নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বুলি বলে শুনতে পাই, রূপ কেমন তা দেখি নাই, ভীষম ঘোর দেখি।। পোষা পাখি চিনলাম না, এ লজ্জা তো যাবে না, উপায় কী করি, আমি উপায় কী করি।।
বুখারি শরিফ, কিতাব ১৭, হাদিস ১৪৬, আবু হুরাইরা রা. বলেন, আমি রাসূল দ. থেকে দু প্রকার জ্ঞান অর্জন করেছি। এক ধরনেরটা তোমাদের জানাই। অপরটা জানালে তোমরা (ভুল বুঝে) আমার গলা কেটে ফেলতে।
বেশি পরিমাণে ইবাদাত থাকার চেয়ে বেশি পরিমাণে জ্ঞান থাকা ভাল। আর তোমাদের ধর্মের সবচে ভাল অংশটুকু হল, করুণা, সহমর্মিতা, মায়া, আত্মনিয়ন্ত্রণ।-হুযাইফা ইবনুল ইয়ামান রা. বর্ণিত, তাবরানি, আওসাত, বাজজার।
ধর্ম/বিশ্বাস/মতবাদ/আক্বিদাহ্ যাই হোক। সত্যি সত্যি কিছুটা শূণ্যস্থান পূরণের জন্য, হিসাবের বাকিটা মিলানোর জন্য, অথবা স্পষ্ট করে জানার জন্য যে কারো যে কোন প্রশ্নে স্বাগতম।
হতে পারি সুন্নি/সূফিবাদী/তরিক্বতপন্থী। হয়ত কিছু বিষয় স্পষ্ট হওয়ার আছে। সেক্ষেত্রে জবাবের দর্শনটাও সেরূপ হবে।
তিরমিযি, হাসান রা. বর্ণিত: জ্ঞান দু প্রকার। হৃদয়ের জ্ঞান- যা আসলেই কাজে লাগে ও জিহ্বার জ্ঞান- যা আদম আ.'র সন্তানদের মধ্যে বিভেদ ছাড়া আর কিছুই করতে পারে না।
কোন মতবাদ পরিচয়েই কোন সমস্যা নেই। কোন প্রকার বিতর্ক করা হবে না। কোন প্রকার শ্লেষাত্মক কথাবার্তা বলা হবে না। কোন জবাবই অতি বিস্তারিত করা হবে না। এমনকি কিছু প্রমাণের জন্য হাঁচড়াপাঁচড়ি করে চেষ্টাও করা হবে না।
শেখাও! বিষয়গুলোকে সহজ করো! কোনকিছুকে জটিল করে ফেলো না! (তিনবার পবিত্র কন্ঠে বললেন রাসূল দ.) আর যদি রেগে যাও, তবে মুখ বন্ধ করে ফেলো। (ইবন হাজর আসক্বালানী, মাতালিব আল আলিয়া, ইবন হাম্বল, ইবন আবি শাইবা, আত তায়ালিসি ইবন আব্বাস রা. বর্ণিত)
বিশেষ করে রেফারেন্সের পৃষ্ঠা নাম্বার ফিড করার কিছু নেই। কোন শ্লেষাত্মক কথা থাকতেও দেয়া হবে না। এইসব তো সর্বত্রই হয়। এতে কোন লাভও হয় না, ভালবাসাও হয় না।
তিরমিযি, বাইহাক্বী, শু'আবুল ঈমান- আনাস ইবনে মালিক রা. বর্ণিত: প্রত্যেক মুসলিমের উপরে জ্ঞান অণ্বেষণ করা ফরজ। আর অযোগ্য ও অপ্রস্তুতকে জ্ঞানদান করা হল মণি, মুক্তা ও স্বর্ণের তৈরি হার শুকরের গলায় পরিয়ে দেয়ার মত।
শুধু আসলেই কিছু জানার থাকলে তা জানার চেষ্টা করা হবে।
যে অনুসন্ধানী, তার হৃদয়ের শূণ্যতার জন্য সংক্ষিপ্ত, অর্থবোধক, হৃদয়গ্রাহী সামান্য জবাবই যথেষ্ট। কারণ রাসূল দ. বলেছেন, অনুসন্ধানী আমার ভিতরে, আমি অনুসন্ধানীর ভিতরে। এই লেখা নিয়ে প্রতিদিন বিকাল থেকে সন্ধ্যা। কোন মন্তব্য/প্রশ্ন স্কিপ করে পরেরগুলোতে গেলে নিশ্চিত, সেটা নিয়ে আরো জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।
আল্লাহ, তাঁর ফিরিশতারা, জান্নাত ও পৃথিবীবাসী সকলে, এমনকি পর্বতসমূহে থাকা পিঁপড়া আর সাগরগুলোর মাছেরাও তাদের জন্য অনবরত শুভকামনা করতে থাকেন যিঁনি মানুষকে সুজ্ঞানের পথ দেখান।- তিরমিযি।
এ উদ্যোগ মহান প্রভু আল্লাহ ও তাঁর প্রিয়তম রাসূল দ.'র সন্তুষ্টির জন্য, প্রয়োজনে অন্যকে দেখার ও অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেয়া যেতে পারে।
-----------------------------------------------------
জানা, জ্ঞান, প্রজ্ঞা ইত্যাদি নিয়ে অসাধারণ কিছু হাদিসে মুবারাকা-
তিরমিযি, আবদুল্লাহ ইবনে আমর রা.: আল্লাহ তোমাদের দেয়া জ্ঞান কেড়ে নিবেন না। বরং যারা জানে, তাদের মৃততুর সাথে সাথে সে জ্ঞান হারাতে শুরু করবে। জ্ঞানহীনরা পথ দেখাতে শুরু করবে এবং এভাবে পৃথিবীতে পথভ্রষ্টতা বাড়তে থাকবে ক্রমাণ্বয়ে।
বু., আবদুল্লাহ ইবনে মাসঊদ রা.: জ্ঞান অর্জন করো ও মানবজাতির উপর তার সুফল প্রয়োগ করো। ফারাইদ (উত্তরাধিকার আইন) শেখো এবং শেখাও। কুরআন শেখো এবং শেখাও। আমি চলে যাবার পর ক্রমাণ্বয়ে জ্ঞানও চলে যেতে শুরু করবে এবং এক পর্যায়ে এমনও অবস্থা আসবে যে, দুজন মানুষও একমত হতে পারবে না আর তৃতীয় কেউ থাকবে না, যে সমাধান দিতে পারবে।
বুখারি, আবু মুসা রা. বর্ণিত: রাসূলে রাব্বিল উলা দ. বলেন, আল্লাহ আমাকে যে পরিমাণ জ্ঞান দান করে পথপ্রদর্শক করে পাঠিয়েছেন, তা সারা পৃথিবীব্যাপী অবিরল বৃষ্টিবর্ষণের মত। সেই মাটির কিছু কিছু গ্রহণক্ষম, ফলে তা বৃষ্টি শোষণ করে, সেখানে বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে তৃণ-লতাপাতা-বৃক্ষরাজি তৈরি হয়। আর মাটির কিছু অঞ্চল শক্ত। ফলে সেই অবিরল বরিষণধারা সে গ্রহণ করে। ধারণ করে রাখে। আর তা থেকে মানুষ, পশুপাখি খায়, পান করে, পরিচ্ছন্ন হয়, পরিতৃপ্ত হয়। আর কিছু অংশ শূণ্য, যা ওই জলধারাকে ধারণও করতে পারেনি, শোষণও করতে পারেনি।
বু., আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস রা. বর্ণিত: রাসূল দ. বলেন, জ্ঞান তিন ধরনের। এর বাইরে কোন ধরণ যা আছে, তা অতিরিক্ত (আরো বেশি)। কুরআনের একটা সঠিক বাক্য, সঠিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারা (নিজ জীবনে না বা সমাজে) একটা সুন্নাহ আর সুন্দরভাবে বাস্তবায়িত করা কোন অবশ্যকর্তব্য (ফরজ)।
আবু দাউদ, কাসির ইবন কায়িস রা. বর্ণিত, আমি আবু দারদা রা.'র সাথে দামিশকের মসজিদে বসে ছিলাম। একজন এসে বললেন, হে আবু দারদা রা.! সুদূর নবী দ.'র শহর থেকে এসেছি এ কথা শুনে যে, আপনি রাসূল দ.'র হাদিস বর্ণনা করেন। আবু দারদা রা. বললেন, রাসূল দ. বলেছেন, যে প্রজ্ঞা-জ্ঞানের খোঁজে পথে ভ্রমণ করেন আল্লাহ তাকে জান্নাতের পথে ভ্রমণ করান। জ্ঞানাণ্বেষী'র সম্মানে ফিরিশতারা আপন পাখা নত করে বিছিয়ে দেয়। জ্ঞানী'র মাগফিরাত কামনা করবে আকাশ, জমিন ও সাগরগভীরের মাছ সহ সকল বাসিন্দা। ইবাদাতকারীর উপর জ্ঞানীর শ্রেষ্ঠত্ব পূর্ণচন্দ্রের রাতে আকাশে অন্য সব নক্ষত্র থেকে চাঁদকে যত সুন্দর ও উজ্জ্বল লাগে, তেমনি। জ্ঞানীরা তো নবীগণের উত্তরাধিকারী। আর নবীগণ না দিনার রেখে যান, না দিরহাম। তারা শুধু প্রজ্ঞা ও জ্ঞান রেখে যান। তাই যে-ই তা ধারণ করে, অনেক বেশি কিছুই ধারণ করে।
আবু দাউদ, আবু হুরাইরা রা.: জ্ঞান ব্যবহার না করলে তা ওই সম্পদের মত, যা থেকে আল্লাহ খুশি হন এমন কোন কাজে ব্যয় করা হয়নি।
তিরমিযি, আনাস ইবনে মালিক রা.: কেউ জ্ঞান অর্জনের জন্য বের হলে (কোনকিছু শুরু করলে বা পদক্ষেপ নিলে) যে পর্যন্ত ফিরে না আসে (পদক্ষেপটা শেষ না করে/কাজটা শেষ না করে) ওই পর্যন্ত আল্লাহরই উদ্দেশ্যে ব্যস্ত ছিল- এমনটা ধরে নেয়া হয়।
তি. আবদুল্লাহ রা.: এটা জ্ঞানের প্রকাশ যে, কিছু না জানা থাকলে বলতে হবে, আল্লাহ ভাল জানেন।
তি.: কিয়ামাতে আল্লাহর একজন বান্দা ততক্ষণ পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকবে যতক্ষণ পর্যন্ত না সে জবাব দিতে পারছে তার সময়, জ্ঞান, সম্পদ ও শরীর, এই চারটা কীভাবে ব্যবহার করেছিল।
মুসলিম শরীফ, আহমাদ ইবনে হাম্বল ও ইবনে হিব্বান রা.'র গ্রন্থসমূহে জাবির ইবনে আবদুল্লাহ ও আবু হুরাইরা রা.'র বরাতে বিভিন্নভাবে বর্ণিত: মানুষের মধ্যে খারাপ ও ভাল'র বিভিন্ন অবস্থান রয়েছে। যেমন, স্বর্ণ ও রূপা (ভাল'র মধ্যে বিভিন্ন রূপ)। তারাই শ্রেষ্ঠ অজ্ঞতার কালে, যারা মুসলিম হয়ে জ্ঞান অর্জন করে।
তাবরানি, মু'জামুল কবীর, ইবন আব্বাস রা.: যখনি তোমরা বেহেশতের মাঠের পাশ দিয়ে যাবে, একটু ঘুরেফিরে নিও। হে আল্লাহর রাসূল দ.! কী সেই বেহেশতের মাঠ? জ্ঞানের বৃত্ত।
তাবরানি, বাজজার, আবু হুরাইরা রা.: জ্ঞানী হও, অথবা ছাত্র হও, অথবা শ্রোতা হও, অথবা জ্ঞানের ভালবাসাকারী হও। পঞ্চম হয়ো না, তাহলে তুমিই আর রইবে না।
বু. আনাস রা.: বিষয়গুলোকে সহজ করো। জটিল করো না। আনন্দিত থাকো। প্রতিক্রিয়াশীল হয়ো না।
আহমাদ ইবনে হাম্বল রা. বর্ণিত: শেখাও ও সুসংবাদ দাও! সহজ করো, জটিল করে তুলো না!
বু., মু., আন নাবাভী, রিয়াজুস সালিহিন, আবদুল্লাহ ইবন মাসঊদ রা.: দুজন ছাড়া আর কাউকে হিংসা করা যায় না: যাকে আল্লাহ সম্পদ দিয়েছেন এবং তা ব্যবহার করার পথ প্রদর্শন করেছেন। আর একজন যাকে আল্লাহ জ্ঞান দান করেছেন এবং সে জ্ঞানানুযায়ী কাজ করে ও অন্যকে তা শেখায়।
সহিহ ইবনে হিব্বান, জাবির ইবন আবদুল্লাহ রা.: প্রভু! কল্যাণকর জ্ঞান চাই আর অকল্যাণকর জ্ঞান হতে তোমার কাছে আশ্রয় চাই।
আবাদা ইবনুস সামিত রা. বর্ণিত: যে বড়দেরকে শ্রদ্ধা করে না, ছোটদের স্নেহ করে না এবং প্রজ্ঞাবান-জ্ঞানীদেরকে সম্মান করে না, সে আমার জাতিরই অন্তর্ভুক্ত নয়। (হাম্বল, তাবরানি, হাকিম, আস্কালানি, তারগিব, বার, বায়ান আল ইলম)
যে-ই কল্যাণের পথে ডাকে, তার কাছে ওই সকল মানুষের কল্যাণের সমান সওয়াব/কল্যাণ জমা হবে, অথচ ওইসব মানুষের কল্যাণে কমতি পড়বে না। অকল্যাণে যে ডাকবে, সেও সকলের অকল্যাণের সমান ভাগীদার হবে। (আবু হুরাইরা রা.'র সূত্রে মুসলিম ও ইবনে হিব্বান)
০১ লা জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:৪৪
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: উইল ইট বি? যদি কারো আগ্রহ থাকে, যদি সেসবের জবাব বের করতে পারি তো... সময় বলবে ভাই। ভাল আছেন আশা করি।
২| ০১ লা জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:০৩
সেভেন বলেছেন: আমার একটি প্রশ্ন ছিলো । যদি সাড়া দেন তবে পরের কমেন্টে লিখব।ধন্যবাদ......সুন্দর পোষ্ট এর জন্য । অসাধারণ সব ছিলো যা লিখেছেন ।
০১ লা জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:০৭
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: অবশ্যই ভাই। আপনাকেও ধন্যবাদ অনেক অনেক।
৩| ০১ লা জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:১১
মামুন রশিদ বলেছেন: ভালো পোস্ট ।
০১ লা জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:২০
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: থ্যাঙ্কস মামুন ভাই। আশা করি ভাল আছেন খুবই। রোজার মাসের অন্যরকম পরিবেশের শুভেচ্ছা।
৪| ০১ লা জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:৩২
পাউডার বলেছেন:
১। আবু হুরায়রা নবী স: কে পেয়েছিলেন মাত্র বছরের মত। আর নবী স: তাকেই দিলেন সুফিবাদ এর বানী? আগের এতগুলো বছর নবী স: বসে রৈলেন আবু হুরায়রার অপেক্ষায়?
২। আল্লাহ আমাদের জন্য কোরআনের সরল সোজা পথে চলার আহবান জানিয়েছেন। এর পর আমাদের পথ নিয়ে পুরাতন কোনো প্রশ্ন উঠতে পারে না।
০১ লা জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:২৬
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আবু হুরায়রা কেডা? আপনের খালাতো ভাই?
রাদ্বিআল্লাহু আনহু কোথায়?
আপনার চোদ্দ পোস্তানের সমস্ত সৎকর্ম আবু হুরাইরা রা.'র একটা ঝরে পড়া নাকের রোমের সমানও হবে না। কারণ, আপনার চোদ্দ পোস্তান মানবতার, ইসলামের এতটা উপকার করতে পারে নাই, যতটা উপকার আবু হুরাইরা রা.'র নাকের একটা রোমের ভাগে পড়ে।
মুসলিম হওয়া একটু কঠিন।
সুফিবাদের বাণী দেয়নাই ভ্রাতা, সকল বাণীই দিয়েছেন। তার মধ্যে কিছু স্পেশাল বাণী আছে যেগুলোর মধ্যে কিছু কিছু সুফিবাদের মধ্যে পড়ে।
এই বাণী শুধু আবু হুরাইরা রাদ্বিআল্লাহু আনহু জানেন নাই, অসংখ্য সাহাবী জেনেছেন। চার খলিফা জেনেছেন, আহলে বাইতে রাসূলিল্লাহ দ. জেনেছেন।
আপনাকে তো কোন জটিল, অসরল পথে চলতে কেউ বলছে না।
৫| ০১ লা জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:১৪
চাতক পক্ষী বলেছেন: আধ্যাত্নিকতা সম্পর্কে কোন আলেম ব্যাক্তিকে প্রশ্ন করা হলে উনি বলেন:"ধর্মীয় নিষেধ আছে,এইগুলা না জানাই ভাল।" এতে হতাশ হওয়া ছাড়া আর কিছুই বাকি থাকে না
০১ লা জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৫
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: তাহলে বোঝেন কেমন আলেম হতে পারেন তিনি!
আধ্যাত্মিকতাই তো ইসলাম ভাই। ইসলাম আবার ইসলামে নিষিদ্ধ থাকে কীভাবে?
ইসলাম তো দুনিয়াদারি নয় শুধু, ইসলামে দুনিয়াদারি তথা রাষ্ট্র ব্যবস্থা, অর্থনীতি ইত্যাদির গুরুত্ব অবশ্যই আছে যেমনটা আল্লাহর কাছে একটা মাছির ডানার মূল্য, তারচেও কম।
এটা কিন্তু হাদিস।
তাহলে, মূল মূল্য তো আধ্যাত্মিকতা, পারলৌকিকতায়।
৬| ০১ লা জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:১৮
আকিব আরিয়ান বলেছেন: ভালো পোস্ট, প্রিয়তে নিয়ে রাখলাম।
০১ লা জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:৩০
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ভাই। আশা করি অনেক ভাল আছেন ।
৭| ০১ লা জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৫
নতুন বলেছেন: Click This Link
বাংলা >> ১৪৬ নং আপনার সাথে মেলে না...
Volume 2, Book 17, Number 146 :
Narrated by Abu Huraira
The Prophet said, "The Hour (Last Day) will not be established until (religious) knowledge will be taken away (by the death of religious learned men), earthquakes will be very frequent, time will pass quickly, afflictions will appear, murders will increase and money will overflow amongst you." (See Hadith No. 85 Vol 1).http://www.sahih-bukhari.com/Pages/Bukhari_2_17.php
Sahih Bukhari Volume 002, Book 017, Hadith Number 146.
Narated By Abu Huraira : The Prophet said, "The Hour (Last Day) will not be established until (religious) knowledge will be taken away (by the death of religious learned men), earthquakes will be very frequent, time will pass quickly, afflictions will appear, murders will increase and money will overflow amongst you." (See Hadith No. 85 Vol 1). Click This Link Bukhari Book 17. Invoking Allah for Rain (Istisqaa)/1518-sahih-bukhari-volume-002-book-017-hadith-number-146.html
বুখারি শরিফ, কিতাব ১৭, হাদিস ১৪৬, আবু হুরাইরা রা. বলেন, আমি রাসূল দ. থেকে দু প্রকার জ্ঞান অর্জন করেছি। এক ধরনেরটা তোমাদের জানাই। অপরটা জানালে তোমরা (ভুল বুঝে) আমার গলা কেটে ফেলতে।
-- কোন অনলাইন লিংক আছে ? কারন নেটের বুখারী শরীফে আপনার হাদিসের নম্বারের সাথে মেলে না..
পাউডার বলেছেন:
১। আবু হুরায়রা নবী স: কে পেয়েছিলেন মাত্র দুই বছরের মত। আর নবী স: তাকেই দিলেন সুফিবাদ এর বানী? আগের এতগুলো বছর নবী স: বসে রৈলেন আবু হুরায়রার অপেক্ষায়?
০১ লা জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৩
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: বাংলা নাম্বার না মিললে কিছু করার নাই ভ্রাতা। হাদিস দুটার সঠিক নাম্বার, স্ক্রিনশট, আরবি-ইংরেজি-বাংলা তরজমা এবং রাবীদের নাম ও তাদের আসমা-উর রিজাল দিয়ে উপকৃত করবেন প্লিজ।
জ্ঞান আপনি জোগাড় করে বন্টন করলে সেটা আমি ব্যবহার করব এবং সওয়াব আপনার অ্যাকাউন্টে যাবে।
অবশ্যই অনলাইন লিংক আছে। পড়েছি তো অণলাইন থেকেই। সেটা খুঁজলেও কি আমাদের কোন উপকার হবে?
আবু হুরায়রা কেডা? আপনের খালাতো ভাই?
রাদ্বিআল্লাহু আনহু কোথায়?
আপনার চোদ্দ পোস্তানের সমস্ত সৎকর্ম আবু হুরাইরা রা.'র একটা ঝরে পড়া নাকের রোমের সমানও হবে না। কারণ, আপনার চোদ্দ পোস্তান মানবতার, ইসলামের এতটা উপকার করতে পারে নাই, যতটা উপকার আবু হুরাইরা রা.'র নাকের একটা রোমের ভাগে পড়ে।
৮| ০১ লা জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আপনার এই মহতি উদ্যোগে লাখো ধন্যবাদ্...
এই অধম তৃষ্ণার্তের তৃষ্ণা যদি মেটে কোন লাইনে, কোন তথ্যে, কোন সত্যে..
চাতকের মতো ফটিক জলের অপেক্ষায়.........................
মুর্শিদের অপার করুনা আর শুভ কামনায় আপনার আয়োজন নিয়মিত হোক
হোক জ্ঞান আর প্রজ্ঞার পরশ পাথরের খনি....
০১ লা জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:২৪
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই সালাম। আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই। আপনিও অনুগ্রহ করে অংশ নিবেন।
তার অপেক্ষায় তো সবাইকেই চাতক হয়ে বসে থাকতে হয়। যদি করুণাধারা বর্ষিত হয়, যদি তিনি দয়া করেন, যদি তিনি নিয়ে যান নিজের পথে।
রাব্বি হাবলি মিনাস স্বালিহিন। লা হাওলা ওয়া লা ক্বুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিয়্যিল আজীম। ইয়া রাসূলাল্লাহি উনযুর হালানা।
প্রকৃত উলিল আমর মুর্শিদের মাধ্যমে মালিক ও মাওলা আল্লাহ রাব্বানার অপার করুণা তথা মুর্শিদের দয়া থাকলে তো পথচারী অধমের আর কোন চিন্তাই থাকে না।
দোয়া রাখবেন ভৃগুভাই প্রতিনিয়ত। রাব্বুল ইজ্জাত যেন সরল পথের উপর প্রতিষ্ঠিত রাখেন। তিনিই রক্ষাকারী।
৯| ০১ লা জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৯
সেভেন বলেছেন: আমার প্রশ্ন হলো - মহা পবিত্র গ্রন্ত্রে বলা হয়েছে আজ সত্য উপস্থিত মিথ্যাকে বাতিল ঘোষিত।
যাক আমরা জানি যে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর ধর্ম সর্বকালে সর্বপরি সত্য । আমি এই ধর্ম দ্বারা প্রভাবিত । যেহেতু আমারা জানি যে আমার ধর্ম সত্য অন্য সব মিথ্যা , বাতিল আর গোমরাহ এর ধর্ম। তাহলে কেন অন্য ধর্ম গুলোকে ধংস্ব করতে বলা হলো না ? কেন অন্য ধর্মকে সম্মা্ন করতে বলা হলো । অথচ আমি জানি এগলো বাতিলের ধর্ম । তাহলে এমন হলো না যে আমি বেশ্যাবৃত্তি বন্ধ করব না আবার বলল ওরা তো জাহান্নামি আবার বলল যে ওদের সম্মান করতে। আমি সরাসরি বলব না যে ঐ ধর্মগুলোর সব কিছু অমানবিক এমন অনেক কোন আছে যা সত্যই মানবিক ও মানব জাতির কল্যান মুখী। যেমন আমাদের বেশ্যরা তারা শুধু খারাপ না তারাও সামাজ কর্মী । আমি জানি না। আসাকরি আমার লিপি বুঝতে অসুবিধা হবে না। ধন্যবাদ ............
০১ লা জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:১৮
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ ভাই। একেবারে সরলভাবে বলেছেন, ভাল লাগল।
আমাদের নবী করীম দ. সেই সত্য ধর্মই নিয়ে এসেছেন, সেই সত্য ধর্মেরই প্রতিষ্ঠাতা, সেই সত্য ধর্মেরই বিকাশস্থল, যার নাম ইসলাম। আমাদের এই ইসলামই। এটাই একটু ভিন্নভাবে ফিলিস্তিনে খ্রিস্ট ধর্ম এবং ইহুদি ধর্ম নামে বিকাশ পেয়েছে। ভারতের প্রাচীণ ধর্মেও নিশ্চই কোন না কোন নবী আ.'র সত্য ধর্মের মিশ্রণ রয়ে গেছে। যেহেতু আল্লাহ বলেছেন সকল অঞ্চলেই আমি নবী আ.প্রেরণ করেছি।
তবে চূড়ান্তরূপে বিদায় হজ্বের দিন হতে আর কোন ধর্মই আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য নেই ইসলাম ভিন্ন। তবে যে আগে থেকে সঠিকভাবে নিজ ধর্মে অটল আছে, এবং শিরকের মত ভুল করছে না, তার কথা ভিন্ন।
আল্লাহ বললেন, আমি আপন রূপে সৃজিলাম মানব। সেটা কিন্তু দৈহিক আকৃতি নয়। সেটা কিন্তু আল্লাহর সমান কিছু নয়। বরং, আল্লাহ স্বাধীন, বুদ্ধিমান, আল্লাহ সৃষ্টিশীল, মানুষও নিজ সীমার মধ্যে অনেক অনেক বেশি পরিমাণে স্বাধীন বুদ্ধিমান এবং সৃষ্টিশীল।
যে কারো উপর বল প্রয়োগ করা, এই ধারণাটাই তো ইসলামে নেই। নিতান্ত বাধ্য না হলে বিচারের সম্মুখীন করার বিষয়ও নেই।
এই পৃথিবীটাই তো বিচারের চূড়ান্ত স্থান নয়। চূড়ান্ত স্থান তো অন্যত্র। মানুষ নিজের মত করুক। তাতে যদি সরাসরি ক্ষতি না হয়, অসুবিধা তো নেই। যেমন, শিরক করছে, নিজের রুহের উপর জুলম করছে। শিরক প্রচার করছে, নিজ জাতির রুহের উপর জুলম করছে। কিন্তু খাবারে বিষ তো মিশাচ্ছে না, দুর্নীতি তো করছে না। অর্থাৎ, সরাসরি অন্যকে এফেক্টেড করছে না।
একটা কিছু খারাপ হলেই আমি সেটার উপর বল প্রয়োগ করব, এতবড় অধিকার তো আল্লাহ রাসূল দ. আমাদের দেননি।
পৃথিবীতে সাদা থাকবে, কালো থাকবে। সাদা বা কালো যদি অন্যকে শেষ করে দিতে চায়, নিজেরাই থাকব বলে, যেমন হিটলার করেছিল, তাহলে তো তার মানবতা, মনুষ্যত্ব এবং খোদার রূপে সৃজিত হওয়াটাই ব্যর্থ হয়ে যায়।
মানুষের এমন স-ক-ল কাজ, যা অন্যের উপর অ-ক্ষতিকর, তাকেই সম্মান করতে হবে। মানুষের ধর্মকেও সম্মান করতে হবে, কারণ তা সরাসরি অন্যের উপর কোন ক্ষতি করছে তো না।
অবশ্যই বেশ্যাদেরও সম্মান করতে হবে, অবশ্যই জিনা করা জাহান্নামের কাজ এবং আমি জোর করে একটা জায়গায় বেশ্যাপল্লীও উচ্ছেদ করতে পারি না।
গায়ের জোর খাটানো যে অনেক বড় কাজ, শেষ কাজ। বাধ্য হলে, ক্ষতির সম্মুখীন হলেই তা খাটানো যায়, অন্যথায় নয়।
আর ইসলাম বলে, গায়ের জোর তখনি খাটাতে পারব, যখন আমার কোন নির্দেশদাতা (প্রকৃত খলিফা) আদেশ দিবেন। আর নির্দেশদাতা না থাকলে জঙ্গলে গিয়ে বসবাস করে লতাপাতা খেয়ে মরে যাওয়া ভাল, কিন্তু ফিতনায় জড়ানো যাবে না, এমনটাই বলছেন মহান রাসূল দ.।
প্রাসঙ্গিক আরো আলোচনা থাকলে জানাবেন ভাই।
১০| ০১ লা জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৯
না পারভীন বলেছেন: বেশ গুরু গম্ভীর আলোচনার মধ্যে একটি প্রিমিটিভ প্রশ্ন ভয়ে ভয়েই করি, সুফি বাদ কি? ইদানিং শুনছি শব্দ টি।
০১ লা জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৬
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: কৃতজ্ঞতা, আপু। আমি একটা লিংক দিই?
Click This Link
আমারই ছোট্ট একটা পোস্ট। সূফিবাদের প্রকৃত রূপ অতি সংক্ষেপে খুবই স্পষ্টভাবে আছে। ফিডব্যাক জানালে কৃতজ্ঞ হবো।
Detailed: `exact definition of sufism' may reffer to- A significant way of quest (Twalab) being practiced by- the Prophet D. himself for 15y+4months in the cave hira of Al-Jabal-An-Noor, and Companions of the Prophet D., mostly named Al-Ashab-As-Suffa& Al-Ashab-Al-Qurrah, and the other members of the People of the house (Ahl-Al-Bait) and by the Followers (At-Tabiyyin) being largely discussed and widely supported by the great Imaams of each School of thought (4madhabs and even the madhab of Imaam Bukhari), imaams of hadiths (Even Mullah Ali Qari), Scholars from every sects (Including Ibn Taymiyyah, Shaokani, Ibn Kathir, Sayyid Ahmad Brerlwi)- where, a seeker (Twaalib) goes through certain levels of success may or may not be indicated as-
*Baiyyat-the process by which a man does his submission to Allah through a certified successor reaching Through Followers/Tabiyees, Ashabs, Rasoolullah D. to Allah- an unbroken chain.
*Sabaq- The Successor/Shaykh gives an order to carry on the regular prayer and some additional practice to strengthen the true aqeedah & to recall-remember Allah-Rasool D. More&More, moreover, some meditation to ready the twalib/seeker/mureed for the quest of Allah-Rasool D. Here, Twalib basically learns what is it all about, how to always think of the Master, how to be purified from cunning-mindset and how to treat everything in this universe.
*Third and most important, the Shaykh makes him Mutasawwuf- The Mureed is eligible to learn the proper way to control all kinds of lust, emotion and even the very basic biological needs such as oxygen consumption, heart rate, neuro-work-structure by the way of meditation and zihaad I akbar. Usually, we misunderstand a mutasawwuf, but he/she is a blooming flower, may seem a chili to us. Here comes the stage of strange things happening, we call miracles- they would call a less-noticeable phenomenon.
*Now, Sufi- A person who successfully controls each and every molecule of his body alongside each and every thought-connection of his mind- the result? Everybody knows but nobody would dare telling you. Only to Master, from Master, for The Master- La-Ilaha-Illallah! Rather, Quran says, There is nothing to fear nor to hesitate for them who are the friends of Almighty Allah.
Any clarifications needed, please let us know.
১১| ০১ লা জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:৫১
কষ্টবিলাসী বলেছেন: What's the knowledge you are taking about: Islamic or any other knowledge?
০১ লা জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৩
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: সম্পূর্ণরূপে ইসলামিক। সম্পূর্ণরূপে।
১২| ০১ লা জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৭
নতুন বলেছেন: আবু হুরায়রা কেডা? আপনের খালাতো ভাই?
রাদ্বিআল্লাহু আনহু কোথায়?
আপনার চোদ্দ পোস্তানের সমস্ত সৎকর্ম আবু হুরাইরা রা.'র একটা ঝরে পড়া নাকের রোমের সমানও হবে না। কারণ, আপনার চোদ্দ পোস্তান মানবতার, ইসলামের এতটা উপকার করতে পারে নাই, যতটা উপকার আবু হুরাইরা রা.'র নাকের একটা রোমের ভাগে পড়ে।
ভাই আমি পাউডারের কথাগুলি কপি করেছিলাম....খেয়াল করিনাই রা: দেয়নাই... তার উপরে কিন্তু আমি রা: লিখেছি....
সন্মানীত মানুষের সন্মান দিতে তো হবেই....
একটা ভুলের জন্য এতো গুলি কথা সুনাইলেন
০১ লা জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২২
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: স্যরি ভাই। সাহাবা রা. গণের বিষয়ে যে যাই বলুক, কোন মুসলিম যখন অসম্মান করে, সহ্য করতে পারি না সেই ছেলেবেলা থেকেই। এরা ইচ্ছা করে রাদ্বিআল্লাহু আনহু বলে না, এটাই তাদের স্টাইল।
তাদের কাছে কলিমুদ্দি রহিমুদ্দি মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ দ. আর আবু হুরাইরা রা. সব একই সমান। এইটা বোঝানোর জন্য তারা প্রায়শই রাসূল দ.'র নামের সাথেও দরুদ যুক্ত করে না।
আর আমরা তো সাহাবী'র নাম ভুলে গেলেও এভাবে বলি, ওই সাহাবী রাদ্বিআল্লাহু আনহু।
রা. শব্দটা অনেক ক্ষুদ্র, অনেক অনুল্লেখ্য, এমনকি রাদ্বিআল্লাহু আনহু শব্দটাও বললেই বলা হয়।
কিন্তু মহান রাসূল দ.'র একজন সাহাবী! তাঁর মর্যাদা, তাঁর সম্মান, তাঁর উচ্চতা যে সমগ্র মুসলিম জাতির সমান!
কারণ সমগ্র মুসলিম জাতি সর্বমোট যা সওয়াব, ভাল কাজ করেছে, ওই সিদ্দিকে আকবর রা., ফারুকে আজম রা., যুন নূরাইন-মাওলা আলী-হাসান-হুসাইন রাদ্বিআল্লাহু আনহুমের কথা অনুযায়ী করেছে, তাদের কাজ থেকেই করেছে। আর সবার ভাল কাজের সমস্ত সওয়াব, মর্যাদা, উচ্চতা, আল্লাহর নৈকট্য সব তারা আজো পাচ্ছেন।
এ বিষয়ে হাদীসটাও মূল পোস্টে মুসলিম, হিব্বান এর দেয়া আছে।
আমার রাসূল দ. কে সকালে দেখেছেন, দুপুরে যুদ্ধে গেছেন, শহীদ হয়ে গেছেন। মাত্র এক মুহূর্তের সঙ্গ, মাত্র এক মুহূর্তের নৈকট্য। তাতেই তো হয়ে গেলেন বদরের সাহাবী। ওহুদের সাহাবী। খন্দকের সাহাবী।
না পড়েছেন নামাজ, না রেখেছেন রোজা, না সুযোগ পেয়েছেন কুরআন পাঠের (সুযোগ পেলে সবচে ভালভাবে করতেন)
আর ইসলামকে রক্ষা করতে গিয়ে শহীদ হয়ে সমগ্র মুসলিম জাতিকে বাঁচানোর সওয়াব পাবার মাধ্যমে পরবর্তী চৌদ্দশত বছরের সমগ্র পরবর্তী প্রজন্মের সমান সম্মান একা পাওয়া শুরু করলেন।
এই হল এক বেলায় রাসূল দ.'র সঙ্গ পাওয়াদের অবস্থা। আর আবু হুরাইরা রা. তো মহা সৌভাগ্যবান। তাঁর যে এ বিষয়ক হাদীসও আছে! তিনি কীভাবে সঙ্গ গ্রহণ করতেন রাসূল দ.'র সঙ্গ নিতেন অন্য সকল সাহাবা রা. থেকে একটু বেশি পরিমাণে...
তিনি কীভাবে এত বেশি হাদীস বললেন, সেই বিষয়ক হাদীস আছে। তারা জানে, তাও প্রশ্ন করে। আবু হুরাইরা রা.'র উদ্দেশ্যই ছিল রাসূল দ.'র প্রতিটা কথা মনে রাখা। তিনি তা পারতেন না এবং এজন্য আরজি করার পর রাসূল দ. তার বুকে হাত রাখেন এবং বলেন, এখন থেকে তুমি ভুলবে না। তিনি এরপর থেকে আর ভোলেননি।
তিনি কীভাবে মাত্র সংক্ষিপ্ত সময় থেকেও এত বেশি কথা জানলেন, সেই বিষয়ক হাদীসও আছে। অনেক আছে। তারা তাও জানে,তাও প্রশ্ন করে। আবু হুরাইরা রা. বিয়ে করেননি। কিছু করেননি। যতবার মদীনা আসতেন, ততবার তাঁর খাবারও ছিল না কিছু। আয়ও করতেন না। আয় করতে পছন্দও করতেন না। সর্বক্ষণ রাসূল দ.'র পাশে। রাতে এবং দিনে।
আপনাকে একটা মজার কথা বলি, আবু হুরাইরা রা. কীভাবে ভাল পরিমাণ হাদিস, সর্ববেশি পরিমাণ বললেন? কারণ ওই যুগেই হাদীস ছিল তার একমাত্র ধ্যানধারণা। তিনিই সেই সাহাবী. একমাত্র যিনি হাদীস গ্রন্থ লিখেছিলেন, রাসূলে করীম দ. রাগ করায় তা পুড়িয়েছেন।
তাই হাদীস তাঁর ভাবনার লক্ষ্য ছিল বলেই তিনি সবচে বেশি হাদীস বলেছেন।
১৩| ০১ লা জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৪
নতুন বলেছেন: কিন্তু সুফীইজমের নামে যে গোপন knowledge এর দাবি করা হয় তার সত্যতা প্রমান সুফীর কাছে আছে কি?
আর এখন পীর/মাজারের নামে যে কোটি কোটি টাকার ব্যবসা হচ্ছে তা কি এই সুফীইজমের অসচ্ছতার জন্যই না কি?
কেন আরব দেশে সুফীইজম... পীর/মাজারের প্রচলন নাই???
আমাদের উপমহাদেশে কেন এত পীর ফকির মাজার???
কেন বিশ্বের অন্যদেশে এর প্রচলন নাই?
