নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্পেস-টাইম

there is no problem in the heavens and earth ;) problem lies in three places... beneath, between and within the hells.

গোলাম দস্তগীর লিসানি

বুলি বলে শুনতে পাই, রূপ কেমন তা দেখি নাই, ভীষম ঘোর দেখি।। পোষা পাখি চিনলাম না, এ লজ্জা তো যাবে না, উপায় কী করি, আমি উপায় কী করি।।

গোলাম দস্তগীর লিসানি › বিস্তারিত পোস্টঃ

দাজ্জাল, খিলাফাত, ইমাম মাহদি রা., ঈসা আ. ও কিয়ামাত সম্পর্কে চূড়ান্ত কিছু সত্য ও কিছু মিথ্যার অপনোদন

০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:০৬

(শেষে ফুটনোট আপডেটেড)



কিয়ামাত, খিলাফাত ও দাজ্জাল কতটা গুরুত্বপূর্ণ? এতটাই গুরুত্বপূর্ণ যে, এ নিয়ে প্রত্যেক নবী ও রাসূল আ. সর্বযুগে সতর্ক করেছেন। এই একটা ঘটনা এবং এই একটা বিষয় নিয়ে। এই সেই সময়, যখন ঈমান রক্ষা করা হাতে জ্বলন্ত আগুন রাখার চেয়েও কঠিন। তা মুখের কথা নয়, বাস্তব কথা। এই সেই দাজ্জালপূর্ব ফিতনার সময়, যখন মানুষ হাঁটলেও ঈমানহারা, দাঁড়ালেও, বসলেও, এমনকি শুলেও। শুয়ে শুয়ে ঈমান হারাচ্ছে অসংখ্য মানুষ, ইসলামের নামে টিভি দেখে। এই সেই সময়, যখন ঈমান রক্ষার জন্য কোন প্রকৃত খলিফা না পেলে জঙ্গলে চলে গিয়ে মানুষের চক্ষুর আড়ালে লতাপাতা খেয়ে বৃদ্ধ হয়ে মারা যাবার আদেশ এসেছে, তাও যেন মানুষের সংস্পর্শে না আসে, কারণ, সংস্পর্শে এলেই ঈমান হারাবে- যদি তার নিজের খলিফা না থাকেন। এই খলিফা মানে জরুরি নয়, যে রাজা।



এখানে আমরা পয়েণ্টআউট করে সরাসরি চূড়ান্ত সত্যগুলো নিয়ে আলোচনা করব যা সরাসরি কুরআন ও হাদীসের প্রকৃত ফলাফল। কিয়ামাত বা দাজ্জাল বা অন্যান্য বিষয় বাদ দিয়ে শুধু ইমাম মাহদী রা. বিষয়ক গ্রহণযোগ্য হাদীসের সংখ্যাই ২০০+, হাদীসের সবচে বড় ইমামগণের তাঁকে নিয়ে লেখা গ্রন্থের সংখ্যা ২০+, এমনকি হাদীসের প্রায় সকল ইমাম এবং তাফসীর ও ফিকাহর প্রায় সকল ইমাম বলছেন, ইমাম মাহদি রা.'র বিষয়ে সত্য জানা এবং সর্বৈব সমর্থন ও প্রস্তুতি ওয়াজিব অথবা ফরজ। আউট অভ কনটেক্সট আলগা আলাদা আলাদা হাদীস ও আয়াত অনুযায়ী তৈরি করা সিদ্ধান্ত নয়। অনেক বেশি প্রচলিত কিছু ভুল ধারণার উপর আলোকপাত করব এবং কিছু সঠিক বিষয় স্পষ্ট করব।



আজ পর্যন্ত এক হাজারের বেশি নকল ইমাম মাহদি আগমন করেছে। ইরানে গত ১৪০০ বছরে গড়ে প্রতি বছর একজন করে নকল ইমাম মাহদি আগমন করে। তারা নতুন নতুন ধর্ম বানায়। পশ্চিমা পাক্কা পৃষ্ঠপোষকতা পায়। বাংলাদেশেই বহু ইমাম মাহদি আছে, ইমাম মাহদির সেনাপতি আছে, এমনকি ইমাম মাহদির দাদাও আছে। নি:সন্দেহে তারা পথভ্রষ্ট।



কিছু ঘোর চলছেই। কিছু ভুল বিষয় আগে পয়েন্টআউট করি, ভুল বিশ্বাস সমূহ-



ভুল: দাজ্জাল ইমাম মাহদি কেউই নেই। এসবই আল্লাহর রাসূল অনুমান করেছেন। আল্লাহর রাসূল দ.'র এইসব কথার কোন আগামাথা নেই। (অভিশপ্ত মওদুদী)...

ভুল: ইমাম মাহদি রা. বলতে কেউ নেই (হিজবুত তাহরীর এবং এই জাতীয় যত জিহাদী দল আছে...) অথবা এসে গেছেন, আগেই জন্মেছেন, জন্মাবেন দু চার দশ বছরের মধ্যে (ধান্দাবাজ, ভন্ডপীর ইত্যাদি অথবা যারা ইমাম সাহেবকে খুজতে গিয়ে অপেক্ষারত হয়ে অধৈর্য্য) ... (এখানে একটা বিষয় বুঝতে হবে, যার যার ইমাম/খলিফা/উলিল আমর তার তার জন্য যুগের ও স্থানের হাদী ও মাহদী- হাদী ও মাহদী মানেই তো যথাযথ পথপ্রদর্শক, ঠিক যেমন উলিল আমর। কথা সত্যি। কিন্তু এই হাদী ও মাহদী ওই ব্যক্তি ইমাম মুহাম্মাদ মাহদী একই মানুষ নন)...

ভুল: ঈসা আ. ও ইমাম মাহদি রা. একই জন...

ভুল: দাজ্জাল হল ইহুদি-খ্রিস্টান-শয়তান পূজারী কাল্টের সভ্যতা...

ভুল: ইমাম মাহদি ও ঈসা আ. শুধু ইসলামের এই ফির্কা বা ওই ফির্কার জন্য আসবেন সকল অমুসলিমকে হত্যা/বন্দি/শাস্তি করবেন...

ভুল: মুসলিমরা চাইলে চেষ্টা করলে খিলাফাত প্রতিষ্ঠা করতে পারে, বা খিলাফাত অতি দীর্ঘ হবে বা ইমাম মাহদি ও ঈসা আ.'র খিলাফাত অনেক অনেক দীর্ঘ হবে...

ভুল: ইমাম মাহদি অথবা ঈসা আ. নবুয়্যত/রিসালাত নিয়ে আসবেন...

ভুল: যে কেউ যে কোন অবস্থাতেই জিহাদ করতে পারে, বা জিহাদের জন্য খলিফা অপরিহার্য নয়...



যারাই উপরের ভুল বিষয়গুলো বলে, তারাই নিজের মতবাদ ও লড়াই নিয়ে অতি ব্যস্ত।



এবার প্রকৃত বিষয়গুলো-



১. ইমাম মাহদি অবশ্যই একজন ব্যক্তি। তাঁর আগমন ক্ষণ অধিকতর খোদায়ি চাদরের তলায় লুকায়িত, যা এমনকি সাধারণ ওয়ালীরাও ঠিকমত জানেন না। তিনি যেহেতু পূর্ণ খোদা দ্বারা পরিচালিত, তাই তাঁকে আলাইহিস সালাম বলা যায়, তবে সেক্ষেত্রে আহলে বাইতে রাসূল দ. গণের ইমামগণকেও আলাইহিস সালাম বলতে হয়, তাই তাঁকে রাদ্বিআল্লাহু আনহু বলাও উত্তম। মদিনায় জন্মাবেন। তাঁর আসার জন্য যে লক্ষণ সমূহ আছে, তার বেশিরভাগই পূর্ণ হয়েছে, কিছু বাকি আছে। এই লক্ষণগুলো পূর্ণ হতে এখন থেকে আরো কিছু বছর সময় লাগবে। তা নেহায়েত এক বা দুই যুগ নয়। ইমাম মাহদি রা.'র আগমনের সাথে সাথে তিনি যে পৃথিবীতে এসেছেন, তা ঐশী জ্ঞান সম্পণ্ন তথা সূফিদের মধ্যে যারা উচ্চতর, তারা বুঝতে পারবেন। তাঁর আগমন হলেও এরপর চল্লিশ বছর পর্যন্ত তাঁর নেতৃত্ব শুরু হবে না। অবশ্যই তিনি পিতৃধারায় হুসাইনি এবং মাতৃধারায় হাসানি হবেন। অবশ্যই তাঁর নাম হবে মুহাম্মাদ। তাঁর পিতার নাম হবে আবদুল্লাহ। অবশ্যই তিনি ৪০ বছর বয়সে প্রকাশিত হবেন। তিনি আগমনের সময় পুরো পৃথিবীর সমস্ত বিশ্বাসীরা এত বেশি অত্যাচারিত হবে এবং পদদলিত হবে যে, একজন মহান ত্রাণকর্তা তথা গাউসে আজমের জন্য মুহুর্মুহূ প্রার্থনা করতে থাকবে। এখন যেমন মুসলিম জাতির উপর আক্রমণ শুধু কয়েকটা দেশে সীমাবদ্ধ, তখন সেটা প্রতি অঞ্চলে প্রকাশ্য হয়ে পড়বে। ৪০ বছর বয়সে তাঁর হাতে মক্কাতে বাইআত অনুষ্ঠিত হতে শুরু করবে। প্রথম বাইআত থেকেই তিনি খলিফা। তাঁর হাতে যারাই বাইআত হবেন, তাঁরাই সবাই সরাসরি গায়েবি সংবাদে আল্লাহর ওয়ালি হিসাবে ঘোষিত হবেন, এও বলা হবে যে, তাদের না আছে কোন ভয় না আছে কোন চিন্তা। প্রতিবার বাধ্য হয়েই তিনি যুদ্ধ করতে শুরু করবেন। তিনি প্রথমেই আরব উপদ্বীপ বিজয় করবেন। পাশাপাশি ভারত-পাকিস্তানের আগ পর্যন্ত বিজয় করবেন। তারপর তাঁর সমরশক্তি এত বৃদ্ধি পেতে থাকবে যে, ফ্রিগেট-করভেট-এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার সহ ১,৭০০ সমুদ্রগামী রণতরী নিয়ে তিনি ইহুদি দখলে থাকা পূণ্যভূমি জেরুজালেম মুক্ত করতে ইজরায়েল আক্রমণ করবেন। ইজরায়েল আক্রমণ করার আগেই তাঁর শাসনকালের অন্তত ৯-১০ বছর পেরিয়ে যাবে। জেরুজালেমে তিনি ১৪ বছর সাম্রাজ্য পরিচালনা করবেন, বায়তুল মুকাদ্দাসকে রাজধানী বানিয়ে। এই ১৪ বছর গজবায়ে উজমা বা মানব ইতিহাসের বৃহত্তম বিশ্বযুদ্ধের মুখোমুখি হতে হবে মানুষকে। এই ১৪ বছরের সময়ে ধীরে ধীরে সারা পৃথিবীতে একেশ্বরবাদের খিলাফাত প্রতিষ্ঠিত হবে। ইস্তাম্বুল, ইতালির রোম, পশ্চিমা বিশ্ব- এদিকে তাঁর বাহিনীর নেতৃত্ব তিনি দিবেন এবং আমাদের উপমহাদেশ, চীন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও ওশেনিয়াতে তাঁর বাহিনীর নেতৃত্ব দেবে তাঁর পাঠানো বাহিনী। বিশ্ব খিলাফাত অন্তত ৭ বছর পরিচালনা করবেন ইমাম মাহদী আ. অথবা তাঁর সাথে নবী ঈসা আ.ও। এমন হবার সম্ভাবনা বোঝা যায়, ইমাম মাহদি ও ঈসা আ.'র আল্লাহর কাছে চলে যাবার পর ৭০ তথা বেশ কিছু বছর যাবত পৃথিবীতে ইসলামি খিলাফাত থাকবে।



