখন কিছু বিদেশী অভিজ্ঞ বিচারক ও আইনজীবি এনে ট্রাইবুনালকেও সত্যিকারের আন্তর্জাতিক মানের করতেন - করলেন না কেন?

বরং আপনারা টার্গেটকৃত ব্যাক্তিদের হত্যার জন্য আইন বদলে দিয়েছেন, স্কাইপে কেলেঙ্কারীতে ট্রাইবুনালের প্রধান পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছে। তার পরও ট্রাইবুনাল সরকার ও বামপন্থীদের এত চাপের মুখেও যখন কাদের মোল্লাকে ফাঁসি দতে পারল না তখন শুরু করলেন শাহবাদের উম্মত্ততা। কেন? তাহলে যে ট্রাইবুনালের রায় বাদি - বিবাদী কেউ মানে না সেই ট্রাইবুনালে ন্যায় বিচার কিভাবে হবে??

আন্দোলন করে আইন বদলিয়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালতকে সর্বাধিক প্রভাবিত করে যখন টার্গেটকৃত কিছু ব্যাক্তিকে হত্যা করা হয় তখন সেটাকে বিচারিক হত্যাকান্ড ছাড়া আর কী বলা যায় বলুন?

১৪| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:১২

হাসান নাঈম বলেছেন: @ বিদ্রহী ভৃগু:

কোরআন কি বলেছে এব্যাপারে-
তারা বিশ্বাসীদের প্রতি কোমল কিন্তু অবিশ্বাসীদের প্রতি কঠোর!

আবার কঠোরতারও হিন্টস দিয়েছে- যে তাদের নাম শুনেই শত্রু শিবিরে আতংক তৈরি হবে। শত্রুদের অন্তারত্মা কেঁপে উঠবে!!!

মুমিনের পরিচয় হিসেবে এই দুটি বৈশিস্ট আপনার খুব পছন্দ হয়েছে বুঝা গেল। কিন্তু মুমিন হতে গেলেতো আরও অনেক কিছু লাগে। আপনাকে আমি প্রশ্ন করি - আপনি যাদের পক্ষ হয়ে এই বৈশিস্টের দ্বাবি করছেন সেই শাহবাগী, আওয়ামী লীগ, ছাত্র লীগ, যুবলীগ, বামপন্থী বুদ্ধিজীবি - এ'দেরকে কি আপনার সত্যিকারের মুমিন মনে হয়?

যাদের অনেকে রাস্তায় মানুষ পিটিয়ে মেরে লাশের উপর নৃত্য করে, অনেকে রাসুলের (স.) কে নিয়ে কুৎসিত ব্লগ লেখে, যাদের কেউ কেউ ধর্ষণের সেঞ্চুরী করে মিস্টি বিলায়, স্বার্থের দ্বন্দে মাঝে মাঝেই নিজেরা নিজেরা খুনাখুনি করে . . . . . . . . তাদেরকে যদি আপনার প্রকৃত মুমিন মনে হয় এবং তাদের মাঝে ঐদুটি বৈশিস্ট দেখে পুলকিত হন তাহলে আমার কার কী বলার থাকে??

১৫| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: @হাসান নাঈম ...
ভাই আবেগে অনেককিছূ গুলীযে ফেলেছেন।

এই পোষ্টের এবং আমার পয়েন্ট অব ভিউ রাজাকারদের প্রতি ঘৃণা এবং তাদের শাস্তি!
রাজাকার বেয়াই হলেও যেমন ঘৃণা কমে যায় না.. আবার বিএনপি বা ইসলামী লেবাস গায়ে উঠালেও তা হালকা হয় না। এইটুকুতে তো একমত!

বঙ্গবন্ধুর সকল কাজেই যে সকলে সহমত তা কিন্তু নয়। আবার নতুন দেশ গড়ার প্রয়োজনে বা বাহ্যিক চাপে অনেক সময় অনেক কিছূ করতে হয়েছে, হয়- তাই বলে আপনার স্বক্ষমতার সময়েও তা পাচে পুচে রাখবেন তাতো হয় না।! নাকি?

জাতিগত সঠিক নিরপেক্ষ ইতিহাস লিখতে গেলে আপনাকে যে নির্শোহ নিরপেক্ষ দৃষ্টভঙ্গি ধারন করতে হবে- সেখানে দাড়িয়ে দেখুন- আত্মীয়তা, আবেগ, দলান্ধতা, রক্তের বন্ধনের মায়া সব ছেড়ে ছুড়ে একজন দ্রষ্টা হিসেবে দেখুন- মূল্যায়ন করুন- সেখানে ঘৃণা ছাড়া কি আর কিছু আসে?