০১ লা জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০১
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আসলে গোপন জ্ঞান বলতে ঠিক তেমন গোপান কোন জ্ঞান নয়। কানে কানে বা গোপনে একত্র হয়ে একটা গোপন কথা বলে দিল, আর তাতে তারা বিশেষ কিছু হয়ে গেল, জাদুমন্ত্রের মত, না ভাই।
সত্যতার প্রমাণ কুরআনেই আছে, আল্লাহ ছাড়া অদৃশ্যের জ্ঞান (ইলমুল গায়িব) আর কারো কাছে নেই এবং আল্লাহ তার ইচ্ছা অনুযায়ী আপন বান্দাদের মধ্যে যাকে খুশি যতটুকু খুশি তা দান করেন।
অবশ্যই। যারা নাস্তিক, তারা বলবে, ধর্মের নামে কোটি কোটি টাকার মাজার ব্যবসা। যারা অমুসলিম কিন্তু কোন না কোন ধর্মের, তারা বলবে, ইসলামের নামে কোটি কোটি টাকার ব্যবসা। মুসলিম, কিন্তু সুফিবাদী নয়, সে বলবে, সুফিবাদের নামে কোটি কোটি ব্যবসা। আর আমরা বলব, ভন্ডামি।
জগতের সব বিষয় নিয়েই ব্যবসা আছে, আফসোস, সুফিবাদ নিয়েও আছে। আবার কিছু কিছু ভাল কাজকেও, ব্যবসা আকারে দেখা হয়। ওটা দৃষ্টিভঙ্গির তফাত।
আরব দেশে চিরকাল ছিল। ১২০০ বছর যাবত তো এটাই ছিল সবচে বেশি। গত ২০০ বছরের মধ্যে প্রাণঘাতী আক্রমণ করে, হত্যা করে, সাহাবা-আহলে বাইতগণের পবিত্র রওজা ধ্বংস করে গণহত্যা করে সূফিবাদকে তথাকথিত 'সৌদি' আরব থেকে উচ্ছেদ করা হয়। যে দেশের নাম রাসূলে খোদা দ. দিয়েছিলেন জাজিরাতুল আরব, আল হিজাজ, সেই দেশ দখল করে নিজের নামে নাম রাখল সৌদি আরব। যেমন, মনে করুন একাত্তরে গোলাম আজম বাংলাদেশ দখল করল এবং নাম রাখল আজমদেশ, তেমনি ব্যাপার। যারা দেশের নামটাও ছাড়ে না, কাবার গিলাফও ছাড়ে না, কাবার দরজায় পর্যন্ত নিজের নাম লটকে খোদাই করে গিল্টি করে দেয়, আহলে বাইতের কবরের নকশা পর্যন্ত রাখে না, তারা সূফিজমের মত নির্বিষ একটা বিষয়ের অনুসারীদের কী অবস্থা করেছিল শুধু কল্পনা করে নিন।
এখনো মদিনায়, আরবে সূফিইজম আছে। কিন্তু অতি সন্তর্পণে। আমি মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ফুল প্রফেসরকে চিনি, কারেন্ট, যিঁনি ডক্টরেট করা এবং একটা ফ্যাকাল্টির হেড, ডিন।
তিনি রাসূল দ.'র পবিত্র বংশধর। ১,৪০০ বছর ধরে তাদের বাড়ি মদিনায়। এমনকি মাত্র একশ বছর আগে পবিত্র মসজিদে নববীতে সম্প্রসারণ করায় তাঁদের পৈত্রিক ভিটা মসজিদে নববীতে পড়ার কারণে অধিকতর ধন্য হয়।
সেই ডক্টর সাহেবের ছবি পারলে আমি যোগাড় করব। মদিনায় তাঁর বাড়িতে সপ্তাহে তিনদিন ২ ঘন্টা করে মিলাদ পড়া হয়। সারা পৃথিবী থেকে মদিনায় যাওয়া হক্কানী রব্বানী আলিমরা সেই মিলাদে অংশ নেন এবং তিনিই মিলাদ পড়ান।
০১ লা জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৩
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ... ওই প্রফেসর সাহেব কিন্তু সম্পূর্ণ দ্বীনি বিষয়ের প্রফেসর, কোন বিজ্ঞান বা অর্থনীতি টাইপের বিষয়ে না। অর্থাৎ তিনি অনেক বড় একজন আলিম এবং তিনি সম্পূর্ণ সুন্নাহ তে পাবন্দ।
আরবের অন্যান্য দেশে প্রচলন আছে। সৌদি রাজতন্ত্র ইসলামের সমস্ত নাম নিশানা মিটিয়ে দিয়েছে এবং ইহুদিদের যত পবিত্র যায়গা আছে, সব কাঁটাতার দিয়ে বেড়া দিয়ে পাহারাদার বসিয়ে সংরক্ষণ করে রেখেছে।
কথাটা যদি অতিরঞ্জিত মনে হয়, একশো ছবি সহ একটা পোস্ট দিবনে। শুধু নক করবেন, মনে করিয়ে দিবেন। পঞ্চাশটা মুসলিম জাতির নিদর্শন যা তারা ধ্বংষ করেছে এবং পঞ্চাশটা ইহুদি জাতির নিদর্শন যা তারা পাহারা দিয়ে রক্ষা করছে।
তবে সৌদি আরবের বাইরে প্রচুর আছে। অসংখ্য, অগুণতি। ইরাক, ইরানে, লিবিয়া, তিউনিশিয়া, মিসর, এবং অন্যান্য আরব দেশে আহলে বাইতে রাসূল দ. ও আসহাবে রাসূল দ.'র পবিত্র মাজারকে কীভাবে রাখা হয়েছে আপনি দেখলে আকাশ থেকে পড়বেন। উপমহাদেশে এর কিয়দংশ সম্মানও করা হয় কিনা, সন্দেহ হতে পারে।
এমনকি জাজিরাতুল আরবের অন্যান্য দেশগুলো যেমন আরব আমিরাত ও আরসবগুলোর অনেকটাতেই অনেক মাজার রয়েছে।
আসলে আরব দেশে পীর ফকির মাজার প্রচলন নাই বা এ উপমহাদেশে এটা অধিক- এই কথাটাই একটা চরম মিথ।
আমার কাছে উপমহাদেশের বাইরে তেইশটা দেশের স্থানীয়দের দ্বারা করা মিলাদুন্নবীর দ. ভিডিও আছে। সে কী মিলাদ! সে কী ভালবাসা! সে কী জজবা, মুহাব্বাত!
এই মিথ আমাদের দেশে সৌদি তেলের টাকার অবদান বলা চলে।
১৪| ০১ লা জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৯
নতুন বলেছেন: আমার কাছে সুফীইজম একটু এক্সট্রিম প্যাক্টিস বলে মনে হয়... আসল সুফীদের নিয়ে কোন কথা নেই...
কিন্তু বত`মানে আমাদের উপমহাদেশে পীর/মাজারের নামে পুরাই ভন্ডামী ধান্দাবাজী চলছে...
০১ লা জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২০
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: হক্কানী সুফিজমের মধ্যে এক্সট্রিম প্র্যাক্টিস এর ঘরানা যেমন আছে, তেমনি আছে অতি সাধারণ প্র্যাক্টিসের ঘরানা।
বাংলাদেশে বা উপমহাদেশে আসল সূফিদের তো কোন অভাব নেই। অনেক অনেক অনেক। আবার ভন্ডরও অভাব নেই। হিসাব করলে হয়ত ভন্ড পাব ৩০-৬০%!
১৫| ০১ লা জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৭
নতুন বলেছেন: মনকি জাজিরাতুল আরবের অন্যান্য দেশগুলো যেমন আরব আমিরাত ও আরসবগুলোর অনেকটাতেই অনেক মাজার রয়েছে।
আরব আমিরাতে আমি মাজার দেখিনাই....
০১ লা জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২১
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আরব আমিরাতে নবীগণের মাজার কি নেই? আমি যতদূর মনে পড়ে আইয়ুব আ.'র মাজারের কথা জানি।
১৬| ০১ লা জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩০
নতুন বলেছেন: আইয়ুব আ.'র এর মাজার কয়েক দেশে আছে.... ওমান, লেবানন, তুরক্স, ইরাকেও আছে...
তার মানে ১টি মাজার হতে পারে... বাকি গুলি অবশ্যই ভুয়া...
০১ লা জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪২
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: হেসেই দিলাম ভাই। প্রাণখোলা হাসি। থ্যাঙ্কু। হ্যা, তাইতো হবে।
১৭| ০১ লা জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৩
নতুন বলেছেন: Click This Link
১৮| ০১ লা জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪০
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: সুফিজম সম্পর্কে খুব বেশী জানা নেই। তাও পোষ্ট পড়ে কিছু ধারণা হলো। পোষ্টে ভালো লাগা রইলো।
০১ লা জুলাই, ২০১৪ রাত ৮:৪৩
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আন্তরিক কৃতজ্ঞতা আপু। ভাল থাকবেন। এই পোস্টে যে কোন প্রসঙ্গ তুলতে পারেন সুফিজম বিষয়ে।
১৯| ০১ লা জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৫
পাউডার বলেছেন:
আপনি আবু হুরায়রাকে আপনি পীর-বাবা বলে মানতে পারেন। কিন্তু যে মানে না তাকে কেনো জোড় করবেন?
খলিফা উমর জাল হাদিস লেখার কারনে আবু হুরায়রাকে হুমকি দিয়ে ছিলেন। সেই হুমকির কারনে আবু হুরায়রা তার হাদিস লেখা সাময়িক বন্ধ রেখেছিলেন। পরবর্তীতে মুয়াবিয়া ও তার ছেলে ইয়াজিদের আশ্রয়ে বেশ কিছু হাদিস রচনা করেন।
০১ লা জুলাই, ২০১৪ রাত ৮:৩০
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: সাহাবী রা. গণকে সম্মান আমরা মুসলমানরা দেই। এইসব আপনারা বুঝবেন না। এইটা আমাদের উপর ফরজ।
যখন আমাদের জন্য আসা রাসূল দ. বলেন, আমার প্রত্যেক সঙ্গীই একেকজন নক্ষত্রসম, তাদের যে কাউকে অনুসরণ করো, পথভ্রষ্ট হবার কোন সুযোগই থাকবে না। অন্ধকার রাতে যেমন আকাশের প্রতিটা তারাই দিক দেখাতে পারে, ঠিক তেমনি।
কুরআন আপনার বা আমার কারো মাথার উপরই পড়েনি। তা মহান রাহমাতাল্লিল আলামীন রাসূলে রাব্বিল আলামীনের উপর নাযিল হয়েছে। আর তাই রাসূল দ.'র অধীন আমরা মুসলমানরা।
আল্লাহ বলেছেন, আতিউল্লাহি ওয়া আতিউর রাসূলা দ. ওয়া উলিল আমরি মিনকুম।।
পূর্ণ আনুগত্য করো আল্লাহর, এই রাসূল দ.'র এবং তোমাদের মধ্যে বর্তমান যাঁরা নির্দেশদাতা, তাঁদের।
শয়তান আল্লাহ মেনেও, তৌহিদে থেকেও নবী আদম আ. কে না মানার কারণে, তাঁর শ্রেষ্ঠত্ব, রিসালাত, নুবুয়্যত না মানার কারণে- তৌহিদে থেকে ইবলিশ (অহঙ্কারী) শাইত্বোয়ানির রাজিম (বিতাড়িত/অভিশপ্ত) হয়েছে।
আর ফিরিশতারা আল্লাহকে, তৌহিদকে তো মেনেছেই, রিসালাত ও নুবুয়্যত তথা আদম আ. কেও মেনেছে বরং আল্লাহ যাকে যাকে মানতে বলেন তাকে তাকেই মেনেছে।
আমরা মুসলিমরা আল্লাহকে পরিপূর্ণভাবে মানি, রাসূল দ. কে পরিপূর্ণভাবে মানি, আমাদের নির্দেশদাতা মহান খলিফা সিদ্দিকে আকবর রা. কে পরিপূর্ণভাবে মানি, মানি ফারুকে আজম রা. কে, যুন নূরাইন রা. কে, মাওলা আলী রা. কে, হাসান-হুসাইন-আব্বাস রা. সহ নবী পরিবারের সবাইকে। তারা সবাই তাদের সময়ে ছিলেন আমাদের নির্দেশদাতা।
আমরা মানি দেড় লক্ষ সাহাবি রা. গণকে, চার-পাঁচ লক্ষ তাবিয়ি-তাবে তাবিয়ি রা. গণকে এবং আমরা রহমত থেকে বঞ্চিত নই।
বঞ্চিত নই, তাই গত ১৪৫০ বছর ধরেই আমাদের নির্দেশদাতা ছিলেন, কেয়ামত পর্যন্ত থাকবেন। তাদের সবাইকে মানি।
তারা সবাই আমাদের 'পীর' (মহান দীক্ষাদাতা), তাদের সবাই আমাদের 'বাবা' (ইসলামে প্রবেশের পথ)।
রাসূল দ.'র পরিবারে যাঁরা তাঁর স্ত্রী তাঁদের সবাই আমাদের মুসলিমদের মা।
আমি জ্ঞানের শহর আর আলী তার দরওয়াজা- অর্থাৎ অবশ্যই আলী রা.'ও আমাদের 'বাবা'- প্রবেশ দ্বার, বা'বু মাদিনাতিল ইলমি।
আপনাদের বাবাও নাই, মাও নাই, পীরও নাই, উলিল আমরও নাই, বুঝলাম না ভ্রাতা।
সাইয়্যিদুনা উমার ইবনুল খাত্তাব রা.'র নামের আগেপরে সম্মান জানানো আপনার কাজ নয়। ইবলিশ উমার রা. কে সম্মান জানায় না। ভয় পায়, তাও জানায় না। রাসূল দ.'রই কথা।
সাইয়্যিদুনা আমীর মুআবিয়া রা.'র নামের সাথেও সম্মান জানানো আপনার কপালে নেই। কারণ অহংকারী। নিজের সাথে তাদের তুলনা দিতে বাঁধে না। আর অহংকারী শব্দের আরবী অর্থ হচ্ছে ইবলিশ।
এজিদের মত অভিশপ্ত নরপিশাচের আমলের সাথে আমীর মুআবিয়া রা.'র মত একজন মহান সাহাবী'র সময়ের তুলনাও আমরা করতে পারি না।
সাইয়্যিদি উমার রা. যে কথা শোনেননি রাসূল দ.'র সামনে থেকে এবং যে কথার সত্যায়ন আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জাত ইলমুল গায়িবের মাধ্যমে ওই কথার সময় জানাননি, ওই সময়ে তো তিনি বলতেই পারেন, আবু হুরাইরা রা. বানিয়ে কথা বলছেন!
আর, সত্যের অপালাপ করবেন না। উমার রা. এইজন্য মানা করেছিলেন যে, রাসূলে রাব্বিল উলা দ. মানা করেছিলেন, হাদীস লিখো না। তিনি তো রাসূল দ.'র কথারই প্রতিদ্ধণি করেছেন।
এর মানে এই নয় যে, আবু হুরাইরা রা.'র লেখা হাদীস কোন মিথ্যা হাদীস ছিল।
২০| ০১ লা জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৯
পাউডার বলেছেন:
কার পোস্তানের কি সওয়াব কামানো আছে তার হিসাব এক্মাত্র আললাহ জানেন। আপনি কিংবা আবু হুরায়রা নন।
নামের সাথে র: দিলেন তাকে সম্মান করা হৈলো, নাকের রোমের হেন হেন..। হাসাইলেন ভাই।
০১ লা জুলাই, ২০১৪ রাত ৮:৪২
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: সামনে চারটা ডিম দেখে যদি কেউ বলে, সামনে কয়টা ডিম আছে, সেটা একমাত্র আল্লাহ জানে, আল্লাহরই কসম, সেতো মিথ্যাবাদী।
আল্লাহ তো অবশ্যই জানেন, সামনে কয়টা ডিম আছে। কিন্তু যার সামনে আছে, সেও তখন জানে, কয়টা ডিম আছে।
চারটা ডিম যেমন সরল বিষয়, কার কতটুকু সওয়াব তাও খুব সরল বিষয়।
ওইযে, আমরা বললাম না, আমরা তো শুধু কুরআন মানি না, কুরআন তো মানি মানিই, রাসূল দ.'র বাণীও মানি।
কুরআনে অসংখ্যবার এসেছে, এই রাসূল দ.'র বাণী মানো।
আমি সম্ভবত সত্তরটা আয়াত পড়েছি, এই রাসূল দ.'র কথা শোনো, তার কথা মানো।
কুরআন মহান আল্লাহর কথা, তা রাসূল দ.'র কথা নয়। কতবড় মুসলিম, বলেন দেখি, ফজরের নামাজ কয় রাকাত, জোহরে কয় রাকাত, আসরে কয় রাকাত, মাগরিব, এশায় কয় রাকাত এটা কুরআনে আছে? নেইতো?
তাহলে কোথায় আছে? কুরআনের সত্তরটার অধিক আয়াত বলছে হাদীস শেখার কথা, হাদীস পড়ার কথা। হাদীসই রাসূল দ.'র বাণী। এই বাণী যে জানে না, সে যোহরে কয় রাকাত নামাজ পড়ে আর এটা কোন চন্দ্রভূমি থেকে আবিষ্কার করল তা জানতে ইচ্ছা করে।
আরে যে হাদীস অস্বীকার করছে সেতো কুরআনের অসংখ্য আয়াত অস্বীকার করছে।
হাদীসেই আছে, মুসলিম শরীফ, ভেসে আসেনি। যার কারণে অন্যে ভাল কাজ করবে, অন্যের সমস্ত সওয়াবের সমপরিমাণ তার আমলে যাবে। এখন, রাসূল দ.'র কারণে কতজন ভাল কাজ করেছে জ্বিন ও ইনসান মিলিয়ে? সবার সমস্ত সওয়াবের সমপরিমাণ রাসূল দ. তো পাচ্ছেনই, এর বাইরে তাঁর ব্যক্তিগত সওয়াবও আছে।
ধরা যাক, আপনার পূর্বপুরুষ পাঁচশো হাদীস প্রচার করে টোটাল এক কোটি মানুষকে প্রভাবিত করেছেন ৫০০ বছরে।
সেই সওয়াবের পুরোটাই কিন্তু যে হাদীস যিনি বর্ণনা করেছেন, লিপিবদ্ধ করেছেন, প্রচার করেছেন, ক্ল্যারিফাই ভেরিফাই করেছেন সবাই পাচ্ছেন এবং সবশেষে সেই পরিমাণ বিশাল আকারে বর্তাচ্ছে এই আবু হুরাইরা রা.'র অ্যাকাউন্টেও।
আপনার সন্তান যদি পাঁচশো কোটি মানুষের উপকার করে হাদীস বর্ণনা করে, তবে সেই সম্মান ও সওয়াব ও মর্যাদা সমহারে আবু হুরাইরা রা. পাবেন! আপনিও পেতে পারেন, মুমিনের জন্য সুযোগ আছে।
তাহলে, তাকে ছাড়াবেন কী করে?
সিস্টেমই তো নাই।
আর অধীনতা, নম্রতা, বিনয়, পূর্ববর্তীদের শ্রেষ্ঠত্ব- এগুলো ধর্ম শিখায়। শিখবেন? রেফারেন্স লাগবে?
০১ লা জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:৫০
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আপনার সাথে রাগারাগি করে আমারই খারাপ লাগছে। কিন্তু মহান সাহাবা রা. গণকে পীর, বাবা এই সেই অথবা কয়দিন ছিল কী শিখেছিল টাইপের কথা স্কিপ করতে পারলে, অর্থাৎ ভয়ঙ্করতম কথাটাও ভদ্র শালীন এবং অনাক্রমণাত্মকভাবে বলতে পারলে, অবশ্যই এমনভাবে জবাব দিতাম না।
কত নাস্তিক ভদ্রভাবে বলেছে, রাসূল দ. তেরো বিয়ে কেন করেছেন? ভদ্রভাবে বলার কারণে তারা ভদ্র আচরণ পেয়েছে।
কী আর করতাম ভাই!
২১| ০১ লা জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:৪৫
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ইন্টারেস্টিং একটা লেখা। প্রিয়তে নিলাম, সময় নিয়ে পড়ব।
০১ লা জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:৫১
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আশা করি অনেক অনেক ভাল আছেন। আপনাকে দেখলেই একটা স্কেল নেমে যায়- উত্তপ্ততার।
সাহিত্যিক মানুষদের গুণতো এই।
২২| ০২ রা জুলাই, ২০১৪ রাত ১:২১
সায়েদা সোহেলী বলেছেন: ইমাম গাজ্জালি র একটা বই পড়েছিলাম , যা পড়তে অনেক ভালোই লাগে ।.।.।।
তবে আমার মতে , (সম্পূর্ণ নিজস্ব ধারনা নিজের স্বল্প জ্ঞ্যানের ভিত্তিতে )
কুরআন হাদিস সম্পর্কে মজবুত ধারনা আর পোক্ত ঈমান না হলে সুফিবাদ এর ধারের কাছে না যাওয়াই উত্তম , ফিতনা সৃষ্টি হতে বাধ্য
( আপনার পোস্টে কমেন্ট দিতে আমার সাহসে কুলোয় না সহসা )
০২ রা জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৫
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আমি এখনো ইলুম আদ দ্বীন পড়িনি। ইমাম গাজ্জালী র.'র কোন বইই পরিনি। এই কথাটা যখনি মনে পড়ে, তখনি খুব খারাপ লাগে আপু।
ফিতনার একটুখানি সম্ভাবনা তো আছেই। কারণ, ভুল ক্ষেত্রে পড়ে যাবার সম্ভাবনা আছে। সর্বত্র ফাঁদ আছে, তাসাউউফেও আছে।
তবে, সঠিক ক্ষেত্রে পড়ে গেলে আরো ভাল। তখন ভুল হবার সম্ভাবনা আরো নেই, কারণ, কুরআন আর হাদীস অত্যন্ত ভালভাবেই নিজ পদপ্রদর্শক বা শাইখ শেখাবেন তাদের ঘরানার ব্যবস্থাপনার ধরণ অনুযায়ী।
আপু ফিল ফ্রি। আসলে একজন একেবারে সাহাবা রা. ধরে টান দেয়াতে একটু রেগে গেছিলাম। সামান্য মানুষ, নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ সব সময় থাকে না। মুসলিম যখন সাহাবা রা. গণকে স্পষ্ট অসম্মান করে, এটা নিতে পারি না। অন্য সবাই করুক, কোন অসুবিধা নেই।
আপনি আরো আলোচনা বা একেবারে পয়েন্ট টু পয়েণ্ট কিছু জিগ্যেস করতে পারেন।
২৩| ০২ রা জুলাই, ২০১৪ রাত ১:৪৪
পাউডার বলেছেন:
জী আমার মনে হয় কুরআনই যথেস্ট।
যত টুকু ইমান আনা দরকার ততটুকুই চেস্টা করা দরকার। কমও না বেশিও না।
যেমন ভাবে মুহাম্মদ স:, ইসা আ: এর উপর আমার ইমান আছে। কিন্তু ইয়াহুদা, সিমন, আবু হুরায়রা, মুয়াবিয়া কিংবা বুখারী সাহেবদের উপর ইমান আনার দরকার মনে করি না।
সুফিবাদীরা সিলসিলার চেইন মেইনটেন করে, সেই হিসাবে তাদের এগুলা দরকার।
০২ রা জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:২৫
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: অসম্ভব! কুরআন কখনো যথেষ্ট নয়। আল্লাহ যথেষ্ট। আল্লাহ আমার সহায় থাকার পর কুরআন থাকতে হবে। এমনকি, রাব্বুল আলামীন এমনি আহকামুল হাকিমিন, যে তিনি খোদ সহায় থাকলে নূরুন আলা নূর কুরআনেরও দরকার পড়বে না, ততক্ষণ সময়। পরে অবশ্যই পড়বে।
যাই হোক, ধরলাম আল্লাহ আমার সহায় থাকার পর কুরআনের কথা বলছেন।
এখন ভাই,
সালাতের কথা তো বিরাশি বার কুরআনে আছে।
প্লিজ, আমি আক্রমণ করছি না, আসলেই জানতে চাচ্ছি, কুরআনুল করীম থেকে কীভাবে আপনি এগুলো পান বা সমাধান করেন-
সালাতের জন্য আহ্বান কীভাবে করেন আপনি বা আপনারা?
কতবার আল্লাহু আকবর বলেন? মানে আযানে কী কী বলেন?
অযু করেন কীভাবে? কতবার কী কোনটার পর কোনটা ধৌত করেন?
মসজিদে প্রবেশ ও বের হবার কোন আদব পদ্ধতি আছে আপনাদের? সেটা কী?
নামাজ শুরুর সময় কী করেন? মানে এক একটা রাকাতে কখন দাঁড়ান, কখন রুকু করেন, কতবার রুকু করেন, কখন সিজদা করেন, কতবার সিজদা করেন, কিয়াম রুকু সিজদায় কী পড়েন?
আর ফজর যোহর আসর মাগরিব এশায় কোন সুন্নাতে মুআক্কাদা সালাত কি আদায় করেন? না করলে অসুবিধা নেই, করলে কত রাকাত এবং কীভাবে?
এই পাঁচ ওয়াক্তে কোন্ ওয়াক্তে কত রাকাত করে ফরজ নামাজ পড়েন?
আমাদের সমস্যাটা ধরতে পারছেন তো? এইসব কুরআন থেকে দেখাবেন, অবশ্যই। এটা আপনার দায়িত্ব, আল্লাহ পাক দিয়েছেন।
সিমন, ইয়াহুদা তাঁদের সাথে মহান সাহাবী রা. গণের তুলনা আমরা কল্পনা করি না।
ঈমান আর আনুগত্য এক নয়। ঈমান হল আমানতু, আনুগত্য হল আ'তি।
ঈমান তো নবীদের উপর আনবেন, ঠিকাছে।
কুরআনের এই আয়াত কি তাহলে অস্বীকার করছেন, আ'তি উল্লাহি ওয়া আতিউর রাসূলা ওয়া উলিল আমরি মিনকুম।
যদি অস্বীকার না করেন, তো উলিল আমর কে?
যদি না থেকেই থাকেন, তাহলে আল্লাহর এই বাড়তি বচনের (নাউযুবিল্লাহ) কারণ কী?
২৪| ০২ রা জুলাই, ২০১৪ সকাল ৮:৩৯
সেভেন বলেছেন: একটু দেরিতে তবে ভালো লাগল আপনার উন্নত উত্তর লিপি। ভালো লাগল এই অহিংসা । সব সময় বা সকল ধর্মে এই একটি বাণী এক যে অহিংসা পরায়ন হও। ভালো থাকবেন ধন্যবাদ.........................................
০২ রা জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৭
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: অবশ্যই, কারণ সকল ধর্ম যে তাঁর থেকেই এসেছিল বা তাঁর থেকেই অনুপ্রাণিত হয়েছিল! পরে যেদিকেই যাক, সেই মূল অনুপ্রেরণা কিন্তু সবার ভিতরেই রয়ে গেছে।
আরো যে কোন স্পেসিফিক প্রশ্ন বা কথা থাকলে জানাবেন ভাই, আমিই উপকৃত হব, খুঁজব, জানবো।
২৫| ০২ রা জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:২৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: মাশাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ!!
কি পরিস্কার বোধ, অনুভব আর জ্ঞানের সিড়ি...
"আল্লাহ বলেছেন, আতিউল্লাহি ওয়া আতিউর রাসূলা দ. ওয়া উলিল আমরি মিনকুম।।
পূর্ণ আনুগত্য করো আল্লাহর, এই রাসূল দ.'র এবং তোমাদের মধ্যে বর্তমান যাঁরা নির্দেশদাতা, তাঁদের।
শয়তান আল্লাহ মেনেও, তৌহিদে থেকেও নবী আদম আ. কে না মানার কারণে, তাঁর শ্রেষ্ঠত্ব, রিসালাত, নুবুয়্যত না মানার কারণে- তৌহিদে থেকে ইবলিশ (অহঙ্কারী) শাইত্বোয়ানির রাজিম (বিতাড়িত/অভিশপ্ত) হয়েছে।
আর ফিরিশতারা আল্লাহকে, তৌহিদকে তো মেনেছেই, রিসালাত ও নুবুয়্যত তথা আদম আ. কেও মেনেছে বরং আল্লাহ যাকে যাকে মানতে বলেন তাকে তাকেই মেনেছে।
আমরা মুসলিমরা আল্লাহকে পরিপূর্ণভাবে মানি, রাসূল দ. কে পরিপূর্ণভাবে মানি, আমাদের নির্দেশদাতা মহান খলিফা সিদ্দিকে আকবর রা. কে পরিপূর্ণভাবে মানি, মানি ফারুকে আজম রা. কে, যুন নূরাইন রা. কে, মাওলা আলী রা. কে, হাসান-হুসাইন-আব্বাস রা. সহ নবী পরিবারের সবাইকে। তারা সবাই তাদের সময়ে ছিলেন আমাদের নির্দেশদাতা।
আমরা মানি দেড় লক্ষ সাহাবি রা. গণকে, চার-পাঁচ লক্ষ তাবিয়ি-তাবে তাবিয়ি রা. গণকে এবং আমরা রহমত থেকে বঞ্চিত নই।
বঞ্চিত নই, তাই গত ১৪৫০ বছর ধরেই আমাদের নির্দেশদাতা ছিলেন, কেয়ামত পর্যন্ত থাকবেন। তাদের সবাইকে মানি।
তারা সবাই আমাদের 'পীর' (মহান দীক্ষাদাতা), তাদের সবাই আমাদের 'বাবা' (ইসলামে প্রবেশের পথ)।
রাসূল দ.'র পরিবারে যাঁরা তাঁর স্ত্রী তাঁদের সবাই আমাদের মুসলিমদের মা।
আমি জ্ঞানের শহর আর আলী তার দরওয়াজা- অর্থাৎ অবশ্যই আলী রা.'ও আমাদের 'বাবা'- প্রবেশ দ্বার, বা'বু মাদিনাতিল ইলমি। "
একেবারে বাঁধাই করে রাখার কথা প্রতিটি.......
সমস্যা হইল প্রোগ্রামিং ক্লাসে কোডিংএর বেসিক না জাইনা আসা ছাত্র যেমন হিজিবিজি খায়.. সব কিছুকে অহেতুক কর্ম মনে করে.. হুদাই চিৎকার করে, না জানার পরেও বিশাল ফাল মারে.. নিজের অজ্ঞতাকেই বড় করে প্রকাশ করে .... সেই রকম.. মৌলিক ইসলামের ধারনাহীন পুথীগত এবং অন্ধ বোধ আচার সর্বস্ব আর বিশ্বাসগত কিছু বিশ্বাসী আছে যাদের হেদায়েত আল্লাহর মর্জি নয়.....(সম্ভবত)
নইলে হুশীয়ারীর পরও তারা সাহাবায়ে কেরাম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুম গণের শানে আবারও বেয়াদবী করে কিভাবে????
নইলে একেবারে সাধারন একটা বিষয়ও আমি যখন জানি না.. এবং আরেকজনের কাছে তার কিছু ধারনা পেলাম.. তখনতো মৌলীক বিষয় হয়ে যায় - যে তবে আমি এর সম্র্পকে আরও ভাল ভাবে জানি। অথবা অন্য যারা জানে.. তাদের আলৌচনা, লেখা নিরবে পড়ে, অনুভবে, বোধে চেতনায় বিচার বিশ্লেষন করে সত্যের নদীতে অবগাহন করা!
যাকগে- তারা তাদের মতো থাকুক। তাদেরকে তাদের গন্তব্যে পৌছতে দিন।
আপনার আলোর মশাল জ্বলুক.. -----------------------------------
যারা পথ সন্ধানী তাদের জন্য
যারা অন্ধকার থেকে মুক্তি চায় তাদের জণ্য
যারা নূরুন আলা নূরে মিশে যেতে চায় তাদের জণ্য
যারা জান্নাতেরও বস্তুগততা মুক্ত হয়ে রবুবীয়াতে বিলিন হতে চায়,
যারা জাহান্নামের ভয়ে নয়, আত্মার নির্মলতার জন্য ভাল কাজ করে.
যারা সহজ সরল পথের সন্ধানী
যারা হঠাৎ পতিত নয়, ধারাবাহিকতায় বিশ্বাসী
যারা মূর্খতাকে পরিহার করতে চায়
যারা জ্ঞানকে বিনয়ের সাথে গ্রহন করতে চায়
যারা আহলে বাইতের প্রতি মোহাব্বত ধারন করে - তা সত্য বলেই..
সকল প্রকৃত সত্য বিশ্বাসী, মুসলিম, মুমিন এবং উর্ধ্বতন সকল সিড়ি যাদের জন্য প্রযোজ্য.........................................................
০২ রা জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪১
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভৃগুভাই, মালিকের দরবারে একটা প্রার্থনা করবেন দয়া করে, যেন তিনি সহজ সরল পথ থেকে নাম না কেটে দেন। যেন তিনি ফিরিয়ে না দেন, যেন ভুল না হয়ে যায়।
ভালবাসা দেখলেও ভয় হয়, না জানি ভুল হয়ে যায়।
আসলে আমরা যে বিশ্বাস, যে চেতনা ধারণ করি সেটাকে সহজে ছাড়তে ছড়াতে পারি না।
এটা আমাদের দোষ না। এটা সবারই অভ্যাস। আজকে আমি হয়ত আমার ধর্ম নিয়ে, বিশ্বাস নিয়ে একজনকে বলে বসলাম, তিনি আবার আরেকটা বিষয় নিয়ে বলে বসবেন।
আসলে এইযে মহান সাহাবায়ে রাসূল করীম দ., এঁদের একেকজনের মর্যাদা যে পুরো উম্মাতে মুহাম্মাদী দ.'র পরবর্তী যুগ গুলোর মর্যাদার সমপরিমাণ নয় বরং তারচেও বেশি, এটা তো উপলব্ধির বিষয়।
একজন সাহাবা রা.'র কী পরিমাণ সম্মান যে আমরা শিখেছি, কী পরিমাণ সম্মান যে আমরা করে এসেছি, তাঁদের কোন্ স্থানে যে রেখেছি তরিক্বতপন্থীরা, সেটা তো সাধারণ ভাবনায় আনা সম্ভব নয়।
আল্লাহর রাসূল দ. কে একবার, মাত্র একবার দেখলে সে হক্বকে দেখল, রাসূলে করীম বলেছেন। রাসূল করীম রউফুর রহীম দ. বলেছেন, যে আমার সাথে ভালবাসা রেখে দেখা করবে, তাকেই আমি অবশ্যই শাফাআত করব। শুধু তাই না, যে আমার ক্ববরের সাথে দেখা করবে, সে তো আমার সাথেই দেখা করল।
বুখারী আর মুসলিম শরীফের হাদীসে মুবারাকা, রাসূলে করীম তাকেই শাফাআত করবেন যিনি রাসূলে করীমের কাছের। আর রউফুর রহীম নবীজী দ. যাদের শাফাআত করবেন, তাঁদের ক্ষমতা এত বেশি হবে যে, তাদের প্রত্যেকেই সত্তর হাজার জন করে মানুষকে শাফাআত করতে পারবেন।
এই আবু হুরাইরা রা. যদি আমার দরজা 'বা'ব' অথবা পীর 'পথপ্রদর্শক' হয়ে থাকেন, তাহলে তো আমি তাঁর হাতে শাফাআত পাবো, বিনা হিসাবে জান্নাত পাবো, কেননা তিনি সাহাবী, তিনি তো অবশ্যই রাসূলে করীম রউফুর রহীমের হাতে শাফাআত পাবেন।
আমি আপনি কত ভাগ্যবান! আমাদের পথপ্রদর্শক কত বেশি!
এই কথাই তো মালিক ও মাওলা রাব্বুল ইজ্জাত কুরআনে বলেন, ক্বাফিরদের কোন সাহায্যকারী নেই, আর মুমিনের সহায়তাকারী অনেক।
তাহলে, আমাদের আল্লাহ তো সহায়তাকারীই, রাসূলও দ. সহায়তাকারী, কুরআনও সহায়তাকারী, হাদীসও সহায়তাকারী, খলিফা-আহলে বাইত-সাহাবা-তাবেয়ি-তাবে তাবেয়ি- এঁরা সকলেই নানা ক্ষেত্রে আল্লাহর দেয়া ক্ষমতাবলে সহায়তাকারী এমনকি কুরআন হাদীসের অসংখ্য প্রমাণে পাই, একটা পিঁপড়া, একটা ব্যাক্টেরিয়া ভাইরাস পর্যন্ত আলহামদুলিল্লাহ আমাদের সহায়তাকারী।
তাইতো আল্লামা ইকবাল বলছেন,
মুহাম্মাদ দ.'র প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শণ করেছ? আমি তোমার।
আরে এই ভুবন আর কী বস্তু? আল্লাহর বিধান লেখার কলম ও খাতাও তোমার (পক্ষ নিয়ে লিখবে মালিকের অনুমতিতে)
আজকে আমরা আমাদের ইমাম চিহ্নিত করতে পারি না, অথচ মালিক বলে দিয়েছেন, কিয়ামাতে যার যার ইমামের পিছনে সে সে দাঁড়াবে।
বলে, আবু হানিফা কে? আরে তাহলে আপনার ইমামটা কে, যার পিছনে আপনি দাঁড়াবেন?
২৬| ০২ রা জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:৩৬
যান্ত্রিক বলেছেন: আসসালামু আলাইকুম ভাই,
আশা করি ভালো আছেন, সুস্থ আছেন।
আপনার পোস্টে উল্লেখিত বেশিরভাগ হাদীস বলছে জ্ঞান অর্জনের কথা, জ্ঞানীর সম্মান ও মর্যাদার কথা। আলহামদুলিল্লাহ।
আল্লাহতা'লা জ্ঞানীকে যেমন সম্মান দিয়েছেন তেমনি জ্ঞানীর হিসাব-ও নেয়া হবে বেশি।
আপনি বালাম বাউর-এর কাহিনী পড়ে থাকবেন আশা করি।
আল্লাহর রাসুল (সা) ওহী পাওয়ার আগে প্রায়ই গুহায় বসে চিন্তা করতেন সৃষ্টি ও স্রষ্টা বিষয়ে, এটা আমরা সকলেই জানি। এরপর মহান রাব্বুল আ'লামীন তাঁকে জ্ঞান দান করলেন।
আমার প্রশ্ন, জ্ঞান লাভের পর তিনি কি আর গুহায় ফেরত গিয়েছিলেন?
আমরা জানি, আল্লাহতা'লার হুকুমেই সবকিছু হয়, তবে কি আমরা সকল কাজ-কর্ম বন্ধ করে দিব? যদি না দেই, তাহলে কি আমরা আল্লাহতা'লার সবকিছু করার ক্ষমতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছি?(নাউযুবিল্লাহ)
আমার প্রশ্ন, আপনি কি সুফী নৃত্য-কে সমর্থন করেন?
তিন সাহাবীকে রাসুল (সা) ধমক দিয়েছিলেন, যাদের একজন বিয়েই করতে চান নি, একজন সবসময় সালাতে থাকতে চেয়েছেন, একজন প্রতিদিন রোযা রাখতে চেয়েছেন। রাসুল (সা) কেন তাদের ধমক দিয়েছেন, নিশ্চয় জানেন। (হাদীসটির রেফারেন্স ভুলে গেছি, তবু সন্দেহ হলে জানাবেন, রেফারেন্স জেনে আপনাকে জানাবো)
আপাতত এ ক'টাই প্রশ্ন। আশা করি আরো আলোচনা হবে।
কোরআনের আলোয় আলোকিত হোক আমাদের জীবন।
রাসুলের (সা) সুন্নাহ হোক আমাদের চলার পাথেয়।
ভালো থাকবেন।
০২ রা জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:১৩
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই ওয়া আলাইকুমুস সালাম। আলহামদুলিল্লাহি তাআলা, এত বেশি ভাল আছি যে মালিক ও মাওলা রাব্বুল ইজ্জাতের প্রশংসা করে শেষ করা যাবে না। তিন তিনটা রোজায় অন্তত নিজের খাবারের লালসাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারছি, তিনি ধৈর্য্য আর সালাত দিচ্ছেন, এরচে বড় কৃতজ্ঞতা আর কী হতে পারে!
আপনিও অনেক অনেক ভাল আছেন আশা করি।
হঠাৎ মনে হল পোস্ট অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত হয়ে যাচ্ছে, তাই ইলম বিষয়ক কিছু হাদীসে মুবারাকা যুক্ত করলাম, পড়লাম, আলহামদুলিল্লাহ।
অবশ্যই, জগতে শ্রেষ্ঠ সে, যার জ্ঞান-প্রজ্ঞা সর্বকল্যাণে লাগে আর সেই সবচে খারাপ পুরো জগতে যার জ্ঞান-কৌশল সর্বঅকল্যাণে লাগে। রাসূল করীম রাউফুর রাহীম দ.'র পবিত্র বাণী।
বালাম-বাউর এর কাহিনী পড়া নেই সম্ভবত।
০২ রা জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:৪০
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: নির্জনতায় ভাবনামগ্নতা/ধ্যান বিষয়ক
রাসূলে পাক দ.'র জ্ঞান উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। এটাই মহান প্রতিপালকের করুণামিশ্রিত ওয়াদা, 'আপনার প্রতি অতীত অণুপলের চেয়ে প্রতি ভবিষ্যত অনুপল অধিকতর মর্যাদাময় হবে'। ওয়ালাল আখিরাতু খাইরুল্লাকা মিনাল উলা।
আর জ্ঞানের শহর তো তিনিই। জ্ঞানের দাতা ও একমাত্র অধিকারী আল্লাহ আর বন্টনকারী (ক্বাসিম বাক্বাবিল্লাহ মাক্বা) তো তিনিই। জগতজুড়ে আধ্যাত্মিক জ্ঞানের অবিরল বর্ষণকারী তো তিনিই।
গুহায় চিন্তামগ্ন হওয়া বা নির্জনতা অবলম্বন বা গভীর ভাবনায় নিমগ্ন হওয়া বা তাদাব্বুর, তাফাক্কুর যা শেষে নাম পরিগ্রহণ করেছে মুরাক্বাবা মুশাহিদা বা মেডিটেশন-ধ্যানে, সেটাকে আসলে দূর থেকে আমরা একটু অন্যভাবে দেখি।
সেটা অবশ্যই ইবাদাত, কিন্তু কোন ধর্মের বিধিবদ্ধ আরাধনা তো নয়, হ্যা, হতে পারে, ধ্যানের ভিতরে সব ধর্মেরই আরাধনার পদ্ধতি আছে, সেটা ভিন্ন, সেটা করতে হবে এমন কোন কথা নেই।
মুসলিমের জন্য করার প্রশ্নই ওঠে না অন্য ধর্মেরটা।
কিন্তু খোদ ধ্যান/ভাবনা/তাফাক্কুর/মুরাক্বাবা কী?