অবশ্যই ইমাম মাহদি রা.'র যুদ্ধ অমুসলিম বা কাফিরদের বিরুদ্ধে নয়, বরং তার যুদ্ধ আক্রমণকারী ও আক্রান্তকারী সমস্ত শক্তির বিরুদ্ধে তা মুসলিমের মধ্যে পথভ্রষ্টদের দ্বারা হোক, অথবা অন্য সকল ধর্ম, নাস্তিকতা, কমুনিস্ট, ইহুদি খ্রিস্টান যাই হোক না কেন। তাঁর আক্রমণ কোন ধর্ম বিশ্বাস বা কিছুর বিরুদ্ধে নয়, এবং কোন বিশ্বাসের কেউ বিশ্বাসের কারণে তাঁর দ্বারা আক্রান্ত হবে না, কারণ তিনি আল্লাহ কর্তৃক আদিল তথা চূড়ান্ত ন্যায়বিচারক।



২. অবশ্যই ঈসা আ. ও ইমাম মাহদি রা. ভিন্ন ব্যক্তি। অবশ্যই ঈসা আ. দামেশকের বিশাল মসজিদের মিনারে অবতরণ করবেন অথবা বায়তুল মুকাদ্দাসে। অবশ্যই ঈসা আ.'র আগমনের জন্য ইমাম মাহদি রা. দোয়া করবেন বায়তুল মুকাদ্দাসে থাকাকালে। কারণ তখন বায়তুল মুকাদ্দাস কিছুকাল যাবৎ মুক্ত হয়েছে তখন দাজ্জাল প্রকাশ পেয়ে গেছে। অন্তত ১,২০০ অনুসারী নিয়ে নামাজের সময় ইমাম মাহদীর কাছে পৌছবেন নবী ঈসা আ.। ইমাম মাহদী রা. তাঁকে নামাজের ইমাম হওয়ার অনুরোধ করলে ঈসা আ. ইমাম মাহদী আ. কেই নামাজে ইমামতিতে দাঁড় করাবেন। অবশ্যই নামাজের সামিয়াল্লাহু লিমান হামিদা বলার সময় সমবেত নামাজীরা ঈসা আ.'র আগমনের খুশিতে বলে উঠবেন, ‌'আল্লাহরই প্রশংসা, যিঁনি দাজ্জালকে কতল করেই দিয়েছেন আর তাকে শেষ করে দিয়েছেন।' এবং নামাজের পরই বায়তুল মুকাদ্দাসের সামনে দাজ্জাল তার '৭০' হাজার সৈন্য নিয়ে হাজির থাকবে। অর্থাৎ বহু সংখ্যক। তাকে বায়তুল মুকাদ্দাস থেকে তাড়া করে তেল আবিবের কাছে বর্তমান এয়ারপোর্ট যে শহরে, সেই শহরের গেইটে শেষ করা হবে। এই তাড়ার নেতৃত্বে ঈসা আ. একা অথবা উভয়ে থাকবেন।



ঈসা আ. নবী ও রাসূল। কিন্তু তিনি আগমন করবেন আল্লাহর মহান সেনাপ্রধান হিসাবে, নবী ও রাসূল হিসাবে নতুন কিতাব/শরিয়াত/নিয়ম নিয়ে নন, যদিও নবী ও রাসূল হিসাবে প্রাপ্য সমস্ত সম্মান তিনি পাবেন। তিনি তখনো নবী, কিন্তু নতুন করে কিতাব ও শরিয়াহ প্রচারের নবী নন। বরং পুরনো শরিয়াহ এ মুহাম্মাদী দ.'র প্রধান সেনাপতি।



৩. অবশ্যই কিয়ামাতের আগের দাজ্জাল কোন একক ব্যক্তি, সেই 'অ্যান্টি ক্রাইস্ট', মাসিহুল কাজ্জাব শব্দের মানেই অ্যান্টি ক্রাইস্ট। দাজ্জাল আগমনের সময় ধীরে ধীরে ঘনিয়ে আসছে এবং একে একে লক্ষণগুলো সব চূড়ান্তরূপে প্রকাশ পাচ্ছে। আল্লাহর নিদর্শনসমূহ, তথা নবী-ওয়ালীগণের পবিত্র কবর-বাগান ধ্বংস করা, আল্লাহর নবীগণের ও আহলেবাইতগণের সমস্ত স্মৃতিচিহ্ন ধ্বংস করা এবং মুসলিমগণের মধ্যেই নবী-রাসূলগণের সম্মান ও তাদের উপর ঈমান কমে যাওয়া হল জাহিরি ও বাতিনিভাবে আল্লাহর নিদর্শন ধ্বংস। এই দাজ্জালের মূল অস্ত্র হবে, ধোঁকা, মিথ্যা ও অস্পষ্টতার বেড়াজাল, কূটকৌশল, নীতিহীনতা, ভয়, ব্ল্যাকমেইল। তার ধোঁকা এত সূক্ষ্ণ হবে যে, সাধারণ মানুষ যার বিশ্বাস দুর্বল, সে বুঝতে পারবে না। এমনকি দুর্বল বিশ্বাসের মানুষ তার পক্ষে কাজ করতে শুরু করবে। দাজ্জালের সময় কে কার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে, এটাই বুঝতে পারবে না। দাজ্জাল নিজেও বহু ভুলপন্থীদের সাতে লড়াইরত থাকবে, আবার সেইসব পক্ষও ইমাম সাহেবের সাথে লড়াইরত থাকবে। এই দাজ্জালের আগে অন্তত আরো ৩০ জন দাজ্জাল আসবে এবং এসেছে যাদের মধ্যে বেশিরভাগই নিজেকে প্রথমে ইমাম মাহদী রা. দাবি করত, পরে নিজেকে নবী ও রাসূল দাবী করবে এবং অনেকেই নিজেকে খোদাও দাবী করত বা করেছে। অবশ্যই চূড়ান্ত দাজ্জাল, যে কিনা মাসীহুল কাজ্জাব, যার একটা চোখ ফোলা, চুল কোঁকড়া, 'ইহুদি-খ্রিস্টান সভ্যতা'র দ্বারা জন্মানো। অবশ্যই তার মূল প্রকাশস্থল শয়তান পূজারী বিভিন্ন কাল্ট, গুপ্তসংঘ, নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার। কিন্তু সে এই কৃত্রিম সভ্যতা নয়, বরং এই কৃত্রিম সভ্যতার একজন চূড়ান্ত প্রোডাক্ট ও চূড়ান্ত নির্দেশদাতা। তার প্রকাশ ঘটবে সিরিয়া ও ইরাকের মধ্যবর্তী পথের অঞ্চলে, অর্থাৎ চরমপন্থী আইএসআইএল এখন যেখানে সর্বধর্ম ও সর্ব মতবাদের মানুষকে বীভৎসভাবে হত্যা করে আক্ষরিক অর্থে কলিজা চিবিয়ে খাচ্ছে, ক্রুশবিদ্ধ করছে, সে অঞ্চলে। তারা, কৃত্রিম খিলাফাত নিজেদের অজান্তে অথবা কেউ কেউ জানে, লড়াই করছে দাজ্জালপূর্ব অবস্থায়, অনাগত দাজ্জালের পক্ষে। তাদের মাধ্যমে ইমাম মাহদি আ.'র পবিত্র খিলাফাতের বিষয়ে মানুষের মনে বিতৃষ্ণা পৌছে দেয়া হচ্ছে। সে একই সাথে বিশ্ব নেতা হবে, ভন্ড নবী হবে, যে পরবর্তীতে খোদা দাবি করবে, তার প্রচারণার বিষয়ই হবে ধর্মহীনতা, যে কোন অপকর্ম করার স্বাধীনতা। একেই বলা হচ্ছে কপালে লিখিত কাফ ফা রা, কাফির। বা ধর্মবিহীন নতুন বিশ্ব ব্যবস্থা। তার মূল শক্তি হবে বিজ্ঞান এবং শয়তান পূজার মাধ্যমে অলৌকিকতা। এরোপ্লেন তার বাহন, 'গাধা' হবে। সে মৃতকে কৃত্রিমভাবে জীবিত করবে, সে বিজ্ঞান ও জাদুর শয়তানি শক্তিতে (দুই ভিন্ন শক্তি) বিভিন্ন অলৌকিক বিষয় দেখাবে। তার রাজত্বে আরাম আয়েশের অভাব থাকবে না, যা জান্নাতের মত এবং তার বিরুদ্ধে যারা লড়বে তাদের আপাতত কষ্টের অভাব থাকবে না, যা দেখতে জাহান্নামের মত- কিন্তু চূড়ান্তে বিপরীত।



দাজ্জালকে শেষ করার সাথে সাথে যুদ্ধ শেষ হয়ে যাবে না, বরং মাত্র এক তৃতীয়াংশ ফুরাবে।



৪. ফিরকাবাজি ও ধর্ম নিয়ে ধান্ধাবাজি অবশ্যই ঈসা আ. ও ইমাম মাহদি রা. কে স্পর্শ করবে না। কেননা, তাঁদের সাথে প্রথম থেকেই অনেক বিশ্বাসী খ্রিস্টান যোগ দিবেন। অনেক বিশ্বাসী শিয়া যোগ দিবেন। সূফিদের পরই শিয়াদের সংখ্যা হবে সর্ব্বোচ্চ। এমনকি আরবের ভূমি থেকে এখন যে আহলে হাদিস/সালাফি/ ওয়াহাবি দুর্গন্ধ উৎপন্ন হচ্ছে, সেই ওয়াহাবি দুর্গন্ধের মূল উৎস বনু তামিম গোত্র থেকেও ইমাম মাহদি আ.'র অন্যতম প্রধান সেনাপতি ও অনেক অনুসারী আসবেন। তাই এখনকার ওয়াহাবি মতবাদ থেকেও বিশাল সংখ্যক বিশ্বাসী ইমাম মাহদি আ.'র সাথে যোগ দিবেন। সেই বনু তামিমের মহান ব্যক্তির নামও হাদিসে আছে, তার পিতার নামও। অবশ্যই তাঁদের সাথে স্বল্পসংখ্যক বিশ্বাসী ইহুদিও যোগ দিবেন। তাঁরা সবাই তখন মুমিন/বিশ্বাসী তথা আহলুস সুন্নাহ, আহলে বাইআত হবেন। অবশ্যই সূফিবাদীরা সবচে বিশাল সংখ্যায় ইমাম মাহদির অনুসরণ করবেন।



