নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বুলি বলে শুনতে পাই, রূপ কেমন তা দেখি নাই, ভীষম ঘোর দেখি।। পোষা পাখি চিনলাম না, এ লজ্জা তো যাবে না, উপায় কী করি, আমি উপায় কী করি।।
ছবি: শীর্ষ ১০ আলিম হত্যায় নেমে পড়ার পর গ্রেফতার শিবিরকর্মী। লিস্ট করা এই ১০ আলিমের একজন আল্লামা ফারুকী র. কে জবাই করা হয়।
মতবাদের নামে সন্ত্রাসের বিরোধী বিখ্যাত উপস্থাপক আল্লামা নূরুল ইসলাম ফারুকী রা. কে আজ রাত নয়টার পর তাঁর বাসভবনে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে। ঠিক ৭১ সনে বাংলাদেশের প্রতিটা শহরে যে ঘটনা ঘটতো, সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। ১৪ ডিসেম্বর পরাজয় নিশ্চিত জেনেও ন্যায়বিচার ও স্বাধীনতার বিরোধী পশুশক্তি বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীদের যেভাবে হত্যা করেছিল, সেই ঘটনার ছায়া খেলে গেল।
ইরাক, সিরিয়া, লেবানন, আফগানিস্তান, পাকিস্তান, উত্তর আফ্রিকার তিউনিশিয়া, লিবিয়া, বা মধ্য আফ্রিকার নাইজেরিয়ার দেশগুলোর মত, মধ্য এশিয়ার দেশগুলোর মত, আরব দেশগুলোর মত মতবাদের নামে নিরস্ত্র অসহায় মানুষকে জবাই করে হত্যা করা বাংলাদেশেও শুরু হল।
মতবাদের পার্থক্যের কারণে মানুষকে হত্যা করা যায় না। ধর্মর নামে, ফিরকার নামে, ভাষা জাতি বর্ণের নামে নিরস্ত্র মানুষকে হত্যা করা যায় না। কিন্তু তাদের ইসলাম ধর্ম কে শেখাবে? তাদের কুরআন হাদীস কে শেখাবে? মানবতা বিবেকের কথা নাহয় বাদই রইল।
যতদূর জানা যায় ঘাতকদের তিনদিন ধরে যাতায়াত চলছিল তাঁর বাসায়। তাঁর হজ এজেন্সি ছিল, সেই সূত্র ধরে। প্রথমে দুজন যায় এবং পরে তিনজনের মত। পরিবারের সদস্যদের অন্য রুমগুলোয় আটকে রেখে কারো কারো চোখ বেঁধে ডাইনিং স্পেসে গলা কেটে হত্যা করে পালিয়ে যায় পশুর দল।
আল্লামা ফারুকী রা. আলিয়া মাদ্রাসা ক্ষেত্রের উজ্জ্বল ছাত্র ছিলেন। কর্মজীবনের লম্বা সময় অতিবাহিত করেন আরব বিশ্বে, ইমাম হিসাবে। দেশে ফিরে এসে চ্যানেল আই এর বিখ্যাত কাফেলা অনুষ্ঠান তৈরি শুরু করেন। সারা পৃথিবীর ইসলামি নিদর্শনসমূহ সরেজমিন প্রচারিত হতো প্রতিদিন রোজার ইফতারের সময়। দুই শতাধিক পর্ব করেন। সম্পূর্ণ আরব বিশ্ব সহ উত্তর আফ্রিকা, মধ্য এশিয়া এমনকি ভারত পাকিস্তান ও মাতৃভূমি বাংলাদেশের মুসলিম নিদর্শনসমূহ তিনি দেখিয়েছেন অনুষ্ঠানে। পাশাপাশি সেই নিদর্শনের সাথে জড়িত কুরআনের আয়াত, হাদীসসমূহ এবং ঘটনা ও বইপত্রের রেফারেন্স সহ আলোচনা করতেন। ইসলামের পূর্ববর্তী নবীগণের নিদর্শনের পাশে স্থান দেখিয়ে দেখিয়ে ঘটনা বর্ণনা অসাধারণ চিত্রকল্প তৈরি করতো। এছাড়াও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নিতেন। টেলিভিশনে ইসলামি মাসআলা ও ফতোয়ার অনুষ্ঠানগুলোতে তাঁর উপস্থিতি ছিল উজ্জ্বল।
সর্বশেষ তিনি বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট মসজিদের জুমার নামাজের খতিব ছিলেন।
রাসূল দ.'র হাদীস থেকে, কুরআন থেকে বারবার আমরা বারবার পাই, আমি মধ্যপন্থী, আমার উম্মাহ মধ্যপন্থী। তোমরা ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করো না। অতীতে যারাই ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করেছে, তারাই ধ্বংস হয়ে গেছে। যে একজন নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করলো, সে পুরো মানবজাতিকে হত্যা করল। যে কাফির নয় এমন কাউকে কাফির বলে, সে কাফির হয়ে যায়। যে মুশরিক বলে আক্রমণ করে নিজ প্রতিবেশিকে, সে মুশরিক হয়ে যায়।
এই মধ্যপন্থী মানুষটা কোনক্রমেই জামাত শিবির রাজাকার আলবদরের সাথে আপোষ করেননি। হেফাজতের নাটকে অংশ নেননি, বরং টেলিভিশনে, রেডিওতে মানুষকে সচেতন করেছেন।
তিনি কোনদিন অস্ত্র তুলে নিতে বলেননি, যুদ্ধ করতে বলেননি, আক্রমণ করতে বলেননি। যা তার সত্য মনে হয়েছে, যা সত্য বলে তিনি জেনেছেন ৫৫ বছরের দীর্ঘ জীবনে, সেই কথাই বলেছেন। বাংলা মায়ের সাথে তিনি প্রতারণা করেননি, বাংলাদেশের সাথে ঘাতকতাকারীদের সাথে কোনমতেই হাত মেলাননি।
এই মানুষটাকে আমরা দেখি পর্বের পর পর্বে, ইসলামের শত শত নিদর্শনে গিয়ে কাঁদতে। কেঁদে কেঁদে এই নিদর্শনসমূহের সাথে জড়িত মহান ঘটনাগুলোকে বলতে।
হায়, একজন আবেগী মধ্যপন্থী মানুষ নিজ দেশকে, নিজ নবী ও তাঁর প্রিয়জনদের, ধর্মকে ভালবাসার 'অপরাধে' যখন হত্যাকান্ডের শিকার হয়, তখন বুঝতে হবে, দেশের ভিতরে কোন পাশবিক মাত্রার পরিবর্তন আসছে। এবং আল্লাহ ভালবাসেন না অত্যাচারী জাতিকে।
(পোস্টটি আপডেট হবে পর্যায়ক্রমে।)
২৮ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৯:০৬
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
২| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:৪১
না পারভীন বলেছেন: ইন্নালিল্লাহি,,,, রাজিউন
মর্ম বিদারক সংবাদ। কাফেলা অনুষ্ঠান খুব ভাল লাগতো
২৮ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৯:০৮
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
আপু, কাফেলার শত শত পর্বেই আছে, এই মানুষটা কী বিশ্বাস করতেন।
এখন জবাই করে সাথে সাথে শুরু হয়েছে অপপ্রচার।
৩| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:০৪
সুমনদেশ বলেছেন: এমন নিষ্ঠুর, নৃশংস হত্যাকাণ্ড কি কারণে, কারা করলো?
রাজধানীতে ঠিক এভাবে আরও কয়েকটি হত্যাকাণ্ড হয়েছে। কিন্তু সেগুলোর কোনও সুষ্ঠু তদন্ত বা বিচার হয়েছে কি? সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনির হত্যাকাণ্ডের মোটিভ ও হত্যাকারীরা হদিস এখনও পাওয়া যায়নি। এসব হত্যাকাণ্ডের খবর পড়লে মানসিকভাবে যে কেউ বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে।
২৮ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৯:২৬
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: জবাই করে হত্যা করা নতুন কিছু নয়। একজন একজন করে জবাই হবে, তারপর একেকটা কথা বলা হবে। সূফিতত্ত্বের অনুসারী হলে তাকে জবাই করার কারণ হালাল করতে বলা হবে 'মাজার পূজারী'। লোকটা সারা জীবন মসজিদের ইমাম ছিল নাকি জীবনভর হজ করেছে সেসব ধর্তব্য নয়। সুপ্রিম কোর্ট মসজিদের খতিব হলেও না। সব 'শিক্ষিত' বলবে, তাহলে তো ঠিকই আছে। আওয়ামী হোক আর অ-আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা বা তাদের সন্তান। এদের জবাই করে বলা হবে, 'নাস্তিক'। নাস্তিক মেরেছে? ঠিকই তো আছে। হিন্দু বৌদ্ধদের তো মানুষই ধরা হয় না, এদের জবাই করলে আর কারণ বলার প্রয়োজন পড়বে না। একাত্তর সালে লক্ষ লক্ষ মানুষকে জবাই করে বলা হয়েছিল, 'বিচ্ছিন্নতাবাদী, ভারতের দালাল'।
দুইদিন পর ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট আছে এমন যে কাউকে জবাই করে বলা হবে, 'সুদখোর'।
স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া যে কাউকে জবাই করে বলা হবে, 'পশ্চিমা কুফরি শিক্ষার চর্চাকারী'।
ভোটার আইডি কার্ড আছে এমন যে কাউকে জবাই করে বলা হবে, 'কুফরি গণতন্ত্রের দালাল'।
ধূমপান করে এমন যে কাউকে জবাই করে বলা হবে, 'সমাজে হারাম নেশার প্রচারক'।
কিন্তু যারাই জবাই হবে, তাদের সবার মধ্যে একটা বিষয় কমন পাওয়া যাবে। তারা জামাত-শিবির-রাজাকারের বিরোধীতা করেছিল কোনকালে। ইসলামের নামে সন্ত্রাস করে এমন অসংখ্য নানা নামের একই দলের অনুসারী নয়, তাদের বিরোধীতা করেছিল কোনকালে।
যারাই জবাই দেখে হাততালি দেয়, তারা জানে না, এই দু:স্বপ্ন তাদের ঘাড়ের উপর হুমড়ি খেয়ে পড়বে। তার বাপ-চাচা-ভাই এইসব বাহানায় জবাই হবে। তার মা-বোন এইসব বাহানায় হালাল হবে।
না, এইটা কোন বাড়বাড়ন্ত কথা না। মূর্খদের হিসাবের বাইরে রাখলাম। যাদের চোখকান আছে তারা জানে ইরাকে সিরিয়ায় আফগানিস্তানে পাকিস্তান-লিবিয়া-তিউনিশিয়া-মিশর-জর্ডান-ফিলিস্তিন মধ্য এশিয়া উত্তর আফ্রিকা মধ্যপ্রাচ্যে কী হচ্ছে। কী দোহাই দিয়ে মানুষ খুন করা হচ্ছে জবাই করে!