এটা যে একটা সংবিধিবদ্ধ পদ্ধতি!
একটা শিশুর হাতে কলম দিলে সে যতই দাগ দেক, লেখা হবে না। একজন বাচ্চার হাতে কলম দিলে সে যতই শব্দর পর শব্দ বসাক, সাধারণত সাহিত্য হবে না। একজন সাহিত্যিকের হাতে সেই কলমটাই তুলে দিলে দু ছত্রে অনন্য কী যেন সেজে যাবে। সেইতো শব্দ, আমাদের পরিচিত শব্দ, কিন্তু পাশাপাশি বসিয়ে কী বলেছেন হাসন-
জানতো যদি হাসন রাজায় বাঁচবো কতদিন, বানাইতো দালান কোঠা করিয়া রঙিন।
অথবা লালন-
নবী না মানিল যারা, মুওয়াহিদ ক্বাফিরও তারা, সেই মুওয়াহিদ দায়মাল হবে, বে হিসাব দোজখে যাবে, আবার তারে খালাস দিবে, লালন কয় মোর কী হয় জানি।
অথবা নজরুল-
খোরমা খেজুর বাদাম জাফরানী ফুল, ঝরে ঝরে যায় সে যে আমার কামলিওয়ালা, কামলিওয়ালা!
অর্থাৎ, এলোমেলো ভাবনা হল টেনশন, স্ট্রেস। কে না ভাবে? আমরা জেগে থেকে ভাবি, ঘুমিয়েও ভাবি। নদীর পাড়ে বসে ভাবি। সর্বত্র ভাবি। একা থাকলে ভাবি, অনেকের সাথে থাকলেও।
এলোমেলো ভাবনা লুপ তৈরি করে, মেইজ তৈরি করে, পাজল তৈরি করে। একই কথা ঘুরে ঘুরে ঘুরে বারবার আসে কিন্তু সমাধান আসে না।
তার মানে, ভাবনার একটা পদ্ধতি আছে। যেমন, কলম থাকলেই নয়, অক্ষরের একটা পদ্ধতি আছে। অক্ষর থাকলেই নয়, শব্দের একটা বানান আছে। বানান থাকলেই নয়, বাক্য গঠনের একটা গ্রামার আছে। আর গ্রামার থাকলেই সেই শুদ্ধ গ্রামারে একটা বাক্য লিখলে সেটা কখনোই সাহিত্য হবে এমন নিশ্চয়তা নেই। সাহিত্য হতে গেলে আরো একটা বিষয়ের দরকার আছে।
অর্থাৎ, হাতে কলম থাকার পাশাপাশি অনেক বেশি পরিমাণ মেন্টাল টুল বা বিধিবদ্ধ পদ্ধতিগত সুস্পষ্ট প্রক্রিয়া ও গ্রামার জানার এবং তাতে অভ্যস্ত হবার বিষয় আছে।
ঠিক এটাই হল ধ্যান। আর এলোমেলো ভাবনা হল কলম।
আমরা কখনো কখনো এলোমেলো নয় বরং ভালভাবেই সুন্দর করেই ভাবি, কিন্তু পদ্ধতিগতভাবে ভাবি না। পদ্ধতিগতভাবে ভাবার ও সুন্দর করে এক পথে ভাবার মধ্যে পার্থক্যটা এমন-
সুন্দর করে এক পথে যিঁনি ভাবছেন, তিনি খালি পায়ে অথবা জুতা পায়ে নিজে হাঁটছেন। সঠিক পথেই হাঁটছেন। তাঁর সর্ব্বোচ্চ সম্ভাব্য গতি বিশ কিলোমিটার পার আওয়ার। ক্লান্ত হওয়ার সম্ভাবনা এক ঘন্টার মধ্যে। এ হল টুল বিহীনভাবে সুন্দর করে এক পথে হাঁটা।
আর যিঁনি টুলের সাহায্য নিয়েছেন, টুলটা যদি বাস হয়, এর সম্ভাব্য সর্বনিম্ন গতি জ্যামেও ১০ কিলোমিটার পার আওয়ার। সর্ব্বোচ্চ সম্ভাব্য গতি ১৫০। ক্লান্ত হওয়ার সম্ভাবনা যাত্রির জন্য আড়াই ঘন্টায়।
আর যিঁনি গাইডেন্স সহ টুলের সহায়তা নিয়েছেন, তাঁর মোড় ঘোরার বিষয়ও রয় না। বিমানে ওঠার মাধ্যমে সরাসরি শতাধিক কিলোমিটার বেগে জ্যাম এড়িয়ে লক্ষ্যে পৌছে ফ্রেশ থাকার মত বিষয়।
হ্যা, এই তৃতীয় পদ্ধতিটাই ভাবনার মধ্যে ধ্যান, যা রাসূলে করীম দ. করেছেন এবং আমরা সবাই যেহেতু ভাবিই, এই ধ্যানের পথে ভাবাই সবচে কার্যকর হবার সম্ভাবনা।
না, রাসূলে খোদা দ. পাহাড়ে ফিরে যাননি কারণ সেই সময় তাঁর ছিল না। দায়িত্বের ধরণ সম্পূর্ণরূপে পাল্টে গেলেও তিনি ধ্যান ও ভাবনা চালিয়ে গেছেন সম্পূর্ণ অন্য পদ্ধতিতে। তখনো তিনি নির্জণতা বেছে নিয়েছেন।
মহীয়সী মাতা আয়িশা রা. বর্ণিত হাদিস, সিহাহ সিত্তাহ তে পাওয়া যাবে, রাসূলে কারীম রাউফুর রাহীম দ. বলছেন,
রাতের একটা বিশেষ সময় রয়েছে, যখন আমার ও আমার প্রভু ছাড়া আর কারো প্রবেশ নেই আমার অবস্থানে। সেইতো ধ্যান! হতে পারে তা কিয়ামুল লাইল, আমরা জানি না, তা কিয়ামুল লাইল কিনা, হয়ে থাকলে সেইতো সেই ধ্যান, যেখানে মহান প্রভু এবং মহান প্রভুর আদেশবাহী ছাড়া আর কারো কোন প্রবেশ নেই। কোন ভাবনা নেই, কোন কিছুর সাথেই ণৈকট্য নেই।
আর আমাদের জন্য আদেশ রয়েছে জঙ্গলবাসী হওয়ার। এই ফিতনার যুগে যদি আল্লাহর একজন প্রকৃত প্রতিনিধি তথা সার্টিফাইড উলিল আমর তথা শাইখ/মুর্শিদ/ওয়ালিউল্লাহ না পাই তবে যেন নিজের ঈমান সংরক্ষণের জন্য চলে যাই জঙ্গলে এবং সেখানেই লতাপাতা খেয়ে মারা যাই যে পর্যন্ত না তার আদেশ পেয়ে চলছি।
০২ রা জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:৫২
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: কাযা ও ক্বদর বিষয়ক
সবই আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জাতের ইচ্ছায় আসে (যা ভাল) এবং নিরব অনুমোদনে আসে (যা খারাপ)। যেহেতু খারাপ করারও সুযোগ তিনি দিয়েছেন, এরই নাম সীমিত স্বাধীনতা। এজন্য তিনি রাব্বুল ইজ্জাত মোটেও দায়ী নন, কারণ তিনি সেটা করাচ্ছেন না।
এবং মানুষকে সীমিত স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে। তাই সে খানিক ভাল করতে পারে, খানিক খারাপ করতে পারে।
রাসূলে করীম দ.'র হাদিসে মুবারাকা, আল্লাহর উপর ভরসা রাখো, কিন্তু উট বাঁধতে ভুলে যেও না, এইতো প্রকৃত কাযা ও ক্বদর।
০২ রা জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:০২
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ওয়াজ্-দ
আমি ভাই সর্বত্র সরাসরি সত্য কথা বলি- লিল্লাহিল হামদ্। ওয়াজ-দ্ (সূফি নৃত্য) তখনি সমর্থন করি, যখন একজন মানুষ শরিআহ কে লঙ্ঘন করে যায় না।
আর রব তাআলার ভালবাসায়, তাঁর মহত্ত্বে বিভোর মানুষ যখন হিতাহিত জ্ঞানশূণ্য হয়, তখন তার এই ধরনের কাজকে সমর্থন করি, যেহেতু তখন তার কোন ধরনের পাপ হিসাবে আসে না। তবে তা ভাবের হলে হবে না।
এই বিষয়ক হাদিস রয়েছে। অনারব দুটা গোত্রকে রাসূল করীম দ. ওয়াজদ করতে দিয়েছিলেন।
আপনি জানেন, সূফিদের মধ্যেও সামান্য মতভেদ আছে, যা প্রকৃতপক্ষে মতভেদ নয়, বরং পদ্ধতিভেদ। আমি ব্যক্তিগতভাবে শাইখুল আক্ববার সাইয়্যিদি সানাদি শাইখ আল জিলানী রা.'র পদ্ধতির অনুসারী এবং তাঁর পদ্ধতিতে ওয়াজদ, সেমা সঙ্গীত ইত্যাদির কোন স্থান নেই।
তিনি এগুলো করাকে খারাপ চোখে দেখেননি, কিন্তু নিয়ম করে করাকে সরাসরি বিদআত বলেছেন।
আবার আমি মাসলাকের দিক দিয়ে শাইখ আ'লা হাদ্বরাত বেরলভী রা.'র অনুসারী। তিনিও অসম্ভব অপছন্দ করতেন বাজনা ও নৃত্যকে। নিয়মিত করাকে তিনি খুবই কঠোর কন্ঠে বিদআত বলেছেন, যেহেতু এই বিষয়টা ইসলামে রাসূল করীম দ.'র সময় নিয়মিত ছিল না বরং মাঝেমধ্যে হয়েছে।
তাঁর পদ্ধতিতে এবং প্রায় অর্ধেক হক্কানী সূফি পদ্ধতিতে না থাকলেও ওয়াজদ এবং সেমা সঙ্গীত ইসলামেরই একটা অংগ যা বুখারী শরীফেই অনেক বার এসেছে।
তাই বলে এটা কোন ফরজ, নিয়মিত পালনীয় সুন্নাত বা অন্য কোন বিশেষ বিষয় নয়। বরং ত্বালিবুল্লাহ আল্লাহ-রাসূল দ.'র ভালবাসায় কতটা বিলীন হয়ে গেলেন, এটা সেই ব্যক্তির ব্যক্তিগত অবস্থান ও উপলব্ধির বিষয়।
০২ রা জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:০৯
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: তিনজন সাহাবী রা. কে শুধরে দেয়ার কারণ সম্ভবত এই ছিল যে, তাঁরা রাসূল দ.'র মত নন অথবা কোন কিছুতেই বাড়াবাড়ি আল্লাহর পছন্দ নয়।
রাসূল দ. মধ্যপন্থী এবং তাঁর উম্মাহও মধ্যপন্থী। তিনি একেবারে দুনিয়ার সমস্ত কিছুকে ইগনোর করেন না, আবার দুনিয়ার সমস্ত সমস্যাতেই ব্যতিব্যস্ত হয়ে নাক গলান না।
একেবারে বিয়ে ছেড়ে দেয়া, প্রতিদিন রোজা রাখা, সারাদিন সালাত পালন করতে চাওয়া সবই অতিরিক্ত।
পৃথিবীতে রাব্বুল ইজ্জাত তো পাঠিয়েছেন সবকিছুতে ব্যালান্স রাখার জন্য। কোন একটা ব্যালান্স না করে অন্যটা বেশি করলে তাতে আর যাই হোক, হক্ব তো আদায় হবে না। সবকিছুরই হক্ব আছে।
আর জগতে যত অসুখ ও সমস্যা, সব ব্যালান্স না রাখার কারণে। মাংস ভাল, বেশি খেলে ফ্যাট, হার্ট অ্যাটাক। সূর্যের আলো ভাল, ভিটামিন ডি তৈরি করে ত্বকে, সেটাই ক্যান্সার ঘটায় বেশি রোদের পুড়লে।
এমনকি অক্সিজেনের মত সবচে প্রয়োজনীয় একক উপাদানটাও আমাদের অতি বয়স বৃদ্ধির কারণ হতে পারে, অতি বেশি গ্রহণ করলে।
এরই নাম প্রাকৃতিক ব্যালান্স বা আল্লাহর ন্যায় বিচার বা রাসূল দ.'র মধ্যপন্থা।
কুরআন ও সুন্নাহ ই একমাত্র পদ্ধতি, যা আমাদের মুক্তির পাথেয় হয়ে এসেছে। কুরআন ও সুন্নাহর নির্দেশিত পথগুলো থেকে দুরে সরার কোন উপায় আমাদের জন্য নেই। রাসূল করীম দ. ছাড়া তো কোন চূড়ান্ত অনুসরণীয় নেই, আল্লাহ ছাড়া কোন আশ্রয় নেই।
সূফিতত্ত্ব নিয়ে আরো আলাপ অন্তত আপনার সাথে করার আশা রাখি ভাই।
২৭| ০২ রা জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৩
বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: সূফিজম নিয়ে আমার মধ্যে আগ্রহ আছে তাই আপনার পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়লাম।
আরও বিস্থারিত লিখবেন আশা করি।
০২ রা জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:০২
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: জ্বি ভাই, অবশ্যই। মূলত পোস্টটি প্রশ্নকেন্ত্রীক। স্পেসিফিক বিষয় তুলে, তা যত সংখ্যকই হোক না কেন, তা নিয়ে আমরা আলোচনা করতে পারি।
২৮| ০২ রা জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:৫২
মুদ্দাকির বলেছেন:
@ পাউডার ঃ হযরত ওমর রাঃ কিংবা হযরত আবু হুরাইরা রাঃ কে সম্মান করেন না কিন্তু কুরয়ানকে সম্মান করেন বা ইসলামকে মানেন এমন মানুষকে ভণ্ড বলেই মনে হয়!! (আল্লাহ ভালো জানেন)
ওফাতের আগে পর্যন্ত হযরত মুহাম্মাদ মুস্তাফা সাঃ কুরয়ান ভিন্ন অন্য কিছু লিপিবদ্ধ হতে দেন নি। তাঁর সিরাত যদি আমাদের অজানাই থাকত তবে কি অনুসরন করতেন ??? আর তাঁর সিরাত জানার জন্য সাহাবীরা রাঃ এবং তাদের সন্তানেরা আর তাদের অনুসারিরা ছাড়া আপনি কিভাবে জানতেন???? কুরায়ানের সব কিছুকি আপনার নিজের বা কোন মানুষের নিজের বুঝার ক্ষমতা আছে ?? শানেনজুল বা তদকালিন প্রাসঙ্গগিকতা ছাড়া ?? আজ পর্যন্ত যতটুকু কুরয়ান আমারা বুঝতে সক্ষম তার বেশীর ভাগই কি সাহাবীদের জ্ঞান ছাড়া বুঝা সক্ষম ছিল ????
কিভাবে বা আপনার জ্ঞানের সোর্স কি যে আপনি বললেন হযরত আবু হুরাইরা রাঃ মাত্র দুই বছর হযরত মুহাম্মাদ মুস্তাফা সাঃ এর সহচর্য পেয়েছেন ??? আপনিতো হাদিসে বিশ্বসী না !!!!! (উত্তরের অপেক্ষায় থাকব)
আধ্যাতিকতা যদি ইসলামে নাই থাকে তাহলে সালাত, সাওম, হজ্জ, যাকাত এগুলোতো সময় নষ্ট করা ছাড়া কিছুই না??????!!!! আপনিকি প্রমান করতে পারবেন বাস্তব জিবনে আদৌ আমাদের এই সবের প্রয়োজন আছে ??
কুরয়ান একটা আরবিতে লেখা বই, এটি পড়া বা পড়তে থাকা নেহায়েত সময় নষ্ট ছাড়া কিছুনা, কিন্তু কুরয়ানকে যদি ভাবেন জিবন্ত এবং যদি ভাবেন কুরয়ান আবৃতি করলে বা বুঝে বুঝে পড়লে এর থেকে আপনি অনেক উপকার পাবেন, তবে এটা আধ্যাতিকতা ছাড়া আর কি ????? দুঃখ লাগে আপনারা যারা কুরয়ানের বিন্দু মাত্রও আধ্যাতিকতা দেখেন না, তাদের জন্য!
@পাউডারঃ কোটি কোটি মুসলমান এখনও হয়ত এই পৃথিবীতে আছে, যারা নিজের ধন দৌলত সব কিছুর বিনিময়ে হযরত মুহাম্মাদ মুস্তাফা সাঃ কে কয়েক মুহুর্তের জন্য স্বপ্নে একবার দেখতে চাইবেন। আর আপনি, তাঁর একজন সাহাবী, যিনি আপনার জানা মতেই, তাঁর সহচর্যে দুই বছর ছিলেন, তাঁর জ্ঞানকে প্রশ্ন করেন ???? ব্রাভো ব্রাভো অনেক সাহস আপনাদের। আপনাদের সাহস দেখে মনে হয় বেহেস্ত বলতে কিছু নাই অথবা বেহেস্তের গেট পাস আপনারা পেয়ে গেছেন!!!!
পাউডার আপনাকে একটা প্রশ্ন করি, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাঃ সম্পর্কে আপনার মতা মত কি ??? বা তাঁর সম্পর্কে আপনি কি জানেন??? আবার বলে উঠবেন না তো যে ঐ পিচ্ছি বালক কুরয়ানের কি জানত????? হযরত উমর রাঃ এই পিচ্ছি বালককে এত গুরুত্ব দিতেন কেন, ঐ পিচ্ছি কি হযরত ওমর রাঃ এরচেয়ে কুরয়ান বেশি বুঝত ?????
@ সেভেন ঃ অন্য ধর্ম গুলোকে অসম্মান করতে না করা হয়েছে কারন এতে অন্য ধর্মের লোকেরা ভুল করে আল্লাহের পবিত্রতার উপর মহানতার উপর মিথ্যারোপ করবে , এতেতো আপনার কিছুটা হলেও দায় থেকে যাবে। তাই আপনার ভালোর জন্যই আল্লাহ তা শিক্ষা দিয়েছেন, কুরয়ানে এই বিষয় নিয়ে সরাসরি আয়াত আছে। অন্য ধর্মকে অসম্মান করতে না করা হয়েছে, তাঁর মানে এই না যে তারা যা করে তা এ্যপ্রিসিয়েট করতে বলা হয়েছে!!!!!!
@ সবাইঃ ভন্ডদের ব্যাবসায়িক মনভাবতো ইসলামের আধ্যাতিকতার দোষ না, এটা ভন্ডদের দোষ!! আর একদলতো তাদের ব্যাবসায়িক মনভাবের জন্যই ভন্ডামিকরে ইসলামের আধ্যাতিকতাকে অস্বীকার করছে!!!!
@ লেখকঃ লিসানি ভাই কিছু মনে করবেন না , কথা গুলো বলতে বাধ্য হইলাম।ইসলামে নাকি আধ্যতিকতা নাই, হাসুম না কান্দুম বুঝতে ছিলাম না!!!!! আসসালামুয়ালাইকুম !! রামজান মুবারাক!!
০২ রা জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৩
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: মুদ্দাকির ভাই, ওয়া আলাইকুমুস সালাম! আহ পবিত্র রমজান এসেছে, অগুণতি শুভেচ্ছা ভাই আপনার পুরো পরিবারের জন্য। আলহামদুলিল্লাহ, আপনার সাথে কথা বলে যে কতটা ভার নেমে গেল, আল্লাহ জানেন। তাঁর করুণার শেষ নেই।
আসলে আধ্যাতিকতা কী ভাই?
খুবি সরল বিষয় না?
এইযে আমরা বলি, ও আল্লাহ্! আর বিশ্বাস করি, আল্লাহ বলে একজন আছেন যিঁনি এই ডাকটা শুনছেন, স্নেহ করছেন, সেটাই তো আধ্যাত্মিকতা।
সিজদা করার সময় ভাবি, রাব্বুল আলামীনের কাছে এই সিজদা পৌছে যাচ্ছে, অথবা ভাবি, তাঁর আরশের সামনে সিজদা করছি তাঁকে অথবা ভাবি, তিনি স্বয়ং যেভাবে শোভা পায়, সামনে আছেন অথবা ভাবি, আর যাই হোক, তিনি তো আমাকে দেখছেন, এটাই তো আধ্যাত্বিকতা।
আল্লাহ, তুমি দুনিয়ায় ভাল দাও, আর মালিক সেটা দিবেন তা বিশ্বাস করলাম, তাইতো আধ্যাত্মিকতা।
পেলাম তাঁর কাছে চেয়ে, সেটা আরো বড় আধ্যাত্মিকতা।
আসলেই তো, সালাত, সিয়াম, হজ্ব, যাকাতের প্রয়োজনীয়তা অতি সামান্য, নগণ্য। কী আর ব্যায়াম হয়, কী আর শেখা হয়? মূল প্রয়োজন, মূল উপলব্ধিটাই তো আধ্যাত্বিক।
আধ্যাত্মিকতার সংজ্ঞা এটাই: কল্যাণ আল্লাহর কাছ থেকে, তাঁর অনুমোদনে যখন আগমন করে, সেটাই হল রুহানিয়াত বা আধ্যাত্মিকতা যা সাধারণ দুই যোগ দুই চারের হিসাবে মিলানো যায় না।
আহ্, আপনি কী কথা বললেন, কুরআনকে জীবন্ত ভাবলে, এর সাথে ইন্টারাক্ট করলে, এর নূরটুকু গ্রহণ করলে কী হতে পারে! খোদার কসম, আমি ভাবিই নি এভাবে যে, কুরআনকেও জীবন্ত ভাবা যায়, তার সাথে তো তেমন আদবই রক্ষা করেছি, কিন্তু ভাবিনি।
কুরআনের প্রতিটা সূরা, প্রতিটা লাইনই তো নবী ও পূর্ববর্তী রাসূল আ. গণ ও তাদের সাহাবা আজমাঈন গণের ও পরিবারের সদস্যগণের অকল্পনীয় আধ্যাত্মিক ঘটনাবলীর নিদর্শনে ভরপুর।
এর যে কোন একটা ঘটনা রাসূল দ.'র জীবনে বলতে গেলেও আমরা থমকে যেতে পারি, ভাবতে পারি, এও কি সম্ভব? অথচ এমন হাজারো ঘটনা কুরআনের পাতায় পাতায় বর্ণিত।
বৃদ্ধ পিতা, নি:সন্তান মাতা, পিতা বিহীন মাতা, বিশাল উট আনা, পর্বতগুহুায় ঘুমানো, ঈসা আ.'র শিশু অবস্থায় কথা বলা, মূসা আ.'র খোদাকে দেখতে চাওয়া বা চল্লিশদিন বসা বা জাদুকরদের উপর প্রাধান্য, সুলাইমান আ.'র লাঠি দাব্বাতুল আরদ দিয়ে খাওয়া পর্যন্ত ঘটনা, তাদের প্রত্যেকের আল্লাহর কাছে আর্জি রাখা আর আল্লাহরও আজব আজব আর্জি কবুল করা- এইতো আধ্যাত্মিকতা, এইতো বান্দার সাথে তার সম্পর্কের গভীরতর রূপ- যদিও আমরা নবী আলাইহিমুস সালামগণের কাছেও নই, তবু নগণ্য বান্দা তো, তিনি কি পারেন না, তিনি কি করেননি, তিনি কি আমাদের হতাশ হতে নির্দেশ দেননি!
অনেকগুলো বিষয় এতো ভিন্নভাবে এনেছেন, যে এ এ্যাঙ্গেলে কখনো ভাবিই নি, কথা বলা তো দূরের বিষয়। আলহামদুলিল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ।
২৯| ০৩ রা জুলাই, ২০১৪ রাত ৩:৪০
রাহাত আহমেদ মুনিম বলেছেন: ব্লগে মাঝে-মাঝে লগইন করে একটু ঢুঁ মারি আপনার লেখা গুলা পড়ার জন্য...... শত ব্যাস্ততার মাঝেও! যদি দেখি নতুন কিছু নিয়ে লিখসেন তাহলে দাঁত বের করে একটা হাঁসি দিয়ে পড়া শুরু করি, আর না দিলে মনটা একটু বিষণ্ণ করে ব্রাউজার বন্ধ করে চলে যায়।
অনেক সুন্দর লেখেন আপনি! যদিও সামনাসামনি প্রশংসা করা ঠিক না, তবে এটুকু না বলে পারলাম না
যাই হোক, আপনার ফেসবুক আইডি এর লিঙ্কটা কি একটু পেতে পারি? সমস্যা নাই ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট পাঠিয়ে বিরক্ত করব না।
মনের গহিনের কিছু জিজ্ঞাসা ছিল আপনার কাছে! যা কোনদিনও কাউকে বিশ্বাস করে জিজ্ঞাসা করতে পারি নাই
০৩ রা জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:২২
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: রাহাত ভাই, এত ভালবাসা কোথায় রাখি ভাই! সকল প্রশংসা তো আল্লাহর আর তিনি আপন রাসূল দ. কে প্রশংসিতজন নাম করে পাঠিয়েছেন।
https://www.facebook.com/golamdastagir.lisani
ভাই অবশ্যই একটা নক করবেন। আমি ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠাবো।
আপনার যত প্রশ্ন, যত কথা, সরলভাবে করে ফেলবেন-বলে ফেলবেন, কোন অসুবিধা নেই। যা জানি জানাবো, যা জানি না, আল্লাহর উপর ভরসা করব। তাঁর ও তাঁর রাসূল দ.'র উপর ফয়সালার ভার তুলে দিব।
৩০| ০৩ রা জুলাই, ২০১৪ রাত ৩:৫২
পাউডার বলেছেন:
আপনি ভালো করেই বুঝতে পেরেছিলেন যে আমি আল্লাহর ইবাদতের উদ্দেশ্যে বলেছি যে কুরআনই যথেস্ট এবং তা বলেছি হাদিস বইগুলোর কথা। এই সোজা কথা বুঝেও আপনার বিশদ ভাবে প্যাচানোর প্রয়োজন ছিলো না।
কুরআনে আল্লাহ বলেছেন সালাত কায়েম করতে। ইসলাম সাক্ষী অবশ্যই মুহাম্মদ স: আল্লাহর এই সালাত কায়েম করে গেছেন। প্রশ্ন করতে পারেন কোথায় কায়েম হয়েছে। উত্তর মসজিদে। নবীজি স: যেসব মসজিদে কায়েম করেছেন সেখানে গিয়ে দেখুন সালাত কায়েম হয়েছে কিনা?
ওজুর প্রতিটি ধাপ কোরানে দেয়া আছে।
আমাদের মাঝে বিজ্ঞকে মানার কথা বলা হয়েছে। তার মানে এই নয়, কেউ পীর-বাবা দাবি করলেই তার কাছে ধর্ণা দিতে হবে। আপনার চে' বিজ্ঞ লোক পেলে তাকে মেনে নিন।
আপনি কি মনে করেন না যে কুরআন পরিপূর্ন এবং বিশদ ভাবে বিবরন করা হয়েছে? যদি মেনেই থাকেন যে কুরআন পরিপূর্ন, তাহলে হাদিসের প্রয়োজন কেনো আসবে?
০৩ রা জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৪
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই আমি আপনাকে একটু একটু বুঝতে পারছি এবং এখন স্পষ্টভাবে বিষয়গুলো অনুধাবন করছি।
আপনি এ কমেন্ট এবং পরের কমেন্টে মোটামুটি হাদিস, ইতিহাস, তারিখ, ইত্যাদির প্রয়োজনীয়তা একপ্রকার মেনে নিলেন।
কুরআন পরিপূর্ণ, কিন্তু কোন্ হিসাবে?
দিক্ নির্দেশনা হিসাবে। তথ্যের ভান্ডার হিসাবে নয়।
যদি তথ্যের ভান্ডার হিসাবে পরিপূর্ণ হতো, এনসাইক্লোপিডিয়া হিসাবে পরিপূর্ণ হতো, তবে আমরা ফিজিক্স পড়তাম না, কেমিস্ট্রি পড়তাম না, বায়োলজি পড়তাম না। কারণ ওইসব বইতে কিছুই এমন থাকতো না, যা ইতোমধ্যে কুরআনে সরাসরি অক্ষর টু অক্ষর নেই।
আমরা সাধারণ মুসলমানরা মনে করি, কুরআন বুঝি তথ্যের ভান্ডার হিসাবে পরিপূর্ণ। কীভাবে? ৬,৬৬৬ আয়াতে কী করে আমার ছেলের নাম যে রেজা, সেটা লেখা থাকবে? কিন্তু ইউকিপিডিয়ায় আমার জীবনী গেলে আমার ছেলের নাম যে রেজা, সেটা লেখা থাকবে। কারণ, তা ৬,৬৬৬ আয়াতে সীমাবদ্ধ নয়। কুরআনে প্রতিটা প্রজাতির নাম লেখা নেই, প্রতিটা মৌলিক পদার্থের নাম লেখা নেই, প্রতিটা যৌগিক পদার্থের নাম লেখা নেই, যেমন করে কুরআনে প্রতি ওয়াক্তের নামাজে কতবার কিয়াম রুকু সিজদা তাই লেখা নেই।
তাহলে কুরআন পরিপূর্ণ কোন্ অর্থে?
কুরআন পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা দানের অর্থে। কুরআনে নির্দেশনা আছে, এই রাসূল দ. কে মানো। তখন আমরা জানতে চাইবো, এই রাসূল দ. কী বলেছেন, তা তো মানার আদেশ আছে। তখন আমরা হাদীসের শরণাপণ্ন হবো।
নাকি কুরআনে এই রাসূলের জীবনী আছে ভাই? নেই। জীবনী আমাদের যোগাড় করতে হবে। আর তা নির্ভরযোগ্যটা। আর সেই নির্ভরযোগ্যটার অন্য নাম হচ্ছে, সহিহ হাদিস।
কুরআনে বলা আছে, ন্যায়বিচার করো। ন্যায়বিচারের চুলচেরা বিশ্লেষণ রাসূল পাক দ. আপন জবানে করেছেন। সেই বিশ্লেষণ ছাড়া সম্ভব না।
যেখানেই কাফির পাও হত্যা কর- এই আয়াত পড়ে আমরা মানুষ হত্যায় লেগে যাই না। কারণ, এর ব্যাখ্যা রাসূল আমাদের দিবেন, নিজে নিজে আবিষ্কার করব না।
কুরআনে বলা আছে, আমি আমার প্রিয় বান্দাদের যে কোনভাবে, তা লৌকিক হোক বা অলৌকিক, শ্রেষ্ঠত্ব দান করি, জ্ঞান দান করি, বুঝ দান করি, রক্ষা করি, সম্মানিত করি, পৃরো জগতসমূহে তাদের সুনাম ছড়িয়ে দিই, পুরো জগতসমূহ থেকে তাদের প্রতি সালাম আনয়ন করি। এজন্য যদি প্রকৃতির নিয়ম ভঙ্গও হয়, তাও হোক। কারণ, প্রকৃতি আল্লাহর নির্দেশের অধীন, আল্লাহ প্রকৃতির নিয়মাবলির মুখাপেক্ষী নন যে, তা ভঙ্গ করা যাবে না।
এবং আল্লাহ কুরআনের প্রতিটা পাতায় পাতায় প্রমাণ দিয়েছেন যে, প্রকৃতির নিয়মের তিনি থোড়াই পরোয়া করেন, আর এরই নাম আধ্যাত্মিকতা।
আশা করি প্রমাণ চাইবেন না ভাই। চাইলে ২০০ প্রমাণ কুরআনের আয়াত থেকে লিপিবদ্ধ করব।
অর্থাৎ, কুরআন এই নির্দেশনা দানে পরিপূর্ণ যে, আল্লাহতে ভরসা করো! আল্লাহকে ভালবাসো! আল্লাহ কুরআনে যা বলেছেন তা মানো এবং যা নিষেধ করেছেন তা মানো। তখন কোন হিসাবই আর হিসাব থাকবে না। তখন তোমাকে আল্লাহ আপন ক্ষমতাবলে সবকিছু দিবেন। ইলমে গায়েব বা অদৃশ্য জ্ঞান দিবেন। বীজ নেই তা থেকে গাছ দিবেন।
আল্লাহ নিজে তোমাকে কিছুতেই ভুল করতে দিবেন না। তিনি তোমাকে সরাসরি পরিচালিত করবেন মূসা আ., হারুন আ., ঈসা আ., রাসূলে পাক দ., সিদ্দিকে আকবর রা., ফারুকে আজম রা., যুন নূরাইন রা., মাওলা আলী রা., ইমাম হাসান রা., ইমাম হুসাইন রা.'র পথে।
এই কামনাই তো আমরা করি! তুমি পরিচালিত করো তাদের পথে, এবং পথটা সরল, অর্থাৎ তাদের একজন অন্যকে অতিক্রম করেননি, সব একইভাবে।
০৩ রা জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৩
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই আমারচে বিজ্ঞ পেলেই তো তাকে আমি মানব না। কারণ আমারচে বিজ্ঞ মানুষ কোন্ দিক দিয়ে আমাকে বিপথে চালিত করবেন, তার কোন নিশ্চয়তা নেই। নিশ্চয়তা দেন আল্লাহ ও তাঁর রাসূল দ.।
তাকেই মানব, যাকে আল্লাহ ও তার রাসূল দ. বলেছেন মানতে।
সে যদি পীর হয়, তাকেই মানব, মুর্শিদ হয়, তাকেই মানব, ওয়ালী হয়, তাকেই মানব, আলিম হয়, তাকেই মানব।
তাকেই মানব, যাকে সরল পথে রাখার কথা আল্লাহ দিয়েছেন।
আর যাকে আল্লাহ এই কথা দিয়েছেন, তাকে আল্লাহ ইলমে গায়িব দান করেন নিজের ইচ্ছানুযায়ী। এটাই তো ইলমে গায়িব, যে কোনটা ঠিক আর কোনটা ভুল সেটা মালিক তাকে দিয়ে ঠিকটা করিয়ে নেন, ভুল থেকে রক্ষা করেন।
আধ্যাত্মিকতা ছাড়া কুরআনের শুধু ভুল বোঝা, ভুল ব্যাখ্যা দেয়া সম্ভব। সঠিক বোঝা, সঠিক ব্যাখ্যা দেয়া কোনদিনও নয়।
আল্লাহ কুরআনে ওয়াদা করছেন, আর এই কুরআন দিয়ে আমি অসংখ্যকে করি পথভ্রষ্ট!
কেন তিনি করেন? কারণ, তারা পথভ্রষ্টতার বীজ নিজের ভিতরে বপণ করেছে। তারা ভুল হবার সমস্ত সম্ভাবনা নিজের ভিতর লুকিয়ে রেখেছে।
সুযোগ থাকা সত্ত্বেও জানার চেষ্টা করেনি, বিশ্লেষণ করেনি, তার রাসূল দ. কী বলে গেছেন। এই কথার উপরে আবার সাহাবা রা. গণ কী বলে গেছেন। এই কথার উপরে তাবিয়ি রা. গণ কী বলেছেন। মাজহাবের ইমাম কী বলেছেন।
আমি আমার মত কুরআনের ব্যাখা করতে চাইলে শুধু ভুলই করতে পারি। কারণ, আমাকে ভুল থেকে রক্ষার ওয়াদা আল্লাহ করেননি, রাসূল পাককে ভুল থেকে রক্ষার ওয়াদা আল্লাহ করেছেন। তাই রাসূল পাক কুরআনের কী ব্যাখ্যা দিলেন, পাগল হয়ে আমাকে সেই ব্যাখ্যা খুজতে হবে। বাতিল থেকে হক্ককে আলাদা করতে হবে।
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।
৩১| ০৩ রা জুলাই, ২০১৪ ভোর ৪:৩৪
পাউডার বলেছেন:
@মুদ্দাকির
আপনার বেশিরভাগ প্রশ্নই অবান্তর। তারপরও উত্তর দিচ্ছি। আশাকরি বুঝাতে সক্ষম হব।
১। আমি একবারও বলিনি আমি খলিফা উমর বা আবু হুরায়কে অসম্মান করছি। আপনার কি মনে হয় নামের পেছনে র: লিখলেই সম্মান দেয়া হল? র: তে কি আসে যায়?
২। নবীজি স: ইন্তেকালের ১৫০ থেকে ২২০ বছর পরে হাদিসের বই গুলো সংকলিত হয়। বুখারী সাহেব তার হাদিসের বইটি সংকলিত করার আগে মুসলিমরা কি অনুসরন করতেন? আপনার কি ধারনা?
৩। আপনি সম্ভবত বলতে চাইছেন যে কুরআন বোঝা মানুষের জন্য সম্ভব নয়।
চলুন দেখে নেই আল্লাহ কুরআনে কি বলেছেন:
১১:১ আলিফ, লা-ম, রা; এটি এমন এক কিতাব, যার আয়াত সমূহ সুপ্রতিষ্ঠিত অতঃপর সবিস্তারে বর্ণিত এক মহাজ্ঞানী, সর্বজ্ঞ সত্তার পক্ষ হতে।
৬:১১৪ তবে কি আমি আল্লাহ ব্যতীত অন্য কোন বিচারক অনুসন্ধান করব, অথচ তিনিই তোমাদের প্রতি বিস্তারিত গ্রন্থ অবতীর্ন করেছেন? আমি যাদেরকে গ্রন্থ প্রদান করেছি, তারা নিশ্চিত জানে যে, এটি আপনার প্রতি পালকের পক্ষ থেকে সত্যসহ অবর্তীর্ন হয়েছে। অতএব, আপনি সংশয়কারীদের অন্তর্ভুক্ত হবেন না।
৪১:৩ এটা কিতাব, এর আয়াতসমূহ বিশদভাবে বিবৃত আরবী কোরআনরূপে জ্ঞানী লোকদের জন্য।
এর পরও আপনি যদি না বোঝেন তাহলে ধরে নিতে হবে যে আপনি জ্ঞানী নন। এবং জ্ঞানীদের কাছে যাবেন, যে নিজে বোঝে।
৪। আপনার কি ধারনা আবু হুরায়রা হিজরতের সময় থেকে নবীজির সাথে ছিলেন?
৫। আমি হাদিসে বিশ্বাসী নই এটা আমি একবারও বলিনি। নবীজির প্রতিটি কথাই সত্য বলে মনে করি। তার মানে এই নয় যে তার নামে আজগুবী গল্প বানিয়ে আনলে সেইটা সাথে সাথে বিশ্বাস করা উচিত। আবু হুরায়রা নবী নন। তার ভূল থাকাই স্বাভাবিক।
৬। আধ্যাতিকতা নাই একথা কি আমি বলেছি? সালাত-যাকাত বাদ দিয়ে মিউজিক ছেড়ে নাচানাচিকে আধ্যাতিকতা বলে নাকি?
বাহাসের কোনো উদ্দেশ্য আমার নাই। কারো যুক্তি পছন্দ হলে তার কথাই সঠিক ধরে নেবার মানসিকতা আমার আছে। আপনিও আশা করি গো ধরে বসে থাকবেন না।
আমরা কুরআন বুঝে পড়ার চেস্টা করি, আশাকরি আল্লাহ আমাদের সহায়তা করবেন পথ দেখাবেন।
০৩ রা জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:১৯
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই, যদিও আপনি মুদ্দাকির ভাইর সাথে ইন্টারাক্ট করছেন, আমি এতে অংশ নিলাম।
১. র. তে আসলে কিছুই আসে যায় না। কিন্তু একটা ভয়ানক আক্বিদাত (ঈমানের খন্ডাংশ) প্রকাশিত হয়। যারাই র. বা আল্লাহ তাঁর উপর রাজি ও খুশি আছেন, এই ঘোষণাটা করে, তারাই সাহাবা রা. গণকে শ্রেষ্ঠতর, উত্তম, মহান, ইসলামের মৌলিক প্রচার প্রসারকারী হিসাবে মনোনীত হিসাবে বিবেচনা করেন। আর যারাই এই সামান্য অক্ষর আর সামান্য ফোঁটাটা দেন না, তারাই তাদের অতি সাধারণ, ক্ষুদ্র, ভুলত্রুটিতে ভরপুর, আল্লাহ কর্তৃক ব্যাপকভাবে সঠিক পথে পরিচালিত নন, এমনটা ধরে নেন।
ভাই একটা কথা মনে রাখবেন, আমি শিক্ষিত বলে ওপেন হার্ট সার্জারি করব না নিজের ওয়াইফের, সেটা ছেড়ে দিব অসাধারণ কোন সার্জনের হাতে। আমি পড়লে জানতে পারি এই আশায় নিজের ওকালতি নিজে করব না। আরে আমি শিক্ষিত, আমি বুদ্ধিমান, শুধু এই কারণে একটা গরু জবাই করার সক্ষমতাও তো আমার নেই। এই বিষয়ে দক্ষতার বিষয় আছে। আর সেই দক্ষতা তারই, যে এ নিয়ে পদ্ধতিগত পড়ালেখা করেছে, এ নিয়ে শুধু এই বিষয় নিয়ে তার জীবনে বিশেষজ্ঞতা আসছে। আপনি কিন্তু কখনোই শুধু বই পড়ে নিজের পাঠ্য বিষয় বোঝেননি, আপনার প্রফেসর অনেক অনেক অনেক আলোকবর্ষ এগিয়ে নিয়ে গেছেন মাত্র একটা লেকচারের পাঁচ মিনিট সময়ে।
আপনাকে কি আমি স্পর্শ করতে পারছি এবার?
