নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বুলি বলে শুনতে পাই, রূপ কেমন তা দেখি নাই, ভীষম ঘোর দেখি।। পোষা পাখি চিনলাম না, এ লজ্জা তো যাবে না, উপায় কী করি, আমি উপায় কী করি।।
হালাল ও হারামের পার্থিব অধিপতি আবদুল ওহাব পরিবারের বংশধর সৌদি গ্র্যান্ড মুফতি বললেন, লালবাতি ক্রস করা হারাম! কবিরা গুনাহ্! Click This Link দুদিন পরপরই সৌদি, নাহলে জিহাদি একেকটা ফতোয়া পড়ি আর পেট চেপে ধরে হাসি।
আবার এমন কিছু ফতোয়া দেখে কলজে জ্বলে যায়-
শুরা সদস্য সৌদি জ্ঞানী সালেহ আল লুহাইদান: গাজার জন্য মিছিল করা হল গণবিদ্রোহসুলভ পদস্খলন। বিসৃঙ্খলা আর সন্ত্রাসের পদ্ধতি। এইসব মিছিল টিছিল মানুষকে আল্লাহ থেকে দূরে নিয়ে যায়। বরং উচিত মসজিদে বসে বসে দোয়া করা।
একটা আটপৌরে সরল ধর্ম, ইসলামকে, আল্লাহ ও তার রাসূল দ.'র ধর্মকে তারা লালবাত্তি জ্বেলে দিয়েছে। জ্বেলে শান্ত হয়নি, রেপ্লিকেশন চলছে। কিন্তু এভাবে আর কত? একটা কালেকশন হয়ে যাক। এমন বহু চিত্তাকর্ষক মনোলোভা হালাল হারাম কাফির মুশরিক দেখে ফেলা যাক...
লম্বা-চওড়া প্রাসঙ্গিক উপক্রমণিকা
একটা কথা শুনতে শুনতে কান পচে গেল। সৌদি আরবে এটা আছে, সৌদি আরবে ওটা নাই। সৌদি আরব এভাবে নামাজ পড়ে, সৌদি আরব ওভাবে ধর্ম পালন করে। যেন ইসলাম মানে কুরআন-সুন্নাহ(হাদীস)-ইজমা(ইতাআতে উলিল আমর)-কিয়াসের সমন্বিত রূপ নয়, বরং ইসলাম মানে সৌদি আরব নামের একটা দেশ, যে দেশটা যার দখলে থাকবে, সেই হল ইসলাম।
মদিনা বিশ্ববিদ্যালয় শুনতে শুনতে আমরা পাগল। মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল পাশ করা ব্যক্তিবর্গ আল মাদানি/মাদানি... তাদের জ্বালাময়ী বক্তব্য শুনতে শুনতেও আমরা অস্থির। এই সৌদি মদিনা বিশ্ববিদ্যালয় সম্পূর্ণরূপে যে পদ্ধতিতে চালিত এবং যাদের দ্বারা চালিত, এই সেই গ্রান্ড মুফতিরা।
আমরা ভুলে গেছি, বরং বলা উচিত, জানিই না যে, সৌদি শব্দটার মানে হল, একজন, মাত্র একজন মানুষ। আর সৌদি আরব মানে হল দুটা, মাত্র দুটা পরিবার- যারা বিবাহ সম্পর্কে সম্পর্কিত। মাত্র দুই তিনশ বছর আগেও যাদের না ছিল কোন শিক্ষা, না ছিল রাষ্ট্র পরিচালনার কোন অভিজ্ঞতা, না ছিল ধর্মে বিন্দুমাত্র গ্রহণযোগ্যতা। সেই পরিবার ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সহায়তায়, লরেন্স অভ অ্যারাবিয়া আর বহুভাষাবিদ হামফ্রের সহায়তায় হঠাত করে দেশটা দখল করে নেয়। এবং নিজের ইচ্ছানুযায়ী ধর্ম গঠন করে।
আমরা এটাও ভুলে গেছি যে, তারা গোত্রীয়ভাবে ইসলামের নবী দ. ও তাঁর পরিবারের বিরোধী, তাঁর সাহাবাগণের বিরোধী- এটা ইহুদিদের মতই একটা ঐতিহাসিক সত্যি। যে সত্য থেকে গোত্রের খুব কম মানুষই নিজেকে গোত্রীয় গোঁড়ামি ও বিদ্বেষ থেকে উঠিয়ে আনতে পারে।
কিছু মানুষ মনে করে, যে এরা মক্কা ও মদীনার সংরক্ষণকারী ও সৌন্দর্যবর্ধনকারী। তারা এটা জানেও না, যে এরা ইমাম হাসান, বিবি ফাতিমা, হজরত উসমান রা. সহ ২৫ হাজার সাহাবার সমস্ত চিন্হ মুছে দিয়েছে, পাঁচ লক্ষ নিদর্শন ধ্বংস করেছে, পাশাপাশি কাবার দরজায় নিজের নাম, নিজের বাবা ও দাদার নাম সোনার অক্ষরে লিখেছে এবং সৌদি আরবে অবস্থিত ৫০ টির উপর ইহুদি নিদর্শন সম্পূর্ণ যত্নের সাথে সামরিক পাহারায় কাঁটাতার দিয়ে বেড়া দিয়ে রেখেছে।
তুর্কি খিলাফাত ব্রিটিশের হাতে পরাজিত হবার পর মেসনের কারাগারে পড়ে যায়। এর আগ দিয়ে দুর্বল উসমানিয়া খিলাফাত দেখে, ওয়াহাবিরা ইসলামের সমস্ত নিদর্শন ধ্বংস করে দিচ্ছে। তারা তখন নজদী বনু তামিম গোত্রের এই সালাফিদের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়, যে আগামী একশ বছরে তারা রাসূল দ.'র পবিত্র রওজা ও রওজা কমপ্লেক্সের কিছুই স্পর্শ করতে পারবে না।
সৌদিরা মদীনা শরীফ ভক্তি করে শখ করে রাখেনি। চুক্তির কারণে রেখেছে। এর প্রমাণ এই আশ শাইখ গ্র্যান্ড মুফতি ২০০৭ সালেও দিল। মসজিদে নববীর সবুজ গম্বুজ এবং গম্বুজের নিচে রাসূল দ. ও প্রথম দুই খলিফার কবরের সমস্ত চিহ্ন সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করা হবে Click This Link
আর আমাদেরকে ওই দেশটার নামে, ধর্মের নামে যে যাই বলবে, আমরা সোনামুখ করে তাই গিলব। ভাবব, না জেনে, যে কোনভাবে একটা কিছু অনুসরণ করলেই হল। অথচ প্রত্যেক মুসলিম নরনারীর উপর জ্ঞান, তা সর্ব প্রকার উপকারী জ্ঞান অর্জন করা ফরজ করা হয়েছে।
আর এক সালাফিস্ট রোগ হল মুসলিম ব্রাদারহুড। মুসলিম ব্রাদারহুড শুরু হয়েছিল মেসনিক ব্রাদারহুডকে ঠেকানোর জন্য। ওয়াহাবি/সালাফি মতবাদকে আরো এক ধাপ আক্রমণাত্মক করে তোলার কাজ মুসলিম ব্রাদারহুড থেকেই শুরু হয়। আজকে এমন অবস্থা, দুনিয়ায় এমন কোন মুসলিম নামধারী সন্ত্রাসী, আধা সন্ত্রাসী ও নিম সন্ত্রাসী দল নেই, যারা মূলত মুসলিম ব্রাদারহুড থেকে অনুপ্রাণিত হয়নি। বাংলাদেশের জামাতে ইসলাম, আল কায়েদা, হামাস (দু:খজনক হলেও সত্যি, হামাস নিজেই মুসলিম ব্রাদারহুড) সবই মুসলিম ব্রাদারহুডের সন্তান। এমনকি আইএসআইএলও। সিরিয়ায় যে বিদ্রোহ শুরু হয়, তার প্রধান শক্তি ও কারণ ছিল ব্যান করে দেয়া মুসলিম ব্রাদারহুড।
এই ফতোয়াগুলো দেখলে আমরা অতি সহজেই বুঝতে পারব, যে সারা পৃথিবীতে মুসলিমদের যত অবমাননা ও গণহত্যা- এর পিছনে এই সালাফিস্টদের দলাদলি ও কাফির কাফির খেলা অন্যতম প্রধান কারণ। এরাই বলে, সাদ্দামের বিরুদ্ধে জিহাদ ফরজ, জিহাদে আমেরিকানদের সমর্থন ফরজ, হজ্বের মধ্যে আফগানিস্তানের কথা বলা হারাম... লিস্ট কোনদিন শেষ হবার নয়।
এই সউদি মতবাদই আজকে সালাফি/ওয়াহাবি আহলে হাদিস নাম নিয়ে বাংলাদেশের এবং সারা পৃথিবীর সমস্ত ধর্মীয় আচার আচরণ এবং সমস্ত ফরজ সুন্নাত এমনকি হাদীস পর্যন্ত বিকৃত করছে ও বাতিল করছে। তাদের কথা অনুযায়ী, আমাদের নামাজ পর্যন্ত বাতিল। আমরা সোনামুখ করে সেই নামাজ ও হাদীস বাতিল করা পর্যন্ত গ্রহণ করছি, কারণ, হাজার হলেও, এরা সৌদি। হাজার হলেও, আমাদের হজের সময় তারা ফ্রি বই দেয়, বিকৃত কোরানের ব্যাখ্যা দেয়। আর আজকাল তো পেট্রোডলারের ছাপানো বাংলা সৌদি বইও অহরহ ফ্রি পাওয়া যায়। ঠিক মিশনারিদের মত। কিছু সৌদি ফতোয়া দেখা যাক-
ইসলামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মসজিদ আল কুবা'র ইমাম সৌদি মুফতি সালেহ আল গামেদি: জিহাদিদের মুত্রপানে পাপ ক্ষয় হয়।
ছবি: আল গামেদি। এইরকম চেহারা, ভ্রুভঙ্গি, মুখভঙ্গি, পাগড়ির বদলে মাথায় কড়া ভাঁজের চাদর, এইরকম আলীশান আলখেল্লা নিয়ে আজকাল সারা পৃথিবীই দাবড়ে বেড়াচ্ছেন সৌদি বিভিন্ন মুফতিরা। সব ভাষাতে। এরা ঠিক করে দিচ্ছেন, আমাদের ধর্ম ঠিক নাই, নামাজ ঠিক নাই, রোজা ঠিক নাই, ঈমানও ঠিক নাই। আমরা বলছি: জ্বি হুজুর।
অতি দীর্ঘদিনের আমরণ সৌদি গ্র্যান্ড মুফতি, যার হাত ধরে সৌদি মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈশ্বিক উত্থান এবং বিশ্বব্যাপী সৌদি সালাফি আহলে হাদীস মতবাদের প্রচারণা, আবদুল ওহাব নজদীর বংশধর বিন বাজ: সূয্য পৃথিবীর চারিদিকে ঘুড়ে। যে এই ফতোয়া মানে না, সে কাফের। যে এইভাবে কাফির হল, তার সমস্ত সম্পদ ও রক্ত হালাল হয়ে গেছে। তওবা করার সুযোগ দেয়া হবে, তওবা না করলে তারে হত্যা করতে হবে। আম্রিকানরা আসলে চাঁদের দেশে গেছে কিনা সেটা আমাদের ভাল করে চেক করে দেখতে হবে। (বিখ্যাত ফতোয়া, তাই রেফারেন্স দিলাম না, প্রিয়জনরা এই বিষয়ে বিন বাজের লেখা দুইটা সায়েন্টিফিক পেপার টাইপ পুস্তিকা দেখতে পারেন... )
বিন বাজ: এজিদ ছিল সত্যপন্থী আর ইমাম হুসাইন রাদ্বিআল্লাহু আনহু ছিলেন অন্যায়কারী। কারবালায় অন্যায়কারীকে পরাজিত ও হত্যা করা হয়েছে। (Click This Link)
বিন বাজ: ইরাকের বিরুদ্ধে জিহাদ। এই জিহাদ সবার জন্য ফরজ। যারা এই জিহাদে আছে, তারা বন্ধু, তাদের সহায়তা করা ফরজ (মার্কিন ইত্যাদি)। মার্কিন ইত্যাদি সৈন্যকে সৌদি রাজত্বে রাখা সম্পূর্ণরূপে প্রয়োজনীয় এবং ফরজ। সন: ১৯৯১ (বিন বাজ মৃততুশয্যায়ও বারবার অনুরোধের প্রেক্ষিতেও এই ফতোয়া ফিরিয়ে নেননি।)
আল মুনাজিদ: ইসলামিক আইন অনুসারে মিকি মাউসকে ও টম অ্যান্ড জেরির জেরিকে সর্বাবস্থায় হত্যা করতে হবে। তা বাসায় থাক আর কার্টুনে। এরা শয়তানের চামুন্ডা। (মুনাজিদ সাব হইলেন মার্কিন মুল্লুকের ওয়াশিংটন ডিসির সৌদি দূতাবাসের সাবেক কূটনীতিক।)
বিন বাজ: নারীর বুদ্ধি কম। (পল এ মার্শাল, ২০০৫)
