নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বুলি বলে শুনতে পাই, রূপ কেমন তা দেখি নাই, ভীষম ঘোর দেখি।। পোষা পাখি চিনলাম না, এ লজ্জা তো যাবে না, উপায় কী করি, আমি উপায় কী করি।।
হে রাসূল দ., আপনি বলুন, আমার নবীত্বের ঋণ তোমরা শোধ করতে চাইলেও পারবে না, বরং আমার নিকটতমজন (দের সম্মান, আনুগত্য, কৃতজ্ঞতার মাধ্যমে তা তা নূ্নতম পরিশোধ্য)।
ইসলাম ধর্মে পরকালীন অনন্ত সুখের আবাস বা জান্নাত বলে একটা কনসেপ্ট রয়েছে। ইসলাম ধর্মে যারাই বিশ্বাস করেন, তারাই এই ইসলামিক হ্যাভেন বা জান্নাতের কনসেপ্টে বিশ্বাস করেন। আর শিয়া সুন্নি ওহাবী নির্বিশেষে সবাই বিশ্বাস করেন যে, প্রথম মানবের যুগ থেকে মানবের সর্বশেষ পর্যন্ত যত অগুণতি মানুষই আসুক, তাদের মধ্যে যারাই মহান স্রষ্টা ও তাঁর সকল প্রেরিতদের প্রতি বিশ্বাসী, তারা সবাই এই জান্নাত এ যাবে, তা পাপের জন্য জাহান্নামে পোড়ার পর হোক, বা সরাসরি। এবং সবাই, এই বিশ্বাসটা রাখেন (সুন্নি নামধারীরা বুখারি থেকে শুরু করে ৫০ এর বেশি হাদিস গ্রন্থ থেকে, শিয়া নামধারীরাও) যে, এই যে জান্নাত, যেখানে লক্ষ লক্ষ নবীর আবাস হবে, যেখানে লক্ষ লক্ষ সাহাবীর আবাস হবে, যেখানে অযুত নিযুত কোটি ভালমানুষের আবাস হবে, সেই জায়গার সমস্ত নারীর অধিকারী হলেন ফাতিমাতুয যাহরা বিনতে মুহাম্মাদ নাম্নী একজন। এবং যত পুরুষ থাকবে, তাঁদের অধিকারী হবেন হাসান ইবনে আলী ইবনে আবি তালিব ও হুসাইন ইবনে আলী ইবনে আবি ত্বালিব নামের দুইজন সহোদর।
হে আহলে বাইতে রাসূল দ. (রাসূল দ.'র গৃহবাসী নিকটতমজন)! আল্লাহ আপনাদের পবিত্রই রাখতে চান। আর তিনি সব ধরনের অপবিত্রতার সংস্পর্শ থেকে আপনাদের সযত্নে দূরে রাখতে চান।
আশুরার ধারণা, এই জান্নাতের অধিকারী তিনজনের পরিবার বিষয়ক ধারণা। এই পরিবারের তিনজন সদস্য, আলী ইবনে আবি তালিব, ফাতিমা বিনতে রাসূল, হাসান ইবনে আলী দশই মুহাররামের আগেই ইহধ্যাম ত্যাগ করেন।
নিশ্চই আমি আপনাকে দান করেছি অনন্ত কল্যাণ! কৃতজ্ঞতাস্বরূপ আপনার প্রভূর প্রতি নামাজ পড়ুন ও কুরবানী করুন। নিশ্চই যারা আপনাকে নির্বংশ বলছে তারা পূর্বাপর পিতৃমাতৃপরিচয়হীন নিশ্চিহ্ন।
তাদের বাকি পরিবার বলতে একেবারে কম কিছু ছিল না। হাসান ইবনে আলী রেখে গেছেন পুত্রকন্যা। হুসাইন ইবনে আলী স্বয়ং বর্তমান। বর্তমান তাঁর স্ত্রী-পুত্র-কন্যা ও মাত্র এক বছরের ছোট বোন।
এই যে পরিবার, ইসলাম ধর্মের কনসেপ্টে গৃহীত সমগ্র জান্নাতের অধিকারী এই পরিবারের বাকী সদস্যদের চরম অবমাননাকরভাবে গণহত্যার সম্মুখীন হবার দিবস হল দশই মুহাররাম।
নিশ্চই এ রাসূল দ. আপন ইচ্ছা ও বাসনা থেকে কোন কিছুই বলে থাকেন না। যা-ই বলেন, তা সরাসরি ওয়াহয়ি হয়ে থাকে। ... আর যারা পার্থক্য স্থাপন করবে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল দ.'র মধ্যে নিশ্চই তারা অক্ষয় (হাক্বা) অস্বীকারকারী (ক্বাফিরুনা)।
ক্বাবার প্রধান সংরক্ষক আব্দুল মুত্তালিব। আব্দুল মুত্তালিব- মহা অনুসন্ধানীর (মহান স্রষ্টা) দাস। এই প্রধান সংরক্ষকের এক পুত্র আব্দুল্লাহ। আল্লাহর দাস। আরেক পুত্র আবু ত্বালিব। আবু ত্বালিব শব্দের অর্থ অনুসন্ধানীর পিতা। আবু ত্বালিবের সন্তান সম্ভবা স্ত্রী ফাতিমা বিনতে আসাদ এক সন্ধ্যায় ক্বাবা ঘরের ভিতরে আলো প্রজ্বলিত করার জন্য গেলে সেই পবিত্রতম ঘরের ভিতরেই জন্ম দেন এক সন্তানের। জন্মের পর প্রথম তিনদিন সেই শিশু চোখ খোলেননি। প্রথম চোখ খোলেন এবং তাকান মুহাম্মাদ ইবনে আবদুল্লাহ'র কোলে থেকে চেহারার দিকে। মুহাম্মাদ ইবনে আবদুল্লাহ- সবিশেষ প্রশংসিত যে জন আল্লাহর পক্ষ থেকে কর্মসম্পাদনকারীর পুত্র। বাবার দেয়া অন্য একটা সুন্দর নাম রহিত হয়ে যায় শিশুর। আলী- সুউচ্চ, আলী-সুসম্মানিত... এ নামেই তিনি পরিচিত।
হে প্রভু, আপনার ভালবাসায় আমি উৎসর্গীকৃত। প্রভু, আপনার জন্য হওয়ায় আমাকে হত্যা করা হোক, তারপর আবার জীবিত করা হোক। আবার আমার প্রাণপাত করা হোক, আবার জীবিত করা হোক। আবারও আমার প্রাণপাত করা হোক, আবারো জীবিত করা হোক।- রাসূল দ.
দশ বছর বয়স তাঁর। এই সময়, তেরো বছরের প্রায়-নিরবচ্ছিন্ন গুহা-ধ্যানে থাকা মুসলিমদের মধ্যে কথিত রাহমাতাল্লিল আলামীন বা সৃষ্টিতে যত জগত আছে, সমস্ত জগতসমূহের প্রতি স্রষ্টার প্রেরিত করুণা হিসেবে ভবিষ্যতে যাঁকে নির্দেশিত করা হবে, সেই সর্ববিশ্বাস্য বা আল আমিন অদৃশ্যের সংবাদজ্ঞাত বা নবী হবার কথা জানান, এবং পুরুষ ও শিশুদের মধ্যে সর্বপ্রথম আলী ইবনে আবি তালিব তাঁর অনুসারী হন।
হাসান ও হুসাইন রা. আমার উম্মতের প্রতি আমার আমানত!
নবী মুহাম্মাদ দ.'র পুত্ররা অকালে চলে গেলেন। ইব্রাহিম রা. যাবার পর গ্রহণ লেগে গেল সূর্যেও। রাসূল দ. বোঝালেন, না, কারো চলে যাবার জন্য সূর্যে গ্রহণ লাগে না।
নবীদের পুত্রগণ নবী হয়েই থাকেন প্রায়শ। করুণাসমষ্টির পুত্রগণ জীবিত থাকবেন, আর নবী হবেন না, তাই বা কীভাবে হয়?
তাঁকে বলা হল, অলুক্ষণে। নির্বংশ। নির্বংশ শব্দচয়নকারীদের পূর্বাপর বংশপরিচয়হীন ঘোষণা করে জানানো হল, তাঁকে এমন বংশ দেয়া হবে, যা অনন্ত, এজন্য যেন তিনি উৎসর্গ করেন।
সৃষ্টজগতসমষ্টির উপর করুণারূপে বর্ষিত মহানবী আপন কন্যা, স্বর্গবাসিনীদের অধিকারিণীর জন্য যোগ্যতম পেলেন আলী ইবনে আবি তালিব রা. কে। তাঁদের প্রথম সন্তানের নাম রাখা হল মহাবীর ও নবীর পিতৃব্য হামজা রা.'র নামে। দ্বিতীয় সন্তানের নামও অসাধারণ। কিন্তু সেই নাম দুটি পরিবর্তিত হলো নবী দ.'র দ্বারা। বললেন, আল্লাহ তাঁদের হাসান বা সুন্দর এবং হুসাইন বা সৌন্দর্যের আধার হিসেবে সাব্যস্ত করেছেন। তাঁর চলে যাবার সাত বছর আগে হাসান, ছ বছর আগে হুসাইন এবং পাঁচ বছর আগে যাইনআব আসেন। যাইনআব- পিতার সৌন্দর্যে সুশোভিত।
হে আবু হুরাইরা রা., আমার নিকটতমজনের মধ্যে হাসান ও হুসাইন রা. প্রিয়তম।
স্বয়ং আলী রা., ইমাম হাসান রা. তাঁদের পুত্রদের নাম রেখেছিলেন বিগত তিন খলিফার সাথে নামাঙ্কিত করে। নবী পরিবার রা. কারামুক্ত হবার পর প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে বারবার বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন আবু বাকার রা'র বংশধরদের সাথে যাঁকে রাসূল দ.'র কন্ঠে বলা হয় নবীগণের পর সর্ব্বোত্তম পুরুষ। উমার রা.'র বংশধরদের সাথে যাঁর বিষয়ে রাসূল দ. বলেছেন আমার পর কেউ নবী হলে উমার রা. হতেন, উমার রা. কে স্বয়ং শয়তানও ভয় পায়। এই তিন খলিফার পরিবারকেই রাসূল দ.'র সবচে প্রিয় ও সবচে নৈকট্যপ্রাপ্তদের মধ্যে পেয়ে রাসূল পরিবার রা. তাঁদের সাথে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
আলী রা. তিন খলিফারই ছোট্ট কলেবরের মজলিশে শূরা বা ক্যাবিনেট বা মন্ত্রীপরিষদের সদস্য ছিলেন। তিন খিলাফতই চলেছে সকল বর্তমান ও ভবিষ্যত খলিফার প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে।
চার খলিফার মধ্যে তিনজনই মহামহিম শাহাদাতের সুধা পান করেন। দুই বা তিনজনই মসজিদে, দুজন কুরআন পড়া অবস্থায় এবং আলী রা. নামাজরত অবস্থায় আহত হয়ে। তিনজনের মধ্যে অন্তত দুজনই রোজা রাখা অবস্থায়।
স্বয়ং উমার ইবনুল খাত্তাব রাদ্বিআল্লাহু আনহুও শহীদ হন খলিফা থাকা অবস্থায় ১০ ই মুহাররাম। পরবর্তীতে ১০ ই মুহাররাম মহামহিম তাবিয়ি তাপসী রাবেয়া বসরী রা. ও প্রত্যাগমন করেন।
হাসান ও হুসাইন রা. বেহেস্তবাসী সমস্ত তরুণদের অধিকারী। ফাতিমা রা. সমস্ত বেহেস্তবাসী নারীদের নেতৃস্থানীয়া।... বেহেস্তে সবাই তরুণ রূপে যাবে।