৪| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:০৭
রয়াজ বলেছেন: নুরুল ইসলাম ফারুকী ছিলেন বেরেলভী আকিদার আলেম এই বেরেলভী আকিদার আরেকজন আলেম হলোঃ তাহের উল কাদরী(Tahir Ul Qadri), এই আলেম খ্রিষ্টান দের বড়দিন এ খ্রিষ্টানদের সাথে বড়দিন পালন করেছে। ইউটিউব এ ভিডিও আছে। গানে নেচেছে,যারা করাচীতে থাকে তাদের জন্য সুদ দেওয়াকে হালাল বলেছে
২৮ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:৫৩
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: বুঝলাম না। আমিও বেরলভি। আমারও তাহির উল ক্বাদরী সাহেবকে ভাললাগে।
এখন আমারেও জবাই করবেন নাকি?
বাংলাদেশে কত কোটি আছে জানেন?
আর সুদের রেফারেন্স দেন। তাড়াতাড়ি দেন, কারণ আপনার সাথে এরপর কথা আছে। কথা কিছুই বলি নাই।
৫| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:৪৭
আফসানা যাহিন চৌধুরী বলেছেন: রাব্বুল ’আলামীন নিশ্চই তাঁর বান্দাকে তার উপযুক্ত প্রাপ্য দেবেন... আর “যালীমদের কোন সাহায্যারী থাকবেনা”।
অনেক ধন্যবাদ ভাই..
২৮ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৯:৩৯
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: জামাত শিবির রাজাকারের সব দিক ধ্বসিয়ে দিতে তারা নিজেরাই যথেষ্ট।
একজন মানুষ যখন দেখবে, সে কোনদিক দিয়ে নিরাপদ নয়। সে যে কোন অজুহাতে যে কোন কারণে জবাই হতে পারে এদের হাতে, তখনি এই পশুগুলোর সামাজিক রাষ্ট্রীয় সবদিক দিয়ে চূড়ান্ত পতন হবে।
পৃথিবীর একজন মানুষও এই আইএস-আল কায়েদা-তালেবান-হিজবুত তাহরীর-হেজবুত তওহীদ-জেএমবি-বোকো হারামের সামনে নিরাপদ নয়। পৃথিবীতে তাদের মতবাদের মানুষ ছাড়া আর কেউ তাদের অস্তিত্ব থাকলে নিজেকে এবং পুরো বিশ্বকে নিরাপদ ভাবে না।
একবার কল্পনা করা যায়, কোন কারণ ছাড়া চলার পথে, নিজের বাসায় বা যে কোন জায়গায় পাইকারি বোমা হামলা বা খুচরা চাপাতি আমাদের উপর নেমে আসতে পারে। নেমে আসছে।
এই বিষবৃক্ষের গোড়া এমন যা নিজেই নিজেকে উপড়ে দিবে।
৬| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:০১
আহসানের ব্লগ বলেছেন: জামাত শিবিত ধংশ হোক।
২৮ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:৫৩
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: এদের সাথে সহাবস্থান অসম্ভব একটা বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। একটা দেশে, একটা সমাজে মানুষ পাশাপাশি থাকবে। কেউ ভয় পাবে না কাউকে।
এই অতি সরল বিষয়টা এখন এতই জটিল হয়ে উঠেছে যে কল্পনারও অতীত।
৭| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:৩৫
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: লিসািন ভাই, শুধুমাত্র সাহাবাদের ক্ষেত্রে রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু সংক্ষেপে (রাঃ) লেখা হয়। সাহাবাদের পরবর্তী যে কোন যুগের দ্বীনি বুজুর্গদের জন্য রাহমাতুল্লাহি আলাইহি সংক্ষেপে (রহঃ) লেখা হয়। একটু ঠিক করে দিয়েন। আর যে কোন হত্যাকান্ডই তীব্র নিন্দনীয়।
২৮ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:৫৬
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: নির্দোষ নিরস্ত্র মানুষকে হত্যা করা যে তারচেও বেশি নিন্দনীয়!
নবী দ.'র পর সাহাবা রা. গণের সমপর্যায়ে আহলে বাইত রা. গণ ছাড়া আর কেউ নেই।
কিন্তু কুরআন অনুযায়ী শহীদগণ রাদ্বিআল্লাহু আনহুম ওয়া রা'দ্ব।
কুরআন হাদীসে যদি পাওয়া যায় যে অ-সাহাবা শহীদগণকে রাদ্বিআল্লাহু আনহু বলা যাবে না, তাহলে ভিন্ন কথা।
এম্নিতে আমরা সাধারণত শুধু সাহাবা রা. গণের নামের সাথেই রাদ্বিআল্লাহু আনহু ব্যবহার করি।
৮| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ২:১১
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন
খুবই খারাপ লাগলো।
২৮ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:০১
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: প্রিয় কা_ভা ভাই, এই হত্যাকান্ডগুলোর বিষয়েই আমরা বারবার সতর্ক করছিলাম।
সারা পৃথিবীতে যে হত্যাকান্ড চলছিল, সেটাই অবশেষে বাংলাদেশে ৭১ সালের পর পুন:প্রবেশ করল।
সবকিছু মহান আল্লাহরই কাছ থেকে আসে আর তা তাঁরই কাছে ফিরে যায়।
৯| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ২:২১
খাটাস বলেছেন: লোকটার কাফেলা প্রগ্রাম টা আমার আব্বুর খুব পছন্দ ছিল।
তিনি যে মতেরই হোক, খুনি দের বিচার করার দাবি জানাই।
তবে ব্লগে বেশ কিছু বিভ্রান্তি কর তথ্য এসেছে, খুনের সাথে সাথে এমন তথ্য আসা ভাল লক্ষণ নয়। একটা ভাল তথ্য মুলক পোস্ট দরকার লিসানি ভাই। না হলে আবার হয়ত কোন এক জাতি নতুন করে ক্যাচাল লাগানোর তালে আছে, এবার কিন্তু আর নাস্তিক আস্তিক মনে হয় না। ইসলামের মধ্য। ভাল একটা পোস্ট দেন সব দিক যত টা সম্ভব ঠিক রেখে, মানে শান্তি বজায় রেখে।
২৮ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৯:০৫
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: প্রিয় ভাই, এই লোকটাকে নিয়ে বিতর্কের কিছু নেই। ইনি এমন কিছু করেননি বলেননি, যা বাংলাদেশে বা মুসলিম বিশ্বে অস্বাভাবিক। উদ্ভট সব কথাবার্তা তাকে জড়িয়ে বলা হচ্ছে জবাই করে হত্যা করার পর। যখনি খুনের সাথে সাথে এমন কথাবার্তা বলবে, তখনি দুইয়ে দুইয়ে চার মিলে যাবে।
তাঁর নামাজ রোজা হজ যাকাত বা কালিমায় কোন সমস্যা ছিল না। সারা জীবন মসজিদের ইমাম ছিলেন। মাদ্রাসার প্রখ্যাত আলিম ছিলেন। এর অধিক ইসলামের বিষয়ে আর কী বলার থাকতে পারে!
এই হত্যার কারণ মাত্র একটা, তিনি ছিলেন একজন আইকন। রাজাকার আল বদর জামাতি রক্ষার উন্মাদনায় সমর্থন না দিয়ে বরং সেগুলোকে স্পষ্ট করেছেন। এই হল পাপ।
আসলে এমন প্রচন্ড ঘৃণা হচ্ছে তাদের বিষয়ে, যে মাত্রা রক্ষা করে কিছু বলার নেই।
১০| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৯:৫৮
নতুন বলেছেন: অবাক লাগে হত্যকে জায়েজ করার জন্য মৃতের দোষ প্রচারকরা হয়...
এমন মূখ যেই সমাজে আছে সেখানে কেন দুইদিন পরপর এমন হত্যা হবে না...
হত্যাকারীদোর দৃস্টান্তমুলক সাস্তির ব্যবস্হা সরকারের করা দরকার..
২৮ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:১৯
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: একেবারে স্পর্শ করা কথা ভাই! হত্যাকে জায়েজ করতে মৃতের 'দোষ' প্রচার করা হয়! এমন মূর্খ যে সমাজে আছে সেখানে কেন দুইদিন পরপর এমন হত্যা হবে না?