দাইশ=ইরাকি আল কায়েদা=আইএস=আইএসআইএস=আইএসআইএল=আবু বকর আল বাগদাদী (বিভিন্ন কনফিউজিং প্রতিনিয়ত নামকরণ হয়েছে ইরাক ও সিরিয়ায় কাজ করা এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর)-
স্ত্রী থেকে দূরে থাকা অবস্থায় পায়ুসঙ্গম জিহাদের সময় বৈধ। (ইসুকারী মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রিচার, প্রয়োগ আইএস এর উপর Click This Link)
নিনেভেহ প্রদেশ মুক্ত হওয়ায় প্রত্যেক বাসার অবিবাহিত নারীদের তাদের পাঠানো উচিত তাদের ভাইদের আনন্দিত করতে। যারাই আদেশ লঙ্ঘন করবে শরিয়াহ্ আইন তাদের উপর প্রযোজ্য। (Click This Link)
রমজান মাসে বিদদুত বন্ধ করার ফতোয়া দেয় আইএস শুধু এই অজুহাতে যে, রাসূল দ. ১৪০০ বছর আগে তড়িৎ বিহীন যুগে রোজা রাখতেন। (Click This Link)
পাঁচটি ফতোয়া- আল কামিশলি শহরের সমস্ত খাদ্য ও বস্ত্রের নিয়ন্ত্রণ জিহাদি ভাইদের অধিকারে যাবে। স্বর্ণ ও রৌপ্য যোদ্ধারা নিবে কারণ এটা তাদের অর্জিত সম্পদ। সমস্ত বিনোদনের ব্যবস্থা ও সিগারেট বিক্রির দোকান সম্পূর্ণ ধ্বংস করার আগে আগুন দেয়া হবে। খ্রিস্টান, কুর্দ ও আল খাজনাভিদের বের করে দাও অথবা হত্যা করো। তাদের নারীরা তোমাদের। এই নির্দেশ আল্লাহর ইচ্ছায় পরবর্তী শহরগুলোতেও জারি থাকবে। (Click This Link)
১১-৪৬ বছর বয়সী সকল নারীর খতনা করতে হবে। (এই আদেশের পক্ষে অসংখ্য প্রমাণ এসেছে, বিপক্ষেও অনেক তথ্য এসেছে। এই আদেশ জারি হয়ে থাকলে তা ৪ কোটি নারীর উপর পড়ছে।)
আসলে আইএস এর আরো অসংখ্য ফতোয়া আছে। এইসব বীভৎস ফতোয়া ঘেঁটে বের করা নার্ভের উপর চরম চাপের বিষয়। যেমন, সারা পৃথিবীর সমস্ত মুসলমানের ফরজ হল খলিফাকে মানা। তাদের উপর ফরজ, ইসলামিক স্টেটে চলে আসা। যারাই আসবে না, তারাই পথভ্রষ্ট এবং শাস্তি পাবে। সবার উপর ফরজ বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ নয় এমন মা বোনকে তাদের হাতে তুলে দেয়া। জামাতেস্লামী, বাংলাদেশের হেজবুত তওহীদ বা এ ধরনের অসংখ্য আল কায়েদা টায়েদার অসংখ্য বিবমিষাকর ফতোয়া রয়েছে যা উল্লেখ করতে যাওয়াও রীতিমত শারীরিক কষ্টের বিষয়।
বিন বাজ: সাদ্দাম হুসাইন কাফের। (Click This Link)
রোজায় মাস্টারবেশনে রোজা ভাঙে না। নবীকে অপমান করলে কেউ কাফির হয় না। নারীদের জন্যও স্বর্ণ হারাম। (নাসিরুদ্দিন আলবানী, সৌদি 'মুজাদ্দিদ')
মুলতাকা আহলে হাদীস: ইমোটিকন হারাম। (হারামই যদি, তো ছবি তোলাই হারাম। সব গ্র্যান্ড মুফতি থেকে শুরু করে পাতি মুফতি পর্যন্ত টিভিতে দৌড়ায়। এমনকি ইরাক-লেভ্যান্টের তাকফিরিরাও তাদের খলিফাকে ভিডিওতে দেখাচ্ছে।)
সৌদি গ্র্যান্ড মুফতি: সত্যিকার মুসলিম টুইট করে না! (উল্লেখ্য, সৌদি প্রিন্স আলাউদ্দিন বিন তালাল ওই মুরগি যে কিনা টুইটারের মাত্র ৩.৬% শেয়ার কিনেছে ৩০০ মার্কিন ডলারে)
সিরিয়ায় জিহাদি রা পর্যায়ক্রমে সিরিয়ান ১৪ বছর বা তদুর্দ্ধ মহিলা, স্বামীহীন এবং তালাকপ্রাপ্তা- এদের সাথে কয়েক ঘন্টার ইন্টারকোর্স ম্যারেজে আবদ্ধ হতে পারে। (আল আরিফি, সৌদি মুফতি। https://www.youtube.com/watch?v=6Qvo4_hMrF4)
যুদ্ধক্ষেত্রে আপন বোনের সাথেও যৌন জিহাদ চালনা করা যাবে আর কাউকে না পেলে। (নাসের আল উমার, সউদি... এ নিয়ে ভিডিও প্রচারণাও করা হয়েছে।)
জিহাদিরা সমস্তকিছুর মালিক। সমস্ত জড় ও জীবের মালিকানা তাদের হাতে। তাদের হাতে স্বেচ্ছায় নিজের দেহ তুলে দিলে এর বিনিময়ে জান্নাত পাওয়া যাবে। আর প্রয়োজনে সমস্ত হারাম হালাল হয়ে যায়। জিহাদের প্রয়োজনে প্রস্টিটিউশন হালাল। কাফির হত্যার উদ্দেশ্যে হোমোসেক্সুয়ালিটি করা যায়। (Click This Link)
অবশেষে সেই সৌদিরাই, যখন দেখা গেল যে, আরেক সালাফিস্ট আইএস ঘোষণা করেছে ক্বাবা ধ্বংস করবে সৌদি আক্রমণ করে, নতুন ফতোয়া জারি করল, সিরিয়ায় কোন জিহাদ নেই। (কাউন্সিলের আলী আব্বাস আল হিকমী। Click This Link )
সৌদি পত্রিকা আল ওয়াতান: ফুটবল খেলতে পারবে, কিন্তু ইহুদি খ্রিস্টানের মত ১১ জন নিয়ে খেলো না, আর গোলপোস্টও রেখো না। (আ ফতওয়া অন ফুটবল, দ্য গার্ডিয়ান, ৩১ অক্টোবর ২০০৫)
ড. জাকির নায়িক: ইমাম হুসাইন রা. খলিফা (রাজা) হবার জন্য যুদ্ধ করেছিলেন। কারবালার গণহত্যা ইসলামের ধর্মীয় কোন বিষয় নয়। এজিদ হল রাদ্বিআল্লাহু আনহু।
ড. ইসরার আহমেদ: আলী রা. মদ খেয়ে মাতাল হয়ে নামাজে ইমামতি করেছিলেন এবং সূরা ক্বাফিরুনে বলেছিলেন যে হে ক্বাফিররা, তোমরা যাদের যাদের ইবাদাত করো আমরাও তাদের তাদের ইবাদাত করি।
ইউসূফ ক্বাদি: ইমাম হুসাইন রা. রাজা হতে চেয়েছিলেন দেখে আল্লাহ তাকে রাজা হতে দেননি, ইমাম হাসান রা. রাজা হতে চাননি দেখে ইমাম মাহদী রা. কে তার বংশে পাঠানো হবে। তাদের দুজনের আর কোন ভাইবোন নেই। (দেখি, এই তিনটার কেউ রেফারেন্স চায় কিনা)
'ডক্টর' ইজ্জাত আতিয়া: পুরুষ ও নারীকে একই কর্মক্ষেত্রে কাজ করাটা হালাল করার জন্য তাদের দুধমা ও দুধ সন্তানে পরিণত করতে হবে। এজন্য পাঁচবার বিষয়টা চর্চা করা জরুরি। আশা করি যেভাবে কথাটা মিডিয়ায় এবং তারা বলেছে, সেভাবে বলতে হবে না। (মে মাসের ফতোয়া নিউইয়র্ক টাইমসের জুন ১১ তে এসেছে, ২০০৭।)
উচ্চতর শরিয়া বোর্ডের সদস্য সালেহ আল ফাওজান: ইজরায়েলের উপর অভিশাপ দেয়া যাবে না। তাহলে তা ইয়াকুব আ.'র উপরও পড়বে।
গ্র্যান্ড মুফতি আবদুল আজিজ আশ শেইখ (আশ শেইখ পরিবার হচ্ছে আবদুল ওয়াহহাব নজদীর সরাসরি পরিবার। চুক্তি অনুযায়ী আবদুল ওয়াহাব নজদীর পরিবার চিরকাল সৌদি দেশের ধর্ম নিয়ন্ত্রণ করবে আর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ জমিদার সৌদ পরিবার চিরকাল রাজনীতি পরিচালনা করবে): ইসরাইল-বিরোধী মিছিল করা সম্পূর্ণ হারাম। তিনি আরো বলেছেন, ফিলিস্তিনিদের পক্ষে মিছিল করা অর্থহীন সস্তা আবেগপ্রসূত তৎপরতা মাত্র!
গোয়েন্দা প্রধান ও প্রিন্স তুর্কি: হামাস অতীতের মতই ভুল করে যাচ্ছে এবং গোঁয়ার্তুমি করে ইসরাইলে অকার্যকর বা প্রভাবহীন রকেট নিক্ষেপ করছে বলেই ইসরাইলি সেনারা ফিলিস্তিনে হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে। (পরপর তিনটা: Click This Link )
সৌদি ধর্মীয় স্কলারদের শুরার সদস্য আল হেমকি: মঙ্গল গ্রহে ভ্রমণ ও ভ্রমণের চেষ্টা হারাম।
সৌদি মালিকানাধীন মিডিয়া আল আরাবিয়ায় প্রকাশ সৌদি জ্ঞানী আল ফাওজান: বুফে খাওয়া যাবে না। বুফে খেলে আগে খাবারের পরিমাণের দাম নির্ধারণ করতে হবে। যারাই বুফেতে ঢুকে খাবে, তাদেরই... (ওরে আমার আল্লাহ রে! তুমি কি এই ইসলাম দিয়েছিলে? সৌদিরা এক টেবিলে কী খায় আর আমরা গরিবরা টাকা জমিয়ে এক বুফেতে গিয়ে কীই বা খাই? তাও আমাদেরটা হারাম...) শুধু তাই না, এই ফতওয়ায় খুশি হয়ে টুইটার হ্যাশট্যাগের বন্যা বয়ে গেছিল।
সালাফি প্রিচিং মুভমেন্টের আল সাহাত বলেন: মাত্র তিনটা খেলা ইসলামে হালাল। বর্ষা নিক্ষেপ, সাঁতার, ঘোড়দৌড়! আর সব হারাম।
বর্তমান সৌদি গ্র্যান্ড মুফতি: মেয়েদের ১০-১২ বছরের মধ্যে বিয়ে দেয়া উচিত। আমাদের মা-দাদীরা এই বয়সেই বিয়ে করেছে। বিয়ের দায়িত্ব তারা এই বয়সেই পালন করতে উপযুক্ত হয়। (এপ্রিল ২০১২)
সালাফি জিহাদিস্ট গ্রুপের মারজান আল গোহরি: পিরামিডগুলো ধ্বংস করে দিতে হবে।
বর্তমান সৌদি গ্র্যান্ড মুফতি: আরব উপদ্বীপের সমস্ত গির্জা ধ্বংস করতে হবে। (১৫ মার্চ ২০১২)
সোমালিয়ান সালাফিস্ট জিহাদি ফতওয়া: সাম্বোসাক (তিনকোণা সমুসা) খাওয়া যাবে না। কারণ এটা ত্রিত্ববাদের প্রতীক ত্রিকোণ ধারণ করছে।
সালাফিস্ট সন্ত্রাসী বোকো হারাম: পশ্চিমা শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার অপরাধে (আমাদের দেশে যেমন স্কুল কলেজ, তেমনি কলেজে পড়ার অপরাধে) তিনশো মেয়েকে অপহরণ করা হয়।
বর্তমান গ্র্যান্ড মুফতি: মক্কায় ঐতিহাসিক নিদর্শনসমূহ ক্বাবার প্রসারণের জন্য শুধু প্রয়োজন ছিল না, বরং তা ধ্বংস করা ধর্মীয় দায়িত্ব। (Click This Link)
কারো যদি কারো সাথে বিয়ে হয় এবং দেখাও না হয় এবং দূরত্বও অনেক থাকে যে দেখা হয়নি তবু যদি নারী গর্ভবতী হয় তবে বাচ্চার বাবা হবে নারীর যার সাথে বিয়ে হয়েছিল সেই পুরুষ!
বিয়ের পর যদি কেউ ৫ বছরও জেলে থাকে এবং স্ত্রীর সাথে দেখাও না হয় তার স্ত্রী এক বা একাধিক সন্তান জন্ম দেন, তবু সন্তানের পিতামাতা তারাই।
সিটবেল্ট পরা হা রা ম কারণ এটা পূর্বনির্ধারিত ভাগ্যকে আটকায়। হায়রে কপাল!