অতি দক্ষ'র মুখাপেক্ষী হতে হবে। আর তিনি বিশেষজ্ঞ। আর অতীত বর্তমানের বিশেষজ্ঞ'র মধ্যে কে অগ্রগামী তাকে যে কোনভাবে খুজে বের করতে হবে। তার কথা যারা মেনেছে তাদের বের করতে হবে, এদের সম্মিলিত অনুসিদ্ধান্তে কোন ভুল আছে কিনা তা দেখতে হবে এবং আমি যেভাবে চিন্তা করছি, তা যদিও আপাত দৃষ্টিতে সঠিক ও সরল ভাবধারা, কিন্তু তাতে ওপেন হার্ট সার্জারির মত রিস্ক নেয়া যায় কিনা, সেটাও দেখতে হবে।
২. মুসলিমরা আগেও কুরআন অনুসরণ করতেন এবং এখনো কুরআনই অনুসরণ করেন। কারণ, আল্লাহ কুরআনে বলেছেন, এই রাসূল দ. আপন ইচ্ছা থেকে কোন কথাই বলেন না। তিনিই যাই বলেন তাই সরাসরি ওয়াহয়ি হয়ে থাকে।
অর্থাৎ, আল্লাহর বাকী ওয়াহয়িগুলো জানার জন্য হলেও রাসূল পাক নিজে যা বলেছেন, যা কুরআনের আয়াত নয়, তা অনুধাবন করতে হবে।
১৫০ থেকে ২২০ বছর যাবত কী অনুসরণ করতেন তবে শুনুন।
তাঁরা বলতেন, আমি অমুকের কাছ থেকে শুনেছি এবং অমুক অমুকের কাছ থেকে শুনেছেন যে, রাসূল দ. বলেছেন যে, কুরআনের এই আয়াতের যা অর্থ তুমি বলছ তা সম্পূর্ণরূপে ভুল বলছ। বরং অর্থটা হবে এই এবং এই অর্থের সত্যায়নে এই এই সময় রাসূল দ. আরো এই এই কথা বলেছেন।
আপনি কি ধরতে পারছেন ভাই? একেবারে প্রথম যুগ থেকেই। প্রথম থেকেই এ ধরনের অসংখ্য বিষয় প্রচলিত। তারা এটাই মানতেন। কুরআন এ কী বলা হয়েছে সেটা রাসূল দ.'র কথা অনুযায়ী মানতেন, আপন ইচ্ছানুযায়ী নয়, কারণ কুরআনের মাধ্যমে আল্লাহ অনেককে পথভ্রষ্ট করবেন এমনটা কুরআনে বলেছেন এবং কুরআনে তিনি বলেছেন যে, এই রাসূল দ. কে তিনি উত্তরোত্তর অগ্রগতি দান করবেন এবং এই রাসূল দ.'র অনুসরণই তাঁর অনুসরণ- ফলত এই রাসূল দ. কোন ভুল করবেন না।
৩. কুরআন বোঝা অবশ্য অবশ্যই মানুষের জন্য সম্ভব, কিন্তু কুরআন ভুল বোঝা অবশ্য অবশ্যই ওই একই মানুষের পক্ষেই সম্ভব। জ্ঞান কাউকে রক্ষা করে না। রক্ষাকর্তা আল্লাহ।
কুরআন বোঝা রাসূল দ. ও উলিল আমরের পক্ষে সম্ভব এবং কুরআন ভুল বোঝা আল্লাহ কর্তৃক প্রচন্ডভাবে সরলপথে চালিত ওই ব্যক্তিবর্গের পক্ষে অসম্ভব।
৪. রাসূল দ.'র সাথে কত সেকেন্ড থাকলেন, সেটা কি সত্যি গুরুত্বপূর্ণ? ঈসা আ. যখন কথা বলেন, সেটা কত ঘন্টা বয়সে বললেন সেটা গুরুত্বপূর্ণ, নাকি কে বলালেন, কীভাবে বলালেন, সেটা গুরুত্বপূর্ণ? যে আল্লাহ প্রয়োজনে কয়েক ঘন্টা বয়েসি ঈসা আ. কে দিয়ে কথা বলাচ্ছেন, এই আবু হুরাইরা রা. তো সেই আল্লাহরই প্রেরিত সমস্ত জগতসমূহের প্রতি একক রহমত তথা রাসূল পাক দ.'র কাছে সঙ্গলাভ করেছেন। সেই আল্লাহই তো সেই আবু হুরাইরা রা. কে দিয়ে যা করানোর তা করাচ্ছেন।
৫. ভাই, নবীর ভুল থাকা সম্ভব নয়। দারুণ। আর আল্লাহ যাকে পরিচালিত করবেন, ওই পরিচালনার বিষয়টায় তারও ভুল থাকা সম্ভব নয়। আল্লাহ কুরআনে শুধু নবীর কথা বলেননি। তিনি বলেছেন, তৃতীয় এক পক্ষের কথা, নিজেদের মধ্যে উপস্থিত সত্যপন্থী নির্দেশদাতাদের কথা। তারাও সত্যপন্থী নির্দেশদানে ভুল করতে পারেন না, তা করতে পারলে আর আল্লাহর পরিচালিত 'যাদেরকে তুমি পরিচালিত করেছ সেই পথে' কথাটা থাকে না এবং তাদের অনুসরণ করা আমাদের উপর ফরজ /ওয়াজিব থাকে না।
৬. নারে ভাই, সালাত সাওম বাদ দিয়ে মিউজিক ছেড়ে নাচানাচি করা আধ্যাত্মিকতা না। মুদ্দাকির ভাই কক্ষনো সেটা বোঝাননি। আমিও না।
আমরা আসলে এত প্রাথমিক বিষয়েই অস্পষ্ট যে, পরেরটুুকু আর কী বলব!
কেন পার্থিব হিসাবের মুখাপেক্ষী হচ্ছি আমরা?
আল্লাহ তখনি আমাদের সহায়তা করবেন, পথ দেখাবেন, যখন তার শর্তসমূহে আমরা বিনীত হয়ে আপতিত হব।
৩২| ০৩ রা জুলাই, ২০১৪ ভোর ৫:৫৬
মুদ্দাকির বলেছেন: @ পাউডারঃ আপনার কথা বার্তায় যুক্তি গুলো এ্যম্বিগুয়াস আপনি কি বলতে চান বা আপনার মনভাবটা কি তা একে বারেই স্পষ্ট নয়!!
১) আপনি অনেক জ্ঞানী কারন কুরয়ান আপনি নিজে বুঝেন, দয়াকরে আপাতত আমাকে সূরা নূরের ৩৫ নং আয়াত আর সূরা ইনশিরাহ এর ৫ আর ৬ নং আয়াত গুলো বুঝিয়ে দিবেন প্লিজ।
২) হাদীস মানেন জেনে খুশি হলাম!!
৩) হয়তবা আপনি জ্ঞানী আল্লাহ জানেন, কিন্তু আপনি অন্তরে বেয়াদব অথবা অহংকারী নতুবা "হযরত" ব্যাবহার করা বা " রাঃ " ইত্যাদি ব্যাবহার করার গুরুত্ব বুঝতেন, এগুলাতে তো আর যুক্তি দিতে পারবো না, তবে দেইখেন হযরত মুহাম্মাদ সাঃ এর বেলায় কিন্তু এমন কইরেন না!!!!
৪) নবীজি সাঃ এর ওফাতের পর থেকে যা চলে আসছিল হুট করে হযরত ইমাম বুখারী কি ১৫০ বা ২০০ বছর পরে সব কিছু তাঁর লেখনির মাধ্যমে পালটিয়ে দিলেন বিকৃত করে দিলেন, আর সমগ্র মুসলিম জাতি তাঁর বই গুলো নিয়ে অযোচিত উদারতা দেখাল?????????
৫) আধ্যাতিকতা কে মেনে নিলেন বলে প্রিত হলাম, কিন্তু আমি কখন বললাম মিউজিক ছেড়ে নাচানাচি করুন !!!! ????
৬) আপনি হাদিসে বিশ্বাস করেন আর হযরত আবু হুরাইরা রাঃ প্রতি বেয়াদবী করেন ব্যাপারটা কেমন জানি!!!! যাই হোক উনার প্রতি এত উষ্মার কারন কি আপনাদের, যদি বুঝিয়ে না বলেন, আমাদের মত মূর্খরা কিভাবে বুঝবে ?????
৭) ভাই, আপনি কিন্তু আমার অবান্তর একটা প্রশ্নেরো উত্তর দেন নাই!!! খুব সম্ভবত সেই জ্ঞান বা অত্নবিশ্বাস আপনি রাখেন না!! নিজেই এ্যম্বিগুইটির মধ্যে ঝুলে আছেন !!!
৩৩| ০৩ রা জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:১৪
পাউডার বলেছেন:
@মুদ্দাকির - আপনি কথার মারপ্যাঁচে আমাকে ফেলতে চাচ্ছেন।
আমি একবারও বলিনি নবী সঃ কে আমি মানি না, সাহাবীদের মানি না, হাদিস মানি না। আপনি আপনার লেখায় বার বার এগুলা প্রমাণ করতে চাচ্ছেন। এথেকে এটাই প্রমাণিত হয় যে আপনি তর্কের স্বার্থে তর্ক চালিয়ে যাচ্ছেন।
বুখারি সাহেব প্রায় ৭০,০০০ হাদিস সংগ্রহ করেছিলেন। তার মাঝে প্রায় ৯৯% শতাংশই জাল/জইফ প্রমাণিত হয়। তাহলে এই জাল হাদিস গুলো কে রচনা করলো? কিছু পথভ্রষ্ট সাহাবি, তাবে, তাবেঈনরাই নয় কি?
ঈসা আঃ এর সাহাবিদের নাম উচ্চারণের পরে কি রঃ বসবে না? নাকি ঈসা আঃ আপনাদের নবী নন?
আপনি কি বলতে চাইছেন সোজা ভাষায় বলুন। কুরআন কি মানুষের জন্য বোঝা সম্ভব নয়? আল্লাহ কি তাহলে কুরআন সম্পর্কে মিথ্যা বলছেন?
০৩ রা জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৬
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই জাল আর জয়িফ এর মধ্যে আকাশ পাতাল তফাত। আজকালকার প্রচারণার কতবড় ভয়ানক অসহায় শিকার আমরা, এই কথাই তার প্রমাণ।
জগতের কেউ বলবে না, আমার অপছন্দের খাবার এবং বিষ।
বিষ বিষই, আমার অপছন্দের খাবার আমার অপছন্দের খাবারই।
ভাই জাল হাদিসগুলো কর্পোরেটভাবে প্রবেশ করানো হয়েছে। সাংগঠনিকভাবে। আমাকে আবার বলবেন না, ইহুদির দোষ দিচ্ছি। ফ্যাক্ট ফ্যাক্টই। যত দোষ নন্দ ঘোষ নয়, কিন্তু নন্দ ঘোষেরও দোষ আছে।
কালিমা পাঠকারীদের মধ্যেও কিছু ব্যক্তি হাদিস জাল করেছে, তাদের নাম সাহাবী নয়, তাবিয়ি নয়, তাদের নাম মুনাফিক।
হাদিস জাল করা এত ভয়ানক একটা অন্যায় যে, এরপর সে মুসলিম থাকার কোন সুযোগই নেই। এটা মদ্যপান করা বা জিনা করার মত আমলী বিষয় নয়, বরং রাসূল দ.'র নামে মিথ্যা বলার মত ঈমানী বিষয়।
জ্বি। ঈসা আ.'র সাহাবীদের নামের সাথে রহমতুল্লাহি আলাইহি বা রাদ্বিআল্লাহু আনহু বলব। যার বিষয়ে আমি নিশ্চিত যে তিনি বাইবেল বিকৃত করেননি, তাকে রাদ্বিআল্লাহু আনহু বলব, যাঁর বিষয়ে নই, তাদের রহমতুল্লাহি আলাইহি বলব, যিনি বিকৃত করেছেন, তার বিষয়ে কিছুই বলব না।
আমরা কিন্তু অলরেডি বলি। হজরত মারইয়াম এর নামের শেষে কিন্তু আমরা আলাইহাস সালাম অথবা রাদ্বিআল্লাহু আনহা বলি। একই কথা বিবি হাওয়া, বিবি সারা, ইউশা বিন নূন আলাইহিমুস সালামের ক্ষেত্রে বলি!
কিন্তু একটা কথা খুব স্পষ্ট করে আমাদের জানতে হবে, আমি যেমন আমাদের তাবিয়িদের মত নই, তাবিয়িরাও সাহাবাদের মত নন এবং আমাদের রাসূল যেমন অন্য সব নবী রাসূলে মত নন তেমনি অন্য সব নবী রাসূলের সাহাবাও আমাদের রাসূলে সাহাবার মত নন।
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া আসহাবিহি ওয়াসাল্লাম।
কুরআন শতভাগ মানুষের পক্ষে বোঝা সম্ভব। কিন্তু যতক্ষণ আল্লাহর রহমত রয়েছে। যেখানে সুযোগ আছে রাসূল দ. কী বলেছেন তা জানার, সেখানে তা জানার চেষ্টা না করে নিজে নিজে বোঝার চেষ্টা করলে নিশ্চিত, আল্লাহ ৬,৬৬৬ আয়াতের প্রতি কণার অর্থ দয়া করে ঢেলে দিবেন।
তাহলে তো এই প্রশ্ন আসে, এই কুরআন দিয়ে অনেককে করেন পথভ্রষ্ট।
এই আয়াতেও তো রাব্বুল ইজ্জাত ভুল বলেননি। মিথ্যা বলেননি।
তাহলে এই দুই আপাত পরস্পর বিরোধী আয়াতের সাযূজ্য কীভাবে পাবেন? রাসূলে পাক ও তাঁর পরিবার, আসহাব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া আসহাবিহির শরণাপণ্ন হতে হবে।
৩৪| ০৩ রা জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৮
নতুন বলেছেন: সাইয়্যিদুনা আমীর মুআবিয়া রা.'র নামের সাথেও সম্মান জানানো আপনার কপালে নেই। কারণ অহংকারী। নিজের সাথে তাদের তুলনা দিতে বাঁধে না। আর অহংকারী শব্দের আরবী অর্থ হচ্ছে ইবলিশ।
যাকে আপনি এতো বড় করে দেখছেন তার নিজের ছেলে কিভাবে এই শিক্ষা পেলো না আর রাসুল সা: এর নাতীকে হত্যা করলো???
ইসলামের ইতিহাসে অনেকটাই সুগার কোটিং দেওয়া.... সাহাবীরা যদি এতোই ভাল হইতো তবে তিন জন খলিফার মৃত্যু কিভাবে হইলো????
তাদের হত্যাকারীর বিচার কিভাবে হয়েছিলো??
আলী রা: এর করব কোথায়???
০৩ রা জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:০৯
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: দর্শনমূলক: ইতিহাস বিবেচনার পিছনে এলোমেলো ভাবনা নয়, এলোমেলো ঘটনা নয়, বরং সামগ্রিক বিচার প্রবাহ প্রধান
ভাই একটু ঝগড়া করি?
সন্তানের জন্য পিতাকে দায়ী করা হবে না- কুরআনের আয়াত।
এক কথায় শেষ।
এবার আসেন ইতিহাস বিষয়ে-
ইসলামের ইতিহাসে না আছে ইসলাম, না আছে ইতিহাস। ইসলামের ইতিহাস পয়েণ্ট অভ ভিউ ছাড়া পড়তে গেলে কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না।
আমাকে উল্টা এটা বোঝান, ইসলামের ইতিহাস পড়ার পর আপনি মুসলিম থাকলেন কী করে? আমি যদি বস্তুতান্ত্রিকভাবে ইসলামের ইতিহাস পড়তাম আপনাদের মত, আর আপনাদের মত দোষ ত্রুটি হিসাব করতাম, তাহলে খোদারই কসম, মুসলিম থাকতাম না।
আসলেই কিন্তু! এই যে ইতিহাস, গান্ধা বাজে ইতিহাস, এ থেকে কী ভাল পান, আর সেই ভাল দিয়ে কী ইসলাম পান রে ভাই!
যখন পর্যন্ত আমি হাইড্রোজেন, অক্সিজেন আর কার্বনের জোজনী না জানছি, ততক্ষণ পর্যন্ত বারবার প্রশ্ন করতেই থাকব, অক্সিজেন কেন দুইটা হাই কে নেয়? কার্বন কেন দুইটা অক্সিকে নেয়? আবার কার্বণ কেন চারটা হাইকে নেয়?
কিন্তু যখনি যোজনী তথা অভ্যন্তরের হিসাবটা আমার কাছে পরিষ্কার হয়ে যাবে, মুখে মুচকি হাসি ছাড়া কিছু থাকবে না।
আপনি আমার কথা বুঝতে পারছেন তো?
মনে হয় না।
আরো ক্লিয়ার করি। জোজনী- কথাটা কিন্তু অ্যালিগরি করে বলিনি। সত্যি সত্যি বলেছি। আসলেই, ইসলামের প্রতিটা বিষয়, সকল প্রশংসা আল্লাহর, আমাকে জিগ্যেস করুন, আপনাকে বোধমূলক উত্তর সাপ্লাই দিব। কীভাবে?
আমি নিশ্চয়তা সহ নিশ্চিত জানি যে, আমার বোধ ওইদিকেই চালিত হবে যেদিকে আল্লাহর প্রিয়জনরা চালিত হয়েছেন, এবং যেহেতু আল্লাহর চালিত করতে কোনই ক্ষমতার সমস্যা নেই, তাই আমারও বিন্দুমাত্র ভয় নেই, যে ভুল হবে এবং ভুল হবার কোনই সম্ভাবনা নেই যেহেতু তিনি সুস্পষ্টভাবে তাঁর সরল পথের উপর রেখেছেন।
দুনিয়ার প্রতিটা রাসায়নিক বন্ধনের হিসাব কীভাবে দিব?
আমি কি সৃষ্টি জগতের লক্ষ লক্ষ কোটি ভিন্ন ভিন্ন যৌগের প্রতিটার সবকিছু জানি?
নারে ভাই।
শুধু একশোর উপরে মৌলিক পদার্থের প্রতীক, সংকেত ও যোজনী জানি।
বিষয়টা কি স্পষ্ট করতে পারছি?
আপনার সমস্যা প্রতীক, সংকেত ও যোজনীতে- অর্থাৎ মৌলিক আক্বিদাত ও দর্শন/দৃষ্টিকোণ এ। প্রতিটা যৌগের ইন্ডিভিজুয়াল গঠনে নয়- অর্থাৎ ইতিহাসের প্রতিটা ভিন্ন ভিন্ন ঘটনায় নয়।
ইতিহাসের একটা একটা বিষয়ের সমাধান দিব, আপনি খুশি হবেন, ফ্যাসিনেটেড হবেন, বেটার, ব্যাকগ্রাউন্ডের দৃষ্টিটায় চলে আসুন।
০৩ রা জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:২২
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাগ -২:
মাওলা আলী রা.'র কবর যেখানে আছে, সেখানেই। অর্থাৎ, আপনি তো সেই কথাই বলবেন, যে তাঁর কবর ছিল অচিহ্নিত, একটা টিলায় কুকুর আর হরিণকে তাড়া করছিল না, কী এ জায়গা হতে পারে? যেখানে শিকার ও শিকারী উভয়ে স্থবির হয়ে পড়ে? সম্ভবত বাদশা হারুন উর রশিদ খোঁজ করে স্থানীয়দের থেকে জানতে পারেন, এই হল মাওলা আলী রা.'র রওজা।
তিনি স্বর্ণবাধাই করেন, বিশাল কমপ্লেক্স করেন।
বললে এটুকু বলতে পারেন, হারুন উর রশিদ ধার্মিকদের সাপোর্টের জন্য এ কাজ করেছে, বানোয়াট, তাই না?
মাওলা আলী রা.'র গুরুত্ব আল্লাহর কাছে কতটুকু তাই বলি। রাসূল দ. বলছেন, মূসা আ.'র কাছে হারুণ আ.'র গুরুত্ব যত, আমার কাছে আলী' রা.'র গুরুত্ব তত।
এখন, আপনি জানেন, কুরআনে আল্লাহ একেকজন নবী আলাইহিমুস সালামকে কীভাবে মহান থেকে মহানতর রূপে উপস্থাপন করেছেন, যদি আল্লাহ সেই কুরআনিক জ্ঞান আমাদের পড়ার পর দান করেন।
ঈসা আ.'র বাবার চিহ্ন'র প্রমাণ জানতে চাওয়া আর আলী রা.'র রওজা আবিষ্কারের পিছনে রুহানী ঘটনাকে হাস্যকর বা অনির্ভরযোগ্য বলা কি একই প্রকার নয়?
মূসা আ'র লাঠিকে সাপ করা আর আলী রা.'র ক্ববরে আনওয়ারের এলাকায় শিকার ও শিকারী উভয়ের শ্রদ্ধায় স্থবির হয়ে যাওয়া কি একই প্রকার নয়?
মিসরের খাদ্যমন্ত্রীর মাধ্যমে ইউসূফ আ.'র সম্মান ও প্রতিপত্তি চিহ্নিতকরণ, ফিরআউনের মাধ্যমে মূসা আ.'র মহত্ত্ব ও বিশালতা চিহ্নিতকরণ, নমরুদের মাধ্যমে ইব্রাহিম আ.'র মহত্ত্বের বিস্তৃতকরণ- সেই একই প্রকিয়া নয় কি, হারুন উর রশিদ নামের আরেক রাজার মাধ্যমে মাওলা আলী রা.'র রওজার পুনর্জাগরণ?
আপনিই বলেন না, আল্লাহ তাঁর প্রত্যেক মাহবুব বান্দার বিষয়ে যে পরিমাণ সতর্ক, তাঁদের সম্মান ও তাঁদের আনুগত্যের বিষয়ে যে পরিমাণ স্পর্শকাতর, সমগ্র কুরআনে, সেই আলোকে আলী রা.'র বিষয়ে তাঁর পদক্ষেপটা কেমন হতে পারে, যদি আসহাবে ক্বাহাফের তিনজনের কবর তিনি এভাবে উন্মোচিত ও সংরক্ষিত করতে পারেন!
(লক্ষ্য করুন, আলী রা. নবী নন, কিন্তু রাহমাতাল্লিল আলামীনের কাছে একজন মহান নবীর মর্তবার সমান, নবী না হয়েও।)
০৩ রা জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:৩২
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: তিনজন খলিফার মৃততু হইল শুয়ারের হাতেরে ভাই।
বনী ইস্রাইলের অসংখ্য নবীর মৃততু হয়েছে শুয়ারের হাতে।
রাসূল দ.'র দুই নাতি, আলী রা.'র ১০/১২ সন্তানের মৃততু হয়েছে শুয়ারের হাতে।
এখন, শুয়ারকে সাহাবী বলবে কে?
এইখানেই আমরা চরম অস্বস্তিতে থাকি। অকল্পনীয় যন্ত্রণার ভিতর দিয়ে যাই। আমরা এত বেশি সস্তা হয়ে গেছি যে, তিন খলিফা, শুহাদায়ে কারবালার তাদেরও মুসলমান জানি, আবার যে শুয়ারগুলা তাদের হত্যা করল, ওদেরও মুসলমান জানি।
আমাদের দর্শন, আমাদের আক্বিদাত, আমাদের ঈমানের এই মৌলিক দিকটাতেই তো সমস্যা। আমরা আগেও সবাইকে এক কাতারে ফেলছিলাম, এখনো তাই করছি।
তিন খলিফার হত্যাকারীর বিচার এখনো হয়ত হয়নি।
ওয়াল্লাহু আহকামুল হাকিমিন।
দুনিয়ার বিচারের মূল্য আছে, তা অতি সামান্য।
আপনি কি একটা বিষয় ধরতে পারছেন, যেখানে ইসলামের প্রথম এবং সর্বজন স্বীকৃত চার খলিফার তিন খলিফাই মারা গেলেন 'মুসলিম' দের হাতে এবং নবী দ.'র পরিবারও মারা গেলেন 'মুসলিম' দের হাতে, সেখানে ইসলাম ধর্মই আপনার চোখের সামনে ধ্বসে যাচ্ছে?
আপনার চোখে এই প্রশ্ন চলেই আসছে, যে, এ কেমন ইসলাম যা প্রথম ত্রিশ বছরেই নিজে নিজে আত্মবিধ্বংসী হয়েছে!
কারণ, হিসাবের মূল ছকটা, যা চোখের সামনে স্পষ্ট হওয়া মাত্র মুচকি হাসি চলে আসবে, তা স্পষ্ট নয়।
ভাই চালিয়ে যান। প্লিজ। যদি একই ধারায় একাধারে বলতে থাকেন, হয়ত বিষয়টা স্পষ্ট হয়েই উঠবে।
০৩ রা জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:১২
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: কারবালায় আহলে বাইতের প্রায় সব সদস্য এবং তিনজন খলিফার মৃততু কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং চরম ও পরম আধ্যাত্মিকতা।
নবী আ. গণ শাহাদাত প্রার্থণা করতেন। তিন খলিফা রা. গণও শাহাদাত প্রার্থণা করতেন। দয়াময় রাসূল দ.'র পরিবারের সদস্যরাও তেমনি।
যারা দুনিয়াবি ক্ষমতাকে, লোভ-লালসাকে, আপন নফসের ইচ্ছাকে, আপন সম্মানকে প্রাধান্য দান করে আনুগত্য-মেনে নেয়া-আদেশ মানা'র উপরে, পরিপূর্ণ আত্মসমর্পণের উপরে, তাদের ইসলাম থেকে পৃথক করার উদ্দেশ্যে আল্লাহ এই সুযোগ তাদের দিয়েছেন। তারা হত্যা করার সুযোগ পেয়েছে। হত্যা করেছে।
অপরদিকে, সাইয়্যিদি সিদ্দিকে আকবর, ফারুকে আজম, যুন নূরাইন, মাওলায়ুল ক্বুলুব, ইমামুল মুজতবা, ইমামে আলী মাক্বাম রাদ্বিআল্লাহু তাআলা আনহুম- এঁরা সবাই সর্বান্তকরণে শাহাদাত প্রার্থণা করেছেন। যেন আল্লাহ ও তাঁর রাসূল দ.'র সার্বিক আনুগত্য, পূর্ণ আত্মসমর্পণের কারণে তাদের প্রাণ আল্লাহর পথে বিলীন হয়।
তাঁরা সকলেই সাহাবী, সকলেই নবী করিম রউফ রহিমের দ. অতি নিকটের, সকলেই রক্তের সম্পর্কে, পরিবারের সম্পর্কে এবং বিবাহের সম্পর্কে উপর্যুপরি সম্পর্কযুক্ত।
করুণার আধার রাসূল দ. নিজে বলতেন, প্রভু হে! তোমাকে ভালবাসি, তোমাকে মানি, এজন্য আমাকে শহীদ করা হোক, আবার জীবিত করে আবার শহীদ করা হোক, আবার জীবিত করে আবার শহীদ করা হোক।
অর্থাৎ, মহান খোদার প্রেমে, রাসূলে দ. প্রেমে নিজের সবটুকু বিলিয়ে দেয়ার সর্ব্বোচ্চ প্রার্থণা তাঁরা করতেন, রাসূল দ.'রই শিখানো পথ ধরে।
আল্লাহকে ভালবাসা, তাঁর রাসূল দ. কে ভালবাসা, তাঁর দ্বীনকে ভালবাসা কোন থিওরির বিষয় নয়, এমনভাবে কামনা করার বিষয়, যেন কোন কিছুতেই কিছু এসে যায় না।
এই কামনাই করেছেন ফাতিমাতুয যাহরা সালামুল্লাহি আলাইহা। তিনি আপন স্বামী, আপন সন্তানদ্বয়, আপন পরিবার, সম্পদ, সম্মান, ক্ষমতা, সুখ- সবকিছুকে বারবার বারবার কুরবান করেছেন শুধু মুখে নয়, বরং তাঁরই মহান পিতার দেখানো পথে সরাসরি প্রার্থণা করেছেন।
শুধু ব্যক্তি মাতা ফাতিমা রা. নন, বরং তাঁর পরিবারের সদস্যগণও কায়মনোবাক্যে তাই চাইতেন।
আর আল্লাহ তাঁর এই অতি প্রিয় বান্দাদের এই প্রার্থনা কবুল করে নিয়েছেন যেন তাঁরা সকলে সাহাবির সম্মান তো পাবেনই, সিদ্দিকের সম্মান তো পাবেনই, সালিহিনের সম্মান তো পাবেনই, শুহাদার সম্মান-উচ্চতা-মাক্বামও-পদ-সওয়াবও পান।
এখন, একটা বিষয় দেখুন, পার্থিব-অপার্থিব সর্বক্ষেত্রে রাসূল পাকের দ. খলিফাগণ এবং আহলে বাইতগণ সবদিক দিয়ে সুন্নাহ কামনা করতেন। যা পালন করা সম্ভব নিজের ক্ষমতায় তা পালন করতেন এবং যা পালন করা সম্ভব নয়, তা কামনা করতেন যেন আল্লাহ ব্যবস্থা করে দেন।
তাইতো আমরা দেখি, তিন খলিফাই ৬৩ বছর বয়সে প্রভুর সান্নিধ্যে চলে গেছেন। কতবড় আধ্যাত্মিক বিষয় এটা! মরণেও রাসূল পাকের সুন্নাহ পালিত হয়েছে। আহলে বাইতে রাসূল দ.'র বেশিরভাগ সদস্যই চলে গেছেন ৬৩ বছর বয়সের আগে।
রাসূলে পাক দ. বলেছেন, সংক্ষিপ্ত জীবন তিনি চান। আল্লাহর সান্নিধ্য দ্রুত তিনি চান। সেই একই বিষয় তাঁরাও চেয়েছেন।
রাসূলে রাব্বিল উলা দ. বলেছেন, মৃততু হল বন্ধুর সাথে বন্ধুর মিলন। তিনি যে সংক্ষিপ্ত কর্মময় পূর্ণ জীবন চাইতেন, এর পিছনে ছিল আল্লাহর সাথে মিলিত হবার সেই আকুলতা, যা সূফি স্পর্শ ছাড়া এম্নি এম্নি অনুভব করা অবাস্তবই বলতে হবে।
আর আল্লাহ তো বলেছেন, তারা সেই বান্দা, যারা মহান রবের মুখ দর্শনের জন্য (যেভাবে অমুখাপেক্ষী রবের জন্য শোভা পায়) অস্থির হয়ে থাকে, তার সাথে সাক্ষাৎ কখন হবে এই আশায় থাকে।
কারা সেই বান্দা? নিশ্চই মানবের মধ্যে নবীগণের পর শ্রেষ্ঠ যিনি, সেই সিদ্দিকে আকবর তাদের অন্তর্ভুক্ত। নিশ্চই মুস্তাফা দ.'র পর যিঁনি নবী হওয়ার যোগ্য সেই ফারুকে আজম তাদের অন্তর্ভুক্ত। নিশ্চই যাঁর জন্য রাসূল দ. প্রয়োজনে আরো কন্যা থাকলে আরো কন্যাকে বিয়ে দিতেন সেই যুন নূরাইন তাদের অণ্তর্ভুক্ত যিনি সাহাবাদের মধ্যেও অধিক তাক্বওয়াবান! নিশ্চই জ্ঞানের একমাত্র শহরের একমাত্র দরজা, রাসূল দ. কে যারা মাওলা মানে তাকেও মাওলা মানতে হবে, মূসা আ.'র কাছে হারুন আ. যেমন তেমনি রাসূল দ.'র কাছে যিনি তিনিও সেই অতি স্বল্প সংখ্যকদের অন্তর্ভুক্ত। নিশ্চই যিনি জান্নাতের সমস্ত রমনীদের অধিকারিনী, যে দুই ভাই জান্নাতের সমস্ত পুরুষদের অধিকারী তারাও সেই স্বল্প সংখ্যক খোদার প্রকৃত প্রেমীর অণ্তর্ভুক্ত! বরং সবচে অগ্রসরদের মধ্যে অন্যতম!
রাদ্বিআল্লাহু আনহুম।
তাদেরকে শহীদ না করে তো শাহাদাতের অনন্য মর্যাদা দান করার উপায় নেই।
আর তাদেরকে শহীদ হওয়ার সুযোগদানের মাধ্যমেই কারা আপন নফসের তাবেদারী করে, কারা শয়তানের আনুগত্য করে, কারা আল্লাহ ও তার রাসূল দ.'র অনুসারী নয়, তাদের পরিচয় প্রকাশ পায়।
তা নাহলে তো সকল নামাজকারীকেই আমরা সঠিক ধরে নিতাম। তা নাহলে তো সকল রোযাকারীকেই আমরা ঠিক করে নিতাম। কিন্তু নামাজ, রোজা, কালিমা, হজ্ব, যাকাতের পাশাপাশি আরো কিছু আছে, যা ইসলামের মৌলিক বিষয়, আর তা হল, আতি উল্লাহি ওয়া আতিউর রাসূলা ওয়া উলিল আমরি মিনকুম!
যে-ই এই উলিল আমরি মিনকুমকে চেনার পরও তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ধারণ করল, সেতো রাসূল পাক দ.'র বিরুদ্ধে অস্ত্র ধারণ করল, আল্লাহর বিরুদ্ধে অস্ত্র ধারণ করল।
তাই আনুগত্যের ধারা, সমর্পণের ধারা, যাকে প্রকৃতপক্ষে সিরাতুল মুস্তাকিম বলা হচ্ছে, আগে যারা গেছে তাদের মানার ধারা- এটাই তো আমরা পড়ি সূরা ফাতিহায়। প্রতিদিন, প্রতি ওয়াক্তে, প্রতিক্ষণ, তবু বুঝতে পারি না।
আনুগত্যের ধারা স্পষ্ট করার জন্য এই শহীদ হওয়ার সুযোগ রাখা। আল্লাহর অতি নিকটে যাবার জন্য এই শহীদী। যে কোন ক্ষমতার কাছে মাথা নত না করে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল দ.'র মনোনীতের কাছে আনুগত্য করা শিখানোর জন্যই এ ঘটনা।
৩৫| ০৩ রা জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:৪৯
মুদ্দাকির বলেছেন:
@ পাউডার
ভাই আপনাকে কথার মারপ্যাঁচে ফেলে আমার লাভ ??? না ভুল বুঝবেন না!! আমি আসলেই ক্যাচাল প্রিয় না, অনেক চেষ্টা করি দেখেও না দেখার, কারন আমার জ্ঞান সীমিত, অনেকে অনেক ভালো জানেন, তাদের সাথে জ্ঞানের টক্কর দেয়া আমার কাজ না। আমি এই ব্লগে শুধুই নিজে সামান্য যতটুকু বুঝি আর সময় পাই তা দিয়ে মুসলমান ভাইদের একটু চিন্তা করাতে চাই, ব্যাস, আর কিছু না।
আপনার কথার ধরন খুব ঔদ্ধত্ত পূর্ন মনে হয়েছে এখান কার কমেন্ট গুলোতে, হতেই পারে আপনি হয়ত অনেক জানেন, যাদের আপনি পছন্দ করছেন না তাদের ইতিবৃত্তি হয়ত আপনার জানা। কিন্তু ভাই মুসলিম বিশ্বে তাঁরা সকলেই একেক জন আলোর দিশারি। তাই একটা প্রতি মন্তব্য করতে বিবেক দ্বারা বাধ্য হয়েছি!!!!
আর আপনি বললেন আপনি কুরয়ান ভালো বুঝেন তাই বুঝতে চাইলাম, জানতাম আপনি কোন কিছুরই উত্তর দিবেন না, তবুয় আপনার ঔদ্ধত্ত দেখে আশা করেছিলাম যে আপনি উত্তর দিতে পারবেন।
হযরত ইমাম বুখারি রাঃ এর লিপিবদ্ধ করা হাদিস গুলো যে জাল তা কারা প্রমান করল?? তাদের জ্ঞানের ভিত্তি কি ?? আর অবশ্যই এর ১০০% ঠিক নাও হতে পারে কারন এটি কুরয়ান নয়, কিন্তু ৯৯% ভুল কে বলল?
আর কোন কিছু আপনি বা অন্য সাধারন ৫ জনের জ্ঞানের দ্বারা বুঝা সক্ষম যদি না হয়, তার মানেতো এই না যে ঐ ব্যাপারটি অবশ্যই ভুল??? একজন ডাক্তার যদি আপনাকে বলে একজন শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত ব্যাক্তিকে উনি গলা কেটে দিয়ে বাচাবেন আপনি একজন সাধারন হয়ে কি বুঝবেন, না মেনে নিতে পারবেন???
আর অবশ্যই হযরত ঈসা আঃ এর অনুসারীদেরও আপনি উপযুক্ত সম্মান দিবেন, কিন্তু আগেতো চিহ্নিত হতে দিন যে কে বা কারা তাঁর প্রকৃত অনুসারী ছিলেন আর কারা ছিলেন ভ্রান্ত !!!! কারা তাকে তাঁর স্বর্গ গমনের আগেই আস্বীকার করে বসে ছিল আর কারা অটল ছিল !!!! কারা ভ্রান্ত ইহুদিদের সঙ্গি হয়েগিয়েছিল, এগুলোর ইতিহাস কিন্তু স্পষ্ট নয়!!!!
আসহাবে কাহাফদের কথা কুরয়ানে উল্লেখ করে কি তাদের সাম্মানিত কারা হয় নি ?? তাই তাদের সম্মান নিয়ে কোন প্রশ্ন নাই, প্রশ্ন হল তাঁর প্রকৃত অনুসারী কারা???? আর যদি সম্মানের তুলনা করতে বলেন হযরত মুহাম্মাদ সাঃ এর সাহাবীগনের সাথে তাহলে বলব, তুলনাই হয় না। নবীজি সাঃ এর উম্মতগনও তো অন্য সকল নবী রাসূলের উম্মত গনের চেয়ে বেশী সম্মানিত বলেই জানি।
কি জানি জানায় ভুল থাকতেই পারে।
নিজে যা বুঝেন তার উপর ভিত্তি করে যা ইচ্ছা বলবেন, কিন্তু কোন প্রশ্নেরই উত্তর দিবেন না!! কিন্তু আবার এও বলবেন যুক্তি ভালো হলে মেনে নিবেন, কেমন জানি আপনার কথা!!!! এই রকম হলে উল্টা পালটা বা সাধারনের বুঝার উর্ধে মন্তব্যই বা কেন করেন??????
দুঃখিত অনেক কষ্ট দিলাম আপনাকে, এই রমজানে।
রামজান মুবারাক।
@ লিসানি ভাইঃ দুঃখিত ভাই আপনার পোষ্টে বিরক্ত করবার জন্য!!! আমি হতাশ , নিজের বা নিজেদের ব্যাক্তি জীবনের হতাশার দ্বায়তো মনে হচ্ছে এখন সব সাহাবী রাঃ দের ঘাড়ে গিয়ে পড়বে!!! এটা কি ভাই এই যুগের নতুন স্টাইল মনে হচ্ছে!!!???