এমন একটা লোককে নিয়ে তারা এই কথাগুলো বলছে, যিনি বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট মসজিদের খতিব! বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট মসজিদের খতিব হওয়া চাট্টিখানি কথা নয়। যিঁনি পেশায় ছিলেন একজন ইমাম, তাও আবার আরবে এবং বাংলাদেশে। পড়ালেখায় ছিলেন একজন আলিম।
শাইখ আল বুতি'র ছবি দিয়ে বলেছিলাম, এঁর মত করে বাংলাদেশেও মধ্যপন্থী আলিমদের হত্যা করা হবে।
তাদের লেখা পড়লে যে কেউ মনে করবে, ন্যাংটো হয়ে রাস্তায় চলাচল করা একটা অত্যন্ত দুর্গন্ধযুক্ত পাগলকে জনস্বার্থে জবাই করা হয়েছে। জবাইতে যারা খুশি হয়, তাদের প্রতি, দু:খিত, করুণার বদলে পরকালে শাস্তি চেয়ে থাকলাম। কেননা তা হবে ভয়ানক।
১১| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:০০
জহীরুল ইসলাম বলেছেন:
আল্লাহ এই লোকটির মৃত্যুকে শহীদি মৃত্যু হিসাবে কবুল করুন। তাকে জান্নাতুল ফিরদাউস নসীব করুন।
২৮ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:৩৩
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আমিন, আমিন!
বাংলাদেশের সুপ্রীম কোর্ট মসজিদের খতিবের পদটা একটা রাষ্ট্রীয় অত্যন্ত সম্মানিত পদ। এই মানুষটার জবাই হওয়া কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না।
এটা একই সাথে দেশ, আদালত, আলিমগণের উপর আক্রমণ।
১২| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:১০
In2the Dark বলেছেন: এবং আল্লাহ
ভালবাসেন না অত্যাচারী জাতিকে।
৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:১৮
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: এই কাওমায যালিমিন এর অর্থ দেশ হিসাবে, ণৃতাত্ত্বিক হিসাবে, গোত্র হিসাবে, সংঘ হিসাবে, মতবাদ হিসাবে- যে কোন হিসাবেই পরিগণিত হতে পারে।
যারা যুগে যুগে এই হত্যাকান্ড সংঘটিত করেছে এবং যারা এর সমর্থন করেছে, সেই অত্যাচারী গোষ্ঠীকে আল্লাহ ভাল বাসেন না।
১৩| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:৩৫
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: কতগুলো ভন্ড ধর্মবেশ্যা এই হত্যাকান্ডকে জায়েজ কারার ধান্দায় আছে...
৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:২০
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: এদের চিনে রাখতে হবে। এদের মতাদর্শ চিনে রাখতে হবে। মতাদর্শ মানুষকে পশু বানায়, মতাদর্শ মানুষকে মানুষ বানায়।
১৪| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:৪৭
ইছামতির তী্রে বলেছেন: আমাদের বাড়ির সকলে মিলে 'কাফেলা' প্রোগ্রামটি খুব উতসাহ নিয়ে দেখতাম। খুব ভাল লাগত। উনার সম্মন্ধে কিছু কথা শুনে 'কাফেলা'তে উনি কি কথা বলেন তা খুটিয়ে খুটিয়ে দেখতাম। আমার নিজের যতটুকু জ্ঞান আল্লাহ দিয়েছেন সে মোতাবেক আমার সিদ্ধান্ত হলো, উনি এমন কিছু কখনো বলেননি যে কারণে উনাকে 'মাযার-পূজারী বলা যায়। উনার এমন নৃশংস হত্যাকান্ডে যারপর নাই কস্ট পেয়েছি।
যেইসব মহামানবের দাওয়াতের ফলে গোটা বিশ্বে মুসলামানের সংখ্যা বেড়েছে, যাদের প্রাণান্ত পরিশ্রমে ইসলাম দিনে দিনে সজীব হয়েছে সেই ইতিহাসটুকুওই তিনি আমাদের জানিয়েছেন, দেখিয়েছেন। আমরা সাধারণ মানুষ কখনো ইসলামের এত এত প্রিয় জায়গা কোনদিন দেখতে পাব না। আল্লাহর রহমতে উনার মাধ্যমে আমরা তা দেখতে পেয়েছি। দেখার পর মন খুব প্রসন্ন হয়েছে, কোন কোন সময়ে আবেগে চোখ ভিজেছে। আর মনে একান্ত ইচ্ছা জেগেছে 'আহারে! যদি তাদের একবার সালাম জানিয়ে আসতে পারতাম!
ইসলাম জন্মের পর থেকেই ঘরে-বাইরে নানা ষরযন্ত্রের স্বীকার। নবীজীর (সাঃ) এর শেষ কয়েক বছর থেকে ফারুকে আযম (রাঃ) আমল অবধি ছাড়া আর গোটা সময়ে ইসলাম কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে গেছে। এটা এখনো সমান তালে চলছে।
মহান আল্লাহ ইসলামের বিরুদ্ধে সকল ষরযন্ত্রীদের হেদায়েত দান করুন অথবা তাদের সমূলে ধ্বংস করে দিন। আমিন।
মহান আল্লাহ শাইখ নূরুল ইসলাম ফারুকী সাহেবের সকল ভুল-ভ্রান্তি ক্ষমা করুন এবং মৃত্যুকে শহীদি মৃত্যু হিসাবে কবুল করুন।
৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:২১
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই, আমি এই মন্তব্যটায় এতই পূর্ণতা এবং সততার ছোঁয়া পেয়েছি যে, ফেসবুকে স্ট্যাটাস হিসাবে শেয়ার করেছি।
বলার মত ভাষা নেই।
শুধু একটা কথা, বুদ্ধি সম্পণ্ন মানুষকে দুইবার সারপ্রাইজ দেয়া যায় না।
১৫| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:২১
মুদ্দাকির বলেছেন:
আও্য়ামী হাম্বা পক্ষপাতদুষ্ট শিরোনাম ছাড়া বাকি কথা গুলোর সাথে সম্পুর্ণ একমত। একটা ঘটনার পরেই , ভার্ডিক্ট দিয়ে দাওয়া কি ঠিক ???
সূরা নিসা আয়াতঃ২৯,৩০
( يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ لاَ تَأْكُلُواْ أَمْوَالَكُمْ بَيْنَكُمْ بِالْبَاطِلِ إِلاَّ أَن تَكُونَ تِجَارَةً عَن تَرَاضٍ مِّنكُمْ وَلاَ تَقْتُلُواْ أَنفُسَكُمْ إِنَّ اللّهَ كَانَ بِكُمْ رَحِيمًا)
(وَمَن يَفْعَلْ ذَلِكَ عُدْوَانًا وَظُلْمًا فَسَوْفَ نُصْلِيهِ نَارًا وَكَانَ ذَلِكَ عَلَى اللّهِ يَسِيرًا)
"হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না। কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ। আর তোমরা নিজেদের কাউকে হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা আলা তোমাদের প্রতি দয়ালু।আর যে কেউ সীমালঙ্ঘন কিংবা জুলুমের বশবর্তী হয়ে এরূপ করবে, তাকে খুব শীঘ্রই আগুনে নিক্ষেপ করা হবে। এটা আল্লাহর পক্ষে খুবই সহজসাধ্য।"
সূরা নিসা আয়াতঃ ৯৩
(وَمَن يَقْتُلْ مُؤْمِنًا مُّتَعَمِّدًا فَجَزَآؤُهُ جَهَنَّمُ خَالِدًا فِيهَا وَغَضِبَ اللّهُ عَلَيْهِ وَلَعَنَهُ وَأَعَدَّ لَهُ عَذَابًا عَظِيمًا )
"যে ব্যক্তি স্বেচ্ছাক্রমে মুসলমানকে হত্যা করে, তার শাস্তি জাহান্নাম, তাতেই সে চিরকাল থাকবে। আল্লাহ তার প্রতি ক্রুদ্ধ হয়েছেন, তাকে অভিসম্পাত করেছেন এবং তার জন্যে ভীষণ শাস্তি প্রস্তুত রেখেছেন।"
কতটা অন্ধ আমরা ? আমাদের দল কি? আমরা কোন দলের লোক? চলেন সবাই খুনা খুনি শুরু করি !!!
ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউওন।
এই ক্ষতি আল্লাহ আমাদের পুষিয়ে দিন। (আমিন)
৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:৩৪
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আপনার প্রথম দুই লাইনের ব্যক্তিগত কোন জবাব দিচ্ছি না। আমাকে যারা চেনে,তারা চেনে। ব্লগ থেকেই চেনে। তারা ভাল করে জানে।
মুক্তিযুদ্ধটা বাংলাদেশের মানুষের উপর কী হয়ে এসেছিল, মনখোলা প্রত্যেকটা মানুষ তা উপলব্ধিকরে, এজন্য তাকে আওয়ামী হতে হয় না।
এই লোকটার নাম সেই জামাত-হেফাজত সমস্যার সময় ১০ আলিম হত্যার হিটলিস্টে ছিল। তখন আমরা সোচ্চার হয়েছিলাম। যারা হেফাজতে যোগ দেয়নি। যারা শাহবাগেও যোগ দেয়নি।
এই হিটলিস্ট ছিল শিবিরের। এই হিটলিস্ট নিয়ে ধরা পড়েছিল শিবিরের তিনজনের অধিক কর্মী।
প্রতিনিয়ত ফারুকী র. কে একটা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হতো,আপনি মুসলিম উম্মাহর একত্রীকরণের জন্যও তো হেফাজতে সমর্থন দিতে পারতেন।
তিনি বলতেন, অত্যাচারীর সাথে উম্মাহর একত্রীকরণের নামে একমত হওয়া সম্ভব না।
যে অন্যায় করে একটা হত্যা করে, তার পাপ পুরো মানবজাতি হত্যার পাপ। আর তারা অসংখ্য মানুষকে হত্যা করেছে। নিরপরাধ মানুষ।
শিবিরের হিটলিস্টে থাকা মানুষ যখন জবাই করে হত্যা করা হয়, তখন আর কী ভার্ডিক্ট চান আপনি? এটা একটা রিচুয়ালিস্টিক হত্যা। একবার দুইবার এই কায়দায় হত্যা করা হয়নি বাংলাদেশে। ভন্ড ইমামমাহদীর সেনাপতিকে এবং তার পাঁচ অনুচরকে ঠিক একই কায়দায় নিজ বাসায় হত্যা করা হয়েছিল। তার আগে দুইজনকে নিজ বাসায় গলা কেটে ঠিক এভাবে হত্যা করা হয়, যারা এই (স্পেশালি গলা কেটে হত্যা করা ) জঙ্গী সংগঠনের সদস্য ছিল, ছেড়ে চলে গেছে!
আপনি যে আয়াতগুলো দিয়েছেন, তার কোনটাই ওই হাদীস ও আয়াতগুলোকে বাতিল করেনা, বরং সংহত করে।
১৬| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:২১
ট্রপিকানা বলেছেন: উনি নিজে বিদআতি আমল করলে কোন সমস্যা ছিল না,
সমস্যা হল উনি ইসলামি অনুষ্ঠানের আড়ালে জনসাধারনকে বিভ্রান্ত করতেন, বিদআত শিখাতেন।
শিরকের পর সবচেয়ে বড় গুনাহ হল বিদআত, কবীরা গুনাহ থেকেও। কারন যেনাকারীও (কবীরাগুনাহ) জানে সে যটা সে করছে তা ভুল, কিন্তু বিদআতী কোনদিন তার ভুল শিকার করে না।
আমরা বলি আর না বলি "উনি তার কর্মফল পাবেন,পেয়ে গেছেন।
৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:৪০
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: এই কমেন্ট নিদর্শন হয়ে রইল।
সারা পৃথিবীতে আজকে আমাদের জবাই করা হচ্ছে। সারা পৃথিবীতে মাজহাব পন্থী সাধারণ মুসলমানদের জবাই করা হচ্ছে। এবং তখন জবাইকারীদের মনে কী ঘোরে, সেই নিদর্শন রইল।
শুধু একটা কথা, এক বছর পর হোক, দশ বছর পর হোক আর একশো বছর পর হোক, প্রত্যেক খুনীকে বিচারের আওতায় আনা হবে। প্রত্যেকটাকে বুড়ো হয়ে গেলেও চ্যাংদোলা করে নিয়ে গিয়ে ফাঁসির রশিতে ঝোলানো হবে।
ঠিক একাত্তরের রাজাকারগুলোর মত।
আর প্রত্যেক জবাই সমর্থককে চিহ্নিত করে চিনে রাখা হবে। চিনে রাখা হবে এই মতবাদের সমর্থকদের। চিনে রাখা হবে এই মতবাদ প্রচারকারীদের। চিনে রাখ হবে এই খোদ মতবাদকে।
বাংলাদেশের এবং বিশ্বের প্রত্যেকটা মানুষ তাদের পিশাচের মত এড়িয়ে চলবে। তাদের মতবাদকে পিশাচের মত এড়িয়ে চলবে। এই হল তাদের চূড়ান্ত শাস্তি।
কারণ, যে মতবাদের মানুষের সাথে মতবাদ শিখতে গেলেও এই ভয় থাকে, যে, জবাই হয়ে যেতে হতে পারে, সেই মতবাদ কোনদিন মানুষকে স্পর্শ করবে না।
এই সালাফি-আহলে হাদিস-জামাতি-তালেবান-আল কায়েদা-আইএস মতবাদের চূড়ান্ত শাস্তি এখানেই- ওদের সামনে মানুষ নিরাপদ বোধ করবে না। ওদের যে কাউকে পাশে দেখলে চমকে উঠবে। বাসে দেখলে নেমে পড়বে। ঘরে দেখলে বেরিয়ে যাবে।
এই হল চূড়ান্ত অভিশাপ।
১৭| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:৪২
মামুন রশিদ বলেছেন: এভাবে কারো মৃত্যু কাম্য নয় ।
৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:৪৫
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: সারা পৃথিবীতে গত আড়াইশো বছর ধরে এভাবেই মানুষকে হত্যা করে আসছে একটা নব্য মতবাদ।
আমরা বারবার সতর্ক করেছি মামুন ভাই। বারবার বলেছি।
এই কাজ চলে আসছে, এখন চূড়ান্তে পৌছে গেছে। বেছে বেছে প্রকৃত মুসলিম, প্রকৃত মধ্যপন্থী নির্বিষ আলিমদের জবাই করা হচ্ছে প্রতিদিন সারা পৃথিবীতে। পূর্ব দিগন্ত থেকে পশ্চিম দিগন্ত পর্যন্ত।
আল্লাহ কোন জাতির ভাগ্য ওই পর্যন্ত পরিবর্তন করেন না, যে পর্যন্ত তারা নিজেরা প্রাণান্ত চেষ্টা না করে। পৃথিবীর আর সব দেশের মত বাংলাদেশও আজকে আক্রান্ত। এর পিছনে পেট্রোডলারের কতটা হাত আছে, এরা কারা, এদের মতবাদ কেমনধারা মতবাদ, ঠিক কী শেখালে কিছু মানুষ ঠান্ডা মাথায় জবাই করতে পারে- আমাদের বাঁচতে হলে এবার জানতে হবে। সমাজ যদি একটা শরীর হয়, তারা সেই শরীরের এইডস। পদক্ষেপ নিতে হবে।
১৮| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:৪১
দি রিফর্মার বলেছেন: সূফীদের পক্ষে কথা বলা কি অপরাধ? তাহলে ইতিহাসের পাতা থেকে সকল সূফীদের নাম গুলোকে মুছে ফেলে সাহসিকতার পরিচয় দিক। কতিপয় নাখাস বান্দার সূফীদের নাম শুনে গায়ে আগুন লেগে যায়। আল্লাহ তাদের দোযখের আগুন থেকে রক্ষার ব্যবস্থা করুন। আমিন।
মাওলানা ফারুকী সাহেবকে আল্লাহ পাক শহীদী দরজা দান করুন।
আমিন।
৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:২৯
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আমিন ভাই। প্রত্যেকটা শব্দের সাথে একমত।
১৯| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:৫০
মিষ্টিগল্প বলেছেন: একজন মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করা হল আর ট্রপিকানা কেমন স্বাচ্ছন্দে বললেন : 'বেশ হয়েছে। সে তার প্রাপ্য বুঝে পেয়েছে।' ছিঃ, তোমাদের এতটাই পতন হয়েছে।
আমরা মহানবি (স.) এর মূল দীক্ষা থেকে এতটা নিজেদেরকে দূরে সরিয়ে নিয়েছি যে, এখন কেউ প্রকৃত ইসলামের কথা বললে মনে হয় তিনি বিদআতের প্রচার চালাচ্ছেন। কিন্তু আসলে তিনিই ঠিক কথা বলছেন।
আজকে সিরিয়া ও ইরাকে একই রকম যুক্তি দাড় করিয়ে মানুষকে এভাবেই জবাই করে হত্যা করা হয়। ছোট ছোট শিশুদেরকে হত্যা করা হয়, তারাও কি বিদআতের প্রচারক?
ওরা হচ্ছেে বর্বর আরব, যারা পান থেকে চুন খসলে লঙ্কাকান্ড বাধিয়ে দিত। এখন যারাই তাদের মতের বিরুদ্ধে কথা বলে তাদেরকে হত্যা করে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তা প্রমাণিত হয়েছে। আর আমাদের সমাজের কিছু নোংরা কীট রয়েছে তারা মনে করে এমন খুনীদের দালালি, চামচামি করলে বেহেশতে তাদের বাড়ীর নৌকার হয়ে থাকা যাবে। তাই তাদের চামচামি করে।
মহানবি (স.) ছিলেন যদি শত্রুর উপর আক্রমন করেছেন তবে তা যুদ্ধের ময়দানে। কাপুরুষের মত কাউকে হত্যা করেননি।
তাহলে তোদের মহান নেতা যদি মহানবি (স.) হয়ে থাকে তবে তোরা এ শিক্ষা কোথায় পেলি?
নাকি তোদের শিক্ষক সেই রাজিম যাকে মহান আল্লাহ বেহেশত থেকে বিতাড়িত করেছেন।
৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:৫৫
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: মহান ইমাম হুসাইন রাদ্বিআল্লাহু আনহুর রওজা শরীফে শহীদ নূরুল ইসলাম ফারুকী র.'র গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয় জুমার পর, সেখানে লক্ষ মানুষ শরিক হন।
মদিনা শরীফে এক আওলাদে রাসূল দ. তাঁর গায়েবানা জানাজা পড়ান। তথ্যগুলো আল আজহারে পাঠরত এক পূর্বপরিচিত ভাইয়ের কাছে জানলাম ফেবুতে।
আরবদের মধ্যে রাসূল দ.'র অসংখ্য সাহাবা আজমাঈন এসেছেন। অসংখ্য সত্যপন্থী আহলে বাইতের প্রেমিক এসেছেন। কিন্তু এই এজিদপন্থী বনু তামিম সৌদি রাজতন্ত্রর গোত্র বর্বরই রয়ে গেছে।
ভাই, আজকে সারা পৃথিবীতে লা মাজহাবি কথিত সালাফিদের হাতে সারা পৃথিবীর সমস্ত মতাদর্শের মানুষ জবাই হচ্ছে। এদের পতন এদের কর্মে প্রোথিত। এদের কর্মেই এদের পরিচয়। মানুষ তাদের চিনছে, প্রতিনিয়ত।
২০| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:৪২
নতুন বলেছেন: রিয়াজ আর ট্রপিকানা নিকটা আজই এতো কমেন্ট করলো এই বিষয়ে... গত ১.২৫ বছরে কোন কমেন্টই করেনাই...