রান্নার আগে মাংস ধোয়া হারাম।
পুরুষ তার মৃত স্ত্রীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে পারে।
ইলেক্ট্রিক কারেন্ট নেই এমন অঞ্চলে যে থাকে তার জন্য রোজা ফরজ না। এগেইন মাইরালা। (সৌদি মুফতি আবিকান, আইন মন্ত্রণালয়ের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা।)
ইসা ইবনে সালিহ, ওয়াহাবি মুফতি, পর্নোগ্রাফি দেখা যৌনতায় অক্ষমের জন্য জায়েজ আছে যদি সেই পর্নো তৈরি হয় মুসলিমদের দ্বারা!
শেখ জসিম আল সাঈদী, সালাফি মুফতি: অ্যালকোহল ও যৌনতা বিক্রি করা জায়েজ ইয়েমেনের অভাব যতদিন আছে ততদিন।
জাফরান ড্রাগ হওয়াতে এটা হারাম। (কুয়েত ফতোয়া কমিটি... সৌদি রাজা তার আশপাশের টুকরা টাকরা দেশগুলোতে নিজের মতাবলম্বীদের শুধু দেশ গঠন করতে দিয়েছিল।)
সউদি শেখ আল রাইফাই: বাবার সাথে মেয়ের নির্জনে যাওয়া হারাম।
সউদি মুফতি শেখ সালেহ আলফজান: যারাই নামাজ পড়ে না তাদের সবাইকে অবশ্যই হত্যা করতে হবে।
স্বামীর অবর্তমানে এয়ার কন্ডিশনার চালানো স্ত্রীর জন্য হারাম।
বাইক/মোটর সাইকেল চালানো হারাম।
শেষের আঠারোটা ফতোয়া Click This Link এখান থেকে নেয়া।
নারীদের ড্রাইভ করা হারাম কেননা তা ডিম্বাশয়ের জন্য ক্ষতিকর! (সৌদি গ্র্যান্ড মুফতি)
পুরুষ (স্বামী/পিতা/দাদা/পুত্র/ভ্রাতুষ্পুত্র)'র অনুপস্থিতিতে সন্তান জন্মদান করা যাবে না। তাদের অনুপস্থিতিতে পুরুষ ডাক্তার বা নার্সরাও নারীদের চিকিৎসা করতে পারবে না। (ধর্মীয় শুরা, আরব নিউজ, জেদ্দা, ১৪ ফেব্রু, ২০১৪)
মৃততুদন্ডপ্রাপ্ত পলাতক রাজাকার প্রতি বছর হজ্বের আগে এনটিভিতে: হজ্বে মদিনায় যাবার কোন প্রয়োজন নেই। কেউ যদি মনে করে হজ্বে মদিনা জিয়ারত করা প্রয়োজন, তবে তার হজ্ব হবে না। (মিশকাত শরীফের হাদিস: যে আমাকে দেখল সে সত্যই দেখল। যে আমার জিয়ারত করল হাশরে তাকে শাফাআত করা আমার জন্য ওয়াজিব। আমার কবরের জিয়ারতও আমারই জিয়ারত।)
শেষে একটা সত্যিকার ভার্চুয়াস সৌদি ফতওয়া শোনা যাক, ৮০ বছর বয়সী অন্ধ শেখ হামুদ বিন উকলা আশ শুয়াইবিকে সৌদি প্রশাসন জিজ্ঞেস করেছিল, 'আপনি কি আসলেই আস-সৌদ পরিবারের উপর রদ ঘোষণা করেছেন?'
তিনি সোজা জবাব দিয়েছিলেন, 'যারাই ক্বাফিরদের পক্ষ নিয়ে বৃহত্তর মুসলিম জাতির বিপক্ষে অবস্থান নেয়, তারাই ক্বাফির।' (১১ অক্টো, ২০০১, ইকোনমিস্ট)
চারটা পবিত্র হাদীস সব সময় আমাদের পথনির্দেশক হয়ে রয়:
১. তোমরা ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করো না। অতীতে বহু জাতি ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে গিয়ে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে।
২. কুরআন পড়ে চেহারা উজ্জ্বল করে ফেলার পর কিছু মানুষ প্রতিবেশীকে হত্যার জন্য উঠেপড়ে লাগবে মুশরিক বলে। নিশ্চই আক্রমণকারী মুশরিক।
৩. আজকে আমরা ছোট জিহাদ থেকে বড় জিহাদের দিকে প্রত্যাবর্তন করলাম। হ্যা, আত্মনিয়ন্ত্রণ, শুদ্ধি ও উন্নয়ন যুদ্ধক্ষেত্র থেকে বড় জিহাদ।
৪. মুসলিমের হৃদয় শস্যক্ষেত্রের মত। সামান্য বাতাসও তাতে নাড়া দেয় (অর্থাৎ যে কোন অমানবিক/অনৈতিক বিষয় সে দ্রুত বুঝতে পারে, সেভাবে নিজেকে পিরবর্তিত করে। তাকে অধিকতর পরিশুদ্ধ করতে বেশি প্রমাণের প্রয়োজন নেই।) আর মুনাফিকের হৃদয় বড় কঠিন গাছের মত। কিছুতেই নড়ে না, উপড়ে যায় ঝড়ে। (অর্থাৎ কোন কিছুই তাদের স্পর্শ করে না, কোন প্রমাণ কোন নিদর্শন তাদের মনে প্রভাব ফেলে না এবং মুনাফিক অবস্থাতেই তাদের প্রাণ একেবারে ঝরে পড়ে, অফেরতযোগ্য অবস্থায়)
বাংলাদেশে মুসলিম যে কয়জন মানুষ আছে, আল্লাহর দয়ায় যেন তাদের মধ্যে মুনাফিকের সংখ্যা বেশি না হয়। বেশি হলে আমরা বড় বিপদে পড়ব।
ডিসক্লেইমার:
০. সৌদি, সালাফি, আহলে হাদীস ও ওয়াহাবি মতাবলম্বীরাও পৃথিবীর আর সব মতবাদের মত বহু ধারায় বিভক্ত। তারাও কিছু কিছু ফতোয়া সঠিক এবং মানবিক দিয়ে থাকে। কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কিছু বলার রুচি আমাদের এম্নিতেই নাই, কিন্তু পথে কাঁটা থাকলে সে সম্পর্কে সচেতন করা জরুরি কর্তব্য মনে করি।
১. এখানে জ্ঞাতসারে এমন কোন ফতোয়া আনা হয়নি, যা প্রকৃতপক্ষে ইসলামিক। এই মতবাদের মধ্যে কে ফতোয়া দিয়েছে, কোন প্রাতিষ্ঠানিকতার অধীনে কখন দিয়েছে, তা উল্লিখিত। বিভ্রান্তি বা মিশ্রণের কোন অবকাশ নেই। ইসলাম নিয়ে যে কোন মাত্রার প্রশ্নে স্বাগতম, তা যতই অস্বস্তিকর মনে হোক না কেন। তবে, ইসলাম নিয়ে মোটাদাগের কোন রসিকতা কেউ করলে তাকে বেদনাদায়কভাবে শালীন শব্দ বর্ষণে জবাব দেয়া হবে।
২. ইসলাম সম্পর্কে অথবা এই পোস্টের যে কোন বিষয় সম্পর্কে আন্দাজে ধারণা না করে বরং সরাসরি প্রশ্ন করাই শ্রেয়, কেননা স্রেফ উৎসাহের খাতিরে আমরা ইসলাম সম্পর্কে শিখি না। অকাট্য অবশ্যকর্তব্য মনে করে শিখি। সৌখিনদের সাথে আমাদের ব্যাপক পার্থক্য রয়েছে।
২০ শে আগস্ট, ২০১৪ ভোর ৬:২১
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: হাসিন ভাই, আমি আসলে এই বিষয়টা নিয়ে বারবার লিখতে চাই এবং বারবার পিছিয়ে আসি।
পুরো বিষয়টাই আক্বিদার সাথে যেহেতু জড়িত, এটা এক কথায় স্পষ্ট করা আসলেই সম্ভব নয়।
কোন্ দিকটা নিয়ে লিখব? কীভাবে লিখব? কোন্ পন্থায়, বুঝি না।
শুরু করেছিলাম। প্রচন্ড অশান্তি লাগে। মাথা গরম হয়ে যায়। পরে বাদ দিয়েছি। একটু সংক্ষেপে-
এই মতবাদের সুগঠিত উত্থান হয়েছিল ইবনে তাইমিয়ার হাত ধরে। তিনি ইসলামের সকল মাজহাবকে একই সাথে বাতিল করে দেন। অথচ তখনো এবং এখনো পৃথিবীতে মাজহাবপন্থীদের সংখ্যা সবচে বেশি। আর চার মাজহাবই পরস্পরের পূর্ণ স্বীকৃতি দেয়। এবং তাদের আক্বিদা এক। আর ভিন্নতা নির্ধারিত হয় ঈমান ও আক্বিদায়, বিভিন্ন সঠিক সুন্নাহর পার্থক্যে নয়। রাসূল দ. তো বলেছেন, তার উম্মাহ কখনো পথভ্রষ্ট হবে না সর্বাধিক সংখ্যায়। অর্থাৎ, যে চার মাজহাবের আক্বিদা একই, তারা কখনোই পথভ্রষ্ট হতে পারে না।
তারও আগে, বনু তামিম গোত্রের সাথে রাসূল দ.'র বংশের একটা শ্লেষ ছিল। এটাই মূল বিষয়। পরবর্তীতে ইবনে তাইমিয়্যার ওই মতবাদ ধারণ করেন বনু তামিমের ইবনে আবদুল ওয়াহহাব নজদী। বনু তামিমও বনু ইসমাঈল। তারা যাযাবর (বেদু)। শহরবাসীদের প্রতি যাযাবরদের একটা বিতৃষ্ণা ছিল। এই বিতৃষ্ণা একই বংশ হওয়ায় এবং ক্বাবা ইসুতে কুরাইশ বিরোধীতায় প্রবল ছিল। ঠিক ইয়াহুদিরা যেমন নিজেদের গোত্রে না আসাতে আপন সন্তানের চেয়েও স্পষ্টভাবে চিনেও রাসূল দ. কে মানতে রাজি নয়, ওয়াহাবি মতবাদ তেমনি। এখানে বারবার তৌহিদ বলা হবে। বারংবার কুরআন বলা হবে। কিন্তু রাসূল সংশ্লিষ্ট বিষয়ে যত সমস্যা। রাসূল বংশ, যার উপর আমরা প্রতি নামাজে দরুদ তথা নামাজ পড়ি বুখারি ও মুসলিম অনুসারে দরুদে ইব্রাহিম, তাদের সাথে যত সমস্যা।
আসলে এ নিয়ে অনেক বিষয় আছে ভাই। ইতিহাসের এই দিকটা নিয়ে অনেক বেশি বিষয় আছে।
কত স্পষ্ট বিষয়! নবীর জন্মের দিনের ঠিক নাই। নবীর মেরাজ পালনের কিছু নাই। নবীর জন্মদিন পালনের কিছু নাই। কুরআনের আয়াত: যেদিন জন্মালেন, যেদিন ঘুমাবেন এবং যেদিন পুনরুত্থিত হবেন সেই দিনে সালাম হোক! এই আয়াত তাদের উদরপূর্তি করতে পারে না ভাই। এমনো বলে বসে, আরে এই দিন তো অন্য নবীদের। আমাদের নবীরটা পালন করতে কোথায় বলেছে,বোঝেন! তোমরা আল্লাহর নিয়ামত প্রাপ্তিতে খুশি উদযাপন করো, এই আয়াতে তাদের উদরপূর্তি হয় না। রাহমাতাল্লিল আলামীন কি সবচে বড় নিয়ামাত নন?
হায় আহলে বাইতে রাসূল দ.! এজিদ বংশেরই মহান খলিফা দ্বিতীয় উমার উমার ইবনে আবদুল আজিজ রা. বললেন, এই যে রাসূল দ.'র বংশধরকে সম্মান করলাম, এতে কি বিবি ফাতিমা খুশি হতেন না?
আল্লাহ কি বলেননি, তোমরা যারা ঈমান এনেছ, রাসূল দ.'র গৃহে প্রবেশ করো না অনুমতি ছাড়া! হায় যে গৃহে প্রবেশ করাও নিষেধ, সেই গৃহ গুড়িয়ে দেয়।
ইমাম হাসান কি রাসূলের আহলে বাইত নন? ইমাম হাসানের শেষ বিশ্রামের ঘর কি রাসূলের ঘর নয়? নাকি ইসলাম ধর্মের সাথে ব্যক্তি ইমাম হাসান, ব্যক্তি ফাতিমা রা. অনুল্লেখ্য? যদি তারা অনুল্লেখ্যই হবেন, তাহলে জান্নাতের সর্বাধিকারী কেন তারা দুজন, এবং ইমাম হুসাইন?