দলীয় নির্যাতন, দলীয় দৃষ্টভঙ্গিতে নির্মুলের পথে হাটা সে সব ভিন্ন বিষয়! কোন দলকে কেউ চাইলেই নির্মুল করতে পারেনা- আবার মুসলিম লীগের মতো বড় দলও আপনাতেই সেমিনার ভিত্তিক দলে পরিণত হয়!!!

ট্রাইবুনাল, বিচার প্রক্রিয়া, শাহবাগী চেতনা নিয়ে বহু বহু মতপথ রয়েছে। জনসাধারন সত্য বোঝে বলেই তারা এখন আবার নিঃসঙ্গ! তাদের ধান্ধা, দলান্ধতা, অন্যের হয়ে ভ্যবহৃত হওয়াই তাদের বহুধা বিভক্ত করেছে! সে সব কিন্তু কোনটাই রাজাকারীকে জাস্টিফাই করে না!!!

আপনি একজন একনিষ্ট জামাত সমর্থক বা কর্মী বা নেতা ধরে নিলাম।

আচ্ছা বলুনতো স্বাধীনতার পর ৪০ বছরেও কারোই মনে হলোনা অতীতের জণ্য একটিবার ক্ষমা চাই।
পাকিস্তার রক্ষার যে অজুহাত তখন দেখানো হয়েছিল, ধর্মের নামে তা যে কতখানি অসার ছিল তাকি আজো বোঝনে নি!!!??

আজ পাকিস্তানে মসজিদে বোমা মেরে নামাজরত মুসল্লিদের হত্যা করে কোন ইসলাম তারা কায়েম করছে????

ভাই প্রত্যেকটা পৃথক ভাবে বিচার করে আবার সু-সমন্বয়ের সাথে ভাবুন দেখবেন সত্য আপনাতেই পরিস্কার!

১৬| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: @হাসান নাঈম ... আপনি লিখেছেন--

আপনাকে আমি প্রশ্ন করি - আপনি যাদের পক্ষ হয়ে এই বৈশিস্টের দ্বাবি করছেন সেই শাহবাগী, আওয়ামী লীগ, ছাত্র লীগ, যুবলীগ, বামপন্থী বুদ্ধিজীবি - এ'দেরকে কি আপনার সত্যিকারের মুমিন মনে হয়?

যাদের অনেকে রাস্তায় মানুষ পিটিয়ে মেরে লাশের উপর নৃত্য করে, অনেকে রাসুলের (স.) কে নিয়ে কুৎসিত ব্লগ লেখে, যাদের কেউ কেউ ধর্ষণের সেঞ্চুরী করে মিস্টি বিলায়, স্বার্থের দ্বন্দে মাঝে মাঝেই নিজেরা নিজেরা খুনাখুনি করে . . . . . . . . তাদেরকে যদি আপনার প্রকৃত মুমিন মনে হয় এবং তাদের মাঝে ঐদুটি বৈশিস্ট দেখে পুলকিত হন তাহলে আমার কার কী বলার থাকে!!



আপনার প্রশ্নে আমিও তব্দা! :( :( B:-)

কে কবে কোথায় কখন তাদেরকে মুমিন বললো????? কি বলছেন এসব???

আপনার প্রশ্নে ! আমারও কীইবা বলার আর থাকবে বলুন!!!!!!



তবে আপনারা যত কঠোর ! আল্লাহ কিন্তু তত নন!!

শাহবাগী, লীগ-বামপন্থী উল্লেখ নাই বটে- তবে তিনি বলেছেন- আরও বড় দৃষ্টিকোনে-
" চাই তারা ইহুদী, হোক, নাসারা, বা অগ্নি উপাসক - যে, সৎ কাজ করবে আমি তাকে পুরস্কার দিব।"

যে যতটুকু ভাল বলবে ভালটুকু নিতেতো আমার আপত্তি থাকার কথা নয়।

নয় কি?

আচ্ছা আরও সহজ করে একটু জানতে চাই- সহজ ভাবেই উত্তর দেবেন আশা করি!

মুমিন, মুসলমান, বিশ্বাসী, এর পর্যাক্রম আপনার চোখে কোনটি আগে কোনটি পড়ে!