০৩ রা জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:২৯
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই, প্লিজ, তর্ক হলে হোক, অস্বস্তি বোধ করবেন না। ব্যক্তিগত আক্রমণ আমিও করে বসেছি তাঁকে, সেটা অনেকখানিই। তিনিও খানিকটা করছেন। এরচে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করি, আমরা প্রত্যেকেই, অসাধারণভাবে যে বিষয়গুলো বোঝার চেষ্টা করছি, সেটা।
৩৬| ০৩ রা জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৪
যান্ত্রিক বলেছেন: আসসালামু আলাইকুম।
ভাই, আসহাবে সুফফা (রা)-গণের সম্পর্কে সীরাত গ্রন্থগুলোতে আমি যা পড়লাম তা হলো, তাঁরা ছিলেন অতি দরিদ্র, নিজেদের থাকার জায়গা ছিল না, তাই তারা মসজিদের বারান্দায় থাকতেন।
বুখারী শরীফের ১ম খন্ডে কিতাবুস সালাত অধ্যায়ে আছে, "আবু কিলাবা (র) আনাস ইবনে মালিক (রা.) থেকে বর্ণনা করেনঃ উকল গোত্রের কতিপয় ব্যক্তি নবী (সা.) এর নিকট আসলেন এবং সুফফায় অবস্থান করলেন। আবদুর রহমান ইবনে আবু বকর (রা.) বলেন, সুফফাবাসিগণ ছিলেন দরিদ্র।"
পরে কথা হবে ইনশাআল্লাহ।
০৯ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:৪৩
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ওয়া আলাইকুমুস সালাম ভাই। আপনি মন্তব্য করার পর প্রথম ভোরেই লিখেছিলাম, কিন্তু কোন কারণে সেটা পোস্ট করতে পারিনি।
সূফিরা যে আসহাবে সূফফা রা. গণকেই মানেন, বা শুধু আসহাবে সূফফা রা. গণের পদাঙ্কই অনুসরণ করেন, তা নয়।
সুফফাবাসী রা. গণ অবশ্যই দরিদ্র ছিলেন। তাঁদের মধ্যে কেউ বিবাহ করলে তাঁকে সুফফায় থাকতে দেয়া হত না এবং কেউই প্রচলিত ব্যবসা বা চাকরি করতেন না। বরং কমুনিটি বেসিসে একত্রে সামান্য কাজ করতেন এবং বাকি সময়ে রাসূল দ.'র মসজিদের বারান্দার ছাউনিতে অবস্থান করে রাসূল দ.'র অধিক নৈকট্য লাভের চেষ্টা করতেন।
রাসূল দ. তাঁদের ব্যতীত খাদ্য গ্রহণ করতেন না।
এমনো হতে পারে, যে কোন কোন দরিদ্র সাহাবা রা. দারিদ্রের কারণে আসহাবে সুফফার অণ্তর্ভুক্ত হয়েছেন। কিন্তু মূলত আসহাবে সূফফা হল সবকিছু স্থগিত রেখে রাসূলে পাক দ.'র অধিকতর নৈকট্যের বিষয়।
৩৭| ০৩ রা জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:০৪
রাবার বলেছেন: কুরআন হাদিস সম্পর্কে মজবুত ধারনা আর পোক্ত ঈমান না হলে সুফিবাদ এর ধারের কাছে না যাওয়াই উত্তম , ফিতনা সৃষ্টি হতে বাধ্য সোহেলি আপা ঠিকই বলছে +++++++
০৫ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:১০
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: কুরআন আর হাদীস সম্পর্কে সেই মজবুত ধারণাটা কোত্থেকে নিবেন ভাই?
কাদিয়ানিদের এমটিভি থেকে?
আইআরএফ এর পিস টিভি থেকে?
শিয়াদের হাদি টিভি থেকে?
আহলে সুন্নাতের মাদানি চ্যানেল থেকে?
সূফিবাদীদের কিউটিভি থেকে?
নাকি পাড়ার মসজিদের মুআজ্জিন/ইমাম, মোড়ের মুখের ওয়াজ করতে আসা ব্যক্তি?
নাকি টপাটপ অনুবাদ খুলবেন আর ধারণা নিবেন কুরআন আর হাদীস সম্পর্কে? তাও আবার পোক্ত!
নাকি যে-ই বলবে, সার্টিফিকেট শো করবে মাদ্রাসার, তার কথাই ভালভাবে শুনবেন এবং এভাবে কুরআন ও হাদীস সম্পর্কে ভাল ধারণা নিবেন? নাকি নিজেই মাদ্রাসায় ভর্তি হয়ে যাবেন? কোন্ মাদ্রাসায়? পৃথিবীতে এট লিস্ট ২০০ মতবাদের মাদ্রাসা রয়েছে, যার একটার সাথে আরেকটার অন্তত ২০% জরুরি ফারাক। কোনটায়?
আশা করি অনুভবে স্পর্শ করল কথাটুকু।
৩৮| ০৩ রা জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:১৮
পাউডার বলেছেন: @মুদ্দাকির-
আপনার প্রশ্নের উত্তর দেবার পরও আপনি বার বার বলছেন যে উত্তর দেয়া হয় নি। তাই এবার লাইন ধরে ধরে দিচ্ছি।
আপনার প্রশ্ন:
হযরত ইমাম বুখারি রাঃ এর লিপিবদ্ধ করা হাদিস গুলো যে জাল তা কারা প্রমান করল?? তাদের জ্ঞানের ভিত্তি কি ?? আর অবশ্যই এর ১০০% ঠিক নাও হতে পারে কারন এটি কুরয়ান নয়, কিন্তু ৯৯% ভুল কে বলল?
উত্তর: বুখারি সাহেব নিজেই বলে গেছেন। বুখারি সাহেব তার জীবদ্দশায় ৬ লাখ*** হাদিস মুখস্ত/সংগ্রহ করে ছিলেন। আর সহিহ-বুখারিতে রেখেছেন ৭,১৭৫ টি। আশাকরি পরিস্কার বুঝতে পেরেছেন।
*** বুখারি সাহেবের সংগ্রহের ব্যপারে আমি উপরে ৭০,০০০ সংখ্যা বলেছিলাম। সেটি ভূল ছিলো বলেই মনে হয়। কেউ বলে ৬ লাখ কেউ বলে ২০ লাখ।
০৩ রা জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩২
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ইমাম বুখারি রা. ৬ লক্ষ হাদীস জানতেন/সংগ্রহে ছিল রেওয়ায়েত সহ। কথা সত্যি। সহিহ বুখারিতে ৭ হাজার মাত্র রেখেছেন, তার মধ্যে নন রিপিটেড মাত্র চার হাজারও হবে না, সম্ভবত ২,৫০০, এই কথাও সত্যি।
কিন্তু এতে আমাদের অনেক ভুল জানা আছে অথবা একই বিষয় ভয়ানক বিকৃতভাবে জানা আছে।
ভাই ইমাম বুখারি রা.'র বিষয়গুলো দেখা যাক-
মিথ-১: ইমাম বুখারি রা. দয়িফকে গ্রহণযোগ্য হাদীস মনে করতেন না।
প্রকৃত সত্য: ইমাম বুখারি রা. বলেছেন, হাদিস তিন প্রকার, এই প্রকারের মধ্যে দ্বয়িফ হাদিসকেও অণ্তর্ভুক্ত করেছেন। আর হাদিসের সর্ব প্রকরণ থেকে যা বাদ দিয়ে দিয়েছেন, তা মোটেও হাদীস নয়, তা হল মাওদু বা জাল।
স্বয়ং ইমাম বুখারি রা. বুখারি শরীফ ছাড়াও গ্রন্থ লিখেছেন। তিনি যদি মনেই করতেন, দ্বয়িফ হাদিস চরম পাপ, তাহলে তিনি কখনো সেইসব হাদিস গ্রন্থে দ্বয়িফ যুক্ত করতেন না।
২. মিথ: ইমাম বুখারী সমস্ত সহিহ হাদীস একত্র করছিলেন অথবা তিনি সহিহ হাদিস একত্র করার জন্য বুখারি শরীফ লিখেছেন অথবা তাঁর কাছে থাকা ছয় লক্ষ হাদিসের মধ্যে সমস্ত সহীহগুলো যাচাই বাছাই করে অন্তর্ভুক্ত করেছেন।
মিথ-৩: ইমাম আবু হানিফা রা. ও হানাফি মাজহাবের সকল হাদীস দয়িফ কারণ ইমাম আবু হানিফা রা. থেকে এবং হানাফি মাজহাবের বেশিরভাগ হাদিস বুখারি শরিফে গ্রন্থিত নেই।
মিথ-৪: সহিহ হাদিসের সংখ্যা এত কম যে, তিনি যথেষ্ট হাদীস পাননি বলে একই হাদিস বারবার তাকরার তথা পুনরুল্লেখ করে মাত্র আড়াই হাজারের মত হাদীস দিয়ে সাত হাজার পূর্ণ করেছেন।
প্রকৃতসত্য: ইমাম বুখারী রা. আর সকল মাজহাবের ইমামের মতই একজন মাজহাবের ইমাম। তাঁর নিজস্ব মাজহাব ছিল, বুখারী মাজহাব। সেই মাজহাবের পরিচালনার জন্য তিনি লিপিবদ্ধ করেছেন বুখারী শরীফ। এ গ্রন্থটি মোটেও ইসলামের সব বিষয়ের গ্রন্থ নয়, বরং শুধু শরঈ আমল ও আখলাকের, আইন ও বিচারের নির্দেশনার তথা ফিক্বাহ্ এর গ্রন্থ।
এতে শুধু ফিক্বাহ এর সাথে সংশ্লিষ্ট হাদীস সংরক্ষিত হয়েছে এবং বাকিগুলো সংরক্ষিত হয়নি। ইতোমধ্যে, বুখারি শরীফ আসতে আসতে যে যে মাজহাব তৈরি হয়ে গেছে, সে সে মাজহাবের যেসব হাদীস তিনি তাঁর মাজহাবে পালনীয় হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করবেন না, সেসবের সবগুলোই তিনি অন্তর্ভুক্ত করা থেকে বিরত ছিলেন।
মাজহাব তৈরি করতে হলে একজন মুজতাহিদের মূলত 'ঘন-সন্নিবিষ্ট-হাদীসমূহ' গ্রহণ করতে হয়, যা বলা চলে, 'ক্লোজলি রিলেটেড কম্প্যাক্ট হাদীস'। অন্য কথায়, সব সমগোত্রীয়, সমকালীন, সম বর্ণনাকারীর বিশাল হাদীসগুলোকে একত্রিত করা হয়। এটা ঠিক সহীহ-অসহীহের বিষয় নয়। বিষয় হল, সাযূজ্যতার। এই কারণেই মাজহাবের ইমামদের একজনের 'মাজহাব বিষয়ক হাদীস গ্রন্থের' সাথে আরেকজনের এই বিষয়ক গ্রন্থ কখনোই মিলে না।
এই বিষয়টা স্পষ্ট না হয়ে থাকলে... রাসূল দ. যখন বুকে হাত বেঁধে নামাজে দাড়ান তখনি রুকুয় যাবার আগে কানে হাত তোলেন এবং তখনি পায়ে পা লাগিয়ে দাঁড়ানোর বিষয় আসে এবং সে সময়ে ওইসব মুনাফিকের আনাগোনা ছিল, যারা দুই বগলে দুইটা এবং কোমরে দুইটা মূর্তি রাখতো, নামাজ পড়তে আসার সময় এ অর্থে যে, তারা তাদের ধর্ম আসলে ছাড়েনি, ইসলামের বারোটা বাজানোর জন্য এসেছে। তাদের কোমরের সাপোর্ট নষ্ট করার জন্য বুকে হাত বাঁধা এবং বগলের সাপোর্ট নষ্ট করার জন্য বারবার কান পর্যন্ত হাত তোলা এবং তারা যেন জামাতের মাঝখান থেকে মূর্তি পড়ার ভয়ে চলে যেতে না পারে এজন্য পায়ে পা লাগিয়ে দাঁড়ানো।
এখন, যে মাজহাবের ইমাম এভাবে নামাজকে যুক্ত করবেন না, তিনি এই হাদীসগুলো আনবেন না। যিনি যুক্ত করবেন, তিনি এ বিষয়ক সব হাদীসই আনবেন।
ইমাম বুখারী রা. ছিলেন যতদূর মনে পড়ে, শাফিয়ি মাজহাবের ছাত্র। তিনি এই কারণেই ইমাম আবু হানিফা রা. থেকে কোন হাদিস বর্ণনা করেননি, কারণ তাঁর স্কুল অভ থট ও চেইনে হাদীসের কোন অভাব ছিল না। এর কারণ এই নয় যে, তিনি ইমাম আবু হানিফা রা. কে, আল্লাহ ক্ষমা করুন, পথভ্রষ্ট মনে করতেন।
স্বয়ং ইমাম মুসলিম, তাঁর দীর্ঘদিনের শিক্ষক ইমাম বুখারি রা. থেকে কোন হাদীস বর্ণনা করেননি, তাহলে কি তিনি ইমাম বুখারি রা. কে পথভ্রষ্ট মনে করছেন?
মিথ-৫: ইমাম বুখারী রা. বিচার বিশ্লেষণের মাধ্যমে সঠিক হাদীসে পৌছেছেন।
অর্ধসত্য মিথ্যার নামান্তর নয়, বরং মিথ্যার চেয়েও ভয়ানক। ইমাম বুখারি রা. শুধু বিচার বিবেচনার মাধ্যমে সঠিক হাদীসে পৌছেননি। তিনি প্রতিটা হাদীস নিশ্চিত হওয়ার জন্য রাসূল দ.'র উদ্দেশ্যে ধ্যানে বসতেন এবং তা রাসূল দ.'র পবিত্র রাহমাতাল্লিল আলামীন রূহ থেকে কনফার্ম করতেন। অর্থাৎ, ইসলামের নেতৃত্ব রুহী, কোন দুই যোগ দুই চার বিষয়ক নয়। দুই যোগ দুই করে কেউ কখনোই ইসলামের প্রকৃত চারে উপনীত হতে পারে না।
আর দয়িফের বিষয়ে কোন কথাই বললাম না, কারণ এটার জন্য অন্যত্র লাগবে।
৩৯| ০৩ রা জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৭
পাউডার বলেছেন: @মুদ্দাকির-
আপনি বলেছেন:
আর অবশ্যই হযরত ঈসা আঃ এর অনুসারীদেরও আপনি উপযুক্ত সম্মান দিবেন, কিন্তু আগেতো চিহ্নিত হতে দিন যে কে বা কারা তাঁর প্রকৃত অনুসারী ছিলেন আর কারা ছিলেন ভ্রান্ত !!!! কারা তাকে তাঁর স্বর্গ গমনের আগেই আস্বীকার করে বসে ছিল আর কারা অটল ছিল !!!! কারা ভ্রান্ত ইহুদিদের সঙ্গি হয়েগিয়েছিল, এগুলোর ইতিহাস কিন্তু স্পষ্ট নয়!!!!
..............নবীজি সাঃ এর উম্মতগনও তো অন্য সকল নবী রাসূলের উম্মত গনের চেয়ে বেশী সম্মানিত বলেই জানি।
ঈসা আঃ এর সাহাবিদের মাঝে একমাত্র জুডাস (ইয়াহুদা) প্রতারনা করেছিলো। একথা সবাই জানে এবং মানে। তাহলে বাকিদের আপনি কেনো সম্মান কর্ছেন না? তাদের নামের শেষে র: দিচ্ছেন না কেনো?
মানুষ তো মানুষই। কেউ ৬০০ বছর আগে জন্মালে তার সম্মান কম, আর কেউ শুধু মাত্র বয়সে ছোট হবার কারনে নামের শেষে র: দিতে হবে? এ কেমন হিসাব?
দয়া করে কুরআনিক রেফারেন্স দেবেন যেখানে মুহাম্মদ স: এর উম্মতকে বেশি সম্মানিত করা হয়েছে।
০৩ রা জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:৪৭
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আপনাদের দুজনের আলাপেই কিন্তু আমিও সমভাবে যুক্ত। আমিও যতটুকু বোঝার চেষ্টা করা সম্ভব, করছি।
আপনি কুরআনিক রেফারেন্স চেয়েছেন, হুজুর সারকারে কায়েনাত নূরে মুযাসসাম ফাখরে মাওযুদাত নূরুন আলা নূর রহিম রাউফ করিম শাহিদ মুবাশশির নাযির রাহমাতাল্লিল আলামিন সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উম্মতকে বেশি সম্মানিত করা হয়েছে, সেটার।
এর সাথেই সাহাবায়ে কিরাম রা. গণের বিষয়টা সরাসরি সম্পর্কিত।
আমি সে সম্পর্কিত সবগুলো কুরআনিক রেফারেন্স দেয়ার চেষ্টা করছি।
হুযুর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে যার সম্পর্ক হয়ে যায়, তিনি মহান-
হিজর (১৫) ৭২ আয়াত।
বালাদ (৯০) ১
ত্বীন (৯৫) ৩
দ্বোহা (৯৩) ১-২
আল ই ইমরান (৩) ১১০
বাক্বারাহ্ (২) ১৪৩
আহযাব (৩৩) ৩২
মহান প্রতিপালক আল্লাহ জাল্লা শানুহু হুযুর করীমের দ. সন্তুষ্টি চান-
বাক্বারাহ্-১৪৪
দ্বোহা-৫
হুযুর রউফ রহীম করীমের দ. সাহাবা রা. গণ মহান, অনন্য-
ক্রমিক সূরা নং ২- আয়াত নং ১৩৭
২-১৩
২-২১৮
৪৯-৭
৪-১১৩
৫-৭
২-২২৯
৬২-৩
৬৩-৭
৯-১১৭
৩-১৫২
৩-১৫৫
৪-৯৫
৪৮-২৯, ২৬
৫৯-৮,৯
৮-৪
৩৪-৪
৪৯-৩
২-২
৯৮-৮
৯-৮৯
হুযুর রাউফুর রাহীম শাহিদ নাযির মুবাশশির করিম রাহমাতাল্লিল আলামীন নূরুন আলা নূর রাসূলুল্লাহ দ.'র পবিত্র গৃহবাসীদের সর্ব্বোচ্চ সম্মানিত অবস্থান, যাঁদের উপর ঈমান নির্ভর করে, জান্নাত নির্ভর করে, মুমিন হওয়া ও মুমিন না হওয়া নির্ভর করে, তাঁদের সম্পর্কে-
৩৩-৩৩
৩-৬১
৪২-২৩
৩৩-৫৬
২০-৮২
৩-১০৩
৪-৫৪
৮-৩৩
৯৩-৫
৯৮-৭
৩৭-২৪
৩-১২১
২৮-৮,২৯
২০-১০
২১-৭৬
১১-৭৩
২-১৯৬
নবীগণের পর সর্ব্বোত্তম মহামানব সিদ্দিকে আকবর রা.'র অনুপম শ্রেষ্ঠত্ব, মহান অবস্থান সম্পর্কিত-
৩৯-৩৩
৯-৪০
৬৬-৪
৩৩-৪৩
৪৬-১৫
৭-৪৩
২৪-২২
৯২-১৭,১৮
৫৫-৪৬
৩-১৫৯
৯২- ১ থেকে ২১
২-২৭৪
৪৮-২৯
৩৯-১৮
২৮-৬০
৪৯-৩
৫৭-১০
রাসূল দ.'র পর যদি কেউ নবী হতেন, সেই মহামানব, মহামানবদেরও আশ্রয়স্থল সাইয়্যিদি সানাদি ইবনুল খাত্তাব ফারুকে আযম রা.'র মহামহিম মর্যাদা ও অবস্থান সম্পর্কে-
৮-৬৪, ৬২
২-১৮৭
৬৬-৫
২-১২৫
৬১-১৩
মানবের মধ্যে আল্লাহকে সবচে বেশি যিঁনি লজ্জা করেন, ভয় করেন, সম্ভ্রম করেন, সতর্ক থাকেন, সেই সাইয়্যিদি সানাদি যুন নূরাইন রা.'র অতুল অবস্থানের সাথে সম্পর্কযুক্ত আয়াত-
২-২৬১
৩৩-২৩
৩৯-৯
৫৭-৭
৮৭-১০
৭৬-৭ থেকে ২১
৫৮-১২
বিশ্বাসীগণের মহান মাতা সিদ্দিকা রা.'র সুমহান মহত্ত্ব ও সুউচ্চ অবস্থান বিষয়ে-
আহযাব ৩৩-৩২৭ থেকে ৪২ পর্যন্ত।
৪-৪৩
২৪- ১১ থেকে ২০, ২৬
সিদ্দিকে আকবর রা. আল্লাহ কর্তৃক সুনির্বাচিত, মনোনীত, সে সম্পর্কে-
৫-৫৪
৪৮-১৬
২৪-৫৫
৫৯-৮
রাসূল করীম রাহমাতাল্লিল আলামীনের উম্মত শ্রেষ্ঠতম জাতি-
২-১৪৩
৪-১১৫
৩-১০৩
হাদীস যে প্রয়োজনীয়, এ বিষয়ক ৯ টি স্পেসিফিক আয়াত কি আর দেয়ার দরকার আছে?
এই আয়াতগুলোর প্রতিটার সম্পূর্ণ বিস্তারিত আলোচনায় আপনাকে স্বাগতম। বিনিময়ে শুধু আপনার ইন্টারাক্ট করতে হবে।
৪০| ০৩ রা জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫২
মুদ্দাকির বলেছেন:
@ পাউডার
সামুতে পিছলামি বইলা একটা টার্ম আছে। আপনি তাই করছেন। আপনার প্রতিশ্রুতি মত এক এক করে আমার প্রতিটা প্রশ্নের উত্তর দিন। আমার যেমন সোজা বাংলায় প্রশ্ন সেই রকম সোজা বাংলায় উত্তর চাই। পিছলামি চাই না, কারন অধম এই খেলায় পারদর্শি না। হযরত ঈসা আঃ এর কথা এই খানে ঢুকাইলোই কে আর পিছলা পিছলিই বা করতাসে কে ??? দয়াকরে আমার শুরুর মন্তব্য প্রথমে মনোযোগ দিয়ে পাড়ুন তার পরে দ্বিতীয় টা এর পর তৃতীয়টা এই ভাবে পড়ুন বুঝুন কি জিজ্ঞাস করা হয়েছে আপনাকে !!! আশা করি ক্লাস টুতে পড়েন না।
আর পিছলামি হইলে আসসালামুয়ালাইকুম, বিদায় !!
৪১| ০৩ রা জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫
পাউডার বলেছেন:
বগলে পুতুল রেখে সিজদা দেয়া একটি আজগুবি ব্যাপার। এই হাদিস দ্বারা সাহাবিদের ছোট করা হয়েছে।
০৩ রা জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:৪৯
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: তারা সাহাবি নয় ভাই, তারা মুনাফিক। তারা মুসলমান হিসাবেই বিবেচিত নয়। মুনাফিক এবং তাদের কর্মকান্ড নিয়ে বিশাল বিরাট টার্ম আছে ইসলামের প্রাথমিক যুগে।
মুনাফিকরা কী করেছে, তারা কীভাবে মুসলিমদের সাথে মিশেছে, কীভাবে তাদের বারবার চেলে চেলে আলাদা করা হয়েছে, এর ইতিহাস অতি বিশাল এবং অতি বিস্তৃত।
এটা ইসলামের একটা অত্যন্ত ওয়াইড, ওয়েল নোউনড সেক্টর।
এদেরকেই ইংরেজিতে 'ইন্ট্রুডার্স' বলা হয়। আপনি নিশ্চই ভারতীয় বা পাকিস্তানি গুপ্তচর বাহিনীতে ট্রেইন হওয়া কোন ওদেশি নাগরিক মানুষ বাংলাদেশে স্লিপার হিসাবে কাজ করলে তাকে বাংলাদেশি বলবেন না?
৪২| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৪ রাত ২:৫৪
পাউডার বলেছেন:
@মুদ্দাকির - দয়া করে পয়েন্ট আকারে প্রশ্ন করুন। তাহলে উত্তর দেয়া সহজ হবে। আপনার কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর দেয়া হয়েছে, দয়া করে উত্তর কি গ্রহনযোগ্য কিনা কিংবা কেনো গ্রহনযোগ্য নয় তা বলুন।
@লিসানী - দয়া করে পয়েন্ট অব অর্ডারে থাকুন। অপ্রয়োজনীয় অংশ আলোচনায় না আনাই উত্তম বলে মনে করি। এবং আশা কর্ছি, আয়াত নাম্বার না দিয়ে আয়াতের বংগানুবাদ দেবেন। তাহলে পাঠকের লাইন বাই লাইন খুজতে হবে না।
আমি আমার প্রশ্ন আবার রাখছি।
প্রশ্ন ১: দয়া করে কুরআনিক রেফারেন্স দেবেন যেখানে অন্য নবী-রাসুল এর উম্মত থেকে মুহাম্মদ স: এর উম্মতকে বেশি সম্মানিত করা হয়েছে।
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৪ রাত ৩:৩২
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: কুনতুম= আপনারা
খাইরু= শ্রেষ্ঠ
উম্মাতিন্= জাতি
উখরিজাত= আমি সৃষ্টি করেছি/ তৈরি করেছি/ পরিণত করেছি
লিন্= মধ্যে
নাসি= মানবজাতির
তা'মুরুনা= উন্নীতকরণ করা হয়েছে
বিল মা'রুফ=মহত্তে/ভার্চুতে
(সূরা আল ই ইমরানের ১১০ নাম্বার আয়াতের প্রথমাংশ)
পাউডার, যা চাচ্ছেন তা কি পেয়েছেন? অন্য নবী-রাসুল এর উম্মত থেকে মুহাম্মদ স: এর উম্মতকে বেশি সম্মানিত করা হয়েছে।
আপনার সাথে টোটাল আলাপই হচ্ছে সাহাবা রা. এবং নবী দ.'র উম্মাহ নিয়ে। কোন্ অক্ষর বা কোন্ সংখ্যাটা অপ্রাসঙ্গিক মনে হচ্ছে? এখানে যে রেফারেন্স নাম্বারগুলো দিয়েছি, যাদের নিয়ে দিয়েছি, আপনার সমস্ত কথার কেন্দ্র যে এগুলো, তাও কি স্পষ্ট করে বোঝানো সম্ভব হয়নি?
এখানে প্রতিটা রেফারেন্স যে 'সাহাবী র.' বিষয়ে, রাসূল দ.'র উম্মতের শ্রেষ্ঠত্ব বিষয়ে সরাসরি জড়িত, যা নিয়ে আপনি কথা বলছেন প্রতিটা কমেন্টে, তাও কি স্পষ্ট না?
যদি কোরান থেকে আপনি প্রমাণ চান, আর সেটা আমি দেই, (যা ইতোমধ্যে দিয়েছি শতাধিক আয়াত থেকে এবং মূল প্রশ্নটা আরবি শব্দ বসিয়ে বসিয়ে কুরআন থেকে জবাব দিয়েছি) এবং সেটার ধার দিয়েও না যান, যে প্রশ্ন আপনাকে করেছিলাম?
নামাজের রাকাত কোরানের কোথায় পেয়েছেন? বঙ্গানুবাদ সহ না হলেও চলবে, আমাকে শুধু সূরা নাম্বার আর আয়াত নাম্বার দিন। আরবি বসিয়ে বসিয়ে অনুবাদ করব।
৪৩| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৪ রাত ৩:২৪
নতুন বলেছেন: সন্তানের জন্য পিতাকে দায়ী করা হবে না- কুরআনের আয়াত।
পিতার শ্বাস্তি দাবি আমি করবনা... কিন্তু পিতা যে ছেলেকে শেখাতে পারেনাই তা বলবো...
যে তাঁর কবর ছিল অচিহ্নিত, একটা টিলায় কুকুর আর হরিণকে তাড়া করছিল না, কী এ জায়গা হতে পারে? যেখানে শিকার ও শিকারী উভয়ে স্থবির হয়ে পড়ে?
এখানেও মিরাকেল>> মিরাকেল যদি আলী রা: কে বাচাতে হলো না কিন্তু তার কবর চিন্হিত করতে মিরাকেল এলো???
এটা মেনে নেবার চেয়ে >> আলী রা: কবর চিন্হিত করা দরকার ছিলো তাই তখন মানুষ কবর দাড় করিয়েছে যদি বলি আপনি আমার কথা ফেলে দিতে পারবেন না...
লেখক বলেছেন: তিনজন খলিফার মৃততু হইল শুয়ারের হাতেরে ভাই।
বনী ইস্রাইলের অসংখ্য নবীর মৃততু হয়েছে শুয়ারের হাতে।
রাসূল দ.'র দুই নাতি, আলী রা.'র ১০/১২ সন্তানের মৃততু হয়েছে শুয়ারের হাতে।
আমার প্রশ্নও তো ঐখানে... আপনি যতটা আবেগে আপ্লুত রাসুল সা: সাহাবা দের বিষয়ে.... এটার লাখ ভাগের ১ ভাগ যদি থাকতো তবে এই সব ঘটতে পারেনা.... কারন ঐ সময়ের রাজনিতিক/সামাজিক/ব্যক্তিগত ঝামেলা গুলি কিন্তু আমরা এখন দেখিনা... দেশি শুধুমাত্র ইসলামের মহিমা...কিন্তু ঐ সব সমস্যার জন্যই ইসলামের খলিফারা মারা গেছেন..
তাদেরকে শহীদ না করে তো শাহাদাতের অনন্য মর্যাদা দান করার উপায় নেই।
তাহলে তো ৩ খলিফা/২ নাতী দের মৃত্যু আল্লাহের পরিকল্পনা..যাতে তারা শাহাদাত পেতে পারে ???????????????????????????????
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৪ ভোর ৪:০৮
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: যাই হোক, আত্মনিয়ন্ত্রণ করলাম।
আপনি আগের জবাবটা দেখে থাকলে ক্ষমা করবেন, মানুষ প্রতারিত অনুভব করতে ভালবাসে না, যদিও আপনি প্রতারিত করেননি।
আপনার কথা অনুযায়ী, আমাদের সাহাবী রা. গণ আমাদের লক্ষ ভাগের একভাগও ঈমান, আবেগ, ভালবাসা রাখেন না!
... দেশি শুধুমাত্র ইসলামের মহিমা...কিন্তু ঐ সব সমস্যার জন্যই ইসলামের খলিফারা মারা গেছেন..
এতক্ষণে বুঝতে পেরেছি যে আমি একজন অমুসলিম ভাইয়ের সাথে কথা বলছি।
চলুক।
৪৪| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৪ রাত ৩:৫১
পাউডার বলেছেন:
আয়াতটির জন্য ধন্যবাদ।
কুরআন ২:২৭৭
নিশ্চয়ই যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে, সৎকাজ করেছে, নামায প্রতিষ্ঠিত করেছে এবং যাকাত দান করেছে, তাদের জন্যে তাদের পুরষ্কার তাদের পালনকর্তার কছে রয়েছে। তাদের কোন শঙ্কা নেই এবং তারা দুঃখিত হবে না।
আশাকরি এই আয়াত থেকে বুঝতে পারছেন, সালাত প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। যা অলরেডী প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তা শেখার জন্য আলাদাভাবে আয়াতের প্রয়োজন দেখি না। আশাকরি বুঝাতে সক্ষম হয়েছি।
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৪ ভোর ৪:০১
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আমি কিন্তু এই কথাটাই বলছি। সবকিছু কুরআনে সরাসরি নেই।
কুরআন দিকনির্দেশমূলক একটা গ্রন্থ, যেটার অনুসিদ্ধান্ত সরে এসে নিতে হয়। এই অনুসিদ্ধান্তটা কুরআনে নেই, সরে এসে নিতে হয়েছে।
যদিও আপনি হাদীসকে টানেননি, কিন্তু সেই হাদীসেই চলে যাচ্ছে। কারণ আপনি নিশ্চই প্রশ্ন করবেন, চার রাকাত কেন? কুরআনে যা নেই, তা কেন? কেন যুহর তিন রাকাত নয়? আমি তিন রাকাত পড়ব, কারণ কুরআনে যুহর পড়তে বলা হয়েছে, পাঁচ না তিন তা বলা হয়নি।
৪৫| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৪ রাত ৩:৫৩
পাউডার বলেছেন: ঁ
নতুন এক্টা আলোচনা পোস্ট দিতে পারেন। ইসলামের শুরু থেকে আলোচনা শুরু হোক।
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৪ ভোর ৪:০৪
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: নির্দ্বিধায় এখানে চলতে পারে। বরং এখানে কন্টিনিউটি আছে। আমরা চালিয়ে যেতে পারি। ইসলামের একেবারে শুরু থেকেই হোক।
৪৬| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:৩২
মুদ্দাকির বলেছেন:
আমি একটু আকটু কুরয়ান ঘাটি। বিজ্ঞানের ব্যাকগ্রাউন্ড হওয়াতে আর বিজ্ঞানে অতিমাত্রায় আকর্ষন আছে বলে, কুরয়ানের অনেক আয়াতেই আমি বিজ্ঞান খুজে পাই, আর অবাক হই। এর অনেক কিছুই প্রতিষ্ঠিত তাফসির গ্রন্থ গুলোতে নাই। প্রয়োজন বোধকরি অনেক আয়াতের তফসির রি-রাইট করার কিন্তু এত জ্ঞান বা স্পর্ধা আমার নাই, কারন আমার কুরয়ান হাদিসের মূল যে সকল বিষয়ে জ্ঞান থাকা উচিৎ তাই নাই!!! এর মানে এই না যে প্রচলিত তফসির গ্রন্থ গুলো সেকেলে হয়ে গেছে। না, তা কখনই না বরং সেগুলো এখনও এই যুগে বুঝবার মত আধুনিকই আছে। আর কয়েক যুগ পরে আর থাকবেনা। তবে হা স্বপ্ন দেখি একটা সময়ে বিজ্ঞানের বইগুলোতে রেফারেন্স হিসাবে কুরয়ানের আয়াত গুলো লিখা থাকবে, ইনশাল্লাহ। বিজ্ঞানের ব্যাপার যাই হোক না কেন, হাদীস এর সাহয্য ছাড়া বা পূর্বের জ্ঞানী আলেমদের বিভিন্ন ব্যাখ্যার সাহায্য ছাড়া কুরয়ানের অনেক আয়াত সাধারন মানুষ ভুল বুঝবেন বলে আমার বিশ্বস।। লিসানি ভাই খেয়াল করুন , আমি কিন্তু বলি নাই যে সাধারন মানুষ বুঝবে না, সাধারন মানুষ বুঝবে কিন্তু তাতে ভুল থাকবে। আর তা হবে অকল্পনীয় অমার্যনিয়!! চিন্তার ভিন্নতা বা বুঝবার ভিন্নতা আপনার সাথেও আমার আছে বা থাকবে বা হয়ত আমরা একি রকমই ভাবি, এইটা সমস্যা না, সমস্যা হইল স্বনাম ধন্য সাহাবীদের ব্যাপারে কন্ট্রাভার্শি!!! ব্যাপারটা দুঃখ জনক। যাদের জ্ঞানের উপর ভিত্তি করে লাখ লাখ আলেমদের জ্ঞান তাদের কে ইদানিং বিভিন্ন ভাবে হেয় করা হয়। বড়ই কষ্ট হয়, মনে হয় আমাকে আমার বাবাকে মাকে কেউ জাত তুলে গালি দিচ্ছে।
আল্লাহ আমাদের শয়তান থেকে দূরে রাখুন। (আমিন)
আসসালামুয়ালাইকুম !!
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:২৪
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: কুরয়ানের অনেক আয়াতেই আমি বিজ্ঞান খুজে পাই, আর অবাক হই। এর অনেক কিছুই প্রতিষ্ঠিত তাফসির গ্রন্থ গুলোতে নাই। প্রয়োজন বোধকরি অনেক আয়াতের তফসির রি-রাইট করার কিন্তু এত জ্ঞান বা স্পর্ধা আমার নাই, কারন আমার কুরয়ান হাদিসের মূল যে সকল বিষয়ে জ্ঞান থাকা উচিৎ তাই নাই!
আলহামদুলিল্লাহ! আল্লাহর প্রতি, সুবহানাহু ওয়া তাআলার বাণীর প্রতি এই আদব আমরা রক্ষা করতে পারি না আজকাল। আজকাল আমরা যেভাবে খুশি সেভাবে বর্ণনা করি, ব্যাখ্যা করি।
সেই মুত্তাকি ভাই, যে আল্লাহ, আল্লাহর রাসূল দ. আল্লাহর মনোনীত দ্বীন, আল্লাহর কিতাব, আল্লাহর প্রিয়জনদের বিষয়ক কোন সিদ্ধান্ত ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ নিতে গিয়ে চিন্তিত, ভীত সতর্ক সাবধানী ও বিনয়ী হয়।
মালিকুল মুলকু লাহু ওয়াহদাহু লা ইলাহা ইল্লাহু আপনাকে এমনভাবে পরিচালিত করুন, যেন আপনার ভুলের ভার তিনি নিয়ে শুদ্ধতার পথে নিজেই চালিত করেন। যেন আপনি আমি কুরআনের প্রতিটা কথার অর্থ ধরতে পারি। আমরা অক্ষম, কিন্তু তিনি তো আলিমুম বি জাতিস সুদূর।
হ্যা, আমাদের প্রাচীণ ব্যাখ্যাগ্রন্থে কিছু এদিক সেদিক আছে, কিন্তু সেগুলোর কোনটারই আবেদন কখনো ফুরাবে না।
মালিক মাওলার কাছে একটা আর্জি রেখেছি, মা'বুদ, তুমি কুরআনের ব্যাখ্যা করার সামর্থ্য দিও। তুমি নিজে পথ দেখিও। আমার ভুল তো প্রতি মুহূর্তে হবে, তুমি ভুল থেকে রক্ষা করো।
তুমি রক্ষা করলে আমার কোনই ভুল হবে না। আর তুমি রক্ষাকবচ না রাখলে আমার একটা ঠিক হলে নয়টা ভুল হবার সম্ভাবনা আছে। আর নয়টা ঠিক হয়েও যদি একটা ভুল করি, সেই ভুলে কোন মাফ ত্রিভুবনে নাই।
আর কীসের তফাত ভাই! তফাত চুলোয় যাক। আমি আমার মত বুঝি, আপনি আপনার মত বোঝেন, আমাদের দুজনের কমন বিষয়ের কোন অভাব নেই। খোদ মা'বুদ কমন। খোদ কুরআন কমন। খোদ সাহাবা আজমাঈন রা. গণ কমন। খোদ হাদীস কমন। এ নিয়ে আমরা আলোচনা করেই তো শেষ করতে পারব না। এই মিল নিয়ে এগিয়ে গিয়েই তো কোন শেষ হবে না।
মহান প্রতিপালক রব্বে কায়েনাতের অসীম দরবারে আর্জি ভাই! মালিক আমাদের দিয়ে তার গোলামি করাক। তার কাজে লাগাক। এম্নিতেও পচনশীল মাংস আর রক্ত আমরা! সেইতো যাব পচে, যদি তুমি কাজে লাগাও মাওলা, যদি তুমি বাড়াও করুণার হাত (*উপমা। যেভাবে তোমার জন্য শোভা পায়)
৪৭| ০৫ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১:২৭
নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: যাই হোক, আত্মনিয়ন্ত্রণ করলাম।
আপনি আগের জবাবটা দেখে থাকলে ক্ষমা করবেন, মানুষ প্রতারিত অনুভব করতে ভালবাসে না, যদিও আপনি প্রতারিত করেননি।
আপনার কথা অনুযায়ী, আমাদের সাহাবী রা. গণ আমাদের লক্ষ ভাগের একভাগও ঈমান, আবেগ, ভালবাসা রাখেন না!... দেশি শুধুমাত্র ইসলামের মহিমা...কিন্তু ঐ সব সমস্যার জন্যই ইসলামের খলিফারা মারা গেছেন.এতক্ষণে বুঝতে পেরেছি যে আমি একজন অমুসলিম ভাইয়ের সাথে কথা বলছি।
আপনাকে কস্ট দেবার জন্য দুক্ষিত...
আমি মিরাকেলে বিশ্বাস করিনা... তাই আলী রা: এর মাজার খুজে পাবার বিষয়ে মিরাকেলের যুক্তি বেমানান লাগে...
আমি বলেছি আপনার মতন ইমান/আবেগের কথা... অন্যদের কথা বলিনাই... আপনার আবেগ যদি ঐ সময়ের মানুষের মাঝে থাকতো তবে ৩ খলিফার মৃত্যু এবং তাদের বিচার না হওয়ার কথা থাকতো না...