ভাই সহিহ হাদীস, নজদের দিক থেকে শয়তানের দুটি শিং উত্থিত হবে। এবং এই কারণে রাসূল দ. নজদের দিকে হাত তুলতে রাজি হননি। আজকের রিয়াদ সেদিনের নজদ।
সহিহ হাদীস, যে ব্যক্তির বংশ থেকে এরা আসবে যাদের নামাজ-রোজা-কুরআন তিলাওয়াত হবে স্বয়ং উমার রা.'র মতদের চেয়েও বেশি, সেই ব্যক্তি বনু তামিমের। এবং বনু তামিমের ওই ব্যক্তি কিন্তু রাসূল দ.'র প্রতি আঙুল তুলেছিল। এবং এদের মতবাদের সবাই ঈমান থেকে পরিপূর্ণ বেরিয়ে গেছে এবং তাদের তাকদির এভাবে বিদ্ধ যেভাবে হরিণ তীরকে।
ইসলামের আর কত ক্ষতি দেখতে পাব বলেন? আল্লাহর রাসূলের সাহাবাগণ কি রাসূলের মূত্রপান করেননি? জেনেশুনেবুঝে হাজার হাজার সাহাবা সারা জীবন কি রাসূলের থুতু, ঘাম, অযুর পানি পান করেননি? তাদের বাদ দিয়ে কোন্ ইসলাম নিয়ে এসেছি আমরা? সেই সাহাবাগণ যদি আজকে থাকতেন, তারা গুঁড়িয়ে দিতেন ইমাম হাসানের বিশ্রামস্থল? শত শত সাহাবা কি রাসূল দ.'র সচেতন অনুমোদনে রাসূল দ.'র বহুবিধ নিদর্শন সাথে নিয়ে কবরে যাননি? লুঙি, জামা, চুল, নখ, ঘাম!
সেই সাহাবাদের ইসলামটা ঠিক কেমন ছিল? নবীর উপর ঈমানটা ঠিক কেমন ছিল? আজকে তারা নবীকে ঠিক কীভাবে মূল্যায়িত করতেন, তার মাজারকে, তার বংশধরদের মাজারকে?
নবী কি সহিহ হাদীসে বলেন না, হাসান হুসাইন সম্পর্কে, এদের রক্ত আমার রক্ত এদের মাংস আমার মাংস? সহিহ হাদীসে কি আমরা পাই না, নবীর রক্ত পড়তে দিবে না, তাই পান করে ফেলেন সাহাবা রা. গণ?
আজকে তারা জাইনআব রা.'র জন্ম পর্যন্ত স্বীকার করে না। ইমাম হাসান হুসাইনের যে বোন রাসূল দ.'র কোলে থেকেছেন পুরো চার বছর।
যে রাসূল নামাজে কোনদিন কোন ব্যতিক্রম করেন না, তিনি এই তিন ভাইবোনকে কোলে পিঠে নিয়ে কি নামাজ পড়েননি? হাত দিয়ে নিয়ে,উঠিয়ে বসিয়ে কি নামাজ পড়েননি?
বৃদ্ধ আবু হুরাইরা রা. কি ইমাম হুসাইনের রা. পা মুছে দেননিআপন জামায়?
হাসিন ভাই, সেই ইসলাম থেকে কি আমরা সরে আসিনি? যদি সরে এসেই থাকি, তবে কোথায় এসেছি? সেটা কি আহলুস সুন্নাহ (সুন্নাহর অনুসরণ) ওয়াল জামাআহ (এবং রাসূলের জামাত তথা সাহাবাদের অনুসরণ ) রইল?
হায়, সহিহ হাদীসের নামে কী করছে! অথচ ইমাম বুখারি শিয়াদের হাদীস জেনে শুনে বুঝে নিয়েছেন । খারিজিদের হাদিস জেনে শুনে বুঝে নিয়েছেন। সহিহ বুখারিতে এই ক্ষেত্রে ১০০ হাদিস আছে যা চরম তম দ্বয়িফ। তারা কি জানে না? দ্বয়িফ ১৬ প্রকার, যার মধ্যে সবচে বাজে দ্বয়িফ হচ্ছে মিথ্যাবাদীর বর্ণনা। এবং তারচে একটু কম দ্বয়িফ হচ্ছে যাকে মিথ্যাবাদী বলে অনেকে তার বর্ণনা। এবং তার নিচের দ্বয়িফটাই হল শিয়া ও খারিজিদের বর্ণনা। অর্থাৎ, দ্বয়িফের মধ্যে যা খারাপের দিক দিয়ে ৩ তম অবস্থানে আছে, সেই হাদিসও কি ইমাম বুখারি সহিহে যুক্ত করেননি?
তারা জানেরে ভাই। সবই জানে। অথচ ইসলামে অগ্রহণযোগ্য দ্বয়িফ মাত্র দুটা স্তর। মতান্তরে তিনটা। মতান্তরে চারটা। বাকি বারোটাই সম্পূর্ণ গ্রহণীয়- সুনির্দিষ্ট পরিস্থিতি আরোপের পর।
হাদিসে যে ক্ষতি তারা করেছে, এর কোন পূরণ নেই।
আল্লাহ কি বলেননি, এই রাসূল দ. নিজের কামনা বাসনা থেকে কিছু বলেন না (আনিল হাওয়া) বরং যা বলেন তা সরাসরি আল্লাহর ওয়াহয়ি হয়ে থাকে (ওয়াহইউন ইউহা)! এটার অর্থ কী? তারাও জানে এবং বলে, এটার অর্থ হল, রাসূলের সব কথাই অহি। এমনি অহি যেমন কুরআন, শুধু পার্থক্য এখানে যে, এগুলো নামাজে পড়া যায় না।
আজকে দ্বয়িফ হাদীসকে সম্পূর্ণ রদ করা মানে হচ্ছে আল্লাহর অসংখ্য ওয়াহয়ি রদ করা।
আল্লাহর ওয়াহয়িকে রদ করার চেয়ে বড় ক্ষতি ইসলামে আর কী হতে পারে? আমি কি ক্যাটাগরি তৈরি করে রাসূলের অসংখ্য বাণী বাদ দিতে পারি? নাকি হাদিসের ইমামরা এই ক্যাটাগরিকে বর্জনীয় বলেছেন?
আমার রাসূল দ. কি মাত্র ৪,৪০০ বাণী দিয়েছিলেন? হাসান সহ হয় মাত্র ১০/১২ হাজার। ইমাম বুখারিই কি শুধু দ্বয়িফ হাদিস নিয়েছেন? হাদীসের সকল ইমামের লেখা তো আজো আছে। কী বলেছেন তারা দ্বয়িফের বিষয়ে? আর এই মানুষগুলো কেন মাত্র ৪,৪০০ হাদীস গ্রহণ করে? বা ১০/১২ হাজার?
হায়, তারাও জানে, সবাই জানে, যে হাদিস দ্বয়িফ হয়েছে কালক্রমে। ইমাম আবু হানিফা, ইমাম শাফিয়ি, মালিকি যেসব হাদিস গ্রহণ করে তাদের বিশাল বিস্তৃত ফিকাহ তৈরি করেছেন, সেসব হাদিস তখন দ্বয়িফ ছিল না, বরং তাদের, এই ইমামদের পরবর্তী প্রজন্মে গিয়ে দ্বয়িফ হয়েছে! হায়, এই ইমামরা যা গ্রহণ করেছেন, তা পরে দ্বয়িফ প্রমাণিত হলেও তা যে সহিহ, কারণ তারা যখন এই ফিকাহ তৈরি করেন তখন তো সহিহ সূত্র ছাড়া কিছু তৈরি করেননি। পরে বর্ণনাকারীর গ্যাপের কারণে তা দ্বয়িফ হয়েছে, তাও পরবর্তী প্রজন্মের বর্ণনাকারীর জন্য। আবু হানিফা যে তাবিয়ি! তিনি যে এসব শিখেছেন ২৭ জন পূর্ণ মকবুল সাহাবি এবং ৩,৫০০ ধর্মভীরু তাবিয়ির কাছে! সরাসরি। এই ৩,৫০০ তাবিয়ি এবং ২৭ সাহাবির সরাসরি মিথষ্ক্রিয়াকে অস্বীকার করা যে কুরুনে সালাসা তথা সলফে সালিহিন তথা সালাফিয়াতের অস্বীকার।
ভাইরে তারা কীভাবে হাদিস রদ করেছে একবার খেয়াল করলে আপনি টিকতে পারবেন না। ইমাম বুখারির কিতাবুল আদাবুল মুফরাদ বিষয়ে একটা লেকচার আছে, ড. তাহির উল ক্বাদরীর ৪ ঘন্টার। ইংরেজি। সম্ভবত আন্ডারস্ট্যান্ডিং উইক দ্বয়িফ হাদিস নাম।
এটা থেকে কিছু কথা বলতে পারতাম, গা রি রি করছে। ইচ্ছামত হাদিস বাদ দিয়েছে তারা। ইমাম বুখারির অন্যান্য কিতাব থেকে হাদিস বাদ দিয়ে সেগুলোর সহিহ টাইটেল দিয়েছে।
ভাই কিছু না, শুধু ড. তাহির উল ক্বাদরীর (তিনি কিন্তু আমার পীরও নন, কোন দিক দিয়ে সম্পর্কিতও নন, বিশ্বাস ব্যতীত) আহলে বাইত বিষয়ক কিছু বক্তব্য দেখুন। হাদীস বিষয়ক, আক্বিদা বিষয়ক। ড. ইসরার যখন আলী রা. কে মাতাল বললেন, তার জবাবটা দেখুন। ড. জাকির যখন এজিদকে রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলল, তার জবাবটা দেখুন।
ইসরার এবং জাকির উভয়ের এই কথাগুলোর পর তাদের ফাউন্ডেশন অফিশিয়াল ব্রিফিং করেছিল। সেই ব্রিফিঙে সোজা সাপ্টা হাদিস পাল্টে দিয়ে যুক্তি দিয়েছিল যে ইসরার এবং নায়িক ঠিক।
কিছু না, প্রথমে তাদের ভিডিও, তারপর তাদের ভিডিওর প্রতিবাদ হবার পর তাদের ফাউন্ডেশন থেকে অফিশিয়াল ক্ল্যারিফাই, এবং সবশেষে একজন মাত্র মানুষ ড. ক্বাদরীর রিপ্লাইগুলো দেখুন।
আল্লাহর জাত নিয়ে সিদ্ধান্তমূলক কথা না বলা সরাসরি তৌহিদের অংশ। এটা সরাসরি রাসূল পাকের নিষেধ। আপনি কি জানেন, তারা আল্লাহকে রীতিমত হাত পা চোখ কান নাক মুখ কোমর বিশিষ্ট একটা প্রাণীর অবয়ব দিয়ে বসে আছে- অথচ আল্লাহ অমুখাপেক্ষী।
তাদের কথাগুলো দেখুন, না আরশ আল্লাহর চেয়ে বড়, না আল্লাহ আরশের চেয়ে।
আল্লাহ কীভাবে আছেন এটা তিনিই ভাল জানেন। আমরা বিনা অনুমানে তার কাছে সমর্পিত। এটাই তো ঈমান।
হত্যার বিষয়গুলো কী বলব! সারা পৃথিবীতে হত্যা। সবাইকে। সর্বত্র।
ভাই পেট্টোডলার মতবাদকে উচ্চকিত করে। ইহুদিরা যেমন করে সারা পৃথিবীকে বিশ্বাস করিয়েছে, ষাট লাখ মেরেছে হিটলার, তেমনি করে এখন পেট্টোডলারের মতবাদ উচ্চকিত। আমরা চাই বা না চাই, এই মতগুলোর কোন না কোনটা আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য মনে হয়।
তৌহিদ মানে তো আল্লাহ। রিসালাত বিনে যে তৌহিদ নেই! রিসালাতের পর যে ইতাআত অর্থাৎ অনুসরণ! আল্লাহ, তোমাকে মানি তো মানিই, তুমি যাকে যাকে মানতে বলো তাদের সবাইকে মানি- এখানেই তো ইবলিশ আর ফিরিশতার মধ্যে তফাত। মুমিন এবং আল্লাহকে এক জেনেও রাসূলের প্রতি অবজ্ঞা অসম্মানে কাফির হওয়ার প্রমাণ!
আজকে মিলাদ বিদআত। লাইলাতুন নিফসি মিন শাবান বিদআত। হায়, হাত তুলে মুনাজাতও বিদআত। যিকর বিদআত। কিয়াম বিদআত। মেডিটেশন তো রীতিমত কুফর শিরক। অথচ বুখারি সম্মানে কিয়াম ও স্নেহে কিয়াম উভয়ের প্রামাণিক অনুমোদন করেন। বুখারির নাম বিক্রি করি আমরা, বুখারি নিজে নিজ উস্তাদের পদচুম্বন করেছেন এবং লিপিবদ্ধ করেছেন এবং তাঁর পদচুম্বন করেছেন মুসলিম এবং লিপিবদ্ধ করেছেন এই বিষয়। হায়, বুখারি মুসলিমের বাইরে কোন্ ইসলাম আমরা আনছি!