৫. ইয়াজুজ মাজুজ হলেন চৈনিক জাতির মানুষরা, যাদের অনেকেই বাজে অবস্থানে থাকবেন। চৈনিকরা শুরু করবেন নদী বন্ধ করে দেয়ার মাধ্যমে। ভারত-পাকিস্তান-বাংলাদেশ-বার্মা-নেপাল-ভূটানকে মরুভূমি করার কাজ শুরুর মাধ্যমে। অথবা ইয়াজুজ মাজুজের একটা চৈনিক জাতি (তথাকথিত কমুনিস্ট) এবং অন্যটা শয়তান পূজারী কাল্টসমূহের মানুষেরা। দাব্বাতুল আরদ হল পঙ্গপাল অথবা পোকা (দুর্বল ব্যাখ্যা) অথবা ডায়নোসর জাতীয় প্রাণী (সবল ব্যাখ্যা)। সম্ভবত আল্লাহর আদেশে ঈসা আ. আপন মাসীহাতের ক্ষমতায় অথবা মাহদি রা. আপন খিলাফাত ও গাউসিয়াতের ক্ষমতায় মাসিহিয়াতের মাধ্যমে মৃত ডাইনোসর জাতীয় প্রাণীগুলোকে পুনরায় জীবিত করবেন এবং বিশ্বাসী ও অবিশ্বাসীদের মধ্যে পার্থক্য নিরূপণ ও লড়াইতে প্রেরণ করবেন। এই কিয়ামাতপূর্ব বৃহত্তম বিশ্বযুদ্ধে অবশ্যই মানুষ ছাড়াও জীবাণু ব্যবহৃত হবে, পশু ব্যবহৃত হবে, জ্বিন ব্যবহৃত হবে, শয়তান, রোবটিক ফর্ম, জেনেটিক্যালি ইঞ্জিনিয়ার্ড জীব ব্যবহৃত হবে। এক পর্যায়ে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক পালসের সক্ষমতা সকল পক্ষের হাতে চলে যাওয়াতে সকল ইলেক্ট্রনিক যন্ত্র পুরোপুরি অকার্যকর হয়ে পড়তে পারে।



৬. ইসলামের খিলাফাত কোন স্থির বিষয় নয়। ইসলামের কোন খিলাফাতই শত শত বছর ধরে চলেনি এবং চলবেও না। তাই ইসলামে রাষ্ট্র কায়েম করা মূল বিষয় নয়, বরং কোন কোন ক্ষেত্রে বাধ্য হয়ে রাষ্ট্র কায়েম করতে হয়েছে ও হবে। ইসলামের মূল বিষয় হচ্ছে সর্বত্র আল্লাহকে এবং আল্লাহ যাকে যাকে মানতে বলেছেন তাকে তাকে মেনে চলা। সর্বত্র শান্তি ও সহাবস্থান সৃষ্টি করা। আমরা দেখতে পাই, সর্বশেষ বৈশ্বিক খিলাফাত তথা ইমাম মাহদি রা. ও ঈসা আ.'র খিলাফাতও খুব বেশিদিন চলবে না। এ খিলাফাত আল্লাহ জারী করবেন শুধু এটুকুর জন্য যে, সত্য পুরো বিশ্বে সবকিছুর উপর বিজয়ী এটা দেখানোর জন্য। এক সময় শয়তানের প্রকাশ্য পূজারী, অপ্রকাশ্য পূজারী এবং না জেনে অনুসরণকারীরা আবার একত্রিত হবে কারণ বিশ্বাসীদের বিশ্বাস আবারো দুর্বল হতে হতে শেষ হয়ে যেতে নিবে। এক পর্যায়ে যাঁরা বিশ্বাসী আছেন তাদের একটা মিষ্টি বাতাস তথা জেনেটিক্যালি ইঞ্জিনিয়ার্ড জীবাণু দিয়ে পৃথিবী থেকে শেষ করে দেয়া হবে। এবং ক্রমাণ্বয়ে সারা পৃথিবী এমনভাবে দখল করবে যে, আল্লাহর প্রতিটা নিদর্শন শেষ করে দিবে। সর্বত্র শয়তানের প্রতিমা প্রতিষ্ঠিত হবে। আল্লাহর শেষ দুই পার্থিব নিদর্শন- মদীনা শরীফ ও মক্কা শরীফের ক্বাবা ঘরও তারা ধ্বংস করার পরই কিয়ামাত সংঘটিত হবে।



৭. কিয়ামাতের পরপরই সমগ্র বিশ্বের অতীতের সমস্ত মানুষ পুনরায় জীবিত হবে রক্তে ও মাংসের শরীরে। হাশরের ময়দানে তারা একত্রিত হবে একই সম বয়সে এবং সমস্ত জ্বিন, মানুষ ও শয়তানের বিচার হবে। এমনকি কৃত্রিমভাবে পূজা করা পাথর ও অন্যান্য বস্তুকেও প্রাণদান করে তাদের সাক্ষ্য নিয়ে চূড়ান্ত বিচারকাজ হবে, মানুষের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ এবং জড়বস্তুও সাক্ষ্য দেবে। যা আল্লাহ পরিচালনা করবেন এবং যেখানে সাধারণ মানুষ ইয়া নাফসি তথা ওরে আমার মন বলে চিৎকার করবে এবং মহান প্রতিপালকের প্রিয়জনদের না কোন মানসিক অস্থিরতা থাকবে, না কোন ভয়, বরং তারা সুশোভিত হয়ে মহান সম্মানের সাথে উঠবেন এবং অন্যদের সহায়তার জন্য উঠেপড়ে লাগবেন। কিয়ামাতের আগে শুধু শহীদ ছাড়া আর কেউ শরীর নিয়ে জান্নাতে যাবেন না। অতি উচ্চ মুমিনদের রুহ জান্নাতি হবে। কিয়ামাতে সবাই দলবদ্ধ হয়ে উঠবে। যে যাকে অনুসরণ করে, যার আনুগত্য করে, যার সাথে সাদৃশ্য রাখে এবং যাকে ভালবাসে, সে তার সাথে সারিবদ্ধ থাকবে।



শাফঅাতে উজমার মাধ্যমে রাসূল দ. যাকেই শাফাআত করবেন (৭০ হাজার তথা নিজের ইচ্ছানুযায়ী সংখ্যক) তারাই আবার প্রত্যেকে শাফাআতের অধিকার পেয়ে যাবেন (প্রত্যেকে আবার ৭০ হাজার তথা নিজের ইচ্ছানুযায়ী সংখ্যক)। কিয়ামাতের ময়দানে প্রত্যেক নবী নিজ নিজ গোত্রের প্রত্যেকের কাজের বিষয়ে এবং ঈমানের বিষয়ে সাক্ষ্য দিবেন। এবং রাসূল দ. সব নবীর সমস্ত উম্মাহর সমস্ত কাজের বিষয়ে এবং ঈমানের বিষয়ে সাক্ষ্য দিবেন। এই বিচারে অন্যের অধিকারকে প্রাধান্য দেয়া হবে, আল্লাহর আদেশকে প্রাধান্য দেয়া হবে।



আল্লাহ বিচারকাজ পরিচালনা করবেন ক্ষমার দর্শনে। তিনি এত বেশি সংখ্যক ক্ষমা প্রদর্শন করবেন, যা মানুষ ও জ্বিনেরা এই পৃথিবীতে তাদের জীবনে কখনো কল্পনাও করেনি, কল্পনা করার সামর্থ্যও রাখে না।



যাদের অন্তরে বিন্দুমাত্রও বিশ্বাস ছিল না, তাদের শাস্তি আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত হবে, অতি দীর্ঘস্থায়ী (আবাদান) জাহান্নাম। যাদের অন্তরে অতি সামান্য হলেও বিশ্বাস ছিল, তারাই আল্লাহর ক্ষমার পর কিয়দংশ (পাপ অনুযায়ী ক্ষমার পর যা বাকী থাকে, একেকজনের একেক রকম) জাহান্নামের শাস্তি ভোগ করে জান্নাতে প্রবেশ করবে। যার পাপ যত কম তার জান্নাত তত সম্মানিত। অনেকেই সরাসরি জান্নাতে প্রবেশ করবেন যাদের সংখ্যা ৫০০ কোটিরও অনেক বেশি।



ফুটনোট:



১. বিষয়গুলোকে সাজানোর চেষ্টা হাদিসের বিশারদরা যেভাবে করেছেন, আমরা সেভাবেই করেছি। কিন্তু সকল ক্ষেত্রেই আল্লাহ সবচে ভাল জানেন। সবই আল্লাহর অধিকারে, আর অদৃশ্য বিষয় আল্লাহর এখতিয়ারে আরো বেশি করে থাকে। সামান্য হিসাবের গড়মিলের জন্য অনেক কিছু উলট পালট হয়ে যেতেই পারে। যেমন, আরব ভূমি থেকে ফিলিস্তিন ভূমি পর্যন্ত অভিযান চালাতে মূল পোস্টে বলা হয়েছে ৯-১০ বছর লাগবে, আবার হাদীস থেকে এও জানা যায় যে, তা ৬ বছর এবং বৃহত্তম যুদ্ধ-দাজ্জালের প্রকাশ ও ফিলিস্তিন বিজয় পর্যন্ত সময়ের পারস্পরিক শুরুর দূরত্ব মাত্র সাত মাস। আর কিছু শব্দ আছে, যা পড়লেই বোঝা যাবে যে, সেগুলো হিসাব মিলানোর অনুমান হিসাবেই করা হয়েছে।



২. ইমাম মাহদি রা.'র পরে (এটাই সর্বাধিক প্রসিদ্ধ মত, কোন কোন মতে আগে) আরো দুটি খিলাফাত আসবে।



৩. ইমাম মাহদি রা.'র জন্য সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত নির্ভরতায় উম্মাহ কখনোই বসে থাকতে পারে না, কারণ তাঁর প্রকাশের সময়কাল এখন থেকে এমনকি আটশো বা এক হাজার আটশো বছর পরও হতে পারে। কিন্তু এমন নিশ্চয়তা দেয়া যায় না, যে, তারচেও আগে বা পরে হবে না। এ নিয়ে হাদিসের বিশারদদের মধ্যে তুমুল মতপার্থক্য রয়েছে, এ সময়টা চূড়ান্ত রহস্যাবৃত। কিয়ামাতের প্রধান লক্ষণ দশটি বলা হয়, যার মধ্যে প্রথম লক্ষণ তাঁর প্রকাশ, সেটার সময় নির্ধারণকারী আমরা নই, কেননা আমরা শুধু এটুকু জানি যে, তিনি প্রকাশিত হবার পর কিয়ামাতের বেশি বাকি থাকবে না। মূল বিষয়টা ছিল এরকম, কিয়ামাত পূর্ব ফিতনার সময় ও তার লক্ষণগুলো স্পষ্টতর হচ্ছে। আর অবশ্যই, আল্লাহর প্রকৃত খলিফা, তাদের রাজ্য থাক বা না থাক, সব সময়েই পৃথিবীতে আমাদের মাঝে সশরীরে বর্তমান। আল্লাহর রজ্জুকে আঁকড়ে না ধরে ও সেই সরল পথে, যে সরল পথে তার প্রিয়জনরা চলে গেছেন, না চলে কখনোই শান্তির সাথে সহাবস্থান বা 'বিজয়' সম্ভব নয়।



এবং চূড়ান্তে সেই কথা, আল্লাহ সবচে ভাল জানেন এবং বিশেষত অদৃশ্যের সংবাদ তিনি নিজেই জানেন যা তার প্রিয়জন ছাড়া কাউকে জানান না, এবং আমরা শুধু হিসাব করতে পারি যাতে ভুলভ্রান্তি থাকা খুবই স্বাভাবিক, তবে, বিস্তৃতভাবে হাদীসগ্রন্থে পাওয়া যায় যেসব কথা, তার বিপরীত বিশ্বাস থেকে, যেমন, 'ইমাম মাহদি অলরেডি চলে এসেছেন' বা 'দাজ্জাল ইহুদি খ্রিস্টান সভ্যতার নাম' জাতীয় বিভ্রান্তি থেকে নিজেদের রক্ষা করার জন্য এসব আলোচনা অত্যন্ত জরুরি ও ফলপ্রসূ।

মন্তব্য ৫৮ টি রেটিং +১৭/-০

মন্তব্য (৫৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:২১

রুদ্রাক্ষী বলেছেন: প্রিয়তে নিয়ে রাখলাম লিসানি ভাই।অসম্ভব তথ্য সমৃদ্ধ লেখা।যে কোন তর্কযুদ্ধতে লাগবে।অসংখ্য ধন্যবাদ।

০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:০৭

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: এমন একটা মন্তব্য প্রথম মন্তব্য হিসাবে পাওয়া অনেক বড় বিষয় রুদ্রাক্ষী ভাই। আশা করি অনেক অনেক ভাল আছেন।

বিষয়গুলো পবিত্র হাদীস অনুসারে হাদীসের মহান ইমামগণ আগে একত্র করেছেন।

এখন আমরা ইমাম সাহেবের জন্য অপেক্ষা করি অথবা দাজ্জালের ভয়ে ভীত হই, অথচ সামান্য কিছু সময়, সামান্য কিছু লক্ষণ এখনো বাকি আছে। বাকি প্রায় সবই পূর্ণ হয়েছে। কিন্তু যেসব বিষয় বাকি আছে, তা খুবই স্পষ্ট।

আল্লাহই ভাল জানেন, ইমাম সাহেব, ঈসা আ. ও দাজ্জালের আগমনের সময়টা আর কতটুকু বাকি আছে। খুব বেশি বাকি নেই, আবার অতি সামান্যও নয়।

২| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৪

ডা: মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: আসসালামু য়ালাইকুম। ভাই, অনেক মেহনত করেছেন। আল্লাহ কবুল ফরমান। জাযাকাল্লাহু খায়ের।

____ জহির।

০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:২৬

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ওয়াআলাইকুমুস সালাম, জহির ভাই। আন্তরিক দোয়ার জন্য অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা ভাই। আল্লাহ আপনাকে প্রতিনিয়ত ভাল রাখুন।

৩| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

খুব সহজ কিছু বিষয় কে আমরা জটিল করে ফেলেছি। এর জন্য দায়ী আমাদের কোরআন ও হাদিস সম্পর্কে পরিপূর্ণ শিক্ষার অভাব। তারপর রয়েছে ইহুদীদের ষড়যন্ত্র। রয়েছে সেচ্ছাচারী মুসলমান নাম ধারীদের ষড়যন্ত্র। আল্লাহ বলেই দিয়েছেন ৭৩ টা ভাগের কথা। এদের মধ্যে এক ভাগ হবে সঠিক। এখন আমাদের পক্ষে বলা মুশকিল যে আসলে কোন পক্ষ সঠিক।

কথা হলো নবীর আমলে কোরাআনের ব্যাখ্যা দেয়ার জন্য মানুষের বোঝার সুবিধার জন্য সেই সময়ের আলোকেই উদাহরণ দেয়া হতো। কিন্তু বুঝতে হবে সেই হাজার বছর আগে দেয়া হাজার বছর পরের অবস্থা সম্পর্কে ব্যাখ্যা দেয়াটা কেমন হতে পারে। যখন প্লেন ছিলোনা তখন প্লেনের কথা বললে মানুষ বুঝবেনা। তাই পাখির কথা বলা হয়েছে। এমন নয় যে কেয়ামতের আগে আবার সব প্লেন নাই হয়ে পাখি হয়ে যাবে। এখানেই আমাদের সমস্যা। আমরা ব্যাখ্যার খাতিরে সেই পাখিতেই রয়ে গেছি প্লেনে আর চড়তে পারিনাই।

অনেকেই আছেন আবার এইসব বিষয়ে কথা বললে ধর্ম যায়, ধর্ম যায় বলে ম্যাতকার করে । বিজ্ঞানে বিশ্বাস করবে কিন্তু ধর্ম দিয়ে আগে লম্বা পাখি ছিল এই প্রমাণ দিলেই তাদের গা জ্বালা হওয়া শুরু হয়ে যাবে।

হাদিসে এসেছে ঈসা নবী যখন পুনরায় পৃথিবীতে আসবেন তখন তার চুল থেকে পানির ফোঁটা ঝরবে দেখে মনে হবে যেন তিনি সদ্য গোসল করে এসেছেন। এখন যদি আমি বলি তাকে ওষুধ দিয়ে বাচিয়ে রাখা হয়েছে যেভাবে পৃথিবীতে প্রাণী সংরক্ষন করা হয় তাহলে কি ভুল অনুমান করা হয়ে যাবে ? আল্লাহই ভাল জানেন। কারণ তিনি সর্বজ্ঞানী।

০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৩

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: খুব সহজ কিছু বিষয় কে আমরা জটিল করে ফেলেছি। এর জন্য দায়ী আমাদের কোরআন ও হাদিস সম্পর্কে পরিপূর্ণ শিক্ষার অভাব। তারপর রয়েছে ইহুদীদের ষড়যন্ত্র। রয়েছে সেচ্ছাচারী মুসলমান নাম ধারীদের ষড়যন্ত্র। আল্লাহ বলেই দিয়েছেন ৭৩ টা ভাগের কথা। এদের মধ্যে এক ভাগ হবে সঠিক।

তাতো অবশ্যই কান্ডারী ভাই। আর সঠিকটাকে পাওয়া একটু কঠিনই হয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। তবে আমরা সার্চ করলে অবশ্যই সঠিকে উপণীত হতে পারি।

আমরা সব প্রতীকী বা উপমা কি আর বুঝতে পারব? পাখি/এরোপ্লেনের বিষয়টাই ধরুন না।

এক্ষেত্রে এই বিষয়টাই সবচে মজার।

তবে আল্লাহও বিজ্ঞানের মুখাপেক্ষী যেমন নন, তেমনি তাঁর প্রিয়জনরা যে বিজ্ঞান অনুসরণ করবেন না, তাও আমরা বলতে পারি না।

তবে ঈসা আ. কে জীবিত রাখার জন্য আল্লাহর ইচ্ছাই যথেষ্ট, যদি তা পার্থিব বিষয় হতো, তবে অষুধের প্রয়োজন পড়তে পারত।

তাঁর মাথা মুবারক থেকে টপটপ করে পানি পড়ার হাদীসটা আমাকে অত্যন্ত ভাবায়। আল্লাহ ঠিক কী বিষয় গোপন রেখেছেন এই একটা কথায়, তা আমরা আসলেই বুঝতে পারব না, যদি না তিনি সহায়তা করেন। আমি অণ্তত এখনো বুঝতে পারিনি।

৪| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৭

নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: অনেক তথ্য দিয়েছেন ভাই। প্রিয়তে নিয়ে রাখলাম।

০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৪

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: রায়ান ভাই আন্তরিক কৃতজ্ঞতা, ধন্যবাদ। আশা করি অনেক অনেক ভাল আছেন।

৫| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:০৪

শার্লক_ বলেছেন: ভাল লাগলো। ভাল থাকবেন।

০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৬

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আপনিও অনেক অনেক ভাল থাকবেন... প্রোপিকটা হেব্বি, পুরনো শার্লকের উপরে নতুন শার্লকের ছায়া।

পুরনো শার্লক সব পড়েছি এবং এই শার্লক সব দেখেছি। অসাধারণ।

৬| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:১২

মুহাই বলেছেন: সুন্দর পোস্ট।

০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৭

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: থ্যাঙ্কু মুহাই ভাই। আশা করি অনেক ভাল আছেন।

৭| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫

নিঃসঙ্গ অভিযাত্রিক বলেছেন: দারুণ লিখেছেন ভাই, ব্রাভো আপনাকে !:#P !:#P !:#P ...

০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৯

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই। বিশেষ করে অসাধারণ ১৯৭১ প্রোপিকের জন্য।

৮| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫২

করিম বস বলেছেন: অসাধারণ পোস্ট ..প্রিয়তে নিলাম এবং আপনাকে অনুসারী ত করলাম

০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:২৬

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ভাই। সব প্রশংসা তার। তারই কাছে আশ্রয়।

৯| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৯

সদয় খান বলেছেন: খুব ভাল হত আপনার সাথে অফলাইনে কথা বলতে পারলে ।

অনলাইনে ত্যানা পেচাতে আমার মোটেও ভাল লাগে না ।

০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:২৬

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: বলার বিষয় এখানেও বলা যায়। ত্যানা আমি প্যাচাই না, খুলি ভাই। :)

এম্নিতে ফোনও ব্যবহার করি না, নাহলে ফোনে কথা বলা যেত।

১০| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:৩৬

গৃহ বন্দিনী বলেছেন: যাদের অন্তরে অতি সামান্য হলেও বিশ্বাস ছিল, তারাই আল্লাহর ক্ষমার পর কিয়দংশ জাহান্নামের শাস্তি ভোগ করে জান্নাতে প্রবেশ করবে।

এই আশাতেই আছি ।


পোস্টের প্লাস ।

০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:৩২

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আহা! এই আশাতেই আছি, এই আশাতেই আছি।

কী অদ্ভুত সুন্দর প্রোফাইল পিকচার! আন্তরিক ধন্যবাদ আপু।

১১| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:০৯

প্রফেসর সাহেব বলেছেন: safater bisoytar reference dile kusi hotam.allah apnake uttom protidan dan korun.

০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:০৯

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই শাফঅাতের বিষয়ে হাদীস বুখারী এবং মুসলিম শরীফে বলা চলে, অসংখ্য আছে।

এর মধ্যে অনেকগুলো হাদীস মুত্তাফাকুন আলাই, অর্থাৎ, উভয় গ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত।

শাফাআতের সত্তর হাজার, পরের স্তরে আরো সত্তর হাজারের যে কথাগুলো বলেছি, সেটা বুখারী ও মুসলিম উভয় শরীফে রয়েছে।

পৃষ্ঠার রেফারেন্স দেয়া সম্ভব, আমাকে একটু বই খোঁজাখুঁজি করতে হবে।

১২| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:১০

বেকার সব ০০৭ বলেছেন: অসাধারণ পোস্ট সারাসরি প্রিয়তে নিয়ে নিলাম।

তথ্য সমৃদ্ধ লেখা অনেক কষ্ট করেছেন বটে, অনেক কষট করে লেখাটা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:১৭

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আপনাকেও আন্তরিক ধন্যবাদ ভাই। বিশ্বাসের প্রশ্ন যখন আসে, তিনিই সবচে ভাল জানেন, এটাই আমাদের ধর্তব্য।

১৩| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:৩৯

একাকী বালক বলেছেন: আরে লিসানী ভাই যে...কেমন আছেন ভাই? বুকে আসেন ইদের কোলাকুলিটা কইরা নেই....এর পর বাতচিত...বহুতদিন পর একটা মজার লেখা পাইলাম...দয়া কইরা আমার নিচের বিষয়গুলার একটু উত্তর দিয়া আমাকে ধন্য কইরেন:

১) ইয়াজুজ মাজুজ হলেন চৈনিক জাতির মানুষরা, যাদের অনেকেই বাজে অবস্থানে থাকবেন। চৈনিকরা শুরু করবেন নদী বন্ধ করে দেয়ার মাধ্যমে।
>>> ভাইজান ক্যামনে কি? দিলেন তো প‌্যাচ লাগায়। আমি তো জানতাম যুলকারনাইন আ: ইয়াজুজ মাজুজ জাতিরে আটকায় রাখছে। এইটা নিয়া বিশাল কাহিনীও আছে। ফট কইরা কই দিয়া "চৈনিক জাতি" পাইলেন ভ্রাতা? কেউ চাইলে পড়তে পারেন: Click This Link


২) এক পর্যায়ে যাঁরা বিশ্বাসী আছেন তাদের একটা মিষ্টি বাতাস তথা জেনেটিক্যালি ইঞ্জিনিয়ার্ড জীবাণু দিয়ে পৃথিবী থেকে শেষ করে দেয়া হবে।

>>> আমি বুঝতেছি না আপনি সব কিছু নিচের দিক থেকে চিন্তা করেন কেন? উপরের দিক থেকে চিন্তা করেন। আল্লাহ রব্বুল আলামীন চাবেন সব বিশ্বাসী মারা যাক। সবাই মারা যাবেন। তখন একটা বাতাস প্রবাহিত হবে। শেষ। এরা ভিতর জেনেটিক্যালি ইঞ্জিনিয়ার্ড জীবাণু আবার কি? আপনার কি মনে হয় আল্লাহ রব্বুল আলামীন, জেনেটিক্যালি ইঞ্জিনিয়ার্ড জীবাণু বানায় বাতাসের সাথে মিশায় ছাড়বেন যেইটা শুধু বিশ্বাসীদের খুজে খুজে বেব করবে?

------------------------

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন: হাদিসে এসেছে ঈসা নবী যখন পুনরায় পৃথিবীতে আসবেন তখন তার চুল থেকে পানির ফোঁটা ঝরবে দেখে মনে হবে যেন তিনি সদ্য গোসল করে এসেছেন। এখন যদি আমি বলি তাকে ওষুধ দিয়ে বাচিয়ে রাখা হয়েছে যেভাবে পৃথিবীতে প্রাণী সংরক্ষন করা হয় তাহলে কি ভুল অনুমান করা হয়ে যাবে ? আল্লাহই ভাল জানেন। কারণ তিনি সর্বজ্ঞানী। >>> এ্ইটা কি কইলেন ভাই? ওষুধ দিয়ে কেন বাচায় রাখতে হবে? আল্লাহ রব্বুল আলামীন চাইছেন তাকে তুলে নিয়া গেছেন, উনি বেচে আছেন। এর ভিতর ওষুধ কেন? আল্লাহ রব্বুল আলামীন যা চাইবেন তাই হবে।



আপনি এক কাজ করতে পারেন, যে কোন প্রোগামিং ল্যাঙ্গয়েজ শিখতে পারেন। একটা প্রোগাম বানান। ইনপুট / আউটপুট নেন। তারপর সোর্স কোড চেন্জ কইরা সেম ইনপুটে পুরা আলাদা আউটপুট বের করেন। বুঝবেন সোর্স কোড থাকা মানেই সব। যদি বিশ্বাস করেন সহজ ভাবে চিন্তা করেন সোর্স কোড আল্লাহ রব্বুল আলামীনের কাছে। উনি যা চাবেন তাই। যদি চান ইসা আ: বাচতে ওষুধ লাগবে কেন? এমনিই বাচবে।


০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:৪৩

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই ঈদের কোলাকুলি। অনেক ভাল আছি, আপনিও আশা করি।

পোস্টের দৃষ্টিভঙ্গি কিন্তু বুুইঝেন, এইটা হইল প্রফেসিতে বিশ্বাসের বিষয়। আর ধর্মে যারা বিশ্বাস করে তারাই কিন্তু প্রফেসিতে বিশ্বাস করে। আমি ভাই নাস্তিক হইতে রাজি, আধা বিশ্বাসী হইতে রাজি না।

চৈনিক জাতিটা আমার ক্যালকুলেশনে আসছে ভাই। পরে ক্রস চেক করছি।

যুলকারনাইন আ. যেখানে দুই পাহাড়ের মধ্যবর্তী অঞ্চলে ইয়াজুজ মাজুজ আটকে রেখেছিলেন সেই অঞ্চলটা গ্রীকদের জানা ভূভাগের পূর্বতম অঞ্চলের কাছাকাছি ছিল। তো চীনের মহাপ্রাচীর তো পুরাটা তিনি বানান নাই, তবে কোন একটা অংশ।

এই আটকানো থিমের আটকানো। চীন আজো তার সীমানায় আটকে আছে। তার মূল অগ্রগতি শুরু হল বলে।

চীন পাওয়ার আরো যে যুক্তিগুলা:

১. জানা ভূখন্ডের শেষ সীমা পর্যন্ত বা তার কাছাকাছি পৌছেছিলেন যুলকারনাইন আ., কুরআন ও হাদীস অনুসারে।

২. ইয়াজুজ মাজুজের যে শারীরিক বর্ণনা আমরা এক্সটেন্ডেড হাদীসে পাই, সেটা চৈনিক মুখের গড়নের সাথে সম্পূর্ণ মিলে।

৩. ইয়াজুজ মাজুজ প্রকাশিত হবার সময় তাদের বেরিয়ে আসার লক্ষণের মধ্যে স্পষ্টভাবে বলা আছে অনেক হাদীসে যে, তারা জলাশয়/জলধারা শেষ করতে থাকবে।

৪. স্পষ্টভাবে বলা আছে, ইয়াজুজ মাজুজ মানুষের মধ্যেই একটা জাতি।

আল্লাহ রব্বুল আলামীন চাবেন সব বিশ্বাসী মারা যাক। সবাই মারা যাবেন। তখন একটা বাতাস প্রবাহিত হবে। শেষ।

কথা কিন্তু লজিক্যাল, যেহেতু আমরা প্রফেসিতে বিশ্বাস রাখি। হাহাহা।

জীবাণুর কথা আসল কেন, বলি। ইজরায়েল গত দুই তিন দশক ধরেই জীবাণুর জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং করছে। তারা এখন এতটা অগ্রসর যে, ইন্ডিভিজুয়াল অথবা রেইস টার্গেট করে জীবাণু ডিজাইন করছে। অন্য কথায়, একই জীবাণু একজন ইজরাইলি বংশধরকে একটু অসুস্থ করবে সপ্তাখানেকের জন্য, অন্যত্র একজন 'আরব' কে অসুস্থ করবে এবং হত্যা করতে পারবে, যেহেতু জীবাণু আক্রমণ করে জেনেটিক তফাতের উপর ভিত্তি করে।

স্পেকুলেশন।

প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ তাহলে কালকে থেকেই শুরু করি। পাইথন শুরু করি, কী বলেন? করলাম কিন্তু। :)

১৪| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:২৮

নতুন বলেছেন: আজ পর্যন্ত এক হাজারের বেশি নকল ইমাম মাহদি আগমন করেছে। ইরানে গত ১৪০০ বছরে গড়ে প্রতি বছর একজন করে নকল ইমাম মাহদি আগমন করে। তারা নতুন নতুন ধর্ম বানায়। পশ্চিমা পাক্কা পৃষ্ঠপোষকতা পায়। বাংলাদেশেই বহু ইমাম মাহদি আছে, ইমাম মাহদির সেনাপতি আছে, এমনকি ইমাম মাহদির দাদাও আছে। নি:সন্দেহে তারা পথভ্রষ্ট।

সব জামানায়ই ইমাম মাহাদী আসবে বলে মানুষ ভাবে.... এই ভাবে ১৪০০ বছর কিন্তু চলে গেছে.... ১০০০++ ভন্ড কিন্তু দাবী করেছে....

এই ভাবে আরো হাজার হাজার বছর কেন পার হবে না???

আর এখন দুনিয়াতে কোন অলৌকিক কিছু হয়না.... কিন্তু ইমাম মাহাদী আসলে যা ঘটতে তাতে তো অনেক অলৌকিক হবে বলে মনে হচ্ছে....

তারপর তাঁর সমরশক্তি এত বৃদ্ধি পেতে থাকবে যে, ফ্রিগেট-করভেট-এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার সহ ১,৭০০ সমুদ্রগামী রণতরী নিয়ে তিনি ইহুদি দখলে থাকা পূণ্যভূমি জেরুজালেম মুক্ত করতে ইজরায়েল আক্রমণ করবেন। ইজরায়েল আক্রমণ করার আগেই তাঁর শাসনকালের অন্তত ৯-১০ বছর পেরিয়ে যাবে।

বত`মানের বিশ্বে সৌদি আরবের থেকে কোন নেতা সারা বিশ্বজয় করার মতন সমর শক্তি অজ`ন করা এতই সহজ ?????

তিনি প্রথমেই আরব উপদ্বীপ বিজয় করবেন। পাশাপাশি ভারত-পাকিস্তানের আগ পর্যন্ত বিজয় করবেন। তারপর তাঁর সমরশক্তি এত বৃদ্ধি পেতে থাকবে যে, ফ্রিগেট-করভেট-এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার সহ ১,৭০০ সমুদ্রগামী রণতরী নিয়ে তিনি ইহুদি দখলে থাকা পূণ্যভূমি জেরুজালেম মুক্ত করতে ইজরায়েল আক্রমণ করবেন। ইজরায়েল আক্রমণ করার আগেই তাঁর শাসনকালের অন্তত ৯-১০ বছর পেরিয়ে যাবে। জেরুজালেমে তিনি ১৪ বছর সাম্রাজ্য পরিচালনা করবেন, বায়তুল মুকাদ্দাসকে রাজধানী বানিয়ে। এই ১৪ বছর গজবায়ে উজমা বা মানব ইতিহাসের বৃহত্তম বিশ্বযুদ্ধের মুখোমুখি হতে হবে মানুষকে। এই ১৪ বছরের সময়ে ধীরে ধীরে সারা পৃথিবীতে একেশ্বরবাদের খিলাফাত প্রতিষ্ঠিত হবে। ইস্তাম্বুল, ইতালির রোম, পশ্চিমা বিশ্ব- এদিকে তাঁর বাহিনীর নেতৃত্ব তিনি দিবেন এবং আমাদের উপমহাদেশ, চীন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও ওশেনিয়াতে তাঁর বাহিনীর নেতৃত্ব দেবে তাঁর পাঠানো বাহিনী।

৩য় বিশ্বযুদ্ধের মনে হইতেছে...

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:৪৭

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আরো হাজার বছরও পার হতে পারে নতুন ভাই। হাজারেরও বেশি বছর পার হতে পারে। আবার পঞ্চাশ বছর নাও পার হতে পারে। কী অবস্থা!

ভাই, ওই নেতা সৌদি ঠিক না। জাতি যাই হোক, তিনি হবেন ঐশ্বরিক নেতা।

তৃতীয় হতে পারে, কে জানে, সেটা চতুর্থও হতে পারে বা কীরকম হবে, আমরা জানি না তো।

ভাই দুনিয়াতে সর্বযুগেই অহরহ অলৌকিক হয়।

আমরা শুধু কাউকে সাঁতরাতে দেখিনি, বললাম না? দাওয়াত কিন্তু অলরেডি দিয়ে রেখেছি। :)

১৫| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:৫৪

বাংলার পোলা বলেছেন: আপনার সাথে আমার অনেক মিল পাই। আপনার সাথে ব্যাক্তিগত ভাবে যোগাযোগ করতে চাই। যদি সম্ভব/ ইচ্ছা হয় http://www.facebook/iazad এড করবেন। খুশি হব।

০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:১১

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: অবশ্যই ভাই :)। ফ্রেন্ড রিকু পাঠিয়ে দিয়েছি।

১৬| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৪ রাত ২:৩৭

বাংলাদেশী দালাল বলেছেন:
অলৌকিকতার পিছনে বিজ্ঞান লুকায়িত থাকে।কারন মহান আল্লাহ ই সর্বচ্য বিজ্ঞানী।

একাকী বালক এর সাথে একমত।

ধন্যবাদ লিসানী ভাই।

চমৎকার, অসাধারন, সংগ্রহে রাখার মত এবং একজন ব্লগারের লেখা হিসেবে গর্ভ করার মত পোস্টের জন্য কৃতজ্ঞতা।



০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:১৪

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আসলে এই বিষয়গুলো নিয়ে এত বেশি লেখালেখি হচ্ছে সর্বত্র যে, এখন আর চোখ বন্ধ করে থাকা সম্ভব নয়। বেশিরভাগই ভ্রান্ত। আমরা বিশ্বাস করি, অথচ লিখব না, তা আর হয় না। আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ভাই।

১৭| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:১৩

মুদ্‌দাকির বলেছেন:

আপনার এই ধরনের লেখা গুলো খুবই কনফিউজিং, এবং আমার কাছে মনে হয় বেশীর ভাগ ইনফরমেশন অনুমান ভিত্তিক। যখন কেউ বলে আপনার লেখা রেফারেন্স হিসাবে ব্যাবহার করবে, তখন ভয় হয়!!! জানি আবারো আপনার মনে দুঃখ দিলাম হয়ত, ভেবে ছিলাম মন্তব্যই করবো না!! তবে ভুল বুঝবেন না। আমিও অদৃশ্য মাহাদী আঃ আর অদৃশ্য দাজ্জালে বিশ্বাস করি না।

আসসালামুয়ালাইকুম

০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:২১

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ওয়াআলাইকুমুস সালাম ভাই।

কিছু ইনফরমেশন গাণিতিক, প্রামাণিক নয়। সেগুলোতে বেশি ক্ল্যারিফাই করার প্রয়োজন নেই, কারণ, দেখলেই বোঝা যাচ্ছে। দুইয়ের সাথে দুই মিলিয়ে করেছি, যা ভুল হতে পারে। কিন্তু যেসব ইনফোতে অবশ্যই শব্দটা ব্যবহার করেছি, তা ছিল হাদিস ভিত্তিক।

অনেক ইনফোকেই হয়ত আপাতত কনফিউজিং মনে হচ্ছে, যা বারংবার সহীহ হাদিস থেকে পুনরুল্লেখিত।

আমি একটা কাজ করি, রেফারেন্স দিই না। এটা ইচ্ছা করে করি। কারণ তাতে আমার লেখার ফ্লো থাকে না। আর রেফারেন্স যাঁরা দেন, তাঁরা যতটা বইপত্র খুলে রেখে কাজ করেন, আমার কাজের ধারা সম্পূর্ণ ভিন্ন। আমি আগে পড়ি, পড়তেই থাকি বহুদিন যাবত, তারপর স্মৃতি থেকে সেসব নিয়ে লিখি।

ভাই ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস অবিশ্বাস তো সম্পূর্ণ নিজের বিষয়। এতে কষ্ট পাবার কিছু নেই।

কিন্তু আমরা যে হাদীসের ইমামদের মানি, আর হাদীসের ইমামরা যে ইসলামের সবচে বেশি কষ্ট করা (পুঁথিগত) মানুষ! তাঁরা সবাই একটা বিষয়ে একমত হলে সেটাকে সত্যি ধরে নেয়াই একমাত্র নিরাপদ উপায়।

কারণ ইসলাম তো আমরা তাঁদের মত করে মানি না, জানি না, বুঝিও না।

দাজ্জাল ও ইমাম মাহদী রা. নিয়ে অনেকগুলো সহীহ হাসান ও গারীব হাদীস রয়েছে। দ্বয়িফ হাদিসের কথা নাহয় উহ্যই রইল।

১৮| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:১৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: সুপ্রিয়,

আপনার লেখাগুলি বেশ ভাল লাগে পড়তে।

০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:৩১

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আর আপনার একটা মন্তব্যও। যেন অনেকগুলো চাদরের নিচে আপনার প্যাশনেট মনটাকে লুকিয়ে রেখেছেন। আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রিয় ভাই।

১৯| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:৩৩

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনার পোষ্ট সব সময়ই ভালো লাগে! অনেক কিছুই জানলাম ভাই। অনেক ধন্যবাদ।

০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:৩৫

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: কাল্পনিক_ভালোবাসা ভাই আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ। অনেক ভাল থাকুন। আপনার ফিচার পোস্টগুলো তৃষ্ণা মেটায় প্রতিনিয়ত।

২০| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:৩৯

নতুন বলেছেন: ভাই, ওই নেতা সৌদি ঠিক না। জাতি যাই হোক, তিনি হবেন ঐশ্বরিক নেতা।

তৃতীয় হতে পারে, কে জানে, সেটা চতুর্থও হতে পারে বা কীরকম হবে, আমরা জানি না তো।

ভাই দুনিয়াতে সর্বযুগেই অহরহ অলৌকিক হয়।

আমরা শুধু কাউকে সাঁতরাতে দেখিনি, বললাম না? দাওয়াত কিন্তু অলরেডি দিয়ে রেখেছি।


তিনি সৌদি আরবের লোক হবেন..... তাই অন্য দেশের সবাই তাকে কতটুকু মেনে নেবে?

তিনি হবেন ঐশ্বরিক নেতা।>> আপনারা অলৌকিকতায় বিশ্বাস করেন.... তাই মনে হয় ঐশ্বরিক নেতা আধুনিক প্রযুক্তির সাথে লড়াই করবে অলৈকিকতার সাথে???

অলৌকিকতায় বিশ্বাস করলে অনেক কিছুই খুব সহজ মনে হয়... কিন্তু যদি বত`মান দুনিয়ার সমরপ্রযুক্তিতে উন্নত দেশ কতটা এগিয়ে তার বাস্তবতা যদি খেয়াল করি তবে আপনার ভবিষ্যতবানী সুধু স্বপ্নেই সম্ভব হবে মনে হয়...

০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:৪২

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আসলে তিনি 'সৌদি আরবের' লোক হবেন না। সৌদি আরব টার্মটার সাথে যে গোত্রীয়তার গন্ধ রয়েছে, সেটার উর্দ্ধে উঠবেন। আর তাঁর সৌষ্ঠবে আরবীয় এবং অনারবীয় ছাপ উভয়ই থাকবে। এটা হাদীস, চাওয়ামাত্র সোর্স রেফারেন্স দিব। রাসূল দ.'র বংশধররা সৌদি রাজতন্ত্রের মত গোঁড়ামিতে যুক্ত না, তাঁরা পৃথিবীর সব জাতির (গড়নগত জাতি) মানুষের সাথেই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।

আসলে যারা অপেক্ষারত তারা তো তাকে পাবার ও মানার জন্য অধীর।

অলৌকিকতার সাথে, বিজ্ঞানের সাথে, বিজ্ঞতার সাথে, প্রজ্ঞার সাথে, বিবেকের সাথে। অলৌকিকতার সাথে লড়াই করবেন মানে তো এই না, যে বিজ্ঞান আমাদের জন্য হারাম।
বিজ্ঞান ব্যবহারিক জ্ঞান।

এই পৃথিবীতে কেউ কোনদিন অপরাজেয় ছিল না। হাজার বছরের এমনকি তিন চার হাজার বছরের সাম্রাজ্যও বারংবার পতিত হয়েছে, বিরান হয়েছে। আর টেকনোলজি যত এগোয়, তত তা দেশকেন্দ্রীক না থেকে বৈশ্বিক হয়ে পড়ে।

২১| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:০৬

আমি গাঙচিল বলেছেন: অসাধারন.।.।।

আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দান করুক।

০৭ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:১৮

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আল্লাহর ক্ষমা ও করুণার প্রত্যাশী।

২২| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:২৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক দেরি হয়ে গেল পড়তে...

অবশ্যই অসাধারন। ব্যাখ্যা বা বিশ্লেষনে দু এক জায়গায় একটু ভিন্নতা থাকলেও.. মূল সত্য অটুট।

আমাদের এই সময়ের মাঅবিশ্বাসীদের জণ্য খুবই মায়া হয়্
আহা জ্ঞানের একপিঠ দেখে অন্য পিঠ নাই ভরে তাদের জীবন বিলিয়ে দিচ্ছে!

কিয়ামত সম্পর্কে বিস্তারিত আলাপ করার ইচ।চা ছিল! কোথায় কিভাবে করা যায়!

ইস্রাফিল আ: এবং সনিক বুম নিয়ে কি আলাপ হতে পারে!

ভাল থাকুন।

২২ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:০৮

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই আলাপটা এখানেও হতে পারে। ইন্টারেস্টিং আলাপের অপেক্ষায় ... কিয়ামাত নিয়ে আলাপের মত মানুষ কি আর খুব একটা আছে! সনিক বুমের বিষয়টা কখনো মাথাতেই আসেনি।

ভবিষ্যতের হিসাবনিকাশে একটু গন্ডগোলও হয়েই যাবে... হাজার হলেও হিসাব মিলানো যে... আপনি কিছু বললেন না তো বিষয়গুলো নিয়ে...

২৩| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৪৩

হাসানস০০৭ বলেছেন: বেশ কিছু বিষয়ের সাথে এক মত হতে পারলাম না। ইয়াজুজ-মাজুজ মানুষের অন্তর্ভুক্ত তারা কোনো বেষ্টনীর ভিতরে আছে। তারা সংখ্যায় এত অধিক হবে যে, তারা প্রথম গ্রুপ মুক্ত হবার পর বিশাল নদীর পানি খেয়ে শেষ করে দিবে , অন্য গ্রুপ সেখানে পানি পাবে না।

সকল মতবাদের কথা বলা হয়েছে যে তারা ইমাম মাহদির সাথে মিলিত হবেন।

কিন্তু তাদের ব্যপারে জানা উচিৎ যে তারা মুসলমান হয়েই মিলিত হবেন, নিজস্য মতবাদ জিইয়ে রাখবেন না।


ইয়াজুজ মাজুজ হলেন[ চৈনিক জাতির মানুষরা, যাদের অনেকেই বাজে অবস্থানে থাকবেন। চৈনিকরা শুরু করবেন নদী বন্ধ করে দেয়ার মাধ্যমে। ভারত-পাকিস্তান-বাংলাদেশ-বার্মা-নেপাল-ভূটানকে মরুভূমি করার কাজ শুরুর মাধ্যমে। অথবা ইয়াজুজ মাজুজের একটা চৈনিক জাতি (তথাকথিত কমুনিস্ট) এবং অন্যটা শয়তান পূজারী কাল্টসমূহের মানুষেরা। দাব্বাতুল আরদ হল পঙ্গপাল অথবা পোকা (দুর্বল ব্যাখ্যা) অথবা ডায়নোসর জাতীয় প্রাণী (সবল ব্যাখ্যা)। সম্ভবত আল্লাহর আদেশে ঈসা আ. আপন মাসীহাতের ক্ষমতায় অথবা মাহদি রা. আপন খিলাফাত ও গাউসিয়াতের ক্ষমতায় মাসিহিয়াতের মাধ্যমে মৃত ডাইনোসর জাতীয় প্রাণীগুলোকে পুনরায় জীবিত করবেন এবং বিশ্বাসী ও অবিশ্বাসীদের মধ্যে পার্থক্য নিরূপণ ও লড়াইতে প্রেরণ করবেন। এই কিয়ামাতপূর্ব বৃহত্তম বিশ্বযুদ্ধে অবশ্যই মানুষ ছাড়াও জীবাণু ব্যবহৃত হবে, পশু ব্যবহৃত হবে, জ্বিন ব্যবহৃত হবে, শয়তান, রোবটিক ফর্ম, জেনেটিক্যালি ইঞ্জিনিয়ার্ড জীব ব্যবহৃত হবে। এক পর্যায়ে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক পালসের সক্ষমতা সকল পক্ষের হাতে চলে যাওয়াতে সকল ইলেক্ট্রনিক যন্ত্র পুরোপুরি অকার্যকর হয়ে পড়তে পারে।


হুদাই কেচাল করা হল। ধারণার উপর কিছুই বলা উচিৎ না। দাব্যাতুল আরদ এক প্রকার প্রাণী।
ডাইনোসর-মাইনোসর কই থেকে কী।!



সূত্র দিন। ফাও কথা মানিনা। হাদিস পড়লে বহুত কিছু জানা যায়। সাধারণ মানুষের জন্য তাফসীরে মারেফুল কুরান পড়া উচিৎ জানার জন্য। আর যারা স্বীকৃত তাদের তাফসীর গ্রন্থ পড়া উচিৎ।

০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:০৭

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: সমস্যাটা হল কী জানেন?

যে কেউ একটা একাউন্ট থাকলেই যে কারো জায়গায় যে কোনভাবে মন্তব্য করতে পারে।

যদি এমন হতো, যথাযথ সমমাত্রার প্রজ্ঞা (কর্তব্যজ্ঞান/ ওউচিত্যবোধ) না থাকলে, কাছাকাছি মাত্রার শিক্ষা, মানসিক অগ্রগতি এবং পরিণত মন না থাকলে মন্তব্য করা যাবে না, তাহলে মন্তব্যকারীরা পরস্পরকে সহজে বুঝতে পারত।

এই মন্তব্যটা কি মোটামুটি স্পষ্ট?

মারেফুল কোরান কোনটা? হজের সময় সৌদি তেলের টাকা সম্পূর্ণ হারাম ডলারে রূপান্তরিত করে, সেই সম্পূর্ণ হারাম ডলার দিয়ে ছাপানো সাম্প্রতিককালের বইটা না?

এই ধরনের পোস্ট মূলত করা হয় তৃষ্ণার্তদের জন্য। যারা সব জেনে বুঝে আছে, তাদের জন্য না। আমি নিজে তৃষ্ণার্ত, তৃষ্ণা মেটানোর জন্য পড়ালেখা করি। সেই তৃষ্ণাটা মিটে যাবার পর তা জমিয়ে রাখি ব্লগ আকারে। এইসব লেখার জন্য কিন্তু পড়ি না, পড়ার পর কিছু কিছু, অতি অল্প লিখি।

জবাবটা কি আপনাকে সহায়তা করছে?

২৪| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:০৯

ফয়সাল আহমেদ ইমন বলেছেন: “এই ধরনের পোস্ট মূলত করা হয় তৃষ্ণার্তদের জন্য। যারা সব জেনে বুঝে আছে, তাদের জন্য না। আমি নিজে তৃষ্ণার্ত, তৃষ্ণা মেটানোর জন্য পড়ালেখা করি। সেই তৃষ্ণাটা মিটে যাবার পর তা জমিয়ে রাখি ব্লগ আকারে। এইসব লেখার জন্য কিন্তু পড়ি না, পড়ার পর কিছু কিছু, অতি অল্প লিখি।” অসাধারণ............ (আর আমি তৃষ্ণা মেটাতে শুধু পড়ি............. কারণ লেখার বা বলার যোগ্যতা থাকলে তো।) যাই হোক কিছু বিষয়ে খটকা লাগে। যেমন এই বিষয়গুলো নিয়ে যাদের সাথে আলাপ হয়েছে বা হয় (যৎসামান্য) তাতে করে বলা হয় যন্ত্র সভ্যতা বিকল হয়ে পড়বে, বা দাজ্জাল কে একটি তীরের (নাম টা মনে করতে পারছি না) আঘাতে হত্যা করা হবে, যদি আক্ষরিক অর্থে তীর হয়ে থাকে তাহলে বলা যায় যন্ত্র সভ্যতা অচল হয়ে পড়বে, আর যদি এমন হয় যে প্রায় দেড় হাজার বছর আগের ব্যাখ্যা তৎকালীন প্রযুক্তির আলোকে দেয়া হয়ে থাকে তবে আধুনিক সমরাস্ত্রের ব্যবহার হতে বাধ্য, অথবা যেমন ধরুন ইয়াজুজ মাজুজ চৈনিক জাতি ব্যাপারটা মেলাতে একটু কষ্ট লাগে, আমার ব্যক্তিগত ধারণায় গ্রিক উপকথায় উল্লেখিত অর্ধমানব অর্ধেক ঘোড়া এই জাতীয় কিম্ভূতকিমাকার প্রাণীকেই বেশী সাযুজ্যপূর্ণ মনে হয় এই চরিত্রে, “তারা উচু স্থান থেকে লাফিয়ে লাফিয়ে আসবে....” এই রেফারেন্স টার কোন ব্যাখ্যা আছে কি? অথবা দাব্বাতুল আরদ প্রাণীটার ব্যাপারে যতটুকু জানি তারা পৃথিবীতে দ্রুত ঘুরে বেড়াবে এবং নেককার ও বদকার বান্দাদের আলাদা করে দেবে......... জানি না ভাই আল্লাহ ই একমাত্র সর্বোচ্চ জ্ঞাণী...........

তর্ক বা সংশয় জাগানো বা বাড়ানোর জন্য না, কথাগুলো বললাম কারণ আপনার মত তৃষ্ণা মেটানোর আকুলতা আমার নেই তবে সময় হয় মাঝে মাঝে এইসব ভাবার আর তখন অথৈ সাগরে খাবি খেতে থাকি।

সবশেষে এই মেহনতের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ............... এবং আরও চাই। ভালো থাকুন।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৬

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আন্তরিক কমেন্টের জন্য অনেক কৃতজ্ঞতা, ইমন ভাই।

সব যন্ত্র বিকল হওয়ার একটা চান্স কিন্তু আছে।

ইলেক্ট্রো ম্যাগনেটিক পাল্স (ই এম পি) হল সেই সম্ভাব্যতা। যদি ওই সময়ে সব পক্ষের হাতে ব্যাপকভাবে ইএমপি'র ক্ষুদ্র পোর্টেবল যন্ত্র চলে যায় বা স্যাটেলাইট থেকে ইএমপি করা হয় তখন কিন্তু সকল যন্ত্র বিকল হয়ে যাবে।

তীরের ব্যাপারটা জানি না। এটা দিয়ে তীর বা গুলি যে কোনকিছু বোঝানো হয়ে থাকতে পারে।

দাব্বাতুল আরদ মানে মাটির প্রাণী। মাটির জীব। মাটির নিচে থেকে উঠে আসা যে কোন জীব হতে পারে তা।

সেই একই কথা ভাই। আল্লাহই সর্বোচ্চ সুমহান জ্ঞাত। আমরা শুধু তাঁরই মহাজ্ঞানের আশা ও অপেক্ষায়।

২৫| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:১২

মাসূদ রানা বলেছেন: অসাধারণ লাগলো , লিসনি ভাই ...... @আপনার তথ্যগুলো সঠিক, খুব গুছিয় উপস্থাপন করেছেন .... প্রিয়তে নিলাম :)

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:২৮

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ভাই। আশা করি অনেক অনেক ভাল আছেন।

২৬| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৮:৪৯

মায়াবী রূপকথা বলেছেন: ++

২৭| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২০

রাজীব৪৪ বলেছেন: Click This Link দেখতে পারেন।

২৮| ০৪ ঠা মে, ২০১৫ রাত ১০:৪৭

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: পোষ্ট ভাল্লাগছে। কিন্তু একটা প্রশ্ন জাগলো মনে। দাজ্জাল তো পুর্ব নির্ধারিত ক্যারেক্টার বইলাই মনে হইতেছে। তার মানে তার কার্জকলাপ পরিবর্তনের কোন সম্ভাবনাই নাই। তাইলে সেইটায় দাজ্জালের দোষ কই? তারে তো সেইভাবেই সৃস্টি কইরা পাঠানো হইতেছে। তার কি বিচার হবেনা? নাকি সে মানুষও না, জ্বীনও না, অন্যরকম কোন বিচারের বাইরের মানুষকে পরীক্ষা করার জন্য কোন সৃস্টি।।

যদি কোন সৃস্টিকে পুর্ব নির্ধারিতভাবে মানুষের পরীক্ষার জন্যই পাঠানো হয়, তাইলে তার বিচার হবে কোন যুক্তিতে?

২৯| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:৩৬

মোঃ আরিফুর রহমান প্রান্ত বলেছেন: অনেক ভাল লিখেছেন ভাই। আমি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ, ইমাম মাহদী (আঃ), ঈসা (আঃ) ও দাজ্জাল বিষয়ে জানার অনেক চেষ্টা করেছি। বই, অনলাইন ইত্যাদি ঘেঁটেছি। এসব পড়ার পর যে জ্ঞান হয়েছে, আপনার লেখার সাথে তার প্রায় সম্পূর্ণটাই মিলে যায়। আপনার লেখা পড়ার পর নতুন কিছু তথ্যও জানলাম। তাতে আগের পড়া জ্ঞানটাও পাকাপোক্ত হল।

এখানে আমার কিছু প্রশ্ন আছে। উত্তর দিলে উপকৃত হব.....

ইমাম মাহদী (আঃ) আত্মপ্রকাশ করার পরপরই কি দাজ্জালের আত্মপ্রকাশ ঘটবে? না আগে দাজ্জালের আত্মপ্রকাশ ঘটবে? নাকি তিনি ইহুদি খৃস্টানদের সাথে যুদ্ধ করে জয়ী হবার পর দাজ্জালের আত্মপ্রকাশ ঘটবে? তাঁর আত্মপ্রকাশ ও দাজ্জালের আত্মপ্রকাশের মধ্যে সময়ের ব্যবধান কতটুকু হতে পারে?

আর আমি পড়েছি, "দাজ্জালের আগমনের পূর্বে মানুষ ভীষণ ক্ষতিগ্রস্ত থাকবে। তখন দাজ্জালের সুবিধা হবে মানুষকে পথভ্রষ্ট করার। খাদ্য, অর্থবিত্ত ইত্যাদি দানের দ্বারা মানুষের কাছ থেকে আনুগত্য লাভ করবে। আর ইমাম মাহদী (আঃ) এর আগমনের পূর্বেও মানুষের দুর্দশা থাকবে।" তাহলে কি, ইমাম মাহদী (আঃ) ও দাজ্জালের আগমনের পূর্বে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের মত কিছু ঘটবে?
নাকি তাদের মধ্যকার যুদ্ধই হবে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ?

এই যুদ্ধে কি আধুনিক অস্ত্র ব্যবহৃত হবে? না এই যুদ্ধের আগেই আধুনিক সভ্যতা নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। অর্থাৎ, মানুষ তরবারি, লাঠিসোটা ইত্যাদি দিয়ে যুদ্ধ করবে?

( আপনার উত্তর একান্তভাবে কাম্য। )

৩০| ২০ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১:৪৬

সাফাত আহমদ চৌধুরী বলেছেন: এই লেখক হয়তো আর ব্লগে আসেন না, তাই কমেন্ট টা দেখবেন না । লিখাটি হয়েছিলো ২০১৪ সালে, এখন ২০১৮ সাল, চার বছর পূর্ণ হয়ে গেছে । বর্তমানে অনেকগুলা আলামত প্রকাশ পেয়ে গেছে । কিছু উদাহারণ দিচ্ছি, বর্তমানে সিরিয়া আর ইয়েমেনের অবস্থা । শাম নজদ ও ইয়েমেন নিয়ে আল্লাহর রাসুলের হাদিস আছে , ২০১৪ সালে ইয়েমেনের অবস্থা ভালো ছিলো, কিন্তু বর্তমানে সৌদি সরকার তাদের উপর হামলা করেছে । আল্লাহর রাসুল শাম আর ইয়েমেন নিয়ে দোয়া করেছেন, কিন্তু নজদ(বর্তমান রিয়াদ) নিয়ে দোয়া করেন নাই । এর কারণ হলো সৌদির প্রশাসন ভালো নেই এখন । বর্তমানে লেবানন ও আফগানিস্তানের অবস্থা ও খুব খারাপ । পবিত্র নগরী জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী ঘোষণা দেয়া, এটি কি নির্দেশ করে । ইয়াহুদিরা আকসা ভেঙ্গে তারা তাদের টেম্পল মাউন্ট বানানোর প্রস্তুতি অলরেডি নিয়ে নিছে , হয়তো উনিশ সালের দিকে আকসাতে আঘাত হানার পরিকল্পনা করছে , আর তখনই বিশ্বযুদ্ধ শুরু হবে । বিশ্বযুদ্ধে মুসলিমদের অবস্থা যখন শুচনীয় হবে, ঠিক তখন ইমাম মাহদির আবির্ভাব হবে । ইমাম মাহদির আবির্ভাবের কথা শুনে খোরাসান (বর্তমান আফগানিস্তান) থেকে একদল কালো পতাকাধারীরা(তালেবান) উনার বাইয়াত নেয়ার জন্য মক্কায় আসবে । তারপর যুদ্ধে প্রাণ ফিরে পাবে মুসলমানরা, আর এই যুদ্ধে মুসলমানরা বিজয়ী হবে । তখন পৃথিবীতে মুসলিমদের আধিপত্য শুরু হবে , ঠিক তখনই এক চোখ বিশিষ্ট দাজ্জালের আগমণ ঘটবে । দাজ্জাল ৪০ দিন(তার হিসেবে) পৃথিবী শাসন করবে, আর এরপর ঈসা নবী আসবেন আকসায় । এসে থাকে হত্যা করবেন ।

৩১| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:৩৫

নাঈমুর রহমান আকাশ বলেছেন: প্রতিশ্রুত মসীহ্ ও ইমাম মাহ্দী (আ.) আবির্ভূত হয়েছেন!




هُوَ الَّذِىْ بَعَثَ فِىْ الْاُمِّيّٖنَ رَسُوْلاً مِّنْهُمْ يَتْلُوْا عَلَيْهِمْ اٰيٰتِهٖ وَيُزَكِّيْهِمْ وَيُعَلِّمُهُمُ الْكِتٰبَ وَالْحِكْمَةَ وَاِنْ كَانُوْا مِنْ قَبْلُ لَفِىْ ضَلٰلٍ مُّبِيْنٍۙ‏
وَّاٰخَرِيْنَ مِنْهُمْ لَمَّا يَلْحَقُوْا بِهِمْ‌ؕ وَهُوَ الْعَزِيْزُ الْحَكِيْمُ‏
৩। তিনিই উম্মীদের মধ্যে তাহাদেরই মধ্য হইতে এক রসূল আবির্ভূত করিয়াছেন, যে তাহাদের নিকট তাঁহার আয়াতসমূহ আবৃত্তি করে, এবং তাহাদিগকে পরিশুদ্ধ করে, এবং তাহাদিগকে কিতাব ও হিকমত শিক্ষা দেয়, যদিও পূর্বে তাহারা প্রকাশ্য ভ্রান্তির মধ্যে ছিল।
৪। এবং (তিনি তাহাকে আবির্ভূত করিবেন) তাহাদের মধ্য হইতে অন্য লোকের মধ্যেও যাহারা এখন পর্যন্ত তাহাদের সঙ্গে মিলিত হয় নাই। এবং তিনি মহাপ্ররাক্রমশালী, পরম প্রজ্ঞাময়।
(আল্ জুমু’আঃ ৩-৪)




হাদীস
“আমাদের মাহ্দীর জন্য দুইটি নিদর্শন নির্দিষ্ট আছে। আকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টির পর এই নিদর্শন অন্য কোনো মা’মুর, কোনো প্রত্যাদিষ্ট ধর্ম-সংস্কারকের সময়ে প্রকাশ পায় নাই। তারমধ্যে একটি হলো প্রতিশ্রুত মাহ্দীর সময়ে রমযান মাসের মধ্যেকার প্রথম তারিখে চন্দ্রগ্রহণ হবে এবং সূর্যগ্রহণ হইবে মধ্য তারিখে।” [দারকুতনি, ১ম জেলদ, পৃষ্ঠা. ১৮৮]

অমৃতবাণী
আমার কাছে হাজার হাজার প্রমাণ আছে, কিন্তু এতে যদি তোমরা সন্তুষ্ট হতে না পার, তবে আমার কথা গ্রহণ করো না, আমার বিরোধীদের কথাও গ্রহণ করো না; খোদা তা’আলার কাছে যাও এবং জিজ্ঞাসা কর যে, আমি সত্যবাদী কিনা। যদি খোদা তা’আলা বলে দেন যে, আমি মিথ্যাবাদী, তবে নিশ্চয় আমি মিথ্যাবাদী। কিন্তু যদি খোদা তা’আলা বলে দেন যে, আমি সত্যবাদী তবে আমার সত্যতা গ্রহণ করতে তোমার আপত্তি কেন?





আহমদীয়া মুসলিম জামা’তের পক্ষ থেকে সবাইকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও সালাম। একটি ঐশী নেয়ামতের সংবাদ সবার কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে কয়েকটি কথা বিনীতভাবে উপস্থাপন করছি।
অন্যান্য সব মুসলমানের মত আমরাও হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম-এর উম্মত হিসাবে ইমাম মাহ্দী ও প্রতিশ্রুত মসীহ্ (আঃ)-এর আগমনের প্রতীক্ষায় ছিলাম। আজ থেকে শতাধিক বছর আগে ১৮৮৯ খৃষ্টাব্দে তথা ১৩০৬ হিজরী সনে ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের এক নিভৃত গ্রামে হযরত মির্যা গোলাম আহমদ (আঃ) সেই প্রতিশ্রুত মহাপুরুষ হবার দাবী করেন। আমরা পবিত্র কুরআন ও হাদীসের আলোকে তাঁকে যাঁচাই করে সত্য মাহ্দী ও প্রতিশ্রুত মসীহ্ হিসাবে গ্রহণের তৌফিক লাভ করেছি। কুরআনের ভবিষ্যদ্বাণী ও সহীহ্ হাদীসের আলোকে একথা সুস্পষ্ট, খাতামান্নাবীঈন (সাঃ)-এর আধ্যাত্মিক কল্যাণে ও তাঁর আনুগত্যে তাঁরই উম্মত হতে ইমাম মাহ্দী ও প্রতিশ্রুত মসীহ্’র চতুর্দশ শতাব্দীর শিরোভাগে আগমনের কথা। হযরত মির্যা সাহেব তদনুযায়ী সঠিক সময়ে আগমন করেছেন।
মহানবী (সাঃ) বলেছেন.
“ইমাম মাহ্দী আবির্ভূত হবার সংবাদ পাওয়া মাত্রই তাঁর হাতে বয়’আত করিও, যদি বরফের উপর হামাগুড়ি দিয়েও যেতে হয়; কেননা নিশ্চয় তিনি আল্লাহ্র খলীফা আল-মাহ্দী”। (সুনানে ইবনে মাজা-বাবু খুরূজুল মাহ্দী)

যাঁরা মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর উপরোক্ত আদেশানুযায়ী তাঁকে মান্য করে তাঁর বয়’আত গ্রহণ করেছেন তারাই আহমদীয়া মুসলিম জামা’তের সদস্য।
বিস্তারিত জানতে দেখুন:www.somewhereinblog.net/blog/naimur2017/30200267

৩২| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৪২

ইঙ্গ্যাল বলেছেন: লিসানি ভাইয়ের ব্লগ পড়ি অনেক আগের থেকেই। তবে কখনো মন্তব্য করা হয় নাই। যেহেতু আপনি সূফী মতাদর্শে বিশ্বাসী তাই সূফী আর শিয়াদেরকে(শিয়াদের সাথে সূফীদের ৯০% মিল) দলে রেখে দিয়েছেন। কিন্তু শিয়ারা যে দাজ্জালের আগমনে বিশ্বাস করে না কারণ দাজ্জালের বর্ণনা যে হাদীসে এবং শিয়ারা আমাদের বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফসহ অন্যান্য সহী হাদীসে বিশ্বাস করে না। এইবার লাইগ্যা গেছে গিট্যু।
লেখা ভালো হয়েছে তবে আপনার অনেক কিছুর সাথে একমত হতে পারলাম না।

৩৩| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৮:১০

খসরু ওয়াহিদ বলেছেন: হাদিস বিশেষজ্ঞরাই ইসলামকে খেয়ে দিছে নানা কল্প কাহীনি দিয়ে, বেশিরভাগ হাদিস ইসলামের শত্রুদের লেখা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.