একটা জিনিস যদি না এড়াতে পারেন তাহলে আলোচনায় না যাওয়াই ভাল>>
প্রশ্ন করলেই কি মানুষ অমুসলিম হয়ে যায়?????? যারা টপকরে বিশ্বাস না করে প্রশ্ন করে তারা কি খুবই খারাপ??
এখন যদি প্রশ্ন করি >> (( মুদ্দাকির বলেছেন:
আমি একটু আকটু কুরয়ান ঘাটি। বিজ্ঞানের ব্যাকগ্রাউন্ড হওয়াতে আর বিজ্ঞানে অতিমাত্রায় আকর্ষন আছে বলে, কুরয়ানের অনেক আয়াতেই আমি বিজ্ঞান খুজে পাই, আর অবাক হই। ))
ঈসা আ: এর মা কুমারী তার কোন পিতা নাই... এটাতে কিভাবে বিজ্ঞান সমথ`ন করে???
০৫ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:৩৫
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: যারা টপ করে বিশ্বাস না করে, তারা মোটেও খারাপ না। প্রশ্ন করলেই মানুষ অবিশ্বাসী হয়ে যায় না।
আর মানুষ হিসাবে কোন মতবাদ, কোন দর্শন, কোন ধর্মের মানুষই আমার কাছে বড়ই খারাপ না। মানুষ যে মানুষ, এটা অনেক বেশি বড় যথেষ্ট।
কিন্তু আমার তো বুঝতে হবে, আমি কার সাথে কথা বলছি।
যদি সূফিবাদী হন, তবে কালকের মত বলতাম, আরে ভাই কুরআনের কোন বিকৃতি নেই, এটা গাউসে পাক রা. বলেছেন আর গাউসে পাকের চেয়ে আধ্যাত্মিক উন্নতি আর কার হয়েছে? কারণ, ঠিক এই কথাটা তিনি বললে বুঝবেন।
একইভাবে, যদি হাদিসে বিশ্বাসী হন, তাহলে বলতাম এক কথা। মাজহাবে বিশ্বাসী হলে অন্যভাবে, কুরআনে হলে আরেকভাবে, যে কোন ধর্মে হলে আরেকভাবে, কোন ধর্মেই না হলে আরেকভাবে, সংশয়বাদী হলে আরেকভাবে, সমাজবাদী হলে আরেকভাবে, পূর্ণরূপে বিজ্ঞানকেই বিশ্বাসের কাঠামো ধরে নেয়া মানুষ হলে আরেকভাবে, এমনকি মেডিটেশনে বিশ্বাসী হলে আরেকভাবে।
যে ব্যাটা জাপানি, তার জাপানি হওয়া মোটেও দোষ বা গুণের নয়, তাই বলে তার সাথে বাংলায় কথা বলে তো কোন লাভ নেই। আর ব্রিটিশের সাথে তো আশি তোলায় সের এই হিসাবে প্রথম থেকেই বিনিময়ের চেষ্টা করার কোন মানে নেই। মূল্যবান অ্যাফোর্টের অপচয়।
কিন্তু হাজারও কথা বলার পর যদি দেখি, সেই কথাই জলে গেল, কারণ আর কিছুই না, পরিচয়টা স্পষ্ট নয়, তখন কেমন লাগে?
আমি স্পষ্ট করছি মুসলমানের মত। আপনি যদি পড়েন, আপনার সময় তো নষ্টই, আমার সময়ও নষ্ট। কারণ মুসলমান যেটায় অনুভব-উপলব্ধি করবে, আপনি সেটায় করবেন না। একজন সনাতন যেটায় উপলব্ধি অনুভব করবেন, একজন খ্রিস্টধর্মী সেটায় করবেন না।
আপনি সূফিবাদী না, আপনারে আমি যতই বলব, গাউসে পাক রা. বলেছেন কুরআন অবিকৃত, আপনি ততই হাসবেন। কী কয়! কুরআন বিকৃত নাকি অবিকৃত সেটা আমাকে বোঝাতে এসেছে কুরআনের ছয়শ বছর পর আসা এক পারসিক সাধকের জের টেনে!
কিন্তু আর একজনের ভিতরে এটা বোমার মত বিষ্ফোরিত হবে। কালকে তাই হয়েছে, ফেবুতে।
সেক্ষেত্রে আপনার কাছ থেকে আমি রা., সা., হজরত ইত্যাদি কিছুই আশা করব না, তবে তাদের জন্য সম্মান পেলে খুশি হব, না পেলেও কোন কিছু এসে যাবে না।
আপনি মিরাকেলে বিশ্বাস করেন না। কোন অসুবিধা কি আছে? সবাই সবকিছুতে কেন বিশ্বাস করবে?
এখন, বিষয় হল, মিরাকেল বুঝতে চান? হ্যা, খুব সহজেই, ভন্ডামি বলে চলে যেতে পারবেন। কোন সমস্যা নেই। কিন্তু এই এতগুলো মানুষ কী করছে, হাজার হাজার বছর ধরে শত শত ধর্মে লক্ষ লক্ষ পদ্ধতিতে। তারা কি আসলেই স্পেস-টাইমের সবকিছু উলটপালট করতে পারে? সর্বযুগে সর্বকালে সর্বষ্থানে গিয়ে যা খুশি যেটুকু খুশি (দক্ষতার উপর নির্ভরশীল হয়ে) পরিবর্তন, প্রভাব ফেলতে পারে?
জীবনে আমি সাঁতরাতে দেখিনি, সাঁতারের এমন কোন ভিডিও-ও দেখিনি, যা আমার পক্ষে বিশ্বাসযোগ্য। আমি জানি, মানুষের শরীর পানি থেকে ভারি, আমি জানি, পানি থেকে ভারি বস্তু ডুবে যায়। এবং নিজে চেষ্টা করে বারবার অ্যাফোর্ট দিয়েও ডুবে গেছি।
সুতরাং মানুষের পক্ষে জিন্দেগীতেও সাঁতরানো সম্ভব নয় এবং যে বলবে সাঁতার সম্ভব, ওই ব্যাটা ভন্ড। যদি এক কোটি মানুষ বলে, এক কোটি মানুষই ভন্ড। আমার কথা কি আপনার অন্তর স্পর্শ করছে?
উপায় আছে। দেখতে চান? আমি বায়োটেকনোলজিতে অনার্স করার আগেই জিনবিজ্ঞান নিয়ে বহু পত্রিকায় লেখালেখি করেছি, সুতরাং আমার বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণনির্ভর বিশ্বাস ব্যবস্থা সম্পর্কে পূর্ণ ধারণা আছে, সায়েন্টিফিক পেপারও আছে।
বাকিটা আপনার ইচ্ছা। তবে অ্যাফোর্ট আপনাকেই দিতে হবে।
৪৮| ০৫ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১০:০৮
যান্ত্রিক বলেছেন: আসসালামু আলাইকুম ভাই,
আপনারা মূল টপিক থেকে অনেক দূরে সরে গেছেন।
আর "পাউডার" ও "নতুন"-কে ইগনোর করাটাই বেটার মনে করি।
যারা ঘুমের ভান করে ঘুমিয়ে থাকে তাদের জাগাবেন কি করে?
সুফীবাদ নিয়ে আলোচনা করার আগ্রহ ছিল।
তবে আগে আপনারা বর্তমান আলোচনা শেষ করুন।
আর লেখক লিসানী ভাই অনুমতি দিলে পাউডার ও নতুন-এর সাথে আলোচনায় অংশগ্রহণ করতে পারি।
ভালো থাকবেন ভাইয়েরা।
০৫ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১০:৩০
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ওয়া আলাইকুমুস সালাম ভাই! অবশ্যই! এখানে আমরা সবাই পরস্পরিক আলোচনা করছি। একশো বার। শুধু এই পোস্টে নয়, যে কোন জায়গায় যে কোন পোস্টে/লেখায় আপনি যতভাবে খুশি ইন্টারাক্ট করবেন।
এতে যে আপনার সাথে আমার মতাদর্শের পূর্ণ মিল থাকতে হবে, তা তো না।
আমি একটা কথা প্রায়ই বলি, ব্লগিং করেছি ম্যাচিউর্ড হওয়ার জন্য। আর এই মনোভাবের আদান প্রদানটাই তো ম্যাচিউর্ড করে, নিজের জানার পরিধি বাড়ায়, নিজের বোঝার পরিধি বাড়ায়। সবার সাথে সহনশীলতা তৈরি করে।
আর তাদেরও ইগনোর করতে পারি না, যে পর্যণ্ত না এটা অনুভব করছি যে, তাঁরা শুধু শুধুই খেলছেন।
একটা মানুষ যদি কোন কথা বলতে চায় সত্যি আন্তরিকভাবে, সেটা শুনতে থাকা ও বলতে থাকা দায়িত্ব মনে করেছি।
আসলে সূফিইজম আর ইসলামের মৌলিক আলোচনায় বিন্দুমাত্র তফাত তো নেই! শুধু আগে আর পরে, অর্থাৎ, ইসলামের মৌলিক আলোচনা আমরা করব কুরুনে সালাসা নিয়ে, অন্যত্র সূফিইজমের আলোচনা করব একেবারে এখন পর্যন্ত।
তাই এই আলোচনাকে আমি সম্পূর্ণরূপে ঠিক বিষয়ের আলোচনাই মনে করছি, শুধু তাই না, এ বিষয়ে দৃঢ় যুক্তিও রয়েছে।
৪৯| ০৫ ই জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৩
নতুন বলেছেন: আপনার মন্তব্য গুলি কস্টকরে লেখা পড়তে ভাল লাগে....
কিন্তু একটি জিনিস ভয় হয় তা হলো... আপনি রেগে যান আর খুব সহজেই উপসংহারে চলে আসেন... যে কে মুসলিম বা অন্য কি...
কিন্তু এই এতগুলো মানুষ কী করছে, হাজার হাজার বছর ধরে শত শত ধর্মে লক্ষ লক্ষ পদ্ধতিতে। তারা কি আসলেই স্পেস-টাইমের সবকিছু উলটপালট করতে পারে? সর্বযুগে সর্বকালে সর্বষ্থানে গিয়ে যা খুশি যেটুকু খুশি (দক্ষতার উপর নির্ভরশীল হয়ে) পরিবর্তন, প্রভাব ফেলতে পারে?
ইতিহাসে শত শত মানুষ অনেক ভুল ধারনা নিয়ে ছিলো... পরে বিজ্ঞানের ব্যক্ষায় তাদের ধারনায় পরিবত`ন এসেছে....
মানুষ আজ হয়তো একটা বিষয় বুঝতে পারছেনা... কিন্তু কাল অথবা পরশু সেই বিষয়ে জানতে পারবে.... তাই বলে শুধু বিশ্বাসের উপরে বসে থাকলে চলে???
সুফিইজম নিয়ে বত`মান সময়ের অনেক ইসলামিত স্কালারেরই আপত্তি আছে....
উপায় আছে। দেখতে চান? আমি বায়োটেকনোলজিতে অনার্স করার আগেই জিনবিজ্ঞান নিয়ে বহু পত্রিকায় লেখালেখি করেছি, সুতরাং আমার বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণনির্ভর বিশ্বাস ব্যবস্থা সম্পর্কে পূর্ণ ধারণা আছে, সায়েন্টিফিক পেপারও আছে।
বাকিটা আপনার ইচ্ছা। তবে অ্যাফোর্ট আপনাকেই দিতে হবে।
আমি জানার চেস্টা করছি যে বৈজ্ঞানিকভাবে কুমারী মা এর পুরুষ সন্তান কিভাবে সম্ভব..... আপনি যদি এর ব্যক্ষা দিতে পারেন তবে অবশ্যই আমার একটা ভুল ভাংবে..
০৯ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:১৯
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই আমি রেগে যাই... আত্মনিয়ন্ত্রণ খুব কঠিন হয়ে পড়েছে, এম্নিতেও আমি আবেগী আর রোজায় নিজের উপর নিয়ন্ত্রণটা... মানুষ তো। মেডিটেশনও অনিয়মিত হচ্ছে।
না-না, বিশ্বাস নয়। বাস্তবতার কথা বলছি, হাজার হাজার বছরের লক্ষ আধ্যাত্মিক বাস্তবতা। এক্ষেত্রে বিশ্বাস চুলায় যাক। সামনে পানি দেখে কেউ পানি বিশ্বাস করে না। যা বাস্তব তা বিশ্বাস অবিশ্বাসের প্রশ্ন আসে না।
ইসলামিক স্কলারের আপত্তি তো অবশ্যই আছে। আপত্তি বিষয় নয়, বাস্তবতা বিষয়, বিশ্বাসও নয়... গভীরে গেলে।
আপনার জানার বিষয়ে: আসলে আমি বৈজ্ঞানিকভাবে অলৌকিকতার ব্যাখ্যার কথা বলিনি। বলেছি, আমি সাউন্ড মাইন্ডেড সায়েন্সের বেশকিছুদূর গড়ানো ছাত্র এবং আমার বিশ্বাসের ভিত্তিও তাই ভিন্নতর।
মূলত যা বলেছি তা হল, বিশ্বাস দূরে রেখে, মিরাকল নিজেই চেখে দেখতে পারেন। এক গ্লাস পানি সামনে দেখার মত, এখানে বিশ্বাস অবিশ্বাস সবই অগ্রহণীয়।
০৯ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:২৯
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: *ঈসা আ.'র জন্ম ও বৈজ্ঞানিক সম্ভাব্যতা*
কুমারী মায়ের গর্ভে পিতা ছাড়া কি বৈজ্ঞানিকভাবে পুরুষ সন্তান সম্ভব?
অবশ্যই। তাত্ত্বিকভাবে অবশ্যই সম্ভব।
একটা বটগাছ, একটা ডাইনোসর, একটা ছত্রাক আর মানুষ- সবাই গঠিত যা দিয়ে, তা ভিন্ন। কিন্তু তার প্রণোদনা দেয় যা, তা হুবহু এক।
হ্যা, অ্যাডেনিন, থাইমিন, সাইটোসিন, গুয়ানিন।
ডিএনএর যে পার্টগুলো প্রোটিন সংশ্লেষ করে, সেই অংশ তথা জিন।
এখন, বটগাছটা বটগাছ, কারণ তার এই এ টি সি জি একভাবে সেজেছে, পুরুষ মানুষ পুরুষ, অপরপক্ষে মহিলা মহিলা, কারণ সেই এটিসিজি কীভাবে সাজল।
হ্যা। শুধু এটিসিজি। আর কিছু নেই।
তাই, একজন নারীকে স্পার্ম বিহীনভাবেই এমনকি বাইরের কোন বস্তু ছাড়াই, বাইরের কোন বিন্দুমাত্র পরমাণু ইনসার্ট করা ছাড়াই, গর্ভধারণ করিয়ে তার থেকে পুরুষ জন্মানো কোন বিষয়ই না, শুধু তারই নিজের কাছে থাকা ডিএনএ থেকে একটা পেয়ারকে রিকম্পোজ করতে হবে।
যদি এ কথাটুকুর কোন একটা অংশও অস্পষ্ট লাগে, স্পষ্ট করা যাবে।
আর ঈসা আ. যেহেতু রুহুল্লাহ, তাঁর জন্য নূর পাঠিয়ে সেই নূর দিয়ে গর্ভসঞ্চার করা হয়েছিল।
নূর=আলো। জগতে শক্তির যতগুলো রূপ আছে (আটটার মত), তার মধ্যে সবচে পিওর ফর্ম। আর শক্তি ঘনীভূত হয়ে বস্তু তৈরি করে। কারণ বস্তু ভাঙলে ইলেক্ট্রন প্রোটন ছাড়া কিছুই রয় না। যা অন্য কণা থাকতে পারে তা ইলেক্ট্রন বা প্রোটনেরই গুণিতক, যেমন পজিট্রন। আর ইলেক্ট্রন ও প্রোটন হল একে অন্যের মিরর ইমেজ। তাহলে বস্তুতে ইলেক্ট্রন ছাড়া আর কিছু নেই। ইলেক্ট্রন ও প্রোটনের আপ কোয়ার্ক ও ডাউন কোয়ার্ক ভাঙলেই তা থেকে আলো অথবা তাপ অথবা শক্তির অন্য রূপ বের হবে।
অর্থাৎ শক্তি একত্র হয়েই বস্তু গঠিত হয়।
তো, নূর পাঠিয়ে সেই নূরকে মাত্র এক সেট ডিএনএ তে রিকম্পোজ করে সেই রিকম্পোজ পারফেক্ট একজন পুরুষের রূপ গঠনের মত করে জিনসমূহ তৈরি করা বৈজ্ঞানিক সম্ভাব্যতায় কোনই সমস্যাপূর্ণ বিষয় নয়।
এই সরল বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যায় স্বীকার অস্বীকারের কিছু নেই, এখন বড়জোর এটা বলা যেতে পারে, আমি মানলাম না। মানা না মানা দিয়ে গাণিতিক ও প্রায়োগিকভাবে বৈজ্ঞানিক প্রমাণিত সম্ভাব্যতা বাতিল হয়ে যায় না।
৫০| ০৫ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:৫৫
মুদ্দাকির বলেছেন: @ নতুন
ভাই বিজ্ঞানের যত গভীরে যেতে থাকবেন ততই দেখতে থাকবেন যে তা এক অদৃশ্য শক্তির উপর নির্ভরশিল হতে থাকে, আমি বলব এখন কার বিজ্ঞান, এখনও পর্যন্ত কুমারি মাতার পুরুষ সন্তানের ব্যাপার ব্যাখ্যা করতে পারে না, কিন্তু এক সময় পারবে ইশাল্লাহ। তবে আপনি যদি সেই সৃষ্টি কর্তার উপর বিশ্বসী হন যিনি বাবা আদম আঃ কে মাটি থেকে বানিয়েছেন কোন বাবা-মা ছাড়াই তবে আপনার জন্য এটা বিশ্বাস করা কোন ব্যাপারই না!!!!
যাই হোক কান্ডারি অথর্ব ভাইয়ের একটা লিংক দিচ্ছি ঐ লিঙ্কের ভিতর আমারো একটা পোষ্টের আছে , আবার কাণ্ডারি ভাইয়ের পোষ্টে কিছু আলোচনাও আছে দেখুন পড়ে, কনভিন্সিং কিছু পান কি না!!!
( কুমারী মাঃ একটি তাত্ত্বিক পর্যবেক্ষন )
০৯ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:৩১
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই, ঠিক আপনার উপরের কমেন্টটা, উনপঞ্চাশ নম্বর কমেন্টের দ্বিতীয় জবাবটা আশা করি নূতন ভাইয়ের অস্পষ্টতাকে দূর করবে।
৫১| ০৫ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:০৩
মুদ্দাকির বলেছেন: ঐ পোষ্টে ৪৮ নম্বর মন্তব্য আর ৬০ নম্বর মন্তব্য আমার ।
ভাই আমি ব্যাক্তিগত ভাবে বিশ্বাস করি বিজ্ঞানই কিছুদিনের মধেই হয়ত আপনার এই প্রশ্নের প্রকাশ্যে উত্তর দিবে। @ নতুন
৫২| ০৬ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:১৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: @ নতুন বলেছেন: ..........................আমি জানার চেস্টা করছি যে বৈজ্ঞানিকভাবে কুমারী মা এর পুরুষ সন্তান কিভাবে সম্ভব..... আপনি যদি এর ব্যক্ষা দিতে পারেন তবে অবশ্যই আমার একটা ভুল ভাংবে..
আপনার জানার জন্য দুটো লিংক..
কুমারী মাঃ একটি তাত্ত্বিক পর্যবেক্ষণ --কান্ডারি অথর্ব
ভালোবাসার জৈবিক বিজ্ঞানঃ টেষ্টোস্টেরন -মুদ্দাকির
০৯ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:৩৬
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভৃগুভাই, ঈসা আ.'র জন্ম বিষয়ক আলোচনাটা... বৈজ্ঞানিকভাবে যে সম্ভব, নতুন ভাইয়ের ৪৯ নম্বর প্রশ্নের দ্বিতীয় অংশে তা স্পষ্ট করা হয়েছে।
৫৩| ০৬ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:১০
নতুন বলেছেন: Parthenogenesis (উইকি)
এর মাধ্যমে ১৭টা প্রজাতির কুমারীর সন্তান দেখাগেছে... কিন্তু এটা এক রকমের ক্লনিং... যাতে মায়ের জিনের কপি হয় সন্তান... তাই এর ফলে সব সময় মেয়ে শিশুই জন্ম হয়...
তাই ঈসা আ: যদি মেয়ে হইতেন তবে Parthenogenesis এর বত`নাম ব্যক্ষায় সম্ভব হইতো... তাই আরো অপেক্ষা করতে হইবে...
৫৪| ০৭ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:১০
যান্ত্রিক বলেছেন: বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম।
জনাব "নতুন",
শেষ পর্যন্ত আপনারা বিতর্ক-টাকে বিশ্বাস এবং যুক্তি-র দ্বন্দে নিয়ে গেছেন।
আপনি বলেছেন, "মানুষ আজ হয়তো একটা বিষয় বুঝতে পারছেনা... কিন্তু কাল অথবা পরশু সেই বিষয়ে জানতে পারবে.... তাই বলে শুধু বিশ্বাসের উপরে বসে থাকলে চলে??? "
আপনি যেহেতু যুক্তি ছাড়া কিছুই বিশ্বাস করেন না, তাহলে "মানুষ আজ হয়তো একটা বিষয় বুঝতে পারছেনা... কিন্তু কাল অথবা পরশু সেই বিষয়ে জানতে পারবে"- এই বিশ্বাস কি করে করলেন?
ধন্যবাদ।
৫৫| ০৭ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:১০
নতুন বলেছেন: কারন এই ভাবেই অনেক কিছু মানুষ আস্তে আস্তে ব্যক্ষা করেছে... ইতিহাস তাই বলে... তাই সামনেও সেই রকমের হতে পারে আসা করা যায়... কারন মানুষ চেস্টা করছে জানার জন্য... গবেষনা করছে জানার জন্য...
বিশ্বাস করে বসে নেই... @ যান্ত্রিক ভাই..
৫৬| ০৭ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:১৪
নতুন বলেছেন: Parthenogenesis (উইকি)
এর মাধ্যমে ১৭টা প্রজাতির কুমারীর সন্তান দেখাগেছে... কিন্তু এটা এক রকমের ক্লনিং... যাতে মায়ের জিনের কপি হয় সন্তান... তাই এর ফলে সব সময় মেয়ে শিশুই জন্ম হয়...
তাই ঈসা আ: যদি মেয়ে হইতেন তবে Parthenogenesis এর বত`নাম ব্যক্ষায় সম্ভব হইতো... তাই আরো অপেক্ষা করতে হইবে...
তবে এই একটা বিষয় নিয়া খৃস্টান সমাজে প্রচুর সমস্যা তৌরি হবে যাদি কুমারীমাতা ভুয়া প্রমান হয়... তাই এই নিয়া পশ্চিমার হয়তো খুব বেশি নাড়াচারা করে না..
৫৭| ০৭ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: @ যান্ত্রিক ভাই..
যে বোঝেনা তাকে বোঝানো যায়
যে জানেনা তাকে জানানো যায়
যে জানেও না বোঝেও না কিন্তু ভাবে সর্বজ্ঞানী- তার অবস্থা ।ঐ গেরস্থের মতো..
এক তার্কিক আসলে- যে বলেছিল আমারে বোঝাইতে পারলে হালের বলদাটা তোমার।
গেরস্থ বউতো রেগে আগুন। একটাই বলদ। তাও এইরাম বাজি ধরছে।
গেরস্থ হাসতে হাসতে বলে- আরে বেকুব, আমার বলদ নেওয়া এত সোজা? আমারে হারানো কি এত সোজা! মনে করস?????
সারা রাইত বোঝানো পর- সকালে কমু- কিছু বুঝিনা-এইটা তবে এমুন কেন?
===
বিশ্বাস। বিশ্বাস কি শুধু ধর্ম সম্পর্কিতই? না । এই যে উনি কথায় কথায় কথিত যুক্তি আর বিজ্ঞানকে সামনে আনছেন এটাও এক ধরনের বিশ্বাস।
জীবনের প্রতিটা পর্বেই বিশ্বাস জড়িত..
দেখা, শোনা, বলা, চলা
সকল ক্ষেত্রেই আমরা চাই বা না চাই আমরা বিশ্বাসী সকলেই।
ইসলাম যে বিশ্বাসের কথা বলে- তা উতি উচ্চমানের জ্ঞান। প্রচলিত বোধ, অন্ধ বিশ্বাসকে সরিয়ে মানুষের মৌলিকত্বে যাবার পথের যে সন্ধান সেই স্রস্টা এবং সৃস্টিতত্বের জ্ঞানে বিশ্বাস স্থাপন করার কথা বলে।
আম মিষ্টি আম টক জাতিয় বিশ্বাস নয়।
বিশ্বাসের স্তরেও ৪ টি প্রকারভেদ আছে।
অন্ধ বিশ্বাস
জ্ঞান বাদী বিশ্বাস
প্রত্যক্ষবাদী বিশ্বাস
প্রকৃত বিশ্বাস ।।
সাধারন মানুষ অন্ধ বিশ্বাসের স্তরে বসবাস করে বেশী।
কথিত মুক্ত মনের মানুষ বলে দাবীকারীরা ইলমুল ইয়াকিন বা জ্ঞান ভিত্তিক বিশ্বাসের ১ম স্তরে বসবাস করে..(তাতেই কত চিক্কুর রে বাবা )
মুসলমানেরা তাদের বিশ্বাসে মৌলিক ৩ টি বিশ্বাসের ভিত পূর্ন করতে পারে বরেই সে মুসলিম হিসাবে স্বীকৃতি পায়।
বাকী বিশ্বাসে উত্তীর্ন হতে তাকে জ্ঞান - প্রত্যক্ষনের পরীক্ষায় পুনপুন পাশের মাধ্যমে প্রকৃত সত্যে পৌছাতে হয়। অনেকে পারে। অনেকে পারেনা।
এখন কানার হাটবাজারে কারে কি বোঝাবেন?
তাই -লালন গুরুর ভাষায় কুতর্কের দোকানে সময় নষ্ট না করে ঐ সময়টা ধ্যান, মোরাকাবা, মোশাহাদায় ব্যয় করলে বরং নিজের মুক্তির পথ কিঞ্চিত লাভ জনক হলেও হতে পারে।
০৯ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:৪৭
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: বিশ্বাসের স্তরেও ৪ টি প্রকারভেদ আছে।
অন্ধ বিশ্বাস
জ্ঞান বাদী বিশ্বাস
প্রত্যক্ষবাদী বিশ্বাস
প্রকৃত বিশ্বাস ।।
সাধারন মানুষ অন্ধ বিশ্বাসের স্তরে বসবাস করে বেশী।
কত সুন্দর করে বলেছেন ভাই! আল্লাহ আপনাকে কবুল করুন, আমাকেও।
৫৮| ০৭ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৭
নতুন বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: @ যান্ত্রিক ভাই..
যে বোঝেনা তাকে বোঝানো যায়
যে জানেনা তাকে জানানো যায়
যে জানেও না বোঝেও না কিন্তু ভাবে সর্বজ্ঞানী- তার অবস্থা ।ঐ গেরস্থের মতো..
আগে যদি বলতেন যে আপনার মত না বুঝলে তারা কিছু বোঝে না তবে এই আলোচনায় আসতাম না.
আমি ভাই জানার চেস্টা করছি... সব কিছু বুঝতে পারলেও কাজই হইতো...
৫৯| ০৭ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:৫৭
যান্ত্রিক বলেছেন: "নতুন" ভাই,
আপনি তো দেখি "ইতিহাস" বিশ্বাস করেন !?!
"ইতিহাস" কোন যুক্তিতে বিশ্বাস করেন?
যুক্তিবাদীরা-ই তো বলে 'ইতিহাস রচনা হয় বিজয়ীদের হাতে'
"বিদ্রোহী ভৃগু" ভাই,
"নতুন" ভাইয়ের সাথে আলোচনা করি এবং দোয়া করি পরম করুণাময় আল্লাহতা'লা যাতে তাকে হেদায়েত নসীব করেন।
ধন্যবাদ।
৬০| ০৮ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:২৩
নতুন বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু" ভাই,
"নতুন" ভাইয়ের সাথে আলোচনা করি এবং দোয়া করি পরম করুণাময় আল্লাহতা'লা যাতে তাকে হেদায়েত নসীব করেন।
ধন্যবাদ দোয়া করার জন্য....
ইতিহাস শুধুই একদলই লেখেনা... আপনার যখন সন্দেহ হবে তখন ইতিহাসের সব পাতাই দেখবেন...
ভাই আমিও আশা করি আপনারা অলৌকিক বিশ্বাসের কিছুকে একটা চিন্তা করতে শুরু করবেন...
১০ ই জুলাই, ২০১৪ ভোর ৪:৪৯
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: খোদ আল্লাহই তো অলৌকিক। লোকসমাজে, লৌকিকতায় তো তাঁকে পাওয়া যায় না। ধরা যায় না, ছোঁয়া যায় না, দেখা যায় না, প্রায় সব সময়েই তার কন্ঠও শুনতে পাওয়া যায় না। এই কথাটাই বলছিলাম।
৬১| ১৩ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৮
ফুলঝুরি বলেছেন: সুন্দর পোস্ট ।ভালো লাগলো
১৬ ই জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১১
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। অনেক অনেক ভাল থাকুন।
৬২| ১৭ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:২০
এক মুসাফির বলেছেন: ভাই আমার মুরশেদ একটি নসিহত আমাদের উদ্দেশ্য প্রায় করেন,তা হল-কামারের বাড়িতে কুরআন চর্চা করোনা।তার রেফেরেন্সে হযরত ইমাম আবু হানিফা রঃআঃ জীবনের একটা ঘটনাও উল্লেখ করেন।
পাউডারের সাথে আপনার আলাপটা দেখে মনে পরে গেল।
আপনার অসাধারণ লিখার জন্য সাধুবাদ জানাই।আল্লাহ আপনাকে আরো জ্ঞান দান করুক।
২৩ শে জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৮
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: মুসাফির ভাই, এই কথাটা আমি জীবনেও ভুলব না। কামারের বাড়িতে কুরআন চর্চা করো না... অসাধারণ উইট।
পাউডার ভাইকে আমার খুবই ভাল লাগছে। তিনি অনেক ধৈর্য্য ধরে স্টেপে স্টেপে আলোচনা করেছেন।
আল্লাহ যেন তাঁর দয়ায় রাখেন, তাঁর দয়ায় বাড়ান, তাঁর দয়াতেই টেনে নেন, সেই বিষয়ে আপনার সম্মানিত মায়াময় মুর্শিদের কাছে আমার জন্য একটু বিশেষ করে এক মুহূর্তের জন্য হলেও দোয়া চাইবেন।
৬৩| ২৩ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:৫৩
হাসিনুল ইসলাম বলেছেন: প্রশ্ন ১:
কেউ যখন বলে বসে:
“আমার জন্মের আগে কি আমার ইচ্ছা-অনিচ্ছার কথা জানতে চাওয়া হয়েছিল? আমার বেহেসত দরকার নেই, দোযখে যেতেও চাই না। আমাকে কেন জোর করে এই দুনিয়ায় পরীক্ষার মাঝে ফেলা হলো?
তখন আমরা উত্তর শুনি:
“প্রত্যেকের আত্মাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল এবং সবাই দুনিয়ায় আসতে চেয়েছিল। এখন আমরা সেটি ভুলে গেছি।”
কিন্তু উপরের ব্যক্তিটি কিন্তু এটি মানতে পারেন না। উনার জন্য ব্যাখ্যা কি?
প্রশ্ন ২:
বহুজন এই প্রশ্ন করে থাকেন:
আমি যদি পাশের দেশ ভারতে জন্ম নিতাম, তাহলে আমার সনাতন ধর্মের পরিবারে জন্ম নেয়ার সম্ভাবনা খুব ছিল। তাহলে আমার ইসলাম ধর্ম সঠিক, আর অন্যগুলো বাতিল বলি কিভাবে? অন্য মতের অনুসারীদের দোষ কোথায়?
এরপর হয়ত বলা হয়, প্রত্যেককে প্রভুর খোঁজ নিতে বলা হয়েছে। চেষ্টা করলেই সেটা সম্ভব। কোটি কোটি মানুষ কেবলমাত্র জীবনধারনের জন্য বেঁচে আছে, তাদের মনে খোদার কথা কতটুকু পরিস্কার হতে পারে?
এসবের ব্যাখ্যা কি?
প্রশ্ন ৩:
অনেকে বলেন, এমনকি কোনো কোনো কোরান শরীফের ভূমিকায় বলা আছে: উচ্চারণ ভুল হলেপাঠকারী কাফের হয়ে যাবে।
একটি বিদেশী ভাষা কতটা শুদ্ধভাবে পাঠ করা যেতে পারে?
এটি কি আসলে সঠিক উচ্চারণ করার জন্য প্রণোদনার জন্য বলা, নাকি প্রকৃতই তাই?
প্রশ্ন ৪:
ধ্যান, জিকির, আরো অন্যান্য আমল করে মানুষ কি পায়? আল্লাহর সান্নিধ্য পাওয়া- এ অবস্থাটির মানসিক ব্যাখ্যা ছাড়া আর কোনোভাবে ব্যাখ্যা দেয়ার উপায় আছে কি?
প্রশ্ন ৫:
কোনো কোনো পুরুষ/নারী/এমনকি শিশু এক এক বিশেষ মানসিক/আচরণগত বৈশিষ্ট্যের অধিকারী যার কোনো কোনোটি ঠিক ভালও নয়। এর জন্য ব্যক্তিকেই দায়ী হতে হয়, কেন?
যেমন, কেউ ছোট থেকেই বেপরোয়া (বাবামার বাধা-বোঝানোর পরেও), কেউ কোনো বিষয়ে লোভী, কেউ অলস স্বভাবের, কেউ নোংরা, কেউ অতিভদ্র, কেউ ভীরু, কেউ নির্লজ্জ, কেউ কিছু লোভের বিষয়ে একেবারে লোভহীন ইত্যাদি। এর যৌক্তিকতা কি?
প্রশ্ন ৬:
কোরান শরীফের একটি আয়াত টিভিতে আজানের পর/আগে প্রচার হয়, যার অর্থ এমন, নামাজ মানুষকে অন্যায়-অশ্লীলতা থেকে মুক্ত রাখে। কিন্তু নিয়মিত নামাজ আদায়কারী কেউ কেউ কেন এসব থেকে মুক্ত হতে পারে না?
বলা হয়, তারা সঠিকভাবে নামাজ পড়ে না। তাহলে কথাটি অতটা সোজাসাপ্টা বলা হলো কেন?
আরো প্রশ্ন আছে পরে করবো, প্রশ্ন করার মত মানুষ এখন খুব কম পাওয়া যায়। আমি আপাতত কেবল শুনে যাবো ব্যাখ্যাগুলো...আমার পক্ষ থেকে কোনো বিতর্কের রেখা থাকবে না... ভাল থাকবেন...
২৫ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ৭:০২
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: হাসিন ভাই, সালাম! এইরকম আলাপ করতেও কত আনন্দ!
৬.
আসলে যারা এই আয়াতগুলো নিয়ে প্রশ্ন তোলে, তারা টোটালিটারিয়ান প্রশ্ন তোলে না, তারা প্রশ্নটা তোলে আউট অভ কনটেক্সট অথবা স্ট্যান্ড অ্যালোন।
আমার কাউকে মেরে ফেলতে ইচ্ছা করছে- এর মানে এই না যে, আমার কাউকে সর্বক্ষণই মেরে ফেলতে ইচ্ছা করে।
আমার কাউকে মেরে ফেলতে ইচ্ছা করছে- এই ইচ্ছার সাথে সাথে আমার অন্যান্য পারিপার্শ্বিকতাগুলো গ্রহণ করতে হবে।
মুসলিমরা যদি স্ট্যান্ড অ্যালোন আয়াত গ্রহণই করত, তবে তো তারা যেখানেই কাফির তথা অমুসলিম পেতো হত্যা করতো। আমি সেলুনে গেলাম, চুল কাটাতে গিয়ে দেখলাম ছেলের নাম নিতাই, দিলাম ক্ষুর দিয়ে তার গলায় পোচ। আটারলি ননসেন্স।
মুসলিমরা কখনো এ কাজ করে না। কারণ তারা সিদ্ধান্ত গ্রহণের পদ্ধতি জানে।
কুরআনের কোন আয়াতই স্ট্যান্ড-অ্যালোন নয়। রাসূল দ.'র কোন হাদীসই স্ট্যান্ড-অ্যালোন নয়। এমনকি ইসলামের কোন ফতোয়া, কোন বিধি, কোন বিধানই স্ট্যান্ড অ্যালোন নয়। এই প্রতিটা বিষয় ইন্টারকানেক্টেড এবং এই বিষয়গুলোর অথরিটি যাদের আছে, তারাই তা বলতে পারবেন, আমরা শুধু তাদের কথা রিপিট করতে পারব।
নামাজের বিষয়ে কুরআনে বলা হয়েছে,
যারা নামাজ আদায় করে অথচ এতিমের হক মারে... এই ধরনের একটা আয়াত।
কুরআন ও হাদীসে আমরা পাই,
* যে পরের সঠিক দোষটা তার অনুপস্থিতিতে বলল, সেই গিবতকারীর দোয়া কবুল হয় না। (কেননা, গিবত তাই। আর মিথ্যা দোষ বললে তো তা আরো ভয়ানক, তখন তা অপবাদ হয়ে যায়)।
* বিদায় হজ্বে এক ব্যক্তি উঠে দাঁড়িয়ে বলল, হে মুহাম্মাদ! তুমি খোদাকে ভয় করো, গণিমত বন্টনে ন্যায়বিচার করোনি। রাসূল দ.'র মুখমন্ডল লাল হয়ে উঠল, কেননা তিনি পার্থিব জীবন থেকে চলে যাবেন বিধায় তাঁর ভাগের গণিমত প্রিয়জনদের দিয়েছিলেন বলে সেটা বেশি দেখাচ্ছিল। তিনি বললেন, ধ্বংস হও তুমি! আমার মত খোদাভিরু এবং ন্যায়বিচারক আর কে আছে? উমার রা. তরবারিতে হাত রেখে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল দ.! আপনার চরণে আমার মা-বাবা কুরবান হোন! অনুমতি দান করুন! রাসূল দ. বলেছেন, হে উমার রা., আপনি এই ব্যক্তিকে দেখে রাখুন, তার বংশ থেকে এমন এক দল উদয় হবে, যারা কুরআন আপনাদের চেয়ে সুন্দরভাবে, অধিক পড়বে, নামাজও, রোজাও। কিন্তু তাদের কিছুই কবুল হবে না, কারণ সমস্ত কিছু ঈমানমুখী এবং এই ধরনের কর্মফলের কারণে ঈমানই বের হয়ে এভাবে ভবিষ্যত ভাগ্যকে বিদ্ধ করেছে যেভাবে তীর বেরিয়ে শিকারে লেগে যায় এবং তা আর ফিরানো যায় না।
(বুখারী শরীফ, না দেখে লেখা...)
অর্থাৎ, ঈমানের অভাব থাকলে, অথবা মনোনিবেশের অভাব থাকলে নামাজ হবে না। আর তা অশ্লীলতা থেকে মুক্ত রাখার প্রশ্নই ওঠে না।
আল্লাহ কেন প্রতিটা আয়াত ইন্ডিভিজুয়ালি ব্যাখ্যা করবেন? নামাজ কবুলের অন্যান্য শর্ত তো অসংখ্যভাবে কুরআনে ও হাদীসে মওজুদ আছে। তিনি তো সাড়ে ছয় হাজার আয়াত দিয়েই দিয়েছেন যার প্রতিটাকে প্রতিটার সাথে মিলানোর পর সুন্নাহর সাথে সম্পৃক্ত করার পর আমাদের পূর্ববর্তী নির্দেশদাতারা যেভাবে তা নির্দেশিত করেছেন, সেভাবে আমরা গ্রহণ করব।
আবার আমরাই পারি তা শর্টে বলতে, ঈমান, মনোনিবেশ, শারীরিক-মানসিক এবং কর্মের শুদ্ধতা এবং খোদ আল্লাহর সামনে দাঁড়াচ্ছি, এই মনোভাব নিয়ে মানুষ যখন নামাজে দাঁড়ায়, তখন তার অশ্লীলতার ভূত পালায়।
যেমন, যে মানুষটা টিভি দেখে খায়, সে খাবার কথা মনে করে না দেখে তার লালা, পেপটিক জুস এবং বিভিন্ন তরল ক্ষরণ হয় না... ক্ষতি বেশি হলে বদহজম এবং কমপক্ষে পুষ্টির ঘাটতি। কারণ পুষ্টি তো আসবে ওইসব তরলের প্রক্রিয়াকরণের পর। এমনকি সে এও ভুলে যায়, যে সে খেয়েছে কিনা।
আমাদের নামাজ তো এমনি। আমরা কোনমতে পালনীয়টা পালন করি, কিন্তু কী করছি, সেটার দিকে বিন্দুমাত্র মনোযোগ নেই। এটা প্র্যাক্টিসের অভাব। পূর্ণ আনুগত্যের অভাব। ক্ষুদ্র আনুগত্য ক্ষুদ্র ফল আনে। মানুষ যার প্রতি আন্তরিক, তাতেই তার মনোযোগ বেশি থাকে। এটা সাধারণ মানবীয় ভুল। আমরা মানুষ, কিন্তু কত অসংখ্য মানুষকেই না যুগে যুগে নামাজ অশ্লীলতা থেকে মুক্ত রেখেছিল এবং এখনো কত অসংখ্য মানুষকেই না রাখছে!