১৭| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৫১

হাসান নাঈম বলেছেন: @ বিদ্রহী ভৃগু:

আপনাকে অতি পরিচিত সেই গল্পটার কথা স্বরণ করিয়ে দেই, তাহলে হয়ত বর্তমান পরিস্থিতি কিছুটা হলেও বুঝতে পারবেন।

সেই পরিচিত গল্পটা হচ্ছে - রাজা তুই ন্যংটা কেন?

সেখানে ঘটনাটা ছিল এ'রকম যে একদল লোক এসে রাজাকে বল্ল তারা এমন কাপড় বানাতে পারে যা কেবলমাত্র জ্ঞানী বুদ্ধিমানরাই দেখতে পায়। এটা ছিল একটা মিথ্যা কথা। কিন্তু সবাই যখন এই মিথ্যাটা মেনে নিল - তখন তারা একটা চক্রের মধ্যে আটকে গেল। চোখে দেখেও কেউ বলতে পারছিল না যে রাজা ন্যাংটা। কারণ যদি বলে তারা কাপড় দেখছে না তাহলেই বলা হবে যে তাদের জ্ঞান বুদ্ধি নাই।

এখানে্ও ঠিক সেই কাজটাই করা হয়েছে। ৭১ থেকে ৯১ পর্যন্ত যাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের কোন অভিযোগ ছিল না, আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় যাওয়ার পথে বাধা হওয়ার কারণে সেই জামাত নেতাদের যুদ্ধাপরাধী হিসেবে প্রচার করা শুরু হল। দেশের অধিকাংশ বুদ্ধিজীবি এই মিথ্যাটি মেনে নিলেন, অথবা প্রতিবাদ করলেন না। ব্যাপক প্রচার প্রপাগান্ডার মাধ্যমে এটা যখন প্রতিষ্ঠিত করা হল - তখন সেই গল্পের মত সবাই একটা চক্রের মধ্যে আটকা পরে গেলেন। কেউ এখন আর আওয়ামী লীগের শত অপকর্মের কোন প্রতিবাদ করতে পারে না - কারণ কিছু বলতে গেলেই বলা হয় যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচালের চেস্টা। অথবা যুদ্ধাপরাধীদের সহযোগী। বি.এন.পির করুণ অবস্থাতো দেখছেনই - তাই না??

আপনি যদি প্রথম মিথ্যাটা প্রত্যাখ্যান করতে না পারেন - তাহলে এই চক্র থেকে বের হওয়ার কোন উপায় নাই। এবং যতদিন এই চক্র থেকে বের হতে না পারবেন ততদিন আওয়ামী লীগের সব অপকর্ম মুখ বুজে সহ্য করা ছাড়াও কোন উপায় থাকবে না। এমনকি এর পরিনতিতে বি.এন.পির মত বড় দলের বিলুপ্তিও অসম্ভব নয়।

এবার আপনার কথার প্রসঙ্গে আসি-

আপনি ক্ষমা চাওয়ার যে কথা বলেছেন সেটা করা যেত, যদি তারা সত্যিই কোন অন্যায় করত। যে অন্যায় তারা করেন নাই তার জন্য ক্ষমা চাওয়ার দ্বাবি কিভাবে করা যায়?

আপনি হয়ত ভাবছেন আমি দলীয় নেতৃত্বের পক্ষে কথা বলছি। কিন্তু আপনি কি ভেবে দেখেছেন দেশের জনগন তাদেরকে আপনাদেরমত বা আওয়ামী বামপন্থীদেরমত একই দৃস্টিতে দেখে কী না? আপনি নিজেই বলেছেন মুসলিম লীগেরমত দল বিলুপ্ত হয়েছে, জাসদেরমত জনপ্রিয় দল প্রায় মারা গেছে। এই তালিকায় যোগ করুন নেজামে ইসলাম, খেলাফত মজলিস, ইসলামী ঐক্য আন্দোলনসহ আরো অনেক ধর্মভিত্তিক দল। তারা বাংলাদেশের মানুষের মাঝে কোন আবেদন তৈরী করতে পারে নাই। যদিও তাদের বিরুদ্ধে মিডিয়ার তেমন কোন নেতিবাচক প্রচারণাও ছিল না।

এবার চিন্তা করুন জামাতের কথা। '৭১ এ জামাতের যে জনশক্তি ছিল বর্তমানে তা কম করে হলেও ১০০ গুন বৃদ্ধি পেয়েছে। তাও কী ব্যাপক নেতিবাচক প্রচার প্রপাগান্ডা মোকাবেলা করে! আপনার কী মনে হয়, ওনারা যদি সত্যিই ঐ রকম অপরাধী হতেন তাহলে এটা সম্ভব ছিল?