তৃতীয় খলিফা উসমান রা. কে মসজিদে ঘেরাও করে হত্যা করা হলে তাঁর গোত্রের আমীর (যুদ্ধর ক্ষেত্রে জেনারেল এবং যুগপৎ আঞ্চলিক গভর্নর।) মুআবিয়া রা. এই হত্যার বিচার দ্রুত দাবি করেন। মুআবিয়া রা. রাসূল দ. সহ প্রথম-দ্বিতীয় ও তৃতীয় খলিফার নিযুক্ত জেনারেল কাম গভর্নর ছিলেন। আলী রা. সেনাবাহিনীর আংশিকের বিচার প্রথমেই না করে আইন ও শাসন সংহত করার পর বিচারের পদ্ধতি অবলম্বন করেন। এ বিষয়ে মতভেদ নিয়ে আমীর মুআবিয়া রা.'র সাথে আমীর উল মু'মিনীন খলিফাতুল মুসলিমীন মাওলা আলী রা.'র সাথে যুদ্ধ পর্যন্ত হয়। এই মতভেদকে প্রায় সম্পূর্ণ উম্মাহর সুন্নিরা সত্যের দুই প্র্রক্রিয়ার মধ্যে মতভেদ আকারে দেখে থাকেন। শিয়ারা মুআবিয়া রা. কে সম্পূর্ণ ভ্রান্ত হিসাবে দেখে থাকেন। সুন্নিদের বেশ কিছু মতধারা সকল খলিফা রা. কে সসম্মানে দেখেও মুআবিয়া রা. কে ভ্রান্ত হিসেবে দেখে থাকেন। কিন্তু মূল সুন্নি মতধারা এই দুজনকেই সত্যপন্থী হিসাবে দেখেন।
আলী রা. তাঁর হত্যাকারীকে (গুপ্তচর, কথিত পালিত পুত্র/পুত্রসম) সম্ভব হলে ক্ষমা করতে আর তা না হলে কিসাস বা রক্তপণের কারণে একবার আঘাত করতে (তাতে নিহত হোক বা না হোক) আদেশ করে যান।
ইমাম হাসান রা. আমীর মুআবিয়া রা.'র সাথে সন্ধি করেন যুদ্ধ এড়ানোর জন্য। সন্ধির শর্ত হয় আমীর মুআবিয়া রা. কোন মনোনীত উত্তরাধিকারী রেখে যাবেন না। ইমাম হাসান রা অথবা ইমাম হুসাইন রা. মনোনীত হবেন।
ইমাম হাসান রা. কে অভিশপ্তর গুপ্তচররা বিষপ্রয়োগে শহীদ করে। ইমাম হাসান রা.ও তাঁর হত্যাকারীর নাম বলে যাননি এবং তাকে ক্ষমা করতে বারবার আদেশ করে যান।
চিরায়ত অভিশপ্ত ক্ষমতায় আরোহন করলে তার বংশীয় প্রাচীণ প্রতাপ ও অসাধারণ আন্তর্জাতিক যোগাযোগ এর মাধ্যমে সে সব ধর্মের এবং সব অঞ্চলের-সাম্রাজ্যের অ্যাম্বাসেডরদের তার মন্ত্রিপরিষদে স্থান দেয়- যা আন্তর্জাতিক সম্পর্কের মাধ্যমে ক্ষমতা সুসংহত করার নামান্তর।
এদের শরীরের মাংস, আমার শরীরের মাংস। এদের প্রবাহিত রক্ত আমার প্রবাহিত রক্ত। এদের সাথে যার ভালবাসা, আমার সাথে তার ভালবাসা। আর জেনে রাখো, আল্লাহর সাথে আমার ভালবাসা। হে আল্লাহ, এদের প্রতি ভালবাসা পোষণকারীদের আপনিও ভালবাসুন।
ক্ষমতারোহী শাসকের অন্যতম প্রধান পরামর্শদাতা বা উজিরে আজম ছিল আহলে কিতাব। সে তিনটা পরামর্শ রাখে ক্ষমতারোহণের পরপরই-
১. ক্ষমতায় থাকতে হলে প্রথমেই রাষ্ট্রযন্ত্র থেকে রাসূল দ. ও তাঁর পরিবারের প্রতি আন্তরিকতা রাখে এমন সমস্ত মানুষকে সরাতে হবে। এদের একজনও থাকলে ক্ষমতায় থাকা অসম্ভব। এতে ধার্মিকদের সরিয়ে দিলে ক্ষতি নেই, কারণ ধার্মিক দিয়ে ক্ষমতা চলে না, ভোগীদের দিয়ে ক্ষমতা চালানো অধিকতর সহজ হয়। আর ভোগীদের দিয়ে ক্ষমতা চালালে তাতে ক্ষমা ও ভালবাসা নয়, ভীতি ও আতঙ্ক তৈরি করাই প্রধান উপজীব্য হয়।
২. রাসূল দ.'র বংশের একজন মানুষও বাকী থাকলে কখনোই ক্ষমতায় থাকা সম্ভব হবে না। কারণ তাঁদের উপস্থিতিই মানুষের চালিকাশক্তি হবার জন্য যথেষ্ট।
৩. অতীতে বনি ইসরাঈলেও কোন সাম্রাজ্যেই স্বয়ং নবী ছাড়া আর কেউ আল্লাহর কিতাব অনুসারে শাসন করেননি। পারেননি। স্বয়ং নবীরা ছাড়া কেউ পারবেও না। কুরআন বড় পবিত্র। এর নীতি-নিয়মে যদি পরিবর্তন আনা নাই যায়, অন্ততপক্ষে সুন্দর কাপড়ে মুড়ে তা উপরে উঠিয়ে রাখতে হবে।
ইমাম হুসাইন রা., উমার রা.'র সন্তান আবদুল্লাহ রা. এবং (সম্ভবত) জুবায়ের রা.'র সন্তান আবদুল্লাহ রা.- এই তিনজন সর্বদিক দিয়ে যোগ্য ছিলেন পুরো হিজাজ বা মূল আরবে। মদীনার এই তিন মহাসম্মানিতকে মদীনার গভর্নরের ঘরে ডেকে আনুগত্যের শপথ অথবা তৎক্ষণাৎ হত্যার আদেশ দেয়া হয়।
মদীনার গভর্নরের নৈতিকতায় বাঁধা পড়ে। তিনি সম্মানিত তিন অতিথিকে হিজরত করে যাবার অনুরোধ করেন। উমার রা.'র সন্তান আবদুল্লাহ রা. মদীনা থেকে মক্কাতে হিজরত করেই ২০০০ এর বেশি মানুষকে অত্যাচারের বিপক্ষে বাইআতবদ্ধ করেন।
হে হাসান-হুসাইন রা., তোমাদের জন্য আমার বাবা-মা ও উৎসর্গীকৃত হোন!
আহলে বাইতে রাসূল দ. কখনোই ক্ষমতারোহণের সপ্রক্রিয়া চেষ্টা করেননি। (মার্সিয়া মিছিল বিষয়ক পোস্টের কমেন্ট দ্র.)। ইমাম হুসাইন রা.ও করেননি। কিন্তু অত্যাচারীর অধীনে আনুগত্য স্বীকার করা তাঁর পক্ষে অসম্ভব ছিল। আর অত্যাচারীর বিরুদ্ধে কিছু না বলা বা না করাও তাঁর পক্ষে অসম্ভব ছিল।
আলী রা.'র পূর্বতন রাজধানী ছিল কুফায়। কুফা সাবেক হাজার বছরের সাম্রাজ্য পারসিক/সাসানীয়র অংশ। আমীর মুআবিয়া রা.'র প্রাদেশিক শাসনকেন্দ্র ছিল বর্তমান সিরিয়ার দামেশকে, যা রোমান বাইজাইন্টাইন সাম্রাজ্যের অধীনে ছিল। সাসানীয় ও বাইজাইন্টাইন সাম্রাজ্য হাজারো বছর যাবৎ পৃথিবীর এই অংশের সবচে বড় শক্তি। ইসলামের উন্মেষের সাথে ধীরে ধীরে কুফা ও দামেশক মুসলিম খিলাফাতের অন্তর্গত হয়।
কিন্তু পারসিক ও রোমক সাম্রাজ্যের জনজীবন বহুলাংশে ইসলাম গ্রহণ করলেও হাজারো বছরের আঞ্চলিকতা ও ক্ষমতার প্রভাব তৈরির ও বলয় প্রস্তুত করার মানসিকতা থেকে সরতে পারে না।
ফলশ্রুতিতে, আঞ্চলিক ক্ষমতায় রাজধানীর বলয়ে থাকার আশায় সাবেক রোমকরা দামেশকে আমির মুআবিয়া রা. ও তার বংশধরদের সম্পূর্ণ সমর্থন করতে থাকে।
এদেরই বিপরীত জনজীবন হিসাবে কুফা ও আশপাশের মানুষরা আলী রা. ও তাঁর বংশধারাকে সার্বিক সমর্থন জানাতে শুরু করে। যা শুধু ক্ষমতাবলয়ের সমর্থন হিসাবে প্রতিপণ্ন হয় বারবার প্রতিজ্ঞাভঙ্গের নিদর্শনের মাধ্যমে।
এঁদের সাথে যার শত্রুতা আমার সাথে তার শত্রুতা। এঁদের সাথে যার যুদ্ধ, আমার সাথে তার যুদ্ধ।
কারবালা ও কারবালার তথাকথিত যুদ্ধের নামে পারিবারিক, গোষ্ঠীগত গণহত্যার বিষয়ে কিছু লিখতে পারছি না। বহুবার চেষ্টা করেছি। পৈশাচিকতা কারবালার গোত্রীয় গণহতার কাছে কিছু নয়। যা পড়ার পর সুস্থ থাকা যায় না, তা লেখার মত যন্ত্রণার ভিতর দিয়ে নাহয় এবার নাই গেলাম। এই পোস্ট বহু আগের ড্রাফট। অপারগতা ক্ষমা করবেন।
নিচে কিছু গুরুত্ববহ হাদীস এবং কারবালার শহীদগণের নাম ও পরিবারের পরিচয় দেয়া হল-
আমার এই সন্তান (হুসাইন রা.) সাইয়্যিদের সাইয়্যিদ (নেতৃস্থানীয়দেরও নেতৃস্থানীয়)।
হে উমার রা., বলবেন না, আমার এই দুই সন্তান আমার কাঁধে চড়ে কী দারুণ বাহন পেয়েছে, বরং বলুন, আমি কী অসাধারণ যাত্রি পেয়েছি!
ওমর রা.'র পুত্র আবদুল্লাহ রা.: হে কুফাবাসী, তুমি মশা মারা গেলে তার রক্ত গায়ে লাগলে হজ্বের কী হবে জিজ্ঞেস করছ, অথচ ইবনে রাসূলের রক্ত তোমাদের গায়ে লেগে রয়েছে, তা নিয়ে কোন প্রতিবাদ করোনি!
প্রতিবার আলী রা., ফাতিমা রা., হাসান-হুসাইন-যাইনআব রা.'র বাসার সামনে দিয়ে যাবার সময় রাসূল দ.! ও পরবর্তীতে আবু বাকার রা.: আসলামু আলাইকুম ইয়া আহলে বাইতে রাসূল দ.! আল্লাহ আপনাদের সমস্ত অপবিত্রতা থেকে দূরে রাখতে চান! তাঁর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে নামাজ প্রতিষ্ঠিত করুন।
ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত অবস্থায় 'পঞ্চম খলিফা' এজিদের বংশধর মহান শাসক দ্বিতীয় উমার ইবনে আবদুল আজিজ রা.: এই তরুণকে এত সম্মান দেখানোয় আপনারা (মন্ত্রিপরিষদ) অবাক হচ্ছেন কেন? এই হাদিস কি আপনাদের জানা নেই, যে ফাতিমা রা. কে খুশি করল সে তো আমাকেই খুশি করল। আর যে তাঁকে কষ্ট দিল সে তো আমাকেই কষ্ট দিল। আর নিশ্চই বনু হাশিমের প্রত্যেককে পরকালে ক্ষমা করিয়ে নেয়ার ক্ষমতা দেয়া হয়েছে? আমি এজন্যই তাঁকে (ইমাম হুসাইন রা.'র বংশধর) ক্ষমা করিয়ে নেয়ার অনুরোধ করেছি। আর আমার এই আচরণ কি ফাতিমা রা. কে তুষ্ট করার মত নয়?
হুসাইন আমা হতে, আমি হুসাইন হতে।
হে আলী রা., আল্লাহ এঁদের নাম রেখেছেন হাসান ও হুসাইন, তাই আপনার দেয়া নাম প্রত্যাহার করুন।
আবদুল্লাহ ইবনে উমার রা., হাসান ও হুসাইন রা. কে অনিন্দ্য ফুলের সাথে রাসূল দ. কে তুলনা করতে শুনেছি।
ও আলী রা.! (ঝর্ণার পাশে খেলতে থাকা) আমার এই দুই ছেলের প্রতি খেয়াল রাখুন, আর সূর্যতাপ বেড়ে যাবার আগেই তাদের বাড়িতে ফিরিয়ে আনুন।
মাঝরাতে রাসূল দ. কে ঘর থেকে বেরুনোর সময়ও হাসনাইন করিমাইন রা. কে বুকে নিয়ে বেরুতে দেখা যায় এবং তিনি পরিচয় করিয়ে দেন, এরা হলেন আমার সন্তান; আর আমার সন্তান ফাতিমারও সন্তান হাসান ও হুসাইন রা.।
আমি আমার পরিবার নিয়ে এসেছি। (আলী-ফাতিমা-হাসান-হুসাইন রাদ্বিআল্লাহু আনহুম)। এবার তোমাদের যত অভিশাপ দেয়ার দিতে পার।
সর্বশ্রেষ্ঠ ও আমার সবচে প্রিয় দরুদ হচ্ছে এই, যা আমিও সালাতে পড়ি এবং তোমরাও পড়ো,
হে আল্লাহ, আপনি সালাত বর্ষণ করুন সম্মানিত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা ও তাঁর বংশধরদের উপরে, যেমন করে সালাত বর্ষণ করেছেন সম্মানিত ইব্রাহিম আলাইহিস সালাম ও তাঁর বংশধরদের (নবী দ.'র পূর্বপুরুষ) উপরে, নিশ্চই আপনার প্রশংসা সর্ব্বোচ্চ।
হে আল্লাহ, আপনি শুভকামনা (বারিক) বর্ষণ করুন সম্মানিত মুহাম্মাদ দ. ও তাঁর বংশধরদের উপর যেমন করে আপনি শুভকামনা বর্ষণ করেছেন সাইয়্যিদুনা ইব্রাহিম আ. ও তাঁর বংশধর (রাসূল দ.' ও মাওলা আলী রা.'র পূর্বপুরুষ) দের উপরে, নিশ্চই আপনার প্রশংসা সুউচ্চ।
আসাদুল্লাহিল গালিব আলীউল মুরতাদ্বা রাদ্বিআল্লাহু আনহুর সন্তানদের মধ্যে:
ইমাম হুসাইন সালামুল্লাহি আলাইহি অগুণতি আক্রমণকারীর দ্বারা আহত ও আক্রান্ত হন এবং সিমার দিলজাওসার হাতে শহীদ হন।
আবুল ফজল আব্বাস রা. শহীদ হন ইয়াজিদ বিন রুকাদ, হাকীম বিন তুফায়ল ও সালেহ বিন ওয়াহাব এর দ্বারা।
আবদুল্লাহ ইবনে আলী রা. শহীদ হন হানি আল হাজরামির হাতে।
জাফর রা. শহীদ হন হানির হাতে।
উসমান ইবনে আলী রা. শহীদ হন খুলি বিন ইয়াজিদ ও আবানি আল দারিমির হাতে।
মুহাম্মাদ ইবনে আলী রা. শহীদ হন আবানি আল দারেমির হাতে।
আবু বাকার ইবনে আলী রা.।
আবদুর রহমান ইবনে আলী রা.।
আবদুল্লাহ রা.- আলী ও লায়লা রাদ্বিআল্লাহু আনহুমার পুত্র।
ইমাম হাসানুল মুজতাবা রাদ্বিআল্লাহু আনহুর সন্তানদের মধ্যে:
আবু বকর ইবনে হাসান রা. শহীদ হন আবদুল্লাহ ইবনে আকাবার হাতে।
আব্দুল্লাহ ইবনে হাসান রা. হারমালার হাতে শহীদ হন।
শহীদ হন ক্বাসিম (বন্টনকারী) ইবনে হাসান রা. উমার বিন সাদের দ্বারা।
ইমামে আলী মাক্বাম সাইয়্যিদুনা হুসাইন রাদ্বিআল্লাহু আনহুর সন্তানদের মধ্যে:
আলী আকবর (সুউচ্চ সুমহান) ইবনে হুসাইন ইবনে আলী সালামুল্লাহি আলাইহি শহীদ হন মুররাহ বিন মুনকিজ ও হাশিম বিন নামিরের হাতে।
কারবালার শিশু আবদুল্লাহ ইবনে হুসাইন রা. (আলী আসগর) শহীদ হন হারমালা ইবনে কাহিলের হাতে।
সাকিনাহ্ বিনতে হুসাইন রা., অভিশপ্তের কারাগারে দামেশক এ নিহত হন চার বছর বয়সে।
বিনতে সাইয়্যিদাতুন নিসা যাইনাব রাদ্বিআল্লাহু আনহা'র পুত্রদের মধ্যে:
আউন ইবনে আবদুল্লাহ বিন জাফর রা.
মুহাম্মাদ ইবনে আবদুল্লাহ বিন জাফর রা.।
মুহাম্মাদ ইবনে আবদুল্লাহ বিন জাফর রা., হাফসা রা.'র কন্যা খাউসা রা.'র পুত্র।
আব্বাস ইবনে আলী রা'র সন্তানদের মধ্যে:
ক্বাসিম রা.।
আল ফাদ্বল ইবনুল আব্বাস রা.।
কারবালার পরিপ্রেক্ষিতে সর্বমোট ১০৪ জন শহীদের নাম পাওয়া যায় যাঁদের মধ্যে আলী রা.'র কমপক্ষে ১৯ পুত্র-দৌহিত্র-দৌহিত্রী রয়েছেন।
হে হুসাইন রা., আমি আপনার পদতলের ধূলা নিজের পোশাক দিয়ে পরিষ্কার করে কমই করছি, যা রাসূল দ. আমাকে জানিয়েছেন তা আশপাশের অন্যেরা ঠিকভাবে জানলে তারাও আপনার পদতলের ধূলা পরিষ্কারকে সর্ব্বোচ্চ কর্তব্য ধরে নিতেন। (সর্ব্বোচ্চ সংখ্যক হাদীস বর্ণনাকারী, যাঁর বর্ণনার উপর পুরো হাদীসশাস্ত্র দাঁড়িয়ে আছে সেই সাহাবী বৃদ্ধ আবু হুরাইরা রা., রাসূল দ.'র প্রত্যাগমনের অনেক পরে ইমাম হুসাইন রা.'র সামনে হঠাৎ উপস্থিত হয়ে তাঁর পায়ে লেগে থাকে ধূলা পরিষ্কারে উদ্যত হলে ইমাম হুসাইন রা. তাঁকে বিরত করেন এবং আবু হুরাইরা রা.'র সম্মানের কথা বলেন। তখন তিনি এ কথা বলেন।)
ফাতিমা ও তার পরিবারের প্রতি বিদ্বেষপোষণকারী যদি মাক্বামে ইব্রাহীম ও ক্বা'বার কোণা (যেখানের মর্যাদা সর্ব্বোচ্চ এবং যেখানে কথিতভাবে সবার পাপ মাফ হয় এবং আল্লাহর সবচে নৈকট্য পাওয়া যায় স্থানের মর্যাদায়) এই দুয়ের মধ্যবর্তী স্থানে এমনকি নামাজরত অবস্থায় সিজদা দিয়ে সিজদায় মারাও যায়, তবু তার উপর জাহান্নাম ওয়াজিব অবস্থায় থাকবে।
হে সমবেত সৈন্যবাহিনী! কিসাস বা হত্যা করার মত কোনও অপরাধ আমি বা আমার পরিবার কি করেছি কখনো? আমি কি কখনো কোনও মিথ্যা কথা বলেছি? কখনও কারো সম্পদ বা সম্মানের বিন্দুমাত্র অধিকার হরণ করেছি? আমি কি কখনো আল্লাহ ও তাঁর রাসূল দ.'র বিধানের বাইরে কাজ করেছি? ঠিক কোন্ কারণে তোমরা আমাদের পানীয় জল অবরুদ্ধ করে রাখছ? এখনো (হিজরতের ৬০ বছর পর) রাসূল দ.'র সাহাবা রা. গণ কেউ কেউ জীবিত আছেন। তোমরা যদি জেনে না-ই থাকো, তাঁদের কাছে জেনে নাও, আহলে বাইতে রাসূল দ.'র উচ্চতা ও অধিকার কোথায়। জেনে নাও, হুসাইন না হলে পূর্ব ও পশ্চিম দিগন্তে মহান প্রতিপালকের রাসূলের আর কোন দৌহিত্র তোমরা পাবে না। তোমাদের মধ্যে কি আল্লাহর রাসূল দ.'র উম্মতের একজনও অবশিষ্ট নেই? তোমাদের মধ্যে কি একজনও মুসলিম অবশিষ্ট নেই?
ইয়া মুহাম্মাদা দ.! ইয়া রাসূল আল্লাহ দ.! আসুন, দেখে যান, আপনার পরিবারের সবাইকে ধূলার উপর নিহত করে শিরশ্ছেদ করে দেহের উপর ঘোড়া চালিয়ে বিকৃত করা হয়েছে। আপনার পুত্রদের সবাইকে লুপ্ত করা হয়েছে। আপনার কন্যাদের ঘোমটাবিহনীভাবে বন্দী করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ইয়া মুহাম্মাদা! ইয়া রাসূলআল্লাহ!
এজিদের মন্ত্রণাপরিষদ! নিজেদের চোখ অবনমিত রাখো! যাকে দেখার চেষ্টা করছ, ভুলে যেও না, তিনি পাঁচ বছর প্রভুর রাসূল দ.'র কোলে প্রতিপালিত। আলী ইবনে আবি তালিব ও ফাতিমাতুয যাহরা'র সন্তান। লজ্জা করো, লজ্জা করো! -যাইনআব রা.'র সেবিকা।
নূহ আ.'র উম্মতের জন্য মহাপ্লাবনের সময় ওই তরী যেমন, আমার উম্মতের জন্য আমার আহলে বাইত তেমনি। যে এর আশ্রয়ে যাবে, রক্ষা পাবে, যে যাবে না, ধ্বংস হয়ে যাবে।
হে হাসান ও হুসাইন রা., তোমাদের পবিত্র দেহ থেকে আমি সব সময় জান্নাতের সুঘ্রাণ পাই।
এক বছর চল্লিশ দিন পর, মুক্ত নবী পরিবার রাদ্বিআল্লাহু আনহুম কারবালায় মহামহিম শহীদদের পবিত্র বিচ্ছিন্ন মাথা নিয়ে উপস্থিত হন। এবং কবরস্থ করেন!
কৃতজ্ঞতা ও উৎসর্গ: সহব্লগার নিয়েল হিমুভাই। এই পোস্টটা বহুদিন ড্রাফটে ছিল, করার ইচ্ছা ছিল না। তাঁর কথাতে লিখে রেখে দিয়েছিলাম। এবারো চেষ্টা করলাম, পারলাম না কারবালার বিষয় বা আহলে বাইতে রাসূলিল্লাহর প্রতি তীব্র পৈশাচিকতার বিষয়ে লিখতে।
২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:২৬
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: এটা কীসের কথা বলেছেন বুঝি নাই। কোন সত্য সর্বদা বিজয়ী?
যদি এজিদ বুঝিয়ে থাকেন তো জুতিয়ে সব হারামজাদার হাড়মাস ভর্তা বানিয়ে ফেলব।
লা'নত।
২| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:২৪
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: অনেক কিছু জানা হলো। ধন্যবাদ, ভাই গোলাম দস্তগীর।
২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:২৭
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ ভাই। আশা করি কোন মানুষ নিয়ে এখন আর বদনাম করে পোস্ট করতে হবে না।
৩| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৯
অন্ধবিন্দু বলেছেন:
হে আল্লাহ, আপনি সালাত বর্ষণ করুন সম্মানিত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা ও তাঁর বংশধরদের উপরে, যেমন করে সালাত বর্ষণ করেছেন সম্মানিত ইব্রাহিম আলাইহিস সালাম ও তাঁর বংশধরদের (নবী দ.'র পূর্বপুরুষ) উপরে, নিশ্চই আপনার প্রশংসা সর্ব্বোচ্চ।
হে আল্লাহ, আপনি শুভকামনা (বারিক) বর্ষণ করুন সম্মানিত মুহাম্মাদ দ. ও তাঁর বংশধরদের উপর যেমন করে আপনি শুভকামনা বর্ষণ করেছেন সাইয়্যিদুনা ইব্রাহিম আ. ও তাঁর বংশধর (রাসূল দ.' ও মাওলা আলী রা.'র পূর্বপুরুষ) দের উপরে, নিশ্চই আপনার প্রশংসা সুউচ্চ।
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:২৩
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: হে আল্লাহ আমরা আপনাকে তো চূড়ান্তরূপে মানি মানিই, আপনি যাদের যাদের মানতে বলেছেন তাদেরও মানি।
হে রব! আমরা আপনারই দাসত্ব করি এবং আপনারই মুখাপেক্ষী। আর তাদেরই পথে অবিচল রাখুন, যারা এই পথে পরিচালিত ছিলেন, তাদের পথে নয়, যারা বিপথগামী।
সাল্লি আলা সাইয়্যিদিনা আলে রাসূলিল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
৪| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:৫১
শংখনীল কারাগার বলেছেন: সত্য৭৮৬ বলেছেন: সত্য যতই নির্মম হোক না কেন- সত্যই সর্বোৎকৃষ্ট ও সর্বদা বিজয়ী
৫| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৯
খােলদুল বলেছেন: াই রেফারেঞ্ছ কই??? আপনি যদি সত্যবাদী হন, তাহলে হাদিস কুরআন থেকে কিছু কোট করার সাথে রেফেরেঞ্চ সহ কোট করবেন।
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:১৩
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: এতে আপনার উপকার হবে? যার হওয়ার তার হয়ে গেছে।
জানাবেন, যদি উপকার হয়। সৃষ্টির উপকারের জন্য আছি।
৬| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০০
অন্তরন্তর বলেছেন:
আমার কাছে এটা আপনার বেস্ট পোস্ট। পোস্ট পড়ছি
আর চোখের পানি মুছছিলাম। নবী(সা) এবং তার বংশধরদের
উপর দরূদ পাঠ ছারা যে নামাজ আদায় হয় না এটা আমরা
অনেকেই জানিনা। আপনার লিখার অনেকগুলুই হাদিসে আছে
যা আমি পড়েছি। আপনি দয়া করে হাদিসের নাম এবং পৃষ্ঠা নাম্বারসহ
দিয়ে দেন। তাহলে আমার মনে হয় কেও আর রেফারেন্স চাইবে
না। যদিও যাদের পেঁচানো স্বভাব তারা ঠিকই অজুহাত দেখাবে।
আলে মুহাম্মদ(সা) এর প্রতি ভালবাসা ছারা আল্লাহ্ পাক আমাকে
এই দুনিয়া থেকে যেন না উঠিয়ে নেন তার জন্য দোয়া করবেন
লিসানি ভাই। মহান আল্লাহ্ আমাদের সকলকে হেদায়েত করুন।
আমীন। পোস্ট প্রিয়তে নিলাম।
৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:৪৭
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই, এই মন্তব্যটা পড়ে কী লিখব, তা বুঝতে পারছিলাম না। আর তখন মনটা ছিল ক্ষিপ্তের সর্বশেষ পর্যায়ে। মনটা শান্ত হল, তারপর, বহুদিন পর বসলাম।
আহলে বাইতে আতাহারের ভালবাসায় আপনার চোখের পানি এই পোস্ট পড়ে বর্ষিত হয়েছে, এই কারণে শুধু এই কারণে আমিও এটাকে সেরা পোস্ট হিসাবে ধরে নিচ্ছি। কারণ রাসূল দ. বলেছেন, কর্ম বা আমল দিয়ে কেউ জান্নাতে যেতে পারবে না। নিশ্চই ভালবাসা পারবে?
ভাই আমি না, মাঝে মাঝে রাগ করে হাদিস নাম্বার, আয়াত নাম্বার দেই না। যখন লিখি, তখন চোখের সামনে থাকলেও দেই না। কারণ, আয়াত নাম্বার হাদীস নাম্বার দিলে কোন লাভ নেই। ওই মানুষগুলোর চোখে তার কোন মূল্য থাকবে না। আর আশিকজনা কোন রেফারেন্স ছাড়াই কেঁদে উঠবে।
আসলে গ্র্রহণযোগ্যতা তো নিজ মনে, হাদীস নাম্বারেও না, আয়াত নাম্বারেও না।
সংখ্যা অপরিপূর্ণ, সংখ্যা অকেজো, সংখ্যা অনর্থক। তিনি কুরআনকে সাজাননি। তিনি বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ সাজাননি। কিন্তু কুরআন-বুখারী-মুসলিমের কথাগুলো তিনি বলেছেন। তিনি পরিপূর্ণ, তাই তাঁর কথা কাজের, তাঁর কথা অর্থবহ।
তাঁর কথা তাই যাঁর উপর প্রভাব ফেলার, এম্নিতেই ফেলবে।
তবে, আপনার কারণে এই পোস্ট আবার লিখব। তখন প্রতিটা হাদীস ও আয়াতের নাম্বার থাকবে তিনি চাইলে। আবার লিখব মানে, যেটুকু ঘটনা স্কিপ করেছি, তাও পূর্ণ করব।
আর একটু প্রয়োজনীয়তা অনুভব করলাম, দু একজন ভাই আসলেই আন্তরিকভাবে জানতে চেয়েছেন, এগুলো হাদীস ও কুরআনে আছে কিনা। তাঁদের জন্য।
অবশ্যই ভাই- সাল্লি আলা সাইয়্যিদিনা আলে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়াসাল্লাম।
হে আলে রাসুলিল্লাহি তাআলা দ.!
তোমার চরণে প্রতিপালিত,
অপরের মুখদর্শন আর কেনই বা করি?
দুর্ভাবনাই সই, পাপীই নাহয় আমি-
কিন্তু ডোবেনা ডোবেনি তোমার তরী কখনো।
আমীন ভাই, আমীন!
৭| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ফোরাতের পানিতে নেমে
ফাতেমা দুলাল কাঁদে অঝোর ণয়নেরে..
দুধের শিশু আসগর এই পানি চাহিয়েরে
দুশমনেরই তীরে তৃষ্ণা মিটায়রে......
ইয়া হোসাইন!! ইয়া হোসাইন!! ইয়া হোসাইন!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
আমরা উম্মত দাবী করি-আমাদের ক্ষমা করো
আমরা মুসলিম দাবী করি-আমাদের মার্জনা করো
আমরা আহলে বাইত প্রেমিক দাবি করি-আমাদের করুনা কর!!!
ভাই-যত বড় পোষ্টি দিয়েছেন-একটানে পড়ে গেছি!
এইবার কি দিলেন- প্রতিটা লাইন এগিয়ে যেতে যেন পাহাড় ঠেলে এগুনোর চেয়ে বেশি কষ্ট!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
ধ্বংস হোক ইয়াজিদের গোরো, অনুসারী এবং যারা গেছে বা আসবে!
হে ইমাম, আপনার প্রেমে আপনার ক্ষমায়, আপনার মহব্বতে -গুনাহগারের চোখের দুফোটা জলের উছীলায় -আমাদের ক্ষমা করুন। আমাদের সেই সত্যে পৌছার ধারন করার বিকাশ করার তৌফিক মঞ্জুর করুন যা আপনার নানাজানের ছিল, আপনার ভাইজানের ছিল আপনার ছিল।।
আর করিসনে মাতম ও মন
উঠ জেগে হোসেনি চেতনায়-
চোখের জল মুছে এবার
উড়াও পতাকা সত্য ন্যায়ের।।
২৩ শে জুন, ২০১৪ রাত ১:৪০
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আপনার এই মন্তব্যটা ভাই যতবার পড়েছি, ততবার ভাষা হারিয়েছি। যতবার উত্তর দিতে গেছি, ততবার পারিনি।
শাহ্ ও বাদশাহ যদি কেউ থেকেই থাকেন তো আছেন হুসাইন,
ধর্ম যদি থেকেই থাকে তো তার কেন্দ্রেও হুসাইনের ঘটনা মূর্তমান,
ধর্মরক্ষার পদ্ধতি যদি কেউ শিখিয়েই থাকেন তো শিখিয়েছেন হুসাইন-
শির দিয়েছেন, কিন্তু দেননি ইয়াজিদের অপবিত্র হাতে হাত,
তাইতো লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ'র যে মূর্ত ঝংকার, শুধু আল্লাহর প্রেরিত, নির্বাচিতজনের অধীনস্ততা স্বীকার করার পদ্ধতি, সেই তৌহিদের প্রকৃত প্রতিরূপ কেউ যদি থেকেই থাকেন তো আছেন হুসাইন।
ফার্সিতে এই কথাটাই লিখেছিলেন সেই হাসান মুঈনুদ্দিন সাঞ্জারি রা., যাঁর ধর্মপ্রচারের কারণে আজকে দক্ষিণ এশিয়াতেই পঞ্চাশ কোটি মানুষ মুসলিম, যাঁর কারণেই আজকে আমরা ধর্মে নীত হয়েছি-
শাহ্ আস্ত হুসাইন, বাদশাহ্ আস্ত হুসাইন,
দ্বীন আস্ত হুসাইন, দ্বীন পানাহ্ আস্ত হুসাইন-
সারদাদ, না দাদ দাস্ত দার দাস্তে ইয়াজিদ,
হাক্কাকে বিলায়ে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আস্ত্ হুসাইন!
ইসলামে সত্য মানেই যুদ্ধ নয়, ইসলামে সত্য মানেই বিজয় নয়, বরং ইসলামে সত্য মানে আধ্যাত্বিকতা, নৈতিকতা, অনৈতিক অপশক্তির কাছে কোনক্রমে অধীনতা গ্রহণ না করা। এই ধর্মীয় সত্য বুঝিয়েছেন ইমাম হুসাইন রাদ্বিআল্লাহু আনহু। তিনি বাইআত গ্রহণ করতেন তো শুধু তারই হাতে, যার কাজ সরাসরি আল্লাহ ও তাঁর রাসূল দ.'র কাজের বিরোধী নয়।
শিয়াদের হাজারো বিরোধীতা করি, কিন্তু তাদের এই একটা কথার সাথে হৃদয় চূর্ণ হয়ে একাত্ম্য হয়-
হুসাইনিয়াত, জিন্দাবাদ!
এজিদিয়াত, মুর্দাবাদ।
আজো পৃথিবী এজিদিয়াতে পরিপূর্ণ। এজিদ আসলে শয়তানের একটা রূপ ছাড়া আর কিছু কি? আমার মনে হয়, শুভ থেকে চট করে চরম অশুভতায় পর্যবসিত হওয়া এবং বিশাল অনুসারী রেখে যাওয়া, এই গুণের দিক দিয়ে শয়তান আর এজিদের মধ্যে মিল আছে। তবে, এজিদ শয়তান থেকে নিকৃষ্ট একটা দিকে, শয়তান কখনো আল্লাহর মহান বান্দাদের অনিষ্ট করার চেষ্টা করবে না, এমন ওয়াদা করেছে আল্লাহর কাছে, এই ওয়াদা আবার কুরআনে উল্লিখিত। অপরপক্ষে এজিদের হাত থেকে আহলে বাইতের নারীরাও কারাগারে নিক্ষিপ্ত হয়েছেন, আহলে বাইতের মহান পথপ্রদর্শক, সাইয়্যিদা যাইনআব রাদ্বিআল্লাহু আনহা যিঁনি রাসূল দ.'র কোলে চার বছর বেড়ে উঠেছেন, সেই তাঁকেও এজিদের রাজসভায় দেশি বিদেশি দূতদের সামনে বন্দি করে উপস্থাপন করা হয়েছে।
শুধু শুধু মুজাদ্দিদে আলফে সানি রা. বলেননি, কিয়ামাতে আল্লাহ সবাইকে মাফ করে দিন, কোন কথা নেই, কিন্তু এজিদ ও তার সমর্থকদের মাফ করলে সেখানেই সেই নরপশুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ বাঁধানোর জন্য আমি এবং আমার অনুসারীরা প্রস্তুত।
৮| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:১২
অন্তরন্তর বলেছেন:
আর একটা কথা লিসানি ভাই। আমি দেখেছি আহলে বাইত বা
আলে মুহাম্মদ(সা) এর পক্ষে কিছু বললেই একশ্রেণীর মানুষ
আছে মনে করে শিয়া। আমি সুন্নি আলহামদুলিল্লাহ্ কিন্তু তার
মানে এই না আমি শিয়াদের ঘৃণা করি। আমি পৃথিবীর সকল
মানুষকে সন্মান করি বা করতে চেষ্টা করি শুধুমাত্র একশ্রেণীর
মানুষ ছাড়া, তারা হল যারা দলকানা এবং ধর্মান্ধ। অন্ধত্তের (দল বা
ধর্ম) রং কালো এবং এটা শুধু ধ্বংস বয়ে আনে।
অপ্রাসঙ্গিক মন্তব্য করার জন্য দুঃখিত। দোয়া করবেন লিসানি
ভাই। শুভ কামনা।
২৬ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:৪৮
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই আলহামদুলিল্লাহ, আমরা কাউকেই ঘৃণা করি না।
জগতে কত মতবাদ, কত পথ, কত ভাবনা! সবই ছিল, থাকবে। তার মধ্যে কোনটা অধিকতর শুদ্ধ, কোনটা আরো বেশি শুদ্ধ, কোনটা কম শুদ্ধ, কোনটা একেবারেই কম শুদ্ধ, কোনটায় শুদ্ধতা নেই।
আহলে বাইতকে ভালবাসলে সবাই কি আর শিয়া হয়! শিয়াদের ভাগ্য, যে এই একটা বিষয় তাদের অসম্ভব ভাল আছে। তাদের শ্রদ্ধা করি তো শুধু এটুকুর জন্য।
কিছুদিন আগে কয়েকজন শিয়া ভাই আমাকে ফেসুবকে যা করলেন না! আর একটু হলে কান ফেটে রক্ত বের হত!
আপনার পুরো মন্তব্যটা একটা প্রাপ্তি ভাই। আসলে বেশ উত্তপ্ত হয়ে গেছিলাম, নিজেকে কিছুটা সংশোধিত করলাম তিনদিন চুপ করে থেকে।
জগতের সকল অন্ধকার মতবাদের বিরুদ্ধে আছি। এজন্য না, যে বিরোধী। বরং এজন্য যে, জগতের স্বাভাবিক সৌন্দর্য তাতে নষ্ট হয় এবং মানুষ পরস্পরকে ভালবাসতে ভুলে যায়।
৯| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:০৫
খােলদুল বলেছেন: @বিদ্রোহী ভৃগু - আপনার এই রকম পারথনার মানে কি??? "হে ইমাম, আপনার প্রেমে আপনার ক্ষমায়, আপনার মহব্বতে -গুনাহগারের চোখের দুফোটা জলের উছীলায় -আমাদের ক্ষমা করুন। আমাদের সেই সত্যে পৌছার ধারন করার বিকাশ করার তৌফিক মঞ্জুর করুন যা আপনার নানাজানের ছিল, আপনার ভাইজানের ছিল আপনার ছিল।।"
২৬ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:৫২
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: খোলদুল ভাই,
ভৃগুভাই তো তার কথা বলেছেন। আমিও একটু অংশ নিই।
আমি কি আমার পিতার কাছে ক্ষমা চাই না? আব্বু মাফ করে দাও বা আম্মু মাফ করে দাও?
এখন, আল্লাহ বলেছেন, যারা শহীদ, তাঁদের মৃত বলো না। তাঁরা মৃত নন, বরং জীবিত, তোমরা তা বুঝতে পার না। তাঁদের কাছে রিজিকও যায়।
আপন মাতার কাছে বা যে কোন মানুষের কাছে যেমন করে ক্ষমা চাওয়া যায়, তেমনি ইমাম হুসাইন রাদ্বিআল্লাহু আনহুর কাছেও ক্ষমা চাওয়া যায়।
এটা প্রার্থনা নয়। আমি যে আমার পিতার কাছে ক্ষমা চাই, এটা কি প্রার্থনা?
প্রার্থনা তো শুধু আল্লাহর কাছে।
ধন্যবাদ।
১০| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: @খােলদুল ভাই প্রার্থনায় সমস্যাটা কোথায় বললে আমি না হয় চেষ্টা করতাম, শিখতে অথবা শেখাতে
আপনি কি উছিলার বিয়ষটিতে দ্বিধান্বিত?
এর উত্তর আপনার আব্বার, থুরি আমাদের আব্বার কাছেই পাবেন।
আব্বাজান আদম আ: যখন ৩০০ বছর কানলেন- আল্লাহ তাআলা কানও নাড়রেন না মাথাও নাড়লেন না- ! মানে কোন প্রতিক্রিয়া দেখালেন না।
কিন্তু যখনই মোহামবদ সা: এর নামের উছিলায় প্রার্থনা করলেন- সাতে সাথ মঞ্জুরতো হলই উল্টো শুধাইলেন- হে আদম তুমি এইনামের সন্ধান পেলে কোথায়?
আব্বজান বল্লেন- ইয়া মাবুদ, যখন আপনার আরশ দেখেছি, সেখানে এ পবিত্র কলেমা খানা লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মোহাম্মাদুর রাসুলাল্লাহ লিখা দেখেছি! আপনার সাথে যে নাম সংযুক্ত তা যে অবশ্যই মরতবা পূর্ণ তা বুঝতে পেরেই ঐ নামের দোহাই দিলাম, উছিলা দিলাম।
আপনিতো বিক্যাত এ হাদীস গুলো জানেন- যে হোসাইনকে ভালবাসল সে আমাকে ভালবাসল!
যে হোসাইনকে দেখল সে আমাকেই দেখল!
বা এই পোষ্টেও লিসানী ভাই অনেক গুলো সংযুক্ত করেছেন।
তাহলে যেই ইমাম হোসাইন রা: মরতবা এত বিশাল- তার উছিলা দিয়া চাইবনা কেন?
ইট্টু দুনিয়ার মজায় বুঝেন- হাসিনা বা খালেদার কাছে গিয়া যদি জয় বা তারেকের উছিলা, রেফারেন্স দেন-আপনার কোন কাজ কি আটকে থাকবে???? সাথে সাথে ভিআইপি মর্যাদা এবং গুরুত্বেই তা সম্পন্ন হবে, হবে নাকি?
ভাই জীবনের শূভ, কল্যানকর সহজাত বোধ গুলো কখনোই ইসলামের বাইরের নয়।
২৬ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:৫৪
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভৃগুভাই,
গুছিয়ে বলেছেন। স্পষ্ট করে। ভাললাগল।
ওয়াসিলা কি আর আমরা সহজে বুঝব? অথচ আল্লাহ কুরআনে বলছেন, আমার পথে তোমরা ওয়াসিলা খোঁজো।
ইমাম হুসাইন রা.'র চেয়ে বড় ওয়াসিলা আর কে হতে পারেন (নবীগণ ব্যতীত!), কারণ তিনিই যে জান্নাতের অধিকারী!
আমি যেখানে থাকব, সেখানকার অধিকারীর অধিনেই তো থাকব।
১১| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সংশোধন: টাইপো ............মোহামবদ নয় হবে মোহাম্মদ সা: এর নামের উছিলায় প্রার্থনা করলেন-
১২| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:১৭
খােলদুল বলেছেন: @বিদ্রোহী ভৃগু- আমি জানতে চাচ্ছিলাম, আপনি হোসাইন রা: এর কাছে চাচ্ছেন কেন? উনি আপনাকে কিভাবে ক্ষমা করবে???
"আব্বজান বল্লেন- ইয়া মাবুদ, যখন আপনার আরশ দেখেছি, সেখানে এ পবিত্র কলেমা খানা লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মোহাম্মাদুর রাসুলাল্লাহ লিখা দেখেছি!" এ ব্যাপারে হাদিস টি কি জাল নাকি সহিহ??? কোন জাল হাদিসের উপর ভিত্তি করে আপনি যদি আল্লাহ ও নবী সঃ কে নিয়ে মিথ্যাচার করেন, তাহলে তার পরিনতি কি হবে ভেবে দেখেছেন??
ইমাম হাকিম নাইসাপূরী হাদীসটি সংকলিত করে একে সহীহ বলেছেন। কিন্তু সকল মুহাদ্দিস একমত যে হাদীসটি যয়ীফ। তবে মাউযূ কিনা তাতে তারা মতভেদ করেছেন। ইমাম হাকিম নিজেই অন্যত্র এই হাদীসের বর্ণনাকারীকে মিথ্যা হাদীস বর্ণনাকারী বলে উল্লেখ করেছেন।
ইমাম হাকিম অনেক যয়ীফ ও মাউযূ হাদীসকে সহীহ বলেছেন এবং ইমাম ইবনুল জাওযী অনেক সহীহ বা হাসান হাদীসকে মাউযূ বলেছেন। এজন্য তাদের একক মতামত মুহাদ্দিসগণের নিকট গ্রহণযোগ্য নয়, বরং তাঁদের মতামত তাঁরা পুনর্বিচার ও নিরীক্ষা করেছেন।
এই হাদীসটির সনদের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে সনদটি খুবই দুর্বল, যেকারণে অনেক মুহাদ্দিস একে মাউযূ হাদীস বলে গণ্য করেছেন। হাদীসটির একটিই সনদ: আবুল হারিস আব্দুল্লাহ ইবনু মুসলিম আল-ফিহরী নামক এক ব্যক্তি দাবী করেন, ইসমাঈল ইবনু মাসলামা নামক একব্যক্তি তাকে বলেছেন, আব্দুর রাহমান ইবনু যাইদ ইবনু আসলাম তার পিতা, তার দাদা থেকে হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব (রা থেকে বর্ণনা করেছেন।
বর্ণনাকারী আবুল হারিস একজন অত্যন্ত দুর্বল ও অনির্ভরযোগ্য ব্যক্তি। এছাড়া আব্দুর রাহমান ইবনু যাইদ ইবনু আসলাম (১৮২ হি) খুবই দুর্বল ও অনির্ভরযোগ্য বর্ণনাকারী ছিলেন। মুহাদ্দিসগণ তাঁর বর্ণিত হাদীস গ্রহণ করেন নি। কারণ তিনি কোনো হাদীস ঠিকমত বলতে পারতেন না, সব উল্টোপাল্টা বর্ণনা করতেন। ইমাম হাকিম নাইসাপূরী নিজেই তার ‘মাদখাল ইলা মা’রিফাতিস সহীহ’ গ্রন্থে বলেছেন: “আব্দুর রাহমান ইবনু যাইদ ইবনু আসলাম তার পিতার সূত্রে কিছু মাউযূ বা জাল হাদীস বর্ণনা করেছেন। হাদীস শাস্ত্রে যাদের অভিজ্ঞতা আছে, তারা একটু চিন্তা করলেই বুঝবেন যে, এ সকল হাদীসের জালিয়াতির অভিযোগ আব্দুর রাহমানের উপরেই বর্তায়।”
এই হাদীসটি উমার (রা) থেকে অন্য কোন তাবেয়ী বলেন নি, আসলাম থেকেও তাঁর কোন ছাত্র তা বর্ণনা করেন নি। যাইদ ইবনু আসলাম প্রসিদ্ধ আলেম ছিলেন। তাঁর অনেক ছাত্র ছিল। তাঁর কোন ছাত্র এই হাদীসটি বর্ণনা করেন নি। শুধুমাত্র আব্দুর রহমান দাবী করেছেন যে তিনি এই হাদীসটি তাঁর পিতার নিকট শুনেছেন। তার বর্ণিত সকল হাদীসের তুলনামূলক নিরীক্ষা করে ইমামগণ দেখেছেন তাঁর বর্ণিত অনেক হাদীসই ভিত্তিহীন ও মিথ্যা পর্যায়ের। এজন্য ইমাম যাহাবী, ইবনু হাজার ও অন্যান্য মুহাদ্দিস হাদীসটিকে মাউযূ বলে চিহ্নিত করেছেন। ইমাম বাইহাকী হাদীসটি অত্যন্ত দুর্বল বলে মন্তব্য করেছেন। কোনো কোনো মুহাদ্দিস বলেছেন যে, এই কথাটি মূলত ইহূদী-খৃস্টানদের মধ্যে প্রচলিত শেষ নবী বিষয়ক কথা; যা কোনো কোনো সাহাবী বলেছেন। অন্য একটি দুর্বল সনদে এই কথাটি উমার (রা) এর নিজের কথা হিসাবে বর্ণিত হয়েছে। কিন্তু আব্দুর রহমান অন্যান্য অনেক হাদীসের মত এই হাদীসেও সাহাবীর কথাকে রাসূলুল্লাহ (সঃ) এর কথা হিসাবে বর্ণনা করেছেন।
তাই ভাই, সময় থাকতে নিজেকে শুধরে নিন।
আদম (আঃ) এর কাছে যখন আল্লাহ পাক কৈফিয়ত তলব করলেন “আমি কি তোমাদের উভয়কে এ গাছ সম্পর্কে নিষেধ করিনি এবং তোমাদেরকে বলিনি যে , নিশ্চয় শয়তান তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু ।” সূরা আরাফ : আয়াত-২২
তখন আদম (আঃ) শয়তানের মত কোন কুযুক্তি পেশ করেননি । তিনি আল্লাহ পাকের কাছে খুব লজ্জিত হলেন এবং আল্লাহ পাকের কাছে কিভাবে ক্ষমা চাইবেন তাই মনে মনে খুঁজছিলেন । মহান আল্লাহ পাক তার মনের অবস্থা বুঝতে পেরে তিনি নিজেই আদম (আঃ) কে ক্ষমা চাওয়ার বাক্য শিখিয়ে দিলেন । যেমন বলা হয়েছে সূরা বাকারা ৩৭ নং আয়াতে
“অতঃপর আদম তাঁর প্রতিপালকের নিকট থেকে কিছু বাণী শিখে নিল । তারপর তিনি ক্ষমাপরবশ হলেন তার প্রতি , নিশ্চয় তিনি পরম ক্ষমাশীল , অসীম দয়ালু ।”
তাহলে আমরা জানতে পারলাম যে আদম (আঃ) এর ক্ষমা চাওয়ার বাক্য আল্লাহ পাক নিজে শিখিয়ে দিয়েছিলেন । কি ছিল সেই বাক্য ? সেটা কি উপরের হাদীসে বর্ণিত ঘটনার অনুরুপ ? না তা হতে পারে না , কারণ উপরের হাদীসে আল্লাহ আদম (আঃ) কে প্রশ্ন করছেন তার ক্ষমা চাওয়ার পদ্ধতি সম্পর্কে । মুহাম্মাদ (সাঃ) এর উসিলায় ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টি নিশ্চয় তাহলে আল্লাহ পাকের শিখানো নয় । তাহলে কি ছিল আল্লাহ পাকের শিখানো সেই বাক্য যার মাধ্যমে আদম (আঃ) ক্ষমা করা হয়েছিল । আসুন তা জেনে নিইঃ
সেই বাক্যটি ছিল “রব্বানা যলামনা আংফুসিনা , ওয়া ইল্লাম তাগফির লানা , ওয়া তার হামনা , লানা কূ-নান্না মিনাল খসিরিন – হে আমাদের প্রতিপালক ! আমরা আমাদের নিজেদের উপর যুলুম করেছি ; অতএব আপনি যদি আমাদেরকে ক্ষমা না করেন এবং আমাদের প্রতি দয়া না করেন তবে অবশ্যই আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে শামিল হয়ে যাব” সূরা আরাফ : আয়াত-২৩
আসলে উপরে বর্ণিত হাদীসটি জাল । আল্লামা নাসির উদ্দীন আলবানী তার যঈফ ও জাল হাদীস সিরিজ গ্রন্থে বিস্তারিত আলোচনার পর বলেন , সম্ভবতঃ এটি ইসরাঈলী বর্ণনা থেকে এসেছে ।
কোন ব্যক্তির মর্যাদার ওসিলা দিয়ে দোয়া করা ইসলামী শরীয়াতে জায়েজ নয় । হোক সে কোন নবী , সাহাবী , বা ওলী । ইসলামে তিনটি ওসিলায় দোয়া করা জায়েজ ।
১. আল্লাহ তায়ালার নামের ওসিলা ।
২. সৎ কাজের ওসিলা ।
৩. কোন নেক ব্যক্তির দ্বারা দোয়া করিয়ে সেই দোয়ার ওসিলা ।
২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৮:১৩
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: এ ধরনের গঠনমূলক আলোচনা অনেক সুন্দর। এমন আলোচনার অংশ হতে পারাও সৌভাগ্যের।
স্বয়ং ইমাম বুখারি রা.'র উপর কথা চলতে পারে না। স্বয়ং ইমাম বুখারি রা.'র উপর হাদিসশাস্ত্র দাঁড়িয়ে আছে। তাঁর নির্ভরযোগ্যতা প্রশ্নের অতীত। ইমাম বুখারি'র হাদীস যেমন সর্ব-গ্রহণযোগ্য, তাঁর আক্বিদাও সর্ব-গ্রহণযোগ্য এবং আমলও। কারণ তাঁর সবকিছুই সেই সঠিক হাদিসগুলোর উপর দাঁড়িয়ে আছে।
বুখারি, বা'ব উল উসতিশকা-
রাসূল দ.'র সম্মানিত চাচা আব্বাস রা.'র ওয়াসিলা দিয়ে স্বয়ং উমার রা. তাঁর খিলাফাতের সময় দোয়া করার কালে বলেন,
'হে আল্লাহ, আমরা তোমার রাসূল দ.'র ওয়াসিলা দিয়ে দোয়া করে আসছি। আর তুমি আমাদের উপর বৃষ্ঠি বর্ষণ করে আসছ। এবার তোমাকে রাসূল দ.'র সম্মানিত চাচা'র ওয়াসিলা উপস্থাপন করছি, অনুগ্রহ করে বারিবর্ষণ করো!'
এবার আদম আ'র ওয়াসিলা'র হাদিস-
ইবনে তাইমিয়া, যিনি সকল সালাফি/আহলে হাদিস/গাইর মুকাল্লিদ/ওয়াহাবি মতবাদের ইমাম এবং সর্বাধিক গৃহীত, স্বয়ং তিনিও ফাতওয়া ইবনে তাইমিয়া'র দ্বিতীয় খন্ডের ১৫০ পৃষ্ঠায় এ হাদিস বর্ণনা করেছেন।
ইবনে ক্বাসির, যিঁনি সকল 'হাদীস মানা' বা সুন্নি মতবাদের কাছেই গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছেন, তিঁনি তারিখ এ লিখেছেন।
হাফিজ সুয়ূতী, বায়হাকী এবং তাবরানী র. এর মত অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য হাদীসের ইমামগণ, যাঁদের উপর বহুলাংশে হাদীসশাস্ত্র নির্ভরশীল, তাঁরাও এ হাদীস গ্রহণ করেছেন।
ক্বাজী আয়াজ র. লিখছেন, ইমাম মালিক, যিঁনি ইসলামের ফিক্বাহ্ শাস্ত্রের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ প্রথম সাত-আটজনের অন্তর্ভুক্ত (যেখানে মুসলিমের সংখ্যা হাজার কোটির উপর), তিনি খলিফা হারুন উর রশিদকে রাসূল দ.'র রওজার দিকে ফিরে দুআ করতে বলে এই হাদীস উল্লেখ করেন। (কাজী আয়াজের কিতাব উশ শিফা'র জিয়ারাত উন নবী দ.)
ইবনে আবদুল ওয়াহহাব নজদী, সালাফিদের সর্বৈব ইমাম, মুখতাসার সিরাত উর রাসূল দ. গ্রন্থে লিখেছেন রাসূল দ.'র শৈশবেই তাঁর ওয়াসিলা দিয়ে বৃষ্টির জন্য দোয়া প্রার্থণা করা হতো।
হাদিসটি দঈফ তো হতেই পারে, তবে মাওদু কিনা, সেটা নিয়ে কথা রয়েছে, যা আপনার আলোচনায় বোঝা গেল। হাদিসটি মাওদু, এমন কোন প্রমাণ এখানে পাওয়া যাচ্ছে না, বরং কয়েকজন শাস্ত্রবিদ সেটাকে মাওদু বলার সময় একটু চেপে বলছেন তাই বোঝা যাচ্ছে।
ভবিষ্যতে অন্যান্য উৎস থেকে আরো বিস্তারিত আলোচনার আশা রাখি।
ওয়াসিলার ব্যাখ্যাটা একপেশে লাগল। আশা করি পরবর্তীতে বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করা যাবে। আশা করি এই আলোচনাও ওয়াসিলার বিষয়টা কিছুটা হলেও স্পষ্ট করবে।
১৩| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ ভোর ৬:২০
প্রীতম ব্লগ বলেছেন: ইয়াযীদদের উপর সীমাহীন লা'নত।
২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৮:১৪
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ঈমানের অঙ্গ এই বিষয়ে কঠোরভাবে স্থির থাকা।
১৪| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:১৫
সত্য৭৮৬ বলেছেন: যারা না বুঝেই গালিগালাজ ও জুতাজুতি করতে চায়- এ অভ্যাস ত্যাগ না করলে তাদের কপালে দুঃখ আছে।
কারণ কথায় কথায় গালমন্দ করা কিন্তু মুনাফিকের পরিচয় বহন করে।
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৮:৪৯
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: যা বলার স্পষ্ট করে বুক চিতিয়ে বলে যাবেন। আমি মোটামুটি শিওর, পোস্টটা পড়েন নাই। না পড়েই সত্য মাড়িয়ে গেলেন। সত্য নিয়ে যদি আপনাকে ধরি না, মাগুর মাছও পিছলে যেতে পারে, আপনি পারবেন না।
স্পষ্ট বলার কলিজা থাকতে হবে তো। দেখেন, স্পষ্ট কথা কাকে বলে-
আমি কথায় কথায় গালমন্দ করি না জনাব, হাজার লক্ষ কথায় শুধু ওখানেই গালি দিই, যেখানে আল্লাহ ও তার রাসূল দ. 'গালি' দিয়েছেন।
রাসূল দ. ও আহলে বাইত এ আতহার রা.'র দুশমনদের আল্লাহ কুরআনে কমসে কম দুইবার হারামজাদা বলেছেন। হাদীসে অন্তত একবার রাসূল দ. কে বলতে শুনেছি।
আল্লাহ বলেছেন, যারা রাসূল দ.'র বংশধারা নিয়ে সন্দেহ পোষণ করে, তাদের পূর্বাপর নির্বংশ। অর্থাৎ, তারা নিজেরাও জারজ, তাদের সন্তানরাও জারজ।
অন্যত্র আল্লাহ রাসূল দ.'র প্রতি দুশমনি যারা রাখে, তাদের দশটা কু-দোষ বলেছেন, সেই দশটার মধ্যে একটা হল, তাদের জন্মের ঠিক নেই।
রাসূল দ. বলেছেন, ওতবা! আমি কি তোমাকে বলেছি যে, তুমি হারামজাদা?
আর রাসূল দ. বলেছেন, যে আমার এই দৌহিত্রদের সাথে শত্রুতা রাখে, সে আমার সাথে শত্রুতা রাখে।
তাই, রাসূল দ,'র দৌহিত্রদের সাথে শত্রুতা যারা রাখে, তারা একেতো আহলে বাইতের সাথে শত্রুতা রাখার কারণে সূরা কাউসার অনুসারে হারামজাদা, তার উপর আরো অন্তত একটা সূরা ও হাদীস অনুসারে জারজ- কারণ আহলে বাইতের অসম্মান করা ও তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধকে সমর্থন দেয়াই রাসূল দ. কে অসম্মান করা ও তার বিরুদ্ধে যুদ্ধকে সমর্থন দেয়ার শামিল।।
এর যৌক্তিক কারণও আছে। যদি সন্তান কোন পূণ্যবান পিতামাতার হয়ে থাকে, তাহলে এই কুলাঙ্গারকে আল্লাহ না কিয়ামাতে, না দুনিয়াতে, না জান্নাত জাহান্নামে ওই পিতামাতার সাথে সম্পর্কযুক্ত হিসাবে স্বীকৃতি দিবেন- এই অর্থে সে কুলাঙ্গার ও পিতৃমাতৃপরিচয়হীন।
আর তার বংশধররা হারামজাদা এই কারণে যে, সে যেহেতু কাফির থেকেও নিচে অবস্থানকারী, এবং তার ডানে বামে সামনে পিছনে দেয়াল, কানে শীসা ঢালা, চোখে গরম সুঁচ ফুটানো এবং চোয়ালের নিচে বড়শি বিঁধিয়ে গলায় টানা দেয়া- সে দেখতে শুনতে বুঝতে ও অনুভব করতে পারে না, (কুরআন, বিশেষত সূরা ইয়াসিন), সেহেতু ঈমানের বিন্দুমাত্র সুযোগ না থাকায় তার বিয়ে বৈধ নয় এবং তার সন্তানরাও জারজ।
আর তার সন্তানরা যদি পূণ্যবান হয়, তাহলে সে বংশধরহীন এই অর্থে যে, আল্লাহ ওই অপবিত্র পিশাচ পিতামাতার সন্তান হিসাবে পূণ্যবান সন্তানকে গণ্য করবেন না।
আমি জেনে শুনে বুঝে আল্লাহ ও তার রাসূল দ.'র সুন্নাহ পালন করেছি।।
১৫| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:২৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: @খোলদুল,
ইমাম হোসাইন রা: কে?
মোহাম্মদ সা: কে?
কলেমাতে কেন মোহাম্ম সা: এর নাম সংযুক্ত হল?
শুধু লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ আজীবন পাঠ করলেও কি আপনি মুসলমান দাবী করতে পারেন?
আপনাকে দুনিয়ার সবচে সহজবোধ্য দেশী রাজনৈতিক এক উপমা দিয়ে বল্লাম-আপনি কি তা বুঝেছেন?
এই সহজাত সত্যটা আশা করি অস্বীকার করেননা।
আবারও সহজ পাঠেই চলুন। ৩য় বিশ্বের একটা ছোট্ট দেশের প্রধানের, প্রশাসনের সাথে সম্পর্ক আপনাকে যেমন শক্তিশালী বানিয়ে তোলে--- অলি আউলীয়ার মাথে সম্পর্ক কি তারচে বেশি ক্ষমতামারী নয়?
আবার বইলেন না অলি আউলিয়া আবার কি?
রিসালাতের স্বীকৃতি যেমন ঈমানের বাধ্যবাধকতা,
সালাতে দরুদ পাঠ যেমন আবশ্যিক,
আহলে বাইয়েতকে ভালবাসা তেমনি রাসূল সা: এর হুকুম।
আর আপনি যদি ওহাবী গংয়ের মতো- ইয়াজিদ ইবনে মুয়াবিয়ার অনুসারী হয়ে থাকেন- তবে খ্যান্ত (শেষ) দেন।
তারাও টুপি দাড়ি, জুব্বা রাখত
তারাও সামাজিক নামাজে মসজিদে সমবেত হত
তারাও বলেছিল- হোসাইনকে কতলের কাজ তাড়াতাড়ি শেষ কর, আছরের সময চলে যাচ্ছে!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!(নাউজুবিল্লাহ)
যিনি ইসলাম আনলেন? যার নাম অবশ্য পাঠ না হলে বিশ্বাস/ঈমান পূর্ণতা পায় না, যার উপর প্রশংসা পাঠ খোদ আল্লাহ করেন, যার উপর দরুদ না পড়লে কারো সালাত হয় না....
যার অসিয়াত ছিল আহলে বাঈেতকে ভালবাসা!!! সেই হুকুম অমান্য করে আপনি কোন বিশ্বাসের ধারক?
আপনি কোন মুসলমানিত্বের দোহাই দিচ্ছেন?
আপনি কোন ঈমানের কথা বলছেন?
শাস্ত্র বলে না, পূথিগত বিদ্রা আর পরহস্তে ধর
নহ বিদ্যা নহে ধন, হলে প্রয়েোজন!!!!!!!!!!!!
ইয়াজিদ যখন জিতল, আপনার কি মনে হয় সে পরম সত্য গুলোকে বিকশিত হতে দিয়েছে। ইতিহাস সবসময বিজয়ীদের দ্বানা লিখিত হয়।তাই অনেক প্রক্ষেপন আছে, যা আপনি খুজে কবের
তারা ক্ষমতা, প্রশাসন এবং আহলে বাইতের বিরোধীতা কেই প্রাণ্য দিল।
এবং স্বর্ণ মুদ্রা এবং লোভ, জমি উপহারের বিনিময়ে বহু জয়িফ দুর্বল জাল হাদীস বানিয়েছেন!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
যার তলে বহু সত্য চাপা পড়ে গেছে।
আত্মাকে জাগ্রত করেন। অনুভবের চোখকে খুলুন। উপলদ্ধিকে শানিত করুন। তারপর আবার কোরআন নিয়ে বসুন। দেখুন সব উত্তর আপনাতেই মিলে যাবে।
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:৫০
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: যিনি ইসলাম আনলেন? যার নাম অবশ্য পাঠ না হলে বিশ্বাস/ঈমান পূর্ণতা পায় না, যার উপর প্রশংসা পাঠ খোদ আল্লাহ করেন, যার উপর দরুদ না পড়লে কারো সালাত হয় না....
যার অসিয়াত ছিল আহলে বাঈেতকে ভালবাসা!!! সেই হুকুম অমান্য করে আপনি কোন বিশ্বাসের ধারক?
আপনি কোন মুসলমানিত্বের দোহাই দিচ্ছেন?
আপনি কোন ঈমানের কথা বলছেন?
ইমাম আবু হানিফা রা. বলেছেন, আমি যদি জীবনের দুটা বছর আহলে বাইতের দরজায় গোলামির খত না দিতাম, তাহলে এই নু'মান কবেই ভেসে যেত!
ইমাম আবু হানিফা রাদ্বিআল্লাহু আনহু হলেন শহীদে আহলে বাইত! তিনি তথাকথিত 'খলিফা' ও তার শাসনের বিরোধীতা করেছিলেন বলেই তাঁকে কারাগারে বন্দী রেখে বিষ দিয়ে শহীদ করা হয়- আহলে বাইতের প্রতি অত্যাচার এবং গণহত্যার প্রতিবাদ করায়।
একমুখে কী করে হাশিমি নবীকে সালাত ও সালাম জানাও,
আর অন্যদিকে তারই আহলে বাইতের করো সমালোচনা!
আহলে বাইতকে ভালবাসলেই যদি অপরাধ হয়ে যায়!
তবে জেনে রাখো, এই নিয়ে কখনো অনুশোচনার প্রশ্ন ওঠে না!
অবশ্যই, কিয়ামাতের ময়দানে তারাই আমাকে প্রবিষ্ট করাবেন জান্নাতে।
এবং শাফিয়ি তাঁদের ঘৃণা করাকে ভয়ানক পাপ হিসাবে বিবেচনা করে।
হে আহলে বাইতে রাসূল! আল্লাহ তার পবিত্র বইতে, কুরআনে-
আপনাদের ভালবাসাকে ফরজ করে দিয়েছেন প্রত্যেকের উপর।
আপনাদের অতুলনীয় উচ্চতা বোঝার জন্য এটুকুই যথেষ্ট যে,
নামাজে আপনাদের উপর সালাত-সালাম-দরুদ পড়া বাদ দিলে নামাজই পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য হয়ে যায়।
তারা (লা'নাতুল্লাহি আলাইকুম দুশমনানে আহলে বাইত) বলে যে, শাফিয়ি, তুমি রাফিজি (শিয়া)-
না, শিয়া বিশ্বাসের সাথে আমার কোনই মিল নেই।
তাই বলে এ কথা নিয়ে প্রশ্ন নেই যে, আমার হৃদয়ে-
সর্বশ্রেষ্ঠ পথপ্রদর্শকের জন্য রয়েছে অতল ভালবাসা।
যদি আলী উন ওয়ালি উল্লাহ (মাওলা আলী রা.) কে ভালবাসা শিয়াত্ব হয়-
তাহলে আমিই সর্বশ্রেষ্ঠ শিয়া (রাফেজি)!
হে উটের আরোহী! মিনার খোলা ময়দানে দাঁড়াও আর হজযাত্রীদের জন্য অপেক্ষা করো-
আর ঘোষণা করতে থাকো, হায়, যদি আহলে বাইতের ভালবাসা আর শ্রদ্ধা শিয়াত্ব হয়, তবে আল্লাহর কসম, আমি শিয়া!
কেউ যদি আলী ও ফাতিমা ও তাঁর সন্তানগণের বিষয়ে আলাপ করে,
(লা'নাতুল্লাহি আলাইকুম) শিয়াই গণ্য করে তাকে। ভাবে, এ হল বোকামি...
তখন, আমি বলি আলী ও তাঁর সন্তানদের কথা, তারা বলে এই সেই ওই-
ওরা (লা'নাতু খালকিল্লাহি আলাইকুম) বলে, 'হে মানুষেরা, এই বিষয় ছেড়ে দাও, কারণ তা শিয়ারা আলোচনা করে'!
আমি ঘোষণা করে এইসকল (অভিশপ্ত) থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন রাখছি।
যারা এই বিশ্বাস রাখে যে, ফাতিমা'র সন্তানদের স্মরণ রাফজ (শিয়াত্ব)।
আমার মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে দরুদ প্রেরিত হোক রাসূল দ'র উপর!
আর আল্লাহর পক্ষ থেকে ধ্বংস ও অভিশপ্ত হোক অজ্ঞতা ও সীমালঙ্ঘন।
শাফিয়ি মাজহাবের মহান ইমাম, আবু আবদুল্লাহ মুহাম্মাদ ইবনে ইদ্রিস আশ শাফিয়ি রাদ্বিআল্লাহু তাআলা আনহু ওয়া রা'দ্ব।
মাত্র দুই মাজহাবের ইমামের কথা বললাম। আহলে বাইতের শত্রুরা কেন মাজহাব মানে না, তার একটা বড় কারণ হল, মাজহাব মানলে সাহাবীদের মানতে হবে, আহলে বাইতকে মানতে হবে, আল্লাহ ও তার রাসূল দ. কে মানতে হবে।
এতকিছু মানতে গেলে তো আবদুল ওয়াহহাব নজদীকে মানার সুযোগ আর থাকে না। তাই শর্টকার্ট নিয়েছে।
১৬| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:২৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: @লেখক বলেছেন.........................................................................
যদি আলী উন ওয়ালি উল্লাহ (মাওলা আলী রা.) কে ভালবাসা শিয়াত্ব হয়-
তাহলে আমিই সর্বশ্রেষ্ঠ শিয়া (রাফেজি)!
হে উটের আরোহী! মিনার খোলা ময়দানে দাঁড়াও আর হজযাত্রীদের জন্য অপেক্ষা করো-
আর ঘোষণা করতে থাকো, হায়, যদি আহলে বাইতের ভালবাসা আর শ্রদ্ধা শিয়াত্ব হয়, তবে আল্লাহর কসম, আমি শিয়া!
বিশ্বাসের দৃঢ়তায় মুগ্ধ!
আমি বুজিনা তারা কি সেই দল নয় যারা জ্ঞানের একাংশ ধারন করে অন্যটাকে নয়!
রাসূর নিজে যখন বলেন আমি জ্ঞানের শহর, আলী তার দরওয়াজা- এরপর তো সোন সংশয় থাকার কথা নয়।
অবশ্য তাদের জন্য যারা ঐ শহরে প্রবেশ করতে চায়।
আর যারা চাইই না। জ্ঞান কি বোঝেই না তারা বোধহয় এমনই বল, যেমন তারা বলে
আলিফ লাম মীম, হা মীম, ইয়াসীন, আঈন শীন ক্বাফ এইরকম কোডগুলোকে যারা আল্লাহই এর অর্থ ভাল জানেন বলে পাশ রেখে মূল অর্থ বুঝতে যায়, তাদের অবস্থাতো এমনই হবার কথা তারা যেমন আছে
অপরাটের যেমন প্রোগ্রামিং এর কোডিং বোঝে না তারা সেইরকম।
তাই মাঝে মাঝে শুধু করুনা হয় আর দোয়া আসে- হে আল্লাহ তারা যদি হেদায়েতের যোগ্য হয় তবে হেদায়েত নসীব কর!
প্রথম কমেন্টের উত্তরের জন্য আর কত অপেক্ষা করতে হবে
২৩ শে জুন, ২০১৪ রাত ১:৪৫
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই কথা এটাই, হেদায়াতের যোগ্য হলে হেদায়াত হোক। নাহলে কিছু আসে যায় না। তারা গোড়ামির বদলে ইমানকে বিক্রি করেছে।
মূল্য হিসাবে তা কত সস্তা!
আমাদের তাই বরং মান কুনতু মাওলা ফাহাযা আলীউন মাওলা বাণীতে লীন হতে ইচ্ছা করে।
বরং লা সাঈফ ইলা আলী, লা ফাত্তাহ ইলা যুলফিকারে বুদ হয়ে যেতে ইচ্ছা করে।
ইচ্ছা হয়, মাস্ত কালান্দারের মত বুক তিতিয়ে বলি,
কালান্দারাম্, মাস্তাম্
বান্দায়ে মুর্তাজা আলী হাস্তাম্।
সেইযে মুঈনুদ্দীন সাঞ্জারী রা. বললেন, আমি হুসাইনে এতই ডুবে আছি যে, কার দোষ আর কার গুণ সেসব দেখার সুযোগ কখনো পাইনি। কী কথা। কী কথা!
এত স্পষ্ট এত বেশি সহীহ হাদীস রয়েছে আলী রা.'র বিষয়ে যে, সেসব তারা পড়ে কিনা, এ নিয়েই সন্দেহ থাকে, তারা সেসবে বিশ্বাস রাখে কিনা, তা নিয়েও।
১৭| ২২ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: রাসূর নিজে যখন বলেন আমি জ্ঞানের শহর, আলী তার দরওয়াজা- এরপর তো সোন সংশয় থাকার কথা নয়।
সংশোধনী
রাসূল নিজে যখন বলেন আমি জ্ঞানের শহর, আলী তার দরওয়াজা- এরপর তো কোন সংশয় থাকার কথা নয়।
১৮| ২৩ শে জুন, ২০১৪ সকাল ৯:৪০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন:
বলতে হবে-
"শাহ আস্ত হোসাইন
বাদশাহ আস্ত হোসাইন
দ্বীন আস্ত হোসাইন
দ্বীনে পানাহ আস্ত হোসাইন
শারদাদ নাদাদ দাস্তেদার দাস্তে ইয়াজিদ
হাক্বাকে বেনায়ে লাইলাহা আস্ত হোসাইন।।
মান কুনতু মাওলা ফাহাযা আলীউন মাওলা বাণীতে লীন হয়ে..
লা সাঈফ ইলা আলী, লা ফাত্তাহ ইলা যুলফিকারে বুদ হয়ে ..
বুক তিতিয়ে--
কালান্দারাম্, মাস্তাম্
বান্দায়ে মুর্তাজা আলী হাস্তাম্। বলতেই হবে।
বলতে পারলেইনা ঈমানের নূন্যতম হক্ব আদায় হয়।
তারে মহত করি সে আষ্পর্দা, কোথায়? সে বেয়াদপি থেকে পানাহ চাই।
তারে স্মরণ করে আমি পাপীযে ধন্য হই মুক্তির পথ খুজে পাই...
নিজেকে তালীকাভূক্ত করতে পারি-তরানেওয়ালার তালীকায়....
২৩ শে জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৫
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: কতবড় সৌভাগ্য ভাই, মুবারক কবিতাটায় ভুল কবার পর তিন/চারজন বিভিন্ন জায়গায় সংশোধন করে দিলেন... এভাবে সত্যপন্থীদের মধ্যে নিজেকে আবিষ্কার করার সৌভাগ্যের কোন শেষ নেই।
তারে মহত করি সে আষ্পর্দা, কোথায়? সে বেয়াদপি থেকে পানাহ চাই।
তারে স্মরণ করে আমি পাপীযে ধন্য হই মুক্তির পথ খুজে পাই...
নিজেকে তালীকাভূক্ত করতে পারি-তরানেওয়ালার তালীকায়...
আহ্, আমার আহলে বাইত রা. নূহ আ.'র কিশতি। যে এতে আরোহণ করবে, টিকবে। যে করবে না, ডুবে যাবে।
আসলে ভাই যুগে যুগে অন্ধকে আল্লাহই দেখাতে দেন না। এবং এর কারণ, তিনিই তাদের কপাল ঠুন্ডা করে রেখেছেন। আর সেই ঠুন্ডাটা যে এম্নি করেছেন তাতো না, বরং তাদেরই পূর্ববর্তী জেনে বুঝে গোঁড়ামির জন্য করেছেন।
প্রভু, সকল গোঁড়ামি সকল জেনেবুঝে ভুল থেকে পানাহ্ চাই।
১৯| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১১:১৬
মোরশেদ পারভেজ বলেছেন: "সুন্নিদের বেশ কিছু মতধারা সকল খলিফা রা. কে সসম্মানে দেখেও মুআবিয়া রা. কে ভ্রান্ত হিসেবে দেখে থাকেন। কিন্তু মূল সুন্নি মতধারা এই দুজনকেই সত্যপন্থী হিসাবে দেখেন।"
আপনি কি হিসাবে দেখেন, জানতে চাই।
আর একটা অনুরোধ, এক খাপে দুই তলোয়ার রাখবেন না, আহলে বাইয়াত (আ দের প্রতি যারা অন্যায় করেছে, তাদের নামের পাশে রা.লিখবেন না দয়া করে।
০৩ রা নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৫০
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই শিয়া-সুন্নি মতধারায় মতভেদ তো আছেই। আমি মুআবিয়া রা. কে সম্মানিত সাহাবা হিসাবেই দেখি। এটা আমার নিজের মনোভাব নয়, এটা মাওলা আলী রা., ইমাম হাসান রা., ইমাম হুসাইন রা., আহলে বাইতে পাক রা., পরবর্তীতে মাজহাবের ইমামগণ রা., হাদীসের ইমামগণ রা. এমনকি আমি যেহেতু সুফিপন্থী, তরিক্বতের ইমামগণ পর্যন্ত বারবার তাঁর বিষয়ে সতর্ক করেছেন এবং তাঁকে অসম্মান করতে সতর্ক করেছেন। স্বয়ং রাসূল দ. তাঁর বিষয়ে অনেক কথা বলেছেন।
আহলে বাইতে আতহার রা. গণের প্রতি যারা অন্যায় করেছে, তাদের প্রতি রা. লেখার প্রশ্নই ওঠে না।
এজিদ চিরকালের অভিশপ্ত, তার বাহিনী চিরকালের অভিশপ্ত, তার ও তার বাহিনীর প্রতি নূনতম কর্ম-সমর্থন রাখে যারা তারাও চিরকালের অভিশপ্ত এবং এই অভিশাপ কিয়ামতের ময়দান পর্যন্ত জারি থাকবে। সেখানে তাদের কাউকে জান্নাত পাবার সুযোগ পর্যন্ত দেয়া হবে না।
আমরা বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোকপাত করতে পারি, আপনার আমার আগ্রহ ও আন্তরিকতার ফলশ্রুতিতে।
২০| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:১৫
মোরশেদ পারভেজ বলেছেন: ভাই বলেন তো ইয়াজীদকে কে খলিফা মনোনয়ন দিলো?
আমার হাসান -হোসেনের সাথে এই রকম ধোঁকাবজি যে করল, তার প্রতি যদি সন্মান না আসে, আমার দোষ হবে? আমি তা মাথা পেতে নেব।
আমি "শিয়া-সুন্নি মতধারায় মতভেদ" এর কথা বলি নাই, বলেছিলাম "সুন্নিদের বেশ কিছু মতধারা সকল খলিফা রা. কে সসম্মানে দেখেও মুআবিয়া রা. কে ভ্রান্ত হিসেবে দেখে থাকেন।"
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৫৯
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: অভিশপ্ত মহাপশু ইয়াজিদকে রাজা মনোনয়ন তিনিই দিয়েছেন।
কেননা, খলিফা তো ওই প্রথম চারজন। আমীর মুআবিয়া রা. ছিলেন একজন রাজা, ওহীর লেখক এবং সাহাবী। এর বেশি কিছু না। তিনি খলিফায়ে রাশিদার অন্তর্ভুক্ত নন। আর এজিদ লানতুল্লাহর তো খলিফা স্বীকৃতির প্রশ্নই ওঠে না।
মহত্তম ইমাম হাসান সালামুল্লাহি আলাইহি বা ইমাম হুসাইন সালামুল্লাহি আলাইহির সাথে কোন সাহাবা রা.'রই তুলনা চলে না। যেহেতু তাঁরা আহলে বাইত এর মূল।
আসলে (আমার ভুল হতে পারে নামে ও কোটেশনে, কিন্তু বিষয়টা ঠিক আছে) ইমাম জাফর সাদিক রা. বলেছেন, মুআবিয়া রা. কে যে ভ্রান্ত মনে করবে সে যুলম করল।
এছাড়াও খিলাফাতের দাবি মাওলা হাসান রা. তাঁর হাতে ন্যস্ত করেছিলেন। মাওলা হাসান রা. কক্ষনো কোন অবস্থায় ভুল করতে পারেন না। তাই আমির মুআবিয়া রা. একজন মুমিন সাহাবা। ইমাম হাসান রা. দ্বারাই সত্যায়িত।
মাওলা হুসাইন রা. ও কিন্তু আমির মুআবিয়া রা.'র শাসনকে মেনে নিয়েছিলেন। তিনি মাওলা হাসান রা.'র শাহাদাতের পরও আমির মুআবিয়া রা.'র শাসনের বিপক্ষে যাননি। আর যালিম এর বিরুদ্ধে যাননি, এটা তাঁর দ্বারা সম্ভব নয়।
আর আমির মুআবিয়া রা. এজিদকে স্থলাভিষিক্ত করেছেন- এটা রাজতন্ত্রর কাজ হয়েছে। ইসলামে এই কাজের ভ্যালিডেশন বিন্দুমাত্র নেই।
যেহেতু ইমাম হুসাইন রা. দাবি করেছেন এবং তিনি সাইয়িদেরও সাইয়িদ, তাই তিনিই একমাত্র হকদার খলিফা হতে পারতেন। তাও এ দাবি রাজত্বের নয়, খিলাফাতের নয়, এই দাবি জালিম নরপিশাচ এজিদের বিরুদ্ধে। এবং এজিদের বিরুদ্ধে তিনি যখন দাঁড়ালেন তখন তিনিই নেতৃত্ব তথা খিলাফাতের হকদার।
পরবর্তীতে চার মাজহাবের ইমামগণ, হাদীসের ইমামগণ এমনকি সূফি পন্থীদের মহান ইমাম গাউসে জিলানি রা. পর্যন্ত তাকে মুমিন সাহাবা হিসাবে সুস্পষ্টভাবে বলেছেন। আল্লাহ ও তাঁর রাসূল দ. কে মানার অর্থ তো ভাই আহলে বাইত ও মাজহাব-হাদীস-তরিক্বাহর ইমামদেরও মানা।
আতি উল্লাহি আতিউর রাসূলা ওয়া উলিল আমরি মিনকুম- মানো আল্লাহকে মানো রাসূল দ. কে এবং তোমাদের মধ্যে সকল সত্যপন্থী নির্দেশদাতাদের। এই সত্যপন্থী নির্দেশদাতা মানে হল, সিরাতাল্লাযিনা আন আমতা আলাইহিম- যে পথে তাঁর প্রিয়জনরা চলে গেছেন।
তাই আহলে বাইত থেকে শুরু করে মাজহাব-হাদীস-তরিক্বতের ইমামগণ যাঁকে সাহাবা হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছেন এবং সম্মান করেছেন তাঁদের পথই সরল ওই পথ।
এবং যারা তাঁকে স্বীকৃতি দেননা, তাদের অস্বীকৃতির পিছনে যথেষ্ট শক্তিমত্তার বিষয় রয়েছে, যেমন এজিদের মনোনয়ন- এই কারণে যাঁরা এ পথে গেছেন তাদের বিষয়ে বাড়াবাড়ি করার উপায় নেই, কেননা ধর্ম মানেই মধ্যপন্থা।
তবে বিষয় চার সাহাবা বা অপরাপর সাহাবাগণের দিকে গেলে তা আর সঠিক রয় না।
২১| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:১৩
মোরশেদ পারভেজ বলেছেন: ভাই, ধন্যবাদ। মনে হচ্ছে, somehow I was missguided or mis-interpreted the guidence". আপনার সুন্দর কথার জন্য আবারো ধন্যবাদ। আসলেই ইসলাম মধ্যপনথা। আমি বোধহয় চরম এর দিকে চলে যাচ্ছিলাম।
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:০৩
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা নেই। হাজার হাজার কমেন্ট, অথচ যে যা বলার বলেই যাচ্ছে। কোন পরিবর্তন নেই। এই শত শত পোস্ট হাজার হাজার কমেন্টকে আমার এক পর্যায়ে অকারণ মনে হচ্ছিল। আপনি মানুষের উপর আবার বিশ্বাসটাকে ফিরিয়ে এনেছেন।
লিল্লাহিল হামদ. লিল্লাহিল হামদ।
২২| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:০৩
নতুন বলেছেন: এতো আধ্যাতিক ক্ষমতা এবং গুরুত্ব বহনকারীরা কেন ঘাতকের হাতে মৃত্যুবরন করলেন?
৩জন খলিফা, রাসুল সা: এর দুই নাতী>>> কেন তারা ঘাতকের হাতে নিহত হলেন?
রাসুনের মৃত্যুর পরের ঘটনাগুলি তো সাধারন রাজাদের কাহিনির মতনই হয়েছে... ক্ষমতা নিয়ে হত্যা.... 632–661 সালের মাঝে ৩ খলিফা নিহত হলেন?
সেই সময়ে কেন এই রকম হলো? কেন অস্বাধারন মানুষ গুলি সাধারন রাজনিতির ফাদে জীবন দিলেন?
২৩| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৪৯
মোরশেদ পারভেজ বলেছেন: ব্লগার নতুন, আপনাকে বলছি,
মানুষ আসলে মৃত্যুবরন করে কি?? মানুষ শুধু দেহ ত্যাগ করে।
আমার এই বাক্য আপনি বুঝবেন বলে মনে হয়না, বুঝলে তর্ক উদিত হবে না, আর না বুঝলে তর্ক ফলদায়ক হবে না।
" যারা আল্লাহর রাস্তায় নিহত হ্য়, তাদের তোমরা মৃত বলোনা, বরং তারা রিযিকপ্রাপ্ত (জীবিত)''
কোরআন পরেন, গীতা পরেন, নিদেনপক্ষে সিনেমা দেখেন "LUCY"
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:৪৩
সত্য৭৮৬ বলেছেন: সত্য যতই নির্মম হোক না কেন- সত্যই সর্বোৎকৃষ্ট ও সর্বদা বিজয়ী