কত অসংখ্য হাদীস দিয়ে প্রমাণিত পদচুম্বন! সব ঠেলে দয়িফে ফেলে দিলেই লেঠা চুকে গেল।
আজকে মক্কায় ক্বাবাঘরেও জামাতের নামাজে দরুদে ইব্রাহিম পড়ার সময় দেয়া হয় না। সৌদি টিভি ছেড়ে দেখেন না ভাই, আমি লাইভ দেখেছি বহুবার। আমার নবী কি বলেন নাই বুখারিতে, আমি এই দরুদ পড়ি, তোমরাও পড়ো?
মানুষ দরুদে ইব্রাহিম পড়লে তাদের ক্ষতিটা কোথায়? দ্বেষের শেষ কোন্ জায়গায়?
ক্যালিফোর্নিয়ার শাইখ হামজা ইউসূফের বক্তব্য আমি তৃষ্ণার্তের মত শুনি। তৃষ্ণা মেটে না। অথচ তিনি আজব ব্যাপার, সূফিবাদী না। তিনি সূফিবাদী না হলেও তার আক্বিদা যে কোন কঠোর সূফিবাদীর চেয়েও কঠোর! কী সুন্দর করেই না তিনি ভুল ধারণাগুলো হাতে ধরে ঠিক করে দেন।
সাহাবি, তাবিয়ি, ইমামগণ- রাদ্বিআল্লাহুআনহুম। (মিনান নাবিয়্যিনা ওয়াস সিদ্দিকিনা ওয়াশ শুহাদায়ি ওয়াস সালিহিন, রাদ্বিআল্লাহু আনহুম ওয়া রাদ্ব)
রাসূল- সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া আসহাবিহি ওয়াসাল্লাম।
২| ১২ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:২২
নতুন বলেছেন: ধম`কে সবাই নিজের সাথে` ব্যবহার করে...
২০ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:২৮
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: নারে ভাই। সবাই না। শুভেচ্ছা অনেক অনেক।
৩| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এই হারামী সউদ আর শাইখ গং ধ্বংস হোক।
ইসলামের পবিত্র ভুমি জাজিরাতুল আরব মুক্ত হোক।
আল্লাহ - রাসূল সা: এর প্রকৃত অনুসারী আহলে বাইয়্যাতদের বিজয় হোক।
ভাই যা দিলেন তাতে পরিস্কার তারা ইহুদীদের এজেন্ট হয়ে ইসলামকে বিকৃত, বোকার, বুদ্ধিহীনের, নিরেট অর্থব এক আচার সর্বস্ত ধর্ম প্রমাণে লিপ্ত। তাদের বিরুদ্ধে নামার সময় আসন্ন। নইলে এরা ইসলামের নামকেই নষ্ট করে ফেলবে। এইসব কূপমন্ডুকতার বিষয়ে কোন ভাষা নাই বলার!!!!
২০ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:৩১
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই আমাদের অস্ত্র তো ধরার অনুমতি নাই, যদি না খলিফা আদেশ দেন।
আমরা কলম ধরতে পারি, মাউথপিস ধরতে পারি।
হ্যা, সারা পৃথিবী হয়ে পড়ছে পোলারাইজড। ইসলাম বিকৃতির শেষ পর্যায়ে চলে এসেছে।
সবচে কষ্ট লাগে, ইহুদি নিদর্শনগুলোকে তারা এত যত্ন করে রক্ষা করে, অথচ মুসলিম নিদর্শনের সবটুকু শেষ করে দেয়াই উদ্দেশ্য।
৪| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:২৪
মুদ্দাকির বলেছেন:
অমানবিক বিনোদন পোষ্ট।
আমার ইসরার আহামেদ কে খুব ভালো লাগত!!
সমুচা আর ট্রিনিটিতে আমি সবচেয়ে মজা পাইসি!! রমজানে প্রতিদিন সমুচা খাইসি !! আমার কি হপে
আমার একটা প্রশ্ন আছে গোসত রান্নার পরে কিভাবে ধুবো??????
২০ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:৩৫
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: মুদ্দাকির ভাই সালাম। আশা করি অনেক বেশি ভাল আছেন।
ইসরার আহমেদের অনেক লেকচার আমি শুনতাম। সেইতো আল্লাহ ও তাঁর রাসূল দ.'র সন্তুষ্টির জন্য।
এদের ভিতরে নবী দ. ও সাহাবা রা. বিষয়ে কী যে ঢুকেছে!
গোসত রান্নার আগে ধোয়ার কাহিনিটা আমিও বুঝি নাই। কেমন জট পাকানো।
৫| ২০ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৭:৪০
রুম৭৪ বলেছেন: অজানা অনেক কিছুঈ জান্তে পারলাম
২০ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:৩৬
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ভাই। আশা করি অনেক ভাল আছেন।
৬| ২০ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৮:৪২
ডাইরেক্ট টু দ্যা হার্ট বলেছেন: অনেক জটিল বিষয় নিয়ে পোস্ট দিয়েছেন, আরো কয়কেবার পড়তে হবে,আমার এই বিষয় সাংঘাতিক অজানা আছে বলে এখনি কিছু বলতে চাইনা,তবে আপনার আলোচনা অবশ্যই মুল্যবান এবং যথার্থ ।ইসলামের জন্য খুব বেশি গুরুত্বপুর্ন এই পোস্ট।
ধন্যবাদ আপনাকে
২২ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৯:৩৮
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আপনাকেও আন্তরিক ধন্যবাদ ভাই। আশা করি অনেক ভাল আছেন। এই বিষয়গুলো নিয়ে লিখতে খুবই বাজে লাগে, তাও লিখতে বাধ্য হয়েছি এবার।
নিকের সাথে প্রোপিক খুবই তীক্ষ্ণ আর আগ্রহোদ্দীপক। কথা হবে আশা রাখি।
৭| ২০ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:০৯
হানিফঢাকা বলেছেন: "ইসলামের আর কত ক্ষতি দেখতে পাব বলেন? আল্লাহর রাসূলের সাহাবাগণ কি রাসূলের মূত্রপান করেননি? জেনেশুনেবুঝে হাজার হাজার সাহাবা সারা জীবন কি রাসূলের থুতু, ঘাম, অযুর পানি পান করেননি? তাদের বাদ দিয়ে কোন্ ইসলাম নিয়ে এসেছি আমরা? সেই সাহাবাগণ যদি আজকে থাকতেন, তারা গুঁড়িয়ে দিতেন ইমাম হাসানের বিশ্রামস্থল? শত শত সাহাবা কি রাসূল দ.'র সচেতন অনুমোদনে রাসূল দ.'র বহুবিধ নিদর্শন সাথে নিয়ে কবরে যাননি? লুঙি, জামা, চুল, নখ, ঘাম!"----- Can you plz give some reference on these comments. Thanks
২২ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:৩৮
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই আমি আসলে রেফারেন্স দিতে পারব, কিন্তু এই বিষয়গুলো খুজে বের করা অনেক কষ্টকর ও সময়সাপেক্ষ। নিচে কিছু রেফারেন্স রইল যেগুলো আপনি জানতে চেয়েছেন-
Urwa then started looking at the Companions of the Prophet. By Allah, whenever Allah's Apostle spat, the spittle would fall in the hand of one of them (i.e. the Prophet's companions) who would rub it on his face and skin; if he ordered them they would carry his orders immediately; if he performed ablution, they would struggle to take the remaining water; and when they spoke to him, they would lower their voices and would not look at his face constantly out of respect. Urwa returned to his people and said, "O people! By Allah, I have been to the kings and to Caesar, Khosrau and An-Najashi, yet I have never seen any of them respected by his courtiers as much as Muhammad is respected by his companions. By Allah, if he spat, the spittle would fall in the hand of one of them (i.e. the Prophet's companions) who would rub it on his face and skin; if he ordered them, they would carry out his order immediately; if he performed ablution, they would struggle to take the remaining water; and when they spoke, they would lower their voices and would not look at his face constantly out of respect."
Reference
►Volume 3, Book 50, Number 891: Sahih Bukhari
সাহাবারা রা. রাসূলের থুথু নিয়েই নিজের চেহারা ও শরীরে মেখে নিতেন স্বাভাবিকভাবেই। তাঁর অযুর পানির অবশিষ্টাংশ পড়ার আগেই নিয়ে নিতেন...
Proof from the Qur’an
Allah Almighty says in the Qur’an,
“And their Prophet said to them: ‘the sign of his kingship is that there would come to you an ark in which there is tranquility of hearts from your Lord, and there are something left on the relics of the respectable Musa and the respectable Haroon, the angels raising it would bring. No doubt, in it there is great sign for you if you believe”. (Surah Al Baqarah Verse 248).
Hafidhh ibn Kathir and Qadi Shawkani write:
In the box there was Musa and Haroon’s clothes, Musa’a stick, and pieces of the Old Testament and some things of the previous Prophets, which had touched their bodies. When Bani Isra’il went to war, they took that box with them and they used to win.
[Tafsir ibn Kathir and Tafsir Fathul Qadir by Hafidhh ibn Kathir and Qadi Shawkani]
উপরের এই আয়াত থেকে এবং আয়াতের অসংখ্য তাফসির থেকে সুস্পষ্ট প্রমাণ হয়, আল্লাহর প্রিয়জনের স্মৃতিচিহ্ন মুক্তির উপায়।
Proof from the hadith
Imam Muslim writes:
The Companions of the Prophet (Sallallahu ‘alaihi wa sallam) used to get blessings from him. At one time our Prophet (Sallallahu ‘alaihi wa sallam) performed wudu with some water. When he left, Bilal (Radi Allaho anhu) came and saw the left over water he took the water from the house and brought it outside. The Companions took the water and began to wipe it all over their bodies. The other people who were behind were not able to get any water began to wipe the water from the Companions hands and wiped it on themselves. In this way everyone got the blessings from the water that the Prophet (Sallallahu ‘alaihi wa sallam) did wudu with. [Muslim Shareef, chapter of Salaah]
রাসূলে পাক দ.'র অযুর পানি যারা নিজের গায়ে মেখে নিয়েছেন তাঁদের গা থেকে নিয়ে অন্য সাহাবা রা. গণ তা নিজের গায়ে মাখছেন!
Imam Muslim writes:
The people of Madinah used to take tubs of water to the Prophet (Sallallahu ‘alaihi wa sallam.) The Prophet (Sallallahu ‘alaihi wa sallam) used to dip his hand in the water and the people used to take the tubs back (to get blessings from the water) [Muslim Sahreef chap Fada’il]
রাসূল করীম দ.'র কাছে পানির ভরা পাত্র সাহাবা রা. গণ নিয়মিত নিয়ে যেতেন যেন রাসূল দ.'র পবিত্র আঙুলের স্পর্শ সেই পানিতে থাকে। আর তারপর সেই পবিত্র পানি তারা বহন করে ফেরত নিয়ে যেতেন।
Hafidhh ibn Kathir writes:
Once a barber cut the Prophet (Sallallahu ‘alaihi wa sallam’s) hair. The Prophet (Sallallahu ‘alaihi wa sallams) Companions were there as well, when the Prophet (Sallallahu ‘alaihi wa sallams) hair used to drop, the companions used to catch the hair to prevent it from dropping onto the ground, which they kept as Tabarruk.
[Muslim Shareef, chapter of Fada’il, Tareekh, Ibn-e-Kathir, chapter, Hajj of Prophet (Sallallahu ‘alaihi wa sallam]
রাসূল দ.'র পবিত্র চুল তাঁরা মাটিতে পড়তে দিতেন না এবং নিজের কাছে রেখে দিতেন।
Imam Muslim writes:
Once the Prophet (Sallallahu ‘alaihi wa sallam) went to Ummay Salma’s house. While in her house he went to sleep. While he was sleeping he began to sweat. Ummay Salma got a small bottle and began to catch and collect the sweat of the Prophet Sallallahu ‘alaihi wa sallam. When the Prophet (Sallallahu ‘alaihi wa sallam) awoke he asked her what she was doing. She replied, I am collecting your sweat and hope that my children will get blessings from this, Prophet (Sallallahu ‘alaihi wa sallam) said: “whatever you have hoped is right.”
[Muslim Shareef, chapter Fada’il]
Imam Muslim writes:
Once Suhail RadiAllaho unho gave the Prophet (Sallallahu ‘alaihi wa sallam) some water in a goblet. The Prophet (Sallallahu ‘alaihi wa sallam) drank some water from the goblet. When the Prophet (Sallallahu ‘alaihi wa sallam) had finished drinking, Sohail Radi Allaho unho kept the goblet as Tabarruk. When the Chaliph Ummar bin Abdul Aziz asked him to give the goblet to him. Sohail Radi Allaho unho gave the goblet to Ummar bin Abdul Aziz and he kept it. (Tabarruk) [Sahih Muslim chapter Kitab-ul-Ashriba]
Imam Muslim writes:
Asma Radi Allaho unha had a gown of the Prophet sallAllahu ‘alaihi wa sallam. Sick people used to come to Asma Radi Allaho unha and she used to dipp the gown in the water. She would then take the gown out and give some of the water for the sick to drink as Tabarruk.
[Muslim Shareef, Kitab-ul-Labaas]
Imam Bukhari writes:
The Prophet Sallallahu ‘alaihi wa sallam had a large piece of cloth. A person came to the Prophet (Sallallahu ‘alaihi wa sallam) and asked: If he could have the cloth 'The Prophet Sallallahu ‘alaihi wa sallam gave him the cloth. People asked the individual, 'why did you take the cloth, when the Prophet (Sallallahu ‘alaihi wa sallam) liked wearing this'. The individual replied: that he was not going to wear the cloth. He said that: 'When I die I want to be buried in this cloth as it is blessed' When the person died he was buried in the cloth.
[Bukhari, Kitab-ul-Labaas and Kitab-ul-Janaais]
Imam Bukhari writes:
Ummar Radi-Allahu-unhu asked Aisha Radi allho unha if he could be buried next to where Abu Bakr Radi-Allahu-unhu and the Prophet (Sallallahu ‘alaihi wa sallam) were buried. She allowed him to be buried there. Ummar Radi allhu said: 'This is more valuable to me than anything on earth.' "
[Bukhari, Kitab-ul-Janaais]
This narration proves that to get Tabarruk from the grave of the Prophet (Sallallahu ‘alaihi wa sallam) is permitted.
Hafidhh ibn Kathir writes:
Khalid bin Waleed Radi-Allahu-unhu had a hat. In the hat he put two of the Prophet’s Sallallahu ‘alaihi wa sallams hair. Once he was in the battle of Yarmouk. The battle got very tense. Khalid’s hat dropped onto the ground. He got off his horse and picked up the hat. After the war a person said to Khalid bin Waleed: 'You had a cheap hat and to pick it up during a war is not a wise thing to do'. Khalid replied: 'In that hat I had the Prophet’s (Sallallahu ‘alaihi wa sallam)s hair, the blessing from that hair gives me victory in every war.
[Tareekh Ibn-Kathir Chapter, Death of Khalid bin Waleed]
Hafidhh ibn Kathir writes:
Mu’awiyah had the Prophet’s Sallallahu ‘alaihi wa sallam’s nails and hair. He said: 'When I die, can you bury the nails and hair with me in my grave.'
[Tareekh Ibn Kathir, chapter, Death of Mu’awiyah]
Ummar Bin Abdul Aziz had the Prophet (Sallallahu ‘alaihi wa sallam’s) hair. He said: 'When I die bury me with the hair in my grave.'
[Tabaqat Ibn Sa’ad, Chapter, Death of Ummar bin Abdul Aziz]
Hafidhh Ibn Taymiyyah states:
Imam Ahmed Ibn Hanbal Rahmatulah was asked ‘Is it permitted to do Masa of Mimber of Prophet (Sallallahu ‘alaihi wa sallam), to touch the Mimber for blessing. He replied ‘Yes it is permitted’. Abdullah Ibn Ummar, Sa’eed Ibn-ul-Musayyid, Yahya bin Sa’eed, and other great Scholars of Madinah used to do Masa of the Mimber.
[Iqtidat Sirratal Mustaqeem page 203]
Hafidhh Asqalani says:
From the grave of Imam Bukhari comes a beautiful smell of fragrance, there are pillars built around the grave and when people go there they take a small amount of clay from it. (Tabarruk)
[Fat-hul-bari by Hafidhh As-qalani biography of Imam Bukhari]
...............
Drinking of prophet’s urine by Umm Ayman. And saying of prophet (sallalahu alaihi wa ala alihi wa sallam) to her: Due to this your belly wouldn’t enter the hell. And that he didn’t object to her. It was narrated by Hasan ibn Sufyan in his Musnad, by Hakim, Daraqutni, Tabarani, and Abu Nuaym from the way: Abu Malik an-Nahai - Aswad ibn Qays - Nubeyh al-Anazi from Umm Ayman, that: Prophet stood up in the night and pissed into wooden bowl this was in the corner of the house. I stood up in the night, and I was thirsty. I drunk from that bowl, and didn’t pay attention. In the morning prophet (sallalahu alaihi wa ala alihi wa sallam) said: “Ya Umm Ayman, pour out this bowl”. I said: “By Allah I have drunk it”. Prophet (sallalahu alaihi wa ala alihi wa sallam) laughed till his teeth became visible, and said: “After this, your belly wouldn’t pain”.
----------------------
Narrated Ibn Sirrn:
I said to 'Ablda, "I have some of the hair of the Prophet which I got from Anas or from his family." 'Abida replied. "No doubt if I had a single hair of that it would have been dearer to me than the whole world and whatever is in it."
Reference
► Volume 1, Book 4, Number 171: Sahih Bukhari
► Sunan Al Kubra-Imam Bayhaqi, volume 7, Page: 107, Hadith #13410
----------------------------
Similarly another tradition is attributed to Anas:
I saw that a barber was shaving the Prophet’s head and the Companions stood around him in the shape of a circle. They wished that each strand of hair falling off the Prophet’s head should fall into the hand of one of them (they did not wish it to fall on the ground)
References
►Muslim narrated it in his as-Sahīh, book of fadā’il (virtues) ch.19 (4:1812#2324)
►Ahmad bin Hambal, Musnad (3:133,137)
►Ibn Sa‘d, at-Tabaqāt-ul-kubrā (1:431)
►Bayhaqī, as-Sunan-ul-kubrā (7:68)
►Ibn Kathīr in al-Bidāyah wan-nihāyah (4:140).
-------------------------
এখন,
সাহাবা রা. গণ রাসূল দ.'র পবিত্র আলোকিত থুতু পর্যন্ত মুখে গায়ে মেখে নিতেন, আবদুল্লাহ ইবনে জুবায়ের রা. তাঁর পবিত্র রক্ত পান করেছেন, অযুর পানি পর্যন্ত পড়তে দিতেন না, গায়ের ঘাম শিশিতে করে রাখতেন, মাথার কেশ টুপিতে সেলাই করে রাখতেন, মাথার কেশ পানিতে ডুবিয়ে সেই পানি অসুস্থকে পান করাতেন, সবকিছুরই রেফারেন্স চলে এল।
এমনকি তাঁর পবিত্র প্রস্রাব পান করলেও জীবনে পেটের ব্যথা হবে না, সেটাও তিনি বলেছেন।
৮| ২০ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:১০
উপপাদ্য বলেছেন: মুসলিম বিশ্বেই সৌদি জনপ্রিয়তা দিন দিন কমছে। এসব আবালীয় কর্,কান্ডের জন্য এদের পতন অনিবার্য হয়ে পরছে।
অনেক ধন্যবাদ হাস্যকর ও অমানবিক এইসব বিষয়গগুলো কম্পাইল করে পোস্ট দেয়ার জন্য।
২২ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:৩৯
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আপনাকেও আন্তরিক ধন্যবাদ ভাই। এদের রাজত্ব ভয়ানক পর্যায়ে সব সময়েই ছিল, মানুষ ধীরে ধীরে সচেতন হচ্ছে।
৯| ২০ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৫
মুহাম্মাদ মাহফুজুর রহমান শরীফ বলেছেন:
@ হানিফঢাকা :
আপনি বলেছেন।-----
"আল্লাহর রাসূলের সাহাবাগণ কি রাসূলের মূত্রপান করেননি?"
এই বিষয়টা আমার জানা ছিলোনা।
আপনি কি সূত্র সহ ঘটনাটা বলতে পারবেন?
তাহলে ভালো হতো।
ধন্যবাদ।
২২ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:৪০
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: Drinking of prophet’s urine by Umm Ayman. And saying of prophet (sallalahu alaihi wa ala alihi wa sallam) to her: Due to this your belly wouldn’t enter the hell. And that he didn’t object to her. It was narrated by Hasan ibn Sufyan in his Musnad, by Hakim, Daraqutni, Tabarani, and Abu Nuaym from the way: Abu Malik an-Nahai - Aswad ibn Qays - Nubeyh al-Anazi from Umm Ayman, that: Prophet stood up in the night and pissed into wooden bowl this was in the corner of the house. I stood up in the night, and I was thirsty. I drunk from that bowl, and didn’t pay attention. In the morning prophet (sallalahu alaihi wa ala alihi wa sallam) said: “Ya Umm Ayman, pour out this bowl”. I said: “By Allah I have drunk it”. Prophet (sallalahu alaihi wa ala alihi wa sallam) laughed till his teeth became visible, and said: “After this, your belly wouldn’t pain”.
আন্তরিক শুভেচ্ছা মাহফুজ ভাই।
১০| ২০ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:০০
মুদ্দাকির বলেছেন:
লিসানি ভাই, সূফিজমের উপরে কিছু ভালো বইয়ের সন্ধান দিলে উপকার করতেন।
২১ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:৪২
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই, সালাম।
সূফিবাদের শরঈ বিষয় আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআহ। অর্থাৎ সরল কথায় হানাফি/শাফিয়ি/হাম্বলি ও মালিকিরা যা মানেন, তাই। তবে, সেই শরঈ বইগুলো কট্টর আহলে সুন্নাহ ও মাজহাবপন্থি হতে হবে, এটাই শর্ত।
আর সূফিবাদের আত্মিক আধ্যাত্মিক কিছু বইয়ের লিস্টও শেষে দিচ্ছি।
কিছু বইয়ের নাম:
কুরআন অনুবাদ, টিকা ও তাফসীর_
১. কানযুল ঈমান তরজুমাতুল কুরআন (বিশ্বাসের খনি, কুরআনের অনুবাদ, অনুবাদটা করেছেন আহমাদ রেজা খান রা.,), বিস্তারিত টিকা- নঈমউদ্দিন মুরাদাবাদী র., বাংলা। দেড় হাজারেরও কম পৃষ্ঠা। কানযুল ঈমানে শেষে কুরআনিক রেফারেন্সের গাইডলাইন আছে এবং শুরুতে কেন কুরআনের অনুবাদ এভাবে হওয়াটা জরুরি এবং কুরআনের অন্যান্য প্রায় ত্রিশটি অনুবাদের সাথে আয়াত ধরে ধরে স্কলারি তুলনা রয়েছে।
২. কানযুল ঈমান, বিস্তারিত টিকা- আহমাদ ইয়ার খান নঈমী র., বাংলা। আঠারোশর মত পৃষ্ঠা।
৩. পূর্ণ তাফসীর, কানযুল ঈমান, তাফসীরে নঈমী, আহমাদ ইয়ার খান নঈমী র., বাংলা। বিস্তারিত। প্রকাশিত অথবা প্রকাশমান।
৪. ইরফান উল কুরআন, ড. তাহির উল ক্বাদরী, এ অনুবাদ তিনি বোধগম্যভাবে এমনভাবে করেছেন, বিস্তারিত অনুবাদ, যেন তাতে টিকা ও তাফসীরের আবশ্যকতা না হয়। দুর্ভাগ্যজনকভাবে এখনো বাংলায় নেই বলে জানি। আমার কাছে ইংরেজি পিডিএফ এবং উর্দু অডিও আছে।
৫. তাফসিরুল কুরআন ফি জলিলিল বায়ান, আল্লামা এম এ জলিল র., বাংলায় করা। অসম্পূর্ণ হয়ে থাকতে পারে। প্রকাশিত কিনা জানি না, মাসিক সুন্নী বার্তায় প্রতি সংখ্যায় প্রকাশিত হতো। হয়ত এখনো হয়।
অসংখ্য আছে তো অবশ্যই, কিন্তু আমার স্পষ্ট ধারণায় এটুকুই।
হাদীস_
১. মিশকাতুল মাসাবীহ্- শরহে মিরআতুল মানাজীহ্, মিশকাত শরীফ ছিল বুখারী-মুসলিমের উপর মূল ভিত্তি রেখে পাশাপাশি সিহাহ সিত্তাহ থেকে বেশিরভাগ হাদীস নিয়ে এবং আরো কিছু গ্রন্থের সহীহ হাদিস একত্র করার তৃতীয় ধাপের সংকলন (বুখারী মুসলিম দ্বিতীয় ধাপের)। মিশকাতে অসাধারণ কমেন্ট্রি করেছিলেন মিরআত থেকে। মিরআত ও মিশকাতের কমেন্ট্রিতে সরলীকৃত পূর্ণতাবিধায়ক ধারাবিবরণ ও ব্যাখা দেন আহমাদ ইয়ার খান নঈমী র., বাংলায় ইদানিং প্রকাশিত, আট খন্ডের মধ্যে হয়ত সবই প্রকাশ হয়ে গেছে। প্রতি খন্ড শ পাঁচেক পাতার।
২. আল্লামা জলীল র. কৃত সংক্ষিপ্ত বুখারি অনুবাদ। আমার অতি সংক্ষেপটা ভাল লাগেনি।
৩. দরসে হাদীস (ত্রিশ/চল্লিশটার মত হাদীস ব্যাখ্যা, আক্বিদা সংশ্লিষ্ট, ক্ষুদ্র বই), মুহাদ্দিস বখতিয়ারউদ্দিন।
সীরাত_
নূরনবী দ., আল্লামা অধ্যক্ষ এম এ জলিল র, শ তিনেকের কিছু বেশি পাতা মাত্র।
শানে হাবীবুর রহমান বা জবানে হক্ব (খোদার কন্ঠে নবীর মর্যাদা), কুরআনের নবী দ. বিষয়ক আয়াতগুলো এবং তাদের পারস্পরিক তুল্যতা ও বিস্তৃত ব্যাখা। বাংলায় প্রাপ্য। আহমাদ ইয়ার খান নঈমী র.।
নবীদ্রোহীদের নিদর্শন, কমবেশি ৫০ টি সহিহ হাদীস সকল হাদীস গ্রন্থের উপর্যুপরি রেফারেন্স সহ, ছোট্ট বই, ড. তাহির উল ক্বাদরী, সাঞ্জারি পাবলিকেশন্স। সাঞ্জারিতে ড. ক্বাদরীর বহু বই পাওয়া যায়। চট্টগ্রামের প্রকাশনী, ঢাকায় আছে, কোথায় তা জানি না।
ঈমান ও আক্বাঈদ_
অনেক গ্রন্থের নাম করা যায়। কিন্তু একটার অবস্থান এত উর্দ্ধে যে, আর সব নাম অপ্রযোজ্য।
জা আল হাক্ব (সত্য প্রকাশিত), তিন খন্ড, সব মিলিয়ে হাজার খানেক পৃষ্ঠাও হয়ত না, আহমাদ ইয়ার খান নাঈমী র., বাংলায় সুলভ। ঈমান ও আক্বিদার প্রতিটা বিষয় একেবারে খুলে খুলে, ভেঙে ভেঙে, বোধগম্য করে কুরআন ও হাদীসের সাথে সাথে ফিকাহর রেফারেন্স সহ।
শরিয়াহ্/ফিক্বাহ_
১. গুণিয়াতুত্ ত্বালিবিন (অনুসন্ধানীর পথনির্দেশ), হুজুর সাইয়্যিদিনা গাউসে আজম জিলানি রা., হাম্বলি পদ্ধতিতে। শ চারেক পাতা। সাঞ্জারি পাবলিকেশন্স ইতোমধ্যে বের করেছে কিনা জানি না, তবে এম্নিতে বাজারে আরো একটা ভার্শন পাওয়া যায় বাংলা। সেটাও ভালই অনুবাদ। এই গ্রন্থে অতি সংক্ষিপ্তভাবে একজন মুরিদের কী কী শরঈ এবং সূফি নিয়ম মানতে হবে, তা হুজুর গাউসে আজম রা. ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সেগমেন্টে ভেঙে ভেঙে বলে দিয়েছেন। উল্লেখ্য, আমরা হানাফিরা সেই শরঈ মাসআলার হানাফি ভার্শন মানি।
২. বাহারে শরিয়াত, ৩০ খন্ড, হানাফি। বাংলায় প্রকাশিত হচ্ছে বা হয়েছে। আমার কাছে কিছু খন্ড আছে।
৩. কানুনে শরিয়াত, বাহারে শরিয়াতের সংক্ষিপ্ত সিদ্ধান্তমূলক গ্রন্থণা। বাংলায় হয়েছে বা হচ্ছে। কিছু খন্ড আছে।
৪. ফাতওয়ায়ে রাজাভিয়্যাহ্ এবং অন্যান্য- ইমামে আহলুস সুন্নাহ আহমাদ রেজা খান রা.'র ১০ হাজারের অধিক শরঈ ফতোয়া শত গ্রন্থে গ্রন্থিত, তার মধ্যে অনেক গ্রন্থ বিশাল ও কালেকশনের মত। তবে বাংলায় এসব গ্রন্থ ছোট ছোট করে বেরোয় যা হতাশাজনক। আরবি উর্দু ও ইংরেজিতে পাওয়া যায়।
তরিক্বাহ্ (সূফিতত্ত্বের পথ)_
বাইআত ও খিলাফাতের বিধান, ইমামে আহলুস সুন্নাহ আহমাদ রেজা খান রা., ক্ষুদ্র কলেবর। বাংলা।
সূফি অনুভব_
১. মাজমুআহ্ এ সালাওয়াত এ রাসূল দ. (রাসূল দ.'র উপর সালাতসমূহের সন্নিবিষ্টরূপ), ৩০ খন্ড, কোন ব্যাখ্যা ও টীকা নেই, শুধুই একটি মাত্র দরুদ। কুরআনের অসংখ্য আয়াত, হাদীসের অসংখ্য উল্লেখ ও ঘটনাবলী একত্রিত করে ছন্দোবদ্ধ করে বিষয়ভিত্তিকভাবে ত্রিশ খন্ডে রচিত আরবি ভাষায় দরুদ। বাংলা হয়ত দশ খন্ড বেরিয়ে গেছে। রচয়িতা উম্মি সূফি সাইয়্যিদি আবদুর রহমান চৌহরভী রা., যিঁনি কোথাও পড়ালেখা করেননি। প্রতি খন্ডের শুরুর বেশ কয়েক পাতা শুধু তৌহিদের (আল্লাহ) উপর, বাকী পাতা তৌহিদ ও রিসালাতের উপর।
সূফি যাপিত জীবন (নীতি, শরিয়াহ্, আক্বিদাহ্, নানা বিষয় সরলীকৃত)_
১. সেই গুণিয়াতুত্ত্বালিবিন।
২. গাউসিয়া তরবিয়াতি নিসাব, বাংলা। আনজুমানে রহমানিয়া আহমাদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট।
৩. ফাজায়েলে সুন্নাত ও ফাজায়েলে রামাদ্বান, খুবই সরলভাবে লিখিত অতি বিস্তারিত সহজপাঠ্য বই। বাংলা। আমীর আহলে সুন্নাত ইলইয়াস আত্তার ক্বাদরি।
৩. কল টু রাইটেয়াসনেস, বাংলাও। আমীর আহলে সুন্নাত ইলইয়াস আত্তার ক্বাদরি। প্রতি পেইজে ৪৮ টি করে মোট ১৭ পেজের ৩০ ভাষায় প্রকাশিত তার বইয়ের লিস্ট এবং পিডিএফ ডাউন লিংক পেলাম এইমাত্র। তার ভাষা অতি বেশি সরল হওয়ায় আমাদের কাছে শিশুসুলভও লাগতে পারে। এই কারণে বই বাছায় সতর্ক হওয়া ভাল। Click This Link
এখানেই পেলাম ইমাম আহলুস সু্ন্নাহ মহান সূফি মুজাদ্দিদ আহমাদ রেজা খান বেরলভী রা.'র এবং হাকিমুল উম্মাহ মুফতি আহমাদ ইয়ার খান নঈমী ও নঈমউদ্দিন মুরাদাবাদী র. দের অসাধারণ স্কলারি সব বইয়ের লিংক।
ভাষাটা মোস্টলি উর্দু হওয়াতে মেজাজ খারাপ হয়ে গেল।
সূফি গভীরতা (মাআরিফাহ, হাক্কিকাহ্)_
১. ফাতহুর রাব্বানী, হুজুর গাউসে আজম জিলানী রা.'র পবিত্র বাণীর সংকলন। বাংলা।
২. সিররুল আসরার (রহস্য সমূহের রহস্যাবলী), মাত্র শত পাতার বই, হুজুর গাউসে আজম জিলানী রা., আমার সচেষ্টভাবে একবার পড়তে সাত বছর লেগেছে। এটা অপ্রস্তুত অবস্থায় না পড়া সর্ব্বোত্তম। বাংলায় সুলভ।
৩. মাকতুবাতে মুজাদ্দিদে আলফি সানি রা., বাংলা। অসাধারণ চিঠির সংকলন। সূফি নির্যাসের নির্ঝর। ইনি আকবরের দ্বীন ই ইলাহির পতন ঘটান।
৪. মসনভীয়ে আল্লামা রুমি পাহলভী। আমার মনে হয় না এ গ্রন্থ পড়ে বহু বছরের সক্রিয় সূফি অভিজ্ঞ ছাড়া অন্যেরা কিছুই বুঝতে পারবেন। পুরোটাই সূফি কোড। এটা অতি অভিজ্ঞ ব্যাখ্যাকারী ছাড়া বোঝার কোন কায়দা নেই, স্রেফ আলুথালু কবিতাই মনে হবে। তিনি বলেছিলেন, আমি কুরআনের শাঁসটুকু এ গ্রন্থে নিয়ে হাড় কুকুরদের কামড়াকামড়ির জন্য ফেলে দিলাম- এর মানে এই নয় যে, কুরআন যা আছে তা হাড়, ভাবলে ঈমান চলে যাবে মানে, সার অর্থ তিনি সংকলন করেছেন এখানে।
প্রচন্ড কষ্টের বিষয়, চিশতিয়া তরিক্বাহর গ্রন্থসমূহ আমার জানা নেই।
ড. ক্বাদরীর বইসমূহ_
তাঁর বই ও লেকচারে আমি বিষয় অনেক বেশি মজার, সহজ, অকাট্য পেয়েছি গত একযুগ যাবত, যেহেতু তিনি বর্তমান যুগের লেখক ও গবেষক। তাঁর বইগুলো বাংলায় পাওয়া যায় কম। ইংরেজিতেও কম। মাত্র আটচল্লিশটা পেলাম। আমি তাঁর উর্দু ইংরেজি হিন্দি লেকচারই শুনি মূলত।
সিরাতে রাসূল দ., সঠিক ইসলামি বিশ্বাস ও রাসূল দ.'র অবস্থান, ইসলামিক কনসেপ্ট অফ নলেজ, ফাতওয়া অন সুইসাইড বোম্বিং অ্যান্ড টেরোরিজম, ওয়াসিলা/সহায়তা চাওয়া এবং ইসলামি আইনের উপর বইগুলো অসাধারণ।
Click This Link
বটমলাইনে, সরলভাবে বলতে গেলে এমন একজনের কথা বলব, যিঁনি না সূফি, না সূফি ঘরানাকে ততটা ভালবাসেন বা খুব একটা পছন্দ করেন, অথচ তার প্রতিটা বিশ্বাস, প্রতিটা সিদ্ধান্ত, প্রতিটা আলোচনা কাট্টা সূফি। তিনি এমনকি হানাফি বা হাম্বলিও নন। মালিকি অথবা শাফিয়ি। অথচ তাঁর ইংরেজি লেকচারগুলো থেকে আমি সূফি বিষয় শিখি। কারণ, সূফি যে মূলত আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআহ এর কাট্টা অবিকৃত অনুসরণ! তা যে মাজহাবই হোক না কেন, মাজহাব পালনীয় বিধান বলে, কিন্তু দর্শন আর আক্বিদা সর্বত্র এক।
ক্যালিফোর্নিয়ার নও মুসলিম শাইখ হামজা ইউসূফ, যিঁনি ইসলাম শেখার জন্য আফ্রিকা-মধ্যপ্রাচ্যে বছরের পর বছর কাটিয়ে ডিগ্রির পর ডিগ্রি নিয়ে তারপর দাওয়াহ তে নেমেছেন এবং যাইতুনা কলেজ পরিচালনা করেন।
অবশ্যই, সূফিবাদের নামে প্রচুর বই আছে যা শুধু ডিরেইলড ই করবে, বিভ্রান্তির পর বিভ্রান্তিতে ফেলবে। সেসব বইয়ের ধারকাছ দিয়েও যাইনি। ভাবনা থেকে ও দ্রুত চোখ বুলিয়ে করা এ লিস্ট খুবই অপূর্ণ এবং হয়ত দিকনির্দেশকও নয়, এ থেকে ওই বইটাই হয়ত বাদ পড়ে গেছে, যেটা সবচে শখ করে মাথার কাছে নিয়ে পড়তে পড়তে ঘুমিয়েছি।
১১| ২০ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:১৮
সোহানী বলেছেন: এ সব কি!!!! এটা কত সাল????
সৈাদির শ'খানেক বিয়ে, দেশি বিদেশী উপপত্নী, ভারতীয় নায়িকাদের মনোরন্জন বা হাজার খানেক বাচ্চার কথা শুনেছি। কিন্তু এমন বিভৎস ধর্ম পালন তো জানতাম না!!!!
অপেক্ষায় থাকলাম আরো কিছু জানার জন্য।
২২ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:৪২
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: সন তো তাদের প্রভাবিত করে না আপু! আসল কথা হচ্ছে, মানুষ আলোকিত হতে পারল কিনা, সে অণ্তর খুলতে পারল কিনা। উন্নত মানবে পরিণত হতে পারল কিনা।
আল্লাহই তো বলছেন কুরআনে,
আর এই কুরআনের মাধ্যমেই বহুকে করি পথভ্রষ্ট (কেননা তারা পথভ্রষ্টতা ছাড়া আর কিছু গ্রহণ করবে না)
১২| ২০ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:৩২
সোহানী বলেছেন: এসব কি!!!!!
এতোদিন জানতাম সৈাদিরা শুধু মদ আর নারী নিয়েই পড়ে থাকে। শ'খানেক বউ, হাজার খানেক উপপত্নী, ডজন খানের ভারতীয় নায়িকা । কিন্তু সেই সাথে গান্জা খেয়ে যে গান্জা ফতুয়া দেয় তা তো জানা ছিল না।
নতুন বিষয় জানানোর জন্য ধন্যবাদ সেই সাথে অারো জানার অপেক্ষায়...
২২ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:৪১
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: এই কথাগুলো ক্ষিপ্ত হয়ে কিন্তু বলাই যায়। বিশেষ করে তাদের নারী অবমাননাকর যে বিষয়গুলো, সাঙ্ঘাতিক।
নীতি নৈতিকতার বালাই নেই, ইসলাম প্রতিষ্ঠা করবে। ইসলামের উপরই পদাঘাত করে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করবে।
কথায় আছে না, নিজের জন্য হুইস্কি ডাবল, ছোটলোকের জন্য ইমাম হাম্বল। এদের কথাই বলে।
১৩| ২০ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:৫১
বনসাই বলেছেন: "আল্লাহর রাসূলের সাহাবাগণ কি রাসূলের মূত্রপান করেননি? জেনেশুনেবুঝে হাজার হাজার সাহাবা সারা জীবন কি রাসূলের থুতু, ঘাম, অযুর পানি পান করেননি? তাদের বাদ দিয়ে কোন্ ইসলাম নিয়ে এসেছি আমরা? সেই সাহাবাগণ যদি আজকে থাকতেন, তারা গুঁড়িয়ে দিতেন ইমাম হাসানের বিশ্রামস্থল? শত শত সাহাবা কি রাসূল দ.'র সচেতন অনুমোদনে রাসূল দ.'র বহুবিধ নিদর্শন সাথে নিয়ে কবরে যাননি? লুঙি, জামা, চুল, নখ, ঘাম!"
- আমার কাছে একেবারে নতুন তথ্য- কোনো রেফারেন্স পেতে পারি কি?
"মেডিটেশন তো রীতিমত কুফর শিরক।"- এটারও ফতোয়া আছে না কি?
২২ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:৪৬
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই আসলে এই হাদীসগুলোর বা ঘটনাগুলো টেনে এনেছি রাসূল দ.'র প্রতি আদব, বিনয় ভালবাসা ও প্রকাশের উদাহরণ হিসাবে।
এই পোস্টে হানিফঢাকা ভাইয়ের প্রথম কমেন্টের জবাবে কিছু রেফারেন্স পেয়েছি।
আসলে তাঁরা মেডিটেশনকে ভয় পান শুধু এই কারণে যে, মেডিটেশনে মানুষ মনের চোখে দৃশ্য ফুটিয়ে তোলে!
Click This Link -এই পোস্টে ৬৬ নম্বর কমেন্টে বক ভাইয়ের সাথে আলোচনায় ধ্যান ও শিরকের বিষয়টা উঠে এসেছে।
১৪| ২১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:৫৫
হানিফঢাকা বলেছেন: @মুহাম্মাদ মাহফুজুর রহমান শরীফ
I did not say this. I just quote what the writer wrote and ask for reference.
@ The Writer:
You mention some serious allegation on our Prophet's (PUBH) disciples. I asked for some authentic references to prove your point.
I haven't got any answer. If you can show me authentic references, I will accept. If not, you are a liar and spreading propaganda against the teaching of Islam.
At last: "A little learning is very dangerous thing" Can be true for me or you.
২২ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:৪৪
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই লিটল লার্নিং তো দূরের কথা, আমি লিটলও লার্ন করিনি। আপনার রেফারেন্সগুলো দেয়া হয়েছে। আর অথেন্টিকের মানদন্ড প্রথম কমেন্টের জবাবে স্পষ্ট করা হয়েছে।
১৫| ২১ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:০৮
মুদ্দাকির বলেছেন:
অনেক অনেক ধন্যবাদ
২২ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:৫৩
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: দুটা জীবনী গ্রন্থ খুবই দারুণ। শাইখ আল জিলানী রা.'র এই জীবনীগুলো থেকে সূফিবাদ সম্পর্কে খুবই স্পষ্ট একটা ন্যারেটিভ ধারণা পাওয়া সম্ভব।
মহান হাদীসের ইমাম মুল্লা আলী ক্বারী রা.'র লেখা জীবনী। অবয়বে ছোট। সাঞ্জারি পাবলিকেশন্স।
বাহজাতুল আসরার, হাদীসের পদ্ধতিতে রেফারেন্স ও ধারা পরম্পরায় লিখিত জীবনী। শাইখ আল জিলানী রা.'র পরের প্রজন্মে লেখা। ছ সাতশো পাতার মত হবে। উল্লিখিত কুরআন ও হাদীসের বাংলা অনুবাদ যিঁনি করেছেন, এই বইটাও তিনিই অনুবাদ করেছেন। নামটা মনে পড়ল, মাওলানা আবদুল মান্নান সাহেব।
বিশেষ করে এই ন্যারেটিভ গ্রন্থটাকে আপনি সূফিতত্ত্ব চট করে বোঝার জন্য একটা প্রামাণ্য গ্রন্থ ধরতে পারেন। একেতো হিজরি সপ্তম/অষ্টম শতকে লেখা। দ্বিতীয়ত বাংলা অনুবাদে ভয়ানক কষ্ট করে দুই ভাষার আলাদা আলাদা ভার্শন থেকে অনুবাদ করা হয়েছে। কেননা শাইখ আল জিলানী রা.'র পরবর্তীতে সকল সূফিই তাঁকে বিনা দ্বন্দ্বে সর্ব্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়ে আসছেন সূফিগণের মধ্যে।
১৬| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:১৭
এস বাসার বলেছেন: এদের সম্পর্কে যতই জানতে পারছি, ততই বিস্ময়ে থ মেরে যাচ্ছি!!! এরাই তো ইসলামের সবচেয়ে বড় শত্রু।
লিসানি ভ্রাতা, মুক্তির উপায় কি???
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৭
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: বাসার ভাই, মুক্তির উপায় মাত্র একটাই, নিজে জানা এবং অপরকে জানানো। নিদেনপক্ষে নিজে ভালভাবে জেনে দূরে থাকা।
১৭| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১:০৩
আমায় ডেকো না বলেছেন: পোস্ট টা সুন্দর ও গুরুত্বপুর্ন।
সকল মুসলমানদের যে কথা জানা জরুরী।সৌদি ওয়াহাবী মতবাদের নেপথ্য কাহিনী। এক ব্রিটিশ গুপ্তচরের ডায়েরি।-
Click This Link
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৮
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: হামফ্রে নাকি হ্যামপার এর এই ডায়েরি এখন সম্ভবত বাংলায় প্রকাশিতও হয়েছে। পুরো ডায়েরির প্রাঞ্জল অনুবাদ পাওয়া দরকার ছিল।
আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ভাই লিংকের জন্য।
১৮| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৭
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ++++++++
এরা সাইকো । কমপ্লিট সাইকো ।
এইসব ভণ্ড তথাকথিত মুসলিম ফতোয়াবাজরা ইব্লিশের চেয়েও বড় শয়তান ।
ভালো থাকবেন ভ্রাতা ।
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:০৫
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: এক্সাক্টলি, এরা কমপ্লিট সাইকো। আসলে এই ধরনের মানুষ নিজেদের গোত্রীয় সংকীর্ণতা থেকে এক ফোঁটাও উঠতে পারেনি।
১৯| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১:০২
তারাবেষ্ট বলেছেন: গোলাম দস্তগীর লিসানি ভাই,
আমি একেবারে নতুন ব্লগার- আশাকরি বেয়াদবি নেবেন না। এমনেতেই প্রশ্ন- আপনি কি হ্বজে গিয়েছিলেন?
হাস্যকর ও অমানবিক কিছু সৌদি-সালাফি-আহলে হাদীস ফতওয়া এবং প্রাসঙ্গিক আলোচনা:
[2:151]
যেমন, আমি পাঠিয়েছি তোমাদেরই মধ্য থেকে তোমাদের জন্যে একজন রসূল, যিনি তোমাদের নিকট আমার বাণীসমুহ পাঠ করবেন এবং তোমাদের পবিত্র করবেন; আর তোমাদের শিক্ষা দেবেন কিতাব ও তাঁর তত্ত্বজ্ঞান এবং শিক্ষা দেবেন এমন বিষয় যা কখনো তোমরা জানতে না।
সুতরাং তোমরা আমাকে স্মরণ কর, আমিও তোমাদের স্মরণ রাখবো এবং আমার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর; অকৃতজ্ঞ হয়ো না।
হে মুমিন গন! তোমরা ধৈর্য্য ও নামাযের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর। নিশ্চিতই আল্লাহ ধৈর্য্যশীলদের সাথে রয়েছেন।
আর যারা আল্লাহর রাস্তায় নিহত হয়, তাদের মৃত বলো না। বরং তারা জীবিত, কিন্তু তোমরা তা বুঝ না।
এবং অবশ্যই আমি তোমাদিগকে পরীক্ষা করব কিছুটা ভয়, ক্ষুধা, মাল ও জানের ক্ষতি ও ফল-ফসল বিনষ্টের মাধ্যমে। তবে সুসংবাদ দাও সবরকারীদের।
যখন তারা বিপদে পতিত হয়, তখন বলে, নিশ্চয় আমরা সবাই আল্লাহর জন্য এবং আমরা সবাই তাঁরই সান্নিধ্যে ফিরে যাবো।
তারা সে সমস্ত লোক, যাদের প্রতি আল্লাহর অফুরন্ত অনুগ্রহ ও রহমত রয়েছে এবং এসব লোকই হেদায়েত প্রাপ্ত।
كَمَا أَرْسَلْنَا فِيكُمْ رَسُولًا مِّنكُمْ يَتْلُو عَلَيْكُمْ آيَاتِنَا وَيُزَكِّيكُمْ وَيُعَلِّمُكُمُ الْكِتَابَ وَالْحِكْمَةَ وَيُعَلِّمُكُم مَّا لَمْ تَكُونُوا تَعْلَمُونَ ﴿١٥١﴾ فَاذْكُرُونِي أَذْكُرْكُمْ وَاشْكُرُوا لِي وَلَا تَكْفُرُونِ ﴿١٥٢﴾ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اسْتَعِينُوا بِالصَّبْرِ وَالصَّلَاةِ إِنَّ اللَّـهَ مَعَ الصَّابِرِينَ﴿١٥٣﴾ وَلَا تَقُولُوا لِمَن يُقْتَلُ فِي سَبِيلِ اللَّـهِ أَمْوَاتٌ بَلْ أَحْيَاءٌ وَلَـٰكِن لَّا تَشْعُرُونَ ﴿١٥٤﴾ وَلَنَبْلُوَنَّكُم بِشَيْءٍ مِّنَ الْخَوْفِ وَالْجُوعِ وَنَقْصٍ مِّنَ الْأَمْوَالِ وَالْأَنفُسِ وَالثَّمَرَاتِ وَبَشِّرِ الصَّابِرِينَ ﴿١٥٥﴾ الَّذِينَ إِذَا أَصَابَتْهُم مُّصِيبَةٌ قَالُوا إِنَّا لِلَّـهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ ﴿١٥٦﴾ أُولَـٰئِكَ عَلَيْهِمْ صَلَوَاتٌ مِّن رَّبِّهِمْ وَرَحْمَةٌ وَأُولَـٰئِكَ هُمُ الْمُهْتَدُونَ
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:০৭
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই আমি হজ্বে যাইনি কিন্তু যাবার অত্যন্ত আন্তরিক প্রচেষ্টা রয়েছে। যাযাকাল্লাহু খাইরান ফি হায়াতিহি।
২০| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:১১
নিয়ামুল ইসলাম বলেছেন: ভাই কিছু পড়লাম, পুরোটা পরতে পারলাম না। বমি চলে এসেছে। আল্লাহর কাছে দয়া চাই না দাবী জানাই এদের হাত থেকে ইসলামের পবিত্রভুমি মুক্তি পাক আর এই কুলাঙ্গারদের দুনিয়াতেই এমন শাস্তি দিক জেনো আমরা বাকি দুনিয়াবাসি এই ধরনের এহেন কাজ করার চিন্তাও না করি।
২১| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:২০
সৌম্য বলেছেন: শেষ চারটা হাদিস অসাধারন লাগলো। বিশেষ করে "কুরআন পড়ে চেহারা উজ্জ্বল করে ফেলার পর কিছু মানুষ প্রতিবেশীকে হত্যার জন্য উঠেপড়ে লাগবে মুশরিক বলে। নিশ্চই আক্রমণকারী মুশরিক" এটার সুত্র দিবেন।
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:৪৩
হাসিনুল ইসলাম বলেছেন: লিসানি ভাই, এই পোস্টটি পড়ে বেশ কিছু বিষয় জানলাম, কিন্তু ঠিক শান্তি পেলাম না। এটুকুই শুধু বুঝতে পারছি, আসলে আমার ভেতরে ঠিক কি প্রতিক্রিয়া হচ্ছে তা আমি নিজেই পুরোপুরি বুঝছি না।
তবে একটি বিষয় কি আপনি একেবারে খোলাসা করে, হয়ত পোস্ট আকারে, দেয়ার মত সময় পাবেন? সেটি হলো,
ক) বর্তমান এই সৌদি তন্ত্র কিভাবে জন্ম হলো, তার বিস্তারিত বিবরণ
খ) ইসলামের সঙ্গে তাদের এত লম্বা সময়ের শত্রুতার মূল বীজটি কোথায়
গ) ও সেসঙ্গে ধারাবাহিকভাবে তারা ইসলামে কোন্ কোন্ প্রমাণিত আঘাত হেনেছে সেগুলির বিবরণ?
ভাল থাকবেন।