এটা একজনই করছে..্ব্লগ দুইটা দেখলেই বুঝতে পারবেন সবাই...
এর মালিককে এই বিষয়ে আরো একটু জিঙ্গাসাবাদ করা দরকার...
৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:০১
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: রিয়াজ আর ট্রপিকানা নিকটা আজই এতো কমেন্ট করলো এই বিষয়ে... গত ১.২৫ বছরে কোন কমেন্টই করেনাই...
ভাই অসাধারণ একটা বিষয় তুলে ধরেছেন। এরা বিপর্যয়কে কোন মাত্রায় নিয়ে যাবে? এই সালাফি সৌদি পন্থীদের মধ্যে তেইশটার অধিক গ্রুপিং। এক গ্রুপ আরেক গ্রুপকে কাফের বলে।
এই সালাফি সৌদি জামাতি ফিতনা এত ভয়ানক, এরা ভিন্ন ধর্মের সব মানুষকে মারবে। নিজ ধর্মের বিভিন্ন মতের অ-সালাফি সবাইকে মারবে- যাদের সংখ্যা মুসলিমের মধ্যে ৮০%+। এবং সবশেষে এরা নিজেরা নিজেদের মারবে।
অলরেডি তেইশটা বড়সড় ফিরকা একে অপরকে কাফের বলছে। অলরেডি তারা একে অপরের বিরুদ্ধেও যুদ্ধ করছে।
কাফের কাফের খেলার শেষ ফলাফল দেখব আমরা এই অন্তর্ঘাতে।
২১| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ২:৫৭
জাহাঙ্গীর জান বলেছেন: ফারুকী সাহেব স্পষ্ট ভাষী ছিলেন সবসময়ই ইসলামের সঠিক তত্ত্ব সাধারণ মানুষের মাঝে তুলে ধরতেন যারা অধিক ধার্মিক হিসাবে পরিচিত হতে চাইছে তাঁরাই ওনাকে পরিকল্পনা অনুযায়ী হত্যা করেছে নিজেদের ধর্ম ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার জন্য ।
৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:০৪
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: এখন পেট্টোডলারের সাইড এফেক্ট চলছে সর্বত্র জাহাঙ্গীর ভাই। দশ নামে, একশো নামে এই ধর্মব্যবসায়ীদের পদার্পণ। পয়সার অভাব নেই। আর গরিব মানুষকে পয়সা দিলেই কিনতে পারা যায়।
২২| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৩:৫৭
আহমদ আফজাল বলেছেন: মরহুম ফারুকী সাহেবের কোন কাজটি শেরক, বিদআতের পর্যায়ে পড়ে একটু ব্যাখা দিবেন কেউ ? বিশেষ করে ট্রপিকানার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি ।
৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:০৫
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: মরহুম ফারুকী সাহেবের কোন কাজটি শেরক, বিদআতের পর্যায়ে পড়ে একটু ব্যাখা দিবেন কেউ ?
এই একটাই প্রশ্ন। এইটাই প্রশ্ন। আন্তরিক কৃতজ্ঞতা আফজাল ভাই।
২৩| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:১১
মুদ্দাকির বলেছেন:
আসলেই মোল্লাদের পলিটিক্স বুঝবার ক্ষমতা বা জ্ঞান আল্লাহ এখনও আমাকে দেন নাই, একটা নিউট্রাল মন্তব্য করতে গেলেই, তাদের কথা থেকে পাওয়া যাবে কোননা কোন ট্যাগ অথবা স্ট্রেট ফরওয়ার্ড ভাবনা, যা ভাবায় যে আমার ভাবনা আর তার ভাবনা বিপরীত মুখি। কিন্তু নিজের মস্তিষ্কের বাস্তবতা সেই কথা বলে না। আসলেই রাষ্ট্রকে তোষনকারী মোল্লাদের বিশ্বাস করা যায় না। মাঝে মাঝেই মনে হয় ইউনিভার্সাল ইসলামিক ব্রাদার হুড আর সম্ভব না। খালি একটা কথা বলি, মুক্তিযুদ্ধের কারনে এই বাংলাদেশের সবাইকে লাভবান ভাবি, তাই বিশ্বাস করিনা, আজকের শিবির সো কলড "স্বাধীনতার বিরোধী শক্তি" । এগুলা আওয়ামী প্রোপাগান্দা ছাড়া কিছু না। আর ক্ষমতায় থাকলে অনেক অনেক হিটলিস্ট আর নাটক বানানো সম্ভব তা ইতিমধ্যে সকল দলের কাজ কর্মেই প্রমানিত।
৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:৩৪
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধের কারনে এই বাংলাদেশের সবাইকে লাভবান ভাবি, তাই বিশ্বাস করিনা, আজকের শিবির সো কলড "স্বাধীনতার বিরোধী শক্তি" ।
আপনি সত্যের সন্ধানী। শুধু এই কারণে আল্লাহ যেন শেষ পর্যন্ত আপনাকে সত্যের সমর্থনে সামর্থ্য দান করেন। আপনি মুসলিমের আদবসম্পণ্ন, শুধু এই কারণে আল্লাহ যেন আপনাকে শেষ পর্যন্ত চক্ষু উন্মীলিত অবস্থায় সিরাতুল মুস্তাকীমে দাখিল অবস্থায় শান্তিপ্রাপ্ত অবস্থায় তাঁর কাছে নিয়ে যান।
হায়, শিবির কী, সেটা আমার মুখে বলার চেয়ে, আপনি যেন নিজেই দেখে ফেলেন। যেহেতু বিবেকসম্পণ্ন মানুষ, আপনি নিশ্চিতই পূর্ণ উপলব্ধি করতে পারবেন।
সরকার বিষয় নয়। সত্য ও ন্যায় বিষয়। সরকার এমন কোন মোয়া না, এমন কোন সত্য ও সৎ কাজের আড্ডাখানা না।
আর হিটলিস্ট? কোনদিন যদি দেখা হয়, তখন কথাটা বলবনে। প্রয়োজনে একজনের সাথে পরিচয় করিয়ে দিবনে। ইশারাই যথেষ্ট।
২৪| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:০২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: মাওলানা ফারুকীর শাহাদাত চলমান মাসলম্যান আর মুসলমানের উপর আলোকপাত করে গেল বর তীব্রভাবে। এই ঘটনা থেকে সত্যানুসারীরা ভাবে ঈমানের আরও বেশী মজবুত করার তীব্র অনুভব, অবিশ্বাসীরা পাবে আরও মাসলম্যান হবার চেতনা। সত্যতো রবই জানেন। আর তিনি তা কুরআনে বলেও দিয়েছেন। আল্লাহ, রাসূল সা: আর আহলে বাইয়াত ভিন্ন বাকী শত পথ শত মতের গন্তব্য কোথায়?
শির্ক বিদআতের নামে ধূয়া তুলে ............আহলে বাইয়াত থেকে যারা মুসলমানদের দূরে রাখতে চায়-
ভক্তি প্রেম শ্রদ্ধার বদলে যারা গলা কাটা তত্ত্বে বিশ্বাসী!
আইএসআইএস বা আল কায়েদার মতো যারা
অস্ত্র আর মূর্খতা জংগীবাদী বা ইসলামের নামে ইসলামকে হেয়কারী যত দল গোষ্ঠী ওহাবী আর মওদুদী গং তাদের সবার কন্ঠ দেখূন একই সুর!!
...
প্রিয় লিসানী ভাই- শান্ত হোন।
প্রিয়জন হারালে শোক হবে, কষ্ট হবে ।
কিন্তু উত্তেজিত হওয়া যাবেনা। শত্রুরাতো এটাই চায়।
উত্তেজিত হয়ে বিশ্বাসীরা ভুল করুক।
পশুদের বলতে দেন। তাদের মূর্খতাতো সাথে সাথেই প্রমাণ হয়ে যাচ্ছে। অন্ধকার যেমন প্রয়োজন আলোকে ফুটিয়ে তুলতে তেমনি অজ্ঞানতাও থাকবে জ্ঞানকে প্রকাশিত করতেই।
আল্লাহর নবী, রাসূল অলি আউলীয়াগণ কতইনা তিরস্কার সহ্য করেছেন। সবই হাসিমূখে। কাউকে রাগ করেও কিছু বলেন নি। কারণ বললে বন্ধু যদি তা সত্য করে দেন! বরং দোয়া করেছেন- ক্ষমা আর হেদায়েতের। সেই তায়েফের ময়দান থেকে আজব্দি!!
ভাসা ভূষারা এমনিতেই ভেসে যাবে। যেমন গেছে ইয়াজিদ! তার রাজ্য তার ক্ষমতা তার মৃত্যুদন্ড! তার রাজদন্ড কিছূই তাকে শ্রদ্ধা এনে দিতে পারল না। কেবলই ঘৃনা আর কলংক বয়ে যাচ্ছ কেয়ামত পর্যন্ত!
আর ইমাম হোসাইন। শাহাদাতের পিয়ালা পান করে কি অসীম শ্রদ্ধা, প্রেম আর আদর্শ হিসাবে অনন্তকালের মর্যাদা পেলেন। সকল বিশ্বাসীর হৃদয়ে রাসূল প্রেমির হৃদয়ে দো-জাহানে সেই প্রেম সেই শ্রদ্ধা বাড়বেই কেবল। এই যে সত্য। এই যে চূড়ান্ত সাফল্য....
তবে আর হোসাইনি প্রকৃত আহলে বাইয়াত ধারার ভয় কি? শংকা কোথায়? মৃত্যু সুধায় স্নানেইতো উজ্জ্বল মুক্তির বারতা। শোহাদায়ে কারবালা .. আহ.. তাদের আত্মদানের কাছে আমাদের তুচ্ছ নগন্য পাপী জীবনতো কিছূই না। বরং কবুল হলেই ধন্য।
যাক না .. সেই শুদ্ধতার জলে ডুবে। তবেইনা জীবনম জন্ম সার্থক।।
ভাল থাকুন। রবের ইচ্ছার কাছে সমর্পিত থাকুন।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:০৫
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: প্রিয় ভৃগুভাই, প্রথমত শিরক তো উম্মাতে মুহাম্মাদি দ. তে কেউ করেই না।
রাসূল দ. বলেছেন, আমার এই আশংকা নেই যে, আমার পর তোমরা শিরক করবে। বরং এই আশংকা রয়েছে যে, আমার পর তোমরা ফিতনা করবে।
লক্ষ্য করুন, এখন কিন্তু ফিতনাই হচ্ছে। সন্ত্রাস, বিভ্রান্তি, গোলকধাঁধা- এইসবই ফিতনা।
রাসূল দ. অন্যত্র বলেছেন, আমার এই আশংকা নেই যে, আমার পর তোমরা শিরক করবে। বরং এই আশংকা রয়েছে যে, আমার পর তোমরা সম্পদের মোহে পড়বে।
ইসলামের নামে ব্যাঙ্কিং করে, সেই ব্যাঙ্কের সর্বত্র আল্লাহ তোমাদের জন্য সুদকে করেছেন হারাম আর ব্যবসাকে হালাল এই কথা বলে, সেই ব্যাঙ্কের পাওয়া কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের দেয়া সুদের টাকা দিয়ে মাইক্রোক্রেডিটের ব্যবসা করে। এহেনধারা সম্পদ-মোহের কী ব্যাখ্যা হতে পারে?
অন্যত্র রাসূল দ. বলেছেন, আমার কাছে আল্লাহ নিশ্চয়তা দিয়েছেন যে, তোমরা শিরক করবে না।
এইসব সম্পূর্ণ সহীহ্ হাদিসের পরও যারা শিরকের ধোঁয়া তোলে, তারা বেশি কিছু না হলেও মতলববাজ তো অবশ্যই! এবং যখনি কেউ কাউকে মুশরিক বলবে, আক্রমণ করতে আসবে, সাথে সাথে যে আক্রমণ করছে সেই মুশরিক হয়ে যাবে। এটাও তো সহীহ্ হাদিস বলেই জানি ভাই।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:১৯
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আর বিদআত!
বিদআত অবশ্যই খারাপ। কিন্তু বিদআত কোনগুলো? মিলাদ, শবে বরাত, শবে মিরাজ, কুলখানি, জিয়ারত, হাত তুলে মুনাজাত, নামাজের সুন্নাত পালন- এগুলোকে বিদআত বলার কোন সুযোগই নেই। এসবের পক্ষে এত বেশি হাদিস আছে যে, এগুলোকে বিদআত বললে বোকামি ছাড়া কিছু না। এমনকি আমরা মিউজিক শুনি বা না শুনি, মিউজিক যে অসংখ্য সহীহ্ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত, যদি তা শ্লীল ও আল্লাহ-রাসূল দ.'র ভালবাসায় হয়, তাও তো বিদআত না! তাহলে তো বুখারী আর মুসলিম র. কেও বাদ দিতে হয়!
এর বাইরে কিছু বিষয় বিদআত আছে, কারণ বিদআত দুই প্রকার। অপবিদআত এবং ভাল বিদআত। যে বিদআত প্রয়োজনীয় এবং কল্যাণকর তা ভাল বিদআত। যেমন, মাইকে আযান দেয়া। এটা কোনক্রমেই ইসলামসম্মত নয়। তিনজন মুকাব্বির না রাখা, এটাও ইসলাম সম্মত নয়। কিন্তু এইসব বিদআত প্রচলিত। একথা তো উমার রা.'র মাত্র একটা হাদীসেই প্রমাণিত, কেননা হাদীসটি সম্পূর্ণ নি:শঙ্ক সহীহ্। তিনি বলছেন, তারাবীর নামাজ জামাতে পড়া কতই না সুন্দর বিদআত হল! কুরআনের নুক্তা বিদআত, কুরআনের যের যবর পেশ বিদআত, সকল হাদীসগ্রন্থ বিদআত, হাদীসের রেওয়ায়েতের সিস্টেম বিদআত, জ্ঞান শিক্ষার পদ্ধতি (মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থা) বিদআত।
এর বাইরে রয়েছে অপ-বিদআত। এই অপ-বিদআত খারাপ। সেটাই অপ-বিদআত যেটা ইসলামের কোন উপকারও করে না এবং বরং কোন সুন্নাহ কে ঢেকে ফেলে এবং সম্পূর্ণ নতুন বিষয় প্রচলন করে। এইসব বিষয়ই ভ্রান্তি আনে। পারলে কেউ দেখাক, সূফি মনোভাবের প্রকৃত অনুসারীদের মধ্যে কোন অপ-বিদআত রয়েছে।
২৫| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:৩২
ট্রপিকানা বলেছেন: আমরা নাকি রাসুল (সা এর গোলাম,
http://www.youtube.com/watch?v=WnPYg603IRM
রাসুল (সাও নয়, রাসুল (সা এর জুতার ছবি নাকি তাকে ক্লিনার থেকে মসজিদের ইমাম বানিয়েছে,
http://www.youtube.com/watch?v=FOr_rZCRqIE
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩০
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: যখন কাউকে মাসে দুইশ টাকা দেয়া হয়, এবং সে প্রতিটা নির্দেশ পালন করে, তাকে বলে সার্ভেন্ট। যখন কেউ পোষাক কারখানায় চাকরি করে, কারখানার সত্ত্বাধিকারীকে বলে মালিক। যখন সৌদি টিভিতে বাদশার নাম বলা হয়, তখন বলা হয়, 'আল মালিক।' ইসলামের শুরুতে, মধ্যম যুগে এবং এই কয়েক শতাব্দী পূর্বেও মানুষ মানুষকে কিনতে পারতো এবং তাতে একজন আরেকজনের গোলাম হতো। এটা হাদীসমম্মত। কুরআনসম্মত। রাসূল দ.'র কি গোলাম ছিল না? সিদ্দিকে আকবর, ফারুকে আজম, উসমান গণী রা.'র কি গোলাম ছিলেন না? তাই না, মার্কিন ক্যাপিটল ভবনও তৈরি দাসদের দিয়ে। শুধু তাই না, আজো আরব রাষ্ট্রগুলোেতে মানুষকে দাস হিসাবে ব্যবহার করা হয়। কুরআনশরীফে গোলাম শব্দটা বহুবার এসেছে। কেন এসেছে?
এগুলা সবই ঠিক আছে,
আর যত সমস্যা রাসূল দ. কে নিয়ে!
সৌদি বাদশা করলে ঠিকাছে, আরবের শেখরা করলে ঠিকাছে, তামাম দুনিয়া করলে ঠিকাছে, শুধু রাসূল দ.'র বেলায় যত গন্ডগোল! তাঁর সাথে, তাঁর পরিবারের সাথে, তাঁর সম্মানের সাথে এই তীব্র দুশমনি কে ঢুকাচ্ছে? কেন ঢুকাচ্ছে? এর পিছনে পারিবারিক, গোত্রীয়, ধর্মীয় কী কী কারণ আছে- জানুন! না জেনে হাশরে দাঁড়ালে তো হবে না আমাদের!
যে-ই রাসূল দ.'র সকল আদেশ বিনা দ্বিধায় পালন করে, সে-ই রাসূল দ.'র গোলাম।
যতক্ষণ পালন করবে, নৈতিকভাবে মানবে, স্বীকৃতি দিবে, আপন সত্ত্বার কথা বাদ দিয়ে, ততক্ষণ গোলাম।
গোলাম শব্দের মানেই হচ্ছে সেই ব্যক্তি যে স্বাধীন ইচ্ছা ব্যতিরেকে আদেশদাতার প্রতি আদেশ পালন করবে।
২৬| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:৩২
ট্রপিকানা বলেছেন: আমরা নাকি রাসুল (সা এর গোলাম,
http://www.youtube.com/watch?v=WnPYg603IRM
রাসুল (সাও নয়, রাসুল (সা এর জুতার ছবি নাকি তাকে ক্লিনার থেকে মসজিদের ইমাম বানিয়েছে,
http://www.youtube.com/watch?v=FOr_rZCRqIE
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩২
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: রাসূল দ.'র জুতা কি কোন সত্ত্বা? রাসূল দ.'র জুতার বরকতে তিনি অনেক সম্মান পেয়েছেন।
কী পাওয়া যায় সেটা মুসলিম শরীফের কিতাবুল ঈমান থেকে রাসূল দ.'র জুতা বিষয়ক হাদীসটা পড়ে এসে তারপর বলুন।
শুধুশুধু না জেনে কথা বললে দাদা হবে না।
২৭| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:৩৭
ট্রপিকানা বলেছেন: আমরা নাকি রাসুল (সা এর গোলাম,
http://www.youtube.com/watch?v=WnPYg603IRM
রাসুল (সাও নয়, রাসুল (সা এর জুতার ছবি নাকি তাকে ক্লিনার থেকে মসজিদের ইমাম বানিয়েছে,
http://www.youtube.com/watch?v=FOr_rZCRqIE
আর আমি যদি বলি "সে তার প্রাপ্য বুঝে পেয়েছে" তাহলে তার সমর্থকদের (বিশেষত কবর-মাযার পূজারী হাম্বা গুষ্ঠী) এত গাত্রদাহ হয় কেন বুঝি না, উনাদের মতে তো তার এখন জান্নাতের থাকার কথা তার কর্মফল অনুযায়ী।
এই যমীনে সবচেয়ে নিকৃষ্ট হল শিরকের ফেরীওলারা।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৬
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: একজন মুসলিমকে কাফির বলার সাথে সাথে ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় যে কেউ কাফির হয়ে যাবে।
নিজ প্রতিবেশীকে মুশরিক বলে আক্রমণ করার সাথে সাথে সে নিজে মুশরিক হয়ে যাবে।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৭
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: To name a child or adopt the name of Abdun Nabi, Abdur Rasul, Abdul Mustafa, Abdul Ali, etc. is permissible (Ja’iz). Similarly, to call one’s self as the servant of the Holy Prophet (sallal laahu alaihi wasallam) is also Ja’iz. This has been proved on the authority of the Holy Quran, Ahadith and the statements of the learned Scholars (Fuqaha).
It is said in the Holy Quran: "And marry men among you who are single (unmarried) and those who are pious and the maid servants". (Surah Noor: 32) In this verse, the word "Min Ibadikum" carries the significance of "under your possession or those who are your servants as being in your control under legal possession".
At another place it is said: "Say O Prophet! O My Servants who have done wrongs to their souls! They should not be despaired of the Mercy of Allah." (Surah Zamar: 53) In this verse, the word "Ya Ibadi" (O My Servants) has two significances. In the first instance, the word "Ya Ibadi" relates to the servants of Almighty Allah. The other meaning of the word stands for the servants of the Holy Prophet (sallal laahu alaihi wasallam) and his Ummati. The second view has been held by a large number of Scholars.
In the "Masnavi Shareef" of Maulana Rumi (radi Allahu anhu) it is said that the Holy Prophet (sallal laahu alaihi wasallam) has attributed the entire universe as being his servant. The Quranic verse beginning with "Ya Ibadi" is the pointer in this respect.
Haji Imadadullah (radi Allahu anhu) says that we can say "Ibadallah" as "Ibadur Rasul". (Risalah Nafkhiyah Makkiyah)
Hazrat Umar (radi Allahu anhu) said that he was with the Holy Prophet (sallal laahu alaihi wasallam) and was his Abd and Khadim, meaning his servant as being in his possession and doing service (Khidmat) to him. (Izalatul Khifa)
In the "Masanvi Shareef" it is said that after purchasing Hazrat Bilal (radi Allahu anhu) from his cruel master, Hazrat Abu Bakr (radi Allahu anhu) went before the Holy Prophet (sallal laahu alaihi wasallam) and said, "We both are your servants and I free him in your presence."
There are some who say: The word "Abd" is generally meant as servant or slave or worshipper, one who worships. The name "Abdun Nabi" would mean one who worships Nabi (The Messenger of Allah). This is clear Shirk as it amounts to associating Almighty Allah with someone else, therefore such like names are forbidden.
The word "Abid" stands for both the worshipper and the servant. When the reference of the person is towards Almighty Allah and his name is Abdullah, then it would mean the worshipper of Allah.
When the reference is in relation to some other person, then in that event it will mean the servant of so and so. The name of Abdun Nabi will denote the servant of the Nabi.
It is said in "Fatawa-e-Aalamgiri", Kitabul Kirahiyat, Chapter Tasmiyatul Aulad (Naming the Children): The names which are found in the Holy Quran can be taken for giving name (to a new born child) and this is permissible; for example Ali, Rasheed or Badee. In that case, the meaning of the name will not be as it is spoken in reference to Almighty Allah. It will be rather as the servant or ghulam of that person (this is not Shirk).
This shows that Ali is also one of the Names of Almighty Allah. The same can be said in reference to Rasheed or Badee, but the meaning of the word shall always be as servant or ghulam (one who obeys the command).
২৮| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:৫৪
যে শহর চোরাবালি বলেছেন: Click This Link
এই লিংকটা দেখেন আর জবাব দেন
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৫৬
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: এই মন্তব্যটাও করতে অনেক সময় নিলাম। কারণ, গুছিয়ে স্পষ্ট করে বলতে হবে কথাগুলো। অণ্তত আমাদের বলার মধ্যে যেন এমন কোন ত্রুটি থেকে না যায়, যার কারণে একজন মানুষের সঠিক পথের বিষয়টা স্পষ্ট হবে না। ওয়া মা আলাইনা ইল্লাল বালাদ- আমাদের কাজ শুধু বলা ও জানানো।
প্রথম বিষয়: আমি বা আমরা সকল সূফিবাদীরাই কি ক্রিস্টমাস কেক কেটে পালন করি?
না। আমি করি না। আমার ঘরানা করে না। আমার পথপ্রদর্শক নির্দেশদাতা খলিফা করেন না। তাঁর লাখো অনুসারী করেন না। আমি যত সূফিবাদী চিনি, তার মধ্যে ৯০% এরও বেশি করেন না। কখনো করেন নি।
দ্বিতীয় বিষয়: এটা কি আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত (সুন্নি, মাজহাবপন্থী, সূফিপন্থী) সবাই এভাবে কেক কেটে পালন করাকে গ্রহণীয় বলেন? বা ২৫ ডিসেম্বর কোন না কোনভাবে পালন করাকে গ্রহণীয় বলেন?
না। অনেকেই এটাকে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ বলেন এবং অনেকেই এটাকে অস্পষ্ট বলেন, অনেকেই সম্পূর্ণ এড়ানো উচিত মনে করেন। খুবই সামান্য সংখ্যক এটা পালনকে গ্রহণ করতে পারেন।
তৃতীয় বিষয়: কিছু মানুষ যে ক্রিসমাস, কেক কাটা, বিভিন্ন ধর্মের মানুষের সাথে বসা, তাদের ধর্মীয় উপাসনালয়ে আলোচনার জন্য যাওয়া এবং আমাদের মসজিদে তাদের দাওয়াত দেয়া- এসব কাজ সহজভাবে করেন, এটা কি গ্রহণযোগ্য?
কেউ কেউ অগ্রহণযোগ্য বলবেন, সেই কথাতেও দলিল থাকবে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এই কাজগুলোকে ডিনাই করা সম্ভব নয়। কেউ যদি করে, তাকে পথভ্রষ্ট বলার সত্যিকার 'আদিল' সুযোগ নেই। অর্থাৎ, এই কাজগুলো ইসলামের ভিতরে থেকে করা যায়। উপাসনা রূপে করার সাথে সাথে যে কেউ অস্বীকারকারী তথা কাফিরে পরিণত হবে।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:২৯
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ড. তাহির উল ক্বাদরী সাহেবের এরপর করা প্রেস কনফারেন্সের বক্তব্যটার সংক্ষেপ দিচ্ছি:
লাহোরে মিনহাজ উল কুরআন ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারে পাকিস্তানের অতি সংখ্যালঘু খ্রিস্টান সম্প্রদায়কে ক্রিসমাস ডে পালনের সময়ে আমন্ত্রণ জানানো হয়।
এক্ষেত্রে প্রশ্ন খুবই সরল, এই ধরনের কাজ ইসলামে নিষিদ্ধ, নাকি অনুমোদিত?
ইসলাম, খ্রিস্টধর্ম ও ইহুদি ধর্মের মধ্যে অনেক পার্থক্য এবং মিল রয়েছে। অন্য ধর্মের প্রতিটা বিষয় নিজ ধর্মে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ নয়। কিছু মিল সকল ধর্মের মধ্যেই পাওয়া যাবে এবং অনেক অমিলও প্রতি ধর্মের সাথে প্রতি ধর্মের পাওয়া যাবে।
প্রশ্ন ঈসা আ.'র জন্মদিন উদযাপন বিষয়ক। ঈসা আ.'র জন্মদিন পালন করাতে বিন্দুমাত্র ক্ষতি নেই।
এটা অনুমোদনযোগ্য কিনা? উত্তর হল, হ্যা। শ্রেণীর দিক দিয়ে, হ্যা।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৩১
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: (ড. ক্বাদরী বলছেন-)
ক্রিসমাস কী? শুধুই সাইয়্যিদুনা ঈসা আলাইহিস সালামের জন্মউৎসব পালন।
ঈসা আলাইহিস সালামের জন্মউৎসব পালনের সাথে ঐশ্বরিকতার বিন্দুমাত্র সম্পর্ক নেই। তাঁকে নিয়ে যেসব আক্বিদা (ঈমানের মূল বিল্ডিংব্লক) খ্রিস্টধর্মে রয়েছে, সেসবের সাথে বিন্দুমাত্র সম্পর্ক নেই। তাঁকে মনে করা আল্লাহ, আল্লাহর পুত্র বা ত্রিত্ববাদ, ত্রুশ, ত্রুশিফিক্সন- এইসব কোনকিছুর সাথেই ঈসা আ.'র জন্মোৎসব আবশ্যিকভাবে জড়িত নয়। এখানেই আমাদের অমিল এবং পার্থক্য।
ক্রিসমাস হল সাইয়্যিদুনা ঈসা আলাইহিস সালামের জন্মদিবস পালনের উপলক্ষ্যে আয়োজন। আর একজন নবী বা রাসূল আলাইহিস সালামের জন্ম দিবস পালন করা ইসলামে সম্পূর্ণরূপে অনুমোদনযোগ্য। আমরাও সাইয়্যিদুনা ঈসা আলাইহিস সালামের নুবুয়্যত এবং রিসালাতে বিশ্বাস করি।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৯
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: (---)
মুসলিমরা তৌহিদ মানুষের মনে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টায় রত থাকে। যখনি ঈসা আ.'র জন্ম দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠান পালন করা হবে, তখনি তাঁর জন্মের বিষয়টা চলে আসবে এবং গডের সন্তান নয়- এই বিষয়টা সামনে চলে আসবে।
যিনি জন্মান তিনি আল্লাহর বিনীত বান্দা।
যিঁনি জন্মান তিনি আল্লাহর সৃষ্টি।
তিনি কখনোই ইলাহ্ হতে পারেন না।
তাই যে পর্যন্ত মহান নবী আ.'র জন্মপালন বিষয় আছে, ততক্ষণ পর্যন্ত এটা পালন আমাদের জন্য গ্রহণীয়। এই হল মৌলিদ।
আমরা মৌলিদুন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়াসাল্লাম পালন করি এবং আমরা পালন করতে পারি সকল নবী রাসূল আ.'র মৌলিদ এমনকি সাইয়্যিদুনা আবু বাকার রা. থেকে শুরু করে হাজারো জনের মৌলিদ পালন করতে পারি। আপনি আপনার নিজের জন্মদিনও পালন করতে পারেন।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:০১
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: (--)
কেউ যদি সাইয়্যিদুনা মূসা আলাইহিস সালামের বা সাইয়্যিদুনা ইব্রাহিম আলাইহিস সালামের জন্মদিবস পালন করতে চায়, তাতে কোন সমস্যা বা ক্ষতি নেই।
দুটা উদাহরণ দিচ্ছি এটা দ্বীন বোঝার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।
জুমা, শুক্রবার দিনটাকে ঈদ হিসাবে পালনের কারণ সাইয়্যিদুনা আদম আলাইহিস সালামের জন্মদিবস এই দিনে। সহিহ হাদিসে পাই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম. বলছেন, এই দিবসেই আদম আলাইহিস সালাম সৃষ্ট হয়েছিলেন। অর্থাৎ এটা সৃষ্টির রূপে জন্ম।
অন্য সহিহ হাদীসে আছে, আমার উপর শুক্রবারে সালাত ও সালাম প্রেরণ করো, কারণ এদিন আদম আলাইহিস সালাম সৃষ্ট হয়েছেন।
জুমা'র রূপে এই দিবস কিয়ামাত পর্যন্ত চলতে থাকবে।
মহান রাসূল দ. আমাদের আরো একটা উদাহরণ দেন, সহিহ বুখারি, সহিহ মুসলিম- মুত্তাফাক আলাইহি, সর্বাধিক গ্রহণীয় হাদিস, রাসূল দ. মদিনায় গেছেন, সেখানে ইহুদিদের মদিনা ও খাইবারে পেলেন। তারা মুহাররামের দশম দিবস পালন করতো। সাইয়্যিদুনা মূসা আ.'র বিজয় দিবস।
প্রিয় রাসূল দ. তাদের জিগ্যেস করলেন, তোমরা কেন মুহাররামের দশম দিবস পালন করো? রোজা রাখো?
পরবর্তীতে তিনি সাহাবা রা. গণকে বললেন, মূসা আ.'র উপর ওদের চেয়ে আমাদের বেশি হক্ব রয়েছে। এদিন তোমরাও রোজা রাখো। পরের বছর তিনি নবম দিনকেও যুক্ত করে নিলেন।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:২৭
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: (---)
তাদের চেয়ে আমাদের কি ঈসা আলাইহিস সালামের উপর বেশি অধিকার নয়? পৃথিবীতে যে কারো চেয়ে আমাদের বেশি অধিকার আছে ঈসা আ.'র জন্মদিবস পালন করার।
কুরআনে ঈসা আলাইহিস সালামের জন্মদিবস ও জন্মঘটনা যে পরিমাণ বর্ণনা করা হয়েছে, তার কাছাকাছি আর কোন নবী রাসূল আ'র জন্মদিবস ও ঘটনা বর্ণনা করা হয়নি।
আর কুরআনে তাঁর জন্মদিবস পালনের সরাসরি নির্দেশনা রয়েছে। ওয়া সালামুন আলাইয়্যা ইয়াওমা উলিত্তু ওয়া ইয়াওমা ইয়ামুতু ওয়া ইয়াওমা ইউয়ুবআতু হাইয়্যা-
সালাম হোক ঈসা আলাইহিস সালামের উপর -
*যেদিন তিনি জন্ম গ্রহণ করেন,
*যেদিন তিনি ঘুমাবেন এবং
*যেদিন তিনি পুনরুত্থিত হবেন।
আর তাঁর মর্যাদা অনন্য, কেননা তিনি মানবজাতিকে জানিয়েছেন, আমার পরই তোমাদের কাছে আহমাদ নামে সেই মহাপ্রশংসিত নবী আগমন করবেন।
কিন্তু তাদের অন্য যে আক্বিদাগুলোর সাথে মিশ্রিত অনুষ্ঠানগুলো আছে, সেসবে অংশ নিতে আমরা পারব না। মার্চ বা এপ্রিলে ক্রুশবিদ্ধ হওয়ার অনুষ্ঠান, ইস্টার ইত্যাদি পালন কখনোই করতে পারব না। অ্যালকোহল, নাচ, মূর্তিপূজা, প্রার্থনা ইত্যাদি সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয়। এগুলোর সাথে ঈসা আলাইহিস সালামের জন্মদিবস পালনের যে নির্দেশনা কুরআনুল কারীমে আছে, তার কোন মিল নেই। খ্রিস্টধর্মাবলম্বীদের ক্রিসমাসের জন্য যদি দাওয়াত করেন, আপনি কেক পরিবেশন করতে পারেন, মার্জিত শালীন সঠিক আক্বিদার গজল নাশিদ পরিবেশন করতে পারেন, শুভেচ্ছা বিনিময় করতে পারেন, কুরআন থেকে ঈসা আ.'র মর্যাদা পড়ে শোনান, হাদীস থেকে শোনান... কিন্তু অ্যালকোহল, নাচ বা অন্যান্য বিষয় কখনোই নয়।
ধন্যবাদ, আমার কাজ শুধু পৌছে দেয়া। সঠিকভাবে পৌছে দেয়াতেই আমি জিজ্ঞাসাবাদ থেকে রক্ষা পাবো, মানুষ রক্ষা পাবে নিজে ভুল থেকে রক্ষা পাওয়া এবং সঠিক গ্রহণ করা না করার উপর।
২৯| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৪
হেদায়েত বলেছেন: মৃত ব্যক্তির ব্যাপারে কোন সমালোচনা করা উচিত নয় এটা সহীহ হাদীসে পাওয়া যায় । তাই আমরা ফারুকি সাহেবের সমালোচনা করব না। আর মুশরিক ব্যাক্তির জন্য জান্নাত হারাম করা হয়েছে ।তাই কোন মুশরিক ব্যাক্তির জন্য দোয়া করাও জায়েজ নয় । তবে তার মুরিদ , ভক্ত বা অনুসারীদের জন্য হেদায়েতের দোয়া করা উচিত.।.।.।.।.।.।.।.।।।আল্লাহুম্মা আমিন
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৩৮
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন:
কোন মুমিনকে যখনি কেউ জেনে বা না জেনে কাফির বলবে সাথে সাথে সে কাফির হয়ে যাবে।
যখনি কেউ কোন মুসলিমকে মাজার পূজারী, কবর পূজারী, নাস্তিক, কাফির, মুশরিক, ওয়াজিবুল ক্বতল বলবে, সাথে সাথে তার সারা জীবনের সব ধ্বংস হয়ে যাবে এবং সচেতনভাবে তওবা করে নিজেকে শুদ্ধ না করলে সে মৃততুর পর সম্পূর্ণ কাফির অবস্থায় উঠবে।
আপন দেশবাসীকে যখনি কেউ মুশরিক বলে হত্যা করতে উদ্যত হবে, সাথে সাথে আক্রমণকারীর নাম মুশরিকের খাতায় চলে যাবে।
কোন একেশ্বরবাদীকেও যদি কেউ হত্যা করে তাহলে সে জান্নাতের ঘ্রাণের কাছেও পৌছাতে পারবে না। আর জান্নাতের ঘ্রাণ হল চল্লিশ বছরের দূরত্ব।
মুসলিমের সাথে যারা সংঘগতভাবে যুদ্ধরত নয়, এমন কোন অমুসলিমকেও যদি কেউ হত্যা করে, তবু সে জান্নাতের ঘ্রাণ পাবে না।
একজন নিরপরাধ মানুষকে যে হত্যা করল সে যেন সমগ্র মানবজাতিকে হত্যা করল।
সামলাও, তোমার দুই চোয়ালের মধ্যবর্তী যা এবং দুই উরুর মধ্যবর্তী যা।
হে উমার রা.! যারা সঠিক মনোভাব ও বিশ্বাস রাখে না, তাদের নামাজ, রোজা, হজ্ব যাকাত ও তিলাওয়াত সবই সম্পূর্ণরূপে অকেজো। কেননা, তাদের কাছ থেকে ঈমান চলে গিয়ে তাদের ভাগ্যকে এমনভাবে বিদ্ধ করেছে যেভাবে ধনুক থেকে তীর ছুটে গিয়ে হরিণকে বিদ্ধ করে ফেলার পর সেই হরিণকে আর আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা যায় না।
এখানে প্রতিটা কথা সরাসরি কুরআন ও হাদীস থেকে নেয়া।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:৪০
নাফাজি বলেছেন: ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন