নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্পেস-টাইম

there is no problem in the heavens and earth ;) problem lies in three places... beneath, between and within the hells.

গোলাম দস্তগীর লিসানি

বুলি বলে শুনতে পাই, রূপ কেমন তা দেখি নাই, ভীষম ঘোর দেখি।। পোষা পাখি চিনলাম না, এ লজ্জা তো যাবে না, উপায় কী করি, আমি উপায় কী করি।।

গোলাম দস্তগীর লিসানি › বিস্তারিত পোস্টঃ

ওশো রিভিউ: রজনীশিয়ান মেডিটেশন

২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৯



যিঁনি আর একটু হলে আমেরিকা দখল করে নিচ্ছিলেন। কোন মন্ত্রে? কোন্ সে জাদু? একটু ঘুরে দেখার তীব্র ইচ্ছা হল।





ছবি: রজনীশের সমাধির সামনে ধ্যানমগ্ন অনুসারী।



ওশো রজনীশের সাথে পরিচয় যখন ডা. জাকির নায়িকের লেকচার গোগ্রাসে গিলতাম, সেই সময়ে। সত্তর ঘন্টার উপর জাকির নায়িকের লেকচার রেকর্ড করেছিলাম টিভিকার্ড দিয়ে। পরে যথাযথ কারণে নায়িক সাহেবকে ছুঁড়ে সামনে এগুতে হয়।







তখন পরিচয় এটুকুই ছিল, রজনীশ হলেন একজন নতুন ধর্মবেত্তা। কথাটা মোটামুটি সত্যিই। এখনো মনে পড়ে, রজনীশের কবরে লেখা, নেভার বর্ন, নেভার ডাইড।



ওশো শব্দটার মানে, বৌদ্ধিক হাই-প্রিস্ট। কোন একটা বৌদ্ধ মনাস্টারির খতিব সাহেব। রজনীশ মানে রজনীর ঈশ্বর। অর্থাৎ কলির অবতার। ইসলামেও এমন একটা ধারণা আছে- শেষ নবী হিসাবে রাসূল দ. এবং শেষ ত্রাতা হিসাবে ইমাম মাহদি রা.। তাঁর ভক্তকুলে ডাকনাম ছিল, ভগবান। ভগবান অর্থ, যিঁনি জন্মের উৎস। বাংলা ভাষায় ভগবান অর্থ, সরাসরি একমেবাদ্বিতীয়ম্ ঈশ্বর।





ছবি: সাইকিক হিলিঙ দিতে থাকা রজনীশ। যে কোন দ্বিতীয় ধাপের ধ্যানীই সাধারণত সাইকিক হিলিঙ দিতে পারেন। তৃতীয় ধাপের ধ্যানীরা পারেন স্পর্শ হিলিঙ করতে। অসাধারণ একটা বিদ্যা। ওশো'র কোর্সে সাইকিক হিলিঙ এর নাম 'সিদ্ধি'। অর্থাৎ উদ্দেশ্য পূর্ণ হওয়া। সময় লাগে সপ্তাহ তিনেক।





রজনীশ সাহেবের ডিসি প্লেন ছিল মোটে দশটা। আমেরিকার বুকে যেখানে ক্যাম্প করেছিলেন, সেখানে দশ মাইলব্যাপী একটা তাঁবুময় এলাকা। চল্লিশের উপরে লিমোজিন।



ভারতে তাঁর আশ্রম দেখলাম, নেটে। সে তো আশ্রম না, সিক্স স্টার হোটেল। থাকা খাবার খরচও তেমনি। কিন্তু ভাসিয়ে দেয়ার মত টাকা হলে অবশ্যই তার আশ্রমে গিয়ে সপ্তা দুয়েক থেকে দুয়েকটা কোর্স করার প্রবল তীব্র ইচ্ছা আছে। তলায় বসে মেডিটেট করার জন্য কী নেই, কাঁচের বিশাল বিশাল পিরামিডও আছে। আছে পাহাড়ি চওড়া খরস্রোতা নদী। জঙ্গল, লেক, মাঠ আর চরম বিলাসবহুল ব্যবস্থা। বিলাস নয়, এক জীবনে দেখার ইচ্ছা আছে, কোথায় কোন জ্ঞান কেমন করে লুকিয়ে থাকে।







রজনীশ সাহেবের সাথে এর বাইরে যা পরিচয় পেলাম, তা হল, তিনি মেডিটেশনের ধারাতে যতটা না মুক্তি দিতে পেরেছেন, তারচে বেশি ঘোরগ্রস্ত করতে, সম্মোহিত করতে পেরেছেন। বই লিখেছেন বেশ কয়েকটা। প্রচুর পড়তেন। প্রচুর ধ্যান করতেন। প্রকৃতার্থেই মহাধ্যানী। কিন্তু আমার একটা অনুভব আছে, তিনি মোক্ষ বা নির্বাণ বা কামালিয়াতের পর্যায়ে যাননি। তাঁর বিলাশ-ব্যাসন-ঐশ্বর্য-মদ: এই কথাই বলে। আবার কামালিয়াতের আগের পর্যায়ে থাকা অবস্থায় মানবের যখন সবকিছুর উপর কর্তৃত্ব স্থাপিত হয়, কমবেশি সবকিছুর উপর যখন আদেশ প্র্রায়শই চলে, তখন তার যে উন্মাদনা, তার যে সীমা ছাড়ানো উল্লাস-উচ্ছ্বাস-কর্তৃত্ব এবং কথকতা- সেই পরিচয়ও ওশোর কার্যক্রমে তীব্রভাবে প্রকটিত। ডা. বা-ঈমান আল সুরেশ্বরী সাহেবের পরিবারের একজনের সাথে কথা হল, রজনীশকে প্রাণঘাতী রোগপ্রয়োগে খুন করা হয়েছে। কথাটা সত্যিই মনে হল। এ ছাড়া উপায় ছিল না, তিনি আর একটু হলে আমেরিকা দখল করে নিতেন।





ছবি: ওশো ইন্টারন্যাশনাল। পুনে, ভারত। পার্টটাইম কাজের বিনিময়েও থাকা যায়। তাও ব্যায়বহুল। পিৎজা টিৎজা খেতেই অনেক খরচ। একবেলা ভরপেট দুজনে খেতে চাইলে হাজার পাঁচেক তো যাবেই। এ যেন হাসানের অ্যাসাসিন বাহিনীর কৃত্রিম বেহেস্ত।



আমাদের রিভিউর উদ্দেশ্য... তাঁর মেডিটেশনে ঠিক কী ছিল, যা দিয়ে তিনি 'আর একটু হলে আমেরিকা দখল করে নিতেন'।



রজনীশের ভক্তকূলের যেসব ভিডিও দেখলাম তাতে তাদের সর্বমুক্ত মানব হওয়ার যে চূড়ান্ত লক্ষ্য, সে থেকে বেশ দূরে মনে হল। মনে হল, ঘোর আর নেশার সর্বশেষ চূড়ায় পৌছে আছেন তারা। মোহনবাঁশীর শেষ বীণ শুনে অধীর।



দৈনন্দীন একটা মেডিটেশন সব ধ্যান-পদ্ধতি তেই থাকে। ওশো রজনীশের এই দৈনন্দীন মেডিটেশন পুরোপুরি ধারাভাঙা। বাঁধভাঙা। এতে মাত্র একটা ভয়েস আছে। মাত্র একটা। আর সেটা হল: স্টপ্! এই মেডিটেশনটা একঘন্টার। পাঁচ ভাগে বিভক্ত। ধ্যানীরা পাঁচ, সাত, আট, দশ, এগারো, বারো, উনিশ এইসব সংখ্যাকে বিশেষ প্রাধান্য দিয়ে থাকেন।





ছবি: কার কাছে করজোরে প্রার্থণারত আনা আল হক্ব স্বয়ম্ভূ ভগবান? এইরূপে রজনীশকে প্রায়ই দেখা যেত। তিনি আমিত্বের দরজা হয়ত পেরুতে পারেননি। তবু পরম এক ও অদ্বিতীয় ঈশ্বরের প্রতি তাঁর সমর্পণও দেখার মতো।



এই ধ্যানটা টরেন্ট করে নামালাম। মাঝরাতে করেও ফেললাম।



নিয়ম হল, সবগুলো একের পর এক চলবে। বিনা বিরতিতে। প্রথমটায়, শুধু শ্বাস নেয়া। বা প্রাণায়াম। দশ মিনিট। কিসসু না, যত দ্রুত সম্ভব শ্বাস নিতে আর ছাড়তে থাকা। দ্বিতীয়টাও দশ মিনিটের। মুক্ত নাচন। যেভাবে খুশি নাচো। নিজেকে প্রকাশ করো। তৃতীয়টাই আমার মতে আসল। দশ মিনিট। হু মন্ত্র বা জিকির। চতুর্থটা, যেভাবে থাকা, সেভাবেই, বিন্দুমাত্র না নড়ে স্থির হয়ে যাওয়া। পনেরো মিনিট। কোন শব্দ নেই, কিছুই নেই। পঞ্চমটা, সেলিব্রেশন। পনেরো মিনিটে কোমল সুরে পরস্পরকে অভিবাদন।



এই মেডিটেশনটা প্রমাণ করে, রজনীশ কতটা বড় ধ্যানী ছিলেন এবং কতটা গভীর তাত্ত্বিক। যদিও তার মেডিটেশন পদ্ধতি নিজের পদ্ধতি হিসাবে গ্রহণ করার ক্ষেত্রে আমি নারাজ এবং অন্যকে করতে বলতেও নারাজ, সে আবার ভিন্ন বিষয়।





ছবি: রজনীশের আশ্রম, ওশো ইন্টারন্যাশনাল।



রজনীশ মার্কিন মুলুকে পাড়ি জমান সেই তীব্র অস্থিরতার সময়ে। যন্ত্র আসছে। মানুষের কাজ কমছে। এলএসডি এবং অন্যান্য সিন্থেটিক ড্রাগস মানুষকে জীবিতাবস্থায় ভেস্তে দিচ্ছে, বা বেহেস্তি স্বাদ চাখাচ্ছে।



নতুন শারীরিক-মানসিক-সামাজিক রোগের প্রাদুর্ভাবে কম্পিত পশ্চিম। অ্যাঙজাইটি, জেনারেশন গ্যাপ, গণ-পরিবারহীনতা, হাইপারটেনশন, বিষণ্নতা, গণ-প্রজনন বিকৃতি, গণ-পৈশাচিকতা, খাদ্যাভ্যাসের কারণে হৃদরোগ, শ্বাস-সীসা-বিষের কারণে ফুসফুস এবং অন্যান্য রোগ, শ্বাসকষ্ট, গণ-নির্ঘুমতা, বাদ্য-নির্ভরতা, এইডস, কনজিউমারিজম, এবং সবচে বড় কথা, গণ-নীতির অভাব ও গণ-আধ্যাত্মিক পথপ্রদর্শকের অভাব।





ছবি: এত সুন্দর বাগানে এসে মওলানা রুমী চোখ বন্ধ করে আছেন কেন? রুমি বললেন, আমিতো তাও মাঝে মাঝে চোখ খুলি। বন্ধ করে যা দেখা যায় তা দেখলে তোমরা তো আর চোখই খুলতে না... পুনেতে গিয়ে একটু নিজের মত ধ্যান করারও ইচ্ছা হল।



এই শেষের দুটা ট্রামকার্ডও ওশোকে নিয়ে গেল চূড়ায়। সেই অস্থির এইটিজ। যেখানে রকস্টাররা আইডল, টিভি উপস্থাপকরা, বি মুভিজের নায়করা, কিন্তু কোথায় যেন শান্তি নেই। স্থিরতা নেই।



নু্ডিজম, ন্যাচারালিজম, স্যাটানিজম, অ্যাথেয়িজম, কমুনিজম এবং ক্যাপিটালিজম- ষড় বিকৃত ইজমের চাপে মানুষ দিকভ্রান্ত। জলে কুমির, ডাঙায় বাঘ আর আকাশ বাতাসে সীসা।



রজনীশ জানেন, এই অদ্ভুতুড়ে কিম্ভুতুড়ে প্রজন্মটাকে কোনদিক দিয়েই মানানো যাবে না। কোনদিক দিয়েই তাতিয়ে বাঁকিয়ে শান্ত করা যাবে না। এই অদ্ভুতুড়ে পশ্চিমা প্রজন্ম'র এমন একজনও নেই, যে ওই রোগগুলোর একাধিকের ধারক নয়।







এরা সেই প্রজন্মের, যে প্রজন্ম পৃথিবীর জন্মের পর এই প্রথম চারদিক ফাঁকা দেখছে। এবং এই ফাঁকা চারদিকটাই তীব্রবেগে চেপে বসছে তাদের ভিতরে। দম নেয়ারও অবকাশ নেই।



অবকাশ নেই। ছোটো। ছুটে ছোটাছুটি থেকে শান্তি পেতে আরো তীব্রবেগে ছোটো। তারা আর মদ-নারী-মাৎসর্যে বিন্দুমাত্র তৃপ্তি পায় না। সে স্থান দখল করেছে ড্রাগস-রিপ্রোডাকটিভ অর্গানের বিকৃত ব্যবহার এবং মনোবিকৃতি।



এই প্রজন্মকে সুস্থ করতে হলে, একটু শান্তি দিতে হলে তার এই মেডিটেশনের পথ ধরা ছাড়া উপায় ছিল না হয়ত।



তাই পুরো ধ্যানটাই বিচিত্র। যেখানে ধ্যান মানেই স্থিরতা, সেখানে রজনীশের প্রেসক্রিপশনের দৈনন্দীন ধ্যান মানেই তীব্র অস্থিরতার ভিতর দিয়ে যাত্রা। অস্থিরকে প্রথম মুহূর্তেই স্থির করার চেষ্টা করলে সে বসবে না।







তাই প্রথম শ্বাস নেয়ার অংশ বা প্রাণায়ামে দেখি, তীব্রভাবে দশটা মিনিট দ্রুত দম নিতে ছাড়তে থাকতে হয়। এটা হল অস্থিরতা দূর করার দারুণ পদ্ধতি। তুমি অস্থির? আরো অস্থির ছাড়া কিছু হতে চাও না? তাই হও। এই প্রাণায়ামটা ভয়ানক। করলাম, পরদিন সারাদিন মনে হল নাকের জায়গায় পাইপ বসিয়ে পাইপের মাথায় ফ্যান বসিয়ে দেয়া হয়েছে। এটা নিয়মিত করলে ফুসফুস, শ্বাসযন্ত্র, নাক, এমনকি হার্টও পরিস্কার হয়ে যাবে। তখনকার তীব্র সার্বিক দূষণ, সিগারেট থেকে মারিজুয়ানা থেকে কোকেইনের অত্যাচার, সেসব পরিষ্কার করে শরীরটাকে আবার মানুষ করার চমৎকার পথ নিয়েছিলেন রজনীশ।



যেহেতু অস্থির, তার অস্থিরতা যেভাবে খুশি সেভাবে প্রকাশ করার পথ করে দেয়ার উদ্দেশ্যে দ্বিতীয় ধাপটা হল ফ্রি এক্সপ্রেশন। বিষয়টা এমন, পাত্রভর্তি পানি তো মুখ খুলে দাও। মনভর্তি কষ্ট তো কাউকে বলো। যা থাকে তা চাপিয়ে রেখো না, প্রকাশ করো। হালকা হয়ে যাবে।



তৃতীয় ধাপ, যা আসল মেডিটেশন, সেই হু জিকিরের নিয়ম হচ্ছে, দাড়িয়ে লাফাতে লাফাতে হু বলা। তবে তিনি ঠিক করেছিলেন, এই প্রজন্ম যেহেতু দৈহিকতা এবং প্রজনন ছাড়া কিছু বোঝে না, সেহেতু তাদের মন্ত্রের সেন্টার হোক দুই উরুর মধ্যবর্তী অঞ্চল। মোদ্দা কথা, তুমি সচেতনতায় যেখানে আছো, সেখান থেকে উত্তরণ হোক।



এই হু বলা দশ মিনিট চলার পর যেভাবে থাকবে, সেভাবে স্থির করে দেয়া হবে স্টপ বাণীর মাধ্যমে। পনের মিনিট। স্থির। অচল। নি:শব্দ।



এটাই হল মেডিটেশনের গভীরতম থিতানোর রজনীশিয়ান পদ্ধতি। রাজ যোগ, মৌনতা, আত্মহীনতা, সুলতানুল আযকার।







পঞ্চম ধাপেই আসে শান্ত মিউজিক। আমরা কিছু অ্যাচিভ করেছি, এবার পরস্পরকে সৌজন্য সাধুবাদ অভিনন্দন জানানো হোক। অর্থাত এই পঞ্চম ধাপে তিনি তার অনুসারীদের মানবে পরিণত করছেন। পারস্পরিকতার প্রতি যে বিমুখতা চলে এসেছিল পশ্চিমে, তা থেকে আবার ফিরিয়ে আনা।



সবশেষে, মিউজিকের রিভিউ।

এমনধারা মিউজিক শুনিনি বলাটাই কি স্বাভাবিক না?

মনের সচেতন, অবচেতনকে স্পর্শ করে অনেক মিউজিকই। কিন্তু অচেতনকে স্পর্শ করে এমন বাদ্য শোনা কঠিন বিষয়। ওশো মেডিটেশনে মিউজিকগুলো, যা টের পেলাম, তাতে মনে হয় কুন্ডলিনীকে সরাসরি জাগ্রত করে। শুধু যে জাগ্রত করে, তাই না, তা ঠেলে বের করে আনে। কোন একজন মানুষ স্বইচ্ছায় ওশো মেডিটেশনে বসবে, সে শ্বাসের মিউজিকের সময় দুলে দুলে শ্বাস নিবে না, তাহলে গ্যাছে। সে ফ্রি এক্সপ্রেস মিউজিকের সময় হেলেদুলে নিজেকে নাচাবে না, তাহলে গ্যাছে। সত্যি। কারণ, শরীরের উপর দিয়ে সেটাকে পার করে না দিলে তা মনের উপর প্রভাব ফেলবে।



রজনীশিয়ান মেডিটেশনে অনেককেই দেখা যায় প্রথম প্রথম বমি করতে, অজ্ঞান হয়ে যেতে, বা নিস্তেজ হয়ে যেতে- এটাই স্বাভাবিক।



এই মিউজিকের আরেকটা বৈশিষ্ট্য, কথায় নয়, বাক্যে নয়, মন্ত্রে নয়, শুধু মিউজিক দিয়ে নার্ভকে খালি করে দেয়া। আরেকটা, শুধু মিউজিক দিয়ে সম্মোহিত করা।



তিনি শ্রাব্যতার সব সীমার মিউজিক ব্যবহার করেছেন। তীব্র কঠোর সভ্যতার মিউজিকে মিশিয়েছেন যন্ত্রের পরিচিত ঘর্ঘড়, সেইসাথে চৈনিক ও ভারতীয় মিশেল।



আর একটা বাজে বিষয়ের কথা না বললেই নয়। ওশোর উপর কিছু দোষ চাপানো হয়। যেমন, তার অনুসারীরা ড্রাগ এডিক্ট। আসলে ড্রাগ এডিক্টরা তার কাছে গিয়ে কোনএকভাবে ড্রাগমুক্ত হতো। প্রথমদিকে আসা ছিচকে ছিনতাইকারীরা ছিনতাই করেও তাকে অর্থ দিতো। কিন্তু তা ব্যক্তির পর্যায়ে। তার মেডিটেশন রত অবস্থায় নগ্নতা দেখা যায়। কিন্তু যে মানুষগুলো তা করেছিল, তারা আগে ছিল নুডিস্ট এবং ন্যাচারিস্ট। অর্থাত মানুষও কুকুর শুকরের মত পশু, তাই নাঙা থাকবে এবং ইত্যাদি ইত্যাদি।







মানুষকে কিছুটা শান্ত করেছেন। শান্তি দিয়েছেন। ড্রাগ ছাড়িয়েছেন। যৌন বিকৃতি ছাড়িয়েছেন। ওশো রজনীশ তাই একজন সফল জাদুকর। কিন্তু জাদুকরই বলব, কারণ নির্বাণ তাঁর হয়েছে এমনটা বোঝার কোন উপায় নেই। নির্বাণপ্রাপ্তে যে আত্মহীনতা থাকে, সেই আত্মহীনতা তাঁর মধ্যে প্রকটভাবেই অনুপস্থিত।

মন্তব্য ৮২ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৮২) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৪

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: দূর্দান্ত!!! ফাটাফাটি পোষ্ট দস্তগীর ভাই! প্রিয়তে নিলাম।

২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৭

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: কাল্পনিক ভালোবাসা ভাই, আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। দু বছরের ইচ্ছা, পোস্টটা লিখি। একটু অন্যরকম হয়ে গেল। কিন্তু যা চেয়েছিলাম তা করেছি ভেবে ভাললাগল।

২| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আগে এত ডিটেইলসে জানা ছিল না।

ধন্যবাদ জানানোয়।

যে স্থানটাতে আপনি দ্বিধান্বিত-আমার কেন জানি মনে হয় সামনে সেই দিন সমাগত যখন এইরকম বা এরচে বেশী বিলাস দিয়ে বিলাসকে জয় করতে হবে।

একটা ছোট্ট পয়েন্ট মনে করুনতো- ইমাম মাহদী আ: এর বর্ণনায় এক পর্যায়ে আছে তিনি মানুষকে অধিক ধন-সম্পদ বিতরন করবেন-এত অধিক যে যে যতটুকু নিতে পারে- তাকে তাই নিতে দেওয়া হবে।

হঠাৎই একদিন মনে হল- আরে এটাইতো পূজি দিয়ে পূজিকে বিকল করার দারুন অস্ত্র ;)

অঢেল পূজিবাদের মোকাবেলায় বিস্তর পূজির বিতরণ কি একটা দারুন উপায় নয়?

এই ভগবান রজনিশ কি সেই- যার ধর্মান্তরিত হয়ে মুসলিম হবার ব্যাপক প্রচারণা হয়েছিল? অজ্ঞতার জন্য ক্ষমা করবেন।

২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৬

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই সালাম। আমিও তো জানি না। সম্ভবত তারটাই। রজনীশ আসলে ইসলাম ধর্ম থেকে বহু বিষয়ই নিয়েছেন। বিশেষ করে জিকিরটাই ইসলামের সূফিদের জিকির।

দারুণ ভাবনা, পুঁজি দিয়ে পুঁজি বিকল। হ্যা, আন্দাজে বিচার করতে যাওয়ার চেয়ে ভাল তাই।

ইমাম মাহদির এই বিষয়টা জানা ছিল না সম্ভবত, আপ্লুত হলাম।

পুঁজিবাদ আমাদের একেবারে পঙ্গু করে দিচ্ছে।

৩| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৮

হতাশ নািবক বলেছেন: খুব ছোট বেলায় ৯০-৯২ এর দিকে বাংলাদেশের কোন এক সাপ্তাহিক ম্যাগাজিনে পড়েছিলাম এই ভগবান রজনীশের কথা, কিন্তু সেখানে তো মূল উপজিব্য ছিল যৌনতা।অবাধ যৌনাচারই নাকি ছিল লক্ষ্য, যুক্তরাষ্ট্রে তার আশ্রম কে যখন ভেঙ্গে দেওয়া হয় সেখানে নাকি পাওয়া গেছে লক্ষ লক্ষ জন্মনিয়ন্ত্রন সামগ্রী।

যাইহোক, বহুদিন আগের জানা , নতুন করে জানতে পেরে ভাল লাগল।

২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:২৫

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই এইসব কারণেই তার মেডিটেশন পদ্ধতিটার বিষয়গুলো ভাল লাগে না।

পশ্চিমা বিশ্ব এতটাই ডিজেনারেট হয়ে গেছে যে, তারা যৌনতার বিষয়ে যে মানা করে, তাকে মানবে না।

তাই পশ্চিমা কিছু কাল্ট যারাই খ্যাতি পেয়েছে এবং সফল হয়েছে তারাই ছিল খোলামেলা।

অবশ্য জানি না, তার কাল্টে ছিল কিনা খোলা বিষয়।

৪| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৭

হাসিনুল ইসলাম বলেছেন: লিসানী ভাই, আপনার অন্যান্য পোস্টের মতই এক নিশ্বাসে পড়ে ফেলার পোস্ট এটি। আমার ব্যাক্তগত আগ্রহের বিষয়ের একটি হওয়াতে আরো আগ্রহ নিয়ে পড়লাম। তবে, মনে হলো যেন, ওশোর ভক্তদের নেতিবাচকতাকে ভক্তদের ব্যক্তিগত বৈশিষ্ট্য হিসেবে উপস্থাপন করলেন বলে মনে হলো। ওশো নিজেও কি দায়ী ছিলেন না? ঔই যে বললেন, তার নির্বাণ লাভ ঘটেনি। সেখানেই তো সমস্যা। শেষ স্তরের আগের স্তরে যে নিয়ন্ত্রণক্ষমতা তিনি ভোগ করছিলেন, তা তো খুবই এনজয় করেছেন বলে মনে হয়েছে, তা থেকে উত্তরণের চেষ্টা ছিল বলে মনে হয় না। মুক্ত বাজারের দাপট আর আমেরিকান ড্রিমের দাপটকে তিনি ধ্যানের জগতে পুরোপুরি ব্যবহার করেছেন বলেই মনে হয়েছে। আর তাই তাকে শুভ হিসেবে মেনে নিতে পারি না।

পাঁচ স্তরের প্রথম স্তরের প্রাণায়ামের কথাটি যেভাবে বললেন তার সঙ্গে শ্রী শ্রী রবি শঙ্করের আর্ট অব লিভিং এর ধন্বন্তরী শেষ ব্যায়ামের মিল দেখতে পাচ্ছি। রবি শঙ্করের মতে তিনি ব্যায়ামটি হিমালয়ে ধ্যানমগ্ন অবস্থায় পেয়েছিলেন। প্রাণায়ামটির নাম সুদর্শন ক্রিয়া: একটি তিন স্তরের প্রাণায়াম। লম্বা লয়ে ২০ বার শ্বাস গ্রহন-ত্যাগ, মাঝারি লয়ে ২০ বার শ্বাস গ্রহন-ত্যাগ ও অতি দ্রুত লয়ে ২০ বার শ্বাস গ্রহন-ত্যাগ। এমন ভাবে তিনবার করতে হয়। এরপর আপনি যেমন বললেন, মনে হয় মাথার ভেতর নাকের ভেতর কোনো যন্ত্র অবিরাম কাজ করতে থাকে। সুদর্শন ক্রিয়া শেষে আমি কাউকে কাউকে কাঁদতে-হােসতে দেখেছি। কেউ সুঘ্রাণ পেয়েছেন। এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক মহিলাকে বলতে শুনেছি, তিনি সিজারিয়ান অপরেশনের সময়ের চেতনানাশক ইন্জেকশনের পরের আধো অবশ-জাগরণের অনুভুতি পেয়েছেন।

ওশোর মিউজিকটি আসলে কার তৈরী? জানতে আগ্রহ জাগলো।

আর আমি ফেসবুকে থাকলেও খুবই কম ব্যবহার করি। আপনাকে খুঁজে পেয়েছি। যোগাযোগ করবো। স্কাইপ চ্যাটিং কি সহজতর? আমি সেখানে আছি: hasinulislam হিসেবে। কয়েকদিন ব্যস্ত আছি। যোগাযোগ করবো। ভাল থাকবেন।

২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:৩৬

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: হাসিন ভাই, আমারও ধারণা, ওশোর উপর দোষটা যায়। একারণেই তাঁর ধ্যান গ্রহণ করতে অনীহা।

শেষ স্তরের আগের স্তরে যে নিয়ন্ত্রণক্ষমতা তিনি ভোগ করছিলেন, তা তো খুবই এনজয় করেছেন বলে মনে হয়েছে, তা থেকে উত্তরণের চেষ্টা ছিল বলে মনে হয় না। মুক্ত বাজারের দাপট আর আমেরিকান ড্রিমের দাপটকে তিনি ধ্যানের জগতে পুরোপুরি ব্যবহার করেছেন বলেই মনে হয়েছে। আর তাই তাকে শুভ হিসেবে মেনে নিতে পারি না।

আমার তাকে সুবিধাবাদী মনে হয়েছে এসব কারণেই। চূড়ান্ত প্রাপ্তির মজাই আলাদা। হায়, তিনি সেটা থেকে বঞ্চিত রয়েই গেলেন। আত্মসচেতনতার শেষ পর্যায়ে না যাওয়াতেই তাঁর কাজে পিছুটান বলে মনে করি।

পন্ডিত রবিশঙ্করের যে কথাগুলো বললেন, আমি ভাই কৃতজ্ঞ হয়ে গেলাম।
তাঁর প্রাণায়ামটা করব।

ওশোর মিউজিকটা যার তৈরি হোক না কেন, ডিজাইনার তিনিই। আমি মোটামুটি নিশ্চিত।

ফেসবুকে যোগাযোগ বেশি সহজ হয় যে। স্কাইপ নামেমাত্র ইন্সটল করে রেখেছি, প্রায় কখনোই ব্যবহার করা হয় না। আমাদের সময়ে সুযোগে মিলে যাবে, স্কাইপেও কথা হবে ইনশাআল্লাহ।


৫| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:২০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: পুরো লেখাটি পড়লাম। আমার মতো অতি নাদান মানুষের পক্ষে সব কথা বুঝা সম্ভব হল না।
জাকির নায়েক সম্পর্কে যা বলেছেন, তা' বিস্তারিত বলেননি। আপনি কেন তার থেকে সরে গেলেন, দয়া করে বলবেন কী?

২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:৪৫

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আবুহেনা ভাই, আশা করি ভাল আছেন।

জাকির নায়েক সাহেব ইসলাম প্রচারের যে কাজটা করছেন সেটা বেশ ভাল, কিন্তু তার মতবাদে ভয়ানক ক্ষত আছে। সেই ক্ষত তার মাধ্যমে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে। কল্যাণের বদলে অকল্যাণ হচ্ছে।

তিনি এজিদের নামের পাশে রাদ্বিআল্লাহু আনহু ব্যবহার করেছেন, তারপর সেই রাদ্বিআল্লাহু আনহু বলার পক্ষে স্থির থেকেছেন, তারপর সেই কথা সত্য প্রতিপণ্ন করার জন্য হাদিস বিকৃত করেছেন, তারপর সেই কথার পক্ষ অবলম্বন করে ভিডিও আপলোড করেছেন। এই সবই ভিডিও আকারে আমার কাছে আছে।

এর অধিক যদি বলতে হয়, অবশ্যই বলব।

৬| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:৩০

বোধহীন স্বপ্ন বলেছেন: কত আজব কিসিমের মানুষ আছে দুনীয়ায়!!

২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:৪৭

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আসলেই রে ভাই! সুপার লাইক। আশা করি ভাল আছেন।

৭| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:৩২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ওশোকে নিয়ে জানা ছিল না। ডিটেইলসে অনেক কিছু বোঝা গেল। ভাল লেগেছে পোস্ট।

২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:৫১

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। আশা করি ভাল আছেন অনেক অনেক।

৮| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:৫৮

আবদুল্লাহ্‌ আল্‌ মামুন বলেছেন: অসাধারণ !

দারুন একটা বিষয় নিয়ে লিখেছেন। অনেক নতুন কিছু জানলাম।

প্রিয়তে নিলাম।


অটঃ একটা বিষয় খুব জানার ইচ্ছে ছিল, ফেবুতে ইনবক্স করেছি।

২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:৫৩

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: মামুন ভাই, ধন্যবাদ অনেক অনেক। ফেবুতে ইনবক্সটা মনে হয় পাইনি। একটু চেক করবেন কি কষ্ট করে? একবার নক করলেই হবে। আমি পাচ্ছি না। রাতেই আলাপ হবে।

৯| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:১৪

স্বপ্নচারী গ্রানমা বলেছেন:
এত সুন্দর বাগানে এসে মওলানা রুমী চোখ বন্ধ করে আছেন কেন? রুমি বললেন, আমিতো তাও মাঝে মাঝে চোখ খুলি। বন্ধ করে যা দেখা যায় তা দেখলে তোমরা তো আর চোখই খুলতে না...

ডঃ মনি ভৌমিক এর "বিজ্ঞানে ঈশ্বরের সংকেত" বইটি আমার জীবনে পড়া অন্যতম সেরা বই !!

যারা ঈশ্বর/আধ্যাত্মিকতা/মেডিটেশন অথবা হতদরিদ্র এক ছেলের খ্যাতি আর সফলতার চুড়ায় ওঠার দারুণ ইন্সপাইরিং একটি বই পড়তে চান তাদেরকে ডঃ ভৌমিকের বইটি পড়ার জন্য আন্তরিকভাবে আহবান করছি ! (কেউ পড়ে থাকলে জানাবেন অবশ্যই ।) **

আপনার চমৎকার এ পোস্টের জন্য অনেক ভালোলাগা আর ধন্যবাদ ।

২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:০৩

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই বইটা পড়ব অবশ্যই। আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।

দারুণ সব তথ্য পেলাম আজকের মন্তব্যতে। আরো কিছু জানানোর সুযোগ থাকলে পোস্ট আকারে হোক বা মন্তব্য, জানাবেন আশা করি।

১০| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:২১

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: অসাধারণ একটি পোষ্ট থেকে অনেক কিছুই জানা হলো !
আপনাকে ধন্যবাদ পোষ্ট দেয়ার জন্য !

২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:০৪

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: অভিভাই, ধন্যবাদ অনেক অনেক। আশা করি ভাল আছেন। বহুদিন পর মন্তব্য বিনিময়।

১১| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:৪৯

ইমতিয়াজ ইমন বলেছেন: অসাধারণ একটি লেখা। অনেক কিছু জানতে পারলাম।

২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:০৫

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ইমন ভাই, ধন্যবাদ। আশা করি খুব ভাল আছেন।

১২| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:২৫

কমল০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ অাপনাকে,তথ্য নির্ভর এমন সুন্দর একটা লেখা দেয়ার জন্য ।

জাকির নায়েক সম্পর্কে অাপনার অভিজ্ঞতা বা জানার বিষয় নিয়ে অাপনার লিখা চাই,অবশ্য বাস্তব পরিস্থিতি যদি অাপনার অনুকূলে হয় ।

২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:৪২

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ইনশাআল্লাহ ভাই। তার বিষয়টা নিয়ে লিখব।

আসলে তার থেকে দূরে সরার কারণ, অপূর্ণতা। অপূর্ণতা ভাল লাগে না। সত্যের মধ্যে অর্ধেক বলে কোন কথা নেই। তিনি সত্যের অর্ধাংশ নিয়ে কাজ করছেন।

১৩| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:০৪

আমিজমিদার বলেছেন: এইসব মেডিটেশন-জিনিস গুলা আগে মনে হয় সত্য করে কাজে লাগত। মুনি-ঋষিরা করতেন। কিন্তু এখন কর্পোরেট ভাব টাব, ব্যবসা এগ্লা ঢুইকা পড়ছে, তাই বিশ্বাস করতে কষ্ট লাগে।

একটু অফটপিক আনি। আমার মামা এবং আরও কিছু পিতৃস্থানীয় লোক অস্থিরভাবে জাকির নায়েকের ভক্ত। তারা উনার ভিডিও দেখেন, নীলখেত থিকা সমগ্র আইনা পড়েন। আমারও দেখতে খারাপ লাগে না। লোকটার ক্ষমতা আছে মানুষরে মুগ্ধ করার। কিন্তু তার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগও শুনছি। তার বিরুদ্ধে মেইন মেইন কোন টপিকে অভিযোগ উঠছে- এইটা জাস্ট টপিকের নামগুলা যদি বলতেন। আমার ঘাঁটাঘাঁটি করার ইচ্ছা আছে।

ভাল থাইকেন ভাই।

২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:৫৫

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই মেডিটেশন সর্বযুগে সর্বকালে কাজে লেগেছিল লাগে! বরং মেডিটেশন না করা মানে হল, এক জীবনে জন্মে সেটাকে কাজে না লাগানো।

ভাই জাকির নায়িক নিয়ে আলাপ করব ইনশাআল্লাহ। নেক্সট পোস্ট।

অভিযোগ তো আমাদের রাসূল দ.'র নামেও ওঠে। তিনি তো আর ভুল না। কিন্তু এই বেআদব লোকটা নি:সন্দেহে ভয়ানক পাপী এবং ভয়ানকভাবে ঈমানবিহীন।

ঈমানের মূলে সে কুঠারাঘাত করেছে এবং ক্রমাগত করে যাচ্ছে।

আল্লাহ মাফ করুক, কিন্তু ঈমানের প্রশ্নে কঠোর না হয়ে উপায় নেই।

১৪| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:১৬

মামুন রশিদ বলেছেন: রজনীশের প্রকাশিত ইমেজে ছোটবেলায় আকৃষ্ট হয়েছিলাম । জাহাঙ্গীরনগর থিয়েটার যখন 'রাজনিদ্রা' মঞ্চায়ন করার সিদ্ধান্ত নিল, ভগবান রজনীশের চরিত্র আর একই সাথে প্রথম কোন নাট্য পরিচালনার সুযোগ- দুটো ব্যাপারেই অভাবিত আনন্দ পেয়েছিলাম ।

আজ ভিন্ন দৃষ্টোকোণ থেকে ভগবান রজনীশকে জানলাম ।

২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:৫৭

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: দারুণ বিষয় মামুন ভাই। দারুণ বিষয়। আমার নিজেরই গর্বিত লাগছে, যে বিচিত্র্র সৃষ্টিশীলতার জগতে বিচরণ আমার ঘনিষ্ঠ সহব্লগারদের।

সব সময় ভাল থাকুন। সর্বক্ষণ।

১৫| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:২২

আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেছেন: আপনি আমার একজন অনুসারিত ব্লগার....
পোষ্ট পড়তে আসছিলাম এক মুড নিয়া কিন্তু ...ভাই জাকির নায়েকের বিষয়টা এখানে আসল কেমনে..... :( :|
আর আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম ভাইরে উত্তরে যা বললেন তাতে করে তো...... B:-) B:-) :( যদি০ আমি তার অন্ধ ভক্ত না (আর সে সবাইকে তা হতেও বলেনা)যাই হোক এটা নিয় একটা পোষ্ট দিবেন আশা করি,,,,,,,,,,,,,
এবার আপনার এই পোষ্টের ব্যাপারে আসি.......
আপনি নিজেই কিন্তু রজনীশের ব্যাপারে উপসংহার টেনেদিছেন(কামিলিয়াতের স্তরের ব্যাপারটায়) ......তাহলে কিসের আশায় তাকে অনুসরন করার চেষ্টা করতেছেন??

২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:০০

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই জাকির নায়িকের বিষয় এসেছে আসলে এভাবে যে, তার মুখ থেকেই প্রথম রজনীশের নাম শুনি।

অবশ্যই পোস্ট হবে আল্লাহ চাইলে।

না, অনুসরণের তো প্রশ্নই ওঠে না। কেউ বরং অনুসরণ করলে আমি তাকে মানা করব, যে অপূর্ণকে অনুসরণ করলে অপূর্ণতাই পাওয়া হবে শুধু। আমি শুধু চেখে দেখছি। অনুভব করে দেখছি।

আলহামদুলিল্লাহ, নিজের ঈমান এত দৃঢ় যে, কোনকিছুই সেটা টলাতে পারবে না, এই কারণেই যে কোনকিছু মুক্ত দৃষ্টিতে দেখার সুযোগ আছে।

১৬| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:০৯

স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:

সুন্দর পোষ্ট!!!
অনেক কিছু জানলাম।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:৩৮

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: কৃতজ্ঞতা, শোভন ভাই। আশা করি খুব খুব ভাল আছেন।

১৭| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:০৯

আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেছেন: লিসানি ভাই , আপনার মত আমারো কিন্তু রজনীশের সাথে পরিচয় জাকির নায়েকের লেকচারেই..... আমার করা মন্তব্য এর উত্তরে আপনি যে এটাই বলবেন আমি জানতাম.......আসলে আপনার লেখার প্যাটার্নটাতে কেমন যেন....একটা তাচ্ছিল্ল্য ভাব আছে সেই জন্য প্রশ্নটা করা


"ওশো রজনীশের সাথে পরিচয় যখন ডা. জাকির নায়িকের লেকচার গোগ্রাসে গিলতাম, সেই সময়ে। সত্তর ঘন্টার উপর জাকির নায়িকের লেকচার রেকর্ড করেছিলাম টিভিকার্ড দিয়ে। পরে যথাযথ কারণে নায়িক সাহেবকে ছুঁড়ে সামনে এগুতে হয়।"

'এই সামনে এগুতে হয়' .....এটার মানে জানতে চাওয়াই ছিল প্রধান উদ্দেশ্য

যদিও এই পোষ্টে অ্প্রাসঙ্গিক ......তারপরেও বলি,,,,,,,না থাক, জাকির নায়েক সম্বন্ধে আপনার পোষ্টটাতেই (ইনশাল্লাহ্) বলবো।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:৩৩

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: নোমান ভাই, জাকির নায়িকের লেকচার যখন শুনতাম, তখন জানতাম সে কী, তারপরও ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখে তাকে বিবেচনায় রাখতাম। পরে 'ছুঁড়ে ফেলেছি'- বিষয়টা তাচ্ছিল্য নয়, বিষয়টা যথাযথ মূল্যায়নের।

আমরা ওশো নামের কোন এক আধ-বিপথগামী গুরুর পরিচয় নায়িক সাহেবের কাছ থেকে জানি, কোন সমস্যা নেই। কারণ আর যাই হোক, রজনীশের কাছ থেকে আমরা ধর্ম শিখব না, ঈমান শিখব না, ফিজিক্স কেমিস্ট্রি বায়োলজি যেমন ইহুদি খ্রিস্টানের কাছ থেকে শিখতে আমাদের কোন সমস্যা নেই, তেমনি একটা বাস্তব প্রায়োগিক জ্ঞানের কিছু শিখব তো কিছু ছুঁড়ে দিব।

কিন্তু আমরা এতই অকেজো যে, তার কাছ থেকে ইসলাম জানি। ইসলাম কোন ছেলেখেলা নয়, যে শুলাম, টিভিটা অন করলাম, চোখের সামনে চেনা মানুষ যা বলল তাই গিললাম।

আজকে নায়িক আমাদের চিন্তা চেতনার এতবড় দিকপালে পরিণত হয়েছে যে, সে আমাদের কাছে এজিদের পরিচিতি দেয়। রাদ্বিআল্লাহু আনহু।

আর আমরা এতই অক্ষম অথর্ব অকেজো বিবেকহীন পড়ালেখাহীন অজ্ঞান অশুচি হয়ে পড়েছি যে, এই লোক এজিদের পরিচয় দিয়েও নিজের পরিচয় এর ক্ষেত্রে বহাল তবিয়তে থাকে।

এই কারণে রাসূল দ. বলেছিলেন,

শেষ সময়ে যে সকালে ঈমানময় থাকবে দুর্গের সুরক্ষার ভিতরও, সে সন্ধ্যায় হবে ঈমানহারা। যে সন্ধ্যায়, সে সকালে ঈমানহারা। যে হাঁটছে, তার ঈমান হারানোর ভয় বেশি। যে দাঁড়ানো তার কম। কিন্তু যে দাঁড়ানো তারও বেশি, যে বসা তার কম। যে বসা তারও বেশি, যে শোয়া তার কম। যে শোয়া, তারও ঈমান হারানো কোন বিষয় না।

তো,

ড্রইংরুমের সোফায় শুয়ে আরাম করে বিশ্বাস করে জাকির নায়িকের লেকচার দেখলে শুয়ে ঈমান হারানো কোন বিষয় না।

আমার রাসূল দ. কে মহান আল্লাহ বলেন,

হে রাসূল দ.! আপনি বলে দিন, আমার নুবুয়তের অধিকার তোমরা আদায় করতে পারবে না, কিছুটা পারতেও পারো আমার নিকটতমজনের ভালবাসার মাধ্যমে।

এখন, সেই নিকটতমজন কে? কারা? সেটাই কিন্তু ঈমানের মূল। কারণ ঈমানের মূল আল্লাহ। ঈমানের মূল রাসূলুল্লাহ। আর রাসূলুল্লাহর নুবুয়তের অধিকার আদায় হয় যার মাধ্যমে, সে কে? সেও ঈমানেরই মূল।

আমি কিন্তু আপনার কাছ থেকে বিস্তারিত আশা করি। সামনে, যখন পোস্টটা করব। আর আশা করি ক্ষিপ্ত হয়ে নিয়ন্ত্রণ হারাবেন না। নিয়ন্ত্রণ হারালে আপনার তো অপকারই, আমারও ভীষণ অপকার।

১৮| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:৩২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


দারুণ ++++++

২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:৪৪

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: কৃতজ্ঞতা ভাই।

১৯| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:১০

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: জোশিলা একখান পোস্ট। +++।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৭

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: থ্যাঙ্কু শরৎদা, প্রোপিক দা-রুণ হয়েছে।

২০| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:০৪

আশিক মাসুম বলেছেন: soja priyote....

২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:৫২

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ভাই। একটা পোস্ট প্রিয়তে নেয়া মানে অনেক কিছু।

২১| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:১০

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: জাকির নায়কের লেকচারে রজনীশের কথা শুনছিলাম। আপনার পোস্টের মাধ্যমে ডিটেইলস জানা হল

২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৩

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ধন্যবাদ মাসুম ভাই। আপনার প্রোপিক দেখলে আমার এমন একটা ছবির কথা মনে পড়ে। নদীর পাড়ে যাচ্ছি।

২২| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:০০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ভাই আমি ভালো আছি। জাকির নায়েক সম্পর্কে আমার মন্তব্যের উত্তরে যা বলেছেন, সেটা পড়ে আপনার কাছে আমার একটা বিনীত অনুরোধ আছে। এ বিষয়ে যেহেতু আপনার ব্যপক পড়াশুনা আছে এবং অনেক ভিডিও সিডি আছে, সেহেতু বিস্তারিত তথ্য প্রমাণসহ একটা পোস্ট দিলে আমরা উপকৃত হতাম।
ধন্যবাদ, ভাই গোলাম দস্তগীর।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৪

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই কোন একজন মানুষ নিয়ে লিখতে বড় অস্বস্তি হয়, যদি সেটা বিপরীত বিষয় নিয়ে লিখতে হয়। অন্ধকার বিষয় নিয়ে লিখতে হয়। পারতপক্ষে সেটা করতে ভাল লাগে না।

কিন্তু লিখতে হবে। সঠিকের জন্য মাঝে মাঝে কঠোরতার প্রয়োজন পড়ে।

২৩| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৬

চলনবিল বলেছেন: সোজা প্রিয়তে , দূরদান্ত পোষ্ট :)

২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৬

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: তীব্রগতিময় একটা কমেন্ট। ভাললাগার আবেশ দিয়ে গেল। :)

২৪| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:৪২

মুদ্‌দাকির বলেছেন:
আপনার মতে দুই জনই অপূর্ণ, কাকে বেশী ঘৃণা(অপছন্দ) করেন ??

রজনীশের প্রতি আমার অপছন্দের মাত্রা আপনার এই পোষ্ট পড়ে আরেকটু বাড়ল!!

রজনীশকে একেবারেই শয়তান বা তাগুতের অনুসারী মনে হচ্ছে!! আপনার কি উচিৎ হচ্ছে তার নুন্যতম ভালকেও গ্রহন করা?? বা গ্রহন করার প্রতি আগ্রহ দেখানো?? (ব্যাক্তি গত প্রশ্ন করে ফেললাম, কিছু মনে করবেন না) :P

কোন চক চক করা জিনিশই আমাকে চরম ভাবে আকর্ষন করে না, তাই ডাঃ জাকিরের প্রতি কখনই তেমন ভাবে আকৃষ্ট হই নাই যেমনটা অন্যরা হয়ে ছিলেন, আমার কাছে মনে হত একজন ডাক্তারের জন্য ডাক্তারি পুরাপুরি বাদদিয়ে দিলে গোটা বিশেক ধর্মের স্টাডী করা কোন ব্যাপার না!!! আর আমারো উনার অনেক কিছুই পছন্দ হয় না, প্রথমত মনে হয় যে উনি যা করেন তা নিয়ে তার অহংকার আছে, এই ব্যাপারটা অনেক বড় ভেজাল, আর উনি ছোট ছোট বাচ্চাগুলাকে দায়ী বানানোর যে চেষ্টা করছেন তা নিতান্তই হাস্যকর এবং অপছন্দের । যাই হোক এই গুলো আমার ব্যাক্তিগত অবজারভেশন। এই গুলাদিয়ে কাউকে প্রভাবিত করতে চাই না!!

ডাঃ জাকির নায়েকের ভুলেরচেয়ে সৎ কর্মের পরিমান বোধ করি অনেক অনেক অনেক বেশী!!! আপনার কি মনে হয়???

আমার সাম্প্রতিক পোষ্ট গুলো পড়ার আহবান থাকল !!

( মন + শান্তি = প্রশান্ত মন = নির্বাণ ????? (salvation,redemption,purification) )

( ভালোবাসার জৈবিক বিজ্ঞানঃ ঘ্রাণ (SCENT WITH LOVE) )

( আল্লাহের মানবিক গুনাবলী (গিগা পোষ্ট) )

২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৯

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই আমি কিন্তু রজনীশের চেয়ে ওই লোকটাকে বেশি অপছন্দ করব।

রজনীশ এবং ওই লোকটা দুয়েরই তৌহিদ আছে।

রজনীশ মুসলিম নন, ওই লোকটা মুসলিম।
রজনীশের কথায় কেউ ইসলাম ধর্ম বুঝতে চেষ্টা করবে না, তার কথায় করবে।

রজনীশ ধ্যান শেখান, সেটা তিনি ভাল শিখিয়েছেন। ওই লোকটা ঈমান শেখান, সেটা পুরোটাই ভুল হয়ে যাচ্ছে।

কারণ, তৌহিদ ঈমান নয়, তৌহিদের ঈমানের প্রথম, বৃহত্তম এবং সবচে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ।

যেমন, আমার মস্তিষ্ক আমি নই। আমার মস্তিষ্ক, হাত, পা, চোখ, মন, আত্মা এবং অন্য সব অঙ্গপ্রত্যঙ্গ নিয়ে আমি।

আমিতো আসলে রজনীশ থেকে কিছুই গ্রহণ করছি না। বিষয়টাতো ভাই ওখানে, আমি যে কারো কাছ থেকে যে কোনকিছু গ্রহণ করতে পারি, কারণ নিজেরটা হারাবার আলহামদুলিল্লাহ কোন সুযোগই নেই।

তার সৎকর্ম শূণ্য হয়ে যাচ্ছে। কেন হয়ে যাচ্ছে দেখুন, তার সৎকর্ম থেকে যারা যাই গ্রহণ করছে, তারাই তার সৎকর্ম তথা ঈমানে দাখিল হচ্ছে। এবং ফলশ্রুতিতে তার ওই নৈতিকতা গ্রহণ করছে যা গৃহীত হলে সব শূণ্য হিসাবে বিবেচিত হবে।

উল্টো তার অকর্মের পরিমাণ ভারি হচ্ছে।

একজন মানুষ যদি বলে, সে সুন্নি না, আহলে সুন্নাত না, সে সরাসরি ঘোষণা করে রাসূল দ.'র দল তথা ইসলাম থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে। কারণ, সব হাদিসগ্রন্থেই আছে, সত্যপথ মানেই আহলে সুন্নাত।

আর আল্লাহ কুরআন শরীফে সত্তরবারের বেশি বলেছেন, এই রাসূল দ.'র কথা মানো! এই রাসূল দ.'র কথা মানো!

কুরআন তো মানতে হবে। কুরআন তো এই রাসূল দ.'র কথা নয়, হাদীস হল সেই রাসূল দ.'র কথা। হাদীস সেই জিনিস, যা থেকে আমরা জানতে পারি, জুহরের নামাজ চার রাকাআত। মাগরিবের নামাজ তিন রাকাআত। এশার নামাজ চার। এই হাদীস ছাড়া কুরআন থেকে কখনো কোনদিন নামাজের তাসবীহ তাহলীল জানা সম্ভব নয়।

তিনি নিজে রাসূল দ.'র দলভুক্তি থেকে বারবার ঘোষণা দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন, সাথে সাথে কোটি মানুষকে বের করে নিয়ে যাচ্ছেন।

তিনি একজন মকবুল তাবিয়ির বইকে দেয়ালে ছুড়ে মারবেন, কারণ সেই তাবিয়ির হাদিস ভুল আর তা এই চোদ্দশ বছর পর তিনি আবিষ্কার করেছেন!

অথচ একজন সত্যপন্থী তাবিয়ির মর্যাদা কত, তা যারা হাদিস পড়ে, শুধু তারাই জানে।

রাসূল দ. বলেন, আমার প্রজন্ম, তার পরের প্রজন্ম, তার পরের প্রজন্ম।

তিনি শাফাআতে রাসূলিল্লাহ অস্বীকার করার মত স্পর্ধা দেখান।
কে তিনি!

বুখারি শরীফ, মুসলিম শরীফ, রাসূল দ. বলেন, কেউ কখনো সৎকর্ম বা আমল দিয়ে জান্নাতী হতে পারবে না।

এই লোক কি জান্নাতি হবে? তাকে আমার রাসূলে করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শাফাআত না করলে সে কি তার জীবনের প্রতিটা ওয়াক্তের নামাজের হিসাব দিতে পারবে? সে কি বারো বছর বয়স থেকে আজ পর্যন্ত পথের প্রতিটা কষ্টদায়ক বস্তু সরিয়েছে? সে কি বারো বছর বয়স থেকে আজ পর্যন্ত চল্লিশ ঘর প্রতিবেশীর হিসাব রেখেছে? তাহলে সে জবাব দিবে কীসের?

সে প্রথম জীবন থেকেই ইমাম হুসাইন ইমাম হাসান সালামুল্লাহি আলাইহির বিষয়ে জোক করত। তাদের কারবালায় শহীদ হওয়া নিয়ে জোক করত। সেই প্রাথমিক জীবনের অডিও আছে আমার কাছে।

ইমাম হুসাইনকে সে এজিদের অন্তর্গত সৈনিক বলে! ইমাম হুসাইন পরিবার নিয়ে মাত্র সত্তরজন নিয়ে সফররত, সেটাকে বলে যু্দ্ধ! এই কতলকে বলে সাম্রাজ্য দখলের যুদ্ধ।

সে বলে, ইমাম হুসাইনের শাহাদাত ইসলামের কোন বিষয় নয়! ব্লাডি হেল! ইসলাম তাহলে আবার কী?

কে ইমাম হাসান? কে ইমাম হুসাইন?

বৃদ্ধ আবু হুরাইরা তরুণ ইমাম হুসাইনের পা কি মুছিয়ে দেননি?
আর বলেননি, যে এরচে বেশি সৌভাগ্যবান আর কী করে আমি হতে পারি?

রাসূল দ. কি তার এই দুজন দৌহিত্রের কষ্টলাঘবের জন্য নামাজেও কোলেপিঠে করে রাখেননি?

কীসের ফাঁপা বুলি?

হুসাইন আমা হতে, আমি হুসাইন হতে। হুসাইন আমার অর্ধাংশ, হাসান আমার অর্ধাংশ। যে এদের সাথে শত্রুতা রাখে, আমি তাদের সাথে শত্রুতা রাখি এবং আল্লাহ তাদের সাথে যুদ্ধ ঘোষণা করেন।

এজিদের অনুসারী! আল্লাহর ঘোষিত যুদ্ধের সামনে দাঁড়ানোর ক্ষমতা এই কোটেড বুটেড ক্লাউনের কি আছে?

আক্বিদা কী দিয়ে তৈরি হয়? ঈমান কী? রাসূলের কথাই ঈমান।

নবীর ভালবাসা কোথায় গেল? আল্লাহ কি বলেননি, যারই আল্লাহ, ও তার রাসূল এবং আল্লাহর দেয়া পথের জন্য সবকিছু ছাড়ার জন্য প্রস্তুতি নেই, সে ঈমানহারা?

রাসূল কি বলেননি, তুমি আমাকে তোমার সবকিছু থেকে, স্ত্রী-সন্তান-সম্পদ-দুই জাহান এবং আপন প্রাণের চেয়ে ভাল না বাসলে ঈমানের দরজাতেই পা রাখোনি?

রাসূল কি বলেননি, যে ফাতিমার পরিবারের প্রতি শত্রুতা পোষণ করে, সে যদি ক্বাবার কোণা ও মাক্বামে ইব্রাহিমের মধ্যবর্তী অঞ্চলে (এ অঞ্চল সর্ব গুনাহ মাফের অঞ্চল, সব কবুলের অঞ্চল) নামাজরত অবস্থায় সিজদা দিয়েও মারা যায়, তাও সে জাহান্নামী!

কেন বলেছেন? তিনি কি পক্ষপাতিত্ব করে বলেছেন, এম্নি এম্নি আনিল হাওয়া বলেছেন? নাকি আল্লাহ যা চান তাই বলেছেন!

জাকির নায়িকের সর্ব সৎকর্ম ওই মাক্বামে ইব্রাহিমের সামনে সিজদা দিয়ে থাকার মত, মনে আহলে বাইতে রাসূলিল্লাহি তাআলা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি বিদ্বেষ নিয়ে।

বরং তারচেও খারাপ, কারণ সেই সিজদা কোন ক্ষতি করে না, জাকির নায়িকের প্রতিটা প্রচার প্রচারণা ক্ষতি করে তারচে বহুগুণ।

২৫| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:২২

অন্ধবিন্দু বলেছেন:

জাদুকর পাবলিকের চোখে ধুলো দেয় মাত্র।
লিসানী, আপনিও ব্লগ পাতাটিতে ধুলো সরানোর চেষ্টা করেছেন। গুড !

গোগ্রাসে গিললে বদহজম হওয়ার সম্ভাবনা থাকে ;)

২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৫

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: হজমের শক্তি থাকতে হয়। আর আমি গোগ্রাসেই গিলি যা গিলি, কারণ সময় সংক্ষিপ্ত। :)

আমি যে আপনার সামনে প্রকৃত চিত্র তুলে ধরেছি, এটাই তো সার্থকতা। একটা বিষয় তুলে ধরা আর একটা বিষয়কে অনুসরণ করতে বলা দুইয়ের তফাত তো বুঝতে হবে ভাই।

জ্ঞানের খাতিরে পিপাসার্তরা অনেককিছুই করে।

২৬| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৬

আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেছেন: লিসাসি ভাই আমার ২য় মন্তব্যের উত্তরে একেবারে শেষে যা বললেন ....কেন বললেন, মনে হয় আচ করতে পারতেছি......জাকির নায়েক বিরোধী বিভিন্ন পোষ্টে আমার মন্তব্য দেখে,,,,,,,

আমি অনেকদিন হয় সামুতে আছি কিন্তু সেই অনুপাতে আমার কোন পোষ্ট নাই (কেন দেই না সেটাও বিশদ আলোচনার বিষয়) আপনার মন্তব্যেই কিন্তু অনেক উত্তর নিহিত .....যাই হোক আপনার সাথে ক্যাচালের উদ্দেশ্যে আমি কোন মন্তব্য করিনাই আর আমি তা চাইও না আর সে যোগ্যতাও আমার নাই ।
ভালো থাকবেন....

২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:১৯

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই বিতর্কের মানুষ আমিও না। আমারও যোগ্যতা নেই।

আপনার আমার ক্ষতি বলতে বুঝিয়েছি, আপনার আমার মন খারাপ হবে, সেটা।

২৭| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:৩০

অন্তরন্তর বলেছেন:

চমৎকার একটা পোস্ট। কলেজ এবং ইউনিতে যখন
পড়ি তখন সংবাদপত্রে ভগবান রজনিশের কথা প্রায়ই
দেখা যেত। আমরা বন্ধুরা রজনিশ সম্পরকে আলাপ
করতাম। কিন্তু তাকে কখনও ভাল লাগে নি বা এখনও
তাকে পারসনালি ভাল পাই না। খুব সম্ভব ১৯৮৫/৮৬
সালে তাকে যুক্তরাষ্ট্র ডিপোর্ট করে এবং তিনি ইন্দিয়াতে
ফিরে আসেন। সংবাদপত্রে বেশ ফলাও করে তা লিখেছিল।
আপনার পোস্ট পড়ে পুরানো অনেক স্মৃতি মনে আসছে
এখন। সুন্দর পোস্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:২১

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই আপনার কমেন্টগুলো সব সময়েই আন্তরিক হয়। যথার্থ নাম, অন্তরন্তর।

ভাল থাকুন অষ্টপ্রহর। :)

২৮| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০১

সানড্যান্স বলেছেন: মানুষ এত কিছুর সময় পায় কই?

২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:২৭

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আমিও এটা ভাবিরে ভাই। আশা করি খুবই ভাল আছেন। চমৎকার মন ভাল করে দেয়া কমেন্ট।

২৯| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:৩৬

মুদ্‌দাকির বলেছেন:

জাকির নায়েককে অতটা নিচে ভাবতে পারছি না, আর রজনীশ এর শিক্ষার প্রতি আপনার তীব্র আকর্ষনে আমি অনেক ব্যাপারে কনফিউজড হয়ে গেলাম, কেন বললেন যে উনি তৌহিদে আছেন?? আপনি কিভাবে শয়তানের শিক্ষা গ্রহন করবেন অথচ আপনার কাছে আপনার সত্ত্বা অপরিবর্তিত থাকবে?? কি যাদু বা কি মহান কর্ম আছে আপনার?? অবশ্যই উনি বেঠিক যায়গায় রাঃ ব্যাবহার করেছেন, কতটা ঠিক বা বেঠিক জানিনা কিন্তু আমার জ্ঞানে তা বেঠিকই হয় যদিনা ইয়াজিদ আরেকটা হাদিস অনুসারে বেহেশতি কেউ না হয়ে থাকেন তো!!! জাকির নায়েক কে ক্লাউনো বা কাফির বলতে পারছিনা আর তার প্রতি যে তেমন আকর্ষন বোধ করি না তা তো আগেই বললাম!!

পাপী ইয়াজিদের প্রতি তীব্র ঘৃনাই কি হযরত ইমাম হোসাইন বা আহলে বাইতেইতের প্রতি ভালোবাসার প্রমান ??

নিজের ইমানের দৃঢ়তা নিয়ে কনফিউজড হয়ে গেলাম। আমি হযরত মুহাম্মাদ সাঃ এর মত করে অন্য কোন সাহাবীকে ভালোবাসতে পারবো না!!

২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৮:০৭

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আমি যেহেতু মেডিটেশনে রীতিমত দক্ষ একজন মানুষ, তাই আমি জানি, তিনি তৌহিদে আছেন। কারণ, মেডিটেশন আমার প্রাইমারি বিষয়।

আপনাকে কে বলল যে তার মেডিটেশন শয়তানের শিক্ষা? যে কোন মেডিটেশনকেই শয়তানের শিক্ষা মনে হতে পারে। বিশেষত তাকে আমি একজন স্বার্থাণ্বেষী ধ্যানী ছাড়া আর কিছুই মনে করি না। এটা ছিল একটা ফিচার টাইপ পোস্ট, বিষয়টাকে আপনারা দেখছেন ধর্মপ্রচার ধরনের করে। দৃষ্টিভঙ্গির বদলের কারণে বিষয়টা কত জটিল হয়ে গেল!

কি যাদু বা কি মহান কর্ম আছে আপনার??

ভাই, আমার অটল, অচল, অক্ষয় ঈমান আছে। বারবার, বারবার রিকনফার্মড ঈমান আছে। ঈমানের রিকনফার্মেশনে আমি আলহামদুলিল্লাহ, ক্লান্ত। আর কিছুই নাই। পাপের সীমা নাই। মালিক মহা ক্ষমাশীল। আমার এক ওয়াক্তের নামাজও কবুল হয় কিনা, জানি না। কিন্তু অটল ঈমান নিয়ে কোন প্রশ্ন নেই। পূর্ণ ঈমান আমারও নেই, কারণ আমিও পথের প্রত্যেকটা কষ্টদায়ক বস্তু সরাই না, কিন্তু যে অবস্থাতেই থাকি না কেন, পথের প্রত্যেকটা কষ্টদায়ক বস্তু পর্যন্ত সরানোর চেষ্টা করি, বা না পারলে ঈমানের দুর্বলতা অনুভব করি।

সাইয়্যিদুনা ইব্রাহিম আলাইহিস সালাতু ওয়াস সালাম যে ঈমান নিয়ে আগুনে ঢুকেছিলেন, তার তুলনায় কিছুই না। কিন্তু আগুনে ঢুকে দু চার দশবার আমিও বেরিয়ে আসতে পারি ঈমান আর আল্লাহর উপর প্রকৃত ব্য ব হা রি ক ভরসার মাধ্যমে, তার করুণায়।

যদিনা ইয়াজিদ আরেকটা হাদিস অনুসারে বেহেশতি কেউ না হয়ে থাকেন তো!!!

এটাই তো ভাই আমাদের জানার স্বল্পতা। আজকে জানার স্বল্পতার জন্য আপনি ভাবনার পর্যায়ে সিদ্ধান্তের পর্যায়ে আটকে গেলেন। আমি যে জানি তা না, মালিকের করুণার তো শেষ নেই, ঘটনাক্রমে জেনে গেছি।
আমারো এ ধরনের ভুল হয় আর সব মানুষের মত।

পাপী ইয়াজিদের প্রতি তীব্র ঘৃনাই কি হযরত ইমাম হোসাইন বা আহলে বাইতেইতের প্রতি ভালোবাসার প্রমান ??

না, এটা হচ্ছে ভালবাসার প্রমাণের সামান্যতম ক্ষু্দ্রতম বাইপ্রোডাক্ট।
ভালবাসার প্রমাণ আরো বহু বহু উর্দ্ধে।

আহলে বাইতে রাসূলিল্লাহ শুধু সাহাবি নন। আহলে বাইতে রাসূলিল্লাহর বিষয়ে যে হাদিসগুলো বলেছি, সেগুলোর আলোকেই যথেষ্ট হবার কথা।

ভাইরে, কোন মুসলমানের সাথে আহলে বাইতের বিষয়ে বিতর্ক করতে গেলে নিজের উপর অসম্ভব ক্রোধ হয়। কারণ নিজের ধর্মের উপর তো আর ক্রোধ করতে পারি না। নিজের ধর্মের পূর্বপুরুষদের উপর তো আর ক্রোধ করতে পারি না। একজন মুসলিম কী করে আহলে বাইতের বিষয়ে সচেতনভাবে জানে না, সে বিষয়ে তাই নিজের উপরই অসম্ভব ক্রোধ হয়।

আমি না-ই জানতে পারি, আহলে বাইত কি। জানার সুযোগ কি চলে গেছে?

ব্যক্তিগতভাবে আমি জানার জন্য যা করি তা হল, কোন একজন মানুষের উপর নীতিগতভাবে ভরসা তৈরির চেষ্টা করি- তিনি কোন বাস্তব মানুষ নন, তার বই, তার অডিও, তার ভিডিও থেকে। এমনকি দশ বছর ধরে তাকে অবজার্ভ করি। তখন তার থেকে নেয়া শুরু করি। এবং দশ বছর পরও যদি মৌলিক ভয়ানক ত্রুটি পাই, পিছন ফিরি।

আর আমার জন্য গুগল তো আছেই। একটা হাদিস বের করার জন্য মরার গুগলে গড়ে তিন ঘন্টা সার্চ করা আমার অভ্যাস।

এভাবেই, নীতিগতভাবে যে কথাটাই বলি, সেটা চরম দৃঢ়ভাবে বলি।

৩০| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:৪৫

নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: অনেক কিছু জানলাম । শুভেচ্ছা ভাই ।

২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:২২

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: নাজমুল ভাই, আপনাকেও শুভেচ্ছা অগণন।

৩১| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ ভোর ৬:৪৪

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
//এই শেষের দুটা ট্রামকার্ডও ওশোকে নিয়ে গেল চূড়ায়। সেই অস্থির এইটিজ। যেখানে রকস্টাররা আইডল, টিভি উপস্থাপকরা, বি মুভিজের নায়করা, কিন্তু কোথায় যেন শান্তি নেই। স্থিরতা নেই।//

সবই তো বললেন এক লেখাতে। ভালো লাগলো ভাই :)

তবে তিনি সত্যিই যাদুকর। ওইখানে রেখে দিলেই ভালো। ধর্মবেত্তা নন।
ধর্মে যাদুকরের স্থান নেই।


চোখ বন্ধ করলে সত্যিই বেশি দেখা যায়। কিন্তু আমরা তো সত্যিকারভাবে চোখ বন্ধ করতে পারি না। একটি কৌতুক মনে পড়ছে: শিষ্য তার ‌‌'দয়াল বাবাকে' জিজ্ঞেস করছেন, "বাবা, নারী আর পুরুষ এক সাথে শুইলে কোন সমস্যা আছে?" দয়াল বাবা জবাবে বললেন, "এক সাথে শুইলে তো সমস্যা নেই। সমস্যা হলো, তোরা তো শুধু শুইয়ে থাকবি না!" শুধু দৃষ্টি বন্ধ করলে লাভ নেই.... মন তো নিয়ন্ত্রণ করতে হবে ;)

যা হোক। ইয়গা, মেডিটেশন, কোয়ান্টাম মেথড, সিলভা মেথড, আর্ট অভ্ লাইফ ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আমার কিছু রিজার্ভেশন আছে। আমি মনে করি, আত্মিকভাবে পরিচ্ছন্ন না হলে মেডিটেশন মানুষকে আরও শয়তান বানায়! আত্মা থেকেই সকল শারীরিক ও মানসিক সমস্যার সৃষ্টি। বিষয়টি বিশদ ব্যাখ্যা দরকার। তবে অফিসের চিন্তা মাথায় নিয়ে আজ আর সম্ভব নয়।


চমৎকার একটি লেখা পড়লাম অনেক দিন পর। অনেক আনন্দ পেলাম, ভাই। ধন্যবাদ আপনাকে :)

২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:২৪

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: হ্যা। আসলেই জাদুকর। ঠিক ধর্মবেত্তা নন। ধর্ম অনেক মহান জিনিস।

আর সবকিছুর মতই ধ্যানবিদ্যাটাকেও ঠিকমত ব্যবহার না করলে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়।

আপনাকে একটা কিওয়ার্ড দেই: সাইকিক হিলিঙ

এই বিষয়ের আগে তো ধ্যানকে উপলব্ধি করা অত্যন্ত কষ্টকর হয়ে পড়বে।

আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ভাই। ধ্যানে আমার খুবই আগ্রহ। ফলাফলটা তেমনি পেয়েছি। তবে দ্বিমত তো থাকবেই। সবকিছু নিয়ে।

৩২| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৫

মুদ্‌দাকির বলেছেন: গ্র্যান্ডোসিয়াস , কিছুই বলার নাই, শুধু সূরা বাকারার ২৫৬,২৫৭ নং আয়াত থেকেও বুঝাযায় রজনীশ এর মত লোকেরা শয়তান বা তাগুতের অনুসারী, স্বাভাবিক ভাবেই তার মত মানুষের কোন বিশেষ কর্ম অনুসরন করতে চাওয়া কোন ইমানদার ব্যাক্তির আকাংক্ষা হওয়া উচিৎ নয়!!! :| :|

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:১৫

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আল্লাহ তাঁর রাসূল দ.'র শাফাআতের মাধ্যমে আপনাকে প্রতিদান নয়, বরং ক্ষমা দান করুন। আমাকেও।

৩৩| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:৪৮

আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেছেন: @মুদ্দাকির ভাই, আপনার করা মন্তব্যগুলো (জাকির নায়েক সম্পর্কিত ) ঠিক আমারও মনের কথা...আর আপনার লেখা এবং মন্তব্যে..একেবারে প্রাসঙ্গিক কোরানের আয়াত উল্লেখ করেন যা খুবই প্রশংসার দাবি রাখে আর এইজন্য আপনারে একটু একটু হিংসেও করি.. B-) B-) B-)
জাযাকআল্লাহ......

@লিসানি ভাইরে বারে বারে জাকির নায়েক সম্পর্কে মন্তব্য করার উদ্দেশ্য হইলো তাগাদা দেওয়া B-)) B-)) B-))
যাতে খু্ব তাড়াতাড়ি নাযেক সম্পর্কিত পোষ্টটা দেন।

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:২১

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: জ্বি। নাযেক সম্পর্কিত পোস্টটার আগে একটা পোস্ট দিয়েছি, ওটা পড়লে উপকৃত হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

আপনার সানগ্লাস খুবই সুন্দর।

সুম্মুন বুকমুন উময়ুম ফাহুম...

৩৪| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:৩৬

নিয়েল হিমু বলেছেন: প্রায় আধাআধী পড়েছি পোষ্ট ভাই । বাকিটা পরে পড়তেছি । কিন্তু এখানে একটু শেয়ার করি । টরেন্ট থেকে যে ধ্যানের প্রক্রিয়াটা নামিয়েছেন সেটাতে নাচার বিষয় আছে ? এবং ধাপগুলো তো পিশাচ সাধনার ধাপের সাথে মিল পাচ্ছি ।

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:৪৪

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: হ্যা ভাই, অনেকে পিশাচ সাধকও আছে। পিশাচ সাধনায় শয়তান/জ্বিনদেরকে ডাকা হয়। ওই কাজে ঈমান চলে যায়। অনেক ক্ষেত্রে আত্মা বিক্রি করতে হয়। দুনিয়াবি ক্ষমতা আর লোভের জন্য কেউ কেউ সেসব করে। পিশাচ সাধক ও উপাসকের কোন অভাব নেই।

আসলে তার মেডিটেশন একজন মানুষকে ধর্মের উপর প্রতিষ্ঠিত করে না, বড়জোর তার অনুসারীতে পরিণত করে, কিছু ক্ষতিকর বিষয় থেকে এড়িয়ে নেয়।

বিষয়টা একেবারেই ফিচার ভিত্তিক। নীতিভিত্তিক নয়। আমি মেডিটেশনওয়ালা, এইজন্য মেডিটেশন টেস্ট করি।

৩৫| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:৫৮

আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেছেন: সুম্মুন বুকমুন উময়ুম ফাহুম...
নাহ্ ..আপনার প্রতি যেটুকু শ্রদ্ধাবোধ ছিল সেটুকুও গেলো ।

ব্লগে কিছু মন্তব্য করলাম আর তাতেই আপনি আমারে বিচার করে ফেললেন?
নায়েক সাহেবরে নিয়া পোষ্টের প্রতি আর আগ্রহ নাই
.কোন প্রকার ফাজলামো করার উদ্দেশ্যে আমি এখানে মন্তব্য করি নাই,,,,নিখাদ জানার উদ্দেশেই করেছিলাম

আপনার ব্লগে এটাই আমার শেষ মন্তব্য
আমার করা মন্তব্যগুলো যদি আপনাকে কষ্ট দিয়ে থাকে সেজন্য দু:খিত..
ভালো থাকবেন..

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:২৫

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই, শ্রদ্ধাবোধ রাখবেন কী কারণে? আগে ছিল কী কারণে? আপনিও কিবোর্ড চাপতে পারেন, আমিও। এরচে বেশি কিছু ছিল? দরকার নাই। আপনারা সুন্দর শ্রদ্ধাবোধ নিয়ে আসবেন, তারপর ঈমান আছে না নাই, আমি কী হয়ে গেছি এইসব অবান্তর প্রশ্ন করবেন, ফান করবেন, বিনয় দেখালে বলবেন চাটুকারিতা।

দুই পয়সার লাভ আছে আপনাদের সাথে বিনয়, আন্তরিকতা দেখিয়ে?
নাকি কোন অগ্রগতি আছে?

আপনাদের মত ভাইরাই আমাকে ৩৫ বারের উপর কাফির আর নাস্তিক বলেছে। এই ব্লগে।

বিষয়টা সিরিয়াসের দিকে চলে গেছে, দেখছেন। সেখানে ফান করার তো কোন মানে নেই। সবারই একটা ব্রেকিং পয়েন্ট আছে।

যাকে জানানোর পরও মানসিকতার পরিবর্তন হয় না, তার ক্ষেত্রেই এ আয়াত প্রযোজ্য। শুধু এই পোস্টের উপরের কমেন্টগুলো পড়লেও, বুঝলেও আপনার উপকারই হতো।

৩৬| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:১১

মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: এপিক জিনিস মনে হচ্ছে ;)

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:৫৭

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। বুঝেছি... :)

৩৭| ০৯ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:৪৮

কসমিক- ট্রাভেলার বলেছেন:



http://www.quantummethod.org.bd

২৩ শে জুন, ২০১৪ রাত ১:৩২

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: কোয়ান্টাম মেথড আমাদের জন্য দারুণ উৎস। এইসব ভাঁড়ামির বিষয় সেখানে নেই, স্বচ্ছ্বতা এবং স্পষ্টতা সেখানে চমতকার। ধন্যবাদ।

৩৮| ১৪ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:০৪

ডি এইচ রিমেল বলেছেন: দূর্দান্ত!!! ফাটাফাটি পোষ্ট দস্তগীর ভাই! প্রিয়তে নিলাম।

ডা. বা-ঈমান আল সুরেশ্বরী সাহেবের পরিবারের একজনের সাথে আমার ও কথা হয়েছিল কিন্তু এতটা ভাল ভাবে নয় যতটকু আপনি বলেছেন।

যদি পারেন আমার বিষয় টা দেখেন ....

আত্মদর্শনই পুঁজি, সাহসই লক্ষ্মী, বিশ্বাসই শক্তি, ভক্তিতেই মুক্তি আমি এই চিন্তার মানুষ। দীর্ঘ দিন যাবত আমি মনে শান্তি পাচ্ছিনা কারন দিনে দিনে বেলা যে অনেক হয়ে গেল আবার পুঁজি ও যে হারিয়ে যাচ্ছে। এমতাবস্তাই আমার মন ব্যাকুল হয়ে গেছে গুরুর চরণ ধূলি মাথায় নেবার আশায় কিন্তু আমার জানার সীমাবদ্ধতার কারনে ভন্ডদের ভীড়ে সঠিক ও কামেল অথচ প্রচার বিমুখ গুরুর( যার ভক্ত ও মুরীদ এর সংখ্যা কম অথচ কামেল ) সন্ধান পাচ্ছিনা। তাই বাধ্য হয়ে আপনাদের শরনাপন্ন্য হলাম, যদি দয়া করে আমাকে সন্ধান দেন.... আপনাদের জানা থাকলে তথ্য দিয়ে দয়া করে আমাকে একটু উপকার করেন ভাই....

২৩ শে জুন, ২০১৪ রাত ১:৩৪

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: রিমেল ভাই, সালাম।

কামেল পীর যে অনেক আছেন, তেমনি ব্যবসাদার মানুষও অনেক আছে। এই উভয়ের ভীড়ে আমরা পিষ্ট।

আপনি কেমন ধরনের ভাবনা রাখছেন, এর উপরও নির্ভর করে, কোন্ ধারার কামিল মুর্শিদের মাধ্যমে নিজেকে গাইড করবেন। অপশন রয়েছে।

আপনার সাথে ফেসবুকে আলাপ হলে ভাল লাগত।

৩৯| ১৪ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:২৯

একজন ঘূণপোকা বলেছেন:
এই প্রথম জানলাম।


ধন্যবাদ ভাই

২৩ শে জুন, ২০১৪ রাত ১:৩১

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেও। ভাল থাকুন অনেক অনেক।

৪০| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৯

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: nice post

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৪৪

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: thank you bhai!

৪১| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:২৫

রাবেয়া রব্বানি বলেছেন: ওশোর বই অনেক কম বয়সে পড়েছিলাম। স্বচ্ছ আর সহজ শব্দে নেশা আর যাদুকরী লাইনগুলো।
পাত্রভর্তি পানি তো মুখ খুলে দাও। মনভর্তি কষ্ট তো কাউকে বলো। যা থাকে তা চাপিয়ে রেখো না, প্রকাশ করো। হালকা হয়ে যাবে।
এটা ভালো এবং এটাই পারিনা ,

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৫০

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: অসাধারণ সব কথা! অথচ এই মানুষটা মানুষকে লিড করার চেয়ে মিসলিড বেশি করেছে।

দু:খজনক বিষয়। আশা করি খুবই ভাল আছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.