আপনি যেভাবে ক্ষমা চাইতে বলছেন সেভাবে ক্ষমা না চেয়ে, এমনকি কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর করার পরও আওয়ামী অবৈধ সরকার নিয়ন্ত্রিত গত উপজেলা নির্বাচনে দেড় শতাধিক উপজেলায় চেয়ারম্যান/ভাইস চেয়ারম্যান পদে জামাত নেতারা জিতেছে, যাদের মোট ভোটের সংখ্যা কোটির উপরে। সত্যিকারের নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে এই সংখ্যা দুইশ ছাড়িয়ে যেত।

তাহলে জামাতকে অপরাধী মনে করে কতজন বুদ্ধিজীবি শ্রেনীর মানুষ, আর জামাতকে সমর্থন করে কতজন স্বাধারণ মানুষ সেই হিসেব করলে আপনি দখেবেন অল্প সংখ্যক বুদ্ধিজীবির সমর্থনের আশায়, না করা অপরাধের জন্য ক্ষমা চাওয়ার চেয়ে বেশী সংখ্যক স্বাধারণ মানুষের সমর্থনের জন্য নিজ অবস্থানে দৃঢ় থাকাই উত্তম। আর নিজ অবস্থানে দৃঢ় থেকে মৃত্যুকে বরণ করে নেয়ার মাধ্যমে যে সত্য প্রতিষ্ঠিত হয় তার মুল্য কি কম? কাদম্বিনি যেমন মরিয়া প্রমান করেছিল যে সে মরে নাই, জামাত নেতারাও তেমনি ফাঁসির দড়িতে জীবন উৎসর্গ করে প্রমান করছে যে তারা কোন অন্যায় করে নাই।

যাই হোক, আমার ব্লগে আপনাকে আমন্ত্রন জানাচ্ছি। সেখানে এই বিষয়ে আর একটা পোস্ট আছে। দেখবেন আশা করি।

১৮| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:০৩

হাসান নাঈম বলেছেন: "চাই তারা ইহুদী, হোক, নাসারা, বা অগ্নি উপাসক - যে, সৎ কাজ করবে আমি তাকে পুরস্কার দিব।"

"যে যতটুকু ভাল বলবে ভালটুকু নিতেতো আমার আপত্তি থাকার কথা নয়।"

যদি তাই হয় তাহলে কি আপনি জামাতের ভালটুকু নিতে পারবেন? না কি আপনার ধারনা জামাতের ভাল কিছুই নাই? কোটি মানুষ জামাতকে ভোট দেয় কোন ভাল কিছু না দেখেই??

আর আওয়ামী লীগ বর্তমানে যা করছে তাকে আপনার কাছে ভাল মনে হলেও আসলেই সেটা ভাল হচ্ছে কী না তা ভবিষ্যতে বুঝা যাবে। তারা যেভাবে দেশের আইন আদালতকে ব্যাবহার করছে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে হত্যার জন্য তাকে ভাল বলাও এক ধরনের অপরাধ।

স্বরণ করুন, হিটলার যখন ইহুদীদের গ্যাস চেম্বারে ঢুকিয়ে হত্যা করছিল তখনও জার্মানরা অনেকেই সেটাকে ভাল কাজ মনে করত। হিটলারের সহযোগী হিসেবে বহু জার্মান সেই কাজে সহায়তাও করেছিল। কিন্তু হিটলারের পতনের সাথে সাথে পুরো বিশ্বের সাথে জার্মানরাও সেই কাজকে জঘন্য নৃশংসতা হিসেবে ঘৃনা করা শুরু করে।

বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারও প্রশাষন ও মিডিয়ার কর্তৃত্ব দখলে রেখে আদালতকে ইচ্ছামত ব্যাবহার করে নিজেদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ জামাত নেতাদের খুন করছে। ক্ষমতার প্রভাবে বহু লোক তাদের সমর্থক হলেও আপনি নিশ্চিন্ত থাকুন - ক্ষমতা ছাড়া বা হারানোর সাথে সাথে এ'দের কাউকে আর খুজেও পাবেন না।

কাজেই আওয়ামী লীগ খুব ভাল কাজ করছে এটা বলার সময় এখনও আসে নাই। আর তাই তাদের ভালটা সমর্থনের প্রশ্নও আসছে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.