মুসলিমদের মধ্যে প্রতিনিয়ত নামাজ পড়ে মাত্র ১০%। বেশি হলে পনেরো। এর মধ্যে তারা শামিল, যাদের নামাজ কিছুতেই কবুল হবে না, কারণ ঈমান বেরিয়ে গিয়ে তার আর জীবনে ঈমান আসার সম্ভাবনা রুদ্ধ হয়ে গেছে নিজ কর্মফলে অথবা এতিমের/ অন্য যে কোন ব্যক্তির হক নষ্ট করে অথবা খুবই সিম্পলি পরচর্চা করে অথবা তার শরীরের কোন ক্ষুদ্র অংশ পুষ্টি গঠিত হয়েছে হারাম খাদ্য দিয়ে আর হারাম খাদ্য কতটা ভয়ানক এবং এ বিষয়ে যারা ইসলামের দিকপাল, তাদের অন্যতম ইমাম আবু হানিফা রা.'র জীবনে আমরা দেখি, তিনি ঋণ দিয়েছিলেন তার বাসায় বসতে অস্বীকার করেন, পানি পান করতে অস্বীকার করেন এমনকি তার বাসার সামনের ছায়ায় দাঁড়াতে অস্বীকার করেন, তা সুদ হিসাবে বিবেচিত হয় কিনা, এই ভয়ে অথবা তিনি সাতটা দীর্ঘ বছর ভেড়া খান না, একটা ভেড়া এই এলাকায় চুরি হয়েছিল, সেটার মাংস যদি কোনক্রমে তার কাছে চলে আসে একটা ভেড়ার জীবদ্দশায়।
আমরা ইসলামের সাহাবি, তাবেয়ি রা. গণের মত মহামানব নই, কিন্তু আমাদের নূনতম মানব হওয়া দরকার ছিল নামাজ কবুলের জন্য।
এই দশভাগ মানুষ পরচর্চা রেজিস্ট করতে না পারলে নামাজ তাদের কোন উপকার করতে পারবে না।
২৫ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ৭:১৫
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: কোনো কোনো পুরুষ/নারী/এমনকি শিশু এক এক বিশেষ মানসিক/আচরণগত বৈশিষ্ট্যের অধিকারী যার কোনো কোনোটি ঠিক ভালও নয়। এর জন্য ব্যক্তিকেই দায়ী হতে হয়, কেন?
যেমন, কেউ ছোট থেকেই বেপরোয়া (বাবামার বাধা-বোঝানোর পরেও), কেউ কোনো বিষয়ে লোভী, কেউ অলস স্বভাবের, কেউ নোংরা, কেউ অতিভদ্র, কেউ ভীরু, কেউ নির্লজ্জ, কেউ কিছু লোভের বিষয়ে একেবারে লোভহীন ইত্যাদি। এর যৌক্তিকতা কি?
মানুষের তাই স্বভাব, যা তার কাছে স্বাভাবিক হয়ে পড়ে। এবং তাই স্বাভাবিক হয়ে পড়ে, যে সম্পর্কে সে বিন্দুমাত্র সচেতন প্রয়াস রাখে না সংশোধনের। অর্থাৎ, যে কাজটাকে মানুষ মনের গভীরে ভুল মনে করে না, তাই তার স্বভাবে পরিণত হয়। আর ভুল আচরণ বা ভুল কাজকে ভুল মনে না করা আরো বড় ভুল।
দায়ী কখনোই শুধু ব্যক্তিকে হতে হয় না। কখনো ব্যক্তি, কখনো পরিবার, কখনো পুরো ভাষাভাষি জাতি, গোত্র, সংঘ, সংগঠন, দেশ এমনকি কোন কোনটার দায় মানবজাতির উপরও পড়বে বা পড়তে পারে।
ওয়াল্লাহু লা ইউহিব্বু কাওমায্ য্বালিমিন।- আল্লাহ অত্যাচারী গোত্র/জাতি/সংঘকে ভালবাসেন না।
কিয়ামাতে প্রত্যেক মানুষ তার পিছনে দাঁড়াবে যে যাকে অনুসরণ করবে (ইমাম)।
একজন মানুষের চরিত্রে প্রভাব যারা যারা ফেলবে, তাদের সবাইকে খুবই কঠিনভাবে জবাবদিহি করতে হবে। কিন্তু মূল দায় ব্যক্তির। কেননা, ব্যক্তির সক্ষমতা তার অক্ষমতার কাছে সমুদ্রতীরে বালুকণা। একজন মানুষের মস্তিষ্কের যে গঠন, এর কোন তুলনা নেই। এর সক্ষমতার কোন তুলনা নেই। শিশু মাতৃগর্ভে থাকাকালেই প্রতি সেকেন্ডে আট হাজার ক্যালকুলাস করে এবং তার সামারি গ্রহণ করে।
সেই মানুষ সঠিক করণীয় বুঝতে পারেনি, তার বিবেক তাকে সেটা জানায়নি... অসম্ভব।
সে যা স্বভাব অর্জন করেছে, 'ডু হোয়াট ইউ ওয়ান্ট টু ডু', 'ইউ আর ফ্রি', 'ফ্রিডম' থেকে করেছে। এর ফল সে ভোগ করবে। অথবা ক্ষমা।
তাই শুধু তারই স্বভাবে কিছু পাপ হবে না, যে পাগল, অথবা জন্ম থেকে নিউরনিক বিকলাঙ্গতায় ভোগে, অথবা অতিবৃদ্ধতায় অথবা একেবারে শিশু। এটা সরাসরি হাদীস।
আর কিছু স্বভাব রয়েছে, যেগুলোর বিষয়ে একটা মাত্রার ভিতরে কঠোরতা পূর্ণ ক্ষমাময়।
অর্থাৎ, জেনেটিক স্বভাব।
সহিহ হাদীস থেকে জানি, উমার রা. ও তাঁর মহাসম্মানিতা মুমিনদের মাতা কন্যা- উভয়ের বিষয়ে রাসূল দ. বিভিন্ন সময়ে বলেছেন, এঁদের রাগকে ওইভাবে ধরা যাবে না, যেভাবে অন্যেরটা ধরা যায়, কারণ এটা তাঁদের (জন্মগত প্রভাবগত) স্বভাব- যা পাল্টায় না।
২৫ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ৭:৩৩
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ধ্যান, জিকির, আরো অন্যান্য আমল করে মানুষ কি পায়? আল্লাহর সান্নিধ্য পাওয়া- এ অবস্থাটির মানসিক ব্যাখ্যা ছাড়া আর কোনোভাবে ব্যাখ্যা দেয়ার উপায় আছে কি?
এই কথা তো তারা বিশ্বাসই করতে চাইবে না। এজন্য আমি একটা কথা সবাইকে বলি, চাক্ষুষ প্রমাণ আছে। মাত্র ছয়দিন ব্যয় করতে হবে। নিজের চোখে না দেখলে তো বিশ্বাস হবে না। না, আল্লাহকে দেখা যাবে, তা বলছি না। আল্লাহর অকাট্য প্রমাণ দেখা যাবে।
দয়াময় প্রতিপালক, তুমি কীভাবে মৃতকে জীবিত কর দেখতে চাই। ইব্রাহিম আ.! তুমি কি বিশ্বাস রাখো না! রাখি, কিন্তু দেখলে পরিতৃপ্ত হতাম।- কুরআন।
প্রথমে অর্ধেক, শেষে অর্ধেক টানা সময় দিয়ে মাঝখানে প্রতিদিন মাত্র দুবার ধ্যান করতে হবে একমাস।
অবশ্যই, ছুরি চোরও ব্যবহার করে। শয়তান পূজারী এবং জ্বিন পূজারীরাও ধ্যান করে। সেক্ষেত্রে আত্মার ভয়ানক ক্ষতি। ধ্যান শুধু মুমিনের কাছ থেকে নেয়া নিরাপদ। সেটাই খোদার ধ্যান, যেটা মুমিন প্রশিক্ষণ দেন। মুমিন যেটা ডেভলপ করেছেন- হাজারো বছর ধরে।
এই ছয়দিনের কারণে যে পরিবর্তন আসবে, বলতে পারি যে চাক্ষুষ প্রমাণ পাবে, সেই পরিবর্তনে আল্লাহ তো দূরে, তাঁর মহান নবীগণ রাসূলগণ খুলাফা-আহলে বাইত- সাহাবা-তাবিয়ি দূরে, আল্লাহর কোন দাসের ক্ষমতাকেও অস্বীকার করার স্পর্ধা আসবে না।
বিজ্ঞান যা যা অস্বীকার করছে আজো, তার সবই হবে। যেমন, তিনি যেই হোন না কেন, শুধু নিয়ম করে এইটুকু করলে তিনি সৃষ্টি জগতের যে কোন প্রাণীর গায়ের লোহিত রক্ত কণিকা মাপতে পারবেন, গণনা করতে পারবেন মাত্র দশ মিনিট সময় ব্যয় করে।
এবং ওই পর্যায়ে গিয়ে আল্লাহ বিষয়ে বা তার নির্ধারিত ধর্ম বিষয়ে কোন প্রশ্নই আর মানুষের মনে থাকে না।
বিষয়টা এমন, তাঁরা কখনো সাঁতার কাটেননি, তারা জানেন, পানি থেকে ভারি বস্তু পানিতে ডোবে। শুনেছেন, কোটি মানুষ সাঁতার কাটে। নিজে কাটতে গিয়ে ডুবেছেন... পানি খেয়েছেন... আশপাশের মানুষকেও নাকাল হতে দেখেছেন।
তাই তারা সব দিক বিবেচনা করে বললেন, সাঁতার নেই। যে বলে সাঁতার আছে, সে ভন্ড, কারণ বিজ্ঞান বলে, পানি থেকে ভারি বস্তু ডুবে যায় এবং আমরা কেউ সাঁতরাতে পারিনি।
অথচ চাইলেই মাত্র ছয়দিনের অ্যাফোর্টে এমন কোটি মানুষের কমুনিটিতে যুক্ত হতে পারেন, যারা সাঁতার জানে এবং এমনকি লক্ষ মানুষের সাথে সাঁতরাতেও পারেন, তাদের সাঁতারের অভিজ্ঞতাও দেখতে পারেন।
২৫ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ৭:৫০
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: উচ্চারণ ভুল হলেপাঠকারী কাফের হয়ে যাবে।
আল্লাহু ওয়া রাসূলুহু আ'লাম।
তবে আরবি ভাষা তো খুবই সেনসিটিভ। অন্যান্য ভাষা থেকে, এর উচ্চারণের হেরফেরে ভয়ানক দূরত্ব তৈরি হয়। যেমন, কালবুন মানে কুকুর। ক্বালবুন মানে হৃদয়।
সাধারণ মানুষ তো আর অর্থ বোঝে না, তাই উচ্চারণ ভুল করে, মনে হয় ক্বাফির হবে না।
তবে যে ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল উচ্চারণ করবে এবং সেটা প্রবাহিত করবে, তার অর্থ জানার পরও, সে তো অবশ্যই ক্বাফির হয়ে যাবে।
এক্ষেত্রে আমাদের সহায়তা করবে এই হাদীসে মুবারাকাগুলো-
লক্ষ্য/দৃষ্টিভঙ্গি/ইচ্ছা/নিয়্যতের উপর যে কোন কাজের গ্রহণযোগ্যতা নির্ভর করে।
যারা অযু করে, তাদের ক্বাফির বলো না।
যারা ক্বালিমা (তৌহিদ-রিসালাত-শাহাদাত) পাঠ করে, তাদের ক্বাফির বলো না।
আল্লাহ আমাকে এই নিশ্চয়তা দিয়েছেন যে, আমার উম্মাহ কিয়ামাত এর আগ পর্যায় ছাড়া অন্য কোন সময়েই ক্বাফির হবে না। (দুটা হাদীসের সমন্বয়)
কাউকে যে ক্বাফির বলবে, সে ক্বাফির না হলে যে বলল সেই ক্বাফির হয়ে যাবে।
আমি বিশ্বাস করি, জগতের কাউকেই ক্বাফির বলা উচিত না, কেননা কার ভিতরে তৌহিদ-রিসালাতের নূনতম শাহাদাত আছে সেটা আমরা তো জানি না।
প্রকৃত আরবি গ্রামারে ক্বাফির মানে, যে ঢেকে ফেলে। অর্থাৎ, যে জানার পরও তা বুঝে অস্বীকার করে।
তাই জগতে শুধু তারাই ক্বাফির যারা জেনে বুঝে অস্বীকার করে- তা হতে পারে আল্লাহকে, আল্লাহর যে কোন গুণকে, রাসূল দ. কে বা তার যে কোন গুণকে, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল দ.'র যে কোন নির্দেশকে, ইসলামের যে কোন বিষয়কে।
কুরআনের অসংখ্য আয়াতে বারবার বলা হয়েছে, যারাই বুঝেছে, অত:পর অস্বীকার করেছে এবং এই অবস্থায় মারা গেছে- আল্লাহ ক্বাফিরদের ভালবাসেন না/ তাদের আর ঈমান দান করেন না/ তাদেরই জন্য অনন্ত জাহান্নাম ইত্যাদি।
আমরা তো আলহামদুলিল্লাহ নিশ্চিন্ত, বুখারি শরীফের হাদিস, কিতাবুল ঈমান, আবু হুরাইরা রা. রাসূল দ.'র নির্দেশে- রাসূল দ.'র জুতা মুবারকের দিকে তাকিয়ে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বললেই জান্নাত।
আমরা তাঁর চরণতলে তাঁর জুতার দিকে তাকিয়ে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ তো বলেছি, আমাদের আর কোন চিন্তা নেই- আলহামদুলিল্লাহ, লা খাওফুন ওয়া লা হুম ইয়াহযানুনের অন্তর্গত প্রত্যেক ঈমানসম্পণ্ন মানুষ।
আমাদের সব ছোট ত্রুটি আল্লাহ ক্ষমা করে দিবেন, যদি আমরা বড় ত্রুটি থেকে বেঁচে থাকি (কবিরা) এবং তাঁর, তাঁর রাসূল দ.'র ও সত্যপন্থী যুগে যুগে নির্দেশদাতা যাঁরা আমাদের মধ্যে ছিলেন ও আছেন তাঁদের নির্দেশনায় চলি- এবং যা প্রকৃত চেষ্টার পরও বুঝতে পারিনি সেটা আল্লাহ ও তাঁর রাসূল দ.'র কাছে সঁপে দেই।
যে ইসলাম গ্রহণ করেছে এবং বুঝে জানার পরও ভুল বিশ্বাস ধারণ করেনি, তারই কাফির হবার কোন সম্ভাবনা নেই।
২৫ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ৮:০৫
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আমি যদি পাশের দেশ ভারতে জন্ম নিতাম, তাহলে আমার সনাতন ধর্মের পরিবারে জন্ম নেয়ার সম্ভাবনা খুব ছিল। তাহলে আমার ইসলাম ধর্ম সঠিক, আর অন্যগুলো বাতিল বলি কিভাবে? অন্য মতের অনুসারীদের দোষ কোথায়?
অবশ্যই। আমরা যেখানেই জন্মাতাম, সেখানেই সে মতের আদর্শে হতাম। কারণ, সাধারণ মানুষ মিমিকিং।
এ বিষয়ে হাদিসে মুবারাকা-
শিশু জন্মায় ফিতরাতে-স্বভাব ধর্মে। তারপর তা বাবা মা ও পরিপার্শ্ব তাকে বদলে দেয়। অর্থাৎ, এ পাপ বাবা-মা-পরিপার্শ্বের উপর তো পড়বেই, সাথে সাথে নিজের উপরও পড়বে।
কেননা, আমাদের মস্তিষ্কের ব্যবহারযোগ্য ক্ষমতা (সাধারণত ২%, তাই যথেষ্ট, অতি মেধা চর্চার মাধ্যমে অর্জন করলে ৪%-৬%, অস্বাভাবিক মেধা ধ্যানের মাধ্যমে অর্জন করলে বড়জোর টেনেটুনে ৭-১০%), যদি তা আমরা ব্যবহার করতে চাই, তবে তার তুলনায় আমাদের চারপাশ এর প্রভাব ও অক্ষমতা হল একটা মহাসাগরের পাড়ে একটা বালির কণার সমান।
সমস্ত তথ্য আমাদের সামনে আছে। তাকেই প্রশ্ন করা হবে, যার সামনে তথ্য ছিল, আহ্বান ছিল, কিন্তু সে সেটা বিবেচনায়ও নেয়নি।
কেউ যদি বুঝতে না পারে যথাযথ চেষ্টার পরও, তার অনন্ত শাস্তি হবে না।
যে যথাযথ চেষ্টার পর বুঝে চলে যাবে, বা একটু বুঝে চলে যাবে, বা যথাযথ চেষ্টা করবে না, তাদের কারো কারোটা অনন্ত শাস্তি হওয়াই স্বাভাবিক।
পুরো বিষয়টাই প্রদত্ত ক্ষমতার। আমাকে একশো একর ভূমি দেয়া হল, এক জীবন সময় দেয়া হল, আমি চাষ করলাম না- না খেয়ে শুকিয়ে গেলাম। দোষ আমার। আর একশ একর ভূমি হল মস্তিষ্ক।
আর আল্লাহকে বোঝার বিষয় তো মানুষের ভিতরেই দেয়া থাকে। তাই যে কোন মানুষ মুওয়াহিদ তথা এক অনংশী ঈশ্বরে বিশ্বাসী হতে পারে শুধু নিজে চিন্তা করে, কোন দাওয়াত ও কোন কিছু ছাড়াই।
যে শরিক বিহিন এক ঈশ্বরে বিশ্বাস করে, সে মুওয়াহিদ।
আর মুওয়াহিদ কখনোই অনন্ত জাহান্নামে পুড়বেন না, বরং নবী-রাসূল খুঁজে তার আনুগত্য না করার কারণে যে বিরাট শাস্তি প্রাপ্য, তার কিয়দংশ পেয়ে আল্লাহর ক্ষমায় জান্নাতি হবেন- যদিও তিনি নামাজ রোজা এমনকি কালিমা পড়েননি।
কিন্তু সুযোগ পেয়ে সেটা পায়ে ঠেলে, বিবেচনা, বিশ্লেষণ না করে নিজের নাফসের আনুগত্য করে, নিজের গোত্র/ভাষা/জাতি/দেশের একক আনুগত্য করে (এসবের আনুগত্য করতে হবে, কিন্তু অন্ধত্ব নয়) 'ফ্রিডম' এর সুযোগ নিয়ে জীবন শেষ হলে তো এই প্রশ্নের সম্মুখীন হতেই হবে, যে সেই মৌলিক প্রশ্ন, আমি কে, আমি কী, আমি কীজন্য, কেউ আছেন কিনা, তিনি কে, তিনি কীজন্য- এটা সার্চ করোনি, সামনে উপস্থাপন করা হয়েছে, বিবেচনায় নাওনি, এক জীবনে কী করলে?
২৫ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ৮:১৩
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: “প্রত্যেকের আত্মাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল এবং সবাই দুনিয়ায় আসতে চেয়েছিল। এখন আমরা সেটি ভুলে গেছি।”
কিন্তু উপরের ব্যক্তিটি কিন্তু এটি মানতে পারেন না। উনার জন্য ব্যাখ্যা কি?
উনি এই কথাটা সৎ বলেছেন, যে তাঁর মনে নেই।
তিনি যেহেতু এই পর্যন্ত বিশ্বাসে পৌছে গেছেন যে, তাঁকে পাঠানো হয়েছে, এটাও সেই ভিত্তিতেই ধরে নিতে হবে যে, পাঠানোর আগে জিজ্ঞেস করা হয়েছে।
আমি যদি কথার খাতিরেও এটা বিশ্বাসই করি যে, একটা ফাঁকা গ্লাস আছে, তাহলে আমাকে এও ধরে নিতে হবে যে, এই গ্লাসে বাতাস আছে।
পাঠানোর সাথে পূর্বশর্তরূপে জিজ্ঞাসা জড়িত। তাই, পাঠানো ধরে নেয়ার সাথে সাথে জিজ্ঞাসা ধরে নেয়া হবে।
কারণ, যার কাছে জিজ্ঞাসা অ্যাবসার্ড, তার কাছে পাঠানোও অ্যাবসার্ড। একটা অ্যাবসার্ডকে মেনে নিয়ে অন্যটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার কোন সুযোগ নেই।
আর এই জিজ্ঞাসা যে করা হয়েছিল, তা বুঝে জানার উপায় আছে। মাসখানেক নিয়ম মত ধ্যান করতে হবে... কিছু বিষয় কর্মের সাথে জড়িত, তত্ত্বের সাথে নয়। এই উপলব্ধি শুধু কর্মের উপলব্ধি।
হাসিন ভাই, অনেক অনেক ভাল থাকুন... এত ভাল লাগল বলার মত না। ঈদ মুবারাক!
৬৪| ২৭ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ৮:২২
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: প্রিয় লেখক,
ইসলামের বিভিন্ন বিষয়ে আমার আগ্রহ ছিল (এবং আছে) জানার, ঘাঁটাঘাঁটি করার। কিন্তু একাধিক কারণে পিছিয়ে এসেছি, বিরত থেকেছি...সে যাই হোক, যেহেতু এখানে সুযোগ পেয়েছি, একটা প্রশ্ন করতে চাই আপনাকে। এটা আধ্যাত্মিক বিষয়ে নয় আসলে, এবং সুফিবাদের সাথেও সম্পর্ক নেই, স্রেফ জানার উদ্দেশ্যে।
সেটা হচ্ছে, একজন মুসলিম যদি কোন কারণে ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করে, তাহলে আল্লাহ তা'য়ালা তাকে কিয়ামতের দিন স্বয়ং শাস্তি দেবেন বলেছেন (এটা কুরআনে নাকি হাদিসে আছে আমি ঠিক নিশ্চিত নই)। কিন্তু ঐ ব্যক্তিকে ধর্মত্যাগের কারণে দুনিয়াতে অন্যান্য মুসলিম ব্যক্তিরা শাস্তি দিতে পারে কি না, এই বিষয়ে কিছু বলা আছে কি? কিংবা কোন দিকনির্দেশনা দেওয়া আছে কি না?
আগাম ধন্যবাদ জানিয়ে রাখলাম। ভাল থাকুন অনেক অনেক।
২৮ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১:০৮
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আহ, প্রিয় প্রফেসর শঙ্কু,
আপনার ভালবাসায় ভরা কমেন্টটা রীতিমত একটা চিঠি আমার কাছে।
আসলে ইসলামের পার্থিব প্রযোজ্য-শাস্তিমূলক আইনগুলো নিয়ে এক জীবনে খুব বেশি ভাবিইনি। এটা একটা অংশমাত্র। তাও কার্যকর হবে, যখন কোন ক্ষেত্রে ইসলামি আইন প্রতিষ্ঠিত হবে- মধ্যপন্থার আইন, এবং যা প্রতিষ্ঠিত হবে আল্লাহর কোন প্রকৃত প্রতিনিধির হাত দিয়ে, কোন চরমপন্থী বিপ্লবের মাধ্যমে নয়।
অর্থাৎ, প্রকৃত মধ্যপন্থার ঐশী খিলাফাত যদি কখনো কোথাও প্রতিষ্ঠিত থাকে, তখনি সে অঞ্চলে ওইসব আইন প্রতিষ্ঠিত হবে, এটা প্রয়োগ করা ব্যক্তির অধিকার নয়।
ইসলাম ত্যাগ করাটা অনেকটা ক্লোজ প্যাকড ফ্রাটারনিটি ত্যাগ করার মত। আমি এর যে বিধানটা জানি সেটা অত্যন্ত কড়া। যে ব্যক্তি পরিণত বয়সে বুঝে ইসলাম গ্রহণ করবে তার ত্যাগ করার কোন সুযোগ নেই। এবং তাকে হত্যা করার বিধান রয়েছে- তবে এই বিধান কার্যকর হবে আদালত থেকে শমন আসার পর। এর সাথে রাষ্ট্র-প্রশাসন কাঠামোর নিরাপত্তার বিষয় জড়িত থাকলে এ বিষয়টা কার্যকর করা হয়। কেননা, কুরআন অনুযায়ী সবার এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকা পর্যন্ত সুযোগ থাকছে। চূড়ান্ত ক্ষমা/শাস্তিদাতার চেয়ে ভালভাবে তো অন্যে জানে না।
এটা অত্যন্ত হালকাভাবে জানি। এর মধ্যে অনেক মতভেদ রয়েছে, তবে এই মতটাও যে সঠিকের অন্যতম, তা জানি।
খলিফার নির্দেশ ব্যতীত কেউ কারো উপর ধর্মীয় আইন প্রয়োগ করতে পারে না, সীমিতভাবে পারে। বড় শাস্তি দেয়ার অধিকার কারো নেই। কারণ, আইনের প্রয়োগটাকে প্রতিক্ষেত্রে ধরা হয় ঐশী নির্দেশনা প্রাপ্তির বিষয়।
আর জীবনভর অসংখ্য নীতিনির্ধারকের বক্তব্য যা শুনেছি তা হল, প্রত্যেকের প্রত্যেক পাপকে পাশ কাটিয়ে সমান চোখে দেখা। কারণ, ক্ষমা/শাস্তির প্রকৃত পাল্লা যেহেতু তাঁরই হাতে, নিজের ভাবিত হবার কিছুই নেই।
৬৫| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ২:০৩
মোস্তাফিজ বলেছেন: আমার মনে হয় সুফিবাদ শরীয়তের পরবর্তী অধ্যায়। তাই তা সাধারণ মানুষ এর জন্য নয়।
০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৩:৫৭
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই সূফিবাদ শরীয়তের পরবর্তী অধ্যায় নয়, বরং তা শরীয়তের পূর্ণতাবিধায়ক অধ্যায়।
আমি যদি এক জীবনে উপলব্ধিই না করি, তাহলে কী হল ধর্মকে না চিনে, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল দ. কে না বুঝে!
সূফিবাদ হল আত্মপ্রবৃদ্ধির সংবদ্ধ পদ্ধতি। আর আত্মপ্রবৃদ্ধি ইসলামে এত বেশি গুরুত্ব পায় যে, যার অন্তরে কণামাত্র অহংকার থাকবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে না। যে মানুষকে দেখানোর উদ্দেশ্য মনে রেখে কোন ভাল কাজ করবে সে ছোট শিরক করবে। আত্মপ্রবৃদ্ধি এত উচ্চ বিষয় যে, বাবা-মায়ের দিকে ভালবাসা নিয়ে একবার তাকালে তা কবুল হজ্বের সওয়াব হয়।
এবং, সূফিবাদ মূলত ঈমানের পূর্ণতাবিধায়ক। আমি আজো একজনের কথাও শুনিনি, যে প্র্যাক্টিক্যালি রাসূল দ. কে আপন প্রাণ থেকে এবং সম্পূর্ণ সৃষ্টি জগতের প্রতিটা বিষয় ও ব্যাপার থেকে অধিক ভালবাসতে পেরেছে, অথচ সে সূফিবাদের দীক্ষা পায়নি।
আর রাসূল দ. কে সবকিছুর উর্দ্ধে ভালবাসতে পারাটাই ঈমানের প্রাথমিক শর্ত। যা না পূর্ণ হলে কেউ মুমিন হবে না।
৬৬| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:৪৮
বক বলেছেন: সুফিবাদে ধ্যান করার সময় শায়খ কে ডাকতে হয় এই বলে- ইয়া ..... (শায়খের নাম উল্ল্যেখ করে ) সাহায্য কর।- এটা কি শিরক হয় কিনা? নাকি এটা গ্রহণযোগ্য?
আমি এই বিষয়টার জন্য বাইয়াত হওয়াকে ভয় পাই।
২০ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ২:৫২
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই এই প্রথম গভীর একটা প্রশ্ন পেলাম সুফিবাদ বিষয়ক। সত্যটুকুকে সহজভাবে বলব, এই উদ্দেশ্যে পোস্ট। সেভাবেই বলছি, যদি কোন কথা আরো স্পষ্ট করতে হয়, আপনি আবার বলবেন প্লিজ।
বিষয়টাকে ধাপে ধাপে ভাগ করছি-
১. সূফিবাদের সকল ধারায় প্রচলিত অর্থে যা ধ্যান, সেটা নেই। যদিও সকল ধারাতেই কোন না কোন পর্যায়ে ধ্যানটা রয়েছে। মোট কথা, ধ্যান বহুবিধ, এবং কোন না কোন ধরনের ধ্যান সূফিবাদে করতেই হয়।
২. সূফিবাদের নামে যা প্রচলিত, তার সম্পূর্ণটাই সুফিবাদ নয়। অনেকে আছেন জেনেশুনে ব্যবসা করেন। অনেকে না জেনে ভুল পথে থাকেন। উভয়েই স্পষ্টভাবে পথভ্রষ্ট। সেই সূফি ধারাই সঠিক, যেখানে ধারা অবিচ্ছিন্ন এবং আক্বিদা একেবারে পাকা ও একই ধরনের। ধারা বিচ্ছিন্ন হলে গন্ডগোল বাধবেই। আবার আক্বিদা ভুল হলে, ধারা ওই ধাপেই বিচ্ছিন্ন হয়।
৩. স্পষ্টভাবে কোন্ বিষয়টা শিরক?-
ক. আল্লাহর জাতে কাউকে শরিক করলে তা শিরক। অর্থাৎ, আল্লাহ কাউকে জন্ম দিয়েছেন বা জন্মপ্রাপ্ত অথবা তার মত কেউ আছে এটা মনে করলে শিরক। এক কথায়, আল্লাহর স্পষ্ট অংশ নির্ধারণ করলেই শিরক।
খ. আল্লাহ কারো মুখাপেক্ষী, এটা মনে করলে শিরক।
গ. জেনে অথবা না জেনে যে কোনভাবে যে কোন মূর্তির বা বস্তুর উপাসনা করলে তা সর্বতো শিরক। এমনকি সেই মূর্তিকে মাধ্যম মনে করলেও শিরক।
ঘ. আল্লাহ ছাড়া আর কারো উপাসনা/ইবাদাত/পূজা করলেই শিরক।
ঙ. কেউ মুশরিক নয়, এমন অবস্থায় তাকে মুশরিক বলে আক্রমণ করলে শিরক।
চ. আল্লাহ ভিন্ন কাউকে চূড়ান্ত দাতা মনে করলে শিরক।
ছ. আল্লাহ ছাড়া কাউকে দেখানো/সন্তুষ্ট করার চেষ্টা করলে সেটা ছোট শিরক বলা হয়েছে। রিয়া। বলা চলে শিরকের মত কিন্তু শিরক নয়।
আমার বর্তমানের জানামতে এর বাইরে কোন কিছু শিরক নয়। তবে জানার সুযোগ এখনো খোলা আছে। তিনিই সর্বজ্ঞ।
৪. মুসিলম কি শিরক করতে পারবে?- আমরা জানি, সেই মুসলিম, যে উম্মাতে মুহাম্মাদির অন্তর্ভুক্ত। যে স্বীকার করে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ দ.। উম্মাতে মুহাম্মাদিতে তিহাত্তরটা ফির্কা হবে। এই তিহাত্তর ফির্কার সবাই কিন্তু উম্মাতে মুহাম্মাদি। সবাই কিন্তু মুসলিম। কিন্তু তাদের মধ্যে কেউই কিয়ামাতের ঠিক আগ মুহূর্ত ছাড়া মুশরিক হতে পারবে না। অর্থাৎ, ইমাম মাহদী রা.'র আগমন ও প্রকাশের পর তিনি আল্লাহর কাছে ফেরত চলে গেলে যখন পৃথিবী থেকে ইসলাম উঠে যাওয়া শুরু করবে শুধু তখনি মুসলিমদের মধ্যে শিরক ঢুকতে পারবে, তার আগে কক্ষনো নয়। কেননা, আল্লাহ রাসূল দ. কে এই ওয়াদা দিয়েছেন। আমরা সর্বগ্রহণীয় কমপক্ষে তিনটা আলাদা হাদীস পাই। রাসূল দ. বিভিন্ন ক্ষেত্রে বলছেন, আমাকে নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে, আমার উম্মাত কখনো শিরকে লিপ্ত হবে না। কিন্তু লিপ্ত হবে ফিতনায়। আজকে মুসলিমদের মুশরিক বলার চেয়ে বড় ফিতনা আর কী হতে পারে? অন্য হাদীসে পাই, তোমরা মুশরিক হবে সেই ভয় আমার নেই, কিন্তু তোমরা সম্পদের মোহে পড়বে সেই ভয় আছে। হ্যা, মুনাফিক মুশরিক হতেই পারে, যে আসলে এক আল্লাহকে বিশ্বাস করে না এবং রাসূল দ. কে রাসূল মনে করে না। কিন্তু যে-ই এক আল্লাহকে বিশ্বাস করে এবং রাসূল দ. কে মহান রাসূল মানে, সে যাই পারুক, মুশরিক হতে পারবে না। এটা আল্লাহর ওয়াদা।
৫. সাহায্য চাওয়া কি শিরক?- অবশ্যই। যদি কেউ মনে করে যে, এই সাহায্য আল্লাহর পক্ষ থেকে আসেনি, তবে সব সাহায্য চাওয়া শিরক। সেক্ষেত্রে মায়ের কাছে এক গ্লাস পানি চাওয়া শিরক, ক্লাসমেটের কাছে নোট চাওয়া শিরক, মোট কথা, সবই শিরক, যদি বিন্দুমাত্র মনে করা হয় যে, এই সাহায্য আল্লাহর পক্ষ থেকে আসেনি।
আর যদি এই সাহায্য আল্লাহর পক্ষ থেকেই চূড়ান্তে আসে, বান্দা/পরিস্থিতি তো নিমিত্তমাত্র- এটা যদি মনে থাকে, তবে শুধু মূর্তির কাছে চাইলে তা শিরক হবে। আর কোনকিছুর কাছে চাইলে শিরক হবে না।
কুরআনের কমপক্ষে ১৮ টি আলাদা আলাদা আয়াতে রয়েছে, মুমিনের সাহায্যকারী অনেক। নিশ্চই কুরআনের আলাদা ১৮ আয়াত শিরক করতে বলছে না! সহিহ হাদীসে আছে, নির্জনে বিপদে পড়লে, 'হে আল্লাহর বান্দা সাহায্য করুন!' বলা যাবে, এটাও তো শিরক নয়।
এই হল, আমরা তোমারই কাছে সাহায্য চাই এর প্রকৃতরূপ। নাহলে যে কারো কাছে সাহায্য চাইলেই শিরক হতো।
৬. শাইখ/ওয়ালীউল্লাহ/সিদ্দিক/শহীদ/সালিহ/উলিল আমর/ইমাম/সাহাবা/আহলে বাইত রা. অথবা খোদ নবী দ.'র কাছে কি সহায়তা চাওয়া যাবে?- বিষয়টাই এখানে।
বিষয়টা হল, এরা কারা? এরা কি মৃত? কুরআন এদের সক্ষমতার বিষয়ে কী বলে? হাদীস কী বলে? কুরআন ও হাদীস এঁদের বিষয়ে বলে, এঁরা মৃত নন, বরং জীবিত, এমনকি কবরে রিযকপ্রাপ্তও হন, বরং আমরা তা বুঝতে পারি না এবং এদের যেন মৃত না বলি। হাদীস বলে, নবীগণের দেহ স্পর্শ করা মাটির জন্য হারাম করে দেয়া হয়েছে। কুরআন বলে, নবীগণ আপন আপন উম্মাহর সকল কাজের সাক্ষ্যদাতা এবং আমাদের নবী দ. সকল নবীর সকল উম্মাহর সকল কাজের উপর সাক্ষ্যদাতা। আর এর নিদর্শন আমরা পাই বারবার বারবার বিভিন্ন আয়াতে- শাহিদাও (সংঘটিত বিষয়ের সাক্ষ্যদাতা), মুবাশশিরাও (স্বত:প্রণোদিত হয়ে সহায়তায় এগিয়ে আসার জন) নাজিরা (চাক্ষুষ দর্শনকারী) সিরাজাম মুনিরা (জ্বলজ্বলে প্রদীপ) হলেন আমাদের নবী দ.। আল্লাহ রাসূল দ. কে জিগ্যেস করছেন, আপনি কি দেখেননি, আপনার জন্মের পঞ্চাশ দিন আগে আমি হাতি বাহিনীর কী করলাম? আপনি কি দেখেননি, আদ/সামুদ জাতির সাথে কী করলাম? আপনি কি দেখেননি, আসহাবে ক্বাহাফের কোনদিক দিয়ে সূর্য উদিত হয়, কেমন করে সেই ছায়া প্রলম্বিত হয় এবং গুহার কোনদিক দিয়ে সূর্য অস্তমিত হয়? আর তিনি অসংখ্য আয়াতে তাঁকে বিভিন্ন ঘটনা স্মরণ করতে বলছেন। যা রাসূল দ. দেখেছেন, তাই স্মরণ করবেন। এই অসংখ্য আয়াত কি আমাদের নবী দ.'র উপর প্রযোজ্য ঈমান তৈরি করে না? তিনি রাহমাতাল্লিল আলামীন, অর্থাৎ, যত জগতে যত রহমত আছে আল্লাহর, তার সবই রাসূল দ.'র মাধ্যমে বর্ষিত। কতবড় কথা, এবং আপনাকে আমি প্রেরিত করিনি, সকল জগতের প্রতি রহমত রূপে প্রেরণের আগে।
এবং বুখারী মুসলিম পড়লে আমরা হতবিহ্বল হয়ে পড়ি। রাসূল দ.'র কত হাজার ঘটনা যে সেখানে আছে! শুধু একটাই হোক- তিনি এক দিনে অসংখ্য সাহাবাকে কিয়ামাত পর্যন্ত ঘটিতব্য সমস্ত ঘটনা বলে দিলেন, যারা ভালর নেতৃত্ব এবং মন্দের নেতৃত্ব দিবে, তাদের নাম, তাদের পিতার নাম এবং তাদের গোত্রের নাম ও সময়কাল বলে দিলেন। কেন বললেন? কারণ কিছু মুনাফিক বলছিল, আমরা যে মুসলিম নাম নিয়ে তার ঠিক পিছনেই নামাজ পড়ে এলাম, সে তো বলতেই পারল না, যে আমরা মুসলিম নই। একজন মুনাফিকও জানে, একজন নবী বলতে পারেন।
মূলত নবী শব্দটার অর্থই হচ্ছে অদৃশ্য বক্তা। যিদি অদেখা অজানা বিষয় জানেন এবং বলেন (আল্লাহর কাছ থেকে ও পক্ষ হয়ে)।
আসল বিষয়টা হচ্ছে, যিঁনিই আল্লাহর প্রিয় হন, তিনিই আল্লাহ কর্তৃক কিছু অসাধারণ বিষয় পান। এতে লেভেলের উঠানামা আছে। যেমন নবীর সমান সৃষ্টিজগতে কেউ নেই।
ভাই আপনি অতি সহজ ভাষায় জানতে চেয়েছেন, কিন্তু অত্যন্ত গভীরের ব্যাপক বিষয় জানতে চেয়েছেন। ওয়াদা অনুযায়ী বলার দায়িত্ব আমার, বুঝে নেয়ার দায়িত্ব কিন্তু আপনার। যেটা স্পষ্ট হবে না, যেটা অকাট্য হবে না, সেটা স্পষ্ট করার দায়িত্ব আমার।
একজন মুর্শিদ/ওয়ালী নূনতম এতটুকু ক্ষমতা আল্লাহ কর্তৃক পান যে, তিনি অন্তত চতুর্থ মাত্রায় (সময় ও স্থান) সম্পূর্ণরূপে পরিভ্রমণ করতে পারেন। যে ব্যক্তি চোখ খোলা রেখেই আপন মুরিদের অবস্থান ও অবস্থা জানতে পাারে না, তার জন্য পীর হবার কোন সুযোগ নেই।
আপনাকে নিশ্চিত করছি, আজকের বাংলাদেশেই এমন পীরও আছেন, যার মুরিদ তো দূরের কথা, ছাত্ররাই চোখ বন্ধ করে যে কোন জায়গায় যে কোন বস্তু/প্রাণীর অবস্থান জানতে পারে এবং তার ভিতরে এমনকি পরিবর্তনও সাধন করতে পারে। এবং এই ছাত্রদের সংখ্যা, হাজার হাজার।
অর্থাৎ, টেলিপ্যাথি এবং টেলি কাইনেটিক্স তথা দূর থেকে শোনা ও দেখা এবং দূরে সহায়তা করা খুবই সাধারণ একটা ক্ষমতা। এই সাধারণ ক্ষমতা থেকেও উর্দ্ধে একজন সত্যপন্থী সঠিক পীর।
আমরা মায়ের কাছে এক গ্লাস পানি চাই, কারণ তিনি তা দিতে পারেন। পীরের কাছে সহায়তা চাওয়াও ঠিক তেমনি। এটা তার এখতিয়ার। আল্লাহ প্রদত্ত।
এই কথাগুলো ভাই গায়ের জোরের কথা নয়। একেতো কুরআন হাদীস সম্মত, তার উপর হাজার হাজার বছর ধরে লক্ষ লক্ষ মানুষের মুখের জোরালো কথা, তার উপর আমরা আল্লাহর সবচে নগণ্য পাপী বান্দারাই এই ক্ষমতা ধারণ করি যে, কেউ ডাকলে তা শুনতে পাব কোন মাধ্যম ছাড়াই এবং সহায়তা করতে পারব আল্লাহ প্রদত্ত বদান্যতায়। সেখানে আপন মুর্শিদ ও শাইখ তো অবশ্যই।
এটা সূফিবাদের একেবারে বেসিক বিশ্বাস। এই বিশ্বাসের চাক্ষুষ ভিত্তি অনেক বেশি দৃঢ়। এই বিশ্বাসের বিপরীত বিশ্বাস নিয়ে কোন সূফির বাইয়াত হবার সুযোগও নেই। কারণ সূফিবাদ মানেই আত্মার সাথে আত্মার সরাসরি সংযোগ। পুরো বিশ্বপ্রকৃতির সকল জীব ও জড়র সাথে সরাসরি সংযোগ। অতীত বর্তমান ও ভবিষ্যতের সাথে সরাসরি সক্ষমতা- এবং এইসবকিছু মাত্র একটা কারণে, আল্লাহ। তিনিই তা দেন, এটা তার মহান দয়ার সামান্য এক বাই প্রোডাক্ট ছাড়া কিছুই নয়। জগতের এমন কোন সূফি নেই, যিনি এসব অর্জন করেননি। অথচ জগতে এমন কোন সূফি নেই ও ছিলেন না, যারা এসব থেকে স্বার্থ উদ্ধার করেছেন।
আল্লাহ কতটা সক্ষম, তা আমরা মাপার চেষ্টাই যেন করছি, তিনি তাঁর প্রিয়জনকে কতটা দিতে পারেন, সেই ভাবনার মধ্য দিয়ে।
বরং সূফিরা তো বলেন, মানব হয়ে জন্ম নিয়ে বিশ্বপ্রকৃতির সাথে সার্বিক একাত্মতা অর্জন না করেই, আল্লাহর সৃষ্টির সাথে লীন না হয়েই যে মারা যায়, তার ইবাদাতের উদ্দেশ্যই ব্যর্থ হয়ে গেল। কেননা, মানবজন্ম তো মহামানবে উত্তরণের জন্যই। আর মহামানবে উত্তরণে কোন স্বার্থ থাকে না, শুধু তিনিই থাকেন। প্রতিটা মানুষ চাইলেই মহামানব হতে পারে। তার জন্য সে সুযোগ দিয়েই আল্লাহ পাঠান, এবং মানুষ তা স্পর্শ করে না। আমরা আল্লাহর রজ্জুকে স্পর্শ করতে ভীত হই, দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরব কী করে! যে পথে তার প্রিয়জন চলে গেছেন, সেই সূরা ফাতিহা প্রতিদিন পড়ি ও বলি, কিন্তু প্রিয়জনের অবিচ্ছিন্ন ধারাবাহিকতায় যুক্ত হবার বিশ্বাস অর্জনে দোদুল্যমানতায় ভুগি।
এই জগতে প্রত্যেকে প্রত্যেকের সাথে সবদিক দিয়ে যুক্ত। শুধু এই সংযুক্তি জানার বাকি, উপলব্ধির বাকি। সেই উপলব্ধি ও জানার সাথে সাথেই সংযুক্তি চলে আসবে।
৬৭| ২০ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:৫১
বক বলেছেন: যাযাকআল্লাহ খায়ের।
আমার বুঝার কমতি আছে - তাই স্পষ্ট করার জন্য প্রশ্ন করছি
১। আপনি বলেছেন "শাইখ/ওয়ালীউল্লাহ/সিদ্দিক/শহীদ/সালিহ/উলিল আমর/ইমাম/সাহাবা/আহলে বাইত" - উনারা সবাই জীবিত
আমি জানতাম শহীদ রা জীবিত বাকিদের ব্যপারটা জানি না- হয়ত আমি আংশিক জানি?
২। আল্লাহ আমাকে হেফাজত করুন- আমি যদি ভুলে ভুল কোন পীরের বাইয়াত নিয়ে ফেলি- এবং একসময় বুঝতে পারি তখন কি করব? ইতিমধ্যে আমার কি কি ক্ষতি হয়ে থাকতে পারে?
৩। পীর কি বদল করা যায়?
৪। Shaykh Muhammad Hisham Kabbani (নকশবন্দি তরীকা) সর্ম্পকে জানতে পারলে ভাল হতো
৫। Hazrat Shah Sufi Moulana Syed Golamur Rahman (Baba Bhandari) এবং Syed Ahmed Ullah Maizbhandari
(Hazrat Kebla Kaba) সর্ম্পকেও আগ্রহ আছে। উনারা দুজন গত হয়েছেন অনেক আগে। এখনো কি উনাদের বায়াত হওয়া যায়
২০ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:২২
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই হিশাম কাব্বানী সাহেবের বিষয়ে আমরা অস্পষ্ট, কেননা শাইখ নাজিম সাহেব বুশ ও ব্লেয়ারকে ওলিআল্লাহ বলেছেন যা সুস্পষ্ট কুফরি হয়।
এই ধরনের সমস্যাকে ছোঁয়াচে রোগ গণ্য করি। এইক্ষেত্রে তাদের বাইআত গ্রহণ করাকে ভুলপথে যাওয়া হিসাবেই দেখতে হবে। আল্লাহ আমাদের ফিতনা থেকে রক্ষা করুন।
নকশবন্দি তরিকা খুবই নি:সন্দেহ তরিক্বা। খুবই উচ্চস্তরের এবং ভাল। কিন্তু এটা ওই সিলসিলা (সুস্পষ্ট চেইন, নাজিম সাহেব ও তার অধস্তন) এর সমস্যা, সার্বিকভাবে নকশবন্দি তরিকার সমস্যা নয়।
হ্যা, শহীদগণের নাম সুস্পষ্ট আয়াতে আছে। তাঁরা মৃত নন, বরং জীবিত ওই আয়াতটা। শহীদদের মর্যাদা সালিহ (সত্যপন্থীদের) উপরে। সিদ্দিকগণের (সত্যের ধারক, প্রধানত সাহাবা) ও নবীগণের নিচে। নবীদের শরীর স্পর্শ করা মাটির জন্য হারাম করা হয়েছে এ হাদিসটা আমি পড়ি মিশকাত শরীফে। আর অন্তর্জ্ঞানীদের (হাকিম/আলিম) অবস্থান নবীদের পরই, (আহলে বাইত এবং সাহাবাদেরও পর)। তাঁরা নবীগণ আলাইহিমুস সালামের উত্তরাধিকারী।
শহীদ ও উর্দ্ধতন অবস্থান সম্পর্কে এই আয়াত প্রযোজ্য।
অন্যত্র, যুদ্ধ ও জিহাদে মৃততুবরণকারী ছাড়াও বিভিন্ন রোগে মৃততুবরণকারীরাও যেখানে শহীদের মর্যাদা পাবেন, সেখানে যাঁরা আল জিহাদুল আকবরে থেকে মৃততু বরণ করবেন, তাঁরাও শহীদের মর্যাদা পাবেন। ছোট জিহাদ তথা যুদ্ধ থেকে বড় জিহাদে প্রত্যাবর্তন হয়েছে। (মাঠের যুদ্ধ রদ হয়ে যায়নি আজীবন)। তাই যারাই আত্মনিয়ন্ত্রণে থেকে মরণ গ্রহণ করেন তাঁরাও শহীদের মর্যাদা পাবেন।
অন্যত্র, শহীদ শব্দের অর্থ যিনি সাক্ষ্য দেন। আধ্যাত্মিকতার চাক্ষুষকারীও শহীদ এবং তাঁরা প্রাণ আল্লাহর পথে পাত করেন।
এটা সহজভাবে বললাম ভাই। রেফারেন্সের জগতে কিছু বিষয় চোখে পড়েছে, সেগুলো কালেক্ট করতে একটু সময় লাগবে।
ভুল পীরের হাতে বাইআত হলে ক্ষতিগ্রস্ত ঈমানের দিক দিয়েও হবার সম্ভাবনা রয়েছে। একটা মজার বিষয় হল, ভুল পীররাও আক্বিদা সঠিক বা প্রায় সঠিক শেখান, তাই হয়ত আক্বিদায় বড় ভুল হবে না। আবার অেনেকে ভয়ানক আক্বিদা শিখান, যা উপরে একটা চলে গেছে। আর ভুল পীরের হাতে বায়াত হলে সেটা যখন চাইবেন তখনি কেটে যাবে তাতো স্বাভাবিক। কেননা আনুগত্য আপনি শুধু আাল্লাহ ও তাঁর রাসূল দ.'র জন্য করছেন। যেখানে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল দ.'র সুস্পষ্টতা নেই, সেখানে আপনার বাইআত থাকার কোন প্রশ্ন ওঠে না।
আমরা মূলত বাইআতবদ্ধ হই শুধু পীরের কাছে নয়, বরং মুর্শিদের অবিচ্ছিন্ন চেইনের অধীনে স্বয়ং আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের কাছে- শর্তবদ্ধ হই এই চেইনের অধীনে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল করীম দ.'র কাছে বাইআতবদ্ধ হচ্ছি।
পীর যদি সঠিক চেইন এবং সঠিক আক্বিদার অনুসারী হন, তাহলে আপনার তখনি বাইআতের বন্ধন ছিন্ন করার সুযোগ থাকছে যখন আপনি স্পষ্টভাবে নিজের রুহে কোন দ্বীনি উপকার টের পান না।
তা নাহলে হক্কানি রব্বানি মুর্শিদ ছাড়ার বা একই সাথে একাধিক পীরের মুরিদ হবার কোন প্রশ্ন ওঠে না। (ব্যতিক্রম: যারা যুগ পরিবর্তনকারী হবেন এমন বড় ব্যক্তির ক্ষেত্রে)। সাধারণত, মুর্শিদ অনুমোদন দেন, যে আমি তোমাকে যতটুকু দেখাশোনা করেছি, এবার তুমি আরো বড় কোন ওয়ালিউল্লাহর সন্ধান করতে পারো। এক্ষেত্রে বন্ধন পরিবর্তন করা যায়।
যাঁরা আল্লাহর কাছে প্রত্যাবর্তন করেছেন তাঁদের হাতে বাইআত হওয়া যায় না। কেননা আপন মুর্শিদের সশরীরে পৃথিবীতে থাকা একটা শর্ত। তবে তাদের চেইনে বাইআত হওয়া যায় এবং এটা তাদেরও বাইআত হওয়া হয়।
শাহ আহমাদউল্লাহ ও শাহ গোলামুর রহমান হাসানি হুসাইনি সাহিবদ্বয়ের বিষয়ে আলাপ করাটা কষ্টকর।
আমরা যারা শরিয়তপন্থী সূফিতাত্ত্বিক, তারা তাঁদের ঘরানা বুঝতে পারি না। তাঁরা মাআরিফাহ ও হাক্বিকাহ্ পন্থী।
আমার ঘরানায় (আমি বাইআতে শুধু ক্বাদরী, তাঁরা যদিও ক্বাদরী কিন্তু ক্বাদরী থেকে পরিবর্তিত নতুন তরিক্বাহ) আমি তাদের বিষয়ে কিছু বলার এক্তিয়ার এজন্য রাখি না যে, তাঁদের বিষয় স্পষ্ট করতে গেলে আমাকে সুস্পষ্ট শরীয়ত লঙ্ঘন করতে হয়, শরীয়তের অস্পষ্ট দিকগুলোর আশ্রয় নিতে হয়।
হ্যা। তাঁরা সত্যপন্থী। তাঁদের ঘরানায় বাইআত গ্রহণ করা যায়। কিন্তু চিশতীকে যেমন বুঝে ওঠা কঠিন, তাঁদেরও। বিশেষ করে, যারা তরিক্বত সম্পর্কে অনেক আগে থেকে দক্ষতা রাখেন না তাদের প্রতি পদে ভান্ডারি/কলন্দরি/চিশতি ঘরানায় হোঁচট খাবার এবং চিন্তিত হবার সম্ভাবনা আছে। এমনকি আল্লামা রুমির মৌলভিয়া ঘরানাতেও। আবার কিছু মানুষকে শুধু এইসব ঘরানাই টানে। তাদের মন মানসিকতা এই ঘরানার।
তাঁদের প্রমাণ শুধু কুরআনের একটা জায়গায় অতি স্পষ্টভাবে আছে। খাদ্বির আ. মূসা আ. কে সূরা ক্বাহাফে পথপ্রদর্শন ও রাহবারিয়াত মুর্শিদিয়াত করেন। সেখানে খাদ্বির আ. প্রতিনিয়ত বাহ্যিক শরিয়ত লঙ্ঘন করলেও তাতে সমস্যা হয় না মাত্র একটা কারণে, খোদা এভাবেই চান। আল্লাহ দেখিয়ে দিয়েছেন জানিয়ে দিয়েছেন বলেই শিশুকে হত্যা করা, এতিমের দেয়াল ধ্বসানো বা নৌকা ডোবানো। এগুলো সবই প্রকাশ্যের লঙ্ঘন।
ভান্ডারি বিষয়ে অসংখ্য প্রশ্ন আমার ছিল, বেশ কয়েক বছর সময় লেগেছে বিষয়গুলো স্পষ্ট হতে।
এখন আমি জানি, বাজনা কোন সমস্যা নয়। হস্ত ও পদচুম্বন কোন সমস্যা নয়। অথচ এইসবের চর্চা আমার ঘরানায় নেই। তাই নিজের ঘরানাতে কখনো দেখিনি।
যেমন, কথায় কথায় আল্লাহ বা রাসূল দ.'র সাথে লীন করে তারা তুলনা করেন। এটা ফানার স্তর, জাতের স্তর নয়। আল্লাহর জাত ও সিফাত তার নিজের। রাসূল পাকের জাত প্রবাহিত হয়েছে তাঁর আহলে বাইতে। সিফাত প্রবাহিত হয়েছে আহলে বাইত এবং সত্যপন্থী উম্মাহর মধ্যে। এই ফানার স্তরের কথা নিয়ে যুগে যুগে সুফিদের ভুল বোঝা হয়েছে। গাউসে আজম জিলানী, শাইখ ইবনুল আরাবী, মুঈনুদ্দিন চিশতি, আল্লামা রুমি, বায়েজিদ বোস্তামি (আনা সুবহানি মা আজিমুশ শানি), কলন্দর, অথবা যিনি বলেছিলেন আনা আল হাক্ব- এরা সবাই ফানার স্তরে ভুল ব্যাখ্যায় পড়েছেন।
সহজভাবে, প্রচন্ড শরিয়াহপন্থী সূফি ঘরানা হল ক্বাদিরিয়া, নক্সবন্দিয়া এবং মুজাদ্দিদিয়া। প্রচন্ড খিজিরি ঘরানা চিশতিয়া, মৌলভিয়া, ভান্ডারি। উভয়ই, প্রকৃতপক্ষে সঠিক যা তরিক্বতপন্থী সবাই অনুধাবন করতে পারেন না।
তবে, সেই ব্যক্তির কাছে বাইআত হওয়া যাবে না, যার আক্বিদা আহলে সুন্নাত থেকে সরে গেছে। তা তার সিলসিলা যাই হোক না কেন। যেমন, ইদানিং মহামারির মত শিয়া মতবাদ সুফিবাদে পেনিট্রেট করছে। তারা তিন খলিফা রা. গণকে অসত্যপন্থী মনে করেন। তারও আগে কালো জাদুর মতবাদ/শয়তান পূজার মতবাদ পেনিট্রেট করেছে। যেমন, রজ:সাধনা। আবার কারো কারোটায় সমন্বয়বাদ চলে এসেছে। বিভিন্ন ধর্মের সমন্বয়ের কিছু নেই, স্পষ্ট করে মিলগুলো দেখানোর আছে। আর সূফি সাধক নামে কিছু মানুষ তো সরাসরি সূফিত্বের বাইরে চলে গেছেন বিশ্বাস ও কর্মকান্ডে শরিয়াহ মানার নাম করে। তাদের সমস্যা একটা জায়গায়, আল্লাহ প্রদত্ত অদৃশ্যের জ্ঞান না থাকায়/সিলসিলা ভেঙে যাওয়ায় আক্বিদাও পাল্টে গেছে। জগতের সকল অবিচ্ছিন্ন ধারার সূফি ঘরানার আক্বিদা এক ও অভিন্ন। এই আক্বিদা থেকে সরা ঘরানা দেখতে পাওয়া মানেই তা আর সূফিতে নেই।
২০ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:২৪
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই আপনি এভাবে স্পেসিফিকভাবে ঘরানার নাম বা ব্যক্তির নাম ধরে আরো কিছু বিষয় উত্থাপন করতে পারেন।
তৌহিদ ও রিসালাতের পাশাপাশি ইতাআতে যেন আমৃততু অটল থাকতে পারি এই দোয়া করবেন ভাই।
৬৮| ২০ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:২২
বক বলেছেন: শরিয়াহপন্থী সূফি : শরিয়াহ কি রাসুল ( সা: ) এর শরিয়াহ -আমি যদি ভুল না বুঝে থাকি
প্রচন্ড খিজিরি ঘরানা: এটা মূসা ( আ: ) এর সময়ের তাই না?
আমাদের নবীজি আসার পর পূর্বের বিষয় আর গ্রহনীয় নয় বলেই জানি।
তারপরও যেহেতু দুটিই ধারাই চলছে , কেন চলছে তা বুঝতে পারলে ভাল হত।
২১ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:২৬
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: শরিয়াহ তো অবশ্যই রাসূলে করীম দ.'র শরীয়াহ। সূফিরা, তা তারা যে ঘরানারই হোন না কেন, রাসূল দ. কে সৃষ্টি জগতে একক সর্ব্বোচ্চ পর্যায়ে গণ্য করেন।
আমরা সকল নবী আ. কে সকল মানুষের উপর প্রাধান্য দিই। এটাই রাসূলগণের উপর ঈমান। কিন্তু আমাদের নবী তো রাসূলে করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। সৃষ্টিতে সবার ঊর্দ্ধে ও সেরা।
তাঁদের শুরুই হল, সৃষ্টির সমস্তকিছু থেকে, আপন প্রাণ, চাওয়া, পরিবার, সম্পদ, সম্মান এমনকি জান্নাত ও প্রতিদান থেকেও রাসূল দ. কে বেশি ভালবাসা ও প্রাধান্য দেয়া।
নিজেকে আল্লাহ ও তার রাসূল দ.'র কাছে সর্বতোভাবে সঁপে দেয়া।
আসলে মূসা আ.'র কালীন এই ঘটনাসমূহ কিন্তু কোন বিধি বিধান নয়, বরং খোদায়ি রহস্যময়তার প্রকাশ। এটা যদি কোন বিধি বিধান হতো, তবে তা রদ হয়ে যেত। কিন্তু আল্লাহর কুদরতের ধারা সকল নবীর কালে যেভাবে জারি রয়েছে, সেভাবেই সর্বকালেই জারি রইবে।
আল্লাহ যেহেতু কুরআনে রাসূলে করীম দ.'র সময়কালের কারো নাম ধরেই বিস্তারিত বিবরণ দেননি, তাই কুরআনের যত নিদর্শন, তা এইসব ঘটনা থেকে আমাদের বুঝতে হবে। এটা যদি রদ হয়ে যেত, তবে কুরআনে আমাদের শিক্ষার জন্য আসতো না, কেননা, মহা হিদাআহ কুরআন আমাদের, উম্মাতে মুহাম্মাদি দ.'র শিক্ষার জন্যই এসেছে।
৬৯| ২২ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:৫৩
বক বলেছেন: যাযাকআল্লাহ খায়ের।
Maulana Arshad Madani সর্ম্পকে জানার আগ্রহ বোধ করছি।
আমি আসলে হাতড়াচ্ছি । আল্লাহর কাছে সাহায্য চাচ্ছি সঠিক একজনের খোঁজের জন্য। এমনিতে নিজের এত পাপ-তারপর মোচনের জীবনে আর কতটুক সময় পাবো জানি না। মোচন করার সাধ্য আমার নাই শুধু রহমান আল্লাহর দয়াই ভরসা। সেখানে যদি ভুল কারো কাছে ভিড়ে যাই-ফিরবো কি করে?
আপনার পরামর্শ চাচ্ছিলাম
২২ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:৩৮
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই তাঁকে আমি চিনতাম না, কিন্তু দেখছি তিনি দেওবন্দী ঘরানার আলিম। দেওবন্দী ঘরানায় যত সিলসিলা আছে সবগুলো ব্রোকেন, কারণ তাঁরা চার তরিক্বার অনুসরণই বলেন। এটাতো অসাধারণ এবং ভাল। কিন্তু যে আক্বিদার কথা বলেন, ক্বাদরী হলেও আবদুল ক্বাদির জিলানী রা.'র লিখিত আক্বিদার সাথে মোটেও মেলে না। চিশতি হলেও খাজা মুঈনুদ্দিন চিশতি রা.'র স্বহস্তে লিখিত আক্বিদার সাথে মেলে না, একইভাবে মাকতুবাত শরীফে মুজাদ্দিদে আলফি সানি রা.'র লেখা চিঠিগুলোর আক্বিদার সাথে সরাসরি সাংঘর্ষিক।
অর্থাৎ, যে চেইন অনুসরণ, সেই চেইনকেই অস্বীকার- এটা সম্পূর্ণ অন্যরকম।
আক্বাঈদে দেওবন্দ এবং আক্বাঈদে আহলুস সুন্নাহ'র সূফিদের মধ্যে ব্যাপক পার্থক্য। যেখানে দ্বিতীয়রা সেই হাজার বছর আগের চেইনে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের সবার সাথে সামঞ্জস্যময় আক্বিদা রক্ষা করেন।
দুটা সহজ ঘরানার কথা বলা যায়, প্রথমত, যাঁরা আহমাদ রেজা খান বেরলভী র. কে অনুসরণ করছেন। দ্বিতীয়ত, যাঁরা বর্তমানের ড. তাহির উল ক্বাদরী সাহেবের ঘরানায় আছেন।
কিছু সিলসিলার লিংক দিচ্ছি ভাই।
১. ক্বাদিরিয়া আলিয়া। এঁদের বাংলাদেশে শতাধিক মাদ্রাসা এবং দুইটা অতি বিখ্যাত ইসলামি উচ্চ শিক্ষালয় আছে। এই মাদ্রাসা দুটা সব সময় মাদ্রাসা বোর্ডে প্রথম পাঁচে থাকে সব রেজাল্টে। এই মাদ্রাসা দুটা থেকে প্রতি বছর মিশরের আল আজহারে ছাত্র স্টাইপেন্ড পেয়ে যান। বাংলাদেশে আহলুস সুন্নাহর জবরদস্ত আলিমরা এখান থেকে বের হন। বাংলাদেশের অন্তত তিনশো হক্কানী পীর সাহেবদের সন্তানরা এখানে পড়ালেখা করেছেন ও করছেন।
প্রচন্ডভাবে শরিয়াহ পন্থী। এই দরবারের পীর সাহেবকে স্পর্শ করা, পদচুম্বন করারও কোন অনুমতি নেই। বাদ্য এবং অন্যান্য অস্পষ্ট বিষয় চর্চিত হয় না। ইনি রাসূল দ.'র একজন পবিত্র বংশধর।
http://anjumantrust.org/
২. সিলসিলা ক্বাদিরিয়া রাজাভিয়্যাহ। এঁরাও প্রচন্ড শরিয়াহপন্থী। তাঁদের সংগঠন দাওয়াতে ইসলামী সারা পৃথিবীতে বিস্তৃত। সম্পূর্ণ প্রকাশিত সুন্নাহর উপর প্রতিষ্ঠিত। তাঁদের বার্ষিক সভায় চল্লিশ/পঞ্চাশ লক্ষ মানুষ হয়, এমনটা জানি। বাংলাদেশে তাঁদের অনেক শাখা রয়েছে। সায়েদাবাদে কেন্দ্রীয়। নিজেই একটু দেখে আসতে পারেন, এরা খুবই সরল, ভাললাগবে।
Click This Link
৩. এঁদের সংগঠনও পৃথিবীব্যাপী। বিশ্ববিদ্যালয় আছে। এঁদের মুর্শিদ ড. তাহির উল ক্বাদরী ৫,০০০ এর উপর বক্তব্য দিয়েছেন সারা পৃথিবীর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়-চ্যানেল ও সভায় ইংরেজি আরবি হিন্দি উর্দু পাঞ্জাবি ভাষায়। তাঁর লেখা বইয়ের সংখ্যা হাজারের কাছাকাছি বলা হয়। তাঁর ব্যক্তিগত সনদপ্রাপ্ত ছাত্র চারশোর বেশি। তাঁর ঘরানার বিষয়ে কিছু সমালোচনা থাকলেও তা বিন্দুমাত্র সমস্যার কারণ হবে না।
আমি সব সময়েই তাঁর বক্তব্য থেকে শিখি। ইউটিউবে খুবই ভাল লাগে।
http://www.minhaj.org/english/index.html
শুধু বাংলাদেশে কাজ করেন এমন অনেক হক্কানী ঘরানা রয়েছে, কিন্তু তাদের নেট অ্যাক্টিভিটি জানা নেই বলে দিতে পারছি না। ভারতের বেরেলি শরিফের ঠিকানাটা দেয়ার ইচ্ছা ছিল, পেলাম না।
এই তিনটা দরবার সম্পর্কে সম্যক ধারণা নিতে পারেন ভাই।
আপনার ব্যাকুলতা আমাদের সবারই। এভাবে যে তাঁকে পূর্ণভাবে খোঁজে, তিনি তো ধরা দেবেনই। রাব্বুল আলামিনের শুধু একটাই শর্ত, তুমি খোলামনে আমাকে অনুসন্ধান করতে থাকো। রাসূল দ. বলছেন, আমি অনুসন্ধানীর ভিতরে, অনুসন্ধানী আমার ভিতরে।
৭০| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৪
হাসিনুল ইসলাম বলেছেন: লিসানি ভাই, অনেক ধন্যবাদ আমার প্রশ্ন ক’টির উত্তর দেয়ার জন্য, প্রয়োজনে সেগুলোর দু-একটা নিয়ে পরে কথা বলবো। এখন একটি বিষয়ে একটু জানতে চাচ্ছিলাম:
হযরত মুহাম্মদ (সঃ)-কে সৃষ্টি করা না হলে বিশ্ব সৃষ্টি হতো না - এই কথার কোনো সরাসরি তথ্য (ব্যাখ্যা নির্ভর নয়) কি কোরান-হাদিসে আছে?
আপনার হয়ত জানা আছে, একসময় একটু জানাবেন। ভাল থাকুন।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ২:১৫
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: প্রিয় হাসিন ভাই, সালাম। আলহামদুলিল্লাহ শ্রদ্ধেয় সাঈফুদ্দিন হোসাইন ভাইয়ের ব্লগ চলে এল সার্চ দিতেই। খুশি হয়ে গেলাম, সকল প্রশংসা সুমহান সুউচ্চ প্রতিপালক আল্লাহ তাআলার এবং সালাত ও সালাম তাঁর প্রিয় রাসূল দ. ও তাঁর পরিবারবর্গ ও সাহাবা রা. গণের উপর।
প্রথমেই, ওয়ামা আরসালনাকা ইল্লা রাহমাতাল্লিল আলামীন।
আমি আপনাকে প্রেরণ করিনি, কিন্তু সমগ্র সৃষ্টির প্রতি রহমত স্বরূপ।- এই আয়াতের স্পষ্ট অর্থ হচ্ছে, সমস্ত সৃষ্টি জগতে আল্লাহর রহমতই রাসূল দ.।
প্রশ্ন: “লাও লাকা লা মা খালাকতুল আফলাক” (হে রাসূল, আপনাকে সৃষ্টি না করলে আমি এই বিশ্বজগত সৃষ্টি করতাম না) - এই হাদীসে কুদসী সম্পর্কে বিজ্ঞ উলামায়ে দ্বীন ও শরীয়তের মুফতীবৃন্দের অভিমত কী? এটি কোন্ হাদীসগ্রন্থে বিদ্যমান? রাসূলুল্লাহ (দ-এর কারণেই সৃষ্টিকুলের উৎপত্তি হয়েছে, এ কথা কি সত্য? এই রওয়ায়াতের সমর্থনে আরও আহাদীস আছে কি?
উত্তর: হ্যাঁ, মহানবী (দ-এর কারণেই হযরত আদম (আ ও সমগ্র জগতের সৃষ্টি হয়েছে। তিনি না হলে আরশ ও ফরশ, লওহ ও কলম, বেহেশত ও দোযখ, গাছ ও পাথর এবং অন্যান্য সকল সৃষ্টি অস্তিত্ব পেতো না। এর সমর্থনে অনেক হাদীস বিরাজমান।
হাদীস নং-১: হাকিম নিজ ‘মোসতাদরেক’, বায়হাকী তাঁর ‘দালাইল আন্ নবুওয়া’, তাবরানী নিজস্ব ‘কবীর’, আবূ নুয়াইম তাঁর ‘হিলইয়া’, এবং ইবনে আসাকির নিজ ‘তারিখে দিমাশক’ পুস্তকে উদ্ধৃত করেন হযরত আমীরুল মো’মেনীন ফারুকে আ’যম (রা-এর বাণী: “হুযূর পূর নূর (দ বলেন যে মহান আল্লাহ বলেছেন, আদম (আ যখন গন্দুম খেলেন, তখন তিনি আরয করেন, এয়া আল্লাহ! মোহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম)-এর ওয়াস্তে আমায় মাফ করুন। এমতাবস্থায় আল্লাহ বলেন, ওহে আদম! তুমি কীভাবে তাঁর কথা জানলে যেহেতু আমি তাঁকে এখনো সৃষ্টি করি নি? আদম (আ উত্তর দেন, এয়া আল্লাহ! আপনি আমাকে সৃষ্টি করে আমার মাঝে রূহ ফোঁকার পরে আমি মাথা তুলে দেখতে পাই আরশে লেখা রয়েছে ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মোহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (দ’। তাই আমি বুঝতে পারি যে আপনার সবচেয়ে প্রিয় কারো নাম-ই আপনার নামের পাশে আপনি যুক্ত করেছেন। অতঃপর আল্লাহ বলেন, ওহে আদম! তুমি সত্য বলেছ। নিশ্চয় মহানবী (দ আমার সবচেয়ে প্রিয়ভাজন, আর তাই তুমি যখনই তাঁর অসিলায় আমার কাছে চেয়েছ, তখনই আমি তোমায় ক্ষমা করেছি। রাসূলুল্লাহ (দ না হলে আমি তোমাকে সৃষ্টি করতাম না।” (ইমাম সুবকী কৃত ’আশ্ শিফাউস্ সিকাম’ এবং শেহাবউদ্দীন খাফাজী প্রণীত ‘নাসীম আর-রিয়াদ’ বইগুলোতেও বর্ণিত)
হাদীস নং-২: হাকিম তাঁর ‘মোসতাদরেক’ গ্রন্থে এবং আবূ শায়খ নিজ ‘তাবকাত আল-ইসফাহানী’ পুস্তকে হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা থেকে বর্ণনা করেন, যিনি বলেন: “আল্লাহ পাক হযরত ঈসা (আ-কে বলেছেন, ওহে ঈসা! মহানবী (দ-এর প্রতি ঈমান আনো এবং তোমার উম্মতকেও তা করতে বলো। রাসূলুল্লাহ (দ না হলে আমি আদমকে সৃষ্টি করতাম না, বেহেশত বা দোযখও সৃষ্টি করতাম না।” (ইমাম তাকিউদ্দীন সুবকী রচিত ‘শিফাউস্ সিকাম’ ও শায়খুল ইসলাম আল-বুলকিনী প্রণীত ‘ফতোওয়া’ এবং ইবনে হাজর রচিত ‘আফদাল আল-কুরআন’ গ্রন্থগুলোতেও উদ্ধৃত)
হাদীস নং-৩: ইমাম দায়লামী নিজ ‘মুসনাদ আল-ফেরদউস’ কেতাবে হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা থেকে বর্ণনা করেন, যিনি বলেন: “রাসূলে খোদা (দ বলেছেন যে হযরত জিবরীল আমীন (আ তাঁর কাছে আসেন এবং উদ্ধৃত করেন আল্লাহর বাণী, ‘আমি (খোদা স্বয়ং) আপনাকে (রাসূল-এ-পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লামকে) সৃষ্টি না করলে বেহেশত বা দোযখ সৃষ্টি করতাম না’।”
হাদীস নং-৪: ইবনে আসাকির উদ্ধৃত করেন হযরত সালমান ফারিসী (রা-কে, যিনি বলেন: “হযূর পূর নূর (দ-এর কাছে জিবরীল আমীন (আ এসে পৌঁছে দেন আল্লাহর বাণী, ‘(হে রাসূল) আপনার চেয়ে অধিক সম্মানিত আর কাউকেই আমি সৃষ্টি করি নি। আমি বিশ্বজগত ও এর মধ্যে যা কিছু আছে তার সবই সৃষ্টি করেছি যাতে তারা জানতে পারে আপনার মহান মর্যাদা সম্পর্কে। আমি এই বিশ্বজগত সৃষ্টি করতাম না, যদি আপনাকে সৃষ্টি না করতাম’।”
হাদীস নং-৫: ইমাম শেহাবউদ্দীন ইবনে হাজর আসকালানী বলেন, “এই সকল বর্ণনা ব্যক্ত করে যে মহানবী (দ-কে সৃষ্টি করা না হলে আল্লাহতা’লা আসমান-জমিন, বেহেশ্ত-দোযখ, চন্দ্র-সূর্য কিছুই সৃষ্টি করতেন না।”
এই বিষয়ে আরও অনেক আহাদীস আছে যা ইমাম আহমদ রেযা খান সাহেব তাঁর ‘তাজাল্লী আল-এয়াকীন বি আন্না নাবিই-ইয়ানা সাইয়্যেদিল মুরসালীন’ শিরোনামের চমৎকার গ্রন্থে সংকলন করেছেন; আর নিঃসন্দেহে সত্যপন্থী বুযূর্গানে দ্বীন ও উলামাবৃন্দ মহানবী (দ-কে ’হযরত আদম (আ ও বিশ্বজগত সৃষ্টির কারণ’ হিসেবে সম্বোধন করেছেন। তাঁদের এ সব বাণী সংকলন করলে বিশালাকৃতির বই হবে। এর মধ্য থেকে কিছু বাণী উদ্ধৃত করা হলো:
উদ্ধৃতি-১: ইমাম সাইফুদ্দীন আবূ জা’ফর বিন উমর আল-হুমাইরী আল-হানাফী নিজ ‘আদ-দুররূল তানযীম ফী মওলিদিন্ নাবিই-ইল করীম’ শীর্ষক কেতাবে বলেন: আল্লাহতা’লা যখন হযরত বাবা আদম (আ-কে সৃষ্টি করেন, তখন তিনি তাঁর মনে এই ভাবের উদয় করেন যার দরুণ তিনি মহান প্রভুকে প্রশ্ন করেন, ”এয়া আল্লাহ! আপনি আমার কুনিয়া (বংশ-পরম্পরার নাম) কেন ’আবূ মোহাম্মদ’ (মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লামের পিতা) করেছেন?” আল্লাহ উত্তরে বলেন, “ওহে আদম! তোমার মাথা তোলো।” তিনি শির উঠিয়ে আরশে মহানবী (দ-এর নূর (জ্যোতি) দেখতে পান। হযরত আদম (আ জিজ্ঞেস করেন, “এয়া আল্লাহ! এই নূর কোন্ মহান সত্তার?” আল্লাহতা’লা জবাবে বলেন, “তোমার বংশেই এই মহান নবী (দ-এর জন্ম। আসমানে তাঁর নাম আহমদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) এবং জমিনে মোহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম)। আমি তাঁকে সৃষ্টি না করলে তোমাকে বা আসমান ও জমিনকে সৃষ্টি করতাম না।”
উদ্ধৃতি-২: সাইয়্যেদ আবূল হুসাইন হামদূনী শাযিলী তাঁর ‘কাসিদায়ে দা’লিয়া’তে লেখেন: “প্রিয়নবী (দ হলেন সারা বিশ্বজগতের মধ্যমণি এবং সকল সৃষ্টির কারণ (অসিলা)। তিনি না হলে কিছুই অস্তিত্ব পেতো না।”
উদ্ধৃতি-৩: ইমাম শরফউদ্দীন আবূ মোহাম্মদ বুসিরী তাঁর কৃত ‘কাসিদা-এ-বুরদা’ কাব্য-পুস্তকে লেখেন: “রাসূলুল্লাহ (দ না হলে দুনিয়া অস্তিত্বশীল হতো না।”
উদ্ধৃতি-৪: ইমাম বুসিরী (রহ-এর কাব্যের ব্যাখ্যামূলক পুস্তকে ইমাম শায়খ ইবরাহীম বাইজুরী লেখেন: “হুযূর করীম (দ অস্তিত্বশীল না হলে বিশ্বজগত-ই অস্তিত্বশীল হতো না। হযরত আদম (আ-কে আল্লাহ বলেন, ‘মহানবী (দ অস্তিত্বশীল না হলে আমি তোমোকে সৃষ্টি করতাম না। হযরত আদম (আ হলেন মনুষ্যজাতির আদি পিতা, আর পৃথিবীতে যা কিছু আছে সবই মানুষের জন্যে সৃষ্ট। তাই হযরত আদম (আ-কে যেহেতু রাসূলে খোদা (দ-এর অস্তিত্বের কারণে সৃষ্টি করা হয়েছে, সেহেতু সমগ্র জগতই মহানবী (দ-এর কারণে সৃষ্ট বলে প্রতীয়মান হয়। অতএব, সকল অস্তিত্বশীল সত্তার সৃষ্টির কারণ হলেন বিশ্বনবী (দ।”
উদ্ধৃতি-৫: কাসিদা-এ-বুরদা কাব্য সম্পর্কে আল্লামা খালেদ আযহারী মন্তব্য করেন: “রাসূলে পাক (দ-এর কারণেই দুনিয়া অনস্তিত্ব থেকে অস্তিত্ব পেয়েছে।”
উদ্ধৃতি-৬: মোল্লা আলী কারী লেখেন: ”রাসূলুল্লাহ (দ-এর আশীর্বাদ ও মহত্ত্ব ছাড়া সমগ্র এই বিশ্বজগত অস্তিত্ব পেতো না এবং আল্লাহ ছাড়া কিছুই অস্তিত্বশীল থাকতো না।”
উদ্ধৃতি-৭: আল্লামা আবূল আয়াশ আবদুল আলী লাখনৌভী নিজ ‘ফাওয়াতিহ আর-রাহমূত শরহে মোসাল্লাম আস্ সুবূত’ পুস্তকে লেখেন: “রাসূলে খোদা (দ অস্তিত্বশীল না হলে সৃষ্টিকুল আল্লাহর রহমত-বরকত (আশীর্বাদ)-ধন্য হতো না।”
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:৩৪
বউবেষ্ট বলেছেন: Again